“সবাই শুধু তোমার রেকর্ড আর মাইলফলকগুলো নিয়েই কথা বলবে - কিন্তু আমি মনে রাখব সেই অশ্রুগুলোর কথা, যা তুমি কখনও কাউকে দেখাওনি; আমি মনে রাখব সেই যুদ্ধগুলো, যা কেউ দেখেনি; আর তোমার সেই নিঃশর্ত ভালোবাসা, যা তুমি এই ফরম্যাটটাকে দিয়েছ। প্রতিটি টেস্ট সিরিজের পর তুমি ফিরে এসেছো আরও একটু বেশি জ্ঞানী হয়ে, একটু বেশি স্থির হয়ে। তোমার এই পুরো যাত্রাটা দেখা ছিল আমার জন্য অনন্য এক সৌভাগ্য। কোনো এক অজানা কারণে আমি সবসময় ভেবেছি তুমি সাদা পোশাকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবে। কিন্তু সবসময়ের মত নিজের হৃদয়ের কথাই শুনেছো।”
- কথাগুলো বিরাট কোহলিকে নিয়ে বলেছেন তার সহধর্মিণী ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্রিকেটের প্রতি বিরাট কোহলির নিবেদন সবচেয়ে কাছ থেকে যিনি দেখেছেন, তার বলা কথাগুলোই বুঝিয়ে দেয় লাল বলের ক্রিকেটকে কীভাবে ধারণ করতেন ভারতীয় এই ব্যাটিং গ্রেট।
এই করতেন বলার কারণ, গত কয়েকদিনের গুঞ্জনকে সত্যি করে অনেকটা নীরবেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নাকি জোর চেষ্টাই ছিল অত্যন্ত ইংল্যান্ড সফরে তাকে খেলানোর। মাস দুয়েক আগেও ব্যাপারটি নিয়ে যে আলোচনা হতে পারে, সেটাই তো ছিল বিস্ময়কর। কারণ, টেস্টকেই তো সবচেয়ে বেশি লালন করলেন। তবে আনুশকা শর্মা যেমনটা বলেছেন, মনের কথা শুনেছেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন
নাহিদ-তাসকিনদের নতুন বোলিং কোচ টেইট |
![]() |
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসেও কোহলি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বর্ণিল এক চরিত্র হিসেবে। শচীন টেন্ডুলকার ভারতের ক্রিকেট ‘ঈশ্বর’, যিনি ছিলেন ব্যক্তি হিসেবে ধীরস্থির, শান্ত আর নিখুঁত ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। আর কোহলি তার ঠিক বিপরীত। তিনি বুনো চরিত্রের ভীষণ আগ্রাসী একজন ক্রিকেটার, যিনি ব্যাটসম্যানশিপের চূড়ান্ত স্তরে থাকার পাশাপাশি মাঠে প্রতিপক্ষকে একচুল ছাড় দিতে নারাজ। অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে ভারতকে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে কীভাবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হয়। আর এই বিষয়গুলো অনেক সময়ই আড়াল হয়ে যায় হাজার হাজার রান বা সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির স্তুতিগাথায়।
কোহলির অধিনায়কত্বে ভারত প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে ২০১৮-১৯ মৌসুমে। তার সময়েই ভারত একটা লম্বা সময় ধরে থাকে টেস্টের র্যাংকিংয়ে শীর্ষে।
লাল বলের ক্রিকেটে কোহলির অবসরের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শচীন বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের পরের প্রজন্মকে এই ফরম্যাটের প্রতি আগ্রহী করে তোলায় তার উত্তরসূরি রেখেছেন বিশাল এক অবদান। খুব একটা ভুল বলেননি তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে যে নিবেদন, আগ্রাসন দেখাতেন কোহলি, তা পুরো বিশ্ব ক্রিকেটেই ছিল উপভোগ্য এক বিষয়।
আর সেই কাজটা করতে গিয়ে অধিনায়ক হিসেবে বড় একটা পরিবর্তন আনেন ভারতীয় ক্রিকেট সংস্কৃতিতে। ফিটনেস ও পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব এসেছে তার হাত ধরেই। কীভাবে টেস্টের প্রতিটি বলেই সমান একাগ্রতা নিয়ে লড়তে হয়, খাদের কিনারায় থেকেও আশার প্রদীপ জ্বালাতে হয়, সেটা সামনে থেকে দেখিয়েছেন ম্যাচের পর ম্যাচ ধরে।
সবসময়ই স্পিনে শক্তিশালী হওয়ায় ভারতের জন্য দেশের মাটিতে জেতাটা সহজ হলেও বিদেশের মাটিতে টেস্টে বড় সাফল্য পাওয়া ছিল ভীষণ অনিয়মিত ঘটনা। সেটা বুঝতে পেরে কোহলি সবার আগে জোর দেন গতিময়, আগ্রাসী পেসারদের দলে নেওয়ার। সেটার ফলও ভারত পায় হাতেনাতে। ‘সেনা’ দেশগুলোতে তার অধিনায়কত্বেই দলটি পায় নিজেদের ইতিহাসের সেরা সব সাফল্য। এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর সময় কোহলি যখন দেখছেন দলে পেসারদের আধিপত্য এমনকি ঘরের মাটিতেও, তখন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারেন তিনি।
এক নজরে কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ার :
• ১২৩টি টেস্ট
• ৯ হাজার ২৮৩ রান
• গড় : ৪৬.৮৫
• শতক : ৩০
• ডাবল সেঞ্চুরি : ৭ (ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ)
• ফিফটি ৩১
• সর্বোচ্চ : ২৫৪*
• অধিনায়ক হিসেবে ৬৮ ম্যাচে, ৪০টি জয় - ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তবে টেস্টের কোহলিকে স্রেফ রান-সেঞ্চুরি দিয়ে মাপতে গেলে ভুলই করবেন আপনি। যে সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জোয়ারে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে পাঁচদিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ, সেই সময়েই কোহলি এই ফরম্যাটকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব। ব্যাটিংয়ে প্রতিটি রানের জন্য তার লড়াই, ফিল্ডিংয়ে প্রতিটি বলেই আগ্রাসন দেখানো, উইকেট পতনে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠা, এই জিনিসগুলোর কারণেই তিনি সবার চেয়ে আলাদা হয়ে থাকবেন। এভাবেই এই যুগে এসেও ভারতের তরুণ প্রজন্ম কোহলিকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়, হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট খেলার, রেকর্ড গড়ার, ইতিহাসের অংশ হওয়ার।
আরও পড়ুন
রোহিতের পর টেস্ট অবসরের পথে কোহলিও? |
![]() |
এই প্রসঙ্গে স্টিভেন স্মিথ একবার বলেছিলেন,
“সে শুধু একজন গ্রেট খেলোয়াড়ই নয়, একজন দুর্দান্ত প্রতিপক্ষও। খেলার মাঠে বিরাট শুধুমাত্র নিজের প্রাণশক্তিই নিয়ে আসে না, পুরো দলের মাঝেও সেটা ছড়িয়ে দেয়।”
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দর্শকদের কাছেও কোহলি ছিলেন এমন একজন, যিনি টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তৈরি করতে পেরেছিলেন অন্যরকম এক আবেদন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তেমনই একজন যেমনটা বলেছেন,
“আমরা শুধু তাকে খেলতেই দেখতাম না, আমরা তার করা প্রতিটি রান, প্রতিটি চিৎকার, শূন্যে মারা প্রতিটি ঘুষিকেও অনুভব করতাম। সে কেবল ক্রিকেট খেলতই না, সে এটিকে কেন্দ্র করেই চলত।”
একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! কোহলি সেটা করতে পেরেছেন, কারণ টেস্ট ক্রিকেটকে তিনি সত্যিকারের ভালোবাসাই দিয়ে গেছেন শেষ দিন পর্যন্ত। এই কারণেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের বিদায়ী টেস্ট সিরিজে তিনি সংগ্রাম করে একটা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, ছন্দে না থেকেও ছিলেন সিরিজের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এতোটাই ছিল টেস্ট ক্রিকেটার কোহলির প্রভাব।
হার না মানা মানসিকতার কারণেই কোহলি ২০২০ সালের পর থেকে এই ফরম্যাটে সেরা ছন্দে না থেকেও লড়াই চালিয়ে যেতে পেরেছেন। আসলে ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের সময়টা বাদ দিলে কোহলির টেস্ট গড়টা থাকতে পারত আরও ইর্ষনীয়। এই মাপের একজন ব্যাটার কেন আর কীভাবে এত লম্বা সময় অফ ফর্মে আটকে থাকলেন, সেটা বড় এক রহস্যই থেকে যাবে। তবে ওয়ানডে গ্রেট কোহলিকে এরপরও আপনাকের টেস্টের সেরাদের কাতারের বিবেচনা করতেই হবে।
সেটা কেন, তা নিয়ে চলতে পারে নানা তর্ক। তবে ২০১৪ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চতুর্থ ইনিংস রান তাড়ায় যে ইনিংসটি খেলেছিলেন, সেটা ক্রিকেটের প্রিয় একজন ছাত্র সহজে ভুলতে পারবেন না। একটা হেরে যাওয়া ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি কীভাবে দাগ কেটে যেতে পারে, সেটা অনুভব করতে হলে আপনাকে সেই ম্যাচটি দেখতে হবে বারবার।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর ৩৬৪ রানের টার্গেটে নেমে ড্রয়ের আশা বাদ দিয়ে ব্যাট চালান জয়ের লক্ষ্যে, প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যা ছিল অবিশ্বাস্য এক চেষ্টাই। এই দফায়ও সেঞ্চুরি করে ছুটছিলেন জয়ের লক্ষ্যেই। তবে নাথান লায়নের বলে ক্যাচ দিয়ে তার ফেরার পরই পথ হারিয়ে ভারত ম্যাচও হেরে যায়। আউট হওয়ার পর চোখেমুখে যে অবিশ্বাস আর হতাশা ছিল কোহলির, ঠিক সেই কারণেই তিনি টেস্ট গ্রেট হয়ে উঠেছেন। জয়ের জন্য শেষ বিন্দু নিংড়ে দেওয়া কোহলি তাই লাল বলের ক্রিকেটের একজন বড় বিজ্ঞাপন হয়েই প্রাণবন্ত থাকবেন ইতিহাসের পাতায়।
No posts available.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম
অজেয় মনে হওয়া ভারতের বিপক্ষে জয়টা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের নিয়মরক্ষার ম্যাচে রেকর্ড গড়া এক জয়ই থেকে একহাত দূরে ছিল চরিত আসালাঙ্কার দল। তবে সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছে ভারতই।
পাথুম নিসাঙ্কার রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ভারতের ২০২ রান প্রায় তাড়া করে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু গুরুত্বহীন হয়ে পড়া ম্যাচে রোমাঞ্চ এনে ম্যাচটি টাই করে তারা। এরপর সুপার ওভারে মাত্র ভারতকে মাত্র ৩ রানের লক্ষ্য দিতে পারে আসালাঙ্কার দল।
আর্শদিপ সিংয়ের ওভারে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলেন দেন কুশাল পেরেরা। দ্বিতীয় বলে এক রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। ওভারের তৃতীয় বলে ডট দেওয়ার পর, পরের ডেলিভারিতে ওয়াইড দেন আর্শদিপ। চতুর্থ বলে দেখা যায় নাটকীয়তা। চতুর্থ বলেও কোনো রান নিতে পারেননি শানাকা। পঞ্চম বলে ক্যাচই তুলে দেন তিনি। তাতে জয়ের জন্য মাত্র ভারতের লক্ষ্য দাড়ায় মাত্র ৩ রান। হাসারাঙ্গার প্রথম বলেই তিন রান তুলে দলকে জয়ে বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
২০২ রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিসাঙ্কা-কুশল পেরেরার আগ্রাসী ব্যাটিং ভারতের ২০২ রানও মামুলি মনে হচ্ছিল। ২৫ বলে ফিফটি করেন দু’জনই। ৩২ বলে ৫৮ করা পেরেরা বরুণ চক্রবর্তীর বলে স্ট্যাম্পিং হলে শেষ হয় তাদের ৭০ বলে ১২৭ রানের অসাধারণ জুটি। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
চারে নামা আসালাঙ্কা টিকতে পারেনি বেশিক্ষণ। ৯ বলে ৫ রান করে কুলদিব যাদবের শিকার হন লঙ্কান অধিনায়ক। ৭ বলে ৩ করে রান তাড়া কঠিন করে দেন কামিন্দু মেন্ডিস। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে লড়ে যান নিসাঙ্কা। ৫২ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। বাবর আজম ও বিরাট কোহিলর পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সেঞ্চুরি পেলেন ডান হাতি এই ব্যাটার। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে শতক পাওয়া চতুর্থ লঙ্কান ব্যাটার নিসাঙ্কা।
দলীয় ১৯১ রানে শেষ হয় নিসাঙ্কার ৫৮ বলে ১০৭ রানের কাব্যিক ইনিংস। শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ১২ রান। প্রথম বলেই নিসাঙ্কাকে ফেরান হার্ষিত রানা। পরের চার ডেলিভারিতে ৯ রান তুলেন শ্রীলঙ্কা। শেষ বলে জয়ের জন্য লাগতো ৩ রান, তবে দাসুম শানাকা পড়িমরি করে তুলেন ২ রান। তাতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আর সেখানেই ভারতের বিপক্ষে আর পেরে উঠলো না এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী দল।
ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া, আর্শদিপ সিং, হার্শিত রানা, কুলদিপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহ পায় ভারত। অভিষেক শর্মার ফিফটির সঙ্গে তিলক বর্মার ৪৯ ও সঞ্জু স্যামসনের ৩৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেছে তারা। এবারের এশিয়া কাপে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা দলের এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ১৫ রানে শুবমান গিলকে ফেরান মাহেশ থিকশানা। এরপর লঙ্কান বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন দারুণ ছন্দে থাকা অভিষেক শর্মা। অন্যপ্রান্তে ছন্দের খোঁজে থাকা অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এই ম্যাচেও নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে এক উইকেটে ৭১ রান তুলে ভারত। এর মধ্যে ওপেনার অভিষেকের ব্যাট থেকেই আসে ৫১ রান। সপ্তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এলবিড্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার। এক চারে ১৩ বলে ১২ রান করেন তিনি।
দলীয় ৯২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। উড়তে থাকা অভিষেক শর্মার উইকেট তুলে নেন চরিত আসালাঙ্কা। ৮ চার, ২ ছয়ে ৬১ রান করা ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার এ নিয়ে টানা তিন ফিফটি করলেন।
১০ ওভারে ১০০ স্পর্শ করে ভারত। চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৬৬ রানের দারুণ জুটি গড়েন সঞ্জু স্যামসন-তিলক ভার্মা। ২৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা স্যামসন ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। ছয়ে নামা হার্দিক পান্ডিয়া ফেরেন ২ রান করেই। ভারতের সংগ্রহ এরপর দুইশো পার করেন তিলক বর্মা। ৩৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতের সংগ্রহ দুইশো ওপারে নিয়ে যান ১৫ বলে ২১ করা আকশার প্যাটেল।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নুয়ান থুশারা। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন এই পেসার।
এশিয়া কাপে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। ঠিক উল্টো চিত্র ভারতের। এক ম্যাচ আগেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেছে সূর্যকুমার যাদবেল দল। আজ দুই দলের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই নিয়ম রক্ষার।
গুরুত্বহীন হয়ে পড়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহ পেয়েছে ভারত। অভিষেক শর্মার ফিফটির সঙ্গে তিলব বর্মার ৪৯ ও সঞ্জু স্যামসনের ৩৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেছে তারা। এবারের এশিয়া কাপে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা দলের এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ১৫ রানে শুবমান গিলকে ফেরান মাহেশ থিকশানা। এরপর লঙ্কান বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন দারুণ ছন্দে থাকা অভিষেক শর্মা। অন্যপ্রান্তে ছন্দের খোঁজে থাকা অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এই ম্যাচেও নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে এক উইকেটে ৭১ রান তুলে ভারত। এর মধ্যে ওপেনার অভিষেকের ব্যাট থেকেই আসে ৫১ রান। সপ্তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এলবিড্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার। এক চারে ১৩ বলে ১২ রান করেন তিনি।
দলীয় ৯২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। উড়তে থাকা অভিষেক শর্মার উইকেট তুলে নেন চরিত আসালাঙ্কা। ৮ চার, ২ ছয়ে ৬১ রান করা ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার এ নিয়ে টানা তিন ফিফটি করলেন।
১০ ওভারে ১০০ স্পর্শ করে ভারত। চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৬৬ রানের দারুণ জুটি গড়েন সঞ্জু স্যামসন-তিলক ভার্মা। ২৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা স্যামসন ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। ছয়ে নামা হার্দিক পান্ডিয়া ফেরেন ২ রান করেই। ভারতের সংগ্রহ এরপর দুইশো পার করেন তিলক বর্মা। ৩৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতের সংগ্রহ দুইশো ওপারে নিয়ে যান ১৫ বলে ২১ করা আকশার প্যাটেল।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নুয়ান থুশারা। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন এই পেসার।
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের পর সূর্যকুমার যাদব ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। তার এই মন্তব্যের কারণে ভারতীয় অধিনায়ককে আইসিসি তিরস্কার ও সতর্ক করা করেছে। আজ দুবাইয়ে শুনানিটি পরিচালনা করেন রিচি রিচার্ডসন ও স্যালি হিগিনস।
সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সাহিবজাদা ফারহান ও হারিস রউফ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করেন। তাদের অহেতুক কর্মকাণ্ডের জন্য আইসিসি শুনানির মুখোমুখি করেছে। শুনানিতে উভয়কে প্লেয়ার কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ও সতর্ক করা হয়।
আইসিসি বিশেষ করে রউফকে জরিমানা ও তীব্রভাবে তিরস্কার করেছে। তার জরিমানার সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ম্যাচ ফি’র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সুপার ফোর ম্যাচে রউফ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট নেওয়ার পর ‘৬-০’ আঙুল দেখান এবং ফাইটার জেট ধ্বংসের ভঙ্গি করেন। এগুলোকে উসকানিমূলক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে দেখা হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ফারহান ও হারিসের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে প্রতিক্রিয়ায় ফারহান জানান, এটি ছিল কেবল তার ব্যক্তিগত উদ্যাপন, অন্যরা কীভাবে নেবে সে ব্যাপারে তিনি বিচলিত নন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিসিবির নির্বাচন কমিশনের স্বাক্ষরিত খসড়া ভোটার তালিকায় ক্যাটাগরি-২ তে ঢাকার ৭৬টি ক্লাবের মধ্যে বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের ভোটারদের নাম ছিল না। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের রিপোর্টে ১৫টি ক্লাবকে ভোটার তালিকার বাইরে রাখা হয়েছিল।এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে কাউন্সিলর ফরম পূরণ করে বিসিবিতে প্রেরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্যাটাগরি-১ এ ৬টি জেলার ভোটারও ছিল শুণ্য। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে দিনব্যাপী শুনানীতে আপত্তি উন্থাপন করা ১৫টি ক্লাব ফিরে পেয়েছে ভোটাধিকার। নিধারিত সময়ের মধ্যে (২৩ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলারশিপ জমা দেয়নি বলে খসড়ায় নরসিংদী, সিলেট, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ এর ঘর ফাঁকা ছিল। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নরসিংদি ছাড়া উঠেছে বাকি পাঁচ জেলায় নাম!
বৃহস্পতিবার খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ পড়া ১৫টি ক্লাবের পক্ষে ঢাল হয়ে শুনানীতে দিয়েছিলেন তামিম বক্তব্য। সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন-
‘আমি ওনাদের স্পষ্টভাবে একটা জিনিস বলেছি যে দেখেন, এখানে ১৫টা ক্লাবের চেয়ে বড় বিষয় হলো আপনারা যে সিদ্ধান্তটা নিতে যাচ্ছেন না কেনো, আপনার ৩০০ ক্রিকেটারের কথা মাথায় রাখতে হবে। এই ১৫টা ক্লাব বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিত ক্রিকেট খেলে, খেলোয়াড়দের পেমেন্ট করে। ওই টাকা দিয়েই কিন্তু তাদের একটা বছরের ৭০-৮০% আয় হয়। তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারও জড়িত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। আপনাদের যদি কোনো আপত্তি থাকত, তাহলে আপনারা কাউন্সিলর ফর্মটা দিলেন কেন?’
তার এই বক্তব্য যৌক্তিক মনে করেছেন নির্বাচন কমিশন। দিয়েছে খসড়া ভোটার তালিকায় শুন্য থাকা ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম ওঠায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন বিসিবির বর্তমান পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না ওঠা ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমীর এই কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় উঠেছে। বিসিবির সাবেক পরিচালক এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াও এ যাত্রায় পেয়েছেন কাউন্সিলরশিপ। বাদ পড়া ১৫ ক্লাবের একটি নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স থেকে ভোটার হয়েছেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পর রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমীর পক্ষে কাউন্সিলর ফরম জমা দিয়ে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠা ফারুক আহমেদের ভোটাধিকার নিয়ে লিখিতভাবে আপত্তি উন্থাপন করেছিলেন ঢাকার ১২টি ক্লাব। তবে তাদের এই আপত্তি গৃহিত হয়নি। বিলম্বের সুনিদ্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করায় প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আছে ফারুক আহমেদের নাম। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ১৯২ জন ভোটারের নাম চূড়ান্ত করেছে বিসিবি।
এদিকে গঠণতন্ত্র মেনে বিসিবি প্রেরিত কাউন্সিলর ফরম পূরণ করে ক্যাটাগরি জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষর নিয়ে তা বিসিবিতে জমা দিয়েও লাভ হয়নি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলাও বিভাগ থেকে জমা পড়া ৫৩টি কাউন্সিলর ফরমের অধিকাংশ বাতিল করেছে বিসিবি। জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দিয়েছেন চিঠি। সেই চিঠির আলোকে নতুন করে কাউন্সিলর মনোনীত করে তাদের পূরণকৃত ফরম বিসিবিতে প্রেরণ করেছেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ। ক্যাটাগরি-১ এ কাউন্সিলর মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির এমন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রীট পিটিশন করেছেন এই ক্যাটাগরির ৪ সংক্ষুব্ধ কাউন্সিলর। গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রীট ডিভিশনে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যকরিতার উপর ১৫দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারী করে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে বিসিবিকে। হাইকোর্টের এই আদেশ বহাল থাকেনি। ওই আদেশের অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে বিসিবি সভাপতির নির্দেশিত চিঠি অনুযায়ী জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহ থেকে দ্বিতীয় দফায় যাদেরকে কাউন্সিলল মনোনীত করা হয়েছে, ক্যাটাগরি-১ এ তাদের নাম বিসিবির খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিসিবির সভাপতির চিঠিতে বাদ পড়া জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিরা এখন সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের শুনানীর দিকে তাকিয়ে।
বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ অক্টোবর। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র বিতরণ ও রোববার ( (২৮ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনক্ষণ নির্ধারিত করা আছে।
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ফিফটি উদযাপনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। গত সপ্তাহে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে তাঁর ফিফটি উদযাপন নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করে ভারত। আজ আইসিসির শুনানিতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন, আইসিসির শুনানিতে পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা অতীত উদাহরণ টেনে বলেছেন, ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলিও এর আগে একই রকম বন্দুকের মতো অঙ্গভঙ্গি করে উদ্যাপন করেছেন। আরও যোগ করেন, একজন পাঠান হিসেবে এই ধরনের অঙ্গভঙ্গি তাদের অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রকাশ, যা আনন্দের মুহূর্তে-এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানেও সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সাহিবজাদার ও হারিস রউফের ‘উস্কানিমূলক অঙ্গভঙ্গি’ নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করার পর ফারহান শুনানিতে হাজির হন। ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর এই অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি, যা পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেয়।
রউফও সমালোচনার মুখে পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট নেওয়ার পর তিনি ‘৬-০’ আঙুল দেখান এবং ফাইটার জেট ভূপাতিত করার ভঙ্গি করেন। এগুলোকে উস্কানিমূলক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ব্যাখ্যা করা হয়।
দুজন পাকিস্তানি খেলোয়াড়—ফারহান ও হারিস—আইসিসির কাছ থেকে জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। জরিমানার পরিমাণ ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, তবে স্থগিতাদেশ বা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই।
ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ফারহান ও হারিসের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে প্রতিক্রিয়ায় ফারহান জানান, এটি ছিল কেবল তার ব্যক্তিগত উদ্যাপন, অন্যরা কীভাবে নেবে সে ব্যাপারে তিনি বিচলিত নন।
এই ঘটনাগুলো আবারও সামনে এনেছে ক্রীড়াবিদদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে এমন অঙ্গভঙ্গি এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা। গতকাল বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে নিশ্চিত করেছে।