
সেভিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে ২০২৫-২৬ মৌসুমে অপরাজিত ছিল বার্সেলোনা। আগের মৌসুমের মতো ‘খুনে’ মেজাজের বার্সাকে না দেখা গেলেও লিগের পয়েন্ট টেবিলে ঠিকই শীর্ষে উঠে আসে ক্লাবটি।
সবশেষ সেভিয়ার বিপক্ষে গতকাল কাতালান ক্লাবটির ম্যাচ দেখে হয়তো অনেকেই চোখ কচলেছেন। মাঠে এ কোন বার্সাকে দেখতে হচ্ছে। একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া আর রক্ষণভাগে শিশুসুলভ ভুলে শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে হেরেও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বার্সা।
আরও পড়ুন
| ‘ভাল জার্নি কইরা আইছি, সবাই সাপোর্ট করতে আইবা’ |
|
হ্যান্সি ফ্লিকের কোচিং অধ্যায়ে সবচেয়ে বাজে হারই ছিল এটি। শোচনীয় এই হারে স্বাভাবিকভাবেই কাটাছেঁড়া করবে বার্সা। ভুলটা কোথায় ছিল ? কোচের কৌশলে ? নাকি রক্ষণভাগ থেকে ফরোয়ার্ড কেউ নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেনি ?
সেভিয়ার বিপক্ষে ভরাডুবির পর ম্যাচ শেষে পাউ কুবার্সি দুষলেন দলের আক্রমণভাগের সদস্যদের। বার্সা ডিফেন্ডারের মতে, গোলের সুযোগ হাতছাড়ার সঙ্গে ফরোয়ার্ডরা প্রেসিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পারেনি। নিজেদের পারফরম্যান্সের হতাশ কুবার্সি বলেন, ‘গত মৌসুমের মতো আমাদের প্রেস করতে হবে। পরের ম্যাচগুলোতে যেন একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।’
কুবার্সি আরো বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের অনেক ভালো সুযোগ ছিল, কিন্তু ফুটবলে এমন হয়। শেষ মুহূর্তে আমরা যেভাবে মনোযোগ হারিয়েছি, সেটা চলতে পারে না। সামনের দিকে তাকিয়ে আমাদের এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আরও বেশি লড়াই করতে হবে।’
প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফিরতে পারত বার্সা। তবে ক্লাবটির পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানদোভস্কির স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। পেনাল্টি মিস ছাড়াও এই ম্যাচে ফরোয়ার্ডরাও বেশ কিছু সহজ সুযোগ হেলায় হারায়।
গত মৌসুমে তীব্র প্রেসিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে বার্সা। সেই চাপ তৈরি করার কথাই বলেন বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার, ‘আমাদের গত মৌসুমের মতোই প্রেস করতে হবে। প্রতিপক্ষের সুযোগগুলো আসলে আমাদের আক্রমণভাগ থেকেই শুরু হয়। তাই সামনে থেকেই চাপ তৈরি করতে হবে। আমি মনে করি আমরা কিছুটা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। এটা একদমই চলবে না। অবশ্য এটা কেবলই একটি ম্যাচ, বাড়াবাড়ির প্রয়োজন নেই, কিন্তু এটিই হতে পারে মৌসুমের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন
| হংকং ম্যাচ দেখতে কাল আসছেন হামজার বাবা-মা |
|
লিগে এই হারে শীর্ষে ফেরার সুযোগও হারায় বার্সেলোনা। ৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে নূ ক্যাম্পের ক্লাবটি। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে এক নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদ। আর বার্সাকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে উঠে এসেছে সেভিয়া। ৮ ম্যাচে ক্লাবটির সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট।
আন্তর্জাতিক বিরতির পর আগামী ১৮ অক্টোবর লিগে জিরোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সা।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল লিভারপুলের সাবেক সহ-মালিক টম হিক্স মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
গতকাল শনিবার ডালাসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন হিক্স। মার্কিন ব্যবসায়ী ও তাঁর সহ-মালিক বন্ধু জর্জ জিলেট হিক্সের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
তিন বছর ছয় মাস লিভারপুলের মালিকানায় ছিলেন হিক্স। পরবর্তীতে ২০১০ সালের অক্টোবরে নিজের শেয়ার বিক্রি করে দেন তিনি। লিভারপুরের সুখে-দুঃখের সঙ্গী ছিলেন। ক্লাব উন্নয়নে সবসময় পাশে ছিলেন ছায়ার মতোই।
আজ হিক্সের সন্তানদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের বাবা মারা গেছেন। তারা আরও বলেন, “তিনি এখনো আমাদের জন্য একটি দিশানির্দেশক শক্তি।”
হিক্সের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে লিভারপুল। এক বিবৃতিতে অল রেডস জানায়, ৭৯ বছর বয়সে টম হিক্স মৃত্যুবরণ করেছেন। হিক্স, যিনি ডালাস স্টারস ও টেক্সাস রেঞ্জার্সেরও মালিক ছিলেন, তিনি শনিবার মারা গেছেন।
লিভারপুল আরও জানায়, “হিক্স ও তাঁর সহকর্মী মার্কিন ব্যবসায়ী জর্জ জিলেট ২০০৭ সালের শুরুর দিকে রেডসের অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেন। ২০১০ সালের অক্টোবরে বর্তমান মালিক ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ ক্লাবটি অধিগ্রহণ করলে আনফিল্ডে তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়।”
এই কঠিন সময়ে হিক্স পরিবার এবং টমের বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে লিভারপুল।

ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরার তকমা বহু আগেই পেয়েছেন লিওনেল মেসি। মাঠে তাঁর প্রভাব, ধারাবাহিকতা ও জাদুকরী ফুটবল তাকে করেছে অতুলনীয়। অর্জনের খাতায়ও তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফুটবলার। গতকাল ইন্টার মায়ামি প্রথমবার এমএলএস কাপ জেতার সঙ্গে —মেসির দলীয় ট্রফির সংখ্যা হলো ৪৮টি।
ফুটবল ইতিহাসে মেসির সমান বা এর চেয়ে বেশি ট্রফি নেই আর কারও। বার্সেলোনার জার্সিতে দীর্ঘ ১৭ বছরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা জিতেছেন অবিশ্বাস্য ৩৪টি ট্রফি। পরে পিএসজিতে দুই মৌসুমে যোগ করেছেন আরও তিনটি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ না পাওয়ার আক্ষেপটা ছিলই। শেষ পর্যন্ত ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।
মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির পথচলা যেন নতুন রূপকথা। ২০২৩ সালে দলটিতে যোগ দিয়েই সাত ম্যাচে ১০ গোল করে মেসি জেতেন লিগস কাপ—যা ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম কোনো শিরোপা । ডেভিড বেকহ্যাম-মায়ামির জন্য যা ছিল ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
২০২৪ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের পর মায়ামির সঙ্গে জেতেন এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড। আর ২০২৫ সালে যোগ হয়েছে এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্স। গতকাল যুক্ত হয়েছে এমএলএস কাপ। সব মিলিয়ে মেসির ক্যারিয়ারের শিরোপা সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৪৮। ফুটবল ইতিহাসে এমন সাফল্য আর কারও নেই।
ফুটবল ইতিহাসে সর্বাধিক ট্রফিজয়ী ১০ ফুটবলার
খেলোয়াড় ট্রফির সংখ্যা
লিওনেল মেসি ৪৮
দানি আলভেস ৪৩
হুসাম আশুর ৩৯
মার্কিনিয়োস ৩৮
সের্জিও বুসকেটস ৩৮
জেরার্ড পিকে ৩৭
ডেভিড আলাবা ৩৭
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ৩৬
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ৩৫
কেনি ডালগ্লিশ ৩৫

লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ ও ক্লাবটির কোচ আর্নে স্লটের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। শনিবার রাতে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামে লিভারপুল। ম্যাচ শেষে অ্যানফিল্ড ছাড়ার ব্যাপারে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে ইঙ্গিত দিয়েছেন সালাহ। ক্লাবটির সাম্প্রতিক ব্যর্থতার দায় তাঁর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন মিশরীয় তারকা।
এল্যান্ড রোডে জোড়া গোলে এগিয়ে থাকার পরও লিডসের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে লিভারপুল। খেলোয়াড়ের তালিকায় নাম থাকলেও পুরো সময় বেঞ্চেই বসে থাকতে হয় সালাহকে। ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করে সালাহ বলেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না পুরো ৯০ মিনিট বেঞ্চে বসে ছিলাম। বিষয়টা খুবই হতাশাজনক। বছরের পর বছর ধরে ক্লাবের জন্য অনেক কিছু করেছি- বিশেষ করে গত মৌসুমে। আমার মনে হচ্ছে ক্লাব আমাকে বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে।’
লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে দূরত্বের কথা জানিয়ে সালাহ বলেন, ‘ক্লাব এই মৌসুমে আমাকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখন বেঞ্চে বসে আমি। তাই বলাই যায় তাঁরা প্রতিশ্রুতি রাখেনি। কোচের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল আগে, কিন্তু এখন আমাদের মধ্যে আর ভালো সম্পর্ক নেই। ক্লাবে থাকি মনে হয় এটা কেউ কেউ আর চায় না।’
আগামী শনিবার ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে মিশরের হয়ে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে যোগ দেবেন সালাহ। প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটন ম্যাচকে নিজের বিদায়ি মুহূর্ত বলেও উল্লেখ করেন, ‘ব্রাইটন ম্যাচে মা-বাবাকে আসতে বলেছি। খেলতে না পারলেও সমস্যা নেই, উপভোগ করব। আফ্রিকান কাপের আগে অ্যানফিল্ডে সমর্থকদের কাছে বিদায় নিয়ে আসবো।’
আরও পড়ুন
| এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছি: মেসি |
|
গত মাসে লিভারপুলের হয়ে ২৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন সালাহ। এপ্রিলে ক্লাবটির সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি করেন এই ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় রেডদের হয়ে ১৮ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন ৩৩ বছর বয়সি তারকা এই ফুটবলার।
ক্লাবের থেকে যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না বলে জানান সালাহ, ‘যদি অন্য কোনো ক্লাবে থাকতাম, তারা খেলোয়াড়কে আগলে রাখত। এখানে বলা হচ্ছে আমি সমস্যা। মনে হয় না আমি ক্লাবের সমস্যা। এখানে অবস্থানের জন্য জন্য লড়াই করছি না, সেটা নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেছি।’
সৌদি প্রো লিগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নে সরাসরি জবাব দেননি সালাহ, ‘উত্তর দিতে চাই না। বললেই ক্লাব অন্যভাবে নেবে। আমি ক্লাব ও সমর্থকদের ভালোবাসি, কিন্তু জানি না এরপর কী হবে।’ ক্লাব ছাড়ার প্রসঙ্গে সালাহ বলেন, ‘চুক্তির সময় ভেবেছিলাম এখানেই ক্যারিয়ার শেষ করব। এখন মনে হচ্ছে পরিকল্পনা অন্য পথে যাচ্ছে।’

২০২৩ সালে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। প্রায় তিন বছর পর ক্লাবটির হয়ে প্রথমবার এমএলএস কাপ জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। শনিবার রাতে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ফাইনালে মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে ভ্যাঙকুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করার পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নদের কাতারে নাম লেখালো ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটির।
ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে মেসি স্বীকার করেছেন যে ট্রফিটি ছিল তাঁর এবং দলের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর চূড়ান্ত পরিণতি, ‘তিন বছর আগে, আমি এমএলএসে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এবং আজ আমরা চ্যাম্পিয়ন। দলের সবার অক্লান্ত প্রচেষ্টা ছিল। এটি একটি দীর্ঘ বছর, অনেক ম্যাচ ছিল। আমরা পুরো মৌসুম ধরে পরিশ্রম করেছি, চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। এই মুহূর্তটির জন্যই আমি অপেক্ষা করছিলাম, এবং আমরা একটি দল হিসাবে যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এটি আমাদের সকলের জন্য সুন্দর মুহূর্ত। আমরা এই শিরোপার যোগ্য ছিলাম।’
ফাইনালে মেসি ছিলেন বরাবরেই মতোই দুর্দান্ত। ইন্টার মায়ামির তিন গোলের দুটিতে অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৮ বছর বয়সি তারকা। নিজের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ৪৮তম শিরোপা। খেলা শেষে মেসির প্রশংসা করেছেন ইন্টার মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘গত তিন-চার ম্যাচে তাঁর (মেসি) প্রচেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মতো। সে বুঝয়েছিল জয় তাঁর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমি তাঁকে কিছুই করতে বলিনি। কিন্তু নিজ থেকে তাঁর প্রচেষ্টা জানান দেয় এটি কতটা বিশেষ। কারণ সে এখানে এই ট্রফি জিততে এসেছিল।’
এদিন ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। তবে ৬০ মিনিটে ১-১ গোলের সমতায় ফেরে ভ্যাঙকুভার। এরপর ৭১ ও ইনজুরি সময়ের ৬ মিনিটে মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে গোল করেন ডি পল ও তাদেও আলেন্দে।
ম্যাচ শেষে মাচেরানো বলেন, ‘আমরা খুব, খুব ভালো একটি দলের মুখোমুখি হয়েছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫-২০ মিনিট তারা আমাদের চাপে ফেলেছিল। আমরা খুব ভাগ্যবান ওদের দুটি শট পোস্টে লাগে। কিন্তু কখনও কখনও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আপনার ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’
বন্ধু আলবা-বুসকেটসকে বিদায় জানান মেসি
এই মৌসুম শেষে অবসর নেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন বার্সেলোনায় মেসির সাবেক সতীর্থ জর্ডি আলবা এবং সার্জিও বুসকেটস। তাঁদেরকে অভিনন্দন জানাতেও এদিন ভুল করেননি ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা মেসি, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তাঁরা দুজনেই ইতিহাসের সেরাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। এটা অসাধারণ যে তাঁরা এমএলএস শিরোপা নিয়ে অবসর নিতে পারছে। আজ তাঁদের জন্য খুব সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এমন কিছু অর্জন করেছে যার জন্য তাঁরা তাঁদের পুরো জীবন উৎসর্গ করেছে। এখন থেকে তাঁদের একটি নতুন জীবন শুরু হবে। আমি তাঁদের শুভকামনা জানাই। কারণ তাঁরা দুজনই আমার বন্ধু, যাদের আমি গভীরভাবে ধারণ করি। আমি খুশি যে তাঁরা এই শিরোপা নিয়ে যেতে পারছে।’

নতুন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের হতাশা যেন কাটছেই না। শনিবার রাতে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জয় পায়নি অল রেডরা। এল্যান্ড রোডে লিডসের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে আর্নে স্লটের দল।
এই ড্র’য়ে ১৫ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে লিডস ইউনাইটেড।
লিডসের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোন দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্রুত দুই গোল করে লিভারপুল। ৪৮ ও ৫০ মিনিটে জোড়া গোল করেন হুগো একিটিকে।
আরও পড়ুন
| বদলি নেমে কেইনের হ্যাটট্রিক, বায়ার্নের দাপুটে জয় |
|
যখন সহজ জয়ের আভাস পাচ্ছিল লিভারপুল তখনই যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ৭২ মিনিটে উইলি নিয়ান্তোকে ফাউল করায় ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পায় লিডস। স্পট কিক থেকে গোল করেন লিডসের ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইন। ৭৫ মিনিটে অ্যান্টন স্ট্যাচের গোলে স্কোরলাইন হয় ২-২।
৮০ মিনিটে রায়ান গ্রাফেনবার্খের দারুণ পাস থেকে দমিনিক সোবোসলাই লিভারপুলকে আবারও এগিয়ে দেন। মনে হচ্ছিল কোনোমতে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে অতিথিরা।
কিন্তু যোগ করা সময়ে আবার ছন্দপতন। ৯০+৬ মিনিটে কর্নার থেকে জাপানি মিডফিল্ডার তানাকার গোলে আবারও সমতায় ফেরে লিডস। ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।