আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের মাঝেও অস্বস্তি হয়ে এসেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর চোট। ফিল্ডিংও করতে পারেননি তাই। আর তৃতীয় ম্যাচের আগে এসেছে দুঃসংবাদ, কুঁচকির চোটে শেষ পর্যন্ত সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা স্রেফ কাপ্তানকে হারানোই নয়, দুই ম্যাচেই দলের সেরা ব্যাটারও যে ছিলেন শান্ত।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩৫ রান তাড়ায় নাটকীয় ব্যাটিং ধসে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে ওই ম্যাচে শান্তর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ১২০ রান ছিল সফরকারীদের। মূলত তার বিদায়ের পর শুরু হয় বিপর্যয়। সেদিন ফিফটি মিস করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শান্ত খেলেন ৭৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। বাংলাদেশের লড়াকু স্কোর গড়া ও ম্যাচ জেতার পেছনে যার ছিল বড় অবদান। ম্যাচ সেরাও হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
মুস্তাফিজ-তাসকিনের তোপ সামলে নবির ব্যাটে চড়ে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি |
চলতি বছর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানস্কোরার শান্ত। আর এই কারণেই দারুণ ফর্মে থাকা অবস্থায় সিরিজের শেষ ম্যাচে তাকে না পাওয়াটা বাংলাদেশকে চাপে ফেলবে কিছুটা হলেও। কারণ, শীর্ষ ব্যাটারদের কেউই যে নেই ফর্মে। আগেই সিরিজ শেষ হয়ে গেছে মুশফিকুর রহিমের। টানা দুই ম্যাচে মিডল অর্ডার দলকে বিপদে ফেলেছে বেশ।
ফলে শান্ত না থাকায় ব্যাটিংয়ে অনেকটাই শক্তি কমে গেল বাংলদেশের। মুশফিকুর রহিম চোটে পড়ার পর তার জায়গায় দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে আসেন জাকের আলি অনিক। ফলে এই মুহূর্তে স্কোয়াডে বাড়তি একমাত্র ব্যাটার আছেন কেবল ওপেনার জাকির হাসান। বাঁহাতি এই ব্যাটারের তৃতীয় ম্যাচ খেলা তাই নিশ্চিতই। তবে তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং করার সম্ভাবনাই প্রবল। সেক্ষেত্রে তিনে দেখা যেতে পারে জাকিরকে।
এটি ছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচের দল থেকে একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। একাদশে এসেই আগের ম্যাচে দুর্দান্ত করেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। স্পশালিস্ট বোলারদের মধ্যে তিন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম দুই ম্যাচেই ভালো করেছেন। আর স্কোয়াডে বাড়তি ব্যাটার না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে কারও জায়গা হারানোর সুযোগই নেই।
আরও পড়ুন
আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নাহিদ রানার অভিষেক |
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একদশ :
মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক),তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলি অনিক, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে