
সেই জিএসএল জয় দিয়ে শুরু, এরপর বিপিএলে রেকর্ড টানা ৮ ম্যাচ জেতা রংপুর রাইডার্স প্রায় অজেয়ই হয়ে উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের জয়রথ থামল, তাও আসরের অন্যতম অধারাহিক দল দুর্বার রাজশাহীর কাছে। ইয়াসির আলির ফিফটির পরও রংপুরের বোলাররা প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়েছিলেন নাগালের মধ্যে থাকা স্কোরেই। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে সাইফ হাসান ও নুরুল হাসান সোহান লড়াই করলেন বটে, তবে এই দফায় আর পারলেন না জেতাতে। রাজশাহী পেল উজ্জীবিত এই জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩১তম ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুরকে ২৪ রানে হারিয়েছে রাজশাহী। ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সোহানের দল থেমেছে ১৪৬ রানেই।
আরও পড়ুন
| রংপুরকে ভুলতে বসা হারের স্বাদ দিল রাজশাহী |
|
এই ম্যাচ দিয়ে রংপুর একাদশে আসা ইরফান শুক্কুর নেমেছিলেন ওপেন করতে। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই কিপার-ব্যাটার। প্রথম ওভারেই তাকে বোল্ড করেন রাজশাহী অধিনায়ক তাসকিন। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেলরও ফেরেন এক ডিজিটে।
তবে রংপুরকে বড় ধাক্কাটা দিয়ে একই ওভারে গোল্ডেন ডাকের তেতো অভিজ্ঞতা উপহার দিয়ে ইফতিখার আহমেদকেও শিকার বানান এসএম মেহেরব। মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া রংপুরের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাইফ। মোহর শেখকে হাঁকান হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি।
তবে তাল মেলাতে পারেননি বল হাতে দারুণ দিন পার করা খুশদিল। পাকিস্তান অলরাউন্ডারের অবদান ছিল মাত্র ১৪ রান। সাব্বির হোসেনকে টানা দুই ছক্কা মেরে চল্লিশের ঘরে পা রাখা সাইফ ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ক্রমেই চাপ সরাচ্ছিলেন।
তবে ফিফটি থেকে সাত রান দূরে থাকতে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। ১৪ বলে ৮ রানের ইনিংসে রংপুরকে চাপে ফেলে সাজঘরের পথ ধরেন শেখ মাহেদি হাসান। ১৩ ওভারে বোর্ডে রান তখন মাত্র ৯১।
আরও পড়ুন
| ইয়াসিরের ঝড়ো ফিফটির পর রংপুরের ফাইটব্যাক |
|
সেখান থেকেই লড়াইয়ের শুরু সোহানের। পরপর দুই বলে মেহেরবকে ডিপ মিড উইকেট ও লং অন দিয়ে মারেন ছক্কা। দারুণ সব শটে রংপুর অধিনায়ক যেন ফিরিয়ে আনছিলেন ফরচুন বরিশাল ম্যাচের স্মৃতি, যেখানে তিনি শেষ ওভারে ২৬ রান নিয়ে জিতিয়েছিলেন দলকে।
তবে এবার আর পারেননি। বার্লের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৪১ রানে। ২৬ বলের ইনিংস সাজান ৪টি চার ও ২ ছক্কায়। ২ ছক্কা ও এক চারে সাইফউদ্দিন ২৩ রানের ক্যামিও খেলেন বটে, তবে জয়ের কাছাকাছিও তা নিতে পারেনি তার দলকে। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর বোলিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার বার্ল।
এর আগে একাদশে মাত্র দুই বিদেশী ক্রিকেটার নিয়ে নামা রাজশাহী শুরুটা ভালো করতে পারেনি সেভাবে। ১৯ রানে মোহাম্মদ হারিসের বিদায়ের পর রানের চাকা সচল রাখার কাজটা একাই এগিয়ে নেন সাব্বির হোসেন। এনামুল হক বিজয় রান করলেও সেটা ছিল ধীরলয়ে।
তবে সেটা বুঝতে দেননি সাব্বির। খেলেন মাত্র ১৯ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। এক ওভারেই তাকে ও রায়ান বার্লকেও ফিরিয়ে রংপুর শিবিরে হাসি ফোটান খুশদিল শাহ।
আরও পড়ুন
| লড়াকু ইনিংসেও খুলনাকে জেতাতে পারলেন না নাইম |
|
মাঝে কয়েক ওভার এরপর রানের গতি কমে এলেও সেটা দলটি কাটিয়ে ওঠে ইয়াসির আলির ব্যাটা চড়ে। মাত্র ২৭ বলে করেন ফিফটি। মাত্র ৩২ বলে তার ৬০ রানের ইনিংস শেষের পর ফের ধাক্কা খায় রাজশাহীর ইনিংস। শেষ চার ওভারে একের পর এক উইকেট হারিয়ে টেনেটুনে করতে পারে ৯ উইকেটে ১৭০, যা অবশ্য শেষ পর্যন্ত এনে দেয় দারুণ এক জয়।
No posts available.
২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২২ এম
২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম

দুই ওভারে ড্রেসিং রুমে তিন ব্যাটার, স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান। এই অবস্থায় ব্যাটিংয়ে গেলেন হ্যারি ব্রুক। কিছুক্ষণ পর দলের চেহারা হয়ে গেল ৩৩ রানে ৫ উইকেট। পরে স্যাম কারানও ফিরে গেলে ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন মহাবিপদে ইংল্যান্ড।
একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দলের ব্যাটারদের আসা-যাওয়া দেখলেন ব্রুক। তবে নিজে একটুও বিচলিত হলেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক। উল্টো বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে জেমি ওভারটনকে নিয়ে গড়লেন প্রাথমিক প্রতিরোধ। পরে দায়িত্ব খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রোববার বাংলাদেশ সময় সকালের ম্যাচে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১০১ বলে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা তেমন কিছু করতে না পারলেও, ৯ চারের সঙ্গে ১১টি ছক্কায় দলকে বিপদমুক্ত করেন অধিনায়ক।
কিউইদের মাঠে সফরকারী ব্যাটারের এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছক্কা আছে শুধু থিসারা পেরেরার। ২০১৯ সালে ৭৪ বলে ১৪০ রান করার পথে ১৩টি ছক্কা মেরেছিলেন লঙ্কান পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এছাড়া মার্কাস স্টয়নিসেরও আছে ১১ ছক্কার ইনিংস।
ব্রুকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৬ থেকে শেষ পর্যন্ত ২২৩ রানের পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড। এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডেতে ১ হাজার রানও পূর্ণ করেছেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার।
এই ফরম্যাটে ব্রুকের শুরুটা তেমন আশানুরুপ হয়নি। প্রথম ২১ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে মাত্র ২৫.২০ গড়ে করেছিলেন ৫০৪ রান। তবে গত বছর অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর পুরোপুরি বদলে গেছে তার ওয়ানডে ফরম্যাটের ব্যাটিং।
কিউইদের বিপক্ষে সেঞ্চুরিসহ ১২ ইনিংসে ৩ ফিফটি ও ২টি শতরানের সৌজন্যে ১১৯.৯২ স্ট্রাইক রেট ও ৬২.৬০ গড়ে তার সংগ্রহ ৬২৬ রান।
জ্যাকারি ফোকস ও ম্যাট হেনরির তোপে বাকি ব্যাটাররা কোণঠাসা হলেও, শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন ব্রুক। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি করেন তিনি। ওভারটনের সঙ্গে সপ্তম উইকেট গড়েন ৮৭ রানের জুটি।
এরপর দশম উইকেটে লুক উডকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৫৭ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ চার ও ৭ ছক্কায় ৮২ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ব্রুক। এরপর মারেন আরও ৪টি ছক্কা। মিচেল স্যান্টনারের বলে আরেকটি ছক্কা মারতে গিয়ে সমাপ্তি ঘটে তার বীরোচিত ইনিংসের।

১২ বলে প্রয়োজন ১২ রান, হাতে ৬টি উইকেট। ফিফটি করে অপরাজিত নিগার সুলতানা জ্যোতি। এর বাইরে ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায় পঞ্চাশ করে মাঠ ছেড়ে যাওয়া শারমিন আক্তার সুপ্তা। ম্যাচটি তাই পুরোপুরি ছিল বাংলাদেশের হাতের মুঠোয়।
সেখান থেকেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। শেষ ১২ বলে আর মাত্র ৪ রান করতে পারে তারা। বিপরীতে হারায় ৫টি উইকেট। এমন হারের ধাক্কা একদমই সহ্য করতে পারেননি ক্রিকেটাররা। মিডল-অর্ডার ব্যাটার সোবহানা মোস্তারি জানালেন, ৪ দিন ঘুমাতে পারেননি তারা।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে গত সোমবার শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ জ্যোতি ও সুপ্তার ফিফটিতে ২০৩ রানের লক্ষ্যে সহজ জয়ের পথেই ছুঁটছিল তারা। কিন্তু শেষে সব তালগোল পাকিয়ে হতাশাই সঙ্গী হয়েছে জ্যোতির দলের।
আরও পড়ুন
| ইতিহাসে প্রথম এক ইনিংসে দুই বোলারের হ্যাটট্রিক |
|
এখন ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের আট দলের মধ্যে সবার নিচে আছে বাংলাদেশ। এর আগে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও খুব কাছাকাছি গিয়েও, দারুণ আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য জানিয়েছিল দল। তাই ওই ম্যাচের পরাজয়ই সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে ক্রিকেটারদের।
নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে সেই দুঃসহ যন্ত্রণার কথাই বললেন সোবহানা।
“শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর দুই দিন খুবই কঠিন ছিল। তারা (দলের ক্রিকেটার) ঘুমাতে পারছে না। গত ৪ দিন ধরে আমরা ঘুমাতে পারছি না।”
মুম্বাইয়ে রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায় স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে শেষটা ভালো করার আশা দলের।
“টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোনো নেতিবাচক কথা বলা হচ্ছে না। তারা সবসময় ইতিবাচক কথা বলছেন, 'তোমরা ভালো খেলছ। হয়তো কোনো ভুলের জন্য ফল আসছে না।' তো দলের ভাইব ভালো আছে। আমরা একটা ম্যাচ জিতেছি। কিন্তু এখন ৮ নম্বরে আছি। তো কালকে (রোববার) আমাদের খেলা। সবাই ইতিবাচক মানসিকতায় আছে।”

ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল এক অধ্যায়ে জুড়ে গেল রঞ্জি ট্রফির নাম। ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রথম শ্রেণির এই টুর্নামেন্টে একই ইনিংসে হ্যাটট্রিক করলেন দুই বোলার। দীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
আসামের তিনসুকিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা মাঠে শনিবার ম্যাচের প্রথম দিন স্বাগতিক দলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন সার্ভিসেসের বাঁহাতি পেসার মোহিত জাঙরা ও বাঁহাতি স্পিনার অর্জুন শর্মা। ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই এক ইনিংসে দুই বোলারের পূর্ণ হ্যাটট্রিকের প্রথম ঘটনা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগেও এক ইনিংসে দুটি হ্যাটট্রিক দেখা গেছে। তবে দুবারই সেটি করেছিলেন একজন বোলার।
আরও পড়ুন
| এনসিএলে প্রথম দিনেই চার সেঞ্চুরি |
|
১৯০৭ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম এক ইনিংসে দুই হ্যাটট্রিক করেন মিডলসেক্সের অ্যালবার্ট ট্রট। পরে ১৯৬২ সালের রঞ্জি ট্রফিতে সার্ভিসেসের হয়ে নর্দার্ন পাঞ্জাবের বিপক্ষে এক ইনিংসেই দুটি হ্যাটট্রিক করেন জোগিন্দর সিং রাও।
এর বাইরে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ান একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাইভ রাইস ও গার্থ লা রুক্সও হ্যাটট্রিকের দেখা পান। তবে রাইসের প্রথম দুটি উইকেট ছিল প্রথম ইনিংসে। তাই একই ইনিংসে ভিন্ন দুই বোলারের হ্যাটট্রিক মূলত মোহিত ও অর্জুনেরই।
ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে অর্জুনের স্পিন ভেলকির সামনে পড়ে আসাম। ১২তম ওভারে পরপর তিন বলে রিয়ান পরাগ, সুমিত গদিগাওঙ্কার ও শিবশংকর রয়কে আউট করেন বাঁহাতি স্পিনার।
পরে ১৫তম ওভারের শেষ বলে প্রদুন সাইকিয়া এবং ১৭তম ওভারের প্রথম দুই বলে মুখতার হোসেন ও ভর্গব লহকারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মোহিত।
জোড়া হ্যাটট্রিকের তোপে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় আসাম। ৪৬ রানে ৫ উইকেট নেন অর্জুন আর মোহিতের শিকার ৫ রানে ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
| অ্যালেনার ইতিহাস, প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া |
|
এরপর সার্ভিসেসও বেশি দূর যেতে পারেনি। রিয়ান পরাগ ৫ ও রাহুল সিং ৪ উইকেট নিলে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
আসামও দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। মাত্র ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। অর্থাৎ দুই দল মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে পড়েছে মোট ২৫ উইকেট।

চার ভেন্যুতে আজ মাঠে গড়িয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২৭তম আসর। প্রথম দিনেই দেখা মেলেছে চার সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের বিভাগের হয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। এ ছাড়া ময়মসিংহ বিভাগে থেকে আরিফুল ইসলাম ও ঢাকা বিভাগের মার্শাল আইয়ুব করেছেন সেঞ্চুরি।
প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে চট্টগ্রাম–রাজশাহীর ম্যাচে। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪০১ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী দল। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ১২৯ রানের ইনিংস। আরেক সেঞ্চুরিয়ান জয় করেন ১২৭ রান। ইরফান শুক্কুরের অবদান ৭২ রান। জবাব মাত্র ১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে রাজশাহী। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি উইকেটই নেন হাসান মুরাদ।
প্রথমবারের মতো এনসিএলে দল পেয়েছে ময়মনসিংহ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে দলটির। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৬৮ রান। ময়মনসিংহের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরিফুল। আসাদুল্লাহ আল গালিবের বলে সৈকত আলীর হাতে ধরা পড়ার আগে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ ব্যাটার।
৬৫ রান আসে আব্দুল মজিদের ব্যাট থেকে। তাহজিবুল ইসলাম করেন ৪৩ রান। আবু হায়দার রনি ১৬ ও শহিদুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে রংপুরের বিপক্ষে ২২১ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা। ১৩ চারে ১৬১ রানে ১০৫ রান করেন মার্শাল। এছাড়া জিশান আলম ১০৮ বলে ৭৮ রান করেন।
রংপুর বোলারদের মধ্যে আবু হাশিম ৩ উইকেট নেন। মেহেদী হাসান ও নাসির হোসাইন নেন দুটি করে উইকেট।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করেছে স্বাগতিকরা। ৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন শেখ জীবন। ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন জিয়াউর রহমান। ইমরানুজ্জামান করেন ৪৩ রান। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।

নারী বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থেকে গ্রুপপর্ব শেষ হলো অজি মেয়েদের।
ইন্দোরে হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেট নিয়ে মেয়েদের বিশ্বকাপে সেরা বোলিংয়ের ইতিহাস গড়েন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার অ্যালেনা কিং। তার রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ২৪ ওভারে ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া মেয়েরা। এরপর ১৬.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে হেসেখেলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নারী বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আগামী মঙ্গলবার সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত। আর ফাইনালের টিকিট কাটার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বল হাতে ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় জয়ের ভিত আগেই গড়ে দেন ডানহাতি স্পিনার অ্যালেনা কিং। ৭ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে সাত উইকেট শিকার করেন তিনি। নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার এখন তাঁর। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ১০ রানে ৬ উইকেট নেওয়া নিউজিল্যান্ডের জ্যাকি লর্ডের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অজি স্পিনার। এ ছাড়া মেয়েদের ওয়ানডেতে ক্রিকেট ইতিহাসে এটি চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার। ২০০৩ সালে জাপানের বিপক্ষে ৪ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেওয়া পাকিস্তানের সাজিদা শাহ বোলিং এখন পর্যন্ত সেরা।
অ্যালেনার স্পিন বিষে নীল হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক লরা উলভার্টের ব্যাট থেকে। ২৬ বলে ৩১ রান করেন এই ওপেনার। দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যালেনার উইকেট উৎসব শুরু হয় তিনে নামা সুনে লুসকে ফিরিয়ে। এরপর প্রোটিয়া ব্যাটারদের নাকাল আরও ছয় উইকেট নিয়ে ইতিহাসেই নাম লেখান তিনি।
ছোটো লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১১ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তাহলিয়া ম্যাকগ্রার দল। তবে তৃতীয় উইকেটে জর্জিয়া ভোল ও বেথ মোনির ৭৭ রানের জুটি দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দেয়। দলীয় ৮৭ রানে ৪১ বলে ৪২ রান করে ফেরেন মোনি। তারপর পাঁচে নামা আনাবেল সুদারল্যান্ড ৪ বলে ১০ রান করে বাকি কাজ সারেন।