রোমাঞ্চের সর্বোচ্চ মাত্রা! ফাইনাল যেমনটা হওয়া উচিত, ঠিক তার সব রসদই যেন পেলেন দর্শকেরা। সৌদি সুপার কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ গোল সমতায়। পেনাল্টি শুটআউটে আল আহলির কাছে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় আল নাসরের। তাতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অনন্য রেকর্ডও যেন ম্লান হয়ে গেল।
৪১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আল নাসরকে এগিয়ে দেন রোনালদো। এর মাধ্যমে আল নাসরের হয়ে ১০০তম গোল করেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে রোনালদো চারটি ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে শতাধিক গোল করার রেকর্ড গড়লেন।
আরও পড়ুন
সেঞ্চুরির হাতছানি নিয়ে নতুন মৌসুমে নামছেন রোনালদো |
![]() |
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে সমতায় ফেরে আল আহলি। বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন ফ্র্যাঙ্ক কেসিয়ে।
৮২তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আল নাসর। প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে যান মার্সেলো ব্রোজোভিচ। তিনি নিজেই বক্সে ঢুকে দারুণ শটে গোল করেন।
জয়টা যেন নিশ্বাস দূরে, ঠিক তখনই হংকং স্টেডিয়াম স্তব্ধ করে দেন রজার ইবানেজ। ৮৯তম মিনিটে হেড থেকে গোল করে আল আহলিকে সমতায় ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে ৫-৩ ব্যবধানে জয় পায় আল আহলি।
No posts available.
স্প্যানিশ তরুণ ফুটবলার ল্যান্ড্রি ফারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে বার্সেলোনা। ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত কাতালান ক্লাবে থাকবেন এই ডিফেন্ডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্সা।
সাত বছর বয়সে বার্সেলোনার একাডেমিতে যোগ দেন ফারে। তাকে ক্লাবের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের সঙ্গে নতুন চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি আস্থা প্রকাশ করেছে ক্লাবটি।
সেন্টার-ব্যাক ও ফুল-ব্যাক—দুই পজিশনেই খেলতে পারেন ফারে। গত মৌসুমে উয়েফা ইউথ লিগ জয়ী দলে ছিলেন এই ডিফেন্ডার। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে প্রথম দলের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন, যদিও এখনো মাঠে নামার সুযোগ পাননি। বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ফারে।
ফারের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের যুব ফুটবলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক জোয়ান সোলার এবং যুব ফুটবলের পরিচালক হোসে রামোন আলেক্সাঙ্কো।
৩৭ বছর বয়সেও দিব্যি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেক ফুটবলার। তবে ওয়ার্কলোড বিবেচনায় বেশ সতর্ক থাকতে হয় ৩৫-উর্ধ্ব ক্রীড়াবিদদের। পরিবেশ, প্রতিপক্ষ ও অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাদের। শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও অনেকেই আলোচনায় থাকেন, দ্যুতি ছড়ান সবুজ গালিচায়।
লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পথের পথিক রবার্ট লেভানডফস্কি। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পছন্দের ক্লাব ছাড়তে হয়েছে এদের অনেককেই। তখন নাম–খ্যাতি থাকলেও বর্তমান ক্লাবের নজরে থাকে তরুণ প্রতিভা। মেসিকে যেমন ছাড়তে হয়েছিল প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা, তেমনি রোনালদোকেও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন লেভানডফস্কি।
২০২২ সালে স্বপ্নের ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন পোলিশ স্ট্রাইকার। আট বছর জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখে মাতিয়ে তোলার পর কাতালান শিবিরে যোগ দেন লেভা। সেখানে তিনি ১৫৬ ম্যাচে মাঠে নেমে ১০৫টি গোল করেছেন। নতুন মৌসুমেও তার পায়ের জাদু অব্যাহত রয়েছে—৭ ম্যাচে করেছেন ৪টি গোল।
আরও পড়ুন
পালমারকে নিয়ে বড় দুঃসংবাদ |
![]() |
মেসিদের মতোই, ৩৭ বছর বয়সী লেভানডফস্কিকেও বিদায় নিতে হতে পারে তার স্বপ্নের ক্লাব বার্সেলোনা থেকে। কথা উঠেছে, চলতি মৌসুমে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করবে না বার্সা।
পোলিশ স্পোর্টস সাংবাদিক ও ফুটবল কমেন্টেটর মাতেউশ শ্ভিয়েঁৎস্কি জানিয়েছেন, আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিতে পারেন লেভানডফস্কি। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে যোগ দিতে পারেন লেভা। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, সে আতলেতিকোতেই যোগ দেবে। সে সেখানে সফল হতে পারবে। কারণ এর আগে ডেভিড ভিয়া ও লুইস সুয়ারেজও সেখানে সফল ছিলেন।’
লেভানডফস্কির সঙ্গে ইতালির এসি মিলান ও সৌদি প্রো লিগের কয়েকটি ক্লাবের যোগাযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী আগস্টে তিনি ৩৮ বছরে পা দিলেও খেলা চালিয়ে যাবেন।
লেভার দলবদল বা চুক্তির বিষয়ে মাতেউশ শ্ভিয়েঁৎস্কি কোনো নির্দিষ্ট সূত্র বা প্রমাণ উল্লেখ করেননি। তবুও পোলিশ এই তারকা যে শিগগিরই ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে পারেন, সে বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ইউরোপা লিগে অংশ নিতে আগামী মাসে বার্মিংহামে পৌঁছাবে ইসরায়েলের অন্যতম সফল ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিব। আগামী ৬ নভেম্বর ভিলা পার্কে অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখি হবে দলটি। তবে এই ম্যাচে ইসরায়েলি সমর্থকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বার্মিংহাম প্রশাসন।
২০২৪ সালে আমস্টারডামে ইউরোপার একটি ম্যাচকে ঘিরে আয়াক্স ও ম্যাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি সমর্থক ও প্রতিপক্ষ সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সতর্কতার অংশ হিসেবে অ্যাস্টন ভিলা ও ম্যাকাবির মধ্যকার ম্যাচে অতিথি দলের সমর্থকদের মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের ওপর তাৎক্ষণিক তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের পুলিশ ও অপরাধ কমিশনার।
বার্মিংহাম সিটির কাউন্সিলর জন কটন এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে "ভুল" বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,
"হুমকি বা সহিংসতার কারণে শহরের কোনো ফুটবল ম্যাচে দর্শকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া উচিত নয়।"
তিনি আরও বলেন, "আমি সেফটি অ্যাডভাইজরি গ্রুপের স্বাধীনতাকে সম্মান করি, তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করছি।"
ম্যাকাবি সমর্থকদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন লন্ডনের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষও করেছেন অনেকে।
কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী কেমি বাডেনক বলেছেন, "এটি একটি জাতীয় লজ্জা। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, "ইহুদি সমর্থকরা যেন দেশের যেকোনো ফুটবল স্টেডিয়ামে নিশ্চিন্তে প্রবেশ করতে পারেন—এটি তিনি যেন নিশ্চয়তা দেন।"
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা এড ডেভি বলেছেন, "এই সিদ্ধান্তটি যত দ্রুত সম্ভব পরিবর্তন করা উচিত। এটি সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত।"
ইহুদি লিডারশিপ কাউন্সিল একে বলেছে "বিকৃত" সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে "লজ্জাজনক" বলে মন্তব্য করে।
একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল কোল পালমারকে ঘিরে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে কুঁচকির চোটে পড়া ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার শিগগিরই ফিরবেন— এমন প্রত্যাশা ছিল খোদ কোচ এনজো মারেস্কার। যদিও শেষ পর্যন্ত জানা গেল, সেটি আর হচ্ছে না।
ফিফা উইন্ডো শেষে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ইতালিয়ান কোচ জানিয়েছেন, কুঁচকির চোটের কারণে প্রায় ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে কোল পালমারকে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠের বাইরে আছেন পালমার। কোনো ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এ সময়ে নামা হয়নি তার। প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন পালমার। তাতেই ইংল্যান্ড দলের কোচ টমাস টুখেলের শর্টলিস্টে ঢুকে পড়েছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য বেশ ভালোভাবেই বিবেচনায় আছেন ইংল্যান্ডের এই তরুণ মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন
জানুয়ারিতে ক্লাব ছাড়তে পারেন রিয়ালের যে চার তারকা |
![]() |
চেলসির চাওয়া, আগামী নভেম্বরে ফিফা উইন্ডো পর্যন্ত বিশ্রামে থাকুক ২৩ বছর বয়সি পালমার। তবে কোচ মারেস্কা তাকে দ্রুতই মাঠে দেখতে চেয়েছিলেন। আগামী মাসের শুরুতেই পালমারকে মাঠে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলার পর তার সে চাওয়া আক্ষেপে রূপ নিয়েছে।
শনিবার প্রিমিয়ার লিগে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে চেলসির ম্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে মারেস্কা বলেছেন, ‘আমি ভুল করেছিলাম। আসলে তার ছয় সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে মাঠে ফিরতে। এটাই সর্বশেষ আপডেট।’
প্রিমিয়ার লিগের ২০২৪-২৫ সিজনে ১৫টি গোল করেছেন পালমার। নিঃসন্দেহে নতুন মৌসুমেও তার প্রয়োজনীয়তা অনেক। কারণ, এই মুহূর্তে সাত ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে আছে দ্য ব্লুজরা। এমন সময়ে প্রিয় শিষ্যকে না পাওয়াটা বড় ধাক্কা মারেস্কার জন্য।
ইতালিয়ান কোচ আরও বলেছেন, ‘যতটা সম্ভব আমরা পালমারকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে আশার দিক হলো, যখন সে মাঠে ফিরবে, তখন পুরোপুরি সুস্থ হয়েই ফিরবে।’
অনেকেই বলছেন, শিগগিরই ফিরবেন পালমার। কারণ, তাকে এই মুহূর্তে দলের খুব প্রয়োজন। এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে মারেস্কার। তিনি বলেছেন,‘মেডিক্যাল স্টাফরা কোনো ম্যাজিশিয়ান নয়। আশা করি ছয় সপ্তাহ যথেষ্ট সময়। ধাপে ধাপে সে সুস্থতার পথে এগোচ্ছে। এমনকি ভালোভাবেই সুস্থতার পথে পালমার।’
একমাসেরও বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকবেন চেলসির এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তার জায়গায় কে খেলবেন বা কাকে খেলানো হবে—এ বিষয়ে সূক্ষ্ম মন্তব্য মারেস্কার,‘পালমারের রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া কঠিন। সে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তাই তার জায়গায় অন্য কাউকে খেলানো কঠিন। পালমারের মতো এমন কেউ নেই দলে। কারণ, কোল (পালমার) ইউনিক।’
২০২৫-২৬ মৌসুমে এখন পর্যন্ত লা লিগার শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। নতুন মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় তুলে নিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
তবে ছন্দে থাকা দলের কিছু সদস্যসের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে দিনদিন। কেউ হয়তো মাঠে সুযোগ পাচ্ছেন না, কেউ বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় দল থেকে জায়গা হারাতে বসেছেন। জানুয়ারির শীতকালীন দল বদলের মৌসুমেই হয়তো সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে বিদায় নিতে পারেন তাদের মধ্যে অনেকে।
সুযোগের খোঁজে এন্ডিক
ব্রাজিলের এক বিস্ময় বালক নামে শোরগোল পড়ে যায় রিয়ালে এন্ডিকের আগমনে। অনেক আশা নিয়েই ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছিলেন তরুণ ফরোয়ার্ড। তবে ক্রমেই চুপসে যায় আশার বেলুন। গত মৌসুমে কার্লো আনচেলত্তির সময়ে মাঝেমধ্যে মাঠে নামার সুযোগ পেলেও নতুন কোচ জাবি আলোনসো চোখ তুলেও তাকাননি এন্ডিকের দিকে। চলতি মৌসুমে রিয়ালের হয়ে এক মিনিটের জন্যও খেলার সুযোগ পাননি প্রতিভাবান তরুণ তারকা।
সবশেষ লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে চোট পেলেও বদলি হিসেবে রদ্রিগোকেই নামান জাবি। তাতে এটা স্পষ্ট স্প্যানিশ কোচের পরিকল্পনায় নেই তিনি। মার্চের পর থেকে ব্রাজিল দলেও ডাক পাননি। বিশ্বকাপের এক বছর আগে নিয়মিত খেলায় ফিরতে না পারলে জাতীয় দলে তার জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাতে জানুয়ারিতে লা লিগার ছোট কোনো ক্লাবে কিংবা ইউরোপের অন্য কোথাও ধারে খেলতে যাওয়া হতে পারে তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর সমাধান। গুঞ্জন আছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি ক্লাব এন্ড্রিককে ধারে নিতে আগ্রহী।
অবহেলিত দানি সেবাইয়াস
রিয়াল মাদ্রিদে ধৈর্যের প্রতীক হিসেবে আছেন দানি সেবাইয়োসই। তবে সেই ধৈয্যের বাঁধও তো একটা সময় ভেঙে পড়ে। সম্প্রতি চার ম্যাচের তিনটিতে শুরুর একাদশে সুযোগ পেলেও মিডফিল্ডে তিনি এখনও পিছিয়ে আছেন জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভার্দে, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, অরেলিয়েন চুয়ামেনি ও আর্দা গুলার থেকে।
ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ও দানি কারভাহাল চোট থেকে ফিরলে আবার মিডফিল্ডে ফিরবেন ভালভার্দে । ফলে সেবাইয়োসের সুযোগ আরও কমে যাবে। গ্রীষ্মে ফরাসি ক্লাব মার্শেইয়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল থাকলেও ভেস্তে যায় চুক্তি। বিশ্বকাপের আগে নিয়মিত খেলায় ফিরতে না পারলে জানুয়ারিতে স্থায়ীভাবে বা ধারে অন্য ঠিকানায় পাড়ি দিতে পারেন ২৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।
উচ্চাকাঙ্ক্ষী গঞ্জালো গার্সিয়া
স্পেনের তরুণ ফরোয়ার্ডদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীলদের একজন গঞ্জালো গার্সিয়া। জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে চার গোল করে গোল্ডেন বুট জেতার পর দলে নিয়মিত হওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন। তবে ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের জায়গায় যে খেলেন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে।
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এমবাপের জায়গায় মাত্র ১০১ মিনিট খেলতে পেরেছেন গার্সিয়া। স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় সেরা হওয়ার লক্ষ্য রাখি। বিশ্বকাপে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার স্বপ্ন।’ স্পেন ও ইউরোপের কয়েকটি ক্লাব ইতিমধ্যে তাকে ধারে নিতে আগ্রহী। নিয়মিত খেলার সুযোগ পেলে স্পেনের মূল দলে জায়গা পাওয়ার দাবিও জোরালো করতে পারবেন।
শেষ অধ্যায়ে ডেভিড আলাবা
নিজের সেরা সময়টা যে পেছনে ফেলে এসেছেন সেটা বোধহয় বুঝতে পারছেন ৩৩ বছর বয়সী ডেভিড আলাবা। একের পর এক চোটে পড়া অস্ট্রিয়ান এই ডিফেন্ডারের রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায়ও শেষের পথে। হাঁটুর গুরুতর চোটের কারণে এক বছর বাইরে থাকার পর ফিরে এসেও খুব একটা খেলতে পারেননি।
এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র এক ম্যাচ খেলেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাজাখস্তানের কাইরাত আলমাটির বিপক্ষে। তাঁর সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি ২০২৬ পর্যন্ত থাকলেও নতুন করে তা নবায়নের কোনো পরিকল্পনা নেই। তাতে জানুয়ারিতেই তাকে বিক্রি করে দিতে পারে রিয়াল। ২০২১ সালে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে রেকর্ড ১৫বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলে যোগ দেওয়ার পর ১১৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে এখন তার শরীরের ক্লান্তি স্পষ্ট। তারুণনির্ভর পরিকল্পনার কথা ভেবে জানুয়ারিতেই আলাবাকে বিদায় দিতে পারে রিয়াল