
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্স অধিনায়ক। তাই ব্যাট করতে নেমেছে সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অন্তত ১৮০ রান করার আশার কথা বলেছেন সিলেট অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আর কন্ডিশন বুঝে সিলেটকে অল্পে আটকে রাখতে চান শান্ত।
উদ্বোধনী দিনে টসের আগে রাখা হয় ছোট্ট আনুষ্ঠানিকতা। কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীত শেষে আতশবাজি ফুটিয়ে ও বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সিলেট টাইটান্স একাদশ:
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, সাইম আইয়ুব, ইথান ব্রুকস, পারভেজ হোসেন ইমন, হযরতউল্লাহ জাজাই, মোহাম্মদ আমির, নাসুম আহমেদ, রনি তালুকদার, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও রুয়েল মিয়া।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি চৌধুরি, আব্দুল গাফফার সাকলাইন, এসএম মেহেরব হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ নাওয়াজ, বিনুরা ফার্নান্দো, সাহিবজাদা ফারহান, সন্দীপ লামিচানে।
No posts available.
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৪৯ পিএম

টসের সময় মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ১৮০ রানের বেশি করতে পারলে ভালো হবে তাদের জন্য। পারভেজ হোসেন ইমনের তাণ্ডবে সিলেট টাইটান্স করল ১৯০ রান। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেটি অনায়াসেই তাড়া করে ফেলল রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেটকে ৮ উইকেটে হারায় রাজশাহী। ১৯১ রানের লক্ষ্য ২ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে শান্তর দল।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে চমৎকার সেঞ্চুরি উপহার দেন শান্ত। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৬০ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৫১ রান। দুজন মিলে ৭১ বলে গড়েন ১৩০ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি।
অথচ রান তাড়ায় শুরুটা তেমন ভালো ছিল না রাজশাহীর। তৃতীয় ওভারে ড্রেসিংরুমে রুমে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম (৮ বলে ১০)। পাওয়ার প্লেতে আসে ৪৩ রান।
অষ্টম ওভারে আউট হন ১৯ বলে ২০ রান করা রাজশাহীর পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। ১০ ওভারে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৭৯ রান।
সেখান থেকে শুরু হয় শান্ত-মুশফিকের পাল্টা আক্রমণ। প্রতি ওভারে বাউন্ডারি মেরে রানের চাহিদা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার। দ্বাদশ ওভারে ৩৬ বলে পূর্ণ হয় শান্তর ফিফটি। দলের সংগ্রহ তখন ৯৯ রান।
শেষ ৮ ওভারে ৯২ রানের সমীকরণে পরপর দুই ওভারে নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের বলে চার ও ছক্কা মারেন শান্ত। পরে ইথান ব্রুকসের বলে ছক্কা মেরে ৫৫ বলে জুটির শতরান পূর্ণ করেন রাজশাহী অধিনায়ক।
পরে অনায়াসে বাকি কাজ শেষ করেন মুশফিক ও শান্ত। শেষ ওভারের প্রথম বলে সেঞ্চুরি করেন শান্ত। বিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ঝড় তোলেন সাইম আইয়ুব। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। ৩ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় ১৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
তিন নম্বরে নেমে আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই ২০ রান করতে খেলেন ১৮ বল। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪১ রান।
১৪তম ওভারের শুরুতে জুটি বাধেন ইমন ও আফিফ। ইনিংসের শেষ ওভারে রান আউটে ভাঙে তাদের বন্ধন। মাঝে দুজন মিলে মাত্র ৪১ বলে যোগ করেন ৮৫ রান।
৪ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মেরে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন আফিফ। আর বিপিএল ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও সব মিলিয়ে নবম ফিফটির ইনিংসে ৪টি চারের পাশাপাশি ৫টি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা মারেন ইমন।
সিলেটের পক্ষে ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন নেপালি লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট টাইটান্স: ২০ ওভারে ১৯০/৫ (সাইম ২৮, রনি ৪১, জাজাই ২০, ইমন ৬৫*, আফিফ ৩৩, ব্রুকস ০; মেহেরব ৪-০-৩৪-০, বিনুরা ৪-০-৩১-১, সাকিব ৪-০-৪৩-১, লামিচানে ৪-০-৩৮-২, সাকলাইন ৩-০-৩৩-০, নাওয়াজ ১-০-৯-০)
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: ১৯.৪ ওভারে ১৯২/২ (সাহিবজাদা ২০, তামিম ১০, শান্ত ১০১*, মুশফিক ৫১*; আমির ৪-০-৩০-০, নাসুম ৪-০-৩৩-০, খালেদ ৩-০-৩০-১, সাইম ১-০-১২-০, রুয়েল ৩.৪-০-৩১-০, মিরাজ ৩-০-৩৯-১, ব্রুকস ১-০-১৫-০)
ফল: রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ৮ উইকেটে জয়ী

১৫ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে নেমে একের পর রেকর্ড গড়ছেন বিরাট কোহলি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করা ব্যাটারদের মধ্যে ইতিহাসে সর্বোচ্চ গড় এখন ভারতের সাবেক অধিনায়কের।
আজ বেঙ্গালুরুতে বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে গুজরাটের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে ৬১ বলে ৭৭ রান করেন কোহলি। এই ইনিংসের সুবাদে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৫৭.৮৭ ক্যারিয়ার গড় এখন এই তারকার। ৫৭.৮৬ গড় নিয়ে এতদিন শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি মাইকেল বেভান।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গড়ের তালিকায় কোহলি-বেভানের পর আছেন ইংল্যান্ডের স্যাম হেইন (৫৭.৭৬), ভারতের চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজম (৫৩.৮২) ও দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের (৫৩.৪৬) মতো তারকারাও।
দুই দিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি (১৩১ রান) করেন কোহলি। সেই ম্যাচে কোহলি ভেঙ্গে দেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম ১৬,০০০ রানের শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। কোহলি ৩৩০ ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬,০০০ রান পূর্ণ করেন, শচীনের এই মাইলফলক ছুঁতে লেগেছিল ৩৯১ ইনিংস।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়লেন ভুটানের স্পিনার সোনম ইয়েশে। মায়ানমারের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তিনি শিকার করেছেন ৮ উইকেট। তাঁর ৭ রানে ৮ উইকেট কুড়ি কুড়ির ইতিহাসে এখন সেরা বোলিং ফিগার।
টি-টোয়েন্টিতে আগের সেরা বোলিং রেকর্ডটি ছিল মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুসের। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন তিনি। চলতি মাসে ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাহরাইনের পেসার আলি দাউদ। তিনি নেমে গেছেন এখন তিন নম্বরে।
আরও পড়ুন
| আইসিসির শাস্তির মুখে মেলবোর্ন |
|
ভুটানের গেলেফুতে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় মায়ানমার। ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে ভুটান। জবাব দিতে নেমে সোনম ইয়েশের ঘূর্ণিতে মাত্র ৪৫ রানে অলআউট হয় মায়ানমার।
ইনিংসে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে কোন রান না দিয়ে ৩ উইকেট নেন ইয়েশে। পঞ্চম ওভারে তিন রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এক রান দিয়ে আরো ২ উইকেট নেন ইয়েশে। নিজের শেষ ওভারে আরো দুই উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ডে নিজের নাম লেখান ২২ বছর বয়সী এই স্পিনার। শেষ পর্যন্ত ৯.২ বলে অলআউট হয় মায়ানমার।
৮২ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যাবধানে এগিয়ে ভুটান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে কাল মাঠে নামবে দুই দল।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের নতুন মৌসুমের শুরুটা এর চেয়ে ভালো হয়তো হতে পারত না! উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেটের ভরা গ্যালারির সামনে তাণ্ডব চালালেন পারভেজ হোসেন ইমন।
চতুর্থ উইকেটে জুটি বেধে ইমনকে দারুণ সঙ্গ দিলেন আরেক বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। যার সৌজন্যে ১৯০ রানের পুঁজি পেল স্বাগতিক দল সিলেট টাইটান্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী টাইটান্সকে ১৯১ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে সিলেট। অপরাজিত ফিফটিতে ৩৩ বলে ৬৫ রান করেন ইমন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ঝড় তোলেন সাইম আইয়ুব। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। ৩ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় ১৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
তিন নম্বরে নেমে আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই ২০ রান করতে খেলেন ১৮ বল। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪১ রান।
১৪তম ওভারের শুরুতে জুটি বাধেন ইমন ও আফিফ। ইনিংসের শেষ ওভারে রান আউটে ভাঙে তাদের বন্ধন। মাঝে দুজন মিলে মাত্র ৪১ বলে যোগ করেন ৮৫ রান।
আরও পড়ুন
| উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে সিলেট |
|
৪ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মেরে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন আফিফ। আর বিপিএল ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও সব মিলিয়ে নবম ফিফটির ইনিংসে ৪টি চারের পাশাপাশি ৫টি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা মারেন ইমন।
সিলেটের পক্ষে ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন নেপালি লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট টাইটান্স:
২০ ওভারে ১৯০/৫ (সাইম ২৮, রনি ৪১, জাজাই ২০, ইমন ৬৫*, আফিফ ৩৩, ব্রুকস ০; মেহেরব ৪-০-৩৪-০, বিনুরা ৪-০-৩১-১, সাকিব ৪-০-৪৩-১, লামিচানে ৪-০-৩৮-২, সাকলাইন ৩-০-৩৩-০, নাওয়াজ ১-০-৯-০)

অ্যাশেজে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনেই ২০ উইকেট পড়েছে। এরই মধ্যে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) পিচ নিয়ে তীব্র সমালোচনাও শুরু হয়েছে। ব্যাটারদের জন্য বেশ কঠিন এই উইকেটে খেলার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে কি না—তা নিয়েই এখন আলোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, এই পিচের জন্য আইসিসির শাস্তির মুখে পড়তে পারে এমসিজি।
টস জিতে প্রথম দিনেই অস্ট্রেলিয়াকে ১৫২ রানে গুটিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। জশ টাং নেন পাঁচ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে নামার পরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তোপে মাত্র অষ্টম ওভারের মধ্যেই ১৬ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুকের কিছু আক্রমণাত্মক শট আর শেষ দিকে গাস অ্যাটকিনসনের লড়াই সত্ত্বেও সফরকারীরা ১১০ রানেই অলআউট হয়ে যায়। দিন শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। দিন শেষে এক ওভারে উইকেট না হারাতে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামেন স্কট বোল্যান্ড।
প্রথম দিনের খেলায় বোলারদের আধিপত্য এতটাই ছিল, সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে পিচটি। বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে মাইকেল ভন বলেন, ‘পিচটা একেবারেই শকিং। টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনের জন্য এটা খুব বেশি কিছু করছে। অস্ট্রেলিয়া যখন বোলিং করেছে, তখন আরও দ্রুত নড়াচড়া করছে বলে মনে হয়েছে। বল ডানহাতিদের দিকে ভেতরে ঢুকছে—টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন করা যায় ঠিকই, কিন্তু এমন বল খেলা ভীষণ কঠিন।’
আরও পড়ুন
| বিপিএলে হাদির জন্য ১ মিনিট নীরবতা |
|
এবিসি স্পোর্টে ড্যারেন লেহম্যান বলেন, ‘মেলবোর্নের পিচ সিরিজের প্রথম টেস্টে পার্থের পিচের চেয়েও খারাপ। পার্থ টেস্টের প্রথম দিনেই পড়েছিল ১৯ উইকেট, ম্যাচ শেষ হয়েছিল দুই দিনেই।’ এসইএন রেডিওতে স্টুয়ার্ট ব্রডও বলেন, ‘পিচটি অতিরিক্ত কিছু করছে।’ তাঁর ভাষায়, ‘টেস্ট বোলারদের ভয়ংকর দেখাতে এতটা মুভমেন্টের দরকার নেই।’
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী টেস্ট পিচের চারটি রেটিং রয়েছে—এর মধ্যে সেরা দুটি হলো ‘ভেরি গুড’ ও ‘স্যাটিসফ্যাক্টরি’। ‘আনস্যাটিসফ্যাক্টরি’ ও ‘আনফিট’ রেটিং পেলে ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। তবে ‘আনফিট’ রেটিং কেবল তখনই দেওয়া হয়, যখন পিচ বিপজ্জনক হয়। এমসিজির পিচ বিপজ্জনক নয় বলে একে ‘আনফিট’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। ফলে শাস্তির সম্ভাবনা থাকলে তা কেবল ‘আনস্যাটিসফ্যাক্টরি’ রেটিংয়ের মাধ্যমেই আসতে পারে।
আইসিসির ব্যাখ্যায় বলা আছে, কোনো পিচকে ‘আনস্যাটিসফ্যাক্টরি’ বলা হয় তখনই, যখন সেটি ব্যাট ও বলের মধ্যে ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়। হয় ব্যাটারদের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়, নয়তো বোলারদের জন্য অস্বাভাবিকভাবে বেশি উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে।
তবে প্রথম দিনে বেশি উইকেট পড়লেই যে পিচ ‘আনস্যাটিসফ্যাক্টরি’ হবে, এমন নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টে পার্থে প্রথম দিনে ১৯ উইকেট পড়লেও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডকে সর্বোচ্চ ‘ভেরি গুড’ রেটিং দেওয়া হয়েছিল। বক্সিং ডের আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গও বলেছিলেন, ব্যাট ও বলের মধ্যে ভারসাম্য থাকা উইকেটই তাদের চাওয়া এবং এমসিজির কিউরেটর ও বিশেষজ্ঞদের ওপর তাদের পূর্ণ আস্থা আছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এমসিজির শাস্তি হবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করবে বল কতটা বেশি সিম মুভমেন্ট করেছে তার ওপর। প্রথম দিনে কোনো অনিয়মিত বাউন্স দেখা যায়নি, যা সাধারণত টেস্ট পিচের একটি বড় নেতিবাচক দিক। তবে পাশ দিয়ে বলের অতিরিক্ত নড়াচড়া কি ‘ভেরি গুড’ রেটিংয়ের জন্য নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে—সেটিই হবে আইসিসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মূল বিবেচ্য বিষয়।