২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:১৮ পিএম
একটা দল যখন ম্যাচের পর ম্যাচ জিততেই থাকে, তখন আড়ালে চলে যায় ছোট ছোট ভুলত্রুটিও। চলতি বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচে রংপুর রাইডার্স যেভাবে ছুটছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা হারতেই হয়ত ভুলে গেছে। সেই ধারার ইতি টেনে দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। ব্যাটে-বলে লড়াই জমাতে ব্যর্থ হয়েছে রংপুর। প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেলেও, এই পরাজয়কে সতর্কতা হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল রংপুর আসরের শুরু থেকেই খেলছে গোছানো ক্রিকেট। বিদেশী ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব বেশি বদল আনেনি দলটি। দেশীদের মধ্যেও রাখা হচ্ছে ধারাবাহিকতা। সাথে সোহানের দুর্দান্ত নেতৃতে দেখা মেলে একের পর এক জয়ের। রাজশাহীর বিপক্ষে তাই ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। তবে হারতে হয়েছে ২৪ রানে, যেখানে ফুটে উঠেছে কিছু দুর্বলতার জায়গা।
আরও পড়ুন
রংপুরকে ভুলতে বসা হারের স্বাদ দিল রাজশাহী |
![]() |
সোহান তাই এই ম্যাচকে দেখছেন শিক্ষা নেওয়ার ভালো একটি উপলক্ষ্য হিসেবেই। “পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা ভালো খেলেছি। এই হারটা আমাদের জন্য একটা সতর্কবার্তা। সবার সবার জায়গা থেকে এটা নিয়ে চিন্তা করতে পারবে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট জিনিসটাই এমন, ভালো ক্রিকেট খেলেই জিততে হবে। আপনি মাঠে নামবেন আর জিতবেন, এটা আশা করা যায় না। আপনি যেদিন ভালো খেলবেন, সেদিনই জিতবেন। আমরা কোথায় ভুল করেছি, আমার কাছে মনে হয় এখান থেকে শক্তিশালীভাবে ফিরে আসা যায়, এসব নিয়ে সবাই চিন্তা করবে।”
ম্যাচে বল হাতে রংপুর পারেনি শুরুর দিকে রাজশাহীর ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলার গতিতে লাগাম দিতে। এনামুল হক বিজয় কিছুটা ধীরলয়ে ব্যাটিং করলেও সাব্বির হোসেনের ৩৯ রানের ক্যামিওতে পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু পায় দলটি। ইয়াসির আলির ফিফটির পর শেষ পাঁচ ওভারে ঘুরে দাঁড়ালেও টার্গেট দাঁড়ায় ১৭১। ব্যাট হাতেও প্রথম ছয় ওভারে সেভাবে রান করতে পারেনি রংপুর, যা চাপ বাড়ায় পরের দিকে।
দুই পাওয়ার প্লেতে ভালো না করাই হারের কারণ বলে মনে করেন সোহান।
“আমার কাছে মনে হয় পাওয়ার প্লেতে আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। উইকেট একটু ট্রিকি ছিল। তারপরও, আমরা কিছু রান বেশি দিয়ে দিয়েছি। হয়ত ১৫ ওভারের পর আমরা কামব্যাক করেছি, তবে রান কিছু বেশি হয়ে গেছে। একইসাথে, ব্যাটিংয়েও পাওয়ার প্লে আমাদের ভালো যায়নি। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং বলেন বা বোলিং, পাওয়ার প্লে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই দুইটাই আমাদের বিপক্ষে গেছে।”
No posts available.
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে নেপালের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে লক্ষ্যে আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সিডব্লিআইয়ের ঘোষিত দলের অধিনায়ক আকিল হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেপালের সিরিজটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের আয়োজক নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। ২৭ সেপ্টেম্বর শারজাহ গড়াবে প্রথম টি টোয়েন্টি। একই ভেন্যুতে ২৯ ও ৩০ তারিখ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন
ভারতের সঙ্গে সুপার ফোরে পাকিস্তান |
![]() |
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিরেক্টর মাইলস বাসকম্ব জানিয়েছেন, নেপালের বিপক্ষে সিরিজটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের দিগন্ত প্রসারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াড: আকিল হোসেন (অধিনায়ক), ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, জুয়েল অ্যান্ড্রু, অ্যাকিম অগাস্ট, নাভিন বিডাইস, জেডিয়াহ ব্লেডস, কিয়াসি কার্টি, কারিমা গোর, জেসন হোল্ডার, আমির জ্যাঙ্গু, কাইল মায়ার্স, ওবেড ম্যাককয়, জিশান মোতারা, রামন সিমন্ডস, শামার স্প্রিঙ্গার।
এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতের পর পাকিস্তানও নিশ্চিত করেছে সুপার ফোর। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে সালমান আগা বিগ্রেড। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পয়েন্ট সমান চার। পাকিস্তানের গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচ শেষ। ভারতের সঙ্গে ওমানের ম্যাচ বাকি রয়েছে, যা কেবল নিয়মরক্ষার।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় আমিরাত।
আরও পড়ুন
বেথেলের ইতিহাসের দিনে ইংল্যান্ডের জয় |
![]() |
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব। টানা তিন ম্যাচে স্কোরবোর্ডে কোনো রান তুলতে পারেননি তিনি। তিনবারই ফিরেছেন ডাক মেরে। আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান আউট হন ১২ বলে ৫ রান করে। দলের ৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার। এরপর জুটি বাঁধেন সালমান আগা এবং ফাখার জামান। আগা ধরে খেললেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দেন ফাখার। দলের ৭০ রানের মাথায় ২৭ বলে ২০ রান করে আউট হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ফাখার ফেরেন ফিফটি করে। ৩৬ বলে ৫০ রান করে দলের ৮৬ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
ফাখার ফিরলে দলের রান গতি থিতু হয়ে পড়ে। শেষদিকে চেষ্টা চালিয়েছেন মোহাম্মদ হারিস ও শাহীন আফ্রিদি। ১৪ বলে ১৮ রান করেন হারিস। ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন শাহীন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
শেষ ওভারে শাহীন আফ্রিদির ব্যাটিং ঝড় |
![]() |
আমিরাতের হয়ে জুনায়েদ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট সংগ্রহ করেন। ৩ উইকেট তুলেছেন সিমরানজীত সিং।
জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতে আলিশান শারাফু এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম মিলে তোলেন ২১ রান। ৮ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন শারাফু। ওয়াসিম থেমেছেন ১৪ রান করে। পাওয়ারপ্লের মধ্যে আরও এক উইকেট হারিয়ে বসে আমিরাত। মোহাম্মদ জোহাইব ৯ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন।
এরপর ধ্রুব পারাশার সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাহুল চোপড়া। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ২৩ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন পারাশার। রাহুলের চেষ্টা আরও কিছুক্ষণ অব্যাহত ছিল। ৩৫ বলে ৩৫ রান করে আউট হন রাহুল।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে ৪ বলে ৩ ডাক সাইমের |
![]() |
দুজন সেট ব্যাটারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে আমিরাত।থমকে যায় দলের রানের গতি। টপাটপ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। একের পর এক উইকেট পতনের ফলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল।
পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
ডাবলিনে বুধবারের দিনটা হয়ে উঠেছিল একান্তই জ্যাকব বেথেলের। টসের সময়ই তিনি ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখান। বাঁহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডারের জন্য সেটাই ছিল গর্বের মুহূর্ত, দিনের শেষ হয় আরও বড় সাফল্যে।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বেথেলের ইংল্যান্ড। ১৯৭ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ১৮তম ওভারেই। বেথেলের নেতৃত্বে পাওয়া এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো ইংলিশরা।
আরও পড়ুন
নিভৃতচারী কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ সাদেক ৮০-তে পা দিয়েছেন |
![]() |
এদিন ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করে ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন জস বাটলার ও ফিল সল্ট । বাটলার ১০ বলে ২৮ রানে ফিরলেও সল্ট মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট চালান। তিনি ৪৬ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন। যাতে ছিল ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা। স্যাম কারান ১৫ বলে ২৭ ও অধিনায়ক জ্যাকব বেথেল ১৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ইনিংসের দশম ওভারে পাকিস্তান যখন চা বিরতিতে, সালমান আগাদের দলীয় স্কোর ২ উইকেট ৬৭ রান। অর্থাৎ ওভারপ্রতি রান রেট ৬.৭০। আর ইনিংস শেষে দলটি ওভারপ্রতি রানরেট দাঁড়ায় ৭.৩০। মূলত শেষ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলার মুহাম্মদ রোহিদের ওপর তাণ্ডবলীলা চালান শাহীন শাহ আফ্রিদি। ২ ছক্কা, ১ চার ও ডাবলসের সাহায্য পাকিস্তানকে ১৪৬ রানের স্বস্তিদায়ক স্কোর এনে দেন তিনি।
আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব। টানা তিন ম্যাচে স্কোরবোর্ডে কোনো রান তুলতে পারেননি তিনি। তিনবারই ফিরেছেন ডাক মেরে। আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান আউট হন ১২ বলে ৫ রান করে। দলের ৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে ৪ বলে ৩ ডাক সাইমের |
![]() |
এরপর জুটি বাঁধেন সালমান আগা এবং ফাখার জামান। আগা ধরে খেললেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দেন ফাখার। দলের ৭০ রানের মাথায় ২৭ বলে ২০ রান করে আউট হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ফাখার ফেরেন ফিফটি করে। ৩৬ বলে ৫০ রান করে দলের ৮৬ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
ফাখার ফিরলে দলের রানগতি থিতু হয়ে পড়ে। শেষ দিকে চেষ্টা চালিয়েছেন মোহাম্মদ হারিস ও শাহীন আফ্রিদি। ১৪ বলে ১৮ রান করেন হারিস। ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন শাহীন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।
আমিরাতের হয়ে জুনায়েদ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট সংগ্রহ করেন। ৩ উইকেট তুলেছেন সিমরানজীত সিং।
ওমান, ভারত আর আজ সংযুক্ত আরব আমিরাত-এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে একই ফল পাকিস্তানের ব্যাটার সাইম আইয়ুবের। এই তিন ম্যাচে স্কোরকার্ডে কোনো রান যুক্ত করতে পারেননি তিনি। তবে প্রথম দুই ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে তুলেছেন ২ উইকেট।
আজ এশিয়া কাপে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য ডু অর ডাই। পা ফসকালেই ছিটকে পড়ার ভয় সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। এমন ম্যাচে রান খাতা ‘শূন্য’ থেকেছে সাইমের। এর আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পান্ডিয়ার শিকার হয়ে সাজঘরমুখো হন সাইম। প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষেও টিকতে পেরেছেন এক বল।
এশিয়া কাপে মোট চার বল মোকবিলা করতে পেরেছেন সাইম।এরমধ্যে তিনবারই ফিরেছেন ডাক মেরে। দুইবার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন। একবার কট তুলে। টি টোয়েন্টিতে ১৫ দিনে ৬ ম্যাচ খেলে চারবারই ডাক মেরেছেন সাইম।
টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ডাক ২৩ বর্ষী সাইমের। ৪৪ ইনিংসে ৮টি ডাক তার। যুগ্মভাবে তার সঙ্গে আছেন সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। শীর্ষে ওমর আকমল। তিনি ৭৮ ম্যাচে ১০ বার ডাক মেরেছেন।