ফিফা বিশ্বকাপের খেলা চলাকালে গ্যালারিতে দর্শকদের সম্ভাব্য অপরাধ ঠেকাতে স্টেডিয়ামের ভেতরেই বিচার বিভাগীয় কমিটি বা অস্থায়ী কোর্ট বসানোর কথা চিন্তা করছে মরক্কো। দেশটির আইনমন্ত্রী আব্দেল লতিফ ওহাবি জানিয়েছেন এই খবর।
২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ মরক্কো। ওই টুর্নামেন্টের অন্য দুই আয়োজক দেশ মরক্কো ও পর্তুগাল। বৈশ্বিক এই আসরকে ঘিরে এরই মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মরক্কো।
মূলত বিশ্বকাপের আগে ও বিশ্বকাপ চলাকালে ছোটখাটো অভিযোগ ও মামলায় স্থায়ী আদালতগুলোর ওপর যেন বাড়তি চাপ না পড়ে, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মরক্কো। লিখিত বার্তায় এই কথা জানিয়েছেন ওহাবি।
আরও পড়ুন
আরও বাড়ছে আইপিএলের টিকিটের দাম |
![]() |
“প্রসিকিউটরদের নেতৃত্বে থাকা কমিটিগুলো বিচারিক ও নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভেতরে কাজ করবে। এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দ্রুত ঘটনাগুলো সামলানো সম্ভব হবে।”
মরক্কোর আশা, বিশ্বকাপ ঘিরে ২০৩০ সালে ২ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের আগমন ঘটবে তাদের দেশে। ২০২৪ সালে যা ছিল ১ কোটি ৭৪ লাখের কাছাকাছি। এত বেশি সংখ্যক মানুষকে আইনশৃঙ্খলার ভেতরে রাখতেই স্টেডিয়ামে কোর্ট বসানোর ভাবনা।
ওহাবি জানিয়েছেন, স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে একটি বিচারিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করবে মরক্কো। যার ফলে যে কোনো অভিযুক্তের সম্ভাব্য প্রত্যর্পণ বা মামলা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে, পারস্পরিক আইনি সহায়তাও পাওয়া যাবে।
মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কোতে বিশ্বকাপের সময় মদ্যপানের বিষয় নিয়েও চিন্তার জায়গা রয়েছে। এখন দেশটিতে অ্যালকোহল পাওয়া গেলেও প্রকাশ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ। কিন্তু বিশ্বকাপের খেলা দেখতে বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শকদের জন্য কিছুটা শিথিল হবে এই নিয়ম।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের টিকেটে ‘ডায়মানিক প্রাইস’, ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু |
![]() |
ওহাবি আভাস দিয়েছেন, নির্ধারিত ফ্যান জোনে মদ্যপানের সুযোগ রাখা হবে।
“বিদেশ থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের কিছু প্রচলিত অভ্যাস থাকেই, যেমন মধ্যপান। তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট জোন এবং স্পষ্টভাবে নির্ধারিত শর্তের অধীনে অনুমোদন দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো নিয়ে আলোচনা চলছে।”
এছাড়া অতিরিক্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিদেশি দর্শনার্থীদের সহায়তায় বহুভাষিক বিচারিক কাউন্টার, খেলাধুলা, পর্যটন ও ভোক্তা-সংক্রান্ত বিরোধে বিশেষ প্রশিক্ষিত বিচারক এবং আদালতের কাজের চাপ কমাতে মধ্যস্থতা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিস্তৃত ব্যবহার থাকবে।
এর বাইরেও টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ, রেল ও বিমানবন্দর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, হোটেল ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও নগর উন্নয়নসহ বড় ধরনের অবকাঠামো উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছে মরক্কো।
No posts available.
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৩ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:১৭ পিএম
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য জার্মানির, এমনটাই জানিয়েছেন দলের প্রধান কোচ জুলিয়ান নাগেলসমান। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের অভিযান শুরু করার আগে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কোচ।
“লক্ষ্য স্থির করাটা স্বাভাবিক বিষয়। কোনো দল বা ব্যক্তি লক্ষ্য ছাড়া এগোতে পারে না। আমি মনে করি, আমাদের সবারই বিশ্বকাপ জেতার ইচ্ছা আছে। আমি শতভাগ নিশ্চিত, কোনো খেলোয়াড় ভিন্নভাবে উত্তর দেবে না।”
ইউরো অঞ্চলের বাছাই পর্বে গ্রপ ‘এ’ এর উদ্বোধনী ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে মাঠে নামবে জার্মানি। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর কোলনে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে তারা।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ী ম্যাচে বিপদে পড়তে পারেন যারা |
![]() |
এছাড়া লুক্সেমবার্গও আছে তাদের গ্রুপে। এই গ্রুপে জার্মানি ফেবারিট হলেও নাগেলসমান সতর্ক করে দিয়েছেন, শুধু শিরোপার স্বপ্নে ডুবে না থেকে প্রতিটি ম্যাচে মনোযোগী হতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না। ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। ২০২৪ ইউরোতেও থেমে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। এ অবস্থায় সমর্থকদের মধ্যে হতাশা থাকলেও কোচ জোর দিয়েছেন ধারাবাহিকতায়।
“প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য বড় হলেও তাতে যেন সন্দেহ তৈরি না হয়। সাফল্যে পৌঁছাতে প্রক্রিয়াটাই আসল আমি চাই দল স্থিতিশীল হোক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ম্যাচ জেতা ও বাছাই নিশ্চিত করা। আমরা চাই সেটা আধিপত্য নিয়েই করতে।”
গত কদিন আর্জেন্টিনার ফুটবলে সব আলোচনার কেন্দ্রে একটিই ম্যাচ। লাতিন আমেরিকার দেশটির অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওলেন মেসির ঘরের মাঠে বিদায়ী ম্যাচের কথাই এখন যেন সবার মুখে মুখে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটির জয়-পরাজয় নিয়ে খুব কম লোকই ভাবছে বোধহয়।
আর্জেন্টাইন মহাতারকার বিদায়ের ক্ষণটা কেমন হবে? দেশের ভক্ত-সমর্থকরা কতটুকু শ্রদ্ধা-ভালোবাসা দিয়ে নিজেদের ইতিহাসের মহানায়কের বিদায় স্বরণীয় করে রাখতে পারবে, এসব নিয়েই যত আলোচনা।
তবে ‘স্পেশাল’ এই ম্যাচে বিপদে পড়তে হতে পারে মেসির কয়েকজন সতীর্থকে। হলুদ কার্ডজনিত কারণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচের আগে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন জুলিয়ান আলভারেজ-রদ্রিগো ডি পলরা।
আরও পড়ুন
পেনাল্টি ঠেকিয়েই মৃত্যুর কোলে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক |
![]() |
একাধিক ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখার পর এখন অন্তত ১১ জন আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামার সময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।
নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় থাকা আলবিসেলেস্তারা হলেন থিয়াগো আলমাদা, জুলিয়ান আলভারেজ, রদ্রিগো ডি পল, জিওভানি লো সেলসো, আলেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার, নাহুয়েল মোলিনা, গনজালো মন্টিয়েল, এজেকুয়েল পালাসিওস, লিয়ানদ্রো পারেদেস ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।
এছাড়া জার্মান পেজ্জেলাও এই হলুদ কার্ডের তালিকায় ছিলেন। তবে চোটের কারণে স্কোয়াডেই নেই তিনি। আর সরাসরি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছেন কেবল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটির মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। কলম্বিয়ার বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় তাকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ আছেন চেলসির এই মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন
টি স্পোর্টসে দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ |
![]() |
অবশ্য এরই মধ্যে বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনার জন্য ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি কেবলই নিয়ম রক্ষার। পাশাপাশি কার্ডজনিত কারণে দলের নিয়মিত কোনো সদস্য নিষিদ্ধ হলে মন্দের ভালো হিসেবে তরুণদেরও পরখ করে দেখার সুযোগ পাবেন কোচ লিওনেল স্কালোনি।
আর্জেন্টিনা দলে বেশ ক’জন তরুণ ও উদীয়মান মুখ রয়েছেন, যারা সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাতে আগামীকালের ম্যাচটিতে এই ১১ জনের কেউ হলুদ কার্ড দেখলে, সেটা হতে পারে তরুণদের নিজেকে প্রমাণ করার সেরা সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা নিশ্চিত করতেই তো মুখিয়ে আছেন মাস্তানতুয়োনো-আলমাদার মতো উঠতি তারকারা।
দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে এখন নেপালে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আগামী শনিবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে গড়াবে দুই দলের মধ্যকার প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচ ৯ সেপ্টেম্বর।
দুটি ম্যাচই সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের একমাত্র খেলাধুলার টিভি চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
আগামী মাসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হংকংয়ের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি ম্যাচ (৯ অক্টোবর ও ১৪ অক্টোবর) খেলবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের।
আরও পড়ুন
পেনাল্টি ঠেকিয়েই মৃত্যুর কোলে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক |
![]() |
গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচ দুটি সামনে রেখেই সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে নেপালে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। মূলত হংকং ম্যাচের আগে নিজেদের প্রস্তুত রাখতেই নেপালের বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচ।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এরই মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে গত ২৫ মার্চ হামজা চৌধুরীর অভিষেক ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ১-২ ব্যবধানে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট ভারতেরও, তবে গোলে পিছিয়ে থাকায় চারে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটি। সমান চার পয়েন্ট করে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর।
২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম ধাপের টিকিট বিক্রিতে থাকছে ডাইনামিক প্রাইসিং বা চাহিদাভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ। অর্থাৎ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী একই ম্যাচের টিকিটের দাম ভিন্ন হতে পারে।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিফা।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির প্রথম ধাপ শুরু হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। যা চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ী ম্যাচের আগে স্কালোনির চোখে জল |
![]() |
প্রথম ধাপের এই 'প্রি সেল' ড্রতে অংশ নিতে পারবেন ভিসা কার্ডধারীরা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের টিকিট শুরু হবে ৬০ ডলার থেকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। আর ফাইনালের টিকিটের দাম পৌঁছাতে পারে ৬ হাজার ৭৩০ ডলার বা সোয়া ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।
টিকেটের ব্যাপারে তথ্য জানিয়েছেন ফিফার টিকিটিং ও আতিথেয়তা বিভাগের পরিচালক ফাল্ক এলার।
“প্রথম ধাপে প্রায় ১০ লাখ টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দাম নির্ধারিত হবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী।”
এলার আরও জানান, এ প্রক্রিয়াটি মূলত এয়ারলাইন্সের টিকিট বা হোটেল ভাড়ার মতো, যেখানে ছুটির মৌসুমে চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যায়।
ডাইনামিক প্রাইসিং নিয়ে সমালোচনার ইতিহাসও আছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ ব্যান্ড ওয়েসিসের পুনর্মিলনী কনসার্টে ভক্তরা দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেখেন, টিকিটের দাম বেড়ে গেছে এই প্রক্রিয়ার কারণে।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার হয়ে স্পেন্স বললেন, ‘অনেক প্রার্থনা করি’ |
![]() |
ভিসা কার্ডধারীরা ফিফার ওয়েবসাইটে লগইন করে প্রিসেল ড্রতে অংশ নিতে পারবেন। ড্রয়ের মাধ্যমে র্যান্ডমভাবে সময়সীমা বরাদ্দ করা হবে। তবে ড্রতে নাম উঠলেই যে টিকিট মিলবে, এমন নিশ্চয়তা নেই।
ফিফা জানিয়েছে, পরে আরও কয়েকটি ধাপে টিকিট বিক্রি হবে। পাশাপাশি চলতি বছরের মধ্যেই একটি অফিশিয়াল রি-সেল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে। যেখানে নিরাপদে টিকিট পুনরায় বিক্রি করা যাবে। এ প্ল্যাটফর্মে দাম সীমাবদ্ধ থাকবে না, যাতে অনিয়ন্ত্রিত কালোবাজার মোকাবিলা করা যায়।
বিদায় শব্দটার সঙ্গে কষ্ট কিংবা আবেগের সর্ম্পক বেশ গভীর। আর সেই বিচ্ছেদ যদি হয় এমন কিছুর সাথে, যেখানে হাসি-কান্না, ব্যর্থতা কিংবা উল্লাসের মতো হাজারও গল্প লেখা হয়েছে, তাহলে তো আর কথাই নেই।
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্তালেও এমনই এক বিদায়ী বাঁশির সুর শুনতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। চেনা আঙিনায় নিজের শেষ ম্যাচটি খেলার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হতে ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ খেলবেন, আর আবেগের জোয়ারে পুরো দেশ ভেসে যাবে সেটাই যে স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন
মেসির ২১ বছর আগের পাওনা ৬ হাজার টাকা ফেরত দিতে চান সাবেক সতীর্থ |
![]() |
এই আবেগ ছুঁয়ে গেছে মেসির একসময়ের সতীর্থ থেকে বর্তমানে আর্জেন্টিনার দলের কোচ লিওনেল স্কালোনিকেও। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এসেছে নানান প্রসঙ্গ। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারে বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে স্কালোনির।
খেলোয়াড়ি জীবনের সঙ্গী মেসিকে ছোটবেলা থেকেই চেনেন স্কালোনি। তাই একসঙ্গে পথচলার স্মৃতি মনে করতে গিয়েই তার চোখ ভিজে ওঠে। এক পর্যায়ে উপস্থিত এক সাংবাদিকও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
পরিবেশটা হালকা করতে স্কালোনি মৃদু হাসিতে বলেন, ‘আপনি কাঁদছেন? আমার তো এমন ইচ্ছে ছিল না।’ জবাবে সেই সাংবাদিক বললেন, ‘আপনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দটা দিয়েছেন।’
এই কথা শুনে আর আবেগ সামলাতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ। চোখের কোণে জল চলে আসে। তবে পরক্ষণেই হালকা রসিকতা করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোধহয় এখানেই থামা উচিত।’
আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও স্কালোনির হৃদয়ে মেসি যে কতটা জায়গা জুড়ে আছে সেটাই বুঝালেন আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ।
“আমি তার সঙ্গে খেলেছি, কেবল বলটা তার কাছে পাস দেওয়াটাই ছিল এক বিশেষ অনুভূতি। বিশ্বকাপে তার পাশে থাকা, আর তাকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখাও এক অদ্ভুত আবেগের মুহূর্ত। সময় যত গড়াবে, আমরা সবাই আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব সেটার মানে।”
“আগামীকাল হবে এক অনন্য ও আবেগঘন দিন। আমি নিশ্চিত, এটা তার আর্জেন্টিনায় শেষ ম্যাচ নয়। আমরা নিশ্চিত করব, যদি সে চায় তবে আবারও এখানে খেলুক। কারণ সে এর যোগ্য।”
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার হয়ে স্পেন্স বললেন, ‘অনেক প্রার্থনা করি’ |
![]() |
মেসির আরও অনেক ভক্ত-সমর্থকের মতো স্কালোনিও বিশ্বাস করেন মেসির কোনো বিকল্প কখনো ছিল না, এমনকি ভবিষ্যতেও রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর কোনো উত্তরসূরি দেখা যাবে না।
“আর্জেন্টিনা কিংবা বিশ্ব ফুটবলে মেসির উত্তরসূরি? না, তেমন কেউ হতে পারে না। হবেও না। হয়তো কিছু মহান খেলোয়াড় আসবেন, যারা একটি যুগে ছাপ রাখবেন। কিন্তু তিনি যে কাজগুলো এত দীর্ঘ সময় ধরে করে গেছেন, আমি মনে করি তা আর পুনরাবৃত্তি হবে না।”
“ফুটবলে অনেক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে, তবু আমি প্রায় নিশ্চিত করে বলতে পারি ওর মতো কিছু আবার দেখা অসম্ভব। আমার বিশ্বাস, তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।”