২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:১৮ পিএম

একটা দল যখন ম্যাচের পর ম্যাচ জিততেই থাকে, তখন আড়ালে চলে যায় ছোট ছোট ভুলত্রুটিও। চলতি বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচে রংপুর রাইডার্স যেভাবে ছুটছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা হারতেই হয়ত ভুলে গেছে। সেই ধারার ইতি টেনে দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। ব্যাটে-বলে লড়াই জমাতে ব্যর্থ হয়েছে রংপুর। প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেলেও, এই পরাজয়কে সতর্কতা হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল রংপুর আসরের শুরু থেকেই খেলছে গোছানো ক্রিকেট। বিদেশী ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব বেশি বদল আনেনি দলটি। দেশীদের মধ্যেও রাখা হচ্ছে ধারাবাহিকতা। সাথে সোহানের দুর্দান্ত নেতৃতে দেখা মেলে একের পর এক জয়ের। রাজশাহীর বিপক্ষে তাই ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। তবে হারতে হয়েছে ২৪ রানে, যেখানে ফুটে উঠেছে কিছু দুর্বলতার জায়গা।
আরও পড়ুন
| রংপুরকে ভুলতে বসা হারের স্বাদ দিল রাজশাহী |
|
সোহান তাই এই ম্যাচকে দেখছেন শিক্ষা নেওয়ার ভালো একটি উপলক্ষ্য হিসেবেই। “পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা ভালো খেলেছি। এই হারটা আমাদের জন্য একটা সতর্কবার্তা। সবার সবার জায়গা থেকে এটা নিয়ে চিন্তা করতে পারবে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট জিনিসটাই এমন, ভালো ক্রিকেট খেলেই জিততে হবে। আপনি মাঠে নামবেন আর জিতবেন, এটা আশা করা যায় না। আপনি যেদিন ভালো খেলবেন, সেদিনই জিতবেন। আমরা কোথায় ভুল করেছি, আমার কাছে মনে হয় এখান থেকে শক্তিশালীভাবে ফিরে আসা যায়, এসব নিয়ে সবাই চিন্তা করবে।”
ম্যাচে বল হাতে রংপুর পারেনি শুরুর দিকে রাজশাহীর ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলার গতিতে লাগাম দিতে। এনামুল হক বিজয় কিছুটা ধীরলয়ে ব্যাটিং করলেও সাব্বির হোসেনের ৩৯ রানের ক্যামিওতে পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু পায় দলটি। ইয়াসির আলির ফিফটির পর শেষ পাঁচ ওভারে ঘুরে দাঁড়ালেও টার্গেট দাঁড়ায় ১৭১। ব্যাট হাতেও প্রথম ছয় ওভারে সেভাবে রান করতে পারেনি রংপুর, যা চাপ বাড়ায় পরের দিকে।
দুই পাওয়ার প্লেতে ভালো না করাই হারের কারণ বলে মনে করেন সোহান।
“আমার কাছে মনে হয় পাওয়ার প্লেতে আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। উইকেট একটু ট্রিকি ছিল। তারপরও, আমরা কিছু রান বেশি দিয়ে দিয়েছি। হয়ত ১৫ ওভারের পর আমরা কামব্যাক করেছি, তবে রান কিছু বেশি হয়ে গেছে। একইসাথে, ব্যাটিংয়েও পাওয়ার প্লে আমাদের ভালো যায়নি। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং বলেন বা বোলিং, পাওয়ার প্লে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই দুইটাই আমাদের বিপক্ষে গেছে।”
No posts available.
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫০ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে এখন অচলাবস্থা চলমান। আইসিসির সদস্যপদ সংক্রান্ত নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটকে। এমন অচলাবস্থার কারণে যেন দেশটির ক্রিকেটাররা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য উদ্যেগ নিচ্ছে আইসিসি।
বর্তমানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতনের দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়েছে আইসিসি। আইসিসির সঙ্গে এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির (ইউএসওপিসি)।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটের স্থগিতাদেশ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রামের সব দিক পরিচালনা ও প্রয়োজনে অর্থায়ন করতে আইসিসি প্রস্তুত। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দলের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত ও চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন পরিশোধের দায়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
আগামী জানুয়ারি জিম্বাবুয়েতে হয়ে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেবে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দল । ফেব্রুয়ারি–মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আর ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসেও খেলবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে আইসিসি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের অচলাবস্থা যেন কোনোভাবেই বৈশ্বিক আসরে দেশটির অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। পাশাপাশি, ২০২৮ অলিম্পিক দিয়ে শত বছর পর অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরানোর আইসিসির পরিকল্পনাও বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।
আইসিসি আরও জানায়, দেউলিয়া ঘোষণার পর তারা যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, যাতে খেলোয়াড় ও হাই পারফরম্যান্স স্টাফদের বেতন পরিশোধ করা যায়। তবে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি ইউএসএ ক্রিকেট। ফলে আইসিসি এখন দেখছে, প্রয়োজনে তারা সরাসরি খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধ করতে পারে কি না, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের পক্ষ হয়ে।
আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারদের প্রতিই আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব। ইউএসএ ক্রিকেটের দেউলিয়া প্রক্রিয়া তাদের আইসিসি ইভেন্ট বা লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮ অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আইসিসি হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম পরিচালনা ও অর্থায়নে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক সংকট সমাধানে আইসিসির নরমালাইজেশন কমিটি তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি, মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) সহ দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোর অনুমোদন ও তদারকি সরাসরি আইসিসি করবে।

আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ছন্দে আছেন তাসকিন আহমেদ। সবশেষ দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া তাসকিন আজ আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে নিলেন আরও দুই উইকেট। তবে দারুণ শুরুর পরও নিজের শেষ ওভারে বেদড়ক মার খেলেন তাসকিন।
গতকাল ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে নিয়েছেন ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তাসকিন নিয়েছিলেন ২ উইকেট। আজ ৪ ওভারে ৪১ রান খরচ করে বাংলাদেশি পেসারের শিকার দুই উইকেট। এ নিয়ে শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচে তাসকিন নিয়েছেন আট উইকেট।
আজ পাওয়ার প্লে এর প্রথম তিন ওভারে দারুণ বোলিং করেন তাসকিন। এই তিন ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট পান ৩০ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার। তবে শেষ ওভারে গড়বড় পাকিয়ে ফেলেন। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে চারটি ছয় হজম করেন।
টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা শারজা ওয়ারিয়র্স প্রথম ওভারেই উইকেট পায় তাসকিনের নৈপুণ্যে। প্রথম ওভারে মাত্র একটি চার হজম করার বিপরীতে ফিল সল্টকে ফেরান তাসকিন। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারেও একইভাবে তাসকিনের ওভারে একটি চার মেরে আরেকটি উইকেট হারায় আবুধাবি নাইট রাইডার্স। এবার অ্যালেক্স হেলসকে আউট করেন তাসকিন।
দলীয় ১৯তম ওভারে বাকি থাকা এক ওভার করতে আসেন তাসকিন। ক্রিজে তখন দুই মারকুটে ব্যাটার আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডার। তাসকিনের ওই ওভার থেকে দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার ২৫ রান তুলে নেয়।
আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এই ম্যাচে শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে সেরা বোলার আদিল রাশিদ। এই লেগ স্পিনার চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। ৩ ওভারে ১২ রান খরচ করে দুই উইকেট শিকার ওয়াসিম আকরামের। তাসকিনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করেছে আবুধাবি।

অনেকেই মজা করে বলছেন ‘বাজবলের’ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ঐতিহ্যের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইটাও করতে ব্যর্থ হয়েছে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সের পর অনেকে ইংলিশদের দলের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শেষ দেখছেন। তবে বেন স্টোকসের কোচিং করিয়ে নাকি বেশ মজা পাচ্ছেন ম্যাককালাম। ইংল্যান্ড দলের দায়িত্বও আপাতত ছাড়ার কথা মাথায় আনছেন না।
ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েই বেশ বাজিমাত করেছিলেন ম্যাককলাম। আগ্রাসী ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে কচুকাটা করতে বেশ পারদর্শী হয়ে তাঁর দল। তবে দ্রুতই মুদ্রার উল্টোপিঠও দেখতে শুরু করেন। ‘বাজবল’ দিয়ে কাবু করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়াকে। অজিদের ডেরায় এবার স্টোকসরা ধবলধোলাইয়ের প্রবল শঙ্কায় আছে। এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই কোচ ম্যাককালামকে বরখাস্ত নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ম্যাককালাম অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি ইংল্যান্ড দলের দায়িত্বে থাকতে চান, যদিও ভবিষ্যৎতের সিদ্ধান্ত যে নিজের হাতে নেই সেটা ভালো করেই জানা ৪৪ বছর বয়সী নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটারের।
আরও পড়ুন
| ‘দল সাজানো বেশ কঠিন হবে’, রংপুরের গভীরতা নিয়ে মিকি আর্থার |
|
শত চাপের মধ্যেই চাকরি ছাড়তে না চাওয়া ম্যাককালান বলেন, ‘কাজটা ভালো। মজা লাগে। ছেলেদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে হয়। কিছু অর্জন করতে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলতে হয়, আমার জন্য এটা হলো মানুষের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনা।’
তবে চাকরি বাঁচানোর জন্য নাকি বিশেষ কিছু করছেন না ম্যাককালাম, ‘আপনি চাইবেন খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করতে। আমি চাকরি রক্ষার জন্য কিছু করি না। মূল বিষয় হলো খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করা এবং তাদের সঙ্গে যা সম্ভব তা অর্জনের চেষ্টা করা।’
ইংল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি আছে ম্যাককলামের। যার মধ্যে ঘরের মাঠে অ্যাশেজ সিরিজও আছে। ইংল্যান্ডের কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয় আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত চাকরি থাকবে কিনা, জবাবে ম্যাককালাম বলেন, ‘আমি জানি না। এটা আসলে আমার ওপর নির্ভর করছে কি না। আমি শুধু কাজটা চালিয়ে যাব, এখানে যা ঠিকভাবে করতে পারিনি তার থেকে শিক্ষা নেব এবং কিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করব। এই ধরনের প্রশ্ন অন্য কারো জন্য, আমার জন্য নয়।’
২০২২ সালে শুরু হয় ইংল্যান্ড দলে স্টোকস-ম্যাককালাম জুটি। এই জুটি প্রথম ১১ টেস্টের ১০টিতেই জিতে। তবে এরপরই পথ হারায়। এ পর্যন্ত ৩৩ টেস্টের মধ্যে ইংল্যান্ডের জয় ১৫টি, হার ১৬টি।
আগামী মঙ্গলবার শুক্রবার মেলবোর্নে হবে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট। চাকরি বাঁচানোর প্রয়োজনে হোক কিংবা উপভোগের মন্ত্র, অন্তত শেষ দুটো ম্যাচে ইতিবাচক ফল নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরতে মরিয়া হয়ে থাকার কথা ম্যাককলামের।

গত ১৪ ডিসেম্বর সিডনির বন্ডি বিচে ভয়াবহ গুলির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে যখন গুলি চালায়, ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকাহ উদযাপনের অনুষ্ঠান চলছিল তখন। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তির শিকার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার উসমান খাজা ও তাঁর পরিবার।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খাজা অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বর্তমানে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলছেন তিনি। হামলার সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না থাকলেও, তাকে ও তাঁর পরিবারকে লক্ষ্য করে ইসলামবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়।
বিষয়টি সামনে এনেছেন খাজার স্ত্রী র্যাচেল খাজা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু আপত্তিকর মন্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করে র্যাচেল খাজা লেখেন, ‘গত এক সপ্তাহে আমরা যে মন্তব্যগুলো পেয়েছি, তার একটি ছোট অংশ সংগ্রহ করেছি। এগুলো নতুন কিছু নয়, কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় এসব আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।‘
আরও পড়ুন
| বক্সিং ডে টেস্টে একাধিক পরিবর্তন আসছে অস্ট্রেলিয়ার |
|
কিছু মন্তব্যে খাজার মেয়েদেরকে উদ্দেশে চরম ঘৃণামূলক ভাষা ব্যবহার করা হয়। তাদেরকে পাকিস্তানেও ফিরে যেতে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। ইহুদিবিদ্বেষ, ইসলামবিদ্বেষ কিংবা বর্ণবাদ-কোনোটাই আমাদের মেনে নেওয়া উচিত নয়।‘
হামলার ঘটনার পর উসমান খাজা নিজেও নিন্দা জানিয়েছেন। এর আগে বন্ডি বিচ হামলার ঘটনায় যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের শিরোপার অন্যতম দাবিদার রংপুর রাইডার্স। এর বড় কারণ মূলত স্কোয়াডের গভীরতা। প্রতিটি জায়গার জন্য একাধিক মানসম্পন্ন বিকল্প থাকায় একাদশ নির্বাচন করাই এখন রংপুরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ- এমনটাই মনে করছেন দলটির প্রধান কোচ মিকি আর্থার।
সিলেটে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের জন্য সোমবার দলের সঙ্গে যোগ দেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে টুর্নামেন্টের আরেক ফেভারিট রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে রংপুরকে দেখার সুযোগ পান তিনি।
নিচু ও মন্থর উইকেটে হওয়া সেই ম্যাচে রংপুরের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির ক্রিকেটার অনুপস্থিত থাকলেও বিকল্প খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাচাইয়ের সুযোগ পায় কোচিং স্টাফ। পরে ম্যাচ শেষে নিজ দল নিয়ে মূল্যায়ন জানান আর্থার।
আরও পড়ুন
| বিগ ব্যাশে শাদাবের জাদু, বিশ্বকাপের দল বদলের ইঙ্গিত |
|
“আমাদের ম্যানেজমেন্ট সত্যিই দারুণ একটি স্কোয়াড গড়েছে। স্কোয়াডের গভীরতা অসাধারণ। আমি মাত্রই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। অনেক খেলোয়াড়কে প্রথমবার কাছ থেকে দেখলাম। কয়েকজনের সঙ্গে অবশ্য গত বছর কাজ করেছি।”
প্রস্তুতি ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করে রংপুর। তরুণ বাঁহাতি ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি করেন সর্বোচ্চ ৫৮ রান। জবাবে রাজশাহী ১৮.১ ওভারেই পাঁচ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।
ম্যাচটি খেলেননি তারকা ব্যাটার লিটন কুমার দাস। এছাড়া বিদেশি ক্রিকেটাররাও এখন পর্যন্ত দলের সঙ্গে যোগ দেননি। সব মিলিয়ে বেশ তারকাবহুল এক দল রংপুর। তবে একাদশ বাছাইয়ে নাম বিবেচনা করবেন না আর্থার।
“নাম আমার কাছে কোনো গুরুত্ব বহন করে না। পারফরম্যান্সই সব। যারা পারফর্ম করবে, তারাই ম্যাচ খেলবে।”
রংপুরের স্কোয়াডে রয়েছে নয়জন বিদেশি ক্রিকেটার, যাদের মধ্যে থেকে একাদশে জায়গা পাবেন মাত্র চারজন। ডেভিড মালান, কাইল মায়ার্স, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম, খাজা নাফেসহ একাধিক তারকা নাম থাকায় কোচের সিদ্ধান্ত নেওয়া যে সহজ হবে না, তা স্বীকার করেছেন তিনি নিজেই।
“আমাদের হাতে বিকল্প আছে বলেই আমরা ম্যাচ-আপ, প্রতিপক্ষ আর কন্ডিশন দেখে দল সাজাতে পারব। এই জায়গাটায় আমরা সত্যিই ভালো অবস্থানে আছি।”
আরও পড়ুন
| রংপুরের প্রস্তুতি ম্যাচে ইফতির ফিফটি, হালিমের দারুণ বোলিং |
|
দেশি ক্রিকেটারদের দিক থেকেও রংপুরের শক্তি কম নয়। লিটন, মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা স্কোয়াডকে দিয়েছে বাড়তি ভারসাম্য।
তবে শুধু শক্ত স্কোয়াডই নয়, পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাকে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হিসেবে দেখছেন রংপুর কোচ। গত মৌসুমে টানা আট ম্যাচ জিতে দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ দিকে ধস নামার বিষয়টি ভুলতে চান না তিনি।
“গত বছর আমরা প্রথম আট ম্যাচ জিতেছিলাম, তারপর আর একটি ম্যাচও জিততে পারিনি। এটা আমরা আর চাই না। ম্যানেজমেন্ট হিসেবে আমরা বসে বিশ্লেষণ করব- কোথায় ভুল হয়েছিল, শেষের দিকে পারফরম্যান্স কেন পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে দেব না।”
সিলেটে আগামী ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।