
প্রথম দুই ম্যাচে অন্য ব্যাটাররা রানের জন্য সংগ্রাম করলেও নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন সাবলীল। চোটের কারণে অধিনায়ককে হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচে একশর আগেই চার উইকেট হারিয়ে পড়ে গেল প্রবল চাপের মুখে। তবে বুক চিতিয়ে লড়ে দুর্দান্ত এক জুটিতে দলকে উদ্ধারে এগিয়ে এলেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। দুজনের ফিফটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে বাংলাদেশ পেল লড়াই করার মত একটা পুঁজি।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৪৪।
ম্যাচের আগে বড় ধাক্কায় বাংলাদেশ। কুঁচকির চোটে এই ম্যাচ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে যান শান্ত, যিনি ছিলেন দারুণ ছন্দে। নিজের ১০০তম ওয়ানডেতে তাই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব বর্তায় মিরাজের কাঁধে।
আরও পড়ুন
| আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নাহিদ রানার অভিষেক |
|
তবে আগে ব্যাটিং নেওয়ার পর তার দলের চিত্রটা সুবিধার হয়নি প্রথম ২০ ওভারে। প্রথম দুই ম্যাচে ত্রিশের ঘরে দুটি ইনিংস খেলা সৌম্য সরকার এদিনও ভালো শুরু পান। তবে সেটা বড় করতে পারেননি। আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিন চারে করেন ২৪ রান।
৫৩ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার চার রান বাদেই সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। পুরো সিরিজেই হতাশাজনক ব্যাটিং করা তাওহীদ হৃদয় আরও একবার ব্যর্থ হন। শুরু থেকেই নড়বরে থাকার পর আউট হন রশিদ খানের বলে।
মিরাজের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা জাকির হাসান। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৪ উইকেটে মাত্র ৭২।
আরও পড়ুন
| ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন শান্ত |
|
এরপরই শুরু হয় মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধ। একজন ব্যাট হাতে ভালো ছন্দে থাকলেও অন্যজন এই ফরম্যাটে সাম্প্রতিক সময়ে ছিলেন না একেবারেই রানের মধ্যে। মাহমুদউল্লাহ সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে শুরু থেকেই করেন ইতিবাচক ব্যাটিং। আর জুটি গড়ায় মনোযোগ দেওয়া মিরাজ ব্যাটিং করেন কিছুটা ‘টেস্ট’ মেজাজে।
ফলে মাহমুদউল্লাহ যেখানে ব্যাট করেন প্রায় ৮০-৯০ স্ট্রাইক রেটে, সেখানে মিরাজ প্রায় পুরো ইনিংসেই স্ট্রাইক রেট রাখেন ৬০-এর মধ্যে। তবে উইকেটের আচরণ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা বড় জুটির ছিল ভীষণ প্রয়োজন। আর সেই কাজটা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে করেন দুজন।
তাদের ক্রমেই জমে ওঠা জুটি ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। আফগান বোলারদের হতাশ করে দলকে এনে দেন শক্ত ভিত। একে একে দুজনই তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানের জুটির ইতি ঘটে মিরাজের বিদায়ে। তার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক ১১৯ বলে করেন ৬৬ রান।
আরও পড়ুন
| নেই অধিনায়ক শান্ত, কেমন হবে বাংলাদেশে একাদশ? |
|
এরপর অন্য ব্যাটাররা কেউই পারেননি বলার মত অবদান রাখতে। একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান কেবল মাহমুদউল্লাহ। যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে শতকটা প্রাপ্যই ছিল তার। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে সেই সমীকরণ আর মেলাতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। রান আউটে কাটা পড়েন ৯৮ রানে। সেঞ্চুরি মিস করলেও খুশি হতেই পারেন দলের বিপদে দারুণ এক ইনিংস খেলতে পেরে।
No posts available.
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৪২ এম
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২১ এম

ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নিয়ম মেনে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুই ম্যাচ খেলবেন বিরাট কোহলি। তবে অধিনায়কত্ব করবেন না অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার দল দিল্লির নেতৃত্বে থাকবেন আরেক তারকা ব্যাটার রিশাভ পান্ত।
বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ২০ জনের দল ঘোষণা করেছে দিল্লি এন্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)।
টুর্নামেন্টের 'ডি' গ্রুপে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে ৭টি ম্যাচ খেলবে দিল্লি। এর মধ্যে সবগুলোতেই কোহলি ও পান্তকে পাওয়া যাবে কিনা, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। ওই সিরিজের আগে অন্ধ্র প্রদেশ ও গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে খেলবেন কোহলি ও পান্ত।
এরপর পান্ত যদি জাতীয় দলের দায়িত্বে চলে যান, তাহলে দিল্লির অধিনায়কত্ব করবেন সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা আয়ুশ বাদোনি। এছাড়া স্কোয়াডে রিজার্ভ উইকেটকিপার হিসেবে অনুজ রাওয়াত আছেন।
দিল্লি স্কোয়াড: রিশাভ পান্ত (অধিনায়ক), আয়ুশ বাদোনি (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, অর্পিত রানা, যশ ঢুক, সার্থক রঞ্জন, প্রিয়াংশ আর্য, তেজস্বী সিং (উইকেটরক্ষক), নিতিশ রানা, হৃত্বিক শোকেন, হার্শ ত্যাগী, সিমারজিত সিং, প্রিন্স যাদব, দিভিজ মেহরা, আয়ুশ দোসেজা, বৈভব কান্দপাল, রোহান রানা, ইশান্ত শর্মা, নবদ্বীপ সাইনি।

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে সূর্যকুমার যাদবের জন্য নিঃসন্দেহে টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে সাফল্যময়। এই ফরম্যাটে লম্বা সময় র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও ছিলেন ভারতের তারকা ব্যাটার। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে টি-টোয়েন্টিতেও রান নেই সূর্যের।
আর এই খরা শুরু হয়েছে মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে রান করার পর থেকে। যেমনটা বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনসে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি।
এরপর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৭২ ম্যাচের ৮৩ ইনিংস ব্যাটিং করেও কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি কোহলি। প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে সেটিই ছিল কোহলির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরার সময়। যার শুরুটা হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে রান করার পর।
প্রায় ৬ বছর পর এবার সেই পথে সূর্যকুমার। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ২৯৭ রান করার পথে মাত্র ৩৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সূর্যকুমার। এরপর থেকে আর রান নেই তার ব্যাটে।
গত ১৪ মাসে ২৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ২২ বার ব্যাটিংয়ে নেমেও কোনো ফিফটি করতে পারেননি ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটার। এই ২২ ইনিংসে মাত্র ১২.৮৪ গড় ও ১১৭.৮৭ স্ট্রাইক রেটে সূর্যের সংগ্রহ ২৪৪ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই ম্যাচের পর সূর্যকুমারের ক্যারিয়ার ব্যাটিং গড় ছিল ৪২.৪০ ও স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৯.৪৮! যা এখন কমতে কমতে গড় নেমে হয়েছে ৩৫.২৯ ও স্ট্রাইক রেট ১৬৩.২৩। এই সময়ের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে, এশিয়া কাপে।
সবশেষ ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চার ইনিংসে তার সংগ্রহ- ১২, ৫, ১২ ও ৫ রান। অর্থাৎ মাত্র ৮.৫ গড়ে ৩৪ রান। সব মিলিয়ে চলতি বছর ২১ ম্যাচে মাত্র ১৩.৬২ গড়ে তিনি করেছেন মাত্র ২১৮ রান।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট বছরে অন্তত ২০ ম্যাচ খেলা অধিনায়কদের মধ্যে সূর্যকুমারের চলতি বছরের গড় ও মোট রানই সবচেয়ে কম। ২০২২ সালে ২২ ম্যাচে ১৬.৯০ গড়ে রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ের ক্রেইগ আরভিন।

অফসাইডে ফুলার লেন্থের স্লো ডেলিভারি। এতশত না ভেবে ব্যাট চালিয়ে দেন জনসন চার্লস। উড়তে থাকা বলটি ধরা পড়ে শর্ট থার্ডে থাকা ওয়াকার সালমানখিলের হাতে। যদিও একটু দৌড়েছিলেন আফগান স্পিনার, তবে লুফে নিতে আদতে কোনো সমস্যা হয়নি।
সালমানখিলের হাত ধরেই আজ আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে প্রথম উইকেটটি নেন মোস্তাফিজুর রহমান।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৬৩ রানে জয়ের ম্যাচে আরও একটি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এতে টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে বাংলাদেশের পেসারের উইকেটসংখ্যা দাঁড়াল ১১।
টুর্নামেন্টে মোস্তাফিজের সমান উইকেট খুজাইমা তানভিরের। শীর্ষে আছেন সতীর্থ ওয়াকার সালমানখিল। আফগান স্পিনারের উইকেট সংখ্যা ১৫। যদিও মোস্তাফিজের চেয়ে দুজনই একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছেন।
৬ ডিসেম্বর গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে আইএল টি-টোয়েন্টিতে যাত্রা শুরু হয় মোস্তাফিজের। সেই ম্যাচে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেন তিনি।
দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ রান খরচায় নেন আরও ২টি উইকেট। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে পান একটি করে। পঞ্চম ম্যাচে নিজেকে ছাড়িয়ে যান। এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে নেন ৩টি উইকেট। আজ আবারও প্রথম দুই ম্যাচের স্মৃতি ফিরিয়েছেন।
আজ মোস্তাফিজের প্রতিপক্ষ ছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ তাসকিন আহমেদ। তিনিও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। মোট ৩.৩ ওভারে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। রান খরচ করেছেন ৪০। দলের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা পোশাকের ফরম্যাটে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল ভারত। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের ৩০ রানে হারিয়েছে সূর্যকুমার যাদবরা। ফলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। কুয়াশার কারণে চতুর্থ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল।
আহমেদাবাদে শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত। টি টোয়েন্টির ইতিহাসে ভারত প্রথম ইনিংসে দুশো উর্ধ্ব রান নিল ৩৪তম বার। যা ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ রান নিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ রানের জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে ভারত।
কুড়ি কুড়ির ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকাকর বিপক্ষে এ নিয়ে ৩৫ বার মুখোমুখি হয়ে ২১ বার জিতেছে ভারত। ম্যান ইন ব্লুরা সর্বোচ্চ সংখ্যকবার জিতেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে অসিদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ বেশি খেলেছে ভারত।
ম্যাচটিতে একাধিক কীর্তি গড়েন ভারতের প্লেয়াররা। বরুণ চক্রবর্তী সর্বোচ্চ চার উইকেট তোলেন। তাতেই ২০২৫ ক্রিকেটীয় ক্যালেন্ডারে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বনে যান তিনি। টি টোয়েন্টিতে একই সংখ্যক উইকেট পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজের।
২০২৫ সালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আরও একটি কীর্তির কাছাকাছি। ভারতের হয়ে টি টোয়েন্টিতে এক ক্যালেন্ডারে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ভুবনেশ্বর কুমারের রেকর্ড (৩৭) ভাঙার প্রায় কাছাকাছি চলে গেছেন বরুণ। তার প্রয়োজন আর মাত্র দুটি উইকেট।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় ভারত। প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৬৩ রান। অভিষেক শর্মা আউট হওয়ার দ্বিতীয় জুটি ভাঙে দলীয় ৯৭ রানে। তার কিছুক্ষণ পর ৫ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
এরপরই তান্ডব শুরু করেন তিলাক ভার্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলেন ১০৫ রান। তিলক ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। বাহাতি এই ব্যাটারের এটি ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি।
হার্দিক তুলে নেন ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি। যুবরাজ সিংয়ের পর ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রততম ফিফটি এটি। তাঁর ২৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন তিলক। দশটি চার ও এক ছয়ে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৭৩ রান। শেষ পর্যন্ত ২৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
রোহিত শর্মাকে (১৭ ইনিংসে ৪২৯ রান) হটিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ রান তিলকের ( ১০ ইনিংসে ৪৯৬)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ইনিংসে সর্বাধিক ২০০ রানের রেকর্ডও ভারতের (৩৪ বার), দ্বিতীয় স্থানে সমারসেট (৩২ বার)।
২৩২ রানের জবাবে উড়ন্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩.৩ ওভারে দলীয় অর্ধশতক আসে প্রোটিয়াদের। দলটির এটি যৌথভাবে তৃতীয় দ্রততম দলীয় অর্ধশতক।
ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট নেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। ১২ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান রেজা হেনড্রিকস। এই ব্যাটারকে সবমিলিয়ে ৪ ইনিংসে ৯ বলে চারবার ফেরালেন বরুণ।
৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুইন্টন ডি কক। এটি তাঁর ব্যাক্তিগত ১৮ তম আর ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। ডি কক ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস যখন ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন তখনই ম্যাচে ফেরে ভারত। টানা তিন ওভারে চার উইকেট তুলে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে স্বাগতিকরা।
৩৫ বলে ৬৫ রান করা ডি কক কে কট অ্যান্ড বোল্ড আউট করে শুরুটা করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারে ১৭ বলে ৩১ রান করা ব্রেভিসকে ক্যাচে আউট করেন হার্দিক। এর পরের ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট নেন বরুণ। এইডেন মার্করামকে (৪ বলে ৬ রা) এলবিডব্লিউয়ের ফাদে পড়েন এইডেন মার্করাম। ডোনেভান ফেরেইরাকে করেন বোল্ড।
এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা শুধুই কমিয়েছে ব্যবধান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ তোলে প্রোটিয়ারা।
ভারতের হয়ে বরুণ ৪ টি , বুমরাহ নেন দুটি, হার্দিক ও আদর্শ দীপ সিং নেন একটি করে উইকেট।

আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঝুলিতে পুরেছিলেন এক উইকেট। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে লড়ছে শারজাহ ওয়ারির্য়স। দুদলে রয়েছেন বাংলাদেশ পেস সেনশনের অভিজ্ঞ দুইজন—মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
রেসে টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৮ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দাসুন শানাকা নেতৃত্বাধীন দলটির স্কোর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে তাসকিন আহমেদ ও সিকান্দার রাজার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।
আজ মোট ৩.৩ ওভার ৩ উইকেট নেন তাসকিন। রান খরচ করেছেন ৪০। দলের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি। রাজা-আদিল রশিদ ও পাথিরানা একটি করে উইকেট নেন।
এদিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের হাতে বল তুলে দেন শানাকা। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি বাংলাদেশি পেসার। খরচ করেন ১২ রান এবং হজম করেন দুটি বাউন্ডারি।
দলের ষষ্ঠ ওভারে তাসকিন ফের বোলিংয়ে আসেন। এ ওভারে ৯ রান খরচ করেন এবং একটি উইকেট তুলে নেন।
এরপর ১৮ ও ২০তম ওভারে বোলিংয়ের সুযোগ পান তাসকিন। ১৮তম ওভারে একটি এবং ২০তম ওভারে আরও একটি উইকেট নেন লাল-সবুজ দলের ডানহাতি পেসার। ১৮তম ওভারে খরচ করেন ৭ রান, আর ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান।