
প্রায় এক যুগের অপেক্ষার পর নতুন সভাপতি পেল ক্রিকেটারদের দেখভাল করার সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জিতে এই সংগঠনের প্রধান হলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বিসিবি একাডেমি ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে হওয়া ভোটে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদকে ১৫৪-৩৪ ভোটে হারান মিঠুন। সন্ধ্যা গড়ানোর আগে ফল ঘোষণা হলে নতুন সভাপতিকে বরণ করে নেন ক্রিকেটাররা।
২০১৪ সালের অনানুষ্ঠানিক বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পর থেকেই কোয়াবের দায়িত্বে ছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় ও দেবব্রত পাল। দীর্ঘ ১১ বছর পর এবার নতুন সভাপতি ও কার্যকরী পরিষদ পেল ক্রিকেটারদের এই সংগঠন।
গত বছর সরকার পতনের পর থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে দুর্জয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই চলে যায় তার সভাপতিত্ব। নতুন নেতৃত্ব পাওয়ার লক্ষ্যে গত মার্চে সেলিম শাহেদকে প্রধান করে সাজানো হয় ১৩ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি।
আরও পড়ুন
| কাজাখস্থানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পথে বাংলাদেশ |
|
কয়েক মাসের নানান আলোচনার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। সভাপতি ছাড়া অন্য পদগুলোতে অবশ্য ভোটের প্রয়োজন পড়েনি। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও সহ-সভাপতি হিসেবে নুরুল হাসান সোহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এর বাইরে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট ও ইমরুল কায়েস।
কোয়াবের নতুন কার্যকরী পরিষদ
সভাপতি: মোহাম্মদ মিঠুন
সিনিয়র সহ-সভাপতি: শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ
সহ-সভাপতি: নুরুল হাসান সোহান
সদস্য: নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট ও ইমরুল কায়েস
No posts available.
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৩৩ পিএম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৩:০৩ পিএম

ছয় বছর পর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ফিরেছে টেস্ট ক্রিকেট। তবে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি শুভমান গিলরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে ভারত।
কলকাতা টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে কোনো দলই দুই শ’ রান ছুঁতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় শুভমান গিলের দল। ফলে ইডেন গার্ডেনের পিচকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও দলটির কোচ গৌতম গম্ভীর পিচ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের ইচ্ছামতোই তৈরি করা হয়েছিল পিচ।
গম্ভীর বলেন,
‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না, খেলার উপযোগীই ছিল। টেম্বা বাভুমা রান করেছে, ওয়াশিংটন সুন্দরও ভালো ব্যাট করেছে। এমন উইকেট ছিল না যে খেলা যাবে না। জানি না কেন বারবার স্পিন সহায়ক বলা হচ্ছে। এই ম্যাচে তো জোরে বোলাররাই বেশি উইকেট পেয়েছে। এমন পিচে ব্যাটারদের টেকনিক, মানসিক শক্তি ও ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়—যেখানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
কলকাতায় এসে গম্ভীর নিজেই পিচ কেমন চান তা কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন। খেলা শুরুর চার দিন আগে পিচে পানি দেওয়া বন্ধ করে তাঁর অনুরোধ অনুযায়ীই উইকেট প্রস্তুত করা হয়। যেমন পিচ চাওয়া হয়েছিল, তেমনই পেয়েছেন জানিয়ে গম্ভীর বলেন,
‘আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই পেয়েছি। কিউরেটর অনেক সাহায্য করেছেন। কিন্তু ভালো খেলতে না পারলে তো এমনই হবে। ১২৪ রান তাড়া করতে না পারার কোনো যুক্তি নেই।’
গত বছরও স্পিন সহায়ক পিচ বানিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত। ঘরের মাঠে ০–৩ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও সিরিজ হারার শঙ্কায় পড়েছে ভারত।

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) যুক্ত হচ্ছে আরও ২টি নতুন দল। গতকাল নিজের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে বিষয়টি জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি।
বর্তমানে ৬ দলের অংশগ্রহণে হয়ে থাকে পিএসএল। নতুন ২টি দল যুক্ত হলে লিগটিতে মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৮। ২০২৬ সালে পিএসএলের ১১তম মৌসুমে যুক্ত হবে নতুন দলগুলো।
পিএসএলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আইপিএলের মতো আরও রোমাঞ্চকর করতে দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। বর্তমানে ১০ দলের অংশগ্রহণে হয়ে থাকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ধীরে ধীরে সে পথেই হাঁটছে পিসিবি।
যদিও দল বৃদ্ধির বিষয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান নাকভি বলেন,
‘নতুন দুটি স্বপ্নের সময়। পিএসএল আরও বড় হচ্ছে। নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বিক্রির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’
পিসিবি প্রধান আরও জানান, নতুন দল নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, টেকনিক্যাল প্রপোজাল জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর।
নতুন দুটি দলের জন্য আগ্রহী বিডাররা হায়দরাবাদ, সিয়ালকোট, মুজাফরাবাদ, ফয়সালাবাদ, গিলগিট ও রাওয়ালপিন্ডি—এই শহরগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচন করতে পারবেন।
এর আগে, পিএসএলের বিদ্যমান দলগুলোর জন্য স্বাধীনভাবে নতুন করে মূল্যায়ন (ভ্যালুয়েশন) সম্পন্ন করেছে পিসিবি। নতুন ১০ বছরের চক্রের জন্য সংশোধিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি–সংক্রান্ত নবায়ন পত্র পাঠানো হয়েছে সব দলকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ২০ রান। প্রথম ৩ বলে শুধু ৫ রান দিলেন জ্যাকব ডাফি। তবে পরের বল ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচ জমানোর আভাস দিলেন রোমারিও শেফার্ড। কিন্তু বাকি দুই বলে আর বাউন্ডারি হজম করলেন না ডাফি। রোমাঞ্চকর জয় পেল নিউ জিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চে রোববার প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারায় কিউইরা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৬৯ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। জয়ের নায়ক ড্যারেল মিচেল। চার নম্বরে নেমে ১১৮ বলে ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অল্পেই ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়ং। তৃতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও মিচেল। অল্পের জন্য ফিফটি করতে পারেননি কনওয়ে। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার।
পরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টম লাথাম। মাইকেল ব্রেসওয়েলকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন মিচেল। দুইশর আগে ফেরেন ৩৫ রান করা ব্রেসওয়েল। এরপর ঝড় তোলেন মিচেল। শেষ ওভারে ফেরার আগে ১২ চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা।
আরও পড়ুন
| ২৪ ইনিংস পর ঘরের মাঠে জয়সওয়ালের শূন্য |
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেডেন সিলস। ম্যাথু ফোর্ডের শিকার ২টি।
রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আলিক আথানেজ ২৯, কেসি কার্টি ৩২, শাই হোপ ৩৭ রান করে আউট হন। পাঁচ নম্বরে নেমে ৬১ বলে ৫৫ রান করেন শেরফান রাদারফোর্ড। রস্টোন চেজের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
২০৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের সময় জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৯ বলে ৬১ রান। জাস্টিন গ্রিভস ২৪ বলে ৩৮ ও শেফার্ড ১৯ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয়ের আশা দেখা গেলেও, শেষপর্যন্ত পারেনি ক্যারিবিয়ানরা।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কাইল জেমিসন।
নেপিয়ারে আগামী বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

চার দিন পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো চিঠির উত্তর দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফুটবল ও ফুটবলাদের নিয়ে আসিফ আকবরের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
গত ৯ নভেম্বর ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবলারদের ব্যবহার খারাপসহ আরও মাঠ দখলের মতো বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন বিসিবির পরিচালক আসিফ।
বিসিবির আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে আসিফের ফুটবল নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বরাবর চিঠি দেন। ফিরতি চিঠি গতকাল পেয়েছে বাফুফে।
আরও পড়ুন
| ২৪ ইনিংস পর ঘরের মাঠে জয়সওয়ালের শূন্য |
|
আসিফের মন্তব্যে ফুটবলাঙ্গন ব্যথিত ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাঁকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ফুটবলাররা। যদিও তিনি ক্ষমা চাওয়ার পথে হাটেননি। এমনকি ৯ নভেম্বর ওই বক্তব্য প্রদানের পরের দিন নিজের করা মন্তব্য সঠিক বলেই জানিয়েছেন আসিফ।
তবে বিসিবি সভাপতি আমিনুল চিঠিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, ‘যদি উক্ত বক্তব্যের কারণে ফুটবল পরিবার বা ভক্তদের মনে কোনো ধরনের আঘাত কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এদিকে, আসিফের মন্তব্য ঘিরে আজ সন্ধ্যায় সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাবে সভা রয়েছে। সেখানে আসিফের বিরুদ্ধে কঠোর ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট জিততে বোলিং সহায়ক উইকেট বানিয়ে সফল হলো না ভারত। উল্টো নিজেদের তৈরি করা ফাঁদেই ধরা পড়া গেল তারা। সাইমন হার্মার, কেশব মহারাজদের স্পিনে কাবু হয়ে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে হেরে গেল ম্যাচ।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে প্রথম টেস্টে ভারতকে ৩০ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র আড়াই দিনের মধ্যেই জিতে গেছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে শেষ হয়ে গেছে ভারতের ইনিংস।
ভারতের মাঠে এর চেয়ে কম রান তাড়ায় হেরে যাওয়ার ঘটনা আছে আর মাত্র একটি। ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ে ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রানেই অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
| ২৪ ইনিংস পর ঘরের মাঠে জয়সওয়ালের শূন্য |
|
নিজেদের ইতিহাসেও এর চেয়ে কম তাড়া করে একবারই হেরেছে ভারত। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজ টেস্টে ১২০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি তারা।
ঘাড়ের চোটে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে পারেননি শুভমান গিল। তাই ৯ উইকেট পড়ার পরই শেষ হয়ে তাদের ইনিংস।
এই জয়ে ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মাঠে তাদের সবশেষ টেস্ট জয় ছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৫ বছরের বেশি সময় পর পাওয়া জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
বোলারদের একচ্ছত্র দাপট থাকা ম্যাচে চার ইনিংসের একটিতে ২০০ রান হয়নি। ১৯৫৯ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে এক ইনিংসেও হয়নি ২০০ রান।
ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৮৯ রান করে ৩০ রানের লিড পায় স্বাগতিক ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে টেম্বা বাভুমার লড়াকু ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৪ রানের। কিন্তু হার্মার, মহারাজদের স্পিনে ধরা পড়ে নিজেদের চেনা আঙিনায় একশ রানও করতে পারেনি ভারত।
৭ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে রোববার খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমার সৌজন্যে আরও ৬০ রান যোগ করে তারা। ৪ চারে ১৩৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এছাড়া করবিন বশের ব্যাট থেকে আসে মহামূল্যবান ২৫ রান।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া কুলদিপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই খালি হাতে ফেরেন যশসবি জয়সওয়াল। পরের ওভারে লোকেশ রাহুলকেও আউট করেন মার্কো ইয়ানসেন। এরপর প্রতিরোধের চেষ্টা করেও পারেননি ধ্রুব জুরেল। ৩৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি।
টিকতে পারেননি রিশাভ পান্ত। মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর ২৬ রানের জুটি গড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর ও জাদেজা। হার্মারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ২৬ বলে ১৮ রান করা জাদেজা। পরে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফেরান এইডেন মার্করাম।
শেষ দিকে মহারাজের বলে ২ ছক্কা ও ১ চার মেরে পাল্টা আক্রমণের আভাস দেন অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু তাকে বেশি দূর যেতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার। চমৎকার ক্যাচ নেন বাভুমা। ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন অক্ষর। পরের বলে সিরাজকেও আউট করে ম্যাচ শেষ করেন মহারাজ।