৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
সুরটা বেধে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জর্জ মুন্সি। বাংলাদেশ ব্যাটারের ফিফটির পর দারুণ এক ইনিংস উপহার দিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের তরুণ ব্যাটার জাকির হাসানও। সাথে শেষের দিকে অ্যারন জোন্স ও জাকের আলি অনিকের ক্যামিওতে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বড় রানই বোর্ডই জমা করল সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের প্রথম ম্যাচে সিলেটের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৫ রান।
আরও পড়ুন
সাকিবের রেকর্ড ভাঙার কথা জানতেন না রনি |
মুন্সিকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে রনি যোগ করেন ৪৭ রান। স্কটিশ ব্যাটার ১৮ রানে ফিরলেও অভিজ্ঞ রনি একপ্রান্ত আগলে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পসরা সাজিয়ে চাপে রাখেন রংপুরের বোলারদের৷ নবম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেন মাত্র ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। চারের মার ছিল ৭টি, আর ছক্কা ৩টি।
চারে নামা পল স্টার্লিং পারেননি চেনা মেজাজে ব্যাটিং করতে। ১৬ বলে সমান ১৬ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। তবে বড় সিলেটের স্কোরের আশা জিইয়ে রাখেন জাকির। জাতীয় দলের এই ব্যাটার ইনিংস সাজান স্রেফ ছক্কায়। ফিফটির পরই অবশ্য তাকে থামান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চার ছক্কায় তার আগে খেলেন ৩৮ বলে ৫০ রানের বিনোদনকারী এক ইনিংস।
অন্যপ্রান্তে জোন্স শুরু থেকেই চড়াও হন বোলারদের ওপর। আকিফ জাভেদের করা ইনিংসের ২০তম ওভারে চারটি ছক্কা সহ আদায় করেন ২৭ রান, যা তার দলকে পার করায় ২০০ রানের স্কোর। মাত্র ১৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
এবারো নিজেকে চেনানোর লক্ষ্যে রনি তালুকদার |
তার পাশাপাশি সিলেটের বড় স্কোরে অবদান রাখেন ঘরের ছেলে জাকের আলি অনিকও। ৪০০ স্ট্রাইক রেটে ৩ ছক্কায় উপহার দেন ২০ রানের ইনিংস। ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:০৩ পিএম
৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১:২৩ পিএম
ফরচুন বরিশালের ছন্দময় বোলিংয়ের সামনে টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের কেউই পারলেন না ব্যবধান গড়ে দেওয়ার মত ইনিংস খেলতে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়ে বলার মত একটা স্কোর এনে দিলেন অধিনায়ক আরিফুল হক। তবে সেটা যে একেবারেই যথেষ্ট নয়, তা প্রমাণ করে দিল তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মায়ার্সের অপরাজিত শতরানের জুটি। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের দল জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ১২৬ রানের টার্গেট দলটি পাড়ি দিয়েছে ৫৭ বল হাতে রেখে। আসরে এটি সিলেটের টানা তৃতীয় হার।
ব্যাট হাতে কিছুটা ঝলক দেখানো রাহকিম কর্নওয়েল বল হাতে প্রথম ডেলিভারিতেই করেন বাজিমাত। গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে ক্যাচ আউট হন আগের ম্যাচে ফিফটি করা তামিম ইকবাল। তাতে নাজমুল হোসেন শান্তর সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে মেলে ধরার।
আরও পড়ুন
পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করেই সফল নাহিদ |
তবে জাতীয় দলের ব্যাটার হতাশ করেন আরও একবার। কিপিংয়ের দায়িত্ব ভালোভাবে সামাল দিলেও ব্যাট হাতে এক চারে ৫ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। ৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে তখন বরিশাল।
সেই চাপ সরাতে কর্নওয়েলের ওপর পাল্টা আক্রমণ করেন তাওহীদ। দীর্ঘদেহী এই বোলারের এক ওভারে দুটি চারের মাঝে মারেন ছক্কাও। অন্যপ্রান্তে মায়ার্সকে দর্শক বানিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন তরুণ এই ব্যাটার। রিস টপলিকে দুটি বাউন্ডারির পর আল-আমিন হোসেনকেও মারেন দুটি চার। ছয় ওভারে বরিশালের বোর্ডে জমা হয় ৫৫ রান।
অষ্টম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের ওপর চড়াও হন মায়ার্স। দুই ছক্কা ও এক বাউন্ডারি সহ ওই ওভারে ২১ রান হজম করেন ডানহাতি এই পেসার। মাত্র ২৭ বলেই ফিফটি পূর্ণ হয় ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের।
দুই রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন তাওহীদ। ২৭ বলের ইনিংস সাজান ৮ চার ও দুই ছক্কায়। মায়ার্স অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে।
আরও পড়ুন
ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের টানা পঞ্চম জয় |
বোলিংয়ের মত ব্যাট হাতেও এদিন মলিন ছিল সিলেট। প্রথম ওভারেই বিদায় নেন অভিজ্ঞ ওপেনার রনি তালুকদার। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে তিনটি চার মেতে কর্নওয়েল দর্শকদের কিছুটা বিনোদন দেন। তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বেশি।
খানিক বাদে শাহিনের বলেই আউট হন তিনি৷ তার আগে করতে পারেন মোটে ১৮ রান। ক্রিজে গিয়েই শাহিনলে দুই চার ও একটি ছক্কা মারেন জর্জ মুন্সি। অন্যপ্রান্তে জাকির হাসান শুরু থেকেই ছিলেন ইতিবাচক। তাতে এক পর্যায়ে সিলেটের রান ছিল ২ উইকেটে ৭৬।
এরপরই নামে ধস। জোড়া শিকার করেন জাহানদাদ খান। অন্যপ্রান্তে তার সাথে পাল্লা দিয়ে এরপর উইকেট নেওয়া শুরু করেন রিশাদ। দুজনের সমান তিনটি করে উইকেট শিকারে দিশেহারা হয়ে যায় সিলেট।
সেখান থেকে ১২৫ রান পর্যন্ত যাওয়ার কৃতিত্ব আরিফুলের একারই। ২৯ বলে খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। তবে দলের বড় হার এড়াতে পারেননি আর।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় রংপুরকে মামুলি টার্গেট দিল ঢাকা |
গতির জন্যই তার পরিচিতি বিশ্ব জুড়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য তো নাহিদ রানার বোলিং দেখাটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন বিশেষ এক উপলক্ষ্য। বিপিএলের শুরু থেকে সেটা দেখাচ্ছেনও বেশ। তবে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের তরুণ এই পেসার গতির চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন লাইন-লেন্থের দিকেই। ম্যাচ সেরা হলেও তাই একটু কম গতি অনেকের মনেই জাগাতে পারে প্রশ্ন। তবে নির্ভার নাহিদ বললেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করার স্কিল রপ্ত করছেন তিনি।
চলতি বিপিএলের আগে স্বীকৃত ক্রিকেটে একবারও ম্যাচ সেরা হননি নাহিদ। সেই একই ক্রিকেটার এবার পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুইবার জিতেছেন ম্যাচ সেরার খেতাব। নিয়মিতই ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৫০ কি.মি. গতিতে বোলিংয়ে নাহিদের বোলিংয়ের মূল শক্তির জায়গা। তবে ঢাকার বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচে সেটা কিছুটা কম ছিল। অবশ্য তাতেও কমেনি বোলিংয়ের ধার। চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় রংপুরকে মামুলি টার্গেট দিল ঢাকা |
ম্যাচ সেরা হয়ে নাহিদ জানিয়েছেন তুলনামূলক বলের গতি কম হওয়ার কারণ।
“আমি বেশি কিছু চিন্তা করিনি। শুধু চিন্তা করেছি ব্যাটারদের বুঝে, উইকেটের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি। যেটা বললাম আগে, যে পরিস্থিতি ছিল, সেই অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করছি।”
নাহিদের মত এই বিপিএলের দুর্দান্ত ফর্মে আছে তার দলও। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতে আছেন পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে। ঢাকার বিপক্ষে ১১১ রান তাড়া করে জয় ধরা দিয়েছে ৪০ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই। আসরে এখন পর্যন্ত কোনো দলই পারেনি রংপুরকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাতে।
আরও পড়ুন
ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের টানা পঞ্চম জয় |
নিজের ও দলের ভালো ফর্মে খুশি নাহিদ।
“অবশ্যই, অনেক ভালো লাগছে। যেহেতু আমার দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি। নিজের পারফরম্যান্সের জন্য আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে।”
নাহিদ এখন পর্যন্ত এই বিপিএলে উইকেট নিয়েছেন ৯টি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৭.১৫ করে। গড়টাও দুর্দান্ত, ১৫.১১!
আগের ম্যাচে দুইশ রান তাড়া করে যে দলটি জয় তুলে নিল সহজেই, তাদের সামনে ১২০ রানেরও কম টার্গেট দিয়ে জয়ের আশা করাটা বোকামিই বটে। আর চলতি বিপিএলে রংপুর রাইডার্স যেভাবে ছুটছে, তাতে ঢাকা ক্যাপিটালসের মামুলি স্কোর তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের হওয়ার কথা ছিল না। হলোও না সেটা আর। পেশাদার রান তাড়ায় প্রতিপক্ষকে টানা চতুর্থ হার উপহার দিয়ে নুরুল হাসান সোহানের দল তুলে নিয়েছে নিজেদের টানা পঞ্চম জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর জিতেছে ৭ উইকেটে। ঢাকাকে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে তারা জয় তুলে নিয়েছে ৪০ বল হাতে রেখেই।
আরও পড়ুন
পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করেই সফল নাহিদ |
ছোট রান তাড়ায় রংপুরের শুরুটা অবশ্য ধীরগতিরই ছিল। প্রথম তিন ওভারে সেভাবে আসেনি রান। তরুণ ওপেনার আজিজুল হাকিম আরও একবার দলকে হতাশ করেন। রানের জন্য সংগ্রাময় এক ইনিংস শেষ হয় ১৪ বলে মাত্র ৫ রানে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আলাউদ্দিন বাবুকে টানা তিন চার সহ এক ছক্কায় ২০ রান আদায় করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলস।
দারুণ গতিতে এগিয়ে যাওয়া হেলস চল্লিশের ঘরে পা রাখেন মোসাদ্দেককে ছক্কা মেরে। তবে অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে ওই ওভারেই বিদায় নিতে হয় তাকে। তার আগে খেলেন ২৭ বলে ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস। টানা দুই ফিফটি করা সাইফ হাসান এদিন পারেননি ইনিংস বড় করতে।
তবে রান তাড়ায় সেটা সমস্যায় ফেলেনি রংপুরকে। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়া খুশদিল (১২ বলে ২৩*) ও ইফতেখার আহমেদ (১১ বলে ৮*) মিলে সারেন জয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
একপেশে এই ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ব্যাট হাতে ঢাকা আশা জাগিয়েছিল ভালো কিছুর। প্রথমবার এই আসরে খেলা জেসন রয় ওপেন করতে নেমে খেলেন কিছু দারুণ শট। তবে ১৮ রানে তাকে বোল্ড করেন শেখ মাহেদি হাসান। আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান ও তিনে নামা তানজিদ হাসান তামিমও সম্ভাবনাময় ইনিংসকে পারেননি বড় স্কোরে রুপ দিতে।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় রংপুরকে মামুলি টার্গেট দিল ঢাকা |
ফলে ২ উইকেটে ৬২ রানের ভালো একটা অবস্থান থেকে দ্রুতই পথ হারিয়ে ফেলে ঢাকা। ইনিংসের মাঝের এই সময়ে রংপুরের খুশদিল, পেসার নাহিদ রানারা মিলে সাড়াশি আক্রমণে কাজটা আরও কঠিন করে তোলেন ব্যাটারদের জন্য।
ফলে ঢাকার কেউই পারেননি আর লড়াই করতে। টেনেটুনে তাতে পার হয় একশ রান। নাহিদ ২১ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট, খুশদিল ও আকিফ জাভেদের নামের পাশে ছিল দুটি করে উইকেট।
একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা ঢাকা ক্যাপিটালস ব্যাটিং অর্ডার একেবারেই পরিবর্তন করে ফেলল। তবে তাতেও হলো না ভাগ্যের বদল। প্রথম তিন ব্যাটার শুরুটা ভালো পেলেও পারলেন না বড় ইনিংস করতে। রংপুর রাইডার্সের বোলারদের সাড়াশি আক্রমণে পরের ব্যাটারদের কেউই পারলেন না লড়াই করতে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা নুরুল হাসান সোহানের দলের সামনে ঢাকা তাই টেনেটুনে দাঁড় করাতে পারল মামুলি এক টার্গেট।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ১৬.৩ ওভারে গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১১ রানে।
আরও পড়ুন
পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করেই সফল নাহিদ |
এই ম্যাচ দিয়ে এই বিপিএলে প্রথমবারের মত খেলতে নামেন ঢাকার জেসন রয়, সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনরা। ওপেন করতে নামেন হাবিবুর রহমান ও রয়। দুজনের শুরুটা মন্দ হয়নি। কয়েকটি বাউন্ডারিতে পাওয়ার প্লেতে রানের গতি ভালোই এগিয়ে নেন তারা। আকিফ জাভেদ হাবিবুরকে ফেরানোর পর তিনে নামা তানজিদ হাসান তামিম শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং।
সাথে রয়ও খেলেন কিছু বড় শট। দলীয় ফিফটি হওয়ার পরই বিপদের শুরু ঢাকার। ১২ বলে ১৮ রান করা রয়কে বোল্ড করেন শেখ মাহেদি হাসান। পরের ওভারে সেট ব্যাটার তানজিদকেও ফিরিয়ে দেন ইফিতেখার আহমেদ। তানজিদের করা ২০ রানই হয়ে থাকে ঢাকার ইনিংসের সর্বোচ্চ।
সাব্বির ৭ বলে করেন মাত্র ২ রান। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক থিসারা পেরেরা মারেন ‘গোল্ডেন ডাক’। ৯ বলে ১২ রানে থামেন মোসাদ্দেক। এরপর ঢাকার ইনিংস ১০০ পার করতে অবদান রাখেন আটে নামা পেসারা আলাউদ্দিন বাবু। ১০০ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
আরও পড়ুন
ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের টানা পঞ্চম জয় |
আরও একবার বল হাতে গতির ঝড় তোলা নাহিদ রানাই রংপুরের সেরা বোলার। চার ওভারে ২১ রানে তার নামের পাশে ৩ উইকেট।
ঢাকা পর্বের পর সিলেট পর্বের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। সেই সুখস্মৃতি নিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামছে রংপুর রাইডার্স। সেই লড়াইয়ে টস জিতে/হেরে আগে ব্যাটিংয়ের/ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। এই ম্যাচ দিয়ে চলতি বিপিএলে প্রথমবার মাঠে নামছেন ঢাকার তারকা ইংলিশ ব্যাটার জেসন রয়, বাংলাদেশ ব্যাটার সাব্বির রহমান ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন।
এই ম্যাচের আগে দুই দলের অবস্থান বিপরীতমুখী। ঢাকা পর্ব হ্যাটট্রিক জয় দিয়ে শেষ করা রংপুর সিলেটে প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে পাত্তাই দেয়নি। ২০৬ রানের টার্গেটে অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরি ও সাইফ হাসানের ৮০ রানে ভর করে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ওই ম্যাচে বোলাররা সেরা ছন্দে না থাকলেও আগের তিন ম্যাচে রংপুরের বোলাররা প্রায় সবাই উপহার দিয়েছেন ভালো পারফরম্যান্স।
চার ম্যাচে চার জয়ের পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে আছে রংপুর। আর এবারই প্রথম বিপিএলে অংশ নেওয়া ঢাকা ক্যাপিটালস শুরু থেকেই নেই ছন্দে। তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে টেবিলে সবার নিচে অবস্থান দলটির। ফর্মে থাকা রংপুরের বিপক্ষে তাই কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে দলটির জন্য।
রংপুর রাইডার্স একাদশ :
অ্যালেক্স হেলস, আজিজুল হাকিম তামিম, সাইফ হাসান, ইফতিখার আহমেদ, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), খুশদিল শাহ, শেখ মাহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাহিদ রানা, আকিফ জাভেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি।
ঢাকা ক্যাপিটালস স্কোয়াড :
জেসন রয়, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, স্টিফেন এসকিনাজি, থিসারা পেরেরা (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, হাবিবুর রহমান সোহান, আমির হামজা, মুস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম।
এই ম্যাচ ও পুরো বিপিএল দেখতে চোখ রাখুন টি-স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।
১৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২০ দিন আগে