৪ নভেম্বর ২০২৫, ২:৫৮ পিএম

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তেমন গুগলি করতে পারতেন না রিশাদ হোসেন। তবে ধীরে ধীরে এখন লেগ স্পিনের এই শিল্প রপ্ত করেছেন বাংলাদেশের তরুণ তারকা। স্পিনিং কোচ মুশতাক আহমেদের কাছে তিনি পাঠ নিচ্ছেন লেগ স্পিনের আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প- ফ্লিপার ও স্লাইডার বল করার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে বেশ কয়েকটি গুগলি ডেলিভারি করেছেন রিশাদ। এর আগে এশিয়া কাপেও সফলভাবে গুগলির ব্যবহার করেছেন তরুণ এই লেগ স্পিনার। সেই ধারাবাহিকতায় নিজের ভাণ্ডারে আরও অস্ত্র যোগ করছেন রিশাদ।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে সোমবার ও মঙ্গলবার হয়েছে দুই দিনের বিশেষ রিস্ট স্পিন ক্যাম্প। গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কোচ শাহিদ মেহমুদের সঙ্গে স্থানীয় লেগ স্পিনার ও বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করেন মুশতাক।
আরও পড়ুন
| রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ৩২ বছরের জিতেশের সঙ্গে ১৪ বছরের সূর্যবংশী |
|
ক্যাম্প শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে পাকিস্তানি এই কোচ জানান, গুগলি শিখে ফেলার পর এখন স্লাইডার ও ফ্লিপার শিখতে চেষ্টা করছেন রিশাদ।
“সে গুগলি শিখছে। গুগলি একটা শিল্প। সে এখন গুগলি, লেগ ব্রেক, ফ্লিপার- সবই শিখছে। পরের ধাপে আসবে ফ্লিপার আর স্লাইডার। লেগ ব্রেক, গুগলি শিখে ফেলেছে। পরের ধাপ হলো টপ স্পিনার, ফ্লিপার ও স্লাইডার।”
“এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে রিশাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বেসিক ঠিক রাখা। যখন বেসিক ও প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে, ইনশাআল্লাহ, সে পাঁচ-ছয় ধরনের বলই করতে পারবে।”
দুই দিনের এই ক্যাম্পে অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাশাপাশি স্থানীয় অনেক রিস্ট স্পিনার যোগ দিয়েছেন। তাদের নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করেন শাহিদ মেহমুদ, মুশতাকসহ গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কোচরা।
মুশতাকের মতে, ব্যাটে-বলে সমান তালে পারফর্ম করা রিশাদ এখন এসব উঠতি লেগ স্পিনারদের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন
| শততম টেস্টের আগে মুশফিকের দুর্দান্ত শতক |
|
“আমি মনে করি রিশাদ (অনুপ্রেরণা)। কারণ সে এখন খুব ভালো বল করছে। বাংলাদেশের হয়ে অনেক উইকেট নিচ্ছে। যে কোনো নায়ক যখন জাতীয় দলে খেলে, উইকেট নেয়, সবাই তার মতো হতে চায়।”
“যেমন শেষ ম্যাচে দেখেছেন, রিশাদ গুগলি ডেলিভারিতে উইকেট নিয়েছে। এখন সবাই রিশাদের মতো হতে চায়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- সব দিকেই। এই ছেলেদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য খুবই উজ্জ্বল, ইনশাআল্লাহ।”
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম

পরপর দুই ম্যাচে নব্বই পেরিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারলেন না জিসান আলম। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের মাত্র ৬ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করা হয়নি তরুণ ওপেনারের। তবে অন্য তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন সালমান হোসেন ইমন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ম্যাচে শেষ দিনের শুরুতে সেঞ্চুরির আনন্দে মাতেন সিলেটের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। পরে একই সম্ভাবনা জাগান ঢাকা বিভাগের ওপেনার জিসান আলম।
কিন্তু নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৯৪ রানে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান জিসান। এর আগে ৯৩ রানে অবশ্য কাভারে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। ১২৫ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন মারকুটে এই ব্যাটার।
এর আগে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭১ ও দ্বিতীয়বারে ৯৭ রান করেন জিসান।
জিসানের সেঞ্চুরি মিসের ম্যাচে জিততে পারেনি কোনো দলই। ঢাকার ৩১০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে সিলেট করে ২৯০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। পরে সিলেট ৪ ওভার খেলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
কক্সবাজারের দুই মাঠে ড্রই ছিল অনুমেয়। শেষ দিনে তবু ম্যাচ জমানোর চেষ্টা করে বরিশাল ও চট্টগ্রাম।প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের ৩৫৮ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ২৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল। পরে চট্টগ্রাম তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ছেড়ে দেয় বিনা উইকেটে ৩৫ রানে।
বরিশালের সামনে ম্যাচ জিততে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৫ রানের। কিন্তু ৯ ওভার পর আলোকস্বল্পতায় আর খেলা সম্ভব হয়নি। তাই নিষ্ফলা থাকে ম্যাচ।
প্রথম ইনিংসে বরিশালের হয়ে ১২ চারে ২৪২ বলে ১২০ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন সালমান।
কক্সবাজারের অন্য মাঠে ময়মনসিংহের ৫৫৫ রানের জবাবে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। তাদের ফলো-অন করায় ময়মনসিংহ। দ্বিতীয় ইনিংসে আকবর আলির দল ২ উইকেটে ১১২ রান করার পর ড্র হয়ে যায় ম্যাচ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে শুরু বিশ্বকাপ যাত্রা। বাকি ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের নেই আর কোনো জয়। এর বড় কারণ ফিল্ডিং ব্যর্থতা। সেটি এতটাই প্রকট যে, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ক্যাচ ধরার চেয়ে বেশি ছেড়ে দিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হওয়া বিশ্বকাপ শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিসংখ্যানগত নানান দিক বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। যেখানে দেখা গেছে, ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে বাজে অবস্থা বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপজুড়ে ৭ ম্যাচে ১২টি ক্যাচ ধরেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। কিন্তু এর বিপরীতে তারা ছেড়েছেন মোট ১৫টি ক্যাচ। অর্থাৎ ক্যাচ ধরার এফিসিয়েন্সি ৪৪.৪ শতাংশ।
ক্যাচ মিসের বড় মাশুল বাংলাদেশকে দিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন ২৩২ রান করে প্রোটিয়াদের মাত্র ৭৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর একে একে অন্তত ৪টি ক্যাচ ছেড়ে ম্যাচটিই হেরে যায় তারা।
এর বাইরে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও বেশ কিছু ক্যাচ ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পারদর্শিতা দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। মোট ৩৯টি ক্যাচের মধ্যে ৩০টিই লুফে নিয়েছে তারা। হাত থেকে পড়েছে ৯টি ক্যাচ। তাদের ক্যাচ ধরা এফিসিয়েন্সি ৭৬.৯ শতাংশ।
এছাড়া নিউ জিল্যান্ড (৭৫ শতাংশ), পাকিস্তান (৭৩.১ শতাংশ) ও শ্রীলঙ্কা (৭২.৭ শতাংশ) বাকি দলগুলোর চেয়ে ক্যাচ ধরায় বেশি পারদর্শিতা দেখিয়েছে।
টুর্নামেন্টে অবশ্য রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ফিল্ডিং দল হিসেবে ৫টি রিভিউ নেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। এর মাত্র ১টিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। অর্থাৎ রিভিউয়ে সাফল্যের হার ৮০ শতাংশ।
বিশ্বকাপের আর কোনো ফিল্ডিং দলের রিভিউ নিয়ে ৪৫ শতাংশের বেশি সাফল্য নেই।

ছেলেদের ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এবার মোট ৩০ ক্রিকেটার কেন্দ্রীয় চুক্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জন দুই বছরের, ১২ জন এক বছরের এবং ৪ জন ডেভেলপমেন্ট চুক্তিতে রয়েছেন।
চমক প্রথমবার এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন সনি বেকার, লিয়াম ডসন, সাকিব মাহমুদ, জেমি ওভারটন ও লুক উড। এডি জ্যাক, টম লওস ও মিচেল স্ট্যানলিকে প্রথমবার ডেভেলপমেন্ট চুক্তিতে রাখা হয়েছে।
অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেল আছেন দুই বছরের চুক্তিতে। ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার আগে ডেভেলপমেন্ট চুক্তিতে ছিলেন। উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পরই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। গত সেপ্টেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ড দলের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হওয়ার দারুণ রেকর্ডও গড়েন।
বেন স্টোকস আছেন দুই বছরের চুক্তিতে। স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, নিজেদের মাঠে ২০২৭ অ্যাশেজ সিরিজে খেলতে পারেন তিনি। চুক্তি নবায়ন হয়নি জনি বেয়ারস্টো, জ্যাক লিচ, লিয়াম লিভিংস্টোন, অলি স্টোন, রিস টপলি, ক্রিস ওকস ও জন টার্নারের।
ইংল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব-কি বলেছেন,
‘এই বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি তালিকা ইংল্যান্ড ক্রিকেটে প্রতিভার গভীরতা ও শক্তি প্রতিফলিত করে। দুই বছরের চুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে আমরা মাল্টি–ফরম্যাট খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড সুষ্ঠুভাবে ম্যানেজ করতে পারি, তাদের পারফরম্যান্সের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারি। এই কাঠামো আমাদের খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে সমর্থন দেয় এবং সব ফরম্যাটে শক্তিশালী দল গঠনে সহায়তা করে।’
(২০২৫-২৭) দুই বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রাপ্ত খেলোয়াড়েরা:
গাস অ্যাটকিনসন, জফরা আর্চার, জ্যাকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার, ব্রায়ডন কার্স, স্যাম কারান, বেন ডাকেট, উইল জ্যাকস, আদিল রাশিদ, জো রুট, জেমি স্মিথ, বেন স্টোকস, জশ টং।
(২০২৫-২৬) এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রাপ্ত খেলোয়াড়েরা:
রেহান আহমেদ, সনি বেকার, শোয়াইব বশির, জ্যাক ক্রাউলি, লিয়াম ডসন, সাকিব মাহমুদ*, জেমি ওভারটন, অলি পোপ, ম্যাথু পটস, ফিল সল্ট, মার্ক উড, লুক উড।
নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে:
সনি বেকার, লিয়াম ডসন, সাকিব মাহমুদ, জেমি ওভারটন ও লুক উড।
ডেভেলপমেন্ট চুক্তিতে:
জশ হুল, এডি জ্যাক, টম লওস, মিচেল স্ট্যানলি।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাতের এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে অংশগ্রহণের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আকবর আলির নেতৃত্বে খেলতে যাবে বাংলাদেশ 'এ' দল।
কাতারের দোহায় হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের জন্য তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে সাজানো হয়েছে দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আবু হায়দার রনি, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে নেওয়া হয়েছে দলে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্ভাবনার ছাপ রাখা জিসান আলম, হাবিবুরর রহমান সোহান, জাওয়াদ আবরার, এসএম মেহেরব হাসানও আছেন রাইজিং স্টার এই টুর্নামেন্টে।
দলের বড় চমক বলা যায় লেগ স্পিনার স্বাধীন ইসলাম। দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার তোফায়েল ইসলাম ও আব্দুল গাফফার সাকলাইনও যাবেন দলের সঙ্গে।
২০১৩ সাল থেকে চলতে থাকা ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের নামই এবার বদলে করা হয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ।
এই টুর্নামেন্টে এক সময় ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলানোর নিয়ম। যেখানে বেশি বয়সের কয়েকজন খেলতে পারতেন। তবে বয়সের বাধ্যবাধকতা এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো মূলত তাদের 'এ' দল পাঠায়। আর সহযোগী সদস্যরা খেলে জাতীয় দল নিয়ে।
আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে টুর্নামেন্ট। দ্বিতীয় দিন হংকং, চায়নার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। 'এ' গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। ১৭ তারিখ আফগানিস্তান ও ১৯ তারিখ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
'বি' গ্রুপের চার দল ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। দুই গ্রুপের সেরা দুই দলকে নিয়ে ২১ নভেম্বর হবে সেমি-ফাইনালের দুই ম্যাচ। আর ২৩ তারিখ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে এই টুর্নামেন্টের।
বাংলাদেশ 'এ' স্কোয়াড
আকবর আলি (অধিনায়ক), জিসান আলম, হাবিবুর রহমান সোহান, জাওয়াদ আবরার, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, রকিবুল হাসান, এসএম মেহেরব হাসান, আবু হায়দার রনি, তোফায়েল আহমেদ, স্বাধীন ইসলাম, রিপন মন্ডল, আব্দুল গাফফার সাকলাইন, মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ ব্যাটার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। সেই চোটেই তিনি ছিটকে গেলেন মঙ্গলবার শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজ থেকে। তার পরিবর্তে অবশ্য এখনও কোনো খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেনি প্রোটিয়ারা।
শনিবার লাহোরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে কাঁধে চোট পান ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটার। স্ক্যানে তার কাঁধের পেশিতে হালকা টান ধরা পরেছে। তবে এখনই দেশে ফিরছেন না ব্রেভিস। দলের সঙ্গে পাকিস্তানে থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন।
পাকিস্তান সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সব ম্যাচই খেলেছেন ব্রেভিস। ব্যাটে তেমন রান পাননি এই ডানহাতি ব্যাটার। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ছয় ইনিংস মিলিয়ে একবার পেরিয়েছেন পঞ্চাশ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারেও এখনও তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। ছয় ম্যাচে করেছেন ১১০ রান, সর্বোচ্চ ৪৯।
পাকিস্তানের সাথে টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করে প্রোটিয়ারা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। ফয়সালাবাদে আজ শুরু হয়েছে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হবে ৬ ও ৮ নভেম্বর।