১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:২২ পিএম

ডব্লিউডব্লিউইতে জন সিনার শেষ ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। রেসলিং অঙ্গনে বহুল আলোচিত এই লড়াইটি হবে শনিবার রাতের স্যাটারডে নাইটস মেইন ইভেন্টে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচ দিয়েই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন এই কিংবদন্তি রেসলার।
টিকিট বিক্রির চিত্রই বলে দিচ্ছে ম্যাচটির গুরুত্ব। রেসলটিক্সের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় প্রস্তুত করা ১৯১৭৬টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় সব বিক্রি হয়ে গেছে। বর্তমানে অবিক্রীত রয়েছে মাত্র পাঁচটি টিকিট, যা সবই মাঠঘেঁষা ফ্লোর সিট। এসব টিকিটের সর্বনিম্ন দাম রাখা হয়েছে প্রায় ১২৩০ ডলার।
আয়োজকেরা মনে করছেন, ম্যাচ শুরুর আগেই বাকি থাকা পাঁচটি টিকিটও বিক্রি হয়ে যাবে এবং অনুষ্ঠানটি পুরোপুরি হাউসফুল হবে।
শনিবারের এই মেইন ইভেন্টে জন সিনার প্রতিপক্ষ হবেন ‘দ্য লাস্ট টাইম ইজ নাউ’ টুর্নামেন্টের বিজয়ী গুন্থার। ‘নেভার সিন সেভেনটিন’ নামে পরিচিত জন সিনার জন্য এই ম্যাচটি শুধু একটি লড়াই নয়, বরং ডব্লিউডব্লিউইতে দীর্ঘ ও সফল ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়।
আরও পড়ুন
| রিংয়ের বাইরে জন সিনার আরেক রূপ |
|
এর আগে আয়োজকেরা জানিয়েছিলেন, সিনার শেষ ম্যাচের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা রাখা হবে না, যাতে তিনি নিজের ইচ্ছামতো সময় নিয়ে ম্যাচটি শেষ করতে পারেন। এতে করে গোল্ডবার্গের বিদায়ী ম্যাচের মতো কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যাবে বলেও জানানো হয়। এই ঘোষণায় শুরুতে দারুণ খুশি হয়েছিলেন ভক্তরা।
তবে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ায়, সিনার ম্যাচটি নাকি অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাখা হতে পারে। এতে অনেক সমর্থক হতাশা প্রকাশ করেন। কেউ কেউ আবার মন্তব্য করেন, এমন হলে অনুষ্ঠান শেষে আবারও জন সিনা দর্শকদের সামনে এসে বিদায়ী বক্তব্য দিতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত সেই গুঞ্জনে ইতি টানেন স্বয়ং জন সিনা। একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট করে জানান, তার শেষ ম্যাচটিই হবে অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ, অর্থাৎ মেইন ইভেন্ট। ফলে ভক্তদের উদ্বেগ কাটে এবং প্রত্যাশা আরও বেড়ে যায়।
সব মিলিয়ে, ডব্লিউডব্লিউইর ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত এই বিদায়ী ম্যাচ ঘিরে এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন জন সিনার অসংখ্য সমর্থক।
এটি হচ্ছে ডব্লিউডব্লিউই স্যাটারডে নাইটস মেইন ইভেন্ট। অনুষ্ঠানটি শুরু হবে শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
No posts available.
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ পিএম

বরিশালের ভোলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইনক্লুসিভ প্যারা স্পোর্টস টুর্নামেন্ট–২০২৫’। ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আজ রবিবার বাংলাদেশ হুইলচেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
ভোলা’স চিলড্রেন প্রতিবন্ধী স্কুলের সহযোগিতায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে প্রায় ৩০ জন শারীরিক, বুদ্ধি, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে।
টুর্নামেন্টে দাবা, রেস, ব্যাডমিন্টন ও ক্রিকেট—এই চারটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শারীরিক ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোররা। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে রেস ইভেন্টে। আর বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোররা অংশ নেয় ব্যাডমিন্টন ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়।
দাবা ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন মারুফ এবং রানারআপ হন সমির। ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন হন তানজিলা, রানারআপ সাথি। রেস ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন তৌহিদ, প্রথম রানারআপ নুসাইবা এবং দ্বিতীয় রানারআপ দ্বীন ইসলাম। ক্রিকেট ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় মেঘনা বাক-শ্রবণ ক্রিকেট দল এবং রানারআপ হয় ইলিশা বাক-শ্রবণ ক্রিকেট দল।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—ভোলা’স চিলড্রেন প্রতিবন্ধী স্কুলের সভাপতি মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, ট্রাস্টি সদস্য মো. আবু তাহের, পরিচালক মো. ইসমাইল, বাংলাদেশ হুইলচেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক পরিচালক মো. এনামুল হক, বরিশাল বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারী এবিএম আতাউর রহমান সোহেল ও ভোলা জেলা সমন্বয়কারী তানভীর হোসেন।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:০১ পিএম

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসের জ্যাভলিন থ্রো এবং ১০০ মিটার দৌড়ে একটি করে মোট দুটি স্বর্ণপদক জিতেছেন বাংলাদেশের চৈতি রাণী দেব। সাঁতারের ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে স্বর্ণপদক এবং ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ব্রোঞ্জ জয় করেছেন মো. শহীদুল্লাহ। মেয়েদের হুইলচেয়ার বাস্কেটবল টিম খেলায় ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রতিভাবান এই অ্যাথলেটদের অসাধারণ অর্জন তাঁদের দৃঢ় মনোবল, অধ্যবসায় ও অনন্য ক্রীড়া দক্ষতার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। চৈতি ও শহীদুল্লাহর সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত মাইলফলক নয়; এটি বাংলাদেশের প্যারা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন, যা দেশের সকল প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদের সম্ভাবনার উজ্জ্বল প্রতীক।
চৈতি ও শহীদুল্লাহর সাফল্য সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আরও শক্তিশালী সহযোগিতা ও সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। বাংলাদেশের প্যারা অলিম্পিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে বাড়তি অর্থায়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রীড়া কর্মসূচি, সহজপ্রাপ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং প্রতিবন্ধী অ্যাথলেটদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কাঠামো অত্যন্ত জরুরি। সম্মিলিত উদ্যোগই নিশ্চিত করতে পারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিশ্রুতিশীল অ্যাথলেটরা তাঁদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন।
দুবাই ২০২৫ এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে তাঁদের বিজয় বাংলাদেশের প্যারালিম্পিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রীড়া বিকাশে নতুন উদ্দীপনা সঞ্চার করবে এবং দেশের প্যারা অ্যাথলেটদের অসামান্য সক্ষমতাকে জাতির সামনে আরও উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করবে।
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:০৪ পিএম

২১ ডিসেম্বর মিশরের কায়রোতে ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডবল ফেডারেশনের (আইএইচএফ) কংগ্রেস। সেখানেই নির্ধারণ হবে আগামী চার বছরের নেতৃত্ব। আলি মোহাম্মদ ঈসা ইসহাকি মাঠের খেলা ছাড়েন ১৯৯৭ সালে। তবে এবার বিশ্ব হ্যান্ডবলকে নেতৃত্ব দিতে চান বাহরাইন ও আল আহলির সাবেক তারকা খেলোয়াড়। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশনের ভাইস প্রেসেডিন্টে ও বহরাইন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট তিনি। দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা এবার বিশ্ব হ্যান্ডবলে কাজে লাগানোর লক্ষ্য তাঁর। এশিয়ায় খেলাটি আরও জনপ্রিয় করা, অলিম্পিকে অবস্থান থিতু করা, নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের হ্যান্ডবলকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন আলি। টি স্পোর্টসকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের কথা জানিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা
টি স্পোর্টস: ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডবল ফেডারেশনের (আইএইচএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার পেছনে আপনার প্রধান প্রেরণা কী?
আলি ঈসা ইসহাকি: আমার প্রেরণার উৎস হলো এই দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের খেলাটি এখন একটি নির্ধারক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে—যে পর্যায়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও সম্মিলিত দৃঢ় সংকল্প প্রয়োজন। একসঙ্গে আমাদের হাতে রয়েছে হ্যান্ডবলকে আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ও সুযোগ-দুটোই।
আমি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এই পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে, হ্যান্ডবল ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে, এবং এই অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরও এগোতে হবে—ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে। সব মহাদেশে খেলাটির উন্নয়নের পথ শুরু হয় নির্বাহী কমিটির পর্যায়ে সক্রিয় প্রতিনিধিত্ব ও অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
টি স্পোর্টস: নির্বাচিত হলে প্রথম ছয় মাসে কোন তিনটি নীতিগত পরিবর্তন বা উদ্যোগকে আপনি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন?
আলি ঈসা: আমার প্রাথমিক অগ্রাধিকারগুলোর একটি আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক হ্যান্ডবল কমিউনিটি গড়ে তোলাকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে রয়েছে—উন্নয়নশীল ও স্বল্প আয়ের দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে উদ্ভাবনী অর্থায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, যাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে একটি যুব হ্যান্ডবল উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা। আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করে জাতীয় ফেডারেশনগুলোকে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ হল ও প্রতিযোগিতামূলক ভেন্যু নির্মাণে সহায়তা করা।
টি স্পোর্টস: বর্তমানে বৈশ্বিক পর্যায়ে হ্যান্ডবলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী বলে আপনি মনে করেন?
আলি ঈসা: সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হ্যান্ডবলকে বিশ্বের শীর্ষ দলীয় খেলাগুলোর মধ্যে তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া। বিশেষ করে বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলাটিকে আবারও মর্যাদা অর্জন করতে হবে এবং বৈশ্বিক পরিসর বৃদ্ধি, শক্তিশালী গণমাধ্যম উপস্থিতি ও অর্থনৈতিক আকর্ষণ বাড়ানোর মাধ্যমে এর বাজারমূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। খেলাটির সমর্থকভিত্তি সম্প্রসারণের জন্য এসব বিষয় অপরিহার্য।
টি স্পোর্টস: বিশ্বব্যাপী হ্যান্ডবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আপনাদের কৌশল কী হবে?
আলি ঈসা: আমাদের একটি বড় প্রকল্প রয়েছে, যার লক্ষ্য ফুটবলের মতো করে হ্যান্ডবলকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলোর কাতারে নিয়ে যাওয়া। পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ আমাদের হাতে আছে। আমাদের কৌশল হলো—খেলাটির বৈশ্বিক উপস্থিতি বিস্তৃত করা, উপস্থাপনাকে আধুনিক করা এবং বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এর সহজলভ্যতা বাড়ানো।
টি স্পোর্টস: এশিয়ার দলগুলোকে ইউরোপীয় দলগুলোর মতো প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে আইএইচএফ কী ভূমিকা রাখতে পারে?
আলি ঈসা: প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আইএইচএফ শুধু এশিয়াই নয়, সব মহাদেশের দলগুলোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর জন্য আইএইচএফ ও এশীয় ফেডারেশনগুলোর মধ্যে গভীর কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রয়োজন, যার সূচনা হতে হবে সঠিক তৃণমূল উন্নয়নের মাধ্যমে।
এর মধ্যে রয়েছে কোচ, রেফারি ও প্রশাসকদের জন্য কারিগরি ও লজিস্টিক সহায়তা, পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ও পেশাদার ভিত্তিতে আধুনিক খেলোয়াড় উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা। সর্বোপরি, সব সদস্য দেশের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন হ্যান্ডবল কোর্ট নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটিই প্রকৃত ও টেকসই উন্নয়নের সূচনা বিন্দু।
টি স্পোর্টস: এশিয়ায় নতুন প্রতিযোগিতা বা ক্লাব টুর্নামেন্ট চালুর বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
আলি ঈসা: এশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতাগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হবে, যাতে সীমিত কয়েকটি দেশের পরিবর্তে আরও বেশি দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
বিস্তৃত অংশগ্রহণ উৎসাহিত করতে আর্থিক প্রণোদনা চালু করা প্রয়োজন। প্রতিযোগিতার কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা অপরিহার্য, যাতে প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য তৈরি হয় এবং পুরো মহাদেশজুড়ে কারিগরি মান উন্নত হয়।
টি স্পোর্টস: হ্যান্ডবলের উন্নয়নে মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগ কীভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে আপনার?
আলি ঈসা: এশিয়ায় ক্রীড়া বিনিয়োগ সবচেয়ে সফল খাতগুলোর একটি, কারণ এই মহাদেশের রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা। আমাদের এমন একটি উর্বর পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে এই বিনিয়োগগুলো হ্যান্ডবলের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে আর্থিক শক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিতে রূপান্তর করা যায়—যা খেলাটির প্রতিটি স্তরে উপকার বয়ে আনবে।
টি স্পোর্টস: কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইন ও কুয়েতের শক্তিশালী হ্যান্ডবল কাঠামো এশিয়ার অন্য দেশগুলোর উন্নয়নে কীভাবে সহায়ক হতে পারে?
আলি ঈসা: সহায়তা দেওয়া যেতে পারে বিভিন্ন উপায়ে, যার মধ্যে রয়েছে—কোচ, রেফারি ও খেলোয়াড়দের মধ্যে কারিগরি সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য পেশাদার সুযোগ সম্প্রসারণ। উন্নয়নগত ব্যবধান কমাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান। নতুন প্রতিযোগিতা ও অংশীদারিত্ব সৃষ্টি, যাতে উদীয়মান দেশগুলো উন্নত উপসাগরীয় হ্যান্ডবলের অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হতে পারে
টি স্পোর্টস: মধ্যপ্রাচ্যে নতুন হ্যান্ডবল একাডেমি বা আইএইচএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা কি আপনার আছে?
আলি ঈসা: নিশ্চয়ই। বাহরাইন হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় হ্যান্ডবল একাডেমিগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে তুলেছি, এবং এই উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে আইএইচএফ-সংযুক্ত একাডেমি বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন অত্যন্ত জরুরি, কারণ এগুলো এশিয়াজুড়ে খেলাটির মান উন্নয়নে বড় অবদান রাখতে পারে।
টি স্পোর্টস: অলিম্পিক পর্যায়ে হ্যান্ডবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে নতুন কোন ফরম্যাট বা লিগ মডেল নিয়ে ভাবছেন?
আলি ঈসা: প্রথমত, হ্যান্ডবলের ছাতার নিচে সব সদস্য দেশ থেকে তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে অলিম্পিকে হ্যান্ডবলের উপস্থিতি কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে, অন্যান্য খেলায় সফল অনুশীলনগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আধুনিক প্রচার ও গণমাধ্যমের ব্যবহার, প্রতিযোগিতার কাঠামো উন্নয়ন এবং শক্তিশালী যুব উন্নয়ন পথ তৈরি করলে অলিম্পিকে খেলাটির অবস্থান ও বৈশ্বিক আকর্ষণ দুটোই বাড়বে।
টি স্পোর্টস: বাংলাদেশে হ্যান্ডবলের বর্তমান শক্তি ও দুর্বলতাগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আলি ঈসা: বাংলাদেশের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও ক্রীড়াসামর্থ্য-সম্পন্ন একটি দেশের খেলাটিতে আরও দৃশ্যমান উপস্থিতি না থাকা ন্যায্য নয়। বাংলাদেশের রয়েছে মানবসম্পদ ও হ্যান্ডবল উন্নয়নের সক্ষমতা, তবে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হতে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময় অপরিহার্য।
টি স্পোর্টস: আইএইচএফের কর্মসূচির সঙ্গে বাংলাদেশকে আরও কার্যকরভাবে যুক্ত করতে কী ধরনের কৌশল প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
আলি ঈসা: আইএইচএফের সঙ্গে সম্পৃক্ততা শুধু লজিস্টিক সহায়তায় সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। এতে আধুনিক উন্নয়ন ধারণাসম্পন্ন নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি ক্রীড়া নেতৃত্ব তৈরি করাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। তারপর জোর দিতে হবে যুব প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং বৈশ্বিক হ্যান্ডবল কাঠামোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সংযুক্তি নিশ্চিত করার দিকে। পাশাপাশি এসব উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যকর ও টেকসইভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা আইএইচএফের দায়িত্ব।
টি স্পোর্টস: যুব ও নারী হ্যান্ডবলের উন্নয়নে বাংলাদেশ কী ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে পারে?
আলি ঈসা: আইএইচএফের উচিত যুব ও নারী হ্যান্ডবলের জন্য বিশেষায়িত কোচ সরবরাহ করা এবং দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা। যথাযথ আর্থিক সহায়তা ও সঠিক কারিগরি কাঠামো থাকলে বাংলাদেশ তার যুব ও নারী দলগুলোর মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করতে পারবে।
টি স্পোর্টস: বাংলাদেশে অবকাঠামো, কোচিং ও রেফারি উন্নয়নের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি?
আলি ঈসা: গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে—সারা দেশে হ্যান্ডবল কোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি। সব বয়সের মানুষের জন্য খেলাটির সুযোগ সম্প্রসারণ। খেলোয়াড় ও অবকাঠামোর জন্য কারিগরি ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান। স্থানীয় দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত কোচিং ও রেফারিং কোর্স আয়োজন। এই পদক্ষেপগুলোই টেকসই অগ্রগতির ভিত্তি গড়ে তোলে।
টি স্পোর্টস: বাংলাদেশে হ্যান্ডবলের উন্নয়নে আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গীকার কী?
আলি ঈসা: আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খেলাটিতে বাংলাদেশকে তার ন্যায্য অবস্থানে পৌঁছে দিতে আমাদের হাতে থাকা সব সম্পদ কাজে লাগানো আমাদের দায়িত্ব।
প্রথম সুযোগেই আমি এই অসাধারণ দেশটি সফর করতে চাই—ক্রীড়া কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, উন্নয়ন চাহিদা মূল্যায়ন এবং সহযোগিতার পথ খুঁজে বের করার জন্য। হ্যান্ডবলকে জাতীয়ভাবে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি ও বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে কোনো দ্বিধা থাকবে না।

ডব্লিউডব্লিউই থেকে বিদায় নিয়েছেন জন সিনা। দুই দশকে অসংখ্য দারুণ সব মুহূর্ত উপহার দিয়ে রিংয়ে শেষবারের মতো নামলেন। তবে সেই শেষ ম্যাচটি যে এতটা অপ্রত্যাশিত হবে, তা ভক্তরাও হয়তো ভাবতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় স্যাটারডে নাইটস মেইন ইভেন্টে নিজের শেষ ম্যাচে রিংয়ে নামেন সিনা। প্রতিপক্ষ ছিলেন ‘দ্য লাস্ট টাইম ইজ নাউ’ বিজয়ী গুন্থার। শেষ ম্যাচে জন সিনাকে বিদায় জানাতে গ্যালারির আসন ছিল দর্শকে টাইটম্বুর। ফাঁকা ছিল না কোনো আসন।
সিনার শেষ লড়াই চলে ২৫ মিনিট ধরে। গুন্থারের বিপক্ষে ট্যাপ আউটে হার মানতে হয় শেষ পর্যন্ত, যা দেখে হতবাক হয়ে পড়ে পুরো অ্যারেনা। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনো ম্যাচে ট্যাপ আউট করলেন সিনা। অনেক ভক্ত ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পুরো সময় শান্ত ছিলেন সিনা নিজে।
ম্যাচটি শুরু হয়েছিল এক আবেগঘন পরিবেশে। রিংয়ের পাশে উপস্থিত ছিলেন সিনার ক্যারিয়ারের বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা—কার্ট অ্যাঙ্গেল, মার্ক হেনরি, রব ভ্যান ড্যাম, মিশেল ম্যাককুল ও ট্রিশ স্ট্রাটাস। দ্য রক ও কেইনের মতো কিংবদন্তিরাও ভিডিও বার্তায় শুভকামনা জানান সিনাকে।
গুন্থার আগে রিংয়ে প্রবেশ করলে দর্শকদের দুয়ো শুনতে হয় তাকে। পরে নিজের ঐতিহ্যবাহী থিম সংয়ে রিংয়ে নামেন ১৭ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জন সিনা। তখন করতালিতে ভরে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন
| রেসলিং থেকে আজ জন সিনার বিদায়, শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ কে |
|
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখান গুন্থার। মাঝপথে সিগনেচার ফিনিশিং মুভ অ্যাটিটিউড অ্যাডজাস্টমেন্ট দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সিনা। তবে বারবারই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গুন্থার। এক পর্যায়ে স্লিপার হোল্ডে ফেলে প্রায় অজ্ঞান করে দেন সিনাকে।
শেষদিকে আবারও এএ দিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন সিনা। দর্শকরাও চিৎকার করে সমর্থন দেন তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী স্লিপার হোল্ডে আটকে সিনাকে ট্যাপ আউট করান গুন্থার। ক্যারিয়ারের প্রথম ট্যাপ আউটে শেষ হয় জন সিনার শেষ ম্যাচ।
ম্যাচ শেষে রিংয়ে দাঁড়িয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সিনা। অন্য রেসলাররা এসে তাকে অভিনন্দন জানান। ক্যামেরার দিকে স্যালুট দিয়ে ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এই কিংবদন্তি।
২০০২ সালে ডব্লিউডব্লিউই অভিষেক হয় জন সিনার। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খণ্ডকালীন হিসেবে রিংয়ে নামেন তিনি। অবসর গ্রহণের কথা গত বছরেই জানিয়ে দেন এই কিংবদন্তি।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৭ বার বিশ্ব শিরোপা জিতেছেন সিনা। সর্বকালের সেরা- হাল্ক হোগান, স্টোন কোল্ড, স্টিভ অস্টিন ও দ্য রকের কাতারে জায়গা করে নিয়েছেন দ্য চ্যাম্প খ্যাত সিনা।

প্রিমিয়ার দাবা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিতাস ক্লাব। ৯ খেলায় ১৮ পয়েন্ট পেয়ে এক রাউন্ড আগেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ১০ খেলায় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স-আপ হয়েছে। আগামীকাল শেষ ম্যাচে তিতাস হারলেও গেম পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় তারাই শীর্ষে থাকবে।
বাংলাদেশের দাবায় পরিচিত নাম তিতাস ক্লাব। ১৯৯৭ সাল থেকে দাবা লিগে খেলে আসছে ক্লাবটি। ২০০০ সালে প্রথম বিভাগে শিরোপা জিতেছিল তিতাস। ২০১১ সালের আগ পর্যন্ত প্রথম বিভাগই ছিল দাবার সর্বোচ্চ স্তর। এই বছর মে মাসেই ২৪ বছর পর দাবার শীর্ষ পর্যায়ের শিরোপা জিতেছিল তিতাস। ছয় মাসের ব্যবধানে তিতাস আবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া লিগটি ছিল মূলত গত বছরের আর এই লিগটি চলতি বছরের।
গত লিগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তিতাস ক্লাব। এবারও তারা শিরোপা ধরে রেখেছে। তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল নৌবাহিনী। যাদেরকে হারিয়ে তিতাসের চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার। আজ শুক্রবার দশম রাউন্ডের খেলায় তিতাস ক্লাব ৩.৫-০.৫ গেম পয়েন্টে বাংলাদেশ পুলিশ চেস ক্লাবকে পরাজিত করে।
তিতাস ক্লাবের পক্ষে ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া যথাক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ চেস ক্লাবের আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল, ভারতীয় বিভর আদাক ও ফিদে মাস্টার নাইম হককে পরাজিত করেন। বাংলাদেশ পুলিশ চেস ক্লাবের তাশরিক সায়হান শান তিতাস ক্লাবের মিশরীয় গ্র্যান্ড মাস্টার ফওজি আদমের সঙ্গে ড্র করেন।
৯ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। লিওনাইন চেস ক্লাব সমান খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে মানহা’স ক্যাসেল ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন স্পোর্টিং ক্লাব যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৪-০ গেম পয়েন্টে জনতা ব্যাংক অফিসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে হারায়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রোজ নীড়, ফিদে মাস্টার মো. শরীফ হোসেন, আন্তর্জাতিক মাস্টার মো. মিনহাজ উদ্দিন, ফিদে মাস্টার মোহাম্মদ জাভেদ যথাক্রমে জনতা ব্যাংক অফিসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির বাবুল মল্লিক, মো. আসাদুজ্জামান, খন্দকার নজরে মওলা ও ফারসাত হোসেন অয়নের বিপক্ষে জেতেন।
লিওনাইন চেস ক্লাব ৪-০ গেম পয়েন্টে স্পোর্টস বাংলাকে হারায়। ক্লাবটির ফিদে মাস্টার মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, ভারতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার হিমাল গুসাইন, ভারতীয় আন্তর্জাতিক মাস্টার সুরেশ হার্স ও অমিত বিক্রম রায় যথাক্রমে স্পোর্টস বাংলার মুকিতুল ইসলাম রিপন, আসিফ মাহমুদ, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া ও ফয়সাল হোসেনকে হারান। মানহা’স ক্যাসেল ৩-১ গেম পয়েন্টে দীপালী মেমোরিয়াল চেস ক্লাবকে হারায়। মানহা’স ক্যাসেলের ক্যান্ডিডেট মাস্টার মো. সাজিদুল হক ও মো. নাসির উদ্দিন যথাক্রমে দীপালী মেমোরিয়াল চেস ক্লাবের মো. জাকির হোসেন ও কাজী সাইফকে হারান। দীপালী মেমোরিয়াল চেস ক্লাবের তাহমিদুল হক মানহা’স ক্যাসেলের অনত চৌধুরীর বিপক্ষে জেতেন। মানহা’স ক্যাসেলের ফিদে মাস্টার সৈয়দ মাহফুজুর রহমান দীপালী মোমোরিয়াল চেস ক্লাবের তানভীর আলমের বিরুদ্ধে ওয়াক-ওভার পান।