
আগে ব্যাটিং করা জিম্বাবুয়ে যে স্কোর পেয়েছিল, আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সেটিকে লড়াকুও বলা যায় না। তবে সেই রান তাড়ায় শুরু থেকেই রীতিমত নাকানিচুবানি খাওয়ার দশা হল পাকিস্তানের। বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধের আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়া সফরকারীরা শেষ পর্যন্ত দিল এর চড়া মাশুল। বৃষ্টি আইনে যে বিশাল জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল জিম্বাবুয়ে।
বুলাওয়েতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গিয়েছিল ২০৫ রানেই। ২১ ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল ৬ উইকটে ৬০ রান করার পর বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় খেলা। বৃষ্টি আইনে তাতে ৮০ রানে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
| অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
|
ওপেনাররা স্বাগতিকরা পায় উড়ন্ত সূচনা। মাত্র পাঁচ ওভারেই হয়ে যায় ৪০ রান। জয়লর্ড গাম্বিয়ে রান-আউটে ভাঙে জুটি। এরপর একটা ধস নামে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডারে। ৯৯ রানেই চলে যায় পাঁচ উইকেট। সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন সিন উইলিয়ামস (২৩ রান) ও ব্রায়ান বেনেট (২০ রান)। একপ্রান্তে সিকান্দার রাজা থাকলেও তাই ১২৫ রানে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে যায় দলটি।
তবে অষ্টম উইকেটে রিচার্ড এনগারভার কাছ থেকে পান যোগ্য সমর্থন। দুজনে যোগ করেন মহামূল্যবান ৬২ রান। চাপের মুখে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ৩৯ রানে বিদায় নেন রাজা। তবে জিম্বাবুয়ের দুইশ পার করার মূল কৃতিত্ব এনগারভার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫২ বলে খেলেন ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। এরপরও ৪০.২ ওভারেই শেষ হয়ে যায় দলের ইনিংস। ৩টি করে উইকেট নেন আঘা সালমান ও ফয়াসাল আকরাম।
মামুলি স্কোর ডিফেন্ড করতে নেমে পাঁচ ওভারের মধ্যেই পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেব ব্লেসিং মুজারাবানি। তিন বাউন্ডারিতে শুরুটা ভালো পেলেও সেটা লম্বা করতে ব্যর্থ হন তিনে নামা কামরান গুলাম।
আরও পড়ুন
| হংকং সিক্সেসে’র ফাইনালে পাকিস্তান, হারলো অস্ট্রেলিয়া |
|
নড়বড়ে পথচলার মধ্যেই আক্রমণে এসেই পাকিস্তানকে আরও চেপে ধরেন রাজা। প্রথমে আঘা সালমানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলার পর একই ওভারে বোল্ড করেন হাসিবুল্লাহ খানকে। অন্যপ্রান্তে উইলউয়ামস ফেরান ইরফান খানকে।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে পাকিস্তানের যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে এখান থেকে এই ম্যাচ জেতা বেশ কঠিন কাজই হয়ে যেত। তবে রিজওয়ান (১৯*) ক্রিজে থাকায় আশাটা কিছুটা হলেও টিকে ছিলই। তবে অনেক প্রচেষ্টার পরও খেলা শুরু না হওয়ায় হার মেনে নিয়ে হয়েছে তার দলকে।
No posts available.
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ এম

দুই ম্যাচ বাকি থাকতে অ্যাশেজ
সিরিজ খুইয়েছে ইংল্যান্ড। সাবেক ও সমর্থকেরা রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছেন ইংলিশদের। সমালোচনার
মধ্যেই চোখ কপালে ওঠার মতো অভিযোগ বেন স্টোকসের দলের ওপর। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে ছুটিতে
ইংল্যান্ড দলের কিছু খেলোয়াড় নাকি অতিরিক্ত মদ্যপান করেছেন—এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে
দেশটির সংবাদমাধ্যম।
এই অভিযোগকে গুরুত্বের
সঙ্গে নিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার
আশ্বাস দিয়েছেন ইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব-কি। তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
অতিরিক্ত মদ্যপান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী
সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ও অন্যান্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিসবেন
টেস্টে হারের পর দুই দিন এবং নুসা সৈকতে আরও চার দিনসহ টানা ৬ দিন দলের কয়েকজন খেলোয়াড়
মদ্যপানে মগ্ন ছিলেন। সংবাদমাধ্যমগুলো এই ছুটিকে 'স্ট্যাগ ডু' বা মদ্যপানের আসরের সঙ্গে
তুলনা করে।
তারপরই ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের
পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে রব কি বলেন, ‘আমরা পুরো বিষয়টি
খতিয়ে দেখব এবং কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হব। যদি সত্যিই কেউ অতিরিক্ত মদ্যপান করে থাকে,
তাহলে সেটার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘
খেলোয়াড়দের এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত বললেন রব কি,
’আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয়। সাধারণভাবে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা শৃঙ্খলাবদ্ধ আচরণের জন্য পরিচিত।’
নুসা সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রব কি বলেন,
‘নুসা সফরের বিপক্ষে নই, যদি সেখানে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় থাকে। সৈকতে সময় কাটানো বা বিশ্রাম নেওয়া ঠিক আছে, কিন্তু কোনো ধরনের অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’
‘নুসা সফরের বিপক্ষে নই, যদি সেখানে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় থাকে।
সৈকতে সময় কাটানো বা বিশ্রাম নেওয়া ঠিক আছে, কিন্তু কোনো ধরনের অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য
নয়।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন ইতিহাসের জন্ম দিলেন ইন্দোনেশিয়ার গেদে প্রিয়ান্দানা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
বালিতে মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন প্রিয়ান্দানা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নারী ও পুরুষ মিলিয়েই এই প্রথম দেখা গেল এমন কিছু।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য এর আগে দুবার দেখা গেছে এক ওভারে বোলারের ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা। ২০১৩ সালের বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপে আবাহনীর বিপক্ষে শেষ ওভারে টানা ৪ বলে ৪টিসহ ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন আল-আমিন হোসেন।
পরে ২০১৯-২০ মৌসুমের সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির ম্যাচে হরিয়ামার বিপক্ষে এক ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন অভিমন্যু মিথুন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনও এক ওভারে বোলারের ৫ উইকেট নেওয়া ঘটনা দেখা যায়নি। তবে ওভারে ৪ উইকেটের ঘটনা আছে ১৪টি।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ১৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৬ রান করে ফেলে কম্বোডিয়া। এরপর প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন প্রিয়ান্দানা। প্রথম তিন বলে শাহ আবরার, নির্মলজিত সিং ও চন্থিউন রথনককে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন প্রিয়ান্দানা।
চতুর্থ বলটি ছিল ডট। পরে ওভারের শেষ দুই বলে মংদারা সোক ও পেল ভেনাককে ফিরিয়ে ইতিহাস গড়েন ২৮ বছর বয়সী পেসার।

কাগজে-কলমে সামর্থ্য বিবেচনায়
একেক দল একেকভাবে ভারসাম্য রচনা তো থাকবেই। কোথাও শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডার, কোথাও
আগুনে পেস, কোথাওবা স্পিনারদের প্রাচুর্য। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের
শক্তি-দুর্বলতা, মূল তারকা, সম্ভাব্য কম্বিনেশন ও এক্স-ফ্যাক্টর নিয়ে একটু ধারণা দেওয়ার
চেষ্টা।
দেশে ‘নোয়াখালী’ নামটাই
ব্র্যান্ড। বিভিন্ন সময় নানান ইস্যুতে আলোচনায় থাকে। বিপিএলে এবারই প্রথম নোয়াখালী
ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলবে। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন দীর্ঘ অভিজ্ঞতার
প্রয়োগ ঘটানোর আরেকটি সুযোগ। নোয়াখালীর পাশাপাশি এবার যদি বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজ থাকত,
হয়তো বিপিএলের আমেজ ভিন্নমাত্রা যোগ করত!
জাতীয় দলের হাসান মাহমুদ-সৌম্য
সরকার, জনসন চার্লস-কুশল মেন্ডিসদের মতো বিদেশি তারকা ক্রিকেটাররা খেলবেন নোয়াখালী
দলে। দলের ব্যাটিং অর্ডারের গভীরতা দারুণ। পাওয়ার-প্লে সুবিধা আদায় করে নেওয়ার মতো
তাদের টপ অর্ডার। সৌম্য, চার্লস, কুশল, হাবিবুর রহমান সোহানের মতো হার্ড হিটাররা আছেন।
নিলাম জাকের-অঙ্কনদের চেয়েও বেশি দামে সোহানকে কিনেছে তারা। সবশেষ এশিয়া কাপ রাইজিং
স্টারসে ৩৫ বলে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন।
মিডল অর্ডারে মাহিদুল ইসলাম
অঙ্কন, জাকের আলী অনিক, সৈকত আলী, হায়দার আলীর মতো ব্যাটাররা। পেস আক্রমণে হাসানের
সঙ্গে পাকিস্তানের গতি তারকা ইহসানউল্লাহ, বিলাল সামি, রেজাউর রহমান আছেন। ঘূর্ণি জাদু
দেখাতে প্রস্তুত নাজমুল ইসলাম অপু ও আবু হাশিম।
তবে নোয়াখালীর বড় সমস্যা
হতে পারে ভালো মানের স্পিন বা বৈচিত্র্য না থাকায়। ডেথ ওভারের বোলিং নিয়েও ভাবতে হবে
কোচ সুজনকে। তবে দুই সময়ের দুই অলরাউন্ডার—অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি ও পাকিস্তানের রাইজিং
স্টার মাজ সদাকাত হুমকি হতে পারেন যেকোনো দলের জন্য।
কোচ: খালেদ মাহমুদ সুজন
দল: হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জাকের আলী
অনিক, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস, মোহাম্মদ নবি, হায়দার আলি, ইহসানউল্লাহ খান, জহির
খান, মাজ সাদাকাত, ইবরার আহমেদ, বিলাল সামি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহান,
নাজমুল ইসলাম অপু, আবু হাশিম, মুশফিক হাসান, শাহাদাত হোসেন দীপু, রেজাউর রহমান রাজা,
মেহেদি হাসান রানা, সৈকত আলী, সাব্বির হোসেন।
নজর থাকবে: কুশল মেন্ডিস, হাবিবুর রহমান।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দলে নেই অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও অভিজ্ঞ স্পিনার নাথান লায়ন।
কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। পিঠের চোট কাটিয়ে গত ম্যাচে ফিরলেও ঝুঁকি এড়াতে পুরো অ্যাশেজ সিরিজ থেকেই তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন নাথান লায়ন। ডান পায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্ত্রোপচার করতে হবে তাঁকে। ফলে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকতে পারেন অভিজ্ঞ এই অফ-স্পিনার। তাঁর জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে টড মারফিকে।
এছাড়া চোট কাটিয়ে ফেরা পেসার ঝাই রিচার্ডসনও দলে জায়গা পেয়েছেন। কামিন্সের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন তিনি। অ্যাডিলেড টেস্টে না খেললেও দলে রাখা হয়েছে মাইকেল নেসার, বিউ ওয়েবস্টার ও ব্রেন্ডন ডগেটকে।
অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮২ রানে জিতে এরই মধ্যে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে অ্যাশেজ সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও সফরকারী ইংল্যান্ড।
অ্যাশেজে চতুর্থ টেস্টের অস্ট্রেলিয়া দলঃ
স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, ব্রেন্ডন ডগেট, ক্যামেরন গ্রিন, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, টড মারফি, মাইকেল নেসার, ঝাই রিচার্ডসন, মিচেল স্টার্ক, জেক ওয়েদারাল্ড, বো ওয়েবস্টার।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে এখন অচলাবস্থা চলমান। আইসিসির সদস্যপদ সংক্রান্ত নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটকে। এমন অচলাবস্থার কারণে যেন দেশটির ক্রিকেটাররা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য উদ্যেগ নিচ্ছে আইসিসি।
বর্তমানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতনের দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়েছে আইসিসি। আইসিসির সঙ্গে এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির (ইউএসওপিসি)।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটের স্থগিতাদেশ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রামের সব দিক পরিচালনা ও প্রয়োজনে অর্থায়ন করতে আইসিসি প্রস্তুত। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দলের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত ও চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন পরিশোধের দায়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
আগামী জানুয়ারি জিম্বাবুয়েতে হয়ে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেবে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দল । ফেব্রুয়ারি–মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আর ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসেও খেলবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে আইসিসি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের অচলাবস্থা যেন কোনোভাবেই বৈশ্বিক আসরে দেশটির অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। পাশাপাশি, ২০২৮ অলিম্পিক দিয়ে শত বছর পর অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরানোর আইসিসির পরিকল্পনাও বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।
আইসিসি আরও জানায়, দেউলিয়া ঘোষণার পর তারা যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, যাতে খেলোয়াড় ও হাই পারফরম্যান্স স্টাফদের বেতন পরিশোধ করা যায়। তবে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি ইউএসএ ক্রিকেট। ফলে আইসিসি এখন দেখছে, প্রয়োজনে তারা সরাসরি খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধ করতে পারে কি না, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের পক্ষ হয়ে।
আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারদের প্রতিই আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব। ইউএসএ ক্রিকেটের দেউলিয়া প্রক্রিয়া তাদের আইসিসি ইভেন্ট বা লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮ অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আইসিসি হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম পরিচালনা ও অর্থায়নে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক সংকট সমাধানে আইসিসির নরমালাইজেশন কমিটি তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি, মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) সহ দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোর অনুমোদন ও তদারকি সরাসরি আইসিসি করবে।