
নিজেদের অভিষেক এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওমান। ১৭ সদস্যের দল রয়েছে চার নতুনমুখ। দলের নেতৃত্ব দেবেন ৩৬ বছর বয়সী যতিন্দর সিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এশিয়ার মহাদেশীয় লড়াইয়ে প্রথমবার খেলবে তারা।
ওমান দলের চমক- চার ক্রিকেটারের এখনো টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়নি। দলে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পেয়েছেন সুফিয়ান ইউসুফ, জিকরিয়া ইসলাম, ফয়সাল শাহ ও নাদিম খান। শুধু কুড়ি ওভার নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই তাঁদের অভিষেক হয়নি।
এশিয়া কাপে ওমান পড়েছে কঠিন গ্রুপে। তাদের সঙ্গে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন
| রুট একদিন বড় খেলোয়াড় হবেন, অভিষেকেই বুঝেছিলেন শচীন |
|
ওমানের প্রধান কোচ দুলিপ মেন্ডিস মনে করেন, বড় টুর্নামেন্টে শুধু দক্ষতা নয়, মানসিক দৃঢ়তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া আমাদের জন্য বড় সুযোগ। ভারত–পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেলা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। টি-টোয়েন্টি এমন সংস্করণ, যেখানে এক ওভারেই ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে।’
ভালো প্রস্তুতিও হয়েছে ওমানের। মেন্ডিস বললেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড়েরা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ পেয়েছে, আর অনুশীলনও হয়েছে যথেষ্ট মনোযোগী ও কঠিন। দক্ষতার পাশাপাশি চাপের ম্যাচে মানসিক শক্তিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এশিয়া কাপে ভালো কিছু করতে পারব এবং বিশ্বমঞ্চে ওমানকে ক্রমবর্ধমান ক্রিকেট শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে পারব।’
১২ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওমান নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে। ১৫ সেপ্টেম্বর আবুধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে দ্বিতীয় ম্যাচ। একই মাঠে ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষে ম্যাচে লড়বেন যতিন্দররা।
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওমান কখনো টি-টোয়েন্টি খেলেনি। আমিরাতের সঙ্গে ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৪টিতে।
ওমানের এশিয়া কাপ দল:
যতিন্দর সিং (অধিনায়ক), হাম্মাদ মির্জা, বিনায়ক শুক্লা, সুফিয়ান ইউসুফ, আশিষ ওদেদারা, আমির কালিম, মোহাম্মদ নাদিম, সুফিয়ান মাহমুদ, আরিয়ান বিশ্বাস, করন সোনাভালে, জিকরিয়া ইসলাম, হাসনাইন আলি শাহ, ফয়সাল শাহ, মুহাম্মদ ইমরান, নাদিম খান, শাকিল আহমদ, সময় শ্রীবাস্তব।
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:২১ পিএম

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জেতার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেল রংপুর বিভাগ। লিগের সপ্তম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে তিন দিনেই তারা হারিয়ে দিল চ্যাম্পিয়নশিপে দৌড়ে থাকা আরেক দল খুলনা বিভাগকে। এখন তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে বরিশাল ও সিলেট ম্যাচের দিকে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল রংপুর। ইকবাল হোসেনের ১৭০ বলে ১১৪ রানের সৌজন্যে ২৩১ রানের লক্ষ্য ৫৫ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা।
লিগে নিজেদের সাত ম্যাচ শেষে এখন ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রংপুর। ছয় ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সিলেট। এছাড়া ছয় ম্যাচে ময়মনসিংহের ঝুলিতে ২৪ পয়েন্ট। তবে শেষ ম্যাচে ময়মনসিংহের জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই দৌড় থেকে ছিটকে গেছে তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সিলেট তেমন সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। ম্যাচের তিন দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৭ রানে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল। তাদের বাকি রয়েছে আরও ৬ উইকেট। বরিশালকে অলআউট করে পরে সেই রান তাড়া করা সিলেটের জন্যও সহজ হওয়ার কথা নয়।
রংপুরের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে খুলনা। এদিন আর মাত্র ৫৫ রান যোগ করতে পারা। টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবার শিকার করেন ২২ রানে ৫ উইকেট।
পরে রান তাড়ায় তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন ইকবাল ও নাঈম ইসলাম। ৪৫ রান করে ফিরে যান নাঈম। আকবরকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ব্যাটার ইকবাল।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আড়াই দিনে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে ঢাকা। চট্টগ্রাম বিভাগকে ইনিংস ও ১৯২ রানে হারিয়ে তারা।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আনিসুল ইসলাম ১৮৬, মার্শাল আইয়ুব ১৬৫ ও আশিকুর রহমান শিবলি ১০০ রান করলে ৬ উইকেটে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে চট্টগ্রাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ময়মনসিংহের বিপক্ষে জয়ের দুয়ারে রাজশাহী। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ময়মনসিংহের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। শেষ দিনে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ২০১ রান।
৬ চার ও ৯ ছক্কায় ৮৯ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত আবু হায়দার রনি। শেষ দিনে তার সেঞ্চুরিটিই হয়তো হতে পারে সান্ত্বনা।
রাজশাহীতে সিলেটের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১২ রান। তাদের লিড এখন ২৩৭ রানের। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি।
এই ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন শামসুর রহমান শুভ। নিজের শেষ ইনিংসে ১৭ রান করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। পরে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় তাকে গার্ড অব অনার দেন সিলেট ও বরিশালের ক্রিকেটাররা।

শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় ৯ মাস ধরে স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে দূরে তামিম ইকবাল। সামনের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলবেন না দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার। আর এটিই মুশফিকুর রহিমের সামনে খুলে দিয়েছে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দুয়ার।
সিলেটে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১২তম মৌসুম। যেখানে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলবেন মুশফিক। বিপিএলের নিলামে শুরুতে দল না পেলেও, দ্বিতীয় ধাপে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে কিনে নিয়েছে রাজশাহী।
এবারের বিপিএলে সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন মুশফিক।
বিপিএলের প্রথম ১১ আসর খেলে ১১৮ ম্যাচে ৩২ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৮৩৫ রান করেছেন তামিম। অন্য দিকে ১৪০ ম্যাচে ২১ ফিফটিতে মুশফিকের সংগ্রহ ৩ হাজার ৪৪৬ রান। সামনের আসরে তাই ৩৮৯ রান করলেই সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএলে তামিম ও মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারের ৩ হাজার রান নেই। নিকট ভবিষ্যতে মুশফিক ছাড়া তাই আর কারও পক্ষে তামিমের রেকর্ড ভাঙাও সম্ভব নয়।
টুর্নামেন্টের গত আসরটি তেমন ভালো যায়নি মুশফিকের। ১৪ ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১৮৪ রান। তবে এর দুই আসরে যথাক্রমে ৩৫৭ ও ৩৮০ রান। এছাড়া ২০১৯-২০ মৌসুমের বিপিএলে ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছিলেন এক আসরে নিজের সর্বোচ্চ ৪৯১ রান।
এবার তেমনই একটি বিপিএল কাটাতে পারলে তামিমকে টপকে সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
১/ তামিম ইকবাল - ৩৮৩৫
২/ মুশফিকুর রহিম - ৩৪৪৬
৩/ এনামুল হক বিজয় - ২৭৭৬
৪/ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ - ২৭২৬
৫/ লিটন দাস - ২৪৪৩

ছোটবেলায় পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু হয়ে গেলেন বিশ্বসেরা একজন ক্রিকেটার। অবশ্য পাইলট না হলেও তাঁর জীবন অনেকটা কমার্শিয়াল ফ্লাইটের বৈমানিকের মতো। আজ এখানে তো কাল ওখানে। আজ এ দেশ তো কাল ও দেশ।
অক্টোবরে সাকিব খেলেছেন কানাডা সুপার সিক্সটিতে। নভেম্বরে আবুধাবি টি-টেন, ডিসেম্বরে এখন খেলছেন আইএল টি-টোয়েন্টি। সাকিব তো ‘সুপারম্যান’ বলাই যায়! এ আর নতুন কি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে চষে বেড়ালেও লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারত সফরে।
তারপরই দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানান সাকিব। তবে দেশের পট পরিবর্তনের পর সে টেস্ট আর খেলা হয়নি তাঁর। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন এই সংস্করণে। নিজেই জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি-ই ছিল তাঁর শেষ।
তবে সাকিব এবার কথা বললেন কিছুটা উল্টো সুরে। জানিয়েছেন, কোনো সংস্করণ থেকেই এখনো অবসর নেননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান সব সংস্করণে। ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সব ফরম্যাট থেকেই অবসর নেইনি। এই প্রথমবার আমি বিষয়টি জানাচ্ছি। আমার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ানডে, টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলব এবং অবসর নেব।
মাঠ থেকেই অবসর নিতে চান সাকিব। খেলতে চান তিন ফরম্যাটের সিরিজ,
‘মানে, একটি সিরিজেই সব সংস্করণ থেকে অবসর নেওয়া সম্ভব। সেটি টি–টোয়েন্টি, ওয়ানডে, টেস্ট— এই ক্রমেও শুরু হতে পারে। আবার টেস্ট, ওয়ানডে, টি–টোয়েন্টি, এভাবেও হতে পারে। যেকোনোভাবেই আমার সমস্যা নেই। আমি শুধু পুরো সিরিজ খেলতে চাই এবং তারপর অবসর নিতে চাই। এটাই আমার ইচ্ছা।’
২০২৪ সালের মে মাসের পর থেকে দেশের বাইরে সাকিব। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টই ছিল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশে ফিরবেন কি না এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন,
‘আমি আশাবাদী। সেই কারণেই তো খেলছি (টি–টোয়েন্টি লিগগুলো)। আমার মনে হয় এটি সম্ভব হবে।’
ফলাফলের চাপ নয় এবং দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য একটি হোম সিরিজে ভক্তদের কিছু ফেরত দিতে চান সাকিব। ভক্তদের সামনে থেকে বিদায় নিতে চান। বললেন,
‘আমার মনে হয় একজন খেলোয়াড় যখন কিছু বলে, তারা সাধারণত কথায় অটল থাকার চেষ্টা করে। হুট করে বদলে ফেলে না। আমি ভালো খেলি কি না সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। চাইলে এর পর খারাপ সিরিজও খেলতে পারি। কিন্তু সেটা আমার দরকার নেই।’
আরও যোগ করেন,
‘আমার মনে হয় এটুকুই যথেষ্ট। এটি ভক্তদের বিদায় জানানোর একটু সুন্দর উপায়— যারা আমাকে সবসময় সমর্থন করেছেন। একটি হোম সিরিজ খেলে তাদেরকে কিছু ফেরত দেওয়া।’

স্বীকৃত ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতের অমিত পাসি। মাত্র ৫৫ বলে ১১৪ রান করে তিনি নাম লেখালেন টি-টোয়েন্টি অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে।
সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে সোমবার সার্ভিসেসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২৬ বছর ১০৩ দিন বয়সে স্বীকৃত ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেছেন অমিত। আর অভিষেক ম্যাচেই তিনি খেলেছেন ১০ চার ও ৯ ছক্কার বিধ্বংসী ইনিংসটি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সুপার এইট টি-টোয়েন্টি কাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৪৮ বলে ১১৪ সালের ইনিংস খেলেছিলেন শিয়ালকোটের বিলাল আসিফ। পরে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ৩ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলেন তিনি।
প্রায় দশ বছর এবার বিলালের রেকর্ডে ভাগ বসালেন অমিত। তার সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২২০ রান করে বারোডা। পরে সার্ভিসেসও দারুণ লড়াই করে। তবে শেষ পর্যন্ত ২০৭ রান করে ১৩ রানে হেরে যায় দলটি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার অমিত। ২০১০ সালে সর্বপ্রথম এই কীর্তি গড়েন হায়দরাবাদের আকশাত রেড্ডি। তিনিও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বর্তমান দলের কারও নেই। ২০০৩ সালে সবশেষ অজিরা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেয়। ২৩ বছর পর আবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
আগেরবার বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় কোনো স্টেডিয়াম নয়, নতুন ভেন্যুতে খেলে অস্ট্রেলিয়া। আর প্রায় দুই যুগ পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি নতুন মাঠেই আয়োজনের কথা ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ১২তম ভেন্যু হিসেবে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ম্যাকাইয়ের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনার উদ্বোধন হতে পারে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের মাঠ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছে।
২০২৬ সালের আগস্টে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ। যদিও সিরিজের ভেন্যু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের আগে হওয়ায় এই সিরিজের জন্য মূল কোন ভেন্যু পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন
| সান্তোসকে বাঁচিয়ে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা নেইমারের |
|
রিফ অ্যারেনায় একটি টেস্ট হলেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে কেয়ার্নস ও ডারউইনও। যেখানে আগে খেলেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও টাউনসভিলকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের উষ্ণ উত্তরাঞ্চলে একাধিক বিকল্প খুঁজছে সিএ, যেখানে সারা বছর উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে শীতকালেও ক্রিকেট সম্ভব।
ক্রিকেট নর্দার্ন টেরিটরির প্রধান নির্বাহী গ্যাভিন ডোভি পূর্বে ক্রিকেট ডটকম ডট অস্ট্রেলিয়াকে বলেছেন, তিনি 'আশাবাদী' যে ডারউইন ম্যাচগুলোর একটি পাবে।
ম্যাকাইয়ের ভেন্যুটি ১০ হাজার আসনের গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, সম্প্রচার এলাকা ও উচ্চমানের ট্রেনিং সুবিধা তৈরির জন্য রাজ্য সরকার থেকে ২ কোটি ডলার তহবিল পেয়েছে।
এই বছর অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দল এই মাঠে দুইটি ওয়ানডে খেলেছে। এছাড়া ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দুটি নারী টি-টোয়েন্টি এবং ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে তিনটি নারী ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল এই ভেন্যুতে।