
ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন জো রুট। ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সাবেকরা মনে করছেন, এ ধারাবাহিকতা থাকলে টেস্টে শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ রান ছাড়িয়ে যাওযার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ইংলিশ ব্যাটারের।
তবে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুট একদিন বড় খেলোয়াড় হবেন, এই ভবিষ্যৎ ১৩ বছর আগে দেখেছিলেন শচীন। সেটি ২০১২ সালে নাগপুরে রুটের অভিষেক ম্যাচেই। রিকি পন্টিং-জ্যাক ক্যালিসদের ছাড়িয়ে বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রুট। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে তাঁর রান ১৩৫৪৩, গড় ৫১.২৯।
রুটের সামনে শুধু এখন শচীন। তবে সম্প্রতি রেডিটে ‘আস্ক মি এনিথিং’ সেশনে (যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শচীন) এক প্রশ্নের জবাবে রুটকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। শচীনের কাছে জানতে চাওয়া হয়- রুট সম্পর্কে আপনার প্রথম ধারণা কী ছিল? এখন তো তিনি ১৩ হাজারের বেশি টেস্ট রান করেছেন, আপনার পরেই আছেন, আর তাঁর অভিষেক ম্যাচটাও হয়েছিল আপনার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন
| বুমরাহ না থাকলে কেন পারফরম্যান্স বেড়ে যায়, জানালেন সিরাজ |
|
রুটের ব্যাপারে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শচীন বলেন, ‘১৩ হাজারের বেশি রান করা বিশাল অর্জন। আর সে এখনো দুর্দান্ত খেলছে। আমি প্রথম ওকে দেখেছিলাম ২০১২ সালে নাগপুরে ওর অভিষেক টেস্টে। তখনই আমি সতীর্থদের বলেছিলাম, তোমরা ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ককে দেখছো। ওর যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছিল, সেটা হলো উইকেট বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা আর কীভাবে স্ট্রাইক রোটেট করছিল। তখনই বুঝেছিলাম, ও একদিন বড় খেলোয়াড় হবে।’
২০০ টেস্টে শচীনের ১৫৯২১ রান। ভারতীয় এই কিংবন্তি ক্রিকেটারের অগণিত রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ন থাকলেও টেস্টে তাঁর সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুট। তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে দরকার আর ২৩৭৮ রান।
সবশেষ অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার ট্রফিতে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পন্টিংকে ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন রুট। পাঁচ ম্যাচে তাঁর রান ৫৩৭, যেখানে ছিল তিনটি সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি।
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ থেকে ২১ ডিসেম্বর হবে ২০২৫ যুব এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন আজিজুল হাকিম তামিম।
তামিমের সহকারী হিসেবে থাকবেন জাওয়াদ আবরার। সব বিভাগে ভারসাম্য রেখে ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে নির্বাচক প্যানেল। যুবাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কোয়াড চূড়ান্ত হয়েছে। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে পাঁচ ক্রিকেটারকে।
ওয়ানডে সংস্করণে বছরটা ভালোই কেটেছে তামিম-জাওয়াদদের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়, ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জয়, ইংল্যান্ড সফরে ১-১ সমতা, নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-২ সমতা। আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের সামনে এশিয়ার সেরা মুকুট ধরে রাখার লড়াই।
দারুণ প্রস্তুতি নিয়ে আগামী পরশু দুবাইয়ের উড়ান ধরবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে কাল মিরপুরে হবে বিসিবির অফিশিয়াল ফটোসেশন। তাদের লক্ষ্যটা নিশ্চয় যুব এশিয়া কাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়! ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এবং গত বছর ভারতকে হারিয়ে টানা দুই শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এবার হ্যাটট্রিক মিশনে অভিযান তাদের।
আইসিসি একাডেমি মাঠে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও আছে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। ১৫ ডিসেম্বর নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ। ১৭ ডিসেম্বর লঙ্কানদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে আজিজুল হাকিমের দল।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), সামিউন বাসির রতুল, শেখ পারভেজ জীবন, রিজান হাসান, শাদিন ইসলাম, মো. আব্দুল্লাহ, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী আলিন, ইকবাল হোসেন ইমন, রিফাত বেগ, শাহরিয়ার আল আমিন, আহমেদ শাহরিয়ার, সাদ ইসলাম রাজিন ও মো. সবুজ।
স্ট্যান্ডবাই:
রাফি-উজ্জামান রাফি, সানজিদ মজুমদার, ফারজান আহমেদ আলিফ, ফারহান শাহরিয়ার, আব্দুর রহিম ও দেবাশীষ সরকার দেবা।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জেতার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেল রংপুর বিভাগ। লিগের সপ্তম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে তিন দিনেই তারা হারিয়ে দিল চ্যাম্পিয়নশিপে দৌড়ে থাকা আরেক দল খুলনা বিভাগকে। এখন তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে বরিশাল ও সিলেট ম্যাচের দিকে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল রংপুর। ইকবাল হোসেনের ১৭০ বলে ১১৪ রানের সৌজন্যে ২৩১ রানের লক্ষ্য ৫৫ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা।
লিগে নিজেদের সাত ম্যাচ শেষে এখন ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রংপুর। ছয় ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সিলেট। এছাড়া ছয় ম্যাচে ময়মনসিংহের ঝুলিতে ২৪ পয়েন্ট। তবে শেষ ম্যাচে ময়মনসিংহের জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই দৌড় থেকে ছিটকে গেছে তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সিলেট তেমন সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। ম্যাচের তিন দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৭ রানে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল। তাদের বাকি রয়েছে আরও ৬ উইকেট। বরিশালকে অলআউট করে পরে সেই রান তাড়া করা সিলেটের জন্যও সহজ হওয়ার কথা নয়।
রংপুরের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে খুলনা। এদিন আর মাত্র ৫৫ রান যোগ করতে পারা। টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবার শিকার করেন ২২ রানে ৫ উইকেট।
পরে রান তাড়ায় তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন ইকবাল ও নাঈম ইসলাম। ৪৫ রান করে ফিরে যান নাঈম। আকবরকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ব্যাটার ইকবাল।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আড়াই দিনে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে ঢাকা। চট্টগ্রাম বিভাগকে ইনিংস ও ১৯২ রানে হারিয়ে তারা।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আনিসুল ইসলাম ১৮৬, মার্শাল আইয়ুব ১৬৫ ও আশিকুর রহমান শিবলি ১০০ রান করলে ৬ উইকেটে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে চট্টগ্রাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ময়মনসিংহের বিপক্ষে জয়ের দুয়ারে রাজশাহী। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ময়মনসিংহের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। শেষ দিনে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ২০১ রান।
৬ চার ও ৯ ছক্কায় ৮৯ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত আবু হায়দার রনি। শেষ দিনে তার সেঞ্চুরিটিই হয়তো হতে পারে সান্ত্বনা।
রাজশাহীতে সিলেটের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১২ রান। তাদের লিড এখন ২৩৭ রানের। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি।
এই ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন শামসুর রহমান শুভ। নিজের শেষ ইনিংসে ১৭ রান করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। পরে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় তাকে গার্ড অব অনার দেন সিলেট ও বরিশালের ক্রিকেটাররা।

শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় ৯ মাস ধরে স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে দূরে তামিম ইকবাল। সামনের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলবেন না দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার। আর এটিই মুশফিকুর রহিমের সামনে খুলে দিয়েছে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দুয়ার।
সিলেটে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১২তম মৌসুম। যেখানে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলবেন মুশফিক। বিপিএলের নিলামে শুরুতে দল না পেলেও, দ্বিতীয় ধাপে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে কিনে নিয়েছে রাজশাহী।
এবারের বিপিএলে সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন মুশফিক।
বিপিএলের প্রথম ১১ আসর খেলে ১১৮ ম্যাচে ৩২ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৮৩৫ রান করেছেন তামিম। অন্য দিকে ১৪০ ম্যাচে ২১ ফিফটিতে মুশফিকের সংগ্রহ ৩ হাজার ৪৪৬ রান। সামনের আসরে তাই ৩৮৯ রান করলেই সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএলে তামিম ও মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারের ৩ হাজার রান নেই। নিকট ভবিষ্যতে মুশফিক ছাড়া তাই আর কারও পক্ষে তামিমের রেকর্ড ভাঙাও সম্ভব নয়।
টুর্নামেন্টের গত আসরটি তেমন ভালো যায়নি মুশফিকের। ১৪ ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১৮৪ রান। তবে এর দুই আসরে যথাক্রমে ৩৫৭ ও ৩৮০ রান। এছাড়া ২০১৯-২০ মৌসুমের বিপিএলে ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছিলেন এক আসরে নিজের সর্বোচ্চ ৪৯১ রান।
এবার তেমনই একটি বিপিএল কাটাতে পারলে তামিমকে টপকে সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
১/ তামিম ইকবাল - ৩৮৩৫
২/ মুশফিকুর রহিম - ৩৪৪৬
৩/ এনামুল হক বিজয় - ২৭৭৬
৪/ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ - ২৭২৬
৫/ লিটন দাস - ২৪৪৩

ছোটবেলায় পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু হয়ে গেলেন বিশ্বসেরা একজন ক্রিকেটার। অবশ্য পাইলট না হলেও তাঁর জীবন অনেকটা কমার্শিয়াল ফ্লাইটের বৈমানিকের মতো। আজ এখানে তো কাল ওখানে। আজ এ দেশ তো কাল ও দেশ।
অক্টোবরে সাকিব খেলেছেন কানাডা সুপার সিক্সটিতে। নভেম্বরে আবুধাবি টি-টেন, ডিসেম্বরে এখন খেলছেন আইএল টি-টোয়েন্টি। সাকিব তো ‘সুপারম্যান’ বলাই যায়! এ আর নতুন কি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে চষে বেড়ালেও লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারত সফরে।
তারপরই দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানান সাকিব। তবে দেশের পট পরিবর্তনের পর সে টেস্ট আর খেলা হয়নি তাঁর। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন এই সংস্করণে। নিজেই জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি-ই ছিল তাঁর শেষ।
তবে সাকিব এবার কথা বললেন কিছুটা উল্টো সুরে। জানিয়েছেন, কোনো সংস্করণ থেকেই এখনো অবসর নেননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান সব সংস্করণে। ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সব ফরম্যাট থেকেই অবসর নেইনি। এই প্রথমবার আমি বিষয়টি জানাচ্ছি। আমার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ানডে, টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলব এবং অবসর নেব।
মাঠ থেকেই অবসর নিতে চান সাকিব। খেলতে চান তিন ফরম্যাটের সিরিজ,
‘মানে, একটি সিরিজেই সব সংস্করণ থেকে অবসর নেওয়া সম্ভব। সেটি টি–টোয়েন্টি, ওয়ানডে, টেস্ট— এই ক্রমেও শুরু হতে পারে। আবার টেস্ট, ওয়ানডে, টি–টোয়েন্টি, এভাবেও হতে পারে। যেকোনোভাবেই আমার সমস্যা নেই। আমি শুধু পুরো সিরিজ খেলতে চাই এবং তারপর অবসর নিতে চাই। এটাই আমার ইচ্ছা।’
২০২৪ সালের মে মাসের পর থেকে দেশের বাইরে সাকিব। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টই ছিল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশে ফিরবেন কি না এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন,
‘আমি আশাবাদী। সেই কারণেই তো খেলছি (টি–টোয়েন্টি লিগগুলো)। আমার মনে হয় এটি সম্ভব হবে।’
ফলাফলের চাপ নয় এবং দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য একটি হোম সিরিজে ভক্তদের কিছু ফেরত দিতে চান সাকিব। ভক্তদের সামনে থেকে বিদায় নিতে চান। বললেন,
‘আমার মনে হয় একজন খেলোয়াড় যখন কিছু বলে, তারা সাধারণত কথায় অটল থাকার চেষ্টা করে। হুট করে বদলে ফেলে না। আমি ভালো খেলি কি না সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। চাইলে এর পর খারাপ সিরিজও খেলতে পারি। কিন্তু সেটা আমার দরকার নেই।’
আরও যোগ করেন,
‘আমার মনে হয় এটুকুই যথেষ্ট। এটি ভক্তদের বিদায় জানানোর একটু সুন্দর উপায়— যারা আমাকে সবসময় সমর্থন করেছেন। একটি হোম সিরিজ খেলে তাদেরকে কিছু ফেরত দেওয়া।’

স্বীকৃত ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতের অমিত পাসি। মাত্র ৫৫ বলে ১১৪ রান করে তিনি নাম লেখালেন টি-টোয়েন্টি অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে।
সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে সোমবার সার্ভিসেসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২৬ বছর ১০৩ দিন বয়সে স্বীকৃত ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেছেন অমিত। আর অভিষেক ম্যাচেই তিনি খেলেছেন ১০ চার ও ৯ ছক্কার বিধ্বংসী ইনিংসটি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সুপার এইট টি-টোয়েন্টি কাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৪৮ বলে ১১৪ সালের ইনিংস খেলেছিলেন শিয়ালকোটের বিলাল আসিফ। পরে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ৩ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলেন তিনি।
প্রায় দশ বছর এবার বিলালের রেকর্ডে ভাগ বসালেন অমিত। তার সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২২০ রান করে বারোডা। পরে সার্ভিসেসও দারুণ লড়াই করে। তবে শেষ পর্যন্ত ২০৭ রান করে ১৩ রানে হেরে যায় দলটি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার অমিত। ২০১০ সালে সর্বপ্রথম এই কীর্তি গড়েন হায়দরাবাদের আকশাত রেড্ডি। তিনিও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।