১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এম
ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটে বাংলাদেশের মূল ক্ষতিটা হয়ে গিয়েছিল প্রথম ১৫ ওভারেই। সেখান থেকে চাপের মুখে মাহমুদউল্লাহ দারুণ এক ইনিংস খেললেও তাই বোর্ডে রান কিছু কমই জমল বাংলাদেশের। বল হাতে দুই দফায় কিছুটা আশা জাগালেও তাই রহমানউল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরিতে ম্লান হয়ে গেল সব প্রচেষ্টা। সাথে আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের অপরাজিত ফিফটি আফগানিস্তানকে এনে দিল জয়।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৫ উইকেটে। সফরকারীদের করা ৮ উইকেটে ২৪৪ রান ১০ বল হাতে রেখেই পাড়ি দিয়েছে আফগানরা।
তিন ম্যাচের সিরিজ আফগানিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা দল ২৩৫ ও ২৫২ রান নিয়েই পেয়েছে বিশাল জয়। সেই কারণেই ২৪৪ রান করার পরও জয়ের পাল্লা একটু বেশি হেলে ছিল বাংলাদেশের দিকেই। তবে প্রথম দুই ম্যাচে অল্পে ফেরা ‘ডেঞ্জারম্যান’ রহমানউল্লাহ গুরবাজ এদিক ছন্দ ফিরে পান। প্রথম ওভারেই শরিফুলকে চার মেরে হয় শুরু।
আরও পড়ুন
নাহিদ রানায় মুগ্ধ ইয়ান বিশপ, বললেন বাড়তি যত্ন নিতে |
![]() |
শরিফুলের পরের ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে ছক্কার মার। অন্যপ্রান্তে অভিষিক্ত নাহিদ রানা শুরুটা করেন ভালো, নেন মেডেন ওভারও। তবে শরিফুল গুরবাজের কাছে আরেকটি ছক্কা হজমের পর তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন মিরাজ। গতির ঝড়ে ব্যাটারদের বারবার বিভ্রান্ত করা নাহিদই শেষ পর্যন্ত এনে দেন উইকেট। ঘন্টায় ১৫১ কি.মি. গতিতে করা এক ডেলিভারিতে ফেরান সেদিকুল্লাহ আটালকে।
মুস্তাফিজুর রহমানকে চাপে ফেলে ছক্কা মেরে আক্রমণে স্বাগত জানান গুরবাজ। তিনি ছন্দে থাকলেও রানের জন্য সংগ্রাম করা রহমত শাহ বেশিদূর যেতে পারেননি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে তাকে থামান মুস্তাফিজুর। এরপর টানা কয়েকটি ওভারে বোলাররা রানের গতি অনেকটাই কমিয়ে আনেন। এর মাঝেই ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ।
শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা হাশমতউল্লাহ শহিদি সাজঘরে ফেরেন মুস্তাফিজুরের শিকার হয়ে, তার আগে ২১ বলে করেন মাত্র ৬ রান। তবে এরপর খুব দ্রুতই বদলে যেতে থাকে ম্যাচের চিত্র। প্রায় প্রতি ওভারেই চার বা ছক্কা মেরে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে ফেলে দেন গুরবাজ ও ওমারজাই।
আরও পড়ুন
আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নাহিদ রানার অভিষেক |
![]() |
৮২ রানে থাকা অবস্থায় রান আউট প্রায় হয়েই যাচ্ছিলেন গুরবাজ, তবে সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙতে পারেননি বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিং বজায় রেখে পা রাখেন শতকের ঘরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি ওয়ানডেতে।
অন্যপ্রান্তে ওমারজাইও সমান তালে ব্যাটিং করায় দ্রুতই জুটিতেও হয়ে যায় সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার আশা যখন প্রায় শেষ, তখনই হাজির মিরাজ। বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় গুরবাজের ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো ১০১ রানের ইনিংস।
এক ওভার বাদে আঘাত হানেন নাহিদ। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল টাইমিং করতে ব্যর্থ হয়ে আকাশে তুলে দেন গুলবাদাইন নাইব। ক্যাচ নিতে ভুল হয়নি জাকেরের। তবে এরপরও পথ হারায়নি আফগানিস্তান।
চমৎকার এক ফিফটি করা ওমারজাইয়ের সাথে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি মিলে গড়ে তোলেন কার্যকরী এক জুটি, যা দ্রুতই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত তারাই মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করা ওমারজাই অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। আর নবি করেন ২৭ বলে ৩৪।
এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজ। আগের দুই ম্যাচে তিনে নেমে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছিলেন দারুণ দুটি ইনিংস। তার অনুপস্থিতিতে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয় দলকে শক্ত ভিত দিতে, যদি শুরুটা দুই ওপেনার এনে দিয়েছিলেন ভালো।
প্রথম দুই ম্যাচে ত্রিশের ঘরে গিয়ে আউট হওয়া সৌম্য সরকার এই ম্যাচেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৮। আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের প্রথম শিকার হওয়া আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। খুব দ্রুতই ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও৷
প্রথম দুই ম্যাচে রানে না থাকা তাওহীদ হৃদয় আরও একবার ব্যর্থ হন। শুরু থেকেই জড়তা ছিল স্পষ্ট। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে করেন মাত্র ৭ রান। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে রান আউট হন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে আসা জাকির হাসান।
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, বাংলাদেশ ২৪৪ |
![]() |
৭২ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের জন্য তখন দুইশ রানও মনে হচ্ছিল দীর্ঘ পথ। উইকেটের যে আচরণ প্রথম দুই ম্যাচে, তাতে জেতার জন্য আড়াইশর আশেপাশে থাকা স্কোর গড়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফর্মে থাজা মিরাজ ক্রিজে থাকলেও মাহমুদউল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে রানের মধ্যে ছিলেন না। তবে চাপের মুখেই তো অভিজ্ঞরা নিজেদের মেলে ধরেন।
আর ঠিক সেটাই করে দেখান মাহমুদউল্লাহ। অন্যপ্রান্তে মিরাজ অনেকটাই টেস্ট মেজাজে খেললেও তিনি শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। চাপ কাটিয়ে তাতে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। মিরাজ ৫০ থেকে ৬০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও মাহমুদউল্লাহ বজায় রাখেন ৯০ এমনকি ১০০ স্ট্রাইক রেটও।
দুজনেই পেয়ে যান ফিফটির দেখা। জুটিতেও হয়ে যায় শতক। দুই সেট ব্যাটার থাকায় বাংলাদেশের চোখ ছিল ২৬০-২৭০ রানের দিকে। তবে আজমতউল্লাহর বলে মিরাজ ৬৬ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর সেই লক্ষ্যটা ক্রমেই নেমে যায়। এর মূল কারণ পরবর্তী ব্যাটারদের অবদান না রাখতে পারা।
বাংলাদেশের বাকি ইনিংস একাই টেনে নেন মাহমুদউল্লাহ। চার-ছক্কার মারে ধরে রাখেন লড়াকু স্কোরের সম্ভাবনা। সেঞ্চুরির ভালো সুযোগও তৈরি হয়েছিল। তবে ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়ে শেষ হয় ৯৮ রানের মহামূল্যবান ইনিংস। ৯৮ বলের দারুণ এই ইনিংস ডানহাতি ব্যাটার সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়।
No posts available.
এশিয়া কাপে হংকংয়ের শুরুটা বাজে হলেও পরের দুই ম্যাচে লড়াকু পুঁজি পায় তারা। দুটি ম্যাচই ফসকে যায় বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে হংকং। সেই রান তাড়া করতে নেমে খাদের কিনারায় পৌঁছে চারিথ আসালাঙ্কারা। যদিও শেষ পর্যন্ত হাসারাঙ্গার বদৌলতে ফল নিজেদের পক্ষে নেয় শ্রীলঙ্কা।
হংকংয়ের ম্যাচ নাগাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার মূলে ক্যাচ মিস। আজ মোট ছয়টি ক্যাচ মিস করেছে তারা। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কুড়ি কুড়ি ক্রিকেটে এমন আরও চারটি ঘটনা আছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছেড়েছিল ভারত। ২০১৭ সালে একই দলের বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। আর ২০২৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই সংখ্যক ক্যাচ মিস করে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার জয়ে কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ |
![]() |
টুর্নামেন্টে মোট ১২টি ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারে হংকং। ১১টি ক্যাচ মিস করে তারা। আর এই ক্যাচ মিস কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। বেজেছে বিদায়ঘণ্টাও। ক্যাচ মিস নিয়ে দলটির অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা বলেছেন,
"আমরা কয়েকটি ক্যাচ ফেলেছিলাম এবং তাতে খেলাটা হাতছাড়া হয়ে যায়। ইতিবাচক দিক হলো (আমরা) বড় মঞ্চে খেলছি, (এটা) স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই। আমরা (ফিরে যাওয়ার পর) অনেক কিছু ভাবব এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করব।"
শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটা একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠেছিল। যার কারণ, হংকংয়ের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এবং শেষ দিকে ৮ রানে ৪ উইকেট খুঁইয়ে বসা। তবে দলের পক্ষ থেকে বার্তা পরিষ্কার ছিল—জিততে হলে ঘাম ঝরাতে হবে। শেষ পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে চারিথ আসালাঙ্কারা। এ জয়ে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রেখেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে হংকংয়ের।
এশিয়া কাপে এ গ্রুপে শীর্ষে উঠে এলো শ্রীলঙ্কা। দুই জয়ে লঙ্কানদের পয়েন্ট চার। রান রেট ১.৫৪৬। দ্বিতীয়স্থানে আফগানিস্তান। রশিদ খানের দলের পয়েন্ট দুই। আফগানরা মাত্র একটি ম্যাচে অংশ নিয়েছে। তাদের রানরেট ৪.৭০০। আর তৃতীয়তে থাকা বাংলাদেশ দুই ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে। তাদের রান রেট -০.৬৫০। আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে লিটন দাসদের ম্যাচ। এই ম্যাচে হেরফের হলেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
পিসিবির চিঠির উত্তর দেয়নি আইসিসি! |
![]() |
এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে হংকংকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাটিং করে লঙ্কানদের ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় তারা। তবে ৭ বল হাতে রেখে সে রান টপকে যায় শ্রীলঙ্কা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হংকংকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জিশান আলী ও আনশুমান রাঠ। পাওয়ার প্লের সুযোগ নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে যথাক্রমে ১০ ও ১৩ রান তোলেন তারা। তবে দলীয় ৪১ রান জিশানকে চামিরা সাজঘরে ফেরালে ভাঙে হংকংয়ের ওপেনিং জুটি। ১৭ বলে ২৩ রান করেন জিশান। এরপর ক্রিজে এসে ধুঁকেছেন বাবর হায়াত। হাসারাঙ্গার শিকার হওয়ার আগে মাত্র ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নিজাকাত খানকে সাথে এগিয়েছেন আনশুমান রাঠ। দুইজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছে হংকং। ৪৩ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন তারা দুইজন। রাঠকে আউট করে জুটি ভাঙেন চামিরা। ৪৬ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
সুপার ফোরে ভারত, চিন্তায় পাকিস্তান |
![]() |
এদিন হংকংয়ের অধিনায়ক ইয়াসিম মর্তুজা ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে৷ বাকি সময়টায় হংকংয়ের ইনিংসকে টেনেছেন নিজাকাত খান। ইনিংসের শেষ ওভারে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে হংকং। ৩৮ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন নিজাকাত খান।
জবাবে ২৬ রানে প্রথম উইকেট পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার। তবে কামিল মিশরাকে নিয়ে হাল ধরেন পাথুম। কামিল ফিরলে নিজের ইনিংস বড় করার পাশাপাশি দলকে এগিয়ে নেন। যদিও দলীয় ১১৯ রানের মাথায় লঙ্কান ওপেনার রান আউটে কাটা পড়লে বিপদে পড়ে দল। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে ফিরেন তিনি। এরপর ১১৯ থেকে ১২৭ রানের মধ্যে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় লঙ্কানরা। শেষ অমঙ্গলের হাত থেকে বাঁচান দাসুন শানাকা ও হাসারাঙ্গা। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা।
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের অপসারণ দাবি করেছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রধান ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। যদিও তার অনুরোধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি যেভাবে এশিয়া কাপে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন, সেটি মানার সম্ভাবনা খুবই কম—এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নাকভির মেইলের উত্তর দেয়নি আইসিসি। ধারণা করা হচ্ছে, পিসিবির ম্যাচ রেফারি পরিবর্তনের অনুরোধ মানার মতো পর্যাপ্ত কারণ আইসিসির কাছে নেই। যদি এখনো কোনো অফিসিয়াল উত্তর দেয়নি ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই আইসিসি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
আরও পড়ুন
সুপার ফোরে ভারত, চিন্তায় পাকিস্তান |
![]() |
পাকিস্তানের অভিযোগ, টসের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছিলেন। যা কিনা খেলাধুলার স্পিরিটের সরাসরি বিরোধী। তাই পাইক্রফটকে দায়ী করে এক টুইট বার্তায় তার অপসারণ দাবি করেন নাকভি।
“পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে, ম্যাচ রেফারি আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এবং এমসিসি'র স্পিরিট অব ক্রিকেটসংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেছেন। এই কারণে এশিয়া কাপ থেকে ওই ম্যাচ রেফারিকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছে পিসিবি।”
খেলল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। জিতল স্বাগতিক দল। আর আখের লাভ ভারতের। অর্থাৎ আজ আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের দিনের প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ ওয়াসিমদের জয়ে সবার আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ওমান।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মুশতাক |
![]() |
১৭তম আসরে এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে ভারত। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের রানরেট ৪.৭৯৩। দ্বিতীয় পাকিস্তান। সমান ম্যাচে এক জয় ও এক হার তাদের। দলটির রান রেট ১.৬৪৯। রানরেটে আরব আমিরাতের (–২.০৩০) চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। ২ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ওমান আগামী শুক্রবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে। সে ম্যাচের ফল যা–ই হোক, এই গ্রুপ থেকে ভারতের সুপার ফোরে ওঠা নিশ্চিত।
আমিরাত আজ প্রথম জয় পেয়েছে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত হবে ওয়াসিমদের। অর্থাৎ শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের পর আরেকটি কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারেন সালমান আগারা। হাতের তালুর মতো চেনা ঘরের মাঠে জায়ান্ট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটলে খেরোখাতায় লেখা হবে ইতিহাস।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ কুড়ি কুড়ি ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পায় আফগানিস্তান। সার্বিক দিক থেকেও লিটন দাসদের চেয়ে এগিয়ে রশিদ খানরা। ক্রিকেটের স্বল্প ওভারের খেলায় ১২ বারের দেখায় ৭বার জয় আনন্দ উপভোগ করেছে আফগানরা। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় জয় কঠিন হলে আত্মবিশ্বাস মুশতাক।
তিনি বলেন,
‘‘আফগানদের বিপক্ষে জয় তোলা কঠিন। রশিদদের মতো স্পিনাররা ১৫–২০ বছর ধরে খেলছে, অভিজ্ঞতায় তারা এগিয়ে। তার মানে এই নয় আমরা পিছিয়ে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের স্পিনাররাই মাঝের ওভারে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে এবং আমাদের ইকোনমি রেটে সেরা এক বা দুইয়ের মধ্যে। আমাদের শক্তি মাঝের ওভারের স্পিন আক্রমণ, সেটিই কাজে লাগাতে হবে।’’
আরও পড়ুন
রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
![]() |
এসময় আফগানদের বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার ব্যাপারটিও সামনে আনলেন মুশতাক। ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ আফগানরা। মুশতাক বলেন,
‘‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, আপনি চাইলে বিছানা কিনতে পারবেন কিন্তু ঘুম কিনতে পারবেন না। ঠিক সেভাবে আপনি চাইলেও অভিজ্ঞতা কিনতে পারবেন না। অভিজ্ঞতা আসে খেলার মাধ্যমে। তারা অনেক লিগ খেলে বলে এগিয়ে। তবে বাংলাদেশও কম ভালো করছে না। কিন্তু আইসিসি বা এসিসি টুর্নামেন্টে আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’