
অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষা আলোচনা-সমালোনার পর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন বাবর আজম। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
এশিয়া কাপে বাবর আজম ও রিজওয়ানকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণা করাই পরই শুরু হয় আলোচনা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেট অনেক দিন ধরেই রান পাচ্ছিলেন না বাবর। এ ছাড়া এই সংস্করণে তার ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়েও প্রশ্ন ওঠে মাঝেমধ্যেই। আবার অনেকের অভিযোগ দলের চেয়ে নিজের পরিসংখ্যানেই বেশি মনোযোগ দেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার। সেই বিতর্কের জেরে বাদ পড়েছিলেন এই ফরম্যাট থেকে। গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর থেকেই আর দেখা যায়নি তাকে টি-টোয়েন্টি দলে।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাবর। গড়ে ৪০ এর বেশি রান নিয়ে ইতোমধ্যে তাঁর মোট সংগ্রহ ৪২২৩ রান, ৩৬টি ফিফটি ও ৩টি সেঞ্চুরি। যদিও এই সংস্করণে ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
অবশ্য বাবরকে ছাড়া এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতায় আবরও প্রশ্ন ওঠে। এই ব্যাটারকে ছাড়া আসলে কতটা ভালো দল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত নির্বাচকরা তাঁর ওপর আস্থা রাখার সিদ্ধান্তই নিল।
আরও পড়ুন
| ওয়ানডেতে প্রথম টানা ডাক মারলেন কোহলি |
|
বাবরই পকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ফিরেছেন পেসার নাসিম শাহও । গত এশিয়া কাপে চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থাকছে সালমান আলী আগার কাঁধেই।
নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন অফ স্পিনার উসমান তারিক। সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ২০ উইকেট নেওয়ার পুরষ্কার হিসিবে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন তিনি। তবে মূল দলে জায়গা পাননি ফখর জামান ও হারিস রউফ -তারা থাকবেন রিজার্ভে। বাদ পড়েছেন তরুণ ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস।
রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ, ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। একই ভেন্যুতে ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট।
টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডে দলও ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। নতুন অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দলে দিয়েছে পাকিস্তান। অধিনায়কত্ব হারালেও দলে আছেন রিজওয়ান।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল:
সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, আব্দুল সামাদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, হাসান নেওয়াজ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ সালমান মির্জা, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, শাহিন শাহ আফ্রিদি, উসমান খান (উইকেটকিপার), উসমান তারিক।
রিজার্ভ: ফখর জামান, হারিস রউফ, সুফিয়ান মুকিম।
পাকিস্তানের ওয়ানডে দল:
শাহিন শাহ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফয়সাল আকরাম, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসিবউল্লাহ, হাসান নেওয়াজ, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলী আগা।
No posts available.
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪৮ পিএম
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৫ পিএম

সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে পাত্তাই পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ড ব্যবধানে জয়ে সিরিজের ট্রফি নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। টানা ৪ সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল তারা।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৭৯ রানে জিতল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ২৯৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ৩০.১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এর চেয়ে বড় জয় আছে আর একটি। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৩ রানে জিতেছিল তারা।
মিরপুরে অবশ্য এটিই সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারায় তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের বড় জয়ের রেকর্ড ছিল ১৬০ রানের, ২০১২ সালে।
বাংলাদেশের বড় জয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। সব মিলিয়ে সিরিজে তার শিকার ১২টি উইকেট। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশের কোনো বোলার ১০ বা তার বেশি উইকেট নিলেন।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লের মধ্যে তাদের টপ-অর্ডার তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। এরপর উইকেট শিকারে যোগ দেন তানভির ইসলাম। পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারও চমৎকার বোলিং করেন রিশাদ। নাসুমের মতো তিনি নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া তানভির ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার ২টি করে উইকেট।
উইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন দশ নম্বরে নামা আকিল হোসেন। এছাড়া আর কেউ ২০ রানও করতে পারেননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৯৬ রান। হোম অব ক্রিকেটে ৭ বছরের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২০ রান করেছিল তারা।
অথচ একপর্যায়ে ২৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ১৭৬ রান। সেখান থেকে ইনিংসের বাকি অর্ধেকে আর কাঙ্খিত রান পায়নি স্বাগতিকরা। বাকি ২৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ১২০ রান।
পুরো ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা মারেন মোট ১৪টি ছক্কা। সাইফের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬টি ছক্কা। এছাড়া সৌম্য সরকার ৪ ও নাজমুল হোসেন শান্ত মারেন ৩টি ছক্কা। শেষে নুরুল হাসান সোহানের ছক্কায় নিজেদের রেকর্ড স্পর্শ করে তারা।
২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৪টি ছক্কা মেরেছিল বাংলাদেশ। সেদিন তামিম ইকবাল ৬টি ও লিটন কুমার দাস মেরেছিলেন ৮টি ছক্কা।
দলের তিনশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহের কারিগর দুই ওপেনার সৌম্য ও সাইফ। দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়ে ১৭৬ রান যোগ করেন তারা দুজন। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ও লিটন।
তবে আশা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি সাইফ ও সৌম্য। ৬টি করে চার-ছক্কায় ৮০ রান করে ক্যাচ আউট হন সাইফ। আর সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৯১ রান।
ওপেনারদের বিদায়ের পর আর বাড়েনি রানের গতি। উল্টো পেছন পানে হাঁটা ধরে বাংলাদেশ। দুইবার জীবন পেয়েও ৫৫ বলে ৪৪ রানের বেশি করতে পারেননি শান্ত। তিন নম্বরে নামা হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ২৮ রান।
আগের দুই ম্যাচে ঝড় তোলা রিশাদ হোসেনকে নামানো হয় ছয় নম্বরে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। আকিল হোসেনের করা ৪৬তম ওভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ ও নাসুম আহমেদের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরে অষ্টম উইকেটে ২৪ বলে ৩৫ রান যোগ করেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৭ বলে ১৭ রান করেন মিরাজ আর সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৬ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আকিল হোসেন। তাদের ফিল্ডাররা ছেড়ে দেয় ৬টি ক্যাচ। এর মাশুল দিয়ে বড় পরাজয়ের সিরিজটিও হেরে যায় তারা।
চট্টগ্রামে আগামী সোমবার শুরু হবে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (সাইফ ৮০, সৌম্য ৯১, হৃদয় ২৮, শান্ত ৪৪, অঙ্কন ৬, রিশাদ ৩, নাসুম ১, সোহান ১৬*, মিরাজ ১৭; আকিল ১০-১-৪১-৪, চেজ ৮-১-৫৩-১, পিয়েরে ১০-০-৪৬-০, গ্রিভস ৭-০-৬১-০, মোতি ৮-০-৫৩-১, আথানেজ ৭-০-৩৭-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩০.১ ওভারে ১১৭ (আথানেজ ১৫, কিং ১৮, অগাস্ত ০, কার্টি ১৫, হোপ ৪, রাদারফোর্ড ১২, চেজ ০, গ্রিভস ১৫, মোতি ৭, আকিল ২৭, পিয়েরে ০*; নাসুম ৬-১-১১-৩, মিরাজ ৭-০-৩৫-১, তানভির ৮-০-১৬-২, রিশাদ ৯-০-৫৪-৩)
ফল: বাংলাদেশ ১৭৯ রানে জয়ী

ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি শুবমান গিল। অ্যাডিলেইডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে দুই উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল অষ্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার ভারতের ছুড়ে দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্য ২২ বল এবং দুই উইকেট হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভাল হয়নি অষ্ট্রেলিয়ার। অষ্টম ওভারে দলীয় ৩০ রানের মাথায় অধিনায়ক ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেরেন মিচেল মার্শ। ট্রাভিস হেডও উইকেটে টিকতে পারেননি বেশি সময়; ২৮ রান করে হরশিত রানার বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এক প্রান্ত আগলে ইনিংস গড়েন ম্যাথিউ শর্ট। তৃতীয় উইকেটে ম্যাট রেনশোকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। রেনশো ৩০ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এলেক্স ক্যারির দ্রুত বিদায়ের পর পঞ্চম উইকেটে শর্ট ও কুপার কনলি ৫৫ রানের জুটি গড়ে অষ্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে রাখেন। রানার বলে আউট হবার আগে শর্ট করেন ৭৮ বলে ৭৪ রান। এরপর মিচেল ওউয়েন ২৩ বলে ঝোড়ো ৩৬ রান করে ফিরে যান। শেষদিকে দ্রত তিন উইকেট হারায় অজিরা। তবে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন কনলি। ৫৩ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত; ১৭ রানে হারায় দুই উইকেট। ৯ রানে ফেরেন গিল। একই ওভারে শুন্য রানে আউট হন কোহলি। জাভিয়ার বার্টলেটের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে ৪ বল খেলেই আউট হয়ে যান তিনি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে টানা ডাক মারার তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়েন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে ১১৮ রানের জুটিতে দলকে টেনে তোলেন রোহিত শর্মা ও শ্রেয়াস আইয়ার। মিচেল স্টার্কের বলে আউট হওয়ার আগে রোহিত করেন ৭৩ রান। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান আইয়ারও। জাম্পার বলে বোল্ড হবার আগে তিনি করেন ৬১ রান। এরপর অক্ষরের ৪৪, রানার ২৪ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৪ রান তোলে ভারত।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আজ বিসিবির ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। এশিয়া কাপ চলাকালে চোটে পড়েছিলেন অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। পরবর্তীতে আফগানিস্তান সিরিজেও খেলা হয়নি তার। তবে অতিথি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন লিটন।
১৫ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়েছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। যিনি এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তান সিরিজে দলে ছিলেন।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ২৬, ২৮ ও ৩১ অক্টোবর। প্রতিটি ম্যাচই সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে।
বাংলাদেশ দল
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন, কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

দেশের আনাচে–কানাচে ছড়িয়ে থাকা তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের ক্লাব পর্যায়ে খেলার সুযোগ তৈরিতে ‘স্বপ্নযাত্রা ট্যালেন্ট হান্ট’ আবাসিক ক্যাম্প আয়োজন করেছে এইস স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। নির্বাচিত ক্রিকেটারদের নিয়ে ৫ দিনের এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে ২৯, ৩০, ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর।
‘স্বপ্নযাত্রা ট্রায়াল’-এ এর আগে সারাদেশ থেকে সাত হাজারের বেশি ভিডিও আবেদন জমা পড়ে। বিশেষজ্ঞদের যাচাই–বাছাইয়ে চার শতাধিক প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে ঢাকার ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দুই দিনের ট্রায়ালে ডাকা হয়। ট্রায়ালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। এইস স্পোর্টস নেটওয়ার্কের সহযোগী ১৩টি ক্লাবের কোচ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ট্রায়ালে। বিভিন্ন ড্রিলের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের দক্ষতা ও সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
স্বপ্নযাত্রা ট্রায়াল থেকে বাছাই হওয়া সেরা ৩৫ জন ক্রিকেটার অংশ নেবেন আবাসিক ক্যাম্পে। সেখানে স্পেশালিস্ট কোচদের অধীনে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, গেম–অ্যাওয়ারনেস, ফিটনেস ও মানসিক দৃঢ়তা—সব ক্ষেত্রে তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব নির্বাচিত ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে আগ্রহ দেখিয়েছে। ক্যাম্প শেষে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাদের জন্য ক্লাব প্লেসমেন্টের সুযোগ তৈরি হতে পারে, যা তরুণ প্রতিভাদের সরাসরি ঢাকার ক্লাব পর্যায়ে খেলার দরজা খুলে দেবে।

বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সিরিজের প্রথম ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টি বাধায়। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৬৫ রানে হারিয়েছিল ইংলিশরা।
অকল্যান্ডে আজ টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। মাঠে নেমে মাত্র তিন বল পরই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর ম্যাচ কমিয়ে আনা হয় ১৪ ওভারে। বৃষ্টি থামলে আবার খেলা শুরু হয়। কিন্তু ৩.৪ ওভার শেষে ফের বৃষ্টির হানা। তখন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৮ রান। টিম সেইফার্ট ১১ বলে ২৩ ও রাচিন রবীন্দ্র ৮ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এরপর আরও একদফা চেষ্টা করা হয় ম্যাচ আয়োজনের। তবে মাঠে নামার আগেই আবারও শুরু হয় বৃষ্টি। পরে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। আর তাতেই সিরিজ নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। সিরিজসেরা হয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি ব্রক।
মাউন্ট মঙ্গুনাইয়ে আগামী রোববার শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।