ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কঠিন সময় পার করছেন দরিভাল জুনিয়র। তার কোচিংয়ে সেলেসাওরা যে ফুটবল খেলছে, তা মন ভরাতে পারছে না সমর্থকদের। ফলে পারফরম্যান্স একটু খারাপ হলেই ধেয়ে আসছে তীব্র সমালোচনা। ভালো করলেও আবার মিলছে না প্রশংসা। হতাশ দরিভাল মনে করেন, তিনি যাই করুন না কেন, একদল লোক অপেক্ষায় থাকে কেবল সমালোচনার করার দিকেই।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিলের কোচ হন দরিভাল। তার অধীনে গত বছরের কোপা আমেরিকায় শেষ আট থেকে বিদায় নেয় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সব মিলিয়ে তার সময়ে ১৫ ম্যাচের মধ্যে সাতটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে ব্রাজিল। ড্র ৬টি আর হার দুটিতে। ফলে দেশটিতে দরভালের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমাগতই উঠছে প্রশ্ন।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচের আগে ৬২ বছর বয়সী এই কোচ একহাত নিয়েছেন সমালোচকদের।
“আমরা এমন একটি দেশে বাস করি, যারা স্রেফ সমালোচনা করতে পছন্দ করে। এটা হতাশাজনক, তবে আমার কাছে ব্যাপারটা এমনই মনে হয়। আমরা এতোটাই সমালোচনা করতে পছন্দ করি যে আমরা প্রাপ্য সম্মানটাও কম দেই। তবে সময় সবাইকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যায়।”
দরিভাল কোচ হওয়ার আগে থেকেই ছন্দপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ব্রাজিল। তিনি কোচ হওয়ার পর চিত্র বদলে যাওয়ার আশা ছিল সমর্থকদের। তবে সেটা আর হয়নি। কিছুটা সময় আগেও দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ে ব্রাজিলের অবস্থান ছিল নাজুক। এখন তিন নম্বরে থাকলেও দলের খেলায় নেই অধারাবাহিকতা। উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয় ধরা দিয়েছে ৯৯তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে।
দরিভাল অবশ্য মনে করছেন, তার কোচিংয়ে ভালোই করছে ব্রাজিল।
“আমি বুঝতে পারি যে ফুটবল কীভাবে কাজ করে, আর আমি চাপের মধ্যে থাকার চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করি। আমি কঠোর পরিশ্রম, নিবেদন, সম্মান এবং স্থিরতায় বিশ্বাস করি। আমি ১৫ টি ম্যাচ ধরে জাতীয় দলের দায়িত্বে আছি। তাই আপনি আমাকে স্রেফ এই সময়ের মধ্যে আমার কাজের জন্যই আমাকে দায়বদ্ধ রাখতে পারেন।”
No posts available.
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:১৯ পিএম
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
বার্সেলোনার সঙ্গে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের স্নায়ুক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে! আন্তর্জাতিক বিরতিতে স্পেনের হয়ে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন লামিন ইয়ামাল। দু’পক্ষের মন কষাকষির কারণ মূলত এটাই। কারণ, চ্যাম্পিয়ন লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৮ বর্ষী স্প্যানিয়ার্ডের খেলা অনিশ্চিত। বিরতি থেকে ফেরার পরও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে নামা হয়নি ইয়ামালের। নিউক্যাসেলের বিপক্ষেও দেখা যাবে না তাকে।
নতুন মৌসুমের শুরুতে ইয়ামালকে না পাওয়ার বিষয়ে বিষম চটেছেন ফ্লিক। তার ইনজুরির জন্য স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের খামখেয়ালিপনাকে দায়ী করেছেন জার্মান কোচ। পাশাপাশি ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও একজন তরুণকে দীর্ঘক্ষণ মাঠে রাখার ব্যাপারে প্রকাশ্যে বিরক্ত ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে বার্সা চায় ভবিষ্যতে ক্লাব ও দেশের মধ্যে খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সমন্বয় থাকুক।
আরও পড়ুন
লেভানদোভস্কি যেন ফুটবলের ‘জোকোভিচ’ |
![]() |
ইয়ামাল বার্সেলোনার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। তার ব্যাপারে একটু বেশিই সচেতন কাতালুনিয়ারা। ন্যু ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে তাদের চলমান বিরোধ কমিয়ে আনতে। মার্কা জানিয়েছে, বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আইতোর কারাঙ্কার সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে বেশ কিছু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
ইয়ামালের ইনজুরি নিয়ে ফ্লিকের অভিযোগ, পেইন কিলার খেয়েই স্পেনের হয়ে খেলেছেন ইয়ামান। তিনি বলেন,
‘‘তারা (স্পেন) প্রতিটি ম্যাচে তারা কমপক্ষে তিন গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ইয়ামাল দুটি ম্যাচেই ৭৩ ও ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন। ম্যাচগুলোর মাঝেই সে ট্রেনিংও করতে পারেননি। এটা কি আসলেই খেলোয়াড়ের যত্ন নেওয়া? এ নিয়ে আমি খুবই হতাশ।’’
এক যুগের বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবল দেখেছে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর আধিপত্য। দুজনের প্রখর আলোয়, সমসাময়িক তারকারা অনেক সময়ই যেন নিভে যাওয়া প্রদীপ! দুই মহাতারকার উপস্থিতিতে একের পর এক রেকর্ড গড়লেও, অনেক সময় আড়ালেই থেকে গেছেন আরেকজন—রবার্ট লেভানদোভস্কি।
পোলিশ এই স্ট্রাইকারও ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলদাতাদের একজন। জিতেছেন লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ট্রেবল—তবুও তাঁর নাম প্রায়ই ম্লান হয়ে যায় মেসি-রোনালদোর ছায়ায়। ঠিক যেমনটা ঘটেছে টেনিসে নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে। রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালের বিপুল জনপ্রিয়তার মাঝে থেকেও সাফল্যের দিক থেকে সবার ওপরে উঠে এসেছেন সার্বিয়ান তারকা।
লেভানদোভস্কি ও জোকোভিচ দুজনও আবার বন্ধুও। শুধু বন্ধু নন, দুজনের মধ্যে মিল রয়েছে একাধিক বিষয়ে। তারা নিজেদের খেলায় দুই মহাতারকার পাশে থেকে মঞ্চ ভাগ করেছেন, আবার বয়স ৩৭ ও ৩৮ হয়েও এখনো সর্বোচ্চ স্তরে খেলে যাচ্ছেন।
বিশ্লেষক ও ভক্তরা মনে করেন, লেভানদোভস্কি ও জোকোভিচ যদি অন্য কোনো যুগে খেলতেন তবে আরও বেশি সাফল্য পেতেন। তবে লেভানদোভস্কি বলেন, তিনি আর জোকোভিচ দুজনেই বিষয়টি ‘ভিন্নভাবে দেখেন’।
সম্প্রতি লেভানদোভস্কি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
আমরা (জোকোভিচ) বন্ধু, মাঝে মাঝে দেখা হয়। সে খুবই মজার মানুষ এবং আমরা যোগাযোগ রাখি। এখনো বয়সে এতটা এগিয়ে গিয়েও জোকোভিচ শীর্ষ পর্যায়ে খেলছে, আর সেখানে পৌঁছাতে ও থাকতে সে অবিশ্বাস্য রকম পরিশ্রম করে।
মেসি-রোনালদোর সঙ্গে একই যুগে না খেললে, আরও বেশি কিছু অর্জন করা যেত বললেন লেভানদোভস্কি,
আমি রোনালদো আর মেসির সময়ে খেলেছি। সব সময়ই বলা যায়, গত ১৫ বছরে তারা না থাকলে হয়তো আমি আরও বেশি জিততাম। আমি বিষয়টা অন্যভাবে দেখি, আর আমার মনে হয় জোকোভিচও একইভাবে দেখে। আমার ফুটবলজীবন তাদের সঙ্গে কাটানো মানে হলো—আমি আসলে আরও বেশি অর্জন করেছি।
একটি পুরস্কার ছিল যেটি লেভানদোভস্কি রোনালদো ও মেসিকে পেছনে ফেলে জিততে পারতেন—২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর। সে মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখকে ট্রেবল জেতাতে (চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাসহ) তিনি করেছিলেন ৫৫ গোল।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সেই বছর ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়নি। ফলে তিনি বঞ্চিত হন এমন একটি পুরস্কার থেকে, যা অনেকের মতে তার হাতেই উঠতে পারত। সে প্রসঙ্গে পোলিশ স্ট্রাইকার বলেন, ‘ব্যালন ডি’অর ছাড়া জীবনে সব জিতেছি। আমি বিশ্বাস করি, এটি জিততে পারতাম, কিন্তু আমি সেটা পরিবর্তন করতে পারি না। এই ট্রফি থাকলে আমি আলাদা ধরনের ফুটবলার বা মানুষ হতাম—এমন কোনো অনুভূতি আমার নেই।’
ফুটবলে রাজনীতি আছে সে ব্যাপারেও কথা বললেন লেভানদোভস্কি,
ফুটবলের চারপাশে অনেক কিছু আছে, কখনো কখনো রাজনীতিও থাকে—আমি বুঝি কীভাবে কাজ করে। আমি বলব না- না, আমি আর চাই না। আমি এমন মানুষ নই। কিন্তু আমি এটার স্বপ্নও দেখি না। এটা নয় যে ব্যালন ডি’অর নিয়ে আমি ঘুমোতে পারি না।
গতকাল বার্সেলোনা জার্সিতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বদলি নেমে জোড়া গোল করেছেন লেভানদোভস্কি।
‘কত পথ পাড়ি দিতে হবে একজন মানুষকে, যতক্ষণ তাকে মানুষ বলা হবে?” বব ডিলানের খুবই বিখ্যাত একটি গানের প্রথম দুটি লাইন। এই গানের প্রথম অংশের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোথায় জানি মিল পাওয়া যায়। চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংলিশ ক্লাবটিকে আর কত কণ্টকময় পথ পাড়ি দিতে হবে? অন্ধকার টানেলও তো একসময় আলো মুখ দেখে, আর কত বাজে সময় পার করার পর সুদিন ফিরবে ইউরোপের বনেদি এই ক্লাবের?
মৌসুম আসে মৌসুম যায়, ডাগ-আউটে একের পর এক কোচের পা পড়ে। ইউনাইটেডের সুসময়ই শুধু ফিরে না। ম্যান ইউর কিংবদন্তি ওয়েইন রুনি ইংলিশ ক্লাবটিকে নিয়ে আপাতত কোনো আশাও দেখছেন না। ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ রুবেন আমোরিমের অধীনে ২০বারের লিগ চ্যাম্পিয়নদের আরো অধঃপতনই হয়েছে বলেই মনে করেন সাবেক এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
চাকরি হারানোর পরোয়া নেই, নিজেকে বদলাবেন না ইউনাইটেড কোচ |
![]() |
ম্যান ইউর ট্র্যাজেডির সবশেষ সংযোজন ‘ম্যানচেস্টার ডার্বিতে’ বড় হার। পেপ গার্দিওলার সিটির বিপক্ষে আমোরিমের দল হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। গত মৌসুম থেকে ধুকতে থাকা সিটিজেনরাও রেড ডেভিলদের পেয়ে যেন ছন্দ ফিরে পায়।
নিজের সাবেক ক্লাব নিয়ে ‘দ্য ওয়েইন রুনি শো’-এর সবশেষ এপিসোডে কথা বলেন রুনি। ম্যান ইউর কোচ আমোরিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছর যখন টেন হাগকে বরখাস্ত করা হলো এবং রুবেন আসলেন, তখন আমরা শুনছিলাম তারা কিভাবে খেলবে, এবং এটি পরিবর্তন হবে। আমি মনে করি, যদি ম্যানেজার নিজের সঙ্গে সৎ হন, পরিস্থিতি আরও খারাপই হয়েছে।’
গত বছরের নভেম্বরে এরিক টেন হাগের স্থলে আমোরিমকে নিয়োগ দেয় ম্যান ইউ। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউনাইটেড লিগে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বেরে শেষ করে। ১৯৮৯–৯০ মৌসুমের পর যা ক্লাবটির সর্বনিম্ন অবস্থান। পর্তূগিজ কোচের অধীনে ১০ মাসেরও বেশি সময় চলে গেলেও ইউনাইটেড এখনো উন্নতির মুখ দেখেনি।
রুনিরও কণ্ঠে শোনা যায় সেই আক্ষেপ, ‘আমি যতটা সম্ভব ম্যানেজার এবং খেলোয়াড়দের প্রতি সহযোগিতামূলক ও ইতিবাচক থাকতে চাই। কিন্তু এখানে বসে এটা বলা খুব কঠিন যে আমরা উন্নতি দেখছি, বা অন্তত কিছু দেখছি যা অল্প সময়ে ফলাফল আনবে। আমরা এ ধরনের কিছুই দেখছি না।’
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন কে |
![]() |
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দর্শকদের স্টেডিয়াম ত্যাগ করতে দেখে চরম হতাশ হয়েছেন রুনি, ‘ কান পাতলে আপনি শুনতে পাবেন সমর্থকরা আমোরিমের নাম ধরে গান গাইছিল, কিন্তু আমার কাছে আরও শক্তিশালী ছবি ছিল এই যে ইউনাইটেডের সমর্থকেরা খেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। আপনি জানেন যে, তখনই বোঝা যাচ্ছিল খেলা শেষ। আর আমি মনে করি তারা মাঠে যা দেখছিল তাতে ভীষণ হতাশই হয়েছিল।’
এরপর দলের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে উদ্মেগ প্রকাশ করেন ইউনাইটেডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা, ‘কোথায় সেই ধরণ বা কাঠামো ? আমরা আসলে এমন কিছু কি দেখছি যা ভবিষ্যতে দলকে উন্নতির পথে নিতে পারে?
শিরোনামে আবারও লিওনেল মেসি, তবে এবার গোলের জন্য নয়! আলোচনায় তাঁর এক দুর্লভ রুকি কার্ড, যেন সময়ের বুক থেকে উঠে আসা এক টুকরো ইতিহাস! এ কার্ডটি সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে রেকর্ড মূল্যে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।
বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসি আবারও শিরোনামে, তবে এবার খেলার মাঠ নয়, বরং তাঁর এক বিরল সংগ্রহযোগ্য কার্ড ঘিরে। সম্প্রতি, তাঁর একটি রুকি কার্ড রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে ১৫ লাখ মার্কিন ডলারে (প্রায় ১৬ কোটি টাকা)!
এই কার্ডটি ২০০৪-০৫ মৌসুমে প্রকাশিত হয়েছিল স্পেনের বিখ্যাত কার্ড প্রস্তুতকারক পানিনি মেগা ক্র্যাকস সিরিজে। এটি ছিল মেসির প্রথম অফিশিয়াল ট্রেডিং কার্ড, তাঁর বার্সেলোনার হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন কে |
![]() |
কার্ডটি ছিল একেবারে নিখুঁত অবস্থায়। পেশাদার স্পোর্টস অথেনটিকেটর (পিএসএ) নামক আন্তর্জাতিক গ্রেডিং সংস্থা এটিকে দিয়েছে সর্বোচ্চ জেম-মিন্ট ১০ গ্রেডিং, যা খুবই বিরল।
এই দামে বিক্রির মাধ্যমে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামী ফুটবল কার্ড হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এর আগে সবচেয়ে দামী ফুটবল কার্ড ছিল পেলের ১৯৫৮ সালের রুকি কার্ড, যা বিক্রি হয়েছিল ১৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারে।
এই দুর্লভ কার্ডটির বিক্রয় সম্পন্ন করেছে একটি নতুন উচ্চমূল্যের সংগ্রহযোগ্য কার্ড বিপণন নেটওয়ার্ক ফ্যানাটিকস কালেক্ট। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা ১০ হাজার ডলার বা তার বেশি মূল্যের সংগ্রহযোগ্য জিনিসের প্রাইভেট লেনদেনের ব্যবস্থা করে। কার্ডটির বিক্রেতার পক্ষে কাজ করেছে অ্যাকুইর নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যারা দামী সংগ্রহযোগ্য দ্রব্য কেনাবেচায় বিশেষজ্ঞ।
পিএসএর তথ্য অনুযায়ী, মেসির কার্ডের মোট ৮৩৮টি কপি এখন পর্যন্ত গ্রেড করা হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ২০টি পেয়েছে জেম-মিন্ট ১০ রেটিং। অর্থাৎ এমন নিখুঁত অবস্থায় থাকা কার্ড অত্যন্ত দুর্লভ যা এর মূল্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই কার্ডটি পেয়েছে মাইক বেকার অথেনটিকেটেড ডায়মন্ড সার্টিফিকেশন যা সংগ্রাহকদের কাছে এক ধরনের ‘উচ্চতম মানের’ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।
আরও পড়ুন
তিন জোড়ায় ভ্যালেন্সিয়ার জালে হাফ-ডজন গোল বার্সার |
![]() |
রুকি কার্ড কী? রুকি কার্ড হচ্ছে কোনো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারের প্রথম অফিশিয়াল ও স্বীকৃত ট্রেডিং কার্ড, যা তাঁর পেশাদার খেলার শুরুর মৌসুমে প্রকাশিত হয়। মেসির এই কার্ডটি ২০০৪ সালে বার্সেলোনার হয়ে তাঁর অভিষেক মৌসুমে প্রকাশিত হয়েছিল, যা এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
এ ধরনের রুকি কার্ড শুধুই একটি ছবির টুকরো নয় এটি একজন কিংবদন্তির সূচনার দলিল। আর যখন সেটি হয় নিখুঁত অবস্থায়, তখন তা হয়ে ওঠে এক অসাধারণ সংগ্রহযোগ্য সম্পদ, যার মূল্য কেবল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তেই থাকে।
চার ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র, পরাজয় বাকি দুইটিতে- গত মৌসুমের বাজে পারফরম্যান্সের ধারাতেই চলছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন আসরেও বদলায়নি অবস্থা। তবু খেলার ধরন বদলাবেন না দলের কোচ রুবেন আমোরিম। তাতে চাকরি চলে গেলেও সমস্যা নেই তার।
ম্যানচেস্টার ডার্বিতে রোববার রাতে সিটির মাঠে খেলতে গিয়ে ৩-০ গোলে উড়ে গেছে ইউনাইটেড। চার ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪ নম্বরে অবস্থান করছে তারা। নতুন মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের তিনটিই হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
প্রায় ২৩ বছর আগে সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম চার ম্যাচে এত কম পয়েন্ট ছিল ইউনাইটেডের। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের কোচিংয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট পেয়েছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দল।
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন কে |
![]() |
গত নভেম্বরে ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবশ্য খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখেননি আমোরিম। এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা ১৬ ম্যাচে ৮টিই হেরেছে তার দল। মাত্র ৩ জয় ও ৫ ড্রয়ে পেয়েছে ১৪ পয়েন্ট।
ডার্বি ম্যাচে হারের পর তাই আমোরিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, একের পর এক হতাশায় নিজের খেলার ধরন বদলাবেন কিনা তিনি? উত্তরে নিজ থেকেই চাকরি হারানোর প্রসঙ্গ আনেন ইউনাইটেড কোচ।
“দেখুন আমি এটি জানি (ইউনাইটেডের পারফরম্যান্স আশানুরুপ নয়) ও মানি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এমন রেকর্ড থাকা উচিত নয়। তবে গত তিন মাসে এমন অনেক কিছু হয়েছে, যা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নেই। তবে আমি এটি মেনে নিচ্ছি।”
“তবে আমি বদলাব না। যখন নিজের দর্শন বদলাতে চাইব, নিজেই বদলে যাব। যদি সেটি না হয়, আপনার (আমাকে চাকরিচ্যুত করে) নতুন কাউকে আনতে হবে। হেরে যাওয়া ম্যাচের ব্যাপারে আমরা কথা বলব। তবে আমি আমার মতোই খেলব। নিজে বদলাতে না চাওয়া পর্যন্ত একইভাবে খেলব।”