ক্রিকেট

লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৩:০৩ পিএম

news-details

চট্টগ্রামে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এবং পুরো সিরিজে বেশ কিছু মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে স্বাগতিকদের। রেকর্ডগুলো সংখ্যায় সংখ্যায় তুলে ধরা হলো-


৯=৯

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১৯ ম্যাচে।  বাংলাদেশ জিতেছে ৮টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯টি, আর দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। আজ জিততে পারলে উইন্ডিজের পাশে বসবে স্বাগতিকেরা।


চলতি বছর সবশেষ চার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাবে তারা।


এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমে টানা চার সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে পঞ্চম সিরিজে তারা ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার টানা পাঁচ সিরিজ অপরাজিত থাকলেও, জয় ছিল চার সিরিজে। সেই রেকর্ড এবার ভাঙার সুযোগ তাদের সামনে।


২০৭

বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০৬টি। আজ মাঠে নামলে দক্ষিণ আফ্রিকার (২০৭) পাশে বসবে তারা। সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা দলগুলোর তালিকায় যৌথভাবে অষ্টম।


১০০০

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রানের মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে তানজিদ হাসান তামিমকে। এ জন্য এই বাঁহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন আর ১০৯ রান।


৫০

বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এই সিরিজে সে তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ (৪৬) ও তানজিম হাসান সাকিবের সামনে (৪৪)। 

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪৯ পিএম

news-details

শুরুতে একদমই ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না রভম্যান পাওয়েল। এর মাঝেই সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিলেন তানজিম হাসান সাকিব। পরে সেটিরই মাশুল দিল বাংলাদেশ। শাই হোপের সঙ্গে পাওয়েলের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৫ রান। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৬ বলে ৮৩ রান যোগ করেছেন হোপ ও পাওয়েল।


ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এর আগে কখনও এত বেশি রান তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে উইন্ডিজের করা ১৬৪ রান টপকে সহজেই জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সেটি ছাড়িয়ে যেতে হবে তাদের। 


শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে ১ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কায় ২৮ বলে ৪৪ রান করেন পাওয়েল। অধিনায়ক হোপের ব্যাট থেকে আসে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান। 


টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি আলিক আথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও ৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে চতুর্থ ওভারেই ১৭ রান দেন তাসকিন আহমেদ।


পরে রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিবের বলে ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন দুই ওপেনার। তবে সফল হননি। রিশাদের বলে রিভার্স স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৭ বলে ৩৪ রান করা আথানেজ।


তিন নম্বরে নেমে শুরু থেকেই চমৎকার ব্যাটিং করেন শাই হোপ। তবে অন্যপ্রান্ত থেকে সমর্থন পাননি। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে পরপর দুই বলে কিং ও শেরফান রাদারফোর্ডকে আউট করেন তাসকিন। ৩৩ রান করতে ৩৬ বল খেলেন কিং।


এরপর দলকে বলা যায় একাই টানেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। চতুর্থ উইকেটে তার সঙ্গে জুটি বাধেন এই ফরম্যাটে শততম ম্যাচ খেলতে নামা রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু দ্রুত রান করতে পারেননি। এক পর্যায়ে ১৮ বলে মাত্র ৯ রানে খেলছিলেন তিনি। 


১৬তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে থার্ডম্যানে পাওয়েলের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। শেষ দিকে সেটিরই মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ছক্কা মারেন পাওয়েল।


শেষ ওভারে সাকিবের বলেই টানা ৩টি ছক্কা মেরে দলকে ১৬০ রান পার করান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। মুখোমুখি শেষ ১০ বলে তিনি করেন ৩৫ রান। 

 

৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাসকিন। এর মধ্যে ২ ওভারেই তিনি দেন ৩২ রান। কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। 


সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩ (আথানেজ ৩৪, কিং ৩৩, হোপ ৪৬*, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৪৪*; নাসুম ৪-০-১৫-০, তাসকিন ৪-০-৩৬-২, সাকিব ৪-০-৪৭-০, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-০, রিশাদ ৪-০-৪০-১) 

bottom-logo

ক্রিকেট

রান উৎসবের মাঝে ৯ উইকেট নিয়ে রকিবুলের ইতিহাস

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৭ পিএম

news-details

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে রানের খেলায় মেতেছে দুই দল। তবে ব্যাটারদের উৎসবের মাঝে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন এক বোলার! একাই সিলেট বিভাগের ৯টি উইকেট নিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগের বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান।


বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে ৯ উইকেট নেওয়া পঞ্চম বোলার যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক দুবার নিয়েছেন ইনিংসে ৯ উইকেট।


রকিবুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে সিলেট। সৈকত আলীর ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে চড়ে ৪৮৯ তুলেছে স্বাগতিকেরা। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে কিরেছিল ৪০১ রান। ৮৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু পেয়েছে অতিথিরা। তৃতীয় দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান স্কোরে জমা করেছে তারা। এখনো পিছিয়ে ৩০ রানে।


তার আগে সৈকত খেলেছেন ২৩২ বলে ১৭৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি সাজিয়েছেন ৮টি ছক্কা ও ১৯টি চারে। নবম উইকেটে সৈকত আল-ইবাদত হোসেনের সঙ্গে ১৪৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নবম উইকেটে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি। ১৬৮ রান দিয়ে ৯ উইকেট নেন ময়মনসিংহের রকিবুল। কোনো বিপর্যয় না ঘটলে, দুই দলের প্রথম রাউন্ড ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে।


খুলনায় তিন দিনেই প্রথম রাউন্ড হেরে গেছে বরিশাল বিভাগ। ফলোঅনে পড়া দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২২৪ রান। প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানে লিড পাওয়া খুলনা বিভাগের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩৮ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে সে লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করেছে তারা। প্রথম ইনিংসে খুলনার সংগ্রহ ছিল ৩১৩ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।


রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ২০৫ রানে এগিয়ে থেকে ৯ উইকেটে ২৭৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ৪৮৩ রানের বড় লক্ষ্য রাজশাহী বিভাগের সামনে। দলের অবস্থা ভালো হলেও ইয়াসির আলী রাব্বি পুড়েছেন সেঞ্চুরির আক্ষেপে। ৮ রানের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়। প্রথম ইনিংসে অবশ্য ১২৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। 


প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজশাহী। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ২১৯ রান করেছে। জিততে প্রয়োজন আরও ২৬৪ রান। উইকেটকিপার-ব্যাটার প্রীতম কুমার ৫৬ ও মেহেরব হোসেন ৫৪ রান থেকে কাল চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন।


সিলেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিভাগ। ১৩৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে আজ ২ উইকেটে ২১২ রান তুলেছে তারা। জিসান আলম ৮০ ও আশিকুর রহমান শিবলি ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন। এরই মধ্যে তাদের দাঁড়াল ৭৫। এর আগে প্রথম ইনিংসে তারা ২২১ রানে অলআউট হয়েছিল। জবাবে রংপুর বিভাগের প্রথম ইনিংস থামে ৩৫৮ রানে।


প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিং

৯/৮০ - সানজামুল ইসলাম, নর্থ জোন-সেন্ট্রাল জোন, ২০১৬/১৭ 

৯/৮২ - সাকলাইন সজীব, বাংলাদেশ ‘এ’- জিম্বাবুয়ে ‘এ’, ২০১৪/১৫

৯/৮৪ - আব্দুর রাজ্জাক, খুলনা-চট্টগ্রাম, ২০১২/১৩

৯/৯১ - আব্দুর রাজ্জাক, খুলনা-ঢাকা মেট্রো, ২০১৪/১৫

৯/১০৫ – মোশাররফ হোসেন রুবেল, বরিশাল-চট্টগ্রাম, ২০০৪/০৫

৯/১৬৮ - রকিবুল হাসান, ময়মনসিংহ-সিলেট, ২০২৫/২৬


প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নবম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি

২৩৬ - মোহাম্মদ শরীফ ও মোশাররফ হোসেন রুবেল, ঢাকা-রাজশাহী, ২০১১

১৯১ - মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, ২০২১

১৮৪ - মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আবুল হাসান রাজু, বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১২

১৪৮ - সৈকত আলী ও ইবাদত হোসেন, সিলেট-ময়মনসিংহ, ২০২৫

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ক্রিকেট

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬ রানে হারল বাংলাদেশ

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৫ পিএম

news-details

রোমারিও শেফার্ডের শর্ট বলে দারুণ পুল শটে ছক্কা মারলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু রান পেলেন না, উল্টো আউট হয়ে গেলেন। কারণ শট খেলাই আগেই অফ স্টাম্পে পা দিয়ে ফেলেন তিনি। পড়ে যায় বেলস। তাই হিট উইকেট হন তাসকিন আর ১৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।


আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হিট উইকেট হওয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার তাসকিন। আর তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে হিট উইকেট হলেন তিনি। 


ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পরাজয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু করল বাংলাদেশ। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ২ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় লিটন কুমার দাসের দল।


সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে আশা জাগিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারেননি তারা।


দলের সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন নাসুম। আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দশম উইকেটে ২০ রানের জুটিতে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন জেসন হোল্ডার ও জেডেন সিলস। আকিল হোসেন মাত্র ২২ রানে নেন ২ উইকেট।


একই মাঠে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩ (আথানেজ ৩৪, কিং ৩৩, হোপ ৪৬, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৪৪; নাসুম ৪-০-১৫-০, তাসকিন ৪-০-৩৬-২, সাকিব ৪-০-৪৭-০, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-০, রিশাদ ৪-০-৪০-১)


বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ (সাইফ ৮, তামিম ১৫, লিটন ৫, হৃদয় ২৮, শামীম ১, সোহান ৫, সাকিব ৩৩, নাসুম ২০, রিশাদ ৬, তাসকিন ১০, মোস্তাফিজ ১১*; আকিল ৪-০-২২-২, সিলস ৪-০-৩২-৩, পিয়েরে ৪-০-৩৩-১, হোল্ডার ৪-০-৩১-৩, শেফার্ড ৩.৪-০-২৯-১)  


ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে জয়ী 

bottom-logo

ক্রিকেট

আজ কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলবে বাংলাদেশ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৪৭ পিএম

news-details

হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দল বরিশাল বিভাগের ফিজিওথেরাপিস্ট হাসান আহমেদ। তাঁর স্মরণে আজ চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।


খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ খুলনা ও বরিশাল ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন হাসান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 


এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, হাসান আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রামে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল কালো আর্মব্যান্ড পরবে। ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। আগামীকাল চলমান এনসিএলের চতুর্থ দিনের ম্যাচগুলোতেও হাসান আহমেদকে স্মরণ করা হবে।


প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় লিগে বরিশালের ফিজিওর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আহমেদ। এর বাইরেও ট্রমায় আক্রান্তদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। 


bottom-logo

ক্রিকেট

৯ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে, বাবরের ব্যাটিং পজিশন জানালেন কোচ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৪:২৭ পিএম

news-details

ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলে টি-টোয়েন্টি থেকে রীতিমতো ছেঁটে ফেলা হয়েছিল বাবর আজমকে। নতুন করে যাদের পরখ করা হয়, তাঁরাও সন্তুষ্ট করতে পারেননি পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকে। সমালোচনারমুখে ৯ মাস পর আবারও টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পড়ে অভিজ্ঞ বাবরের। 


দক্ষিণ আফ্রিার বিপক্ষে আগামীকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তন হতে পারে বাবরের। লম্বা সময় দলের বাইরে থাকা এই তারকা ব্যাটারের ব্যাটিং পজিশন কি হবে- নিশ্চিত করেছেন কোচ মাইক হেসন। টি-টোয়েন্টিতে অধিকাংশ ম্যাচে ওপেনিংয়ে খেলেছেন বাবর। তবে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ জানিয়েছেন, এবার ব্যাট হাতে দেখা যাবে তাঁকে তিন নম্বরে।


গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাঁর দলে ফেরাকে সমর্থন করি। ফখর জামানকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঠানো হয়েছে, ফলে আরেকজন টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাবরের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সম্ভবত সে তিন নম্বরে ব্যাট করবে, আর আমি আত্মবিশ্বাসী—এই ভূমিকায় সে দারুণ করবে।’


আরও পড়ুন

লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি


বাবর আজম সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, সেঞ্চুরিয়নে গত বছরের ডিসেম্বরে। তারপর থেকে তাঁকে দেখা গেছে শুধু ওয়ানডে ও টেস্টে। তবে হেসনের ভাষায়, ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও বাবর এখনো দলের অন্যতম ভরসার নাম।’


হেসন ব্যাখ্যা করেছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসের বাদ পড়ার কারণও, ‘হারিস তরুণ, তবে তাঁকে বেশ কয়েকবার সুযোগ দিয়েও আমরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পাইনি। উন্নতির জায়গা এখনো অনেক।’হারিসের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন স্পিন মোকাবিলায় ব্যাটিং দক্ষতার জন্য পরিচিত উসমান খান।


দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজকে হেসন দেখছেন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, ‘এই দুটি সিরিজ আমাদের দল গঠনে সহায়তা করবে। বিভিন্ন কম্বিনেশন যাচাই করার সুযোগ পাব।’


পাকিস্তান এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াডও নির্ধারণ করেছে তারা।


হেসন জানান, তরুণ বোলার উসমান তারিককে তিনি ‘দারুণ স্পিন প্রতিভা’ হিসেবে দেখছেন। আর সুফিয়ান মুকিমকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

bottom-logo