১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এম

ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটে বাংলাদেশের মূল ক্ষতিটা হয়ে গিয়েছিল প্রথম ১৫ ওভারেই। সেখান থেকে চাপের মুখে মাহমুদউল্লাহ দারুণ এক ইনিংস খেললেও তাই বোর্ডে রান কিছু কমই জমল বাংলাদেশের। বল হাতে দুই দফায় কিছুটা আশা জাগালেও তাই রহমানউল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরিতে ম্লান হয়ে গেল সব প্রচেষ্টা। সাথে আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের অপরাজিত ফিফটি আফগানিস্তানকে এনে দিল জয়।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৫ উইকেটে। সফরকারীদের করা ৮ উইকেটে ২৪৪ রান ১০ বল হাতে রেখেই পাড়ি দিয়েছে আফগানরা।
তিন ম্যাচের সিরিজ আফগানিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা দল ২৩৫ ও ২৫২ রান নিয়েই পেয়েছে বিশাল জয়। সেই কারণেই ২৪৪ রান করার পরও জয়ের পাল্লা একটু বেশি হেলে ছিল বাংলাদেশের দিকেই। তবে প্রথম দুই ম্যাচে অল্পে ফেরা ‘ডেঞ্জারম্যান’ রহমানউল্লাহ গুরবাজ এদিক ছন্দ ফিরে পান। প্রথম ওভারেই শরিফুলকে চার মেরে হয় শুরু।
আরও পড়ুন
| নাহিদ রানায় মুগ্ধ ইয়ান বিশপ, বললেন বাড়তি যত্ন নিতে |
|
শরিফুলের পরের ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে ছক্কার মার। অন্যপ্রান্তে অভিষিক্ত নাহিদ রানা শুরুটা করেন ভালো, নেন মেডেন ওভারও। তবে শরিফুল গুরবাজের কাছে আরেকটি ছক্কা হজমের পর তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন মিরাজ। গতির ঝড়ে ব্যাটারদের বারবার বিভ্রান্ত করা নাহিদই শেষ পর্যন্ত এনে দেন উইকেট। ঘন্টায় ১৫১ কি.মি. গতিতে করা এক ডেলিভারিতে ফেরান সেদিকুল্লাহ আটালকে।
মুস্তাফিজুর রহমানকে চাপে ফেলে ছক্কা মেরে আক্রমণে স্বাগত জানান গুরবাজ। তিনি ছন্দে থাকলেও রানের জন্য সংগ্রাম করা রহমত শাহ বেশিদূর যেতে পারেননি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে তাকে থামান মুস্তাফিজুর। এরপর টানা কয়েকটি ওভারে বোলাররা রানের গতি অনেকটাই কমিয়ে আনেন। এর মাঝেই ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ।
শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা হাশমতউল্লাহ শহিদি সাজঘরে ফেরেন মুস্তাফিজুরের শিকার হয়ে, তার আগে ২১ বলে করেন মাত্র ৬ রান। তবে এরপর খুব দ্রুতই বদলে যেতে থাকে ম্যাচের চিত্র। প্রায় প্রতি ওভারেই চার বা ছক্কা মেরে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে ফেলে দেন গুরবাজ ও ওমারজাই।
আরও পড়ুন
| আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নাহিদ রানার অভিষেক |
|
৮২ রানে থাকা অবস্থায় রান আউট প্রায় হয়েই যাচ্ছিলেন গুরবাজ, তবে সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙতে পারেননি বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিং বজায় রেখে পা রাখেন শতকের ঘরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি ওয়ানডেতে।
অন্যপ্রান্তে ওমারজাইও সমান তালে ব্যাটিং করায় দ্রুতই জুটিতেও হয়ে যায় সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার আশা যখন প্রায় শেষ, তখনই হাজির মিরাজ। বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় গুরবাজের ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো ১০১ রানের ইনিংস।
এক ওভার বাদে আঘাত হানেন নাহিদ। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল টাইমিং করতে ব্যর্থ হয়ে আকাশে তুলে দেন গুলবাদাইন নাইব। ক্যাচ নিতে ভুল হয়নি জাকেরের। তবে এরপরও পথ হারায়নি আফগানিস্তান।
চমৎকার এক ফিফটি করা ওমারজাইয়ের সাথে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি মিলে গড়ে তোলেন কার্যকরী এক জুটি, যা দ্রুতই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত তারাই মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করা ওমারজাই অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। আর নবি করেন ২৭ বলে ৩৪।
এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজ। আগের দুই ম্যাচে তিনে নেমে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছিলেন দারুণ দুটি ইনিংস। তার অনুপস্থিতিতে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয় দলকে শক্ত ভিত দিতে, যদি শুরুটা দুই ওপেনার এনে দিয়েছিলেন ভালো।
প্রথম দুই ম্যাচে ত্রিশের ঘরে গিয়ে আউট হওয়া সৌম্য সরকার এই ম্যাচেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৮। আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের প্রথম শিকার হওয়া আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। খুব দ্রুতই ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও৷
প্রথম দুই ম্যাচে রানে না থাকা তাওহীদ হৃদয় আরও একবার ব্যর্থ হন। শুরু থেকেই জড়তা ছিল স্পষ্ট। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে করেন মাত্র ৭ রান। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে রান আউট হন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে আসা জাকির হাসান।
আরও পড়ুন
| মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, বাংলাদেশ ২৪৪ |
|
৭২ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের জন্য তখন দুইশ রানও মনে হচ্ছিল দীর্ঘ পথ। উইকেটের যে আচরণ প্রথম দুই ম্যাচে, তাতে জেতার জন্য আড়াইশর আশেপাশে থাকা স্কোর গড়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফর্মে থাজা মিরাজ ক্রিজে থাকলেও মাহমুদউল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে রানের মধ্যে ছিলেন না। তবে চাপের মুখেই তো অভিজ্ঞরা নিজেদের মেলে ধরেন।
আর ঠিক সেটাই করে দেখান মাহমুদউল্লাহ। অন্যপ্রান্তে মিরাজ অনেকটাই টেস্ট মেজাজে খেললেও তিনি শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। চাপ কাটিয়ে তাতে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। মিরাজ ৫০ থেকে ৬০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও মাহমুদউল্লাহ বজায় রাখেন ৯০ এমনকি ১০০ স্ট্রাইক রেটও।
দুজনেই পেয়ে যান ফিফটির দেখা। জুটিতেও হয়ে যায় শতক। দুই সেট ব্যাটার থাকায় বাংলাদেশের চোখ ছিল ২৬০-২৭০ রানের দিকে। তবে আজমতউল্লাহর বলে মিরাজ ৬৬ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর সেই লক্ষ্যটা ক্রমেই নেমে যায়। এর মূল কারণ পরবর্তী ব্যাটারদের অবদান না রাখতে পারা।
বাংলাদেশের বাকি ইনিংস একাই টেনে নেন মাহমুদউল্লাহ। চার-ছক্কার মারে ধরে রাখেন লড়াকু স্কোরের সম্ভাবনা। সেঞ্চুরির ভালো সুযোগও তৈরি হয়েছিল। তবে ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়ে শেষ হয় ৯৮ রানের মহামূল্যবান ইনিংস। ৯৮ বলের দারুণ এই ইনিংস ডানহাতি ব্যাটার সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়।
No posts available.
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১১ পিএম
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩৫ পিএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে ২৬ ডিসেম্বর। আসন্ন টুর্নামেন্ট ঘিরে ইতোমধ্যেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা-আগ্রহ। আসরকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে আয়োজনে অঙ্গীকারবদ্ধ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
আজ বিসিবির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়, দর্শক, ম্যাচ কর্মকর্তা এবং টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সরকারের জনসমাগম সংক্রান্ত বর্তমান নির্দেশনা অনুসরণ করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এবারের বিপিএলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সমাপনী অনুষ্ঠান জমকালো করতে চায় গভর্নিং কাউন্সিল।
সরকারের পক্ষ থেকে বিপিএলের সূচিও ৪ দিন পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ ছিল। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করে পূর্ব নির্ধারিত সূচিতেই হবে দ্বাদশ আসর।

আইপিএল নিলামের ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলামে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভেড়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ দাম।
রেকর্ড দামে আইপিএল দল পাওয়ার পরের দিনই আইএল টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। এমআই এমিরাটসের বিপক্ষে ম্যাচে চলতি আসরে নিজের সেরা দিন পার করেন ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত এই পেসার।
দুবাইয়ে আজ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৭ রান তোলে এমআই এমিরাটস। শুরুটা দাপুটে হলেও শেষটা রঙিন হয়নি তাদের। এর পেছনে বড় কারণ ছিলেন মোস্তাফিজ। ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশি পেস সেনসেশন এদিন ৪ ওভার বোলিং করে নেন ৩ উইকেট। রান খরচে কিছুটা বিলাসিতা দেখান। ৮.৫০ ইকোনমি রেটে তিনি দেন ৩৪ রান।
এর আগে চলতি টুর্নামেন্টে ২ উইকেট ২২ রানের বোলিং ফিগারই ছিল মোস্তাফিজের সেরা। এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। আসরে এখন পর্যন্ত তার মোট উইকেট সংখ্যা ৯টি। সেরার দৌড়ে থাকা ওয়াকার সালমানখিলের ঝুলিতে রয়েছে ১২ উইকেট। তবে ওয়াকারের চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলেছেন বাংলাদেশি এই পেসার।
টুর্নামেন্টে দিল্লি ক্যাপিটালসও শীর্ষে থাকার লড়াইয়ে টিকে আছে। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে দলটির জয় ২টি। আজ এমআই এমিরাটসের বিপক্ষে জয় পেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গালফ জায়ান্টসের সঙ্গে ব্যবধান কমবে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম সংস্করণে সরাসরি চুক্তিতে ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে রংপুর রাইডার্স।
তাঁরা হলেন—ডেভিড মালান (ইংল্যান্ড), কাইল মায়ার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), খুশদিল শাহ (পাকিস্তান), ইফতিখার আহমেদ (পাকিস্তান), ফাহিম আশরাফ (পাকিস্তান) ও আকিফ জাভেদ (পাকিস্তান)।
২০২৪–২৫ মৌসুমের বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন ডেভিড মালান, কাইল মায়ার্স ও ফাহিম আশরাফ। বাকি তিনজন আগের মৌসুমেও রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন।
আজ এক বিবৃতিতে ছয় বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানোর তথ্য জানায় রংপুর রাইডার্স। সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়,
“অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্তি দলের ব্যাটিং ও বোলিং ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বিপিএল ২০২৬-এ শিরোপা জয়ের পথে দলকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে।”
রংপুর রাইডার্স দল:
সরাসরি চুক্তি
(দেশি): নুরুল হাসান সোহান, মোস্তাফিজুর রহমান
(বিদেশি): খাজা নাফি, সুফিয়ান মুকিম, ডেভিড মালান, কাইল মায়ার্স, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ ও আকিফ জাভেদ
নিলাম থেকে
লিটন কুমার দাস, তাওহিদ হৃদয়, নাহিদ রানা, রকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, নাঈম হাসান, মেহেদি হাসান সোহাগ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আব্দুল হালিম, এমিলো গে ও মোহাম্মদ আখলাক।
সিলেটে চলতি মাসের ২৬ তারিখ বিপিএল শুরু হবে, যা শেষ হবে ২৩ জানুয়ারি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টির আগে দুঃসংবাদ ভারতীয় শিবিরে। পায়ের চোটের কারণে ছিটকে গেছেন শুবমান গিল।
ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার নেট অনুশীলনের সময় চোট পান গিল। তাঁর চোটের বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়ার কথা ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। তবে ঘন কুয়াশার কারণে এখনো হয়নি ম্যাচের টস। গিলের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে সুযোগ মিলতে পারে উইকেটকিপার ব্যাটার সঞ্জু স্যামসনের।
এর আগে কলকাতা টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চোটে পড়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে যান গিল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরলেও ফর্মে ছিলেন না তিনি। প্রথম ম্যাচে করেন ৪ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে শুন্য, তৃতীয় ম্যাচে করেন ২৮ রান।

আইপিএল মিনি নিলামে ১৮ কোটি রুপিতে মাতিশা পাথিরানাকে দলে ভিড়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। একইসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বাংলাদেশের পেসারকে কেনায় কেকেআরের প্রশংসা করলেও পাথিরানার দাম নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত।
আজ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শ্রীকান্ত বলেন,
‘পাথিরানা বড় ঝুঁকি। সে হিট অ্যান্ড মিস বোলার। তবে কেকেআর মোস্তাফিজুর রহমানকেও নিয়েছে, যেটা খুব বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত। ব্রাভোর উপস্থিতির কারণে পাথিরানা কেকেআরে যাবে, এটা অনুমানই করা যাচ্ছিল। কিন্তু তার দাম আর এতগুলো দলের আগ্রহ অবাক করেছে।’
নিলামে পাথিরানাকে ঘিরে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। শুরুতে দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস দর হাঁকাতে থাকে। পরে লড়াইয়ে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত লখনৌকে ছাড়িয়ে ১৮ কোটি রুপিতে এই পেসারকে দলে নেয় কলকাতা।
ভিন্নধর্মী বোলিং অ্যাকশনের জন্য পরিচিত পাথিরানা আইপিএলে অভিষেক করেন ২০২২ সালে, সেবার খেলেন দুই ম্যাচ। ২০২৩ মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ১৯ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে ওঠেন। পরের মৌসুমে ছয় ম্যাচে নেন ১৩ উইকেট।
২০২৫ আসরে ১২ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেন পাথিরানা, রান দেন ওভারপ্রতি ১০.১৪ করে। নিলামের আগে পাথিরানাকে ছেড়ে দেয় চেন্নাই, নিলামে তাকে ফেরানোর চেষ্টাও করেনি।
নিলামে পাথিরানাকে নিয়ে অতিরিক্ত দর হাঁকানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শ্রীকান্ত। এক মৌসুম খারাপ গেলেই যেভাবে অনেক বড় নাম আলোচনার বাইরে চলে যায়, তার উদাহরণ টানেন শ্রীকান্ত।
‘লখনৌ ১৮ কোটি পর্যন্ত গেল। সে কি সত্যিই এত বড় বোলার? শেষ আইপিএলে তার পারফরম্যান্স ছিল খুবই সাধারণ। অনেক খেলোয়াড় এক মৌসুম খারাপ করলেই বাদ পড়ে যায়। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক এক মৌসুম ভালো না করায় এখন দৃশ্যপটেই নেই। একই কথা ডেভন কনওয়ের ক্ষেত্রেও।’