২৬ আগস্ট ২০২৫, ৫:১৫ পিএম
রোমাঞ্চের ভেলায় ভেসে ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। নিজেদের ৬ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারল না বাংলাদেশ নারী সবুজ দল। সহজ লক্ষ্যে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দিলেন ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়ক বায়জিদ বোস্তামি। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল তারা।
উইমেন'স চ্যালেঞ্জ কাপে মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচে সবুজ দলকে সুপার ওভারে হারায় অনূর্ধ্ব-১৫ দল। টুর্নামেন্টে নিজেদের চার ম্যাচের সবকটি জিতেই শিরোপা উল্লাস করে তারা।
সামনের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য খেলা টুর্নামেন্টে এই ম্যাচেই অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে পেরেছে মেয়েদের দল। অল্পের জন্য ম্যাচটি জিততে পারেনি তারা। তবে দলীয় পারফরম্যান্সের ছাপ রেখেছে।
মূল ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে অনূর্ধ্ব-১৫ দল। এক পর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৫ রানেই থামে সবুজ দলের ইনিংস। পরে সুপার ওভারে আর পেরে ওঠেনি তারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অনূর্ধ্ব-১৫ দলের শুরুটা ছিল বেশ বাজে। মাত্র ৪০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান, নিশিতা আক্তার নিশিরা।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান আফ্রিদি তারিক ও আফজাল হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। ৮৩ বলে ৫০ রান করে আউট হন আফ্রিদি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১০৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন আফজাল। আর ২ চার ১৮ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন প্রণব মন্ডল।
আরও পড়ুন
ওমানের এশিয়া কাপ দলে চার নতুন মুখ |
![]() |
সবুজ দলের সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন ১৭ বছর বয়সী অফ স্পিনার নিশিতা।
রান তাড়ায় অল্পেই আউট হন অভিজ্ঞ ফারজানা হক পিংকি। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন শারমিন সুপ্তা ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। শারমিন ৫৬ বলে ৩৬ ও রুবাইয়া ৬০ বলে ৩৩ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন।
এরপর সোবহানা মোস্তারি ও তাজ নেহার দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় সবুজ দল। স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন নাহিদা আক্তার। ২৬ বলে ২১ রান করে আউট হন স্বর্ণা।
পরে ফারজানা ইয়াসমিন (৩৬ বলে ১৪) ও রাবেয়া খান (২০ বলে ১৩) ছোট ছোট দুটি ইনিংস দলকে আরও এগিয়ে দেন।
শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। প্রথম বলে ২ রান নিলেও পরের বল ডট খেলেন রাবেয়া। তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান তিনি। পরে ক্রিজে গিয়ে পঞ্চম বলে ২ রান নেন সুলতানা খাতুন। কিন্তু শেষ বলে স্টাম্পড আউট হওয়ায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
ব্যাট হাতে ফিফটির পর বোলিংয়ে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন আফ্রিদি। তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
No posts available.
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে নেই নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ফেরার কথা রয়েছে তার।
সবশেষ ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে মাঠে নেমেছিলেন উইলিয়ামসন। এরপর চোট ও ব্যক্তিগত কারণে স্কোয়াডের বাইরে তিনি। কোচ রব ওয়াল্টার জানিয়েছেন, পুরোপুরি ফিট হতে উইলিয়ামসনের আরও সময় লাগবে।
তিনি বলেছেন,
‘সে (উইলিয়ামসন) নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের একজন ক্রিকেটার। আমরা আশা করছি, অতিরিক্ত এই দুই সপ্তাহের বিশ্রাম তাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজ ও পরবর্তী ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করবে।’
অস্ত্রোপচারের পর দলে ফিরেছেন মিচেল স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। ফিরেছেন রাচিন রবীন্দ্রও। জিমি নিশাম আছেন স্কোয়াডে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নজর কাড়েন তিনি।
ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন বেন সিয়ার্স, ফিন অ্যালেন, মিলনে, ফার্গুসন, গ্লেন ফিলিপস ও উইল ও’রুউর্ক। দলে নেই অভিজ্ঞ স্পিনার ইশ সোধিও।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে
সিরিজ শুরু হবে ১৮ অক্টোবর ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে। একই মাঠে ২০ অক্টোবর দ্বিতীয়
ম্যাচের পর তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টি হবে অকল্যান্ডে, ২৩ অক্টোবর। তিন ম্যাচের
ওয়ানডে সিরিজ চলবে ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত।
নিউজিল্যান্ড টি–টোয়েন্টি
দল : মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে,
জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফাউলকস, ম্যাট হেনরি, বেভন জ্যাকবস, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল,
জিমি নিশাম, রাচিন রবীন্দ্র, টিম রবিনসন, টিম সেইফার্ট (উইকেটকিপার)।
“মেঘ দেখে করিস না ভয়, আড়ালে সূর্য হাসে।” ভারতের বিশাখাপত্তনমে আজ মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি হয়েছিল কিনা, কে জানে!
তবে হারমানপ্রীত কৌরদের ৩৩১ রানের লক্ষ্য দেখে ঠিকই মৃদু হেসেছিলেন অ্যালিসা হিলিরা।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ শিরোপাধারীরা (৭ বার) ভালোই জানে কীভাবে সুতোয় ঝুলানো ম্যাচ কিংবা দুর্গম ঘিরি পার হতে হয়।
নারী বিশ্বকাপের আজ সবচেয়ে
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। ভারতের ৩৩০ রান টপকাতে পারলেই রেকর্ডবুকে
নাম উঠত তাদের। সেই সমীকরণ মিলিয়ে এবং শত ঝঞ্ঝা পেরিয়ে ৩ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে অজি
মেয়েরা।
ওয়ানডে ইতিহাসে এর আগে
সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল শ্রীলঙ্কান মেয়েরা—৩০২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে। ৩০০-উর্ধ্ব রান তাড়া করে এটি দ্বিতীয় জয়। ভারতের
৩৩১ রান চেজ করে অস্ট্রেলিয়া নারী দল দেখিয়ে দিল—পঞ্চাশ ওভারের
খেলায় ৩০০-উর্ধ্ব লক্ষ্য তাড়া করা কোনো ব্যাপারই না।
এদিন ভারতের দেওয়া আসরের
সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নেমে বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন অ্যালিসা। অধিনায়কসুলভ ব্যাটিং করে
তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। যদিও তার যাত্রা ছুটছিল দেড়শ রানের পথে—ক্যাচ আউট না হলে সেটিও টপকে যেতেন তিনি। ১০৭ বলে ১৪২ রানের ইনিংসে অজি
অধিনায়ক হাঁকান ২১টি চার ও ৩টি ছক্কা।
অজিদের ওপেনিং জুটি ভাঙে
৮৫ রানে—লিচফিল্ড সাজঘরে ফিরে গেলে। এরপর এলিস পেরির সঙ্গে
নতুন করে পথচলা শুরু করেন অ্যালিসা। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন
পেরি।
পেরি ফিরে গেলে রানচাকা
কিছুটা থেমে যায়। দুই রানে দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। যার প্রভাব পড়ে শেষদিকে। তবে ব্যাট হাতে ফিরে সব প্রশ্নের উত্তর দেন
পেরি—৬ বল হাতে রেখে ম্যাচের ইতি টেনে দেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ভারতকে
ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অ্যালিসা। ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো রান-পাহাড়ে তোলে স্বাগতিক
দল। প্রতিকা রাওয়াল ও স্মৃতি মান্ধানার ১৫৫ রানের অনবদ্য জুটিতে ভর করে ৩৩১ রান সংগ্রহ
করে ভারত।
প্রতিকা ও স্মৃতি—দুজনই শতক ছোঁয়ার পথে ছিলেন। তবে তাদের থামান অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড
ও সোফি মোলিনাক্স। প্রতিকা ফেরেন ৭৫ রানে, আর স্মৃতি করেন ৮০ রান। পরে দেওল ও হারমানপ্রীত
কৌরের ছোট ছোট জুটিতে বড় সংগ্রহে পৌঁছায় ভারত।
এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে ব্যাট হাতে ৩২৩ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার হলেন মাহমুদুল হাসান জয়। বোলিংয়ে ১৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলারের খেতাব জিতলেন তার চট্টগ্রাম দলের সতীর্থ হাসান মুরাদ।
দুজনের হাতেই উঠেছে ৫০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার ও আকিজ বাই সাইকেল।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২২ রানের পাশাপাশি আসরজুড়ে দারুণ অধিনায়কত্বের সৌজন্যে প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট হয়েছেন রংপুরের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক আকবর আলি। তাকে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল।
পুরো আসরে ৫টি ক্যাচের পাশাপাশি গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে ঝলক দেখিয়ে সেরা ফিল্ডার নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী বিভাগের এসএম মেহেরব হাসান। তাকে দেওয়া হয়েছে আকিজ বাই সাইকেল।
প্রথমবার স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতে নেমে ৮ ম্যাচে ৫.২১ ইকোনমি রেটে ১০ উইকেটের পাশাপাশি ৬টি ক্যাচ নিয়ে টুর্নামেন্টের মোস্ট প্রমিজিং ক্রিকেটার হয়েছেন মোহাম্মদ রুবেল। মেহেরবের মতো তিনিও পেয়েছেন আকিজ বাই সাইকেল।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে সুদৃশ্য ট্রফির পাশাপাশি ২০ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার পেয়েছে রংপুর বিভাগ। আর ফাইনাল হেরে রানার্স-আপ হওয়া খুলনা পেয়েছে ১০ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কে পেলেন কোন পুরস্কার
চ্যাম্পিয়ন - রংপুর বিভাগ ২০ লাখ টাকা ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি)
রানার্স আপ - খুলনা বিভাগ ১০ লাখ টাকা)
ম্যান অব দা ফাইনাল - নাসির হোসেন (২০ হাজার টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট - আকবর আলি (১ লাখ টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
সেরা ব্যাটার - মাহমুদুল হাসান জয় (৫০ হাজার টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
সেরা বোলার - হাসান মুরাদ (৫০ হাজার টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
সেরা ফিল্ডার - এসএম মেহেরব হাসান (আকিজ বাই সাইকেল)
প্রমিজিং ক্রিকেটার - মোহাম্মদ রুবেল (আকিজ বাই সাইকেল)
আকবর আলিকে ক্যাপ্টেন বানাও, ট্রফি জিতে নাও। বাংলাদেশ ক্রিকেটে চাউর হাওয়া এ কথার যথাযথ যুক্তি-ভিত্তি শতভাগ সত্যে রূপ নিয়েছে। লাল-সবুজ জার্সিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো এই উইকেটকিপার ব্যাটার পঞ্চম বারের মতো অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিতেছেন।
এনসিএল টি টোয়েন্টির প্রথম সংস্করণের পর এবারও শিরোপা জিতেছে আকবর নেতৃত্বাধীন রংপুর বিভাগ। যোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৯ ইনিংসে ৩১.৭১ গড়ে তার রান ২২২। জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
বাংলাদেশকে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে অধিনায়ক হিসেবে আকবরের উত্থান। এরপর ২০২২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণে রংপুরের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার অধিনায়কত্ব ২০২৩ সালে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ জোন।
গত বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরেও অধিনায়কত্ব করে রংপুরকে শিরোপা জেতান আকবর। এবারও তার যোগ্য নেতৃত্বে দল জিতে শিরোপা।
আকবর সবকটি ইনিংসে দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেন। আসরে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ঢাকার বিপক্ষে। ঢাকার বিপক্ষে ২৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সবশেষ চিটাংয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি। ২১ বলে ৪০ রান করেন উইকেটকিপার ব্যাটার।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগংয়ের বিপক্ষে আকবরের এই ক্যামিও ইনিংসের জেরেই দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার মঞ্চে ওঠে রংপুর। ফাইনালেও তার ব্যাটিং ছিল দায়িত্বশীল সুলভ। সাবলীল ব্যাটিং উপহার দিয়ে ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় বন্দরে পৌঁছে দেন।
ঘটনা একই, প্রেক্ষাপট ভিন্ন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আজ সংযুক্ত আরব আমিরাত-নেপাল ম্যাচ যেন স্মৃতিতে ফেরাল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্মৃতি। ভারতে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের কাছে শেষ বলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ৯ বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো আরব আমিরাতে।
২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় পেতে শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন পড়ে বাংলাদেশের। হার্দিক পাণ্ডিয়ার করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রান্ত বদলে স্ট্রাইকে আসেন মুশফিকুর রহিম।
হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচ হাত ছোঁয়া দূরত্বে এনে দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিক। টানা দুটি বাউন্ডারি মেরে আশা জাগান তিনি। তাতে বাকি চার বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ১ রান। তখনই ঘটে বিপত্তি। হার্দিক পাণ্ডিয়া একে একে ফেরান তিন ব্যাটার-মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগত হোমকে। মুঠোয় পুরে নেওয়া ম্যাচ গড়িয়ে পড়ে তাতেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজও ঠিক সেরকম ঘটনা ঘটে। নেপালের ১৪০ রান তাড়ায় নেমে শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন পড়ে স্বাগতিকদের। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন জাহিদ আলী। স্ট্রাইকে গিয়ে প্রথম বল হাতছাড়া করেন ধ্রুব পারাশার। তবে তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি।
এতক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক। অঘটনের শুরুটা চতুর্থ বল থেকে। যেভাবে হাতের ম্যাচ খুইয়ে বসেছিল বাংলাদেশ, সেরকম ঘটালো ক্রিকেটে উত্থান হওয়া দেশটি। চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দেন ধ্রুব। পঞ্চম বলে ক্রিজে ফিরে এক মিনিটও থিতু হতে পারেননি হায়দার আলী। দৌড়ে রান নিতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি।
শেষ বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত এক রান তুলতে পেরেছে ঠিকই। তবে ডাবলস নিতে গিয়ে বিপদ বাড়ান জুনায়েদ সিদ্দিকী। নিজ এণ্ড ফেরার আগেই স্ট্যাম্পিং হয়ে আউট হন তিনি। তাতে নেপাল ম্যাচটি জেতে ১ রানে।