২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৬ এম
জয়ের ৪ বলে প্রয়োজন ৯ রান। বড় শটের বিকল্প ছিল না নিগার সুলতানা জ্যোতির। মিড অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেনও বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু সীমানা পার করতে পারলেন না। ধরা পড়ে গেলেন লং অফে। মাথা নিচু করে ধীরে পায়ে তিনি ফিরে গেলেন ডাগ আউটে।
সেখানে দাঁড়িয়ে দেখলেন বাকি ৩ বলে দলের অভাবনীয় এক পরাজয়। তীরে এসে তরী ডোবানোর গল্পে জ্যোতির দায়ও অনেক। তবে এর মাঝেই ব্যাট হাতে একটি রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে রান তাড়ায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক এখন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
চামারি আতাপাত্তুর বলে ক্যাচ আউট হওয়া বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৬ চারে ৯৮ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। দলকে জেতাতে না পারলেও, রুমানা আহমেদকে টপকে ওয়ানডে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন জ্যোতি।
আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ৯৪ বলে ৭৫ রান করেছিলেন রুমানা। সেই ম্যাচটিও অবশ্য জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সেদিন ৯ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে থেমেছিল সালমা খাতুনের দল।
প্রায় এক যুগ পর রুমানাকে ছাড়িয়ে দলকে জেতানোরও সুযোগ ছিল জ্যোতির সামনে। শেষ ১২ বলে ৬ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১২ রান। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ৯ বলের মধ্যে ২ বল স্ট্রাইকে ছিলেন জ্যোতি।
অথচ অধিনায়ক যদি দায়িত্ব নিয়ে শেষের দুই ওভারে বেশিরভাগ বল খেলতে পারতেন, তাহলে হয়তো ভিন্নও হতে পারত ম্যাচের ফল।
No posts available.
২১ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৯ পিএম
২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৭ পিএম
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। টানা দুই সেঞ্চুরির পর অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি চোটে ছিটকে গেছেন। বিশ্বকাপে নিজেদের পরের ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন না তিনি।
গত শনিবার অনুশীলনে কাঁধের মাংসপেশীর চোটে পড়েন হিলি। দলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিলির অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রা। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন হিলি। চার ম্যাচে ২৯৪ রান করে দলটির সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। ভারতের বিপক্ষে ১০৭ বলে ১৪২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। সেটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম এবং ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সেই ইনিংসেই নারী ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
তারপর বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন হিলি।
মূল ম্যাচের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৫ রান। বোলিংয়ে সাইফ হাসান। প্রথম দুই বলে রান নিতে ব্যর্থ আকিল হোসেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিনি স্ট্রাইক দিলেন সেট ব্যাটার শাই হোপকে। তবে হোপও ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না।
সমীকরণ দাঁড়াল ২ বলে ৩ রান। বড় শট মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন আকিল। শেষ বলে উড়িয়ে মারলেন শেষ ব্যাটার খ্যারি পিয়েরে। স্কয়ার লেগের দিকে গিয়ে ক্যাচ নিতে পারলেন না নুরুল হাসান সোহান। এরই মধ্যে ২ রান নিয়ে নিলেন হোপ ও পিয়েরে।
ফলে টাই হয়ে যায় ম্যাচ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এই প্রথম টাই হলো বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ।
সুপার ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব নেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন শাই হোপ। পরের বলে মোস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন শেরফান রাদারফোর্ডকে। ক্রিজে আসেন ব্র্যান্ডন কিং। পরের তিন বলে ৫ রান নিয়ে নেন হোপ ও কিং।
শেষ বলে মোস্তাফিজের কাটার হোপের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় ফাইন লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে। ফলে ১০ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সফরকারীদের হয়ে বোলিংয়ে আসেন আকিল হোসেন। ব্যাটিংয়ে নামেন সাইফ ও সৌম্য সরকার। প্রথম বলই আকিল করেন ওয়াইড। পরেরটি 'নো' বল করেন তিনি। সৌম্য নিয়ে নেন ২ রান। পরে ফ্রি হিটে আসে ১ রান। স্ট্রাইক পান সাইফ।
সাইফ প্রথম বল খেলেন ডট। পরের বলে ১ রান নিয়ে সৌম্যকে ব্যাটিং দেন তিনি। ৩ বলে ৫ রানের সমীকরণে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ আউট হন সৌম্য। পরে ব্যাটিংয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। লেগ বাই থেকে ১ রান নেন তিনি।
শেষ বলে বাকি থাকে ৪ রান। ওয়াইড করে বসেন আকিল। পরের বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি সাইফ। তাই সুপার ওভারে ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২১৩/৭ (সাইফ ৬, সৌম্য ৪৫, হৃদয় ১২, শান্ত ১৫, মাহিদুল ১৭, মিরাজ ৩২, নাসুম ১৪, সোহান ২৩, রিশাদ ৩৯; আকিল ১০-১-৪১-২, চেজ ১০-২-৪৪-০, পিয়েরে ১০-০-৪৩-০, মোতি ১০-০-৬৫-৩, আথানেজ ১০-৩-১৪-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২১৩/৯ (আথানেজ ২৮, কিং ০, কার্টি ৩৫, অগাস্ত ১৭, হোপ ৫৩*, রাদারফোর্ড ৭, মোতি ১৫, চেজ ৫, গ্রিভস ২৬, আকিল ১৬, পিয়েরে ২*; নাসুম ১০-০-৩৮-২, মিরাজ ১০-১-৩৮-০, মোস্তাফিজ ৮-০-৪০-০, তানভির ১০-০-৪২-২, রিশাদ ১০-০-৪২-৩, সাইফ ২-০-৯-১)
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারানোর ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিলেন। গতকাল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিশ্চিত হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাঁর জায়গায় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিকে।
রিজওয়ানকে সরানোর কোনো কারণ জানায়নি পিসিবি। তবে এমন সিদ্ধান্ত মোটেও ভালো লাগেনি পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমিরের। সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বর্তমান পরিস্থিতিতে পিসিবির এই সিদ্ধান্ত যথোপযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেন আমির।
রিজওয়ানের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বলে মনে করেন আমির, ‘আমি মনে করি না যে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করা হয়েছে। সে তো কোনো বাজে ওয়ানডে অধিনায়ক ছিল না।”
আরও পড়ুন
অভাবনীয় হারের ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্যোতির রেকর্ড |
![]() |
রিজওয়ানের নেতৃত্বে বড় দুই দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমির বলেন, ‘রিজওয়ান দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতিয়েছে — এমন কৃতিত্ব তো আমাদের অনেক বড় বড় অধিনায়কও অর্জন করতে পারেননি। এসব আমরা ভুলে গেলে চলবে না।’
রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে ২০টি ওয়ানডে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। এর মধ্যে তার নেতৃত্বে ৯টি জয়ের বিপরীতে দল হেরেছে ১১টিতে, জয় শতাংশ ৪৫। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর, অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ের সফরের আগে তাকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অবশ্য টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি রিজওয়ান। তাঁর অধিনায়কত্বে পাকিস্তান চারটি ম্যাচ হারের পর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় । নিউজিল্যান্ড সফরের আগে রিজওয়ানের জায়গায় অলরাউন্ডার সালমান আলি আগা-কে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয় পাকিস্তান।
গত বছর রিজওয়ানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে পাকিস্তান সিরিজ জিতলেও এ বছর পারফরম্যান্স অনেকটাই নিম্নগামী। বিশেষ করে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম পর্বেই ছিটকে যাওয়াটা বড় ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
তবে বারবার অধিনায়কত্ব পরিবর্তন আনা মোটেও ভালো কিছু নয় বলছেন আমির, ‘অধিনায়কত্ব এক সিরিজ ভালো বা খারাপ হলেই মাপা উচিত নয়। আমরা সবাই সাবেক খেলোয়াড়, বিশ্লেষক — এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আমরা আমাদের ক্রিকেটে স্থিতিশীলতা রাখতে দিই না।’
আমির আরও বলেন, “একজন অধিনায়ক রাতারাতি তৈরি হয় না। একজনকে প্রস্তুত করতে দুই-তিন বছর সময় লাগে। কিন্তু এখানে এক সিরিজ খারাপ গেলেই তাকে বদলে দেওয়া হয়। আমি মনে করি না এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। রিজওয়ান একজন স্মার্ট অধিনায়ক, তার মধ্যে নেতৃত্বের স্বাভাবিক গুণ আছে।’
আরও পড়ুন
রিজওয়ানকে সরিয়ে পাকিস্তানের নেতৃত্বে শাহীন আফ্রিদি |
![]() |
রিজওয়ানের জায়াগায় শাহীনকে অধিনায়ক করার প্রসঙ্গে আমির বলেন, ‘যদি শাহীনকে অধিনায়ক করতেই হতো, তাহলে তাকে আগে সহ-অধিনায়ক বানানো যেত এবং সেখান থেকে বিচার করা যেত সে কেমন করছে । বিশেষ করে ওর ফিটনেস বিবেচনায় রেখে।’
পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ। আগামী ৪ নভেম্বর হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো গতকাল এক প্রতিবেদনে লিখেছিল, টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডের নেতৃত্বও হারাতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সে প্রতিবেদনের ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই কপাল পুড়ল পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের।
রিজওয়ানকে সরিয়ে পাকিস্তান ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিকে। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ পিসিবির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাদা বলের কোচ মাইক হেসন, হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর আকিব জাভেদ এবং নির্বাচক কমিটির সদস্যরা। সবার সম্মতিক্রমেই শাহীনকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়।
২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শাহীন। পিএসএলেও তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে অধিনায়ক করা হলো ২৫ বছর বয়সী এই পেসারকে।
পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদে, ৪ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে ৬ ম্যাচে বাংলাদেশের নামের পাশে মাত্র ১টি জয়। অথচ একটু এদিক-ওদিক হলেই তাদের জয়ের সংখ্যা হতে পারত ৪টি। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছে, ৩টি ম্যাচে এমন হার হৃদয়বিদারক।
পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা। মাত্র ৭৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েও শেষ পর্যন্ত চাপ ধরে রাখতে পারেনি জ্যোতির দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ৭৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নেয় তারা। কিন্তু এরপর একের পর এক ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে পরাজয়ই সঙ্গী হয় তাদের।
এবার মুম্বাইয়ে সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ২ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। কিন্তু ১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ।
তাই যেখানে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যেতে পারত জ্যোতির দল, সেখানে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে তাদের।
লঙ্কানদের কাছে হারের পর অধিনায়ক বলেছেন, চাপের মুহূর্তে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি তারা।
“আমরা ৩টি ম্যাচ এমন হারলাম। এটি অবশ্যই হৃদয় বিদারক। কোনো কোনো মুহূর্তে, কোনো কোনো পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি, স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারিনি।”
“এই ধরনের রান তাড়ায় আমরা টিভিতে দেখেছি, অন্য দলগুলো ক্রিজে নিজেদের ধরে রেখেছে। কিন্তু আমরা সেটি পারিনি। আমরা এই চাপ নিতে পারিনি। আমাদের এটি নিয়ে ভাবতে হবে।”
২০৪ রানের লক্ষ্যে ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর শারমিন আক্তার সুপ্তাকে নিয়ে জুটি গড়েন জ্যোতি। তবে পেশিতে টান লাগায় ১০২ বলে ৬৪ রানে থাকা অবস্থায় মাঠ ছেড়ে উঠে যান সুপ্তা। ফলে ছেদ পড়ে ৮২ রানের জুটির।
জ্যোতির মতে, সুপ্তার ওই চোটই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
“যেভাবে ব্যাটিং করছিলাম, শুরু থেকেই এটি আমাদের ম্যাচ ছিল। আমি আর সুপ্তা খুব ভালো ব্যাটিং করছিলাম। সে যখন ক্র্যাম্পের কারণে বাইরে চলে গেল, মোমেন্টামও কিছুটা বদলে গেছে।”
“কারণ তখন স্বর্ণা এসেছে এবং আমাদের আবার জুটি গড়তে হয়েছে। ভালো যাচ্ছিল। তবে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছি। এই রান তাড়ার করার মতো ছিল।”