৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম

খেলাধুলার ইতিহাসে বীরোচিত ঘটনার নজির আছে অনেক। অনেকের মতে খেলাধূলা নিছক কোনো প্রতিযোগিতা নয়, বিনোদনের এই বিভাগকে কেউ কেউ যুদ্ধের সঙ্গেও তুলনা করেন, যেখানে প্রতিটি খেলোয়াড় হয়ে ওঠে একেকজন যোদ্ধা।
কখনও দলের স্বার্থে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া, কখনও আবার জীবন-মৃত্যুর সীমানায় দাঁড়িয়ে দেশের জন্য লড়াই করে যাওয়ার উদাহারণ সৃষ্টি করে অনেকেই অমর হয়ে আছেন।
ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় ব্রাজিলে খেলতে খেলতে জীবন দেওয়ার মতোই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এক ফুটসাল গোলরক্ষক। ব্রাজিলের প্যারা প্রদেশে এক অপেশাদার ফুটসাল টুর্নামেন্টে ঘটেছে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা।
ব্রাজিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে গত সোমবার রাতে আয়োজিত এক ফুটসাল ম্যাচে পেনাল্টি ঠেকিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গোলরক্ষক এডসন।
আরও পড়ুন
| ১১ বছর পর কোয়াবের নতুন সভাপতি |
|
পেনাল্টি শট ঠেকানোর সময় বলটি তার বুকে তীব্রভাবে আঘাত করে। পেনাল্টি সেভ করার পর এডসন কয়েক কদম হেঁটে তার সতীর্থদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই মাঠের মাঝেই মুখ থুবড়ে পড়ে যান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
ঘটনাস্থলে থাকা মেডিক্যাল টিম তাৎক্ষণিকভাবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এবং দ্রুতই সাও মিগেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি।
এডসনের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় টুর্নামেন্টের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং স্থানীয় জনগণের মাঝেও চরম উদ্বেগ ও শোকের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ওই বিবৃতির অপেক্ষা করছে সবাই।
No posts available.
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২০ পিএম

হ্যান্ডবলের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা সখীর মতো বললেও ভুল হবে না। একজন খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি, এজেন্ট, ম্যানেজার এবং শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা- অস্থিমজ্জায় যার হ্যান্ডবল! অনেক কিছুরই স্বাদ পেয়েছেন, ৬৬ ছুঁই ছুঁই গার্ড বুটসেক এবার ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডবল ফেডারেশনের (আইএইচএফ) দায়িত্ব নিতে চান।
১৯৫৯ সালে জার্মানির সোলিঙ্গেনে জন্ম বুটসেকের। ২৭ বছরে বুন্দেসলিগার সর্বকনিষ্ঠ রেফারির কীর্তি গড়েন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি মিউনিখের টিএসভি মিলবার্টশোফেনে জার্মান হ্যান্ডবলে প্রথম পেশাদার টিম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় রেফারির পদ ছাড়েন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত জাতীয় দলগুলোর ম্যানেজারও ছিলেন। আন্তর্জাতিক বিচ হ্যান্ডবল বিকাশের পথিকৃৎও ছিলেন তিনি।
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইএইচএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ইএইচএফ প্রফেশনাল হ্যান্ডবল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন বুটসেক। তাঁর ভাষায, 'হ্যান্ডবল আরও বেশি কিছু পাওয়ার যোগ্য'। নির্বাচিত হলে দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলাদেশের হ্যান্ডবল উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চান। টি স্পোর্টসকে বললেন নির্বাচিত হলে প্রধান অগ্রাধিকার অলিম্পিক গেমসের কেন্দ্রে হ্যান্ডবলকে ধরে রাখা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।
বিচ হ্যান্ডবলে ২০০১ সালের ওয়ার্ল্ড গেমসে জেতার পর
টি-স্পোর্টস: আইএইচএফের নতুন সভাপতির প্রধান অগ্রাধিকারগুলো কী হওয়া উচিত? আপনার কী মনে হয়?
গার্ড বুটসেক: নম্বার ওয়ান অগ্রাধিকার হলো হ্যান্ডবলের অলিম্পিক স্থিতি নিশ্চিত করা। এটি অর্জন করতে হলে আমাদের খেলাকে বিশ্বের বৃহত্তম বাজার—ভারত, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রসারণ করতে হবে। আইওসি এমন খেলাকে মূল্য দেয় যার বৈশ্বিক প্রসার শক্তিশালী এবং টিভি রেটিং ভালো। এসব অঞ্চলে দর্শকসংখ্যা বাড়ানো ছোট বাজারের তুলনায় অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে। এটি হ্যান্ডবলকে সত্যিকারের বৈশ্বিক খেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপার।
টি-স্পোর্টস: উদীয়মান দেশগুলোতে হ্যান্ডবলের বিকাশ এবং খেলাটিকে আরও বৈশ্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে আপনি কী ধরনের উদ্যোগ নিতে চান?
বুটসেক: প্রাপ্যতাই মূল বিষয়। আমি তৃতীয় একটি ডিসিপ্লিন চালু করতে চাই: আরবান হ্যান্ডবল। এটি হ্যান্ডবলের সরলীকৃত রূপ—কম খেলোয়াড়, বাস্কেটবল কোর্ট, স্কুলের মাঠ এবং আউটডোর স্পেসে খেলা যায়। কম বাধা, সহজ নিয়ম এবং আরও মজা। এটি হ্যান্ডবলকে সবার জন্য, সব জায়গায় সহজলভ্য করবে।
টি স্পোর্টস: নির্বাচিত হলে হ্যান্ডবলে প্রথম কোন পরিবর্তন আনবেন?
বুটসেক: আমি ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডবল ফেডারেশনের বর্তমান 'টাকা বাঁচানো' মানসিকতা পরিবর্তন করে 'উন্নয়নে বিনিয়োগ' করার দিকে নিয়ে যাব। উন্নয়নের জন্য সম্পদের প্রয়োজন এবং আমাদের হ্যান্ডবলের ভবিষ্যতের জন্য সাহসীভাবে বিনিয়োগ করতে হবে।
টি স্পোর্টস: বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
বুটসেক: বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ফুটবলসহ শক্তিশালী ক্রীড়া সংস্কৃতি আছে। আমার পদ্ধতি হলো সহযোগিতা—বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সঙ্গে বসে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করা। তারা তাদের দেশ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানে—আমাদের ভূমিকা হবে সহায়তা ও ক্ষমতায়ন করা, নির্দেশ দেওয়া নয়।
টি স্পোর্টস: দক্ষিণ এশিয়ায় হ্যান্ডবলে মানুষকে আরও যুক্ত করতে কী করা উচিত?
বুটসেক: হ্যান্ডবল শুরু করার প্রক্রিয়া সহজ হতে হবে। সহজ প্রবেশাধিকার, সহজ নিয়ম। এ ছাড়াও হ্যান্ডবল হলো মূল্যবোধের খেলা: ন্যায়, সম্মান, প্রতিশ্রুতি। এই মূল্যবোধ দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের সাথে গভীরভাবে সংযোগ ঘটাতে পারে। আরবান হ্যান্ডবলের মতো প্রকল্পগুলো—যেগুলোর জন্য বড় অবকাঠামো লাগে না, দক্ষিণ এশিয়ায় হ্যান্ডবলকে সহজলভ্য করতে পারে।
টি স্পোর্টস: এই অঞ্চলের হ্যান্ডবলের ভবিষ্যৎ আপনি কীভাবে দেখছেন?
বুটসেক: এশিয়া বৃহত্তম মহাদেশ এবং আফ্রিকার সঙ্গে মিলিয়ে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বাজার। আইএইচএফের অবশ্যই এই অঞ্চলে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে হবে—এটি কোনো বিকল্প নয়, বরং একটি কৌশলগত প্রয়োজন।
টি স্পোর্টস: বর্তমানে বিশ্ব হ্যান্ডবলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
বুটসেক: আমাদের স্বীকার করতে হবে হ্যান্ডবলও একটি ব্যবসা। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে আধুনিক কাঠামো ও পেশাদার পদ্ধতি অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে আইএইচএফে ২০ জন কর্মী আছে, যেখানে বাস্কেটবলে আছে ২০০ জন। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় থাকতে হলে এই ব্যবধান কমাতে হবে।
তিনবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন আন্দ্রে লাভেরভের সঙ্গে
বিশ্বব্যাপী হ্যান্ডবল প্রচারের অনেক উপায় আছে—বড় টুর্নামেন্টের হাইলাইট ক্লিপ বিনামূল্যে দেওয়ার মিডিয়া কৌশল, আইএইচএফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক উন্নতি ইত্যাদি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, এটি তরুণদের অনুপ্রাণিত করা, স্কুলে এবং ক্লাবে হ্যান্ডবল খেলতে উৎসাহিত করা—এসবের উপর নির্ভর করে।
টি স্পোর্টস: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কীভাবে নিশ্চিত করবেন?
বুটসেক: নেতৃত্বের আমার ধারণা হলো—বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করা, যাদের স্পষ্ট দায়িত্ব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আছে। সভাপতি একা সব সিদ্ধান্ত নেবে—এমনটা হওয়া উচিত নয়। কমিশনগুলোকে আবার সক্রিয় করতে হবে, যাতে তারা নেতৃত্ব নেয় এবং অগ্রগতি চালায়। দ অবশ্যই, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে, যাতে সব স্টেকহোল্ডার একত্রে হ্যান্ডবলের ভবিষ্যতের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার দাবি যেমন বলে: হ্যান্ডবল আরও বেশি প্রাপ্য!
টি স্পোর্টস: এই অঞ্চলের অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা উন্নয়নে আইএইচএফ কী ভূমিকা রাখতে পারে?
বুটসেক: এটি মূলত মহাদেশীয় ফেডারেশনের দায়িত্ব। আইএইচএফের ভূমিকা হলো সক্ষম করে তোলা, সহায়তা করা এবং কার্যকর যোগাযোগ রাখা। সবাইকে তাদের অংশটুকু করতে হবে—সহযোগিতা এবং স্পষ্টতা গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমি আইএইচএফ সভাপতি হলে বিশ্বব্যাপী অনেক বেশি বিনিময় ও অবকাঠামো প্রকল্প দেখা যাবে।
আগামী ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর মিশরের কায়রোতে হবে আইএইচএফ নির্বাচন কংগ্রেস।

ডব্লিউডব্লিউইকে বিদায় জানাচ্ছেন সুপারস্টার জন সিনা। আগামী সোমবার রাতে ‘র’-এ শেষবারের মতো রিংয়ে উঠবেন তিনি। নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হবে তাঁর বিদায়ী ম্যাচ।
২৩ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারকে স্মরণ করে সামাজিক মাধ্যমে (এক্সে) এক বার্তায় সিনা বলেন,
“এই সময়ে আমি ৫৪৪টি ম্যাচ খেলেছি, যা ডব্লিউডব্লিউই ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আমার সবচেয়ে প্রিয় ম্যাচ… সেটাই যা সামনে আসছে। আর সেটাই হবে শেষ ম্যাচ।”
ডব্লিউডব্লিউই কতৃপক্ষ এখনও জানায়নি শেষবার কার বিপক্ষে রিংয়ে নামবেন সিনা। বর্তমানে তিনি তাঁর বিদায়ী সফর ‘লাস্ট টাইম ইজ নাউ’ নিয়ে ব্যস্ত। ১৩ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘স্যাটারডে নাইট’স মেইন ইভেন্ট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিনার বিদায়ী সফর শেষ হবে।
এক সপ্তাহ আগেই নিজ শহর বোস্টনে ডমিনিক মিস্টেরিওকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সিনা।

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আজ ঢাকায় পা রেখেছে ভারত ও জাঞ্জিবার নারী কাবাডি দল।
টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার। স্ট্যান্ডবাই দল হিসেবে রয়েছে পাকিস্তান ও পোল্যান্ড।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের পাটনায় অনুষ্ঠিত হয় মেয়েদের কাবাডি বিশ্বকাপ। সেবার জাপানের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেছিল বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক ভারত, রানার্স-আপ ইরান।
বিশ্বকাপের সব ম্যাচ হবে মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। ২৫ নভেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আসর।
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম

ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে পর্দা নামলো এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের। ৮ নভেম্বর পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ৩০ টি দেশের আর্চাররা।
টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত ও দলীয় ইভেন্টে পদক তালিকায় শীর্ষে ভারত। ৬টি স্বর্ণ, ৩টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে ১০টি পদক জিতেছে প্রতিবেশি দেশ। ২টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য ও ৪ টি ব্রোঞ্জ জিতেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আয়োজক বাংলাদেশ একটি রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ জিতেছে।
আজ দিনের শুরু হয় রিকার্ভ নারী দলগত ইভেন্টের ফাইনাল দিয়ে। চাইনিজ তাইপেকে ৬-০ সেট পয়েন্টে (৫৪-৫২, ৫৭-৫৫, ৫৬-৫১) হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ার হয়ে খেলেন জ্যাং মিনহি, কিম সু রিন, নাম সু হিউন। উজবেকিস্তানকে ৬-০ সেট পয়েন্টে হারিয়ে আগেই এই ইভেন্টের ব্রোঞ্জ পেয়েছিল মালয়েশিয়া।
রিকার্ভ পুরুষ দলগত ফাইনালে জমজমাট লড়াই হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের। টাইব্রেকারে ৫-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে (৫৬-৫৬, ৫৬-৫৬, ৫৭-৫১, ৫৭-৫৩) জিতে স্বর্ণপদক নিজেদের করে নেয় ভারত।
চার সেটে দুই দলের পয়েন্ট সমান (৪-৪) হলে টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। সেখানেও তিন তীর ছোঁড়ার লড়াইয়ে দুই দল ২৯ স্কোর করে, তবে তীর কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি হওয়ার সুবাদে ২৯+ পয়েন্ট নিয়ে জিতে যায় সঞ্জয় ইয়াশদীপ ভোগে, অতনু দাস ও রাহুলকে নিয়ে গড়া ভারত দল। এই ইভেন্টের ব্রোঞ্জ আগের দিন জিতেছিল উজবেকিস্তান।
রিকার্ভ দলগত মিশ্র দ্বৈতে একপেশে লড়াইয়ে ৬-২ সেট পয়েন্টে (৩৬-৩৫, ৩৬-৩৭, ৩৪-৩৬, ৩৪-৩৫) উজবেকিস্তানকে হারিয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছে চাইনিজ তাইপে। চাইনিজ তাইপের হয়ে খেলেন লি তিসাই-চি ও তাই ইউ-হুসুয়ান জুটি।
রিকার্ভ দলগত মিশ্র দ্বৈতের ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে ভারতকে ৬-০ সেট পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জ্যাং মিনহি-সিও মিনগি জুটি।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে রিকার্ভ নারী এককে স্বর্ণপদক জিতেছেন ভারতের অঙ্কিতা ভাকাত। ফাইনালে ৭-৩ সেট পয়েন্টে (২৯-২৭, ২৬-২৬, ২৬-২৮, ২৯-২৮, ২৯-২৮) হারিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাম সুহেউনকে।
এ ইভেন্টের ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে টাইব্রেকারে ৬-৫ সেট পয়েন্টে জিতেছেন ভারতের দ্বীপিকা কুমারী, হারিয়েছেন স্বদেশী সঙ্গীতাকে। ৫-৫ সমতার পর টাইব্রেকারে দুজনের ১০ স্কোর করেন, তবে কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি নিশানা ভেদ করে জয় পান দ্বীপিকা।
রিকার্ভ পুরুষ এককের ফাইনাল দিয়ে শেষ হয় এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। এই ইভেন্টে হয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া’ ফাইনালে। ভারতের ধীরাজ বোম্মাদেভারা ৬-২ সেট পয়েন্টে (২৮-২৮, ২৯-২৬, ২৮-২৮, ২৮-২৬) স্বদেশি রাহুলকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন। এই ইভেন্টের ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিও মিনগি ৭-১ সেট পয়েন্টে স্বদেশি জ্যাং চিয়েহাওয়ান হারিয়েছেন।

ষষ্ঠ ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের মিশ্র দ্বৈতে রৌপ্য বিজয়ী খৈ খৈ সাই মারমা দেশে ফিরেছেন। আজ বিকাল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা পবিত্র ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরবেন।
খৈ খৈকে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর সুমনসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ষষ্ঠ ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে টেবিল টেনিসে মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে উঠে মো. জাবেদ আহমেদ–খৈ খৈ সাই মারমা জুটি বাংলাদেশকে রৌপ্য পদক এনে দেন। সেমিফাইনালে তাঁরা বাহারাইনকে ৩–১ সেটে হারিয়েছিলেন। যদিও ফাইনালে তুরস্কের কাছে হেরে স্বর্ণপদক জেতা হয়নি। রুপার পদক জিতে আজ বিকালে খৈ খৈ সাই মারমা দেশে ফেরেন। মিশ্র দ্বৈতের অপর সদস্য মো. জাবেদ আহমেদ ওমরা শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।