১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৩ এম

২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৪ নভেম্বর। মাঝে কেটে যায় ৮০৭ দিন। পাকিস্তানের জার্সিতে ৮৩ বার ব্যাট করতে নামেন বাবর আজম। কিন্তু শতকের দেখা একবারও পাননি তিনি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই সেঞ্চুরিখরা কাটিয়ে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বললেন, কঠিন সময়েই আসল বন্ধু চিনতে পেরেছেন তিনি।
রাওয়ালপিন্ডিতে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৯ বলে ১০২ রানের ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন বাবর। এই শতকের সৌজন্যে দীর্ঘ ৮০৭ দিনের সেঞ্চুরিখরা কাটিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার।
একইসঙ্গে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটার সাঈদ আনোয়ারের ২০টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন দেশটির বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটার। অথচ মাঝের ২৭ মাসে ২০ বার ফিফটি করেও তিন অঙ্ক ছুতে পারেননি বাবর।
আরও পড়ুন
| কোহলি ও বাবরকে মিলিয়ে দিল ‘৮৩’ |
|
লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজের সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
“সমর্থকদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন পেয়েছি, শুধু ইসলামাবাদ নয়, সব জায়গাতে, দারুণ ছিল। পাকিস্তানের সব জায়গায় আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি। এটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ভক্তরা কঠিন সময়ে আমাকে ছেড়ে যায়নি। এই ধরনের কঠিন সময়েই বোঝা যায়, আসল বন্ধু কারা।”
২৮৯ রানের লক্ষ্যে দশম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন বাবর। একপ্রান্তে রয়েসয়ে খেলে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান তিনি। নব্বই পেরোনোর পর গ্যালারিতে দর্শকদের মধ্যেও বেড়ে যায় উত্তেজনা। স্নায়ুর চাপ হয়তো ভর করছিল বাবরের ওপর।
জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে প্রমোদ মাদুশানের একটি শর্ট ডেলিভারি অন সাইডে খেলে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর। সেই মুহূর্তের আবেগ সামাল দিতে কিছুটা সময়ই নেন তিনি। পরে মাথা নিচু করে হাঁটুতে ভর দিয়ে অনেকটা নীরব উদযাপনই করেন।
ওই মুহূর্তের অনুভূতিও জানান বাবর।
“খুবই কঠিন সময় ছিল। তবে আমি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাইনি। যেখানে উন্নতি প্রয়োজন করেছি, নিজের ফিটনেস নিয়েও কাজ করেছি। দিন শেষে এটি বিশ্বাসের ব্যাপার।”
“জীবনে এরকম সময় আসবে এবং আপনি চাইলেই নেতিবাচক ভাবনায় আটকে থাকতে পারেন, উল্টো প্রশ্ন করতে পারেন কেন আপনার সঙ্গে এরকম হচ্ছে। তবে আপনাকে নিজের পরিকল্পনায় অটুট থেকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (একসময়) পুরস্কার পাবেন।”
সেঞ্চুরি না পাওয়ার কঠিন সময় সম্পর্কে বাবর বললেন, নিজের ওপর বিশ্বাস কখনও হারাননি তিনি।
আরও পড়ুন
| অবশেষে বাবর আজমের সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বড় জয় |
|
“যখনই রানের দেখা পাবেন, আত্মবিশ্বাস অন্য পর্যায়ে পৌঁছে যায়। অনেক লম্বা সময় ছিল। তবে আমি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাইনি এবং কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে কোনো আপোষ করিনি। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।”
“এরকম সময়ে আপনার মনে অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা কাজ করে, আপনি ভাবতে পারেন আপনার সঙ্গে কী হচ্ছে। অনেক কোচ আপনার সঙ্গে কথা বলবে, নানা ধরনের পরামর্শ দেবে। এরপর আপনাকে ঠিক করতে হবে, কোনটি আপনার জন্য ঠিক।”
No posts available.
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০৬ পিএম
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ২:৫৩ পিএম

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে স্টেডিয়াম আলট্রা-রান। দুই দিন ব্যাপী ‘ঢাকা স্টেডিয়াম রান ২০২৫’- নামের এই ব্যতিক্রমধর্মী দৌড় প্রতিযোগিতা আগামী ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ধরনের দৌড় প্রতিযোগিতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়মিত আয়োজিত হলেও বাংলাদেশে এবারই প্রথম। এতে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’ এর ওয়েবসাইটে www.coastalultra.com। আবেদন শুরু রোববার রাত ৮টায়।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সার্বিক সহযোগিতায় ইভেন্টটি আয়োজন করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ। গত ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে দেশের দৌড়ের ইতিহাসে দীর্ঘতম দূরত্বের আলট্রা-ম্যারাথন আয়োজন করেছিল এই সংঠনটি।
মূলত এমন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অঙ্গনে ব্র্যান্ডিং করাই কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য।
আরও পড়ুন
| ১১ ওভারে ১৭১ করে সোহান-আকবরদের জয় |
|
আলট্রা-ম্যারাথন বা আলট্রা রান হচ্ছে একধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়, যেখানে ম্যারাথন দৌড়ের ৪২.১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড় আয়োজন করা হয়। সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা-ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারা বিশ্বেই এই আলট্রা-ম্যারাথনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।
আর স্টেডিয়াম রান এক ধরনের বিশেষ আলট্রা-রানিং ইভেন্ট, যা স্টেডিয়ামের ভেতরে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক কিংবা নির্দিষ্ট স্টেডিয়াম লুপে অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত ম্যারাথন কিংবা দৌড় প্রতিযোগিতাগুলো হয় নির্দিষ্ট দূরত্বকে কেন্দ্র করে।
সেই প্রচলিত কাঠামো থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে “ঢাকা স্টেডিয়াম রান ২০২৫”। এই ইভেন্টে সময়ই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ। দৌড়বিদরা নির্দিষ্ট দূরত্বের বদলে নির্দিষ্ট সময় ধরে দৌড়াতে থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে কে কত কিলোমিটার দৌড়াতে পারেন, সেটাই মূল লক্ষ্য।
আয়োজকরা জানান, প্রতিযোগিতায় থাকছে সময়ভিত্তিক চার ক্যাটাগরি- ৩৬ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা ও ৬ ঘণ্টা। এই চার ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে বাছাইকৃত দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আশাবাদী আয়োজকরা।
তাদের সহায়তার জন্য ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। নিজেদের সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে দৌড়বিদরা দিনের আলোর পাশাপাশি রাতে স্টেডিয়ামের নিয়ন আলোতেও দৌড়াতে থাকবেন।

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস খেলতে যাওয়ার আগে হংকং সিক্সেস খেলেছেন আকবর আলি, হাবিবুর রহমান সোহান, জিসান আলমরা। একের পর এক ছক্কার সেই টুর্নামেন্টের রেশ যেন এখনও রয়ে গেছে তাদের ব্যাটিংয়ে।
তাই তো হংকং, চায়নার করা ১৬৭ রানের পুঁজিকে কোনো পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ 'এ' দল। রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১ ওভারে ১৭১ রান করে ফেলেছে আকবরের নেতৃত্বাধীন দল।
কাতারের দোহায় ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সোহান। ৮ চার ও ১০ ছক্কায় ৩৫ বলে তিনি খেলেছেন ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। যার সৌজন্যে একইসঙ্গে গড়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি ও সেঞ্চুরির রেকর্ড।
আরও পড়ুন
| ১৪ বলে ফিফটি, ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে সোহানের কীর্তি |
|
রান তাড়ায় মাত্র ৩ ওভারের মধ্যে পঞ্চাশ করে ফেলেন সোহান। ১৪ বলে ফিফটি করে তিনি ভেঙে দেন শুভাগত হোমের করা ১৬ বলে ফিফটির রেকর্ড। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে শেষে তার নামের পাশে দাঁড়ায় ২৪ বলে ৮৮ রান।
প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশ করে ফেলে বিনা উইকেটে ১০৭ রান। সপ্তম ওভারে আউট হন ১৪ বলে ২০ রান করা জিসান। তিন নম্বরে নেমে জাওয়াদ আবরার টিকতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করে বোল্ড হন তরুণ ব্যাটার।
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি আকবর ও সোহান। দুজন মিলে মাত্র ১৯ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
১১তম ওভারের প্রথম বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সোহান। মাত্র ৩৫ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে তিনি ভেঙে দেন দেন পারভেজ হোসেন ইমনের ৪২ বলে শতকের রেকর্ড।
ওই ওভারের বাকি পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন আকবর। ৬ ছক্কায় ১৩ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশ 'এ' অধিনায়ক।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দেড়শর আগেই আটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল হংকং। কিন্তু শেষ ওভারে আবু হায়দার রনি ৪টি ছক্কা হজম করে ২৬ রান দিলে ১৬৭ রানে পৌঁছায় তারা।
আরও পড়ুন
| বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে ফিফটি করে সোহানের রেকর্ড |
|
হংকংয়ের পক্ষে ৪৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন বাবর হায়াত। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২২ বলে ৪০ রান আসে অধিনায়ক ইয়াসিম মর্তুজার ব্যাট থেকে। এছাড়া মাত্র ৪ বলে ২০ রান করেন কিঞ্চিত শাহ।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল ও এসএম মেহেরব হাসান।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার রাতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড আগেই ছিল হাবিবুর রহমান সোহানের। এবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও দেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কীর্তি গড়লেন ২৬ ছুঁইছুঁই ব্যাটার।
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে হংকং, চায়নার বিপক্ষে বাংলাদেশ 'এ' দলের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৪ বলে ফিফটির পর ৩৫ বলে জাদুকরী তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছেন সোহান। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এটিই দ্রুততম ফিফটি ও সেঞ্চুরির রেকর্ড।
পাওয়ার প্লের মধ্যে মাত্র ৩ ওভারে পঞ্চাশ করে শুভাগত হোমের করা ১৬ বলে ফিফটির রেকর্ড ভেঙে দেন সোহান। পরে ১১তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তিনি করেন ৩৫ বলে। যা ছুঁতে ৮ চারের সঙ্গে ১০টি ছক্কা মারেন সোহান।
আরও পড়ুন
| বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে ফিফটি করে সোহানের রেকর্ড |
|
এই সংস্করণে এত দিন বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল পারভেজ হোসেন ইমনের। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার।
প্রায় ৬ বছর পর এবার বাংলাদেশ 'এ' দলের জার্সিতে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন সোহান। সব মিলিয়ে বিশ্ব রেকর্ড থেকে অবশ্য বেশ দূরে তিনি। মাত্র ২৭ বলে সেঞ্চুরি করে এই রেকর্ডটি এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহানের নামে।
এর আগে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম শতকের রেকর্ডও গড়েছিলেন সোহান। এবার কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের রেকর্ডটাও নিজের করে নিলেন বিধ্বংসী এই ওপেনার।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই আতিক ইকবালের বলে ৩টি ছক্কা মারেন সোহান। পরের ওভারে টানা ৩ চারের পর ১টি ছক্কা মারেন বিধ্বংসী এই ওপেনার। তৃতীয় ওভারে দুই ছক্কার মাঝে তিনি মারেন একটি ছক্কা। তাতে ১৪ বলে হয়ে যায় তার ফিফটি।
পরের ওভারে এহসান খানের বলে দুই চারের পর আরও দুইটি ছক্কা মেরে দেন সোহান। এরপরও থামার নাম নেননি। পঞ্চম ওভারে আতিকের শেষ তিন বলে চারের পর দুইটি ছক্কা মেরে মাত্র ২৪ বলে ৮৮ রানে পৌঁছে যান তিনি।
আরও পড়ুন
| আইপিএলের আগে বদলে গেল শামির দল |
|
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩টি চার মারেন আরেক ওপেনার জিসান আলম। ৬ ওভারে বাংলাদেশ 'এ' দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০৭ রান।
এরপর আর ঝুঁকি নেননি সোহান। এমনকি মারেন শুধু একটি মাত্র বাউন্ডারি। রয়ে সয়ে খেলে ৩৫ বলে তিনি পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। শেষ পর্যন্ত ৮ চার ও ১০ ছক্কায় ৩৫ বলে ঠিক ১০০ রানেই অপরাজিত থাকেন ২৬ ছুঁইছুঁই ওপেনার।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড এটি। ১১টি ছক্কার নজির আছে তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর। এছাড়া জিসান আলমের আছে ইনিংসে ১০ ছক্কার রেকর্ড।

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ 'এ' দলের প্রথম ম্যাচে তাণ্ডব চালালেন হাবিবুর রহমান সোহান। হংকং, চায়নার বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ১৪ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়লেন ২৬ ছুঁইছুঁই ওপেনার।
কাতারের দোহায় শনিবার দুপুরে হংকং, চায়নার করা ১৬৭ রানের জবাবে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন সোহান। মাত্র ৩ ওভারের মধ্যে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি তো বটেই, যে কোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এটিই দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ১৬ বলে পঞ্চাশ করেছিলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতে নামা শুভাগত হোম। প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর সেই রেকর্ড এখন নিজের করে নিলেন সোহান।
আরও পড়ুন
| আরেক পেসারকে হারিয়ে অন্যরকম ‘প্রথমের’ সামনে অস্ট্রেলিয়া |
|
সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির বিশ্ব রেকর্ড দিপেন্দ্র সিং আইরির। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৯ বলে ফিফটি করেছিলেন নেপালের তারকা ক্রিকেটার।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই আতিক ইকবালের বলে ৩টি ছক্কা মারেন সোহান। পরের ওভারে টানা ৩ চারের পর ১টি ছক্কা মারেন বিধ্বংসী এই ওপেনার। তৃতীয় ওভারে দুই ছক্কার মাঝে তিনি মারেন একটি ছক্কা। তাতে ১৪ বলে হয়ে যায় তার ফিফটি।
পরের ওভারে এহসান খানের বলে দুই চারের পর আরও দুইটি ছক্কা মেরে দেন সোহান। এরপরও থামার নাম নেননি। পঞ্চম ওভারে আতিকের শেষ তিন বলে চারের পর দুইটি ছক্কা মেরে মাত্র ২৪ বলে ৮৮ রানে পৌঁছে যান তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩টি চার মারেন আরেক ওপেনার জিসান আলম। ৬ ওভারে বাংলাদেশ 'এ' দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০৭ রান।

নিলামের আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে মোহাম্মদ শামিকে দলে নিল লখনৌ সুপারজায়ান্টস। জাকজমকপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নতুন মৌসুমে তাই নতুন দলে দেখা যাবে ভারতের অভিজ্ঞ এই পেসারকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার শামিসহ আরও বেশ কয়েকটি ট্রেডিংয়ের খবর জানিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
আইপিএলের গত মৌসুমে ১০ কোটি রুপিতে শামিকে কিনেছিল হায়দরাবাদ। এবার একই মূল্যে তাকে নিজেদের করে নিয়েছে লখনৌ।
আরও পড়ুন
| ‘কঠিন সময়েই আসল বন্ধু চেনা যায়’, ৮০৭ দিন পর সেঞ্চুরি করে বললেন বাবর |
|
২০১৩ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ দলের হয়ে খেলেছেন শামি। হায়দরাবাদের আগে ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্সে যোগ দেন অভিজ্ঞ পেসার। সেবার ২০ উইকেট নিয়ে শিরোপা জয়ে রাখেন বড় অবদান।
২০২৩ সালের আসরে ২৮ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির পুরস্কার পার্পল ক্যাপও জেতেন শামি। তবে চোটের কারণে ২০২৪ সালের আইপিএল খেলা হয়নি তার। পরে ২০২৫ সালে হায়দরাবাদের হয়ে ৯ ম্যাচে নিতে পারেন মাত্র ৬ উইকেট।
এবার লখনৌর হয়ে শুরু হবে শামির নতুন আইপিএল অধ্যায়।