২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৩০ পিএম
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে মাঠের খেলার চাইতে বিতর্কই যেন বেশি হচ্ছে। সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে ভারত। সেই ম্যাচে হারিস রউফ ও সাহিবজাদা ফারহানের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনাও চলছে। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে এ প্রসঙ্গে আজ কথা বলেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আরও পড়ুন
‘ফাইনালে দেখা যাবে কী হয়’, সূর্যকুমারকে আফ্রিদির জবাব |
![]() |
আফ্রিদির মতে, সবাই স্বাধীন মত প্রকাশ করার অধিকার রাখে। পাকিস্তানি পেসার বলেন,
'দেখুন, আমাদের কাজ হলো ক্রিকেট খেলা। সত্যি বলতে, সবাই তাদের মত প্রকাশ করার অধিকার রাখে।'
চলতি বছর সংঘাতে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি তুলেছিল পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদবদের বিপক্ষে ম্যাচে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময় হারিস রউফ ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে সেই বিষয়টিরই ইঙ্গিত করেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় সাহিবজাদা ফারহান ফিফটি করার পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো ধরে গুলি ছোড়ার ভঙ্গি করেন। রউফ-ফারহানের এই অঙ্গভঙ্গিকে ভালোভাবে নেয়নি ভারতীয়রা।
আরও পড়ুন
‘টাইগার কারা?’, সংবাদ সম্মেলনে শাহিন আফ্রিদির প্রশ্ন |
![]() |
রউফ ও ফারহানের সমালোচনা নিয়ে শাহিন বলেন,
'সবার নিজস্ব চিন্তাধারা আছে। সবাই নিজের মতো করে ভাবে। কিন্তু আমাদের কাজ ক্রিকেট খেলা। আমরা এখানে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে এসেছি। এশিয়া কাপ জিততে এসেছি। আমরা ইনশাআল্লাহ, দল হিসেবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।'
এশিয়া কাপের গ্রপ পর্ব ও সুপার ফোরের ম্যাচ মিলিয়ে দুবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল ৭ উইকেটে আর দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল ৬ উইকেটে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান।
No posts available.
এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের। ক্রিকেট সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই এবার শিরোপার মঞ্চে গড়াবে। এর আগে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে ভারত দুবার সহজেই হারিয়েছে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন মনে করছেন, আসল লড়াই এখনও বাকি। কথায় আছে-শেষ বলে যার, সব ভালো তার। সেই ফাইনালে প্রমাণই দিতে চায় হেসনের শিষ্যরা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান কোচ বললেন, ‘শেষের ম্যাচটাই আসল।’
আরও পড়ুন
‘সবাই চায় পাকিস্তান ভালো খেলুক, ফাইনালে জিতুক’ |
![]() |
ভারতের কাছে দুই ম্যাচে হারের পরও হেসনের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী সুর,
‘আমরা এই সুযোগের যোগ্য। এখন কাজ এটাকে কাজে লাগানো। এর আগে পর্যন্ত সব ম্যাচই ছিল আমাদের ট্রফি জয়ের অবস্থানে আনার জন্য। আসল ম্যাচটা হলো শেষেরটা।’
হেসনের মতে, পাকিস্তান সব সময়ই টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে খেলার স্বপ্ন দেখে, আর সেখানে পৌঁছাতে তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সুপার ফোরে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে পাচ্ছে প্রেরণা। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধসে পড়েছিল পাকিস্তান। অনেকেই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন সালমান আলি আগার দলের পরাজয়। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাত্র ১৩৫ রান ডিফেন্ড করে ১১ রানে জয় তুলে নেয় তারা।
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহর ঝড়ের পর জয়-দিপুর তাণ্ডব |
![]() |
হেসনের মনে করেন এই ম্যাচই দলকে নতুন বিশ্বাস দিয়েছে। তাঁর ভাষায়,
‘যখন সবাই আপনাকে ১০ ওভার পরই বাতিল করে দেয় আর আপনি সেখান থেকে ফিরে আসেন, সেটা দলে আত্মবিশ্বাস যোগায়।’
চাপের ম্যাচে শিষ্যদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ হেসনের,
‘ফাইনালের মতো উচ্চ চাপের ম্যাচে কিছুটা আবেগ সরিয়ে রাখতে হবে। মনোযোগ থাকবে শুধু ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে।’
আরও পড়ুন
ফাইনালের মঞ্চে ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান |
![]() |
ভারতের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ নিয়েও মন্তব্য করেন হেসন। তাঁর মতে, প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান অতিরিক্ত চাপে ছিল, ফলে ভারত পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য পাকিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে যায়।
কী হবে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে পাকিস্তানের পরিকল্পনা? হেসনের সোজাসাপ্টা জবাব,
‘আমাদের যথেষ্ট ভালো হতে হবে, যেন ভারতকে দীর্ঘ সময় ধরে চাপে রাখা যায়।’
এশিয়া কাপের ফাইনালে আগামীকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে পাকিস্তান। তার আগে দলটির সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক অনুজদের দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। সালমান আলি আগাদের ভরসা দিয়ে জানিয়েছেন, পুরো পাকিস্তান আছে তাঁদের পাশে।
পিটিভি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসবাহ বলেন,
‘মানুষ প্রার্থনা শুরু করেছে! তারা একত্রিত হচ্ছে। ক্রিকেট এমন একটি বিষয় যা এই জাতিকে একত্রিত করে। বিশেষ করে যখন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে খেলা হয়। আমি মনে করি না দেশের এমন কেউ আছেন যে পাকিস্তানের ভালো হওয়ার আশা করছেন না। সবাই চায় পাকিস্তান ভালো খেলুক এবং এই খেলায় (ফাইনালে) জিতুক।’
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহর ঝড়ের পর জয়-দিপুর তাণ্ডব |
![]() |
বিশ্লেষকদের মতে, এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল হিসেবে ততটা শক্তিশালী নয়। নড়বড়ে দল নিয়েও ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। যদিও গ্রুপ ও সুপার ফোরে শুধু ভারতের কাছেই শুধু হেরেছেন সালমানরা, বাকি সব ম্যাচেই পেয়েছেন জয়। দলটির আরেক সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক বলেছেন, পাকিস্তানের হারানোর কিছু নেই।
মালিকের সেই মন্তব্য টেনে মিসবাহ বলেন,
‘যেমন শোয়েব মালিক বলেছেন, পাকিস্তানের কিছু হারানোর নেই। ভারত ফেভারিট, সবাই জানে তাদের দল শক্তিশালী। পাকিস্তান কোনোভাবে ফাইনালে পৌঁছেছে। এখন শুধু একদিন, এক খেলার ব্যাপার। যদি একজন খেলোয়াড় একটি ভালো ইনিংস খেলতে পারে, একটি বড় ইনিংস বা একটি ভালো বোলিং স্পেল দিতে পার – তবে আপনি এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। সবাই আশা করছে আমরা একটি দারুণ দিন পাবো আর ভারত একটি খারাপ দিন কাটাবে। অনেক দিন ধরে এর চেয়ে বড় খেলা হয়নি।’
আরও পড়ুন
ফাইনালের মঞ্চে ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান |
![]() |
পাকিস্তানের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়েও মিসবাহ মন্তব্য করেছেন। ফাইনালে নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে নিষেধ মিসবাহর, ‘আমি মনে করি এটা সঠিক নয়। আগে থেকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা সঠিক উপায় নয়। একটি কৌশল তৈরি করতে হবে, পিচ ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে হবে – বল ব্যাটে আসছে কি না। তারপর শুরু করার ধরন নির্ধারণ করতে হবে।’
মিসবাহ আরও বলেন,
‘অবশ্যই আপনি টি-টোয়েন্টিতে ১৮০-এর বেশি রান আশা করবেন, কিন্তু সেই রান ইনিংসের বিভিন্ন অংশে ভাগ করতে হবে। প্রথম তিন ব্যাটারকে পাওয়ার-প্লেতে আক্রমণ করার লাইসেন্স আছে। যদি তা না হয়– বল থেমে যাচ্ছে, স্লিপ/সুইং করছে বা বোলিং খুব ভালো, তবে পরবর্তী পরিকল্পনায় যেতে হবে। ধরুন পাওয়ারপ্লেতে ৬০ রান হচ্ছে না, আমরা কি এখানে ৪৫ রান করতে পারি? পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবর্তন করুন।’
আরও পড়ুন
রউফের জরিমানার টাকা দিয়ে দেবেন পিসিবি সভাপতি |
![]() |
মিসবাহর দাবি, পাকিস্তান ঠিকঠাকভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না,
‘পাকিস্তান দল লক্ষ্য পুনর্মূল্যায়ন ঠিকভাবে করছে না। এরপর পরবর্তী চার ওভারের পরিকল্পনা করুন এবং পুনর্মূল্যায়ন করুন। এরপর পরবর্তী চার ওভার। শুরুতে ইতিবাচক ভাবেই খেলবেন, কিন্তু তিন ওভারের মধ্যে পিচ ও পরবর্তী পরিকল্পনা কিভাবে করতে হবে তা বোঝা যাবে। আমি মনে করি পাকিস্তান দল এ ধরনের পুনর্মূল্যায়ন করছে না।”
মিসবাহর ব্যাখ্যা,
‘পাওয়ার-প্লের পর আপনি শুধু আউট হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে হিট করতে পারবেন না। শট নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ, কোথায় শট খেলবেন, কোন বোলারকে টার্গেট করবেন, এবং সর্বদা স্ট্রাইক রোটেশন বজায় রাখতে হবে।’
মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিনের ভালো শুরুর পর ঝড়ো ফিনিশিং এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঢাকা মেট্রো পেল বড় সংগ্রহ। কিন্তু সেটি যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। কারণ পরের ইনিংসে তাণ্ডব চালালেন মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দিপু।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেট্রোকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে মেট্রো। জবাবে জয় ও দিপুর বিধ্বংসী ফিফটিতে মাত্র ১৬.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় চট্টগ্রাম।
৪ চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মেরে ৩৭ বলে ৭১ রান করেন জয়। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ২ চার ও ৫ ছক্কায় দিপুর ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।
রান তাড়ায় চট্টগ্রামকে ভালো শুরু এনে দেন জয় ও মুমিনুল হক। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৩ বলে ৫৩ রান যোগ করেন তারা দুজন। ১৮ বলে ৩১ রান করে আউট হন দীর্ঘ দিন ধরে 'টেস্ট বিশেষজ্ঞ' তকমা লেগে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল।
দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৩৮ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন জয় ও দিপু। ১২তম ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন জয়। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি দিপু ও ইয়াসির আলি রাব্বি। অধিনায়ক রাব্বি ১০ বলে করেন ১২ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার নাঈম ও রবিনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে মেট্রো। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ বলে ৮১ রান যোগ করেন নাঈম-রবিন। নবম ওভারে ফেরার আগে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন নাঈম।
এক ওভার পর রবিনও ধরেন অধিনায়কের পথ। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন মেট্রোর প্রথম জয়ের নায়ক। এরপর সাদমান ইসলাম (১০ বলে ১৫) ও আনিসুল ইসলাম ইমন (১০ বলে ৩) হতাশ করলে চাপে পড়ে মেট্রো।
তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে দায়িত্ব নেন মাহমুদউল্লাহ ও আবু হায়দার রনি। দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মিলে মাত্র ২৩ বলে গড়েন ৫৬ রানের হার না মানা জুটি। ৩টি করে চার-ছক্কা মেরে ২২ বলে ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। রনির ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২৪ রান।
চট্টগ্রামের পক্ষে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন নাঈম হাসান।
এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। তবে এরই মধ্যে অন্যান্য টুর্নামেন্টে পাঁচবার দেখা হয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের। যেখানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান।
ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট- তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে খেলা পাঁচ ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে তিনটিই জিতেছে পাকিস্তান। আর বাকি দুইটিতে জয়ী ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাই রোববারের ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য এগিয়ে যাওয়ার। আর ভারতের চেষ্টা থাকবে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সমতা ফেরানোর।
১৯৮৫ সালে সাত দলের অংশগ্রহণে হওয়া বিশ্ব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে ৮ উইকেটের সহজ জয় ভারত। আগে ব্যাট করে মাত্র ১৭৬ রান করে পাকিস্তান। পরে ক্রিস শ্রীকান্ত ও রবি শাস্ত্রীর ফিফটিতে জিতে যায় ভারত।
পরের বছর অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে আবার দেখা হয় দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের। এবার ক্রিকেট বিশ্বকে রোমাঞ্চকর এক লড়াই উপহার দেয় দুই দল। আগে ব্যাট করে সুনিল গাভাস্কার, শ্রীকান্ত ও দিলিপ ভেংসরকারের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৪৫ রান করে ভারত।
পরে রান তাড়ায় পাকিস্তানকে একাই এগিয়ে নেন জাভেদ মিঁয়াদাদ। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর শেষ বলে ৪ রান বাকি থাকে পাকিস্তানের। চেতন শর্মার ফুল টসে ছক্কা মেরে দলকে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় এনে দেন মিঁয়াদাদ।
এরপর আবার ১৯৯৪ সালের অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনাল। এবার ভারতকে ৩৯ রানে হারিয়ে ফাইনাল ম্যাচের লড়াইয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে ৮৭ বলে ৬৯, বোলিংয়ে ২২ রানে ২ উইকেট ও ফিল্ডিংয়ে ২ ক্যাচ নিয়ে নায়ক আমির সোহেল।
আরেকটি ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের জন্য ১৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়। ২০০৭ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেই মুখোমুখি হয় দুই প্রতিবেশি দেশ। যেখানে ৫ রানের জয় পায় ভারত।
আগে ব্যাট করে গৌতম গম্ভীরের ৫৪ বলে ৭৫ ও শেষ দিকে রোহিত শর্মা ১৬ বলে ৩০ রানের সৌজন্যে ১৫৮ রানের পুঁজি পায় ভারত। জবাবে মিসবাহ উল হকের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ৪ বলে ৬ রানের সমীকরণে শেষ ব্যাটার হিসেবে মিসবাহ আউট হয়ে যান।
এরপর আবার ১০ বছরের অপেক্ষা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ফাখার জামানের ঝড়ে উড়ে যায় ভারত। ১০৬ বলে ১১৪ রান করেন তিনি। এছাড়া আজহার আলি ৭১ বলে ৫৯ ও মোহাম্মদ হাফিজ ৩৭ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে ৩৩৮ রান করে ফেলে পাকিস্তান।
জবাবে মোহাম্মদ আমির, হাসান আলির তোপে মাত্র ১৫৮ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। পাকিস্তান পায় ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়।
এখন ৮ বছর পর আবার আরেকটি ফাইনালে মুখোমুখি দুই দল। সেখানে পাকিস্তানের চতুর্থ হয় হবে নাকি ভারতের তৃতীয়, সেটি বলে দেবে সময়।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে হারিস রউফের। তবে এই অর্থ নিজের পকেট থেকে দিতে হবে না পাকিস্তানি পেসারের।
কারণ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রউফের জরিমানার টাকা নিজের পকেট থেকে দিয়ে দেবেন। সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
জিও নিউজকে সূত্র জানিয়েছে, শুধু রউফ নয়, এশিয়া কাপে পাকিস্তানের যে কোনো ক্রিকেটারের ওপর আসা আর্থিক জরিমানা নিজের পকেট দিয়ে দেবেন পিসিবি সভাপতি। এর মধ্যে রউফ ছাড়াও ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি।
আরও পড়ুন
ব্যাট হাতে ১০ বলে ৩০ রান করে খালেদ-রাজার বাজিমাত |
![]() |
ফারহানকে অবশ্য অর্থ জরিমানা করা হয়নি। শুধু তিরস্কৃত করে ছেড়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা।
গত রোববার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে দর্শকদের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করা রউফকে পরে শাস্তির ঘোষণা দেয় আইসিসি। একই ম্যাচে ফিফটির পর ব্যাটকে বন্দুক বানিয়ে উদযাপন করায় শাস্তির মুখে পড়েন ফারহান।
ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকেও ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। দুই দলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তার বিরুদ্ধে ছিল রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ।