৬ নভেম্বর ২০২৪, ৮:১১ পিএম
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যে উইকেটে খেলা হচ্ছে, সেখানে রান করাটা খুব কঠিন কাজ নয়। তবে আফগানিস্তানের ইনিংসের দুই দফায় বাংলাদেশের পেসাররা বল করলেন দুর্দান্ত। একশর আগেই প্রতিপক্ষের পাঁচ উইকেট তুলে ফেললেন তারা। তবে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি একপ্রান্ত আগলে চাপের মুখে লড়ে গেলেন শেষ পর্যন্ত। মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিং সামলে তাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মত একটা স্কোর পেল আফগানরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে ৪৯.৪ ওভারে আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ২৩৫ রানে।
বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দারুণ। দ্বিতীয় ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজজে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। অভিষিক্ত সেদিকুল্লাহ অতল এরপর খেলেন দারুণ কিছু শট। তবে ছন্দ পাচ্ছিলেন না রহমত শাহ। আক্রমণে এসে ২ রানে তাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুন
টসে হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, রিশাদের অভিষেক |
নিজের করা পরের ওভারে ফের মুস্তাফিজের আঘাত। এবার লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন আতালকে। ৩ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের বিদায়ের পর গুলবাদাইন নাইব কিছুটা ফাইট দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে ফিরতি স্পেলে এসে তাকে ফেরান তাসকিন। ৭১ রানে ৫ উইকেট প্রবল চাপের মুখে পড়ে যায় আফগানিস্তান।
তবে সেই সময় থেকে ইনিংসের মাঝামাঝি দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলটির হাল ধরেন নবি ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। বাংলাদেশ বোলারদের হতাশ করে একে দুজনই তুলে নেন ফিফটি। জুটিতে হয়ে যায় শতক। তবে রানের গতি বেশ ধীর হয়ে যায় এই সময়ে। যা পরের দিকের ব্যাটারদের চাপ তৈরি করে।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের দিনের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর ভাঙেন ১০৪ রানের এই জুটি। বোল্ড হওয়ার আগে ২ চারে ৫২ রান করেন শহিদি। এরপর লড়াইটা ছিল মূলত নবি ও বাংলাদেশের বোলারদের। বড় কয়েকটি শটে সেঞ্চুরির আশা জাগলেও শেষ পর্যন্ত তা আর পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
তাসকিনের বল পুল করতে ক্যাচ তুলে দেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। শেষ হয় নবির লড়িয়ে ৭৯ বলে ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংসের, যা তিনি সাজান চারটি চার ও ৩ ছক্কায়। পরের বলেই আল্লাহ ঘাজানফারকে বোল্ড করেন তাসকন।
ইনিংসের শেষ ওভারে ফজলহক ফারুকিকে রানের খাতা খোলার আগে আউট করেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল হক। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন তাসকিন, আর ৫৮ রানে সমানসংখ্যক উইকেট যায় মুস্তাফিজুরের ঝুলিতে।
১২ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৩৩ পিএম
হাতে আছে চার মাসেরও কম সময়। আইসিসির আর দশটা টুর্নামেন্ট হলে এমন সময়ে আয়োজক দেশ ব্যস্ত থাকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে, সূচিও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বা হওয়ার পথে থাকে। ভেন্যুগুলোতে চলে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে হওয়ার এই সময়েও রয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা। ভারত কোনোভাবেই যাবে না প্রতিবেশী দেশে খেলতে, আর ছাড় দিতে নারাজ পাকিস্তানও। তাদের দাবি, হয় ভারতকে তাদের দেশে আসতে হবে বা রোহিত-কোহলিকে ছাড়াই আয়োজন হবে এবারের আসরের।
সবকিছু ঠিক থাকলে, গত সোমবার থেকে ১০০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এর। লাহোরে হত বিশাল আয়োজন। জানানো হতো টুর্নামেন্টের সূচি। কিন্তু তা আর হলো কই। এর পেছনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের অনড় অবস্থানও কম দায়ী নয়।
আরও পড়ুন
‘ভারত-পাকিস্তান আছে বলেই আইসিসি টিকে আছে’ |
পাকিস্তানে হিয়ে খেলার ক্ষেত্রে গোড়ামি যে শুধু ভারতেরই নয়। পাকিস্তানও যেন পণ করেছে, একচুল ছাড় ভয় ভারত ক্রিকেট বোর্ডকে। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের হাইব্রিড মডেলকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তারা কিছুতেই মানবে না। গেল বছর এশিয়া কাপে ভারত ছাড়া বাকি দলগুলো খেলেছে পাকিস্তানের মাঠে। শুধু ভারতের জন্যে শ্রীলঙ্কাতেও বসাতে হয়েছিল ভেন্যু। তবে এবার পাকিস্তান তাতেও রাজী না।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইসিসিকে ই-মেইলে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে খেলতে যেতে অপারগ। ভারত সরকার তাদের পাঠাবেন না। প্রস্তাব দিয়েছে হাইব্রিড মডেলে তাদের ম্যাচগুলো অন্য আরেকটি দেশের রাখার জন্য। সেটা আবার আইসিসি পাকিস্তানকে মেইল করে জানিয়েছে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ভারত যদি এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে না আসে, তবে মাইনাস ইন্ডিয়া বা বয়কট ইন্ডিয়া নীতিতে এগোতে পারে পাকিস্তান। অর্থাৎ, ভারতকে ছাড়াই টুর্নামেনট আয়োজনের কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। গণমাধ্যমগুলো এমনও বলছে, ভারত পাকিস্তানে না খেলা অব্দি পাকিস্তানও কোন টুর্নামেন্টেই ভারতের সঙ্গে আর খেলবে না। পিসিবিও নাকি এগোচ্ছে এমন পরিকলল্পনার দিকেই।
আরও পড়ুন
রউফের ফাইফারে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান |
ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতা তো নতুন কিছু না। তবে এরপরেও দুই দলের মধ্যে সফর ছিল প্রায় নিয়মিত। মাঝে শুধু ১৯৬২ থেকে ১৯৭৭ সাল দুবার যুদ্ধে জড়িয়ে আসা যাওয়া বন্ধ ছিল দুই দেশ। এর আগে-পরেও একাধিকবার সফর বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। তবে একুশ শতকে কোনো যুদ্ধ না লাগলেও এক যুগ ধরে ভারত-পাকিস্তান একে অপরের দেশে সফর করে না।
পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সবশেষ ভারতে গেছে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। আর ভারতীয় দলের সর্বশেষ পাকিস্তান সফর ২০০৭ সালে। এর পরের বছরও ভারতের একটি দল পাকিস্তানে গেছে, তবে সেটা এশিয়া কাপের জন্য। এর পর থেকে চলছে লম্বা বিরতি। আর গত ৮ বছরে দুই ফরম্যাটের দুটি বিশ্বকাপ খেলতে দুইবার ভারতে গেছে পাকিস্তান।
গত বছর এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দলের পাকিস্তানে যাওয়া না–যাওয়া নিয়ে যখন তুমুল আলোচনা, তখন জাভেদ মিয়াঁদাদের একটি মন্তব্য ভারতীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। মিয়াঁদাদ বলেছিলেন, “ভারত জানে পাকিস্তানের কাছে হারলে তাদের দেশের মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। এমনকি নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত উধাও হয়ে যাবেন, ভারতের জনগণ তাঁকেও ছাড়বে না। এই ভয়ৈই ভারত আসে না। পাকিস্তানে যদি তারা খেলতে না আসে, তাহলে তারা জাহান্নামে যাক।”
পাকিস্তানে না যাওয়া নিয়ে বিসিসিআই সব সময়ই সরকারের অনুমোদন না থাকার কথা বলে। কিন্তু ভারত সরকারের কেউ কখনোই স্পষ্ট করে বলেন না ঠিক কী কারণে অনুমতি দেওয়া হয় না। আর এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমে ভারতের ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একটা শব্দই নিয়মিত উচ্চারণ করে থাকেন—‘নিরাপত্তা’।
আরও পড়ুন
ভারতের অংশগ্রহণে পাকিস্তানেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আশা পিসিবির |
পাকিস্তানে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কিন্তু শঙ্কা কমবেশি সব দেশেরই থাকে। ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার ঘটনায় তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনেই চলে গিয়েছিল পাকিস্তানের ভেন্যু। এমনকি ২০১১ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক হলেও পাকিস্তানে শেষ পর্যন্ত কোনো ম্যাচই হয়নি।
পাকিস্তানে ভারত ক্রিকেট দলের সফর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে লাহোরের ঘটনা ছিল সবার জন্য ‘কমন ফ্যাক্টর’। লাহোর হামলার পরবর্তী ছয় বছর কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশই আর পাকিস্তানে সফর করেনি। তবে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের মাধ্যমে আবার দরজা খোলার পর গত কয়েক বছরে প্রায সব দেশই পাকিস্তানে খেলতে গেছে। বাকি কেবল ভারতই।
এর পেছনে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর টানা চার দিন মুম্বাইয়ে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলার কারণটিও জড়িত। ওই হামলায় প্রায় পৌনে দুই শ মানুষ নিহত হয়। মুম্বাইয়ে সেই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করে ভারত। এতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠেকে তলানিতে । সঙ্গে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার ঘটনা মিলিয়ে ভারত, পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠানো বন্ধ করে দেয়।
২০১৫ সালের শেষে সম্ভাবনা দেখা দেয় পিসিবি আর বিসিসিআইয়ের মধ্যকার এক বৈঠকের আহবানে। বৈঠকের দিন ওয়াংখেড়েতে হানা দেন শিবসেনার কর্মীরা। প্রায় দুই শর মতো শিবসেনা বিসিসিআই প্রধান শশাঙ্ক মনোহরসহ অন্যদের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখলে পিসিবি-বিসিসিআই বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।
বিসিসিআইয়ের তখনকার সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা নিয়ে আলোচনা করতে পারি তিনটি শর্তে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা, ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্বার্থ এবং ভারতীয় জনগণের অনুভূতিকে প্রাধান্য দিয়ে।”
তবে সেই শর্ত পূরণ হয়েছে নাকি হয়নি, আজ অব্দি তা নিয়ে কোনো পক্ষ থেকেই আসেনি পরিস্কার কোন বক্তব্য। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘিরে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক পুনরায় চালু নিয়ে আবার ব্যাপক মাত্রায় আলোচনা তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তান সব ভুলে কিন্তু বিশ্বকাপেও খেলেছে ভারতে গিয়ে। আবার ভারতের ইচ্ছেনুযায়ী হাইব্রিড মডেলও দিয়েছে এশিয়া কাপে। তবে পাকিস্তানে গিয়ে খেলার ব্যাপারে অতীতের অবস্থান পরিবর্তন এখন ও নিকট ভবিষ্যতেও হয়ত করবে না ভারত।
আর সেই কারণেই উঠছে প্রশ্ন, অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজক দেশ ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও ক্ষমতাধর ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই - দুই পক্ষকে খুশি রেখে আইসিসি কী পারবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঠিক সময়ে আয়োজনে এগিয়ে যেতে? বাস্তবতা বলছে, খুব জটিল সময় অপেক্ষা করছে ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টের জন্য।
ম্যাচ শেষেই উপহার পেলেন একটা জার্সি। এই জার্সি কেবল জার্সিই না, অর্জনের আনন্দও। কেবল অর্জন? এমন দিনে ফরহাদ হোসেন মনে করতে পারেন নিজের দীর্ঘ ১৯ বছরের শ্রমের কথাও, যেখানে মিলেমিশে আছে উথান-পতনের অজস্র গল্প।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন সম্মানের বিদায় খুব কম ক্রিকেটারেরই মিলে। মাঠ থেকে রাজার বেশে যেখানে অনেক বড় বড় নামই বিদায় নিতে পারে না, সেখানে সেটাই করতে পারলেন ১৯ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা এই রাজশাহীর ক্রিকেটার।
ফরহাদের পরিবারের সদস্যরা হাজির ছিলেন আবেগঘন দিনটিতে। তার পথচলা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালের মার্চে, রাজশাহী স্টেডিয়ামে। সেই রাজশাহীতেই থামছেন ঘরের ছেলে। সেদিন প্রতিপক্ষ দলে খেলেছিলেন হান্নান সরকার, আর এদিন জাতীয় নির্বাচক হান্নানের হাত থেকেও মিলল সম্মাননা।
আরও পড়ুন
ঘরোয়া ক্রিকেট কম খেলাই লিটন-শান্তদের ভরাডুবির কারণ, মত বাশারের |
একই দলে ১৯ বছর আগে খেলেছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট, এদিনও হাজির ছিলেন। তবে ভিন্ন ভূমিকায়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ঠিকই রাঙিয়েছেন ফরহাদ। ১৬১ ম্যাচ খেলেছেন ১৯ বছরে। ৯ হাজার পেরোনো রান নামের সঙ্গে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে কীর্তি আছে কেবল ফরহাদ ছাড়া আর মাত্র তিন বাংলাদেশির।
৪৬ ফিফটি সাথে ফরহাদের নামের পাশে রয়েছে ১৮ সেঞ্চুরিও। সর্বোচ্চ ২১৬ রানের ইনিংসে ফরহাদ জানান দিয়েছেন, বড় ইনিংসও খেলতে পারেন রাজশাহীর অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
ফরহাদের ব্যাটিং গড় ৩৬ থেকে সামান্য কম। ১৯ বছর ধরে ৩৫ গড় ধরে রাখাও আর কম কীসে? অন্য বড় নামের হয়তো তারকাখ্যতিও জোটেনি কখনো জাতীয় দলে না খেলা এই ফরহাদের। তবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের চষে বেড়িয়েছেন সর্বত্রই।
আরও পড়ুন
৩ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরছেন কামিন্স |
১৯ বছরে ১৯ হাজার বল ব্যাটিং করেছেন। ৯ হাজার রান পেরোনো ফরহাদের নামের সাথে কার্যকরী ১৬৫ উইকেট। ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দলের অন্যতম সেরা। ক্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে।
অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৪ আর ৩৬ রান, ম্যাচে নিয়েছিলেন এক উইকেটও। বিদায়ী ম্যাচে ২৬ আর ৯ রান আর সাথে সাক্ষী হয়ে থাকল অসংখ্য সম্মাননা।
৩৭ বছর ২৭৬ দিন বয়সে থামলেন ফরহাদ হোসেন। হয়তো ক্রিকেটার পরিচয়ে বড় তারকা হতে পারেননি, তবে ৯ হাজার প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট রানের ফরহাদ হোসেন নিজেকে সফল ভাবতেই পারেন। ৯ হাজার রান কি আর চাট্টিখানি কথা। ফরহাদের অর্জনই তার হয়ে কথা বলবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
৬ ঘণ্টা আগে
৭ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে