৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:২৬ পিএম

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। ক্রিজে নুরুল হাসান সোহান। ফরচুন বরিশালের দিকে প্রায় হেলে পড়া ম্যাচ জিততে রংপুর রাইডার্সের ভরসা কেবলই মিরাকেল। তবে কাইল মায়ার্সের করা সেই ওভারে রুপকথারই জন্ম দিলেন রংপুর অধিনায়ক। শেষ বলে ছক্কা মেরে বিপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা থ্রিলারে সোহান দলকে এনে দিলেন জয়। তাতে রংপুর তুলে নিল আসরে ষষ্ঠ ম্যাচে তাদের ষষ্ঠ জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বৃহস্পতিবারের হাইভোল্টেজ ম্যাচে রংপুর জিতেছে ৩ উইকেটে। বরিশালের করা ৫ উইকেটে ১৯৭ রান সোহানের দল পাড়ি দিয়েছে শেষ বলে।
ব্যাট হাতে ঝড় তোলা মায়ার্স বল হাতেও ইনিংসের প্রথম ওভারটা করেন বেশ ভালো। ওপর প্রান্তে আক্রমণে এসেই আঘাত হানেন তানভীর ইসলাম। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অ্যালেক্স হেলস ডাউন দ্য উইকেটে এসে বড় শট মারতে গিয়ে হন স্টাম্পড। চার মেরে রানের খাতা খোলেন আরেক ফর্মে থাকা ব্যাটার সাইফ হাসান।
তবে পাওয়ার প্লেতে ওপেনার তৌফিক খান সেভাবে তাল মেলাতে না পারায় মাত্র ৩৪ রান তুলতে পারে রংপুর। রংপুরের চাপ বাড়িয়ে এরপর দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে যান সাইফ। ফাহিম আশরাফের বলে করেছিলেন পুল, টাইমিংও ছিল ভালো। তবে বাউন্ডারি লাইনে থাকা রিশাদ হোসেনকেই খুঁজে নেন। ১৯ বলে সাইফের অবদান ২২ রান।
আরও পড়ুন
| প্রথম বলের ছক্কায় জয়ের বিশ্বাস পেয়েছেন সোহান |
|
শুরুটা ধীরলয়ে করা তৌফিক রানের চাকা সচল করেন তানভীরের এক ওভারে দুই ছক্কা ও একটা চার মেরে। এরপর রিশাদকেও ওড়ান ছক্কায়। তবে অতি আগ্রাসী হতে গিয়েই কিনা, শর্ট পিচ ডেলিভারিতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ৩৮ রানে ফেরেন ওই ওভারেই।
চাপের মুখে এরপর খুশদিল ও ইফতিখারের সেই জুটি। প্রায় প্রতি ওভারেই চার বা ছক্কা বের করে নিচ্ছিলেন দুই পাকিস্তান ব্যাটার। তবে বল-রানের ব্যবধান কমানোর চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। সেটা সরাতে স্বদেশী শাহিন শাহ আফ্রিদির ওপর চড়াও হন খুশদিল। হাঁকান এক ওভারেই দুই ছক্কা।
এরপর জাহানদাদ খানকে দুটি চার ও এক ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটির কাছাকাছি চলে যান ইফতিখার। তবে ১৮তম ওভারে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে রংপুর ব্যাটারদের চাপে ফেলে দেন শাহিন। শেষ পর্যন্ত বড় শট মারতে গিয়ে ওই ওভারেই ফিফটি থেকে দুই রান দূরে থাকতে আউট হয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন ইফতিখার।
জাহানদাদকে টানা দুই ছক্কা মেরে রংপুর শিবিরে ফের জয়ের আশা জাগান খুশদিল। তবে এরপরই লং অফে ক্যাচ দিয়ে ২৪ বলে ৪৮ রানে বিদায় নিতে হয় তাকেও। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউটে কাঁটা পড়েন শেখ মাহেদি হাসান। ডাক মারেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। এরপরই সোহানের খুনে ব্যাটিংয়ে রংপুরের সেই অবিশ্বাস্য জয়।
আরও পড়ুন
| মায়ার্সের মারমুখী ফিফটিতে রান পাহাড়ে বরিশাল |
|
প্রথম বলে ছক্কা মারার পর টানা দুই বাউন্ডারি মারেন। এরপর ছক্কার ও চারের পর নাটকীয়ভাবে শেষ বলে আরেকটি ছয়ে সীমানা পার করিয়ে রংপুর দল ও দর্শকদের উল্লাসে ভাসান সোহান। মাত্র ৭ বলে ৩২ রান করেন রংপুর অধিনায়ক।
এর আগে দিনের শুরুতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালকে স্বপ্নের শুরু এনে দেন তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক তামিম ইনিংসের শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে এগিয়ে গেলেও এরপর ফিরে পান ছন্দ। আর আসর জুড়ে রানের জন্য ধুঁকতে থাকা শান্ত প্রথম বল থেকেই রান করেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।
তাতে ফিফটি পেরিয়ে জুটি গড়ায় সেঞ্চুরির দিকে। তবে এক ওভারে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। শান্ত ও তামিম করেন যথাক্রমে (৪১ ও ৪০ রান)। তাওহীদ হৃদয়ের শুরুটা ভালো হলেও পারেননি ইনিংস লম্বা করতে। অল্পে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও।
বরিশালের বিপদ বাড়িয়ে মায়ার্সকেও প্রায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাব্বি। তবে ক্যাচ আউট হলেও নো বলের কারণে বেঁচে যান ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। জীবন পেয়ে সিলেটের দর্শকদের বিনোদনের খোরাক যোগান মায়ার্স। শেষ কয়েক ওভারে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে তুলে নেন আগ্রাসী এক ফিফটি, যা বরিশালকে নিয়ে যায় বড় স্কোরের দিকে।
আরও পড়ুন
| হাইভোল্টেজ ম্যাচে আগে বোলিংয়ে রংপুর |
|
মায়ার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মাত্র ২৯ বলে ৬১ রানে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে মাত্র ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলেন ফাহিম আশরাফ। রংপুরের বোলারদের জন্য কঠিন এক দিনে সেরা ছিলেন আকিফ জাভেদ, চার ওভারে ১৬ রানে তার শিকার এক উইকেট।
No posts available.

ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলে নিলেন মার্নাস লাবুশেন। সবশেষ সাত ম্যাচে পাঁচ সেঞ্চুরি করে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে ডাক পেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ। ওই ম্যাচের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। যেখানে জায়গা হয়নি স্যাম কন্সটাসের। প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন জ্যাক ওয়েদারাল্ড।
বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন লাবুশেন। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে রানের বন্যা বইয়ে দেন। প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট মিলিয়ে সবশেষ সাত ম্যাচের ৮ ইনিংসে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার৷
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ক্যামেরন গ্রিন ও বাউ ওয়েবস্টারকে দলে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ ৪ টেস্টে দুজনই খেলেছেন একাদশে। অ্যাশেজেও অস্ট্রেলিয়া সেই পথে হাঁটবে কিনা, সেটি দেখার।
নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের চোটে প্রথম টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ। পেস বিভাগে জশ হেজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে আছেন শন অ্যাবট ও ব্রেন্ডন ডগেট।
প্রথম টেস্টের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড
স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), ব্রেন্ডন ডগেট, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লায়ন, মিচেল স্টার্ক, জ্যাক ওয়েদারাল্ড, বাউ ওয়েবস্টার।

‘সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জেতা’ পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস। ফয়সালাবাদে আজ তেমনই নাটকীয়তা দেখা গেছে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেতে একটা সময় ২৭ বলে মাত্র ২৩ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। সেখানেই নামে ধস। যদিও শেষ পর্যন্ত নিস্তার মেলেছে শাহিন শাহ আফ্রিদের। ২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে কষ্টার্জিত জয় তুলেছে তাঁরা।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে এসেছে ফয়সালাবাদে। প্রর্ত্যাবর্তনের এই দিনে শাহিনদের আমন্ত্রণে আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে একটা সময় পাকিস্তান পথ হারিয়ে বসে। শেষ পর্যন্ত কূলের দেখা পায় তারা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো শুরু এনে দেন কুইন্টন ডি কক ও লহুয়ান দ্রে প্রিটোরিয়াস। অভিষিক্ত প্রিটোরিয়াস ফিরলে ৯৮ রানের জুটি ভেঙে যায়। পাকিস্তানকে আনন্দ দেন স্পিনার সাইম আইয়ুব। প্রিটোরিয়াস ৬০ বলে ৫৭ রান করেন, সাতটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
ডি ককও হাঁকান হাফ-সেঞ্চুরি। টনি ডি জর্জির সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তিনি। নাসিম শাহর বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৭১ বলে ৬৩ রান। আটটি চার ও দুইটি ছক্কা আসে ডি ককের ব্যাট থেকে। ম্যাথু ব্রিটজের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৪২ রান। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে করবিন বশ করেন ৪০ বলে ৪১ রান। ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৮৭ রান পর, সাইম আইয়ুব ৪২ বলে ৩৯ রানে ফিরলে। আরেক ওপেনার ফখর জামান করেন ৫৭ বলে ৪৫ রান। সফল হতে পারেননি বাবর আজম। ১২ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর বড় জুটি গড়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলী আগা। ৯১ রান আসে তাদের জুটিতে। ৭৪ বলে ৫৫ রান করে আউট হন রিজওয়ান।
একটা সময় ২৭ বলে মাত্র ২৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান সালমান ও হুসেইন তালাত। দুজনকে সাজঘরমুখো করে খেলা জমিয়ে দেয় প্রোটিয়াররা। তবে শেষ জয় পায় পাকিস্তান।

আবুধাবি টি-১০ লিগে দল পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার খেলবেন রয়্যাল চ্যাম্পসে। প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলবেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়।
টি-টেন লিগে দল পাওয়ার পর সাকিব আল হাসান বলেন,
“রয়্যাল চ্যাম্পসে যোগ দিতে পেরে আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আবুধাবি টি-১০ লিগ একটি রোমাঞ্চকর ফরম্যাট, যেখানে দ্রুততা, দক্ষতা ও দলগত সমন্বয়ই মূল চাবিকাঠি। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা, প্রতিভা ও দক্ষতার চমৎকার মিশ্রণ রয়েছে—আশা করছি আমরা একসাথে দারুণ কিছু করতে পারব।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“রয়্যাল চ্যাম্পসের হয়ে খেলা একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা একটি শক্তিশালী দল গঠন করেছি, যারা দর্শকদের উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দেবে। প্রথম ম্যাচ থেকেই আমি শতভাগ দিতে প্রস্তুত।”
রয়্যাল চ্যাম্পসের আইকন খেলোয়াড় জেসন রয় বলেন,
“এই লিগের উদ্বোধনী মৌসুমে রয়্যাল চ্যাম্পসের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। দ্রুততম এই ফরম্যাটে নিজের সেরাটা দিতে চাই। আমাদের দলে আন্তর্জাতিক তারকা ও তরুণ প্রতিভাদের দুর্দান্ত সমন্বয় রয়েছে।”
দলের প্রধান কোচ স্যার কার্টনি ওয়ালশ বলেন,
“সাকিব ও রয় এমন দুটি নাম, যারা অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব দিয়ে দলের মনোবল বাড়াবে। তাদের উপস্থিতি রয়্যাল চ্যাম্পসকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।”
আগামী ১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভিস্তা রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু রয়্যাল চ্যাম্পসের অভিযান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বোর্ড সভা। চারদিনব্যাপী এই সভা শেষ হবে আগামী ৭ নভেম্বর। জয় শাহ’র সভাপতিত্বে এই সভায় এখনও উপস্থিত হননি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি মহসিন নকভি।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সভাকালীন সময় রাজনৈতিক কারণে ব্যস্ত পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি। ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুযায়ী, আইসিসি এই সভায় ক্রিকেট উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও এশিয়া কাপ ট্রফি ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে। সেখানে অংশ নিলে ট্রফি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নকভি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন।
পিসিবি সূত্র জানিয়েছে, নকভির অনুপস্থিতির পেছনে শুধু রাজনৈতিক কারণই থাকতে পারে, তবে তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। এছাড়া, আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে জয় শাহর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি আইসিসির কোনো সভায় অংশ নেননি।
পিসিবি সূত্র জানিয়েছে, নকভি যদি দুবাই যেতে না পারেন, তবে তিনি শেষ দিনে ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নিতে পারে।
এশিয়া কাপ জুড়ে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মনোমালিন্যের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে এসেছে। টস পরবর্তী দুই অধিনায়কের হাত না মেলানো কিংবা এক দেশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে মন্তব্য অনেক সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। শেষ পর্যন্ত সুর্যকুমার যাদবরা এসিসি প্রেসিডেন্টের হাত থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার টম মুডিকে গ্লোবাল ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আইপিএলের দল লখনৌ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি)। আজ এক বিবৃতিতে এলএসজি জানায়, মুডি দলের ক্রিকেট কাঠামোর কৌশল দেখভাল করবেন। নিলাম, স্কোয়াড গঠন ও রিটেনশন নীতি তৈরির দায়িত্বেও থাকবেন তিনি। পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রতিভা অনুসন্ধানের কাজও করবেন মুডি।
লখনৌর পাশাপাশি আরপিএসজি গ্রুপের অধীন অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কার্যক্রমেও যুক্ত থাকবেন মুডি। দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি লিগে ডারবান সুপার জায়ান্টস এবং ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড লিগে ম্যানচেস্টার অরিজিনালস দলের মালিকানাও আরপিএসজি গ্রুপের। এই দুই দলের কার্যক্রমেও মুডি অংশগ্রহণ করবেন।
লখনৌ দলে মুডি পাচ্ছেন নিজের স্বদেশি জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে, যিনি বর্তমানে দলের প্রধান কোচ। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনও স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে দলে যুক্ত হয়েছেন। আইপিএলে এর আগে পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদে দায়িত্ব পালন করেছেন মুডি। ২০১৬ সালে হায়দরাবাদকে কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন তিনি।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে মুডি বলেন,
“আরপিএসজি গ্রুপের গ্লোবাল ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আমার জন্য একটি বড় সম্মান। মি. গোয়েঙ্কার সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার পর বুঝতে পারি এটি সত্যিই দারুণ একটি সুযোগ। আমি তার সঙ্গে কাজ করার জন্যও আগ্রহী।”
মুডি আরও জানান,
“আরপিএসজি গ্রুপের অধীন সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে একটি অভিন্ন ক্রিকেট দর্শন গড়ে তুলতে চাই। পারফরম্যান্স, খেলোয়াড় উন্নয়ন এবং কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে মাঠের ভেতরে ও বাইরে ধারাবাহিক সাফল্য নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে কাজ করতে আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত।”