জেক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আর খেলবেন না, এই খবরটি আসার সাথে সাথে তার বদলি হিসেবে চমক হিসেবেই আসে মুস্তাফিজুর রহমানের নাম। তবে সেখানে বড় এক বিস্ময় তার নামের পাশের ‘প্রাইস ট্যাগ’। কারণ, নিলামে ভিত্তি মূল্য ২ কোটি রুপি থাকলেও যে বাংলাদেশ পেসারকে দলে পেতে দিল্লিকে গুনতে হচ্ছে ৬ কোটি রুপি!
কয়েকটি কারণেই বিষয়টি ধাঁধার জন্ম দিয়েছে। প্রথমত জেক-ফ্রেজারকে মেগা নিলাম থেকে ৬ কোটি রুপিতেই নিয়েছিল দিল্লি। একই নিলামে ২ কোটি ভিত্তি মূল্যে অবিক্রীত থেকে যান মুস্তাফিজুর। ফলে প্রাথমিক ধারণা হতেই পারে যে অজি ব্যাটারের বিক্রিত মূল্যই হয়ত পেতে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি পেসার।
আরও পড়ুন
দিল্লীতে ডাক মুস্তাফিজের, এন ও সি কি মিলবে? |
![]() |
তবে ঠিক এভাবে একজন খেলোয়াড়ের মূল্য বাড়ার যৌক্তিক সুযোগ নেই, তাও কয়েকটি ম্যাচ যখন বাকি। তাছাড়া জেক-ফ্রেজারের বদলি হলেও তার সমান মূল্যে মুস্তাফিজুর বেতন পাবেন, ব্যাপারটা তাও নয়। অন্তত অন্যান্য এমন বদলির চুক্তিগুলো তাই বলে।
ফলে যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তা হল মুস্তাফিজুরকে পেতে দিল্লিকে লড়াই করতে হয়েছে অন্য দলগুলোর সাথেও। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডের মত তারকা পেসাররা এই আইপিএলে আর না ফেরার কয়েকটি দলই খুঁজছে অভিজ্ঞ একজন আন্তর্জাতিক মাপের বোলার, যিনি আইপিএলে পরীক্ষিত।
আর এই ক্যাটাগরিতে মুস্তাফিজুর তো সবদিক থেকেই দারুণ এক পছন্দ। তাছাড়া পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে ধোয়াশা থাকায় তাকে এই মাসের ১৯ তারিখের পর থেকে পাওয়ার রয়েছে ভালো সম্ভাবনা।
সেই কারণেই ভিত্তি মূল্য ২ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজুরকে আর কিনতে পারেনি দিল্লি। ইনসাইড বিডিংয়ে বেড়ে যায় দাম, যা গিয়ে ঠেকে ৬ কোটি রুপিতে। যা কিনা আবার যার বদলি হলেন, সেই জেক-ফ্রেজারের মূল্যের ঠিক সমান। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা এটাও হতে পারে, চলে যাওয়া খেলোয়াড়ের জন্য বরাদ্দ মূল্যটাই দিল্লি গুনে গুনে খরচ করেছে আরেকজনের জন্য।
তবে মেগা নিলামে যেখানে কয়েক দফায়ও মুস্তাফিজুরের জন্য যেখানে একটা দলও আগ্রহ দেখায়নি, সেখানে এখন তাকে নিয়ে কয়েকটি দলের কাড়াকাড়ি চমক জাগানিয়াই বটে। তবে আইপিএল ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির বিশাল অভিজ্ঞতার কারণে তাকে নিয়ে বাড়তি চাহিদাই হয়ত তৈরি হয়েছে। সাথে রয়েছে বাঁহাতি পেসারদের কদর, যা বিশ্ব ক্রিকেটে এখনও রয়েছে বেশ।
আরও পড়ুন
পিএসএলে খেলবেন সাকিব |
![]() |
দিল্লির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মুস্তাফিজুরকে দলে টানার খবর জানাতেই তাদের সেই পোস্ট ভেসে গেছে বাংলাদেশী সমর্থকদের ভালোবাসায়। তবে খুব শীঘ্রই ‘দা ফিজ’-কে আইপিএলে দেখার সম্ভাবনা কমই। কারণ, বুধবার রাতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে রওনা দিয়েছেন তিনি।
সিরিজ শেষ হবে আগামী ১৯ মে, যার দুই দিন আগে শুরু হবে আইপিএলের বাকি অংশ। অন্যদিকে বিসিবি জানিয়েছে, মুস্তাফিজুর বা দিল্লি কেউই তাদের সাথে তার আইপিএলে দল পাওয়া বা খেলা নিয়ে যোগাযোগ করেনি। তাতে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তার অনাপত্তিপত্র পাওয়া নিয়ে।
No posts available.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের পর সূর্যকুমার যাদব ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। তার এই মন্তব্যের কারণে ভারতীয় অধিনায়ককে আইসিসি তিরস্কার ও সতর্ক করা করেছে। আজ দুবাইয়ে শুনানিটি পরিচালনা করেন রিচি রিচার্ডসন ও স্যালি হিগিনস।
সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সাহিবজাদা ফারহান ও হারিস রউফ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করেন। তাদের অহেতুক কর্মকাণ্ডের জন্য আইসিসি শুনানির মুখোমুখি করেছে। শুনানিতে উভয়কে প্লেয়ার কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ও সতর্ক করা হয়।
আইসিসি বিশেষ করে রউফকে জরিমানা ও তীব্রভাবে তিরস্কার করেছে। তার জরিমানার সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ম্যাচ ফি’র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সুপার ফোর ম্যাচে রউফ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট নেওয়ার পর ‘৬-০’ আঙুল দেখান এবং ফাইটার জেট ধ্বংসের ভঙ্গি করেন। এগুলোকে উসকানিমূলক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে দেখা হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ফারহান ও হারিসের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে প্রতিক্রিয়ায় ফারহান জানান, এটি ছিল কেবল তার ব্যক্তিগত উদ্যাপন, অন্যরা কীভাবে নেবে সে ব্যাপারে তিনি বিচলিত নন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিসিবির নির্বাচন কমিশনের স্বাক্ষরিত খসড়া ভোটার তালিকায় ক্যাটাগরি-২ তে ঢাকার ৭৬টি ক্লাবের মধ্যে বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের ভোটারদের নাম ছিল না। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের রিপোর্টে ১৫টি ক্লাবকে ভোটার তালিকার বাইরে রাখা হয়েছিল।এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে কাউন্সিলর ফরম পূরণ করে বিসিবিতে প্রেরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্যাটাগরি-১ এ ৬টি জেলার ভোটারও ছিল শুণ্য। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে দিনব্যাপী শুনানীতে আপত্তি উন্থাপন করা ১৫টি ক্লাব ফিরে পেয়েছে ভোটাধিকার। নিধারিত সময়ের মধ্যে (২৩ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলারশিপ জমা দেয়নি বলে খসড়ায় নরসিংদী, সিলেট, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ এর ঘর ফাঁকা ছিল। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নরসিংদি ছাড়া উঠেছে বাকি পাঁচ জেলায় নাম!
বৃহস্পতিবার খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ পড়া ১৫টি ক্লাবের পক্ষে ঢাল হয়ে শুনানীতে দিয়েছিলেন তামিম বক্তব্য। সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন-
‘আমি ওনাদের স্পষ্টভাবে একটা জিনিস বলেছি যে দেখেন, এখানে ১৫টা ক্লাবের চেয়ে বড় বিষয় হলো আপনারা যে সিদ্ধান্তটা নিতে যাচ্ছেন না কেনো, আপনার ৩০০ ক্রিকেটারের কথা মাথায় রাখতে হবে। এই ১৫টা ক্লাব বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিত ক্রিকেট খেলে, খেলোয়াড়দের পেমেন্ট করে। ওই টাকা দিয়েই কিন্তু তাদের একটা বছরের ৭০-৮০% আয় হয়। তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারও জড়িত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। আপনাদের যদি কোনো আপত্তি থাকত, তাহলে আপনারা কাউন্সিলর ফর্মটা দিলেন কেন?’
তার এই বক্তব্য যৌক্তিক মনে করেছেন নির্বাচন কমিশন। দিয়েছে খসড়া ভোটার তালিকায় শুন্য থাকা ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম ওঠায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন বিসিবির বর্তমান পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না ওঠা ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমীর এই কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় উঠেছে। বিসিবির সাবেক পরিচালক এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াও এ যাত্রায় পেয়েছেন কাউন্সিলরশিপ। বাদ পড়া ১৫ ক্লাবের একটি নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স থেকে ভোটার হয়েছেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পর রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমীর পক্ষে কাউন্সিলর ফরম জমা দিয়ে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠা ফারুক আহমেদের ভোটাধিকার নিয়ে লিখিতভাবে আপত্তি উন্থাপন করেছিলেন ঢাকার ১২টি ক্লাব। তবে তাদের এই আপত্তি গৃহিত হয়নি। বিলম্বের সুনিদ্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করায় প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আছে ফারুক আহমেদের নাম। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ১৯২ জন ভোটারের নাম চূড়ান্ত করেছে বিসিবি।
এদিকে গঠণতন্ত্র মেনে বিসিবি প্রেরিত কাউন্সিলর ফরম পূরণ করে ক্যাটাগরি জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষর নিয়ে তা বিসিবিতে জমা দিয়েও লাভ হয়নি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলাও বিভাগ থেকে জমা পড়া ৫৩টি কাউন্সিলর ফরমের অধিকাংশ বাতিল করেছে বিসিবি। জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দিয়েছেন চিঠি। সেই চিঠির আলোকে নতুন করে কাউন্সিলর মনোনীত করে তাদের পূরণকৃত ফরম বিসিবিতে প্রেরণ করেছেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ। ক্যাটাগরি-১ এ কাউন্সিলর মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির এমন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রীট পিটিশন করেছেন এই ক্যাটাগরির ৪ সংক্ষুব্ধ কাউন্সিলর। গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রীট ডিভিশনে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যকরিতার উপর ১৫দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারী করে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে বিসিবিকে। হাইকোর্টের এই আদেশ বহাল থাকেনি। ওই আদেশের অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে বিসিবি সভাপতির নির্দেশিত চিঠি অনুযায়ী জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহ থেকে দ্বিতীয় দফায় যাদেরকে কাউন্সিলল মনোনীত করা হয়েছে, ক্যাটাগরি-১ এ তাদের নাম বিসিবির খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিসিবির সভাপতির চিঠিতে বাদ পড়া জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিরা এখন সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের শুনানীর দিকে তাকিয়ে।
বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ অক্টোবর। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র বিতরণ ও রোববার ( (২৮ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনক্ষণ নির্ধারিত করা আছে।
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ফিফটি উদযাপনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। গত সপ্তাহে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে তাঁর ফিফটি উদযাপন নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করে ভারত। আজ আইসিসির শুনানিতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন, আইসিসির শুনানিতে পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা অতীত উদাহরণ টেনে বলেছেন, ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলিও এর আগে একই রকম বন্দুকের মতো অঙ্গভঙ্গি করে উদ্যাপন করেছেন। আরও যোগ করেন, একজন পাঠান হিসেবে এই ধরনের অঙ্গভঙ্গি তাদের অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রকাশ, যা আনন্দের মুহূর্তে-এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানেও সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সাহিবজাদার ও হারিস রউফের ‘উস্কানিমূলক অঙ্গভঙ্গি’ নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করার পর ফারহান শুনানিতে হাজির হন। ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর এই অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি, যা পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেয়।
রউফও সমালোচনার মুখে পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট নেওয়ার পর তিনি ‘৬-০’ আঙুল দেখান এবং ফাইটার জেট ভূপাতিত করার ভঙ্গি করেন। এগুলোকে উস্কানিমূলক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ব্যাখ্যা করা হয়।
দুজন পাকিস্তানি খেলোয়াড়—ফারহান ও হারিস—আইসিসির কাছ থেকে জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। জরিমানার পরিমাণ ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, তবে স্থগিতাদেশ বা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই।
ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ফারহান ও হারিসের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে প্রতিক্রিয়ায় ফারহান জানান, এটি ছিল কেবল তার ব্যক্তিগত উদ্যাপন, অন্যরা কীভাবে নেবে সে ব্যাপারে তিনি বিচলিত নন।
এই ঘটনাগুলো আবারও সামনে এনেছে ক্রীড়াবিদদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে এমন অঙ্গভঙ্গি এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা। গতকাল বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে নিশ্চিত করেছে।
স্থগিত হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আজ আবার শুরু হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৭১ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা।
এদিন টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দৌরগোড়াতেই হোঁচট খায় ঢাকা। সে ধাক্কা সামাল দেন আরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন। দু’জনের দুই ফিফটিতে ১৭১ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। জবাবটা একদমই ভালো হয়নি রংপুরের। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে নাসির হোসেন-অনিক সরকাররা ছিলেন খোলসবন্দি। হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ১০০ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ছিল রান। ঢাকার শুরুটা খারাপ হলেও সমস্যা বুঝতে দেননি আরিফুল ইসলাম। ধাক্কা সামলে তিনিই দলকে টেনে তুলেন। ১০০ মিনিটের কাছাকাছি ক্রিজে থেকে ৪৫ বলে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৫৯ রান। বাউন্ডারি ছিল ৬টি, ছক্কা একটি।
ঢাকাকে দ্বিতীয় ফিফটি উপহার দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার বেশ আগ্রাসী ছিলেন আজ। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে ৩২ বলে করেন ৬৪ রান। চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন সমানতালে। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
আরিফুল দলকে টেনে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। সেটাকে পুঁজি করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করান মোসাদ্দেক।
রান তাড়ায় নেমে রংপুরের বেশিরভাগ ব্যাটার ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। নাইম ইসলাম কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত টিকেও ছিলেন। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে কেবল দলের পতন দেখে গেলেন তিনি। ওয়ানডাউনে নেমে অপরাজিত ছিলেন। দলের সর্বোচ্চ রানও তার। ৩৭ বলে এক চারে স্কোরকার্ডে জমা করেন ২৬ রান। শেষ দিকে আবু হাসিম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মোসাদ্দেক তাকে ফেরান ২৫ রানে।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি রিপন মন্ডল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে মোসাদ্দেক তোলেন এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা বিভাগ: ২০ ওভারে ১৭১/৩ (মোসাদ্দেক ৬৪*, আরিফুল ৫৯*; মুকিদুল ১/৬)।
রংপুর বিভাগ: ১৭.১ ওভারে ১০০/৯ (নাঈম ২৬*, হাশিম ২৫,; তাইবুর ৩/২২, রিপন ২/১১)।
ফল: ঢাকা বিভাগ ৭১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন।
এশিয়া কাপ আয়োজনের আগে থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলছিল তর্কযুদ্ধ। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর বিতর্কিত কিছু ঘটনা পরস্থিতি আরও বেশি উত্তপ্ত করেছে। এরই মধ্যে ফাইনালও নিশ্চিত করেছে দল দুটি।
পাকিস্তান দলের কোচ মাইক হেসন খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা এবার সব ধরনের বিভ্রান্তি এড়িয়ে শুধুই ক্রিকেটে মনোযোগী থাকে, কারণ তারা ভারতের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের ফাইনালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চলতি টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার দেখা হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। এতদিন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মাঠের বাইরের বিষয় আর অঙ্গভঙ্গি, ক্রিকেট নয়।
গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন,
‘দেখুন, আমার বার্তা খুবই স্পষ্ট—শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দাও। আমরা সেটাই করব। অঙ্গভঙ্গি সবসময়ই থাকে, বিশেষ করে চাপের ম্যাচগুলোতে আবেগ থাকে।’
ফাইনাল নিশ্চিতের পর শিরোপা জয়ের সুযোগও নিতে চায় পাকিস্তান। কোচ হেসনের ভাষা,
‘আমরা এই সুযোগের যোগ্য। এখন আমাদের ওপর নির্ভর করছে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা। এতদিন পর্যন্ত সব ম্যাচ ছিল নিজেদের এমন অবস্থানে নেওয়ার জন্য, যেখানে শিরোপা জেতা সম্ভব। যে ম্যাচটা আসল সেটাই ফাইনাল, আর সেখানেই আমাদের মনোযোগ—সবচেয়ে ভালো খেলাটা দেখানো, যখন সেটা সবচেয়ে জরুরি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে পাকিস্তান—বিশেষ করে চাপের মুখে থেকেও জিততে পেরেছে তারা। হেসন বলেন,
‘দেখুন, টুর্নামেন্টের ভিন্ন ভিন্ন ধাপে প্রতিপক্ষ আপনাকে নিখুঁত খেলতে দেবে না, আর আমরা অনেক দূরে ছিলাম নিখুঁত খেলা থেকে। প্রথম ১০ ওভারেই সেটা বুঝেছি। কিন্তু এই দলে অসাধারণ মানসিকতা আছে। গত কয়েক মাসে আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি যেখানে পুরো ৪০ ওভার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। লড়াই করে ফিরতে হয়েছে। তবে একটা জিনিস বলতে পারি, পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা নিয়ে এই দল ভীষণ গর্বিত।’