
দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার অপেক্ষা বেড়ে গেল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। হাঁটুর চোটের সামনের বিগ ব্যাশ লিগ থেকে ছিটকে গেলেন ভারতের সাবেক তারকা অফ স্পিনার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মঙ্গলবার অশ্বিন নিজেই জানিয়েছেন এই খবর। চেন্নাইয়ে বিগ ব্যাশের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়েই হাঁটুর চোটে পড়েছেন ৩৯ বছর বয়সী ভারতীয় ক্রিকেটার।
চোট থেকে সেরে উঠতে এরই মধ্যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন অশ্বিন। যে কারণে আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিগ ব্যাশ খেলতে পারবেন না তিনি।
আরও পড়ুন
| গুগলির পর এখন ফ্লিপার-স্লাইডার শিখছেন রিশাদ |
|
গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ভারতের তারকা স্পিনার। গত আগস্টে আইপিএল থেকেও অবসর নিয়ে নেন অশ্বিন।
পরে প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার জন্য সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করেন অশ্বিন। এখন সেই আশা পূরণ না হওয়ায় ব্যথিত তিনি।
“সিডনি থান্ডারের অংশ হয়ে আপনাদের (অস্ট্রেলিয়ার দর্শক) সামনে খেলার জন্য সত্যিই রোমাঞ্চিত ছিলাম। আপাতত পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলবে। যেন আরও শক্তভাবে ফিরে আসতে পারি।”
“আমি সবগুলো খেলাই দেখব। নারী ও পুরুষ- উভয় দলের জন্যই গলা ফাটাব। যদি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ঠিক থাকে ও চিকিৎসকরা সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে আমি অস্ট্রেলিয়া গিয়ে হেলো বলে আসতে পারি। তবে এটি কোনো প্রতিশ্রুতি নয়। আমার চাওয়া শুধু।”
আরও পড়ুন
| রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ৩২ বছরের জিতেশের সঙ্গে ১৪ বছরের সূর্যবংশী |
|
অশ্বিনের ছিটকে যাওয়া বিগ ব্যাশের জন্যও বড় ধাক্কার। থান্ডারের হয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে খেলার কথা ছিল তার। যেখানে স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বাবর আজমের মতো বড় তারকাদের বিপক্ষে বোলিং করতে পারতেন অশ্বিন।
অশ্বিন ছিটকে যাওয়ায় এখন বদলি খেলোয়াড় দলে নিতে পারবে থান্ডার। তবে তাদের স্পিন বিভাগে ক্রিস গ্রিন, তানভির সাঙ্ঘা, শাদাব খান ও টম অ্যান্ড্রুসের মতো বোলাররা আছে। তাই হয়তো নতুন কাউকে নাও নিতে পারে তারা।
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৪৮ পিএম

মাদকাসক্তির কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস। তাঁর সঙ্গে নতুন করে আর চুক্তি নবায়ন করবে না দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। মাদকাসক্তির বিষয়টি ৩৯ বছর বয়সি উইলিয়ামস নিজেই স্বীকার করেছেন।
আফ্রিকা অঞ্চলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হঠাৎ দল থেকে সরে দাঁড়ান উইলিয়ামস। পরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের তদন্তে উঠে আসে মাদকে আসক্তির কারণেই তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। বর্তমানে পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন উইলিয়ামস।
আজ এক এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে,
‘সব চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব আশা করে বোর্ড। শন উইলিয়ামস পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়ায় প্রশংসা করার পাশাপাশি মাদকের সঙ্গে জড়ানোয় তাঁর পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতার প্রশ্ন তোলে।’
দুই দশকের বেশি সময় ধরে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলছেন উইলিয়ামস। দেশের জার্সিতে সব ফরম্যাট মিলিয়ে খেলেছেন ২৭৩ ম্যাচ। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে করেছেন ৮৯৬৮ রান। এর মধ্যে ওয়ানডেতে আছে ৫ হাজার ২১৭ রান, গড় ৩৭.৫৩। ৮ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি আছে ৩৭টি।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে উইলিয়ামসের অবদানকে স্বরণ করে দেশটির বোর্ড জানায়,
‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে শন উইলিয়ামসের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থ ভবিষ্যৎ কামনা করছে বোর্ড।’

এক বছর প্রায় হতে চলল- জাহানারা আলম বাংলাদেশ দলের বাইরে। সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সিলেটে গত বছরের ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তার আগেও কয়েক বছর ধরে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। অবশ্য এবারের মতো লম্বা বিরতি কখনো ছিল না।
সব মিলিয়ে আক্ষেপ নিয়েই যেন জাহানারা এখন থিতু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে এক জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন- জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার বিভিন্ন কারণ। তীর্যক মন্তব্য ও অভিযোগ করেছেন নির্বাচক, অধিনায়ক, স্টাফদের নিয়ে।
সাক্ষৎকারে দেওয়া জাহানারার কথাগুলো দৃষ্টিগোচর হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি)। তারা অবশ্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে এ সব অভিযোগ। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি এর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি নারী ক্রিকেট দলের সাবেক এক সদস্যের সংবাদমাধ্যমে করা মন্তব্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নজর এসেছে। ওই সাবেক খেলোয়াড় বর্তমানে নারী দলের অধিনায়ক, খেলোয়াড়, স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন।
বিসিবি এই অভিযোগগুলো কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বোর্ডের বক্তব্য, এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন, কল্পিত এবং সত্যতার কোনো অংশে মিল নেই। বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নারী দল যখন আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসনীয় অগ্রগতি এবং একতার পরিচয় দিচ্ছে, তখন এমন হানিকর মন্তব্য করা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ক্রিকেট বোর্ডের মতে, এই মন্তব্যগুলো সময়োপযোগী নয়, সুপরিকল্পিত এবং বোঝা যায় যে এর উদ্দেশ্য নারী দলের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ক্ষুণ্ন করা। বিসিবি উল্লেখ করেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমে যে ব্যক্তি অংশগ্রহণ করছে না, তিনি জনসমক্ষে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া অবাঞ্চিত এবং দুঃখজনক।
বিসিবি স্পষ্ট করতে চায়, নারী জাতীয় দলের নেতৃত্ব, খেলোয়াড় ও ব্যবস্থাপনায় বোর্ডের পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। বোর্ড কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি যা এই দাবিগুলোর সমর্থন করে। দল ও এর কর্মীদের পেছনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।
বিসিবি স্পষ্ট করেছে, তারা নারী জাতীয় দলের নেতৃত্ব, খেলোয়াড় এবং ম্যানেজমেন্টের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রাখে। এখন পর্যন্ত জাহানারার করা অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং বোর্ড দৃঢ়ভাবে দলের পক্ষেই রয়েছে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৪ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে জায়গা হয়নি সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে দারুণ বোলিং করা নাঈম হাসানের।
নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন স্কোয়াডে স্পিন বিভাগে আছেন ৩ জন। বিপরীতে পেস বিভাগে রাখা হয়েছে ৪ জনকে।
শ্রীলঙ্কা সফরের ১৬ জনের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়, মাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও নাঈম হাসান। স্কোয়াডে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে থাকা তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
অথচ লঙ্কানদের বিপক্ষে ড্র করা গল টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন নাঈম। প্রথমবার দেশের বাইরে বোলিং করার সুযোগ পেয়ে প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট নেন তিনি। পরের ম্যাচেও একমাত্র ইনিংসে তার শিকার ৩ উইকেট।
সব মিলিয়ে ৩ ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন অফ স্পিনার নাঈম। কিন্তু ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হলো না তাকে। স্পিন বিভাগে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হাসান মুরাদ।
পেস বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা।
সিলেটে আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে চলে আসবে আইরিশরা। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। সব ঠিক থাকলে সেটি হবে মুশফিকের ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট।
এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ওই সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, জাকের আলি অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, হাসান মুরাদ।

পরপর দুই ম্যাচে নব্বই পেরিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারলেন না জিসান আলম। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের মাত্র ৬ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করা হয়নি তরুণ ওপেনারের। তবে অন্য তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন সালমান হোসেন ইমন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ম্যাচে শেষ দিনের শুরুতে সেঞ্চুরির আনন্দে মাতেন সিলেটের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। পরে একই সম্ভাবনা জাগান ঢাকা বিভাগের ওপেনার জিসান আলম।
কিন্তু নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৯৪ রানে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান জিসান। এর আগে ৯৩ রানে অবশ্য কাভারে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। ১২৫ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন মারকুটে এই ব্যাটার।
এর আগে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭১ ও দ্বিতীয়বারে ৯৭ রান করেন জিসান।
জিসানের সেঞ্চুরি মিসের ম্যাচে জিততে পারেনি কোনো দলই। ঢাকার ৩১০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে সিলেট করে ২৯০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। পরে সিলেট ৪ ওভার খেলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
কক্সবাজারের দুই মাঠে ড্রই ছিল অনুমেয়। শেষ দিনে তবু ম্যাচ জমানোর চেষ্টা করে বরিশাল ও চট্টগ্রাম।প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের ৩৫৮ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ২৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল। পরে চট্টগ্রাম তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ছেড়ে দেয় বিনা উইকেটে ৩৫ রানে।
বরিশালের সামনে ম্যাচ জিততে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৫ রানের। কিন্তু ৯ ওভার পর আলোকস্বল্পতায় আর খেলা সম্ভব হয়নি। তাই নিষ্ফলা থাকে ম্যাচ।
প্রথম ইনিংসে বরিশালের হয়ে ১২ চারে ২৪২ বলে ১২০ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন সালমান।
কক্সবাজারের অন্য মাঠে ময়মনসিংহের ৫৫৫ রানের জবাবে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। তাদের ফলো-অন করায় ময়মনসিংহ। দ্বিতীয় ইনিংসে আকবর আলির দল ২ উইকেটে ১১২ রান করার পর ড্র হয়ে যায় ম্যাচ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে শুরু বিশ্বকাপ যাত্রা। বাকি ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের নেই আর কোনো জয়। এর বড় কারণ ফিল্ডিং ব্যর্থতা। সেটি এতটাই প্রকট যে, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ক্যাচ ধরার চেয়ে বেশি ছেড়ে দিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হওয়া বিশ্বকাপ শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিসংখ্যানগত নানান দিক বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। যেখানে দেখা গেছে, ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে বাজে অবস্থা বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপজুড়ে ৭ ম্যাচে ১২টি ক্যাচ ধরেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। কিন্তু এর বিপরীতে তারা ছেড়েছেন মোট ১৫টি ক্যাচ। অর্থাৎ ক্যাচ ধরার এফিসিয়েন্সি ৪৪.৪ শতাংশ।
ক্যাচ মিসের বড় মাশুল বাংলাদেশকে দিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন ২৩২ রান করে প্রোটিয়াদের মাত্র ৭৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর একে একে অন্তত ৪টি ক্যাচ ছেড়ে ম্যাচটিই হেরে যায় তারা।
এর বাইরে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও বেশ কিছু ক্যাচ ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পারদর্শিতা দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। মোট ৩৯টি ক্যাচের মধ্যে ৩০টিই লুফে নিয়েছে তারা। হাত থেকে পড়েছে ৯টি ক্যাচ। তাদের ক্যাচ ধরা এফিসিয়েন্সি ৭৬.৯ শতাংশ।
এছাড়া নিউ জিল্যান্ড (৭৫ শতাংশ), পাকিস্তান (৭৩.১ শতাংশ) ও শ্রীলঙ্কা (৭২.৭ শতাংশ) বাকি দলগুলোর চেয়ে ক্যাচ ধরায় বেশি পারদর্শিতা দেখিয়েছে।
টুর্নামেন্টে অবশ্য রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ফিল্ডিং দল হিসেবে ৫টি রিভিউ নেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। এর মাত্র ১টিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। অর্থাৎ রিভিউয়ে সাফল্যের হার ৮০ শতাংশ।
বিশ্বকাপের আর কোনো ফিল্ডিং দলের রিভিউ নিয়ে ৪৫ শতাংশের বেশি সাফল্য নেই।