ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কঠিন সময় পার করছেন দরিভাল জুনিয়র। তার কোচিংয়ে সেলেসাওরা যে ফুটবল খেলছে, তা মন ভরাতে পারছে না সমর্থকদের। ফলে পারফরম্যান্স একটু খারাপ হলেই ধেয়ে আসছে তীব্র সমালোচনা। ভালো করলেও আবার মিলছে না প্রশংসা। হতাশ দরিভাল মনে করেন, তিনি যাই করুন না কেন, একদল লোক অপেক্ষায় থাকে কেবল সমালোচনার করার দিকেই।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিলের কোচ হন দরিভাল। তার অধীনে গত বছরের কোপা আমেরিকায় শেষ আট থেকে বিদায় নেয় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সব মিলিয়ে তার সময়ে ১৫ ম্যাচের মধ্যে সাতটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে ব্রাজিল। ড্র ৬টি আর হার দুটিতে। ফলে দেশটিতে দরভালের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমাগতই উঠছে প্রশ্ন।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচের আগে ৬২ বছর বয়সী এই কোচ একহাত নিয়েছেন সমালোচকদের।
“আমরা এমন একটি দেশে বাস করি, যারা স্রেফ সমালোচনা করতে পছন্দ করে। এটা হতাশাজনক, তবে আমার কাছে ব্যাপারটা এমনই মনে হয়। আমরা এতোটাই সমালোচনা করতে পছন্দ করি যে আমরা প্রাপ্য সম্মানটাও কম দেই। তবে সময় সবাইকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যায়।”
দরিভাল কোচ হওয়ার আগে থেকেই ছন্দপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ব্রাজিল। তিনি কোচ হওয়ার পর চিত্র বদলে যাওয়ার আশা ছিল সমর্থকদের। তবে সেটা আর হয়নি। কিছুটা সময় আগেও দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ে ব্রাজিলের অবস্থান ছিল নাজুক। এখন তিন নম্বরে থাকলেও দলের খেলায় নেই অধারাবাহিকতা। উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয় ধরা দিয়েছে ৯৯তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে।
দরিভাল অবশ্য মনে করছেন, তার কোচিংয়ে ভালোই করছে ব্রাজিল।
“আমি বুঝতে পারি যে ফুটবল কীভাবে কাজ করে, আর আমি চাপের মধ্যে থাকার চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করি। আমি কঠোর পরিশ্রম, নিবেদন, সম্মান এবং স্থিরতায় বিশ্বাস করি। আমি ১৫ টি ম্যাচ ধরে জাতীয় দলের দায়িত্বে আছি। তাই আপনি আমাকে স্রেফ এই সময়ের মধ্যে আমার কাজের জন্যই আমাকে দায়বদ্ধ রাখতে পারেন।”
No posts available.
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০২ পিএম
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৫ এম
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৪৭ এম
ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল আর্জেন্টিনা। যুবাদের এই বিশ্বকাপে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আলবিসেলেস্তারা। দুই বছর পরপর হওয়া এই টুর্নামেন্টে নিজেদের রেকর্ড এবার আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ পেল আর্জেন্টিনা।
কলম্বিয়াকে হারিয়ে আজ যুবা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। আকাশি-সাদা জার্সিদের জয়ের নায়ক লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি সতীর্থ মাতেও সিলভেত্তি। ৭২ মিনিটে এই উইঙ্গারের একমাত্র গোলে ফাইনাল নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার ভোরে সান্তিয়াগোতে ফাইনালে আফ্রিকান দল মরক্কোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
যুবাদের জয়ে উচ্ছ্বসিত আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে মায়ামি তারকা সিলভেত্তি ও দলের উদযাপনের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘চলো ফাইনালে! সবাইকে অভিনন্দন! গ্রান্দে সিলভেত্তি।’
‘বড় ভাইয়ের’ অভিনন্দনের জবাবে সিলভেত্তি লিখেন, ‘লিও (মেসি) আমাকে ও দলকে যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাতে খুব সম্মানিত বোধ করছি। বড়রা সব সময়ই সমর্থন দিয়ে গেছেন, আমাদের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম।’
যুবা বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা আছে মেসিরও। নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০৫ আসরের ফাইনালে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মেসিরা। ফাইনালে পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করে দলকে শিরোপা এনে দেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। ওই আসরে সর্বোচ্চ গোল করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার গোল্ডেন বলও জেতেন মেসি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হারতে থাকা ম্যাচে শেষ সময়ে গোল করে এক পয়েন্ট আদায় করে জর্ডান। টিকে থাকা স্বপ্ন নিয়ে বুধবার রাতে স্বাগতিকরা মুখোমুখি হয় চাইনিজ তাইপের। এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এদিন ৬-১ গোলে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে জর্ডান। স্বাগতিকদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশকেও হুঙ্কার দিয়ে রাখল চাইনিজ তাইপের মেয়েরা।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলছে ‘এইচ’ গ্রুপে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটের ভুলে গোল হজম করে সাইফুল বারীর টিটুর দল। তিন দলের এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন দলটি যাবে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চীনে গড়াবে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ। সেই প্রতিযোগিতার টিকিট পেতে আপাতত কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ বাছাইয়ে শেষ ম্যাচটি খেলবে আগামীকাল। জর্ডানের আকাবা স্টেডিয়ামে রাত ১০টায় তাইনিজ তাইপে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা। এক ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট পাওয়া চাইনিজ তাইপের জন্য শেষ ম্যাচে দরকার স্রেফ এক পয়েন্ট। আর বাছাই পেরুতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প নেই বাংলাদেশর। কেননা প্রথম ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে মোটে এক পয়েন্ট। আগামীকালকের ম্যাচে হার কিংবা ড্র হলেই সর্বনাশ। সেদিক থেকে কিছুটা এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে চাইনিজ তাইপে।
এবার একটু দেখে আসা যাক বাংলাদেশের চেয়ে কতটা শক্তিশালী চাইনিজ তাইপে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম। বাংলাদেশের চেয়ে ৬২ ধাপ এগিয়ে থাকা চাইনিজ তাইপে আছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৪২তম অবস্থানে। বোঝাই যায় চাইনিজ তাইপেকে হারানো কতটা চ্যালেঞ্জ হবে বাংলাদেশের জন্য।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে চাইনিজ তাইপেকে ঘরের মাঠে মোকাবিলা করেছিল বাংলাদেশ সিনিয়র নারী ফুটবল দল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হওয়া দুটি প্রীতি ম্যাচেই হেরেছিল লাল সবুজের মেয়েরা। প্রথমটিতে প্রথমটিতে ০-৪ গোলে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান ছিল ০-১ গোল। আগামীকাল শক্তিশালী চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মূল আসরে বাংলাদেশ দল খেলতে পারবে কি না সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে জর্ডানে কোচ সাইফুল বারীর অধীনে নিবিড় অনুশীলনে থাকা অর্পিতা বিশ্বাসরাও প্রস্তুত চাইনিজ তাইপে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়।
বিশ্বকাপের চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি। বিশ্বসেরাদের প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা ‘আজ্জুরিরা’। অথচ এই দলটাই কিনা টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে দর্শকের ভূমিকা পালনের শঙ্কায় আছে। ফুটবল ইতিহাসে সাফল্য আর ঐতিহ্যে যে দেশটির তুলনা কেবল নিজেরাই, তাদের এমন দশা দেখে যারপরনাই হতাশ হওয়ার কথা যেকোনো ফুটবল ভক্তের।
২০২৬ বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে গ্রুপ ‘আই’তে ইতালি আছে ২ নম্বরে। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৫। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা নরওয়ের পয়েন্ট ১৮।
বাছাইপর্বে মলদোভা আর নরওয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে ইতালি। বাঁচা-মরার শেষ দুই ম্যাচে ইতালির জিততে তো হবেই সঙ্গে চেয়ে থাকতে হবে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে আর্লিং হল্যান্ডের নরওয়ের পয়েন্ট হারানোর দিকে। না হয় প্লে-অফের বাধা উতরে নিশ্চিত করতে হবে বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা।
সবশেষ ম্যাচে ৩-০ গোলের জয়ে ইসরায়েলকে বিদায় করে প্লে অফ নিশ্চিত করায় কিছুটা স্বত্বিতে আছেন ইতালি কোচ জেনারো গাত্তুসো । তবে দলের উন্নতির কৃতিত্ব তিনি তখনই নেবেন, যখন ‘আজ্জুরিরা’ ২০২৬ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করবে। আর সেটা না হলে নাকি ইতালি ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবেন গাত্তুসো।
ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ইতালি কোচ বলেন,
‘লক্ষ্যে পৌঁছালে আমি কৃতিত্ব নেব। না হলে আমি ইতালি ছেড়ে চলে যাব। আমি ইতোমধ্যেই অনেক দূরে বসবাস করছি, তবে আরও দূরে চলে যাব।’
গত জুনে লুচিয়ানো স্পালেট্টির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ইতালির ডাগ-আউট সামলানোর দায়িত্ব নেন গাত্তুসো। গাত্তুসোকে আজ্জুরির কোচ হিসেবে নিয়োগের পর প্রথম চারটি ম্যাচে ইতালি ১৬টি গোল করেছে।
দলের উন্নতির জন্য ইতালির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি গাব্রিয়েলে গ্রাভিনার সঙ্গে সাবেক গোলকিপার জিয়ানলুইজি বুফনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। নিজের চেয়ে দলের কৃতিত্বকেই বড় করে দেখছেন গাত্তুসো,
‘আমি ভাবিনি দল ১৬ গোল করবে। এটা তাদের মেধা। আমার অংশ খুবই কম। আমরা অনেক কাজ করি, খুব কম ঘুমাই, তবে জেতার পর ভালো লাগে।’
শুরুতে গোল খেয়ে চাপে পড়তে দেখা যায় ইতালিকে। প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পর দলের ভড়কে যাওয়া মানসিকতার উন্নতির কথা বলেন ৪৭ বছর বয়সী ইতালির কোচ,
‘আমি মনে করি, যখন আমরা কোনো গোল হজম করি, দল ভয় পায়। আমি অনেক ম্যাচ দেখেছি, কিন্তু খুব বেশি দল খেলার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে না।’
গাত্তুসো যোগ করেন,
‘এখানেই আমাদের উন্নতি করতে হবে। চাপের মধ্যে আমরা পিছিয়ে থাকা ঠিক হবে না। তবে বাকী বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
দলের উন্নতির এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কথা বলেন ইতালি কোচ,
‘গত মাসে আমরা নানান ধরনের অদ্ভুত কিছু করেছি। আজ (গতকাল) আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দল দেখলাম। আমাদের এই পথে এগোতে হবে এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
আট মাস পর পর্দা উঠবে ফিফা ২০২৬ বিশ্বকাপের। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ নামের এই টুর্নামেন্টের সব আয়োজনই প্রায় সম্পন্ন। ৪৮ দলের বিশ্বকাপের অধিকাংশ দলও চূড়ান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার যৌথ আয়োজনে হবে বিশ্বকাপের ২৩তম আসর।
সব কিছু যখন চূড়ান্ত এরই মধ্যে হঠাৎ ভেন্যু পরিবর্তনের হুমকি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে কিছু ম্যাচের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা তোলেন। ‘ডেমোক্র্যাট শাসিত শহরগুলোর’ বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থান তুলে ধরতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন,
‘যদি কেউ খারাপ কাজ করে বা আমি মনে করি কোথাও নিরাপত্তাহীন অবস্থা রয়েছে, আমি ফিফার প্রধান জিয়ান্নিকে (জিয়ান্নি ইনফান্তিনো) ফোন করব। সে অসাধারণ মানুষ, আর বলব, “চলো ম্যাচটা অন্য শহরে নিয়ে যাই।” আর সে সেটা করবে। খুব সহজেই করবে।’
ট্রাম্পের বিবৃতির জবাবে ফিফা জানিয়েছে, তারা আশা করছে ২০২৬ বিশ্বকাপের যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি শহর প্রস্তুত থাকবে সফলভাবে ম্যাচ আয়োজনের জন্য। ফিফার এক মুখপাত্র বলেন,
‘আমরা আশা করি আমাদের ১৬টি আয়োজক শহরের প্রত্যেকটি সফলভাবে ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণে প্রস্তুত থাকবে। বিশ্বব্যাপী ফিফার সব আসরেই নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়।’
অবশ্য নিরাপত্তাজনীত কারণে ভেন্যু পরিবর্তনে সরকারের সিদ্ধান্তই মেনে নিবে ফিফা,
‘নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা মূলত সরকারের দায়িত্ব, এবং তারাই ঠিক করে কী জনস্বার্থে সবচেয়ে ভালো।’
আয়োজক শহরের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে তারা বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তারা। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারার মেয়র লিসা গিলমর বলেন,
‘সান্তা ক্লারাকে অনিরাপদ বলা বাস্তবতার সঙ্গে কোনোভাবেই মেলে না। আমরা প্রায় তিন বছর ধরে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং আগামী বছর সারা বিশ্বের মানুষকে স্বাগত জানাতে আমরা গর্বিত।’
বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের কিছু ইভেন্টও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াও কথাও বলেন ট্রাম্প।
৪৮ দলের এই সম্প্রসারিত টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে। বোস্টনে সাতটি ম্যাচ সান ফ্রান্সিসকো ও সিয়াটল ছয়টি করে ম্যাচ আয়োজন হওয়ার কথা। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে হবে আটটি ম্যাচ। আগামী বছরের ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল।
অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারা বজায় রাখল আর্জেন্টিনা। রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা যুবা দল। মাতো সিলভেত্তির একমাত্র গোলে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চের টিকিট কাটে আলবিসেলেস্তারা।
অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম শিরোপা জয়ের পথে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ অঘটনের জন্ম দিয়ে ফ্রান্সকে হারানো মরক্কো। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ের ১-১ গোলের সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচ গড়ায় টেইব্রেকারে। পেনাল্টি শুট আউটে ৫-৪ গোলে ফ্রান্স যুবা দলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে আফ্রিকার দেশটি। িএই প্রতিযোগিতায় মরক্কোর সেরা সাফল্য ২০০৫ আসরে শেষ চারে ওঠা।
চিলির সান্তিয়াগোর এস্তাদিও নাসিওনাল হুলিও মার্তিনেস প্রাদানোস স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়েছে কলম্বিয়া যুবারা। অল ল্যাটিন আমেরিকা সেমিতে ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৩টি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখে তারা। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও শট নেওয়ায় খানিকটা এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ১৪টি শট নিয়ে ৫টি গোলমুখে রাখে তারা।
ম্যাচের শুরুটা ছিল বেশ সতর্কতাপূর্ণ। দুই দলই প্রথমার্ধে ভুল এড়াতে সাবধানী ফুটবল খেলেছে। তাতে বিরতির কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। তবে বিরতির পর আর্জেন্টিনা কোচ দিয়েগো প্লাসেন্তে কৌশল বদলে পাঁচ ডিফেন্ডারের ফরমেশন থেকে সরে এসে আক্রমণাত্মক কৌশল আস্থা রাখেন। আর তাতে ফলও আসে।
৭২ মিনিটে ডান পায়ের নিখুঁত শটে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন মাতো সিলভেত্তি। গিয়ানলুকা প্রেস্টিয়ানির দারুণ পাস থেকে জয়সূচক গোলটি করেন ইন্টার মিয়ামির এই ফরোয়ার্ড।
এরপর সমতায় ফিরতে মরিয়া চেষ্ট চালায় কলম্বিয়া। তবে কিছুক্ষণ পরই বড় ধাক্কা খায় তারা। ৭৮তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কলম্বিয়ার বদলি নামা মিডফিল্ডার জন রেনতেরিয়া। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচ ফেরা হয়নি তাদের।
আগামী ২০ অক্টোবর ফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা যুবা দল। যুবাদের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছয়বার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সবশেষ ২০০৭ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবার দীর্ঘ ১৮ বছর পর আবারও বিশ্বসেরা হওয়ার সুযোগ আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের।