ক্রিকেট

কোহলি : টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন!

 
মাজহারুল ইসলাম রিমন
মাজহারুল ইসলাম রিমন
ঢাকা

১২ মে ২০২৫, ৮:০৪ পিএম

news-details
“সবাই শুধু তোমার রেকর্ড আর মাইলফলকগুলো নিয়েই কথা বলবে - কিন্তু আমি মনে রাখব সেই অশ্রুগুলোর কথা, যা তুমি কখনও কাউকে দেখাওনি; আমি মনে রাখব সেই যুদ্ধগুলো, যা কেউ দেখেনি; আর তোমার সেই নিঃশর্ত ভালোবাসা, যা তুমি এই ফরম্যাটটাকে দিয়েছ। প্রতিটি টেস্ট সিরিজের পর তুমি ফিরে এসেছো আরও একটু বেশি জ্ঞানী হয়ে, একটু বেশি স্থির হয়ে। তোমার এই পুরো যাত্রাটা দেখা ছিল আমার জন্য অনন্য এক সৌভাগ্য। কোনো এক অজানা কারণে আমি সবসময় ভেবেছি তুমি সাদা পোশাকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবে। কিন্তু সবসময়ের মত নিজের হৃদয়ের কথাই শুনেছো।”

 - কথাগুলো বিরাট কোহলিকে নিয়ে বলেছেন তার সহধর্মিণী ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্রিকেটের প্রতি বিরাট কোহলির নিবেদন সবচেয়ে কাছ থেকে যিনি দেখেছেন, তার বলা কথাগুলোই বুঝিয়ে দেয় লাল বলের ক্রিকেটকে কীভাবে ধারণ করতেন ভারতীয় এই ব্যাটিং গ্রেট।


এই করতেন বলার কারণ, গত কয়েকদিনের গুঞ্জনকে সত্যি করে অনেকটা নীরবেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নাকি জোর চেষ্টাই ছিল অত্যন্ত ইংল্যান্ড সফরে তাকে খেলানোর। মাস দুয়েক আগেও ব্যাপারটি নিয়ে যে আলোচনা হতে পারে, সেটাই তো ছিল বিস্ময়কর। কারণ, টেস্টকেই তো সবচেয়ে বেশি লালন করলেন। তবে আনুশকা শর্মা যেমনটা বলেছেন, মনের কথা শুনেছেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।


আরও পড়ুন

নাহিদ-তাসকিনদের নতুন বোলিং কোচ টেইট নাহিদ-তাসকিনদের নতুন বোলিং কোচ টেইট


ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসেও কোহলি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বর্ণিল এক চরিত্র হিসেবে। শচীন টেন্ডুলকার ভারতের ক্রিকেট ‘ঈশ্বর’, যিনি ছিলেন ব্যক্তি হিসেবে ধীরস্থির, শান্ত আর নিখুঁত ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। আর কোহলি তার ঠিক বিপরীত। তিনি বুনো চরিত্রের ভীষণ আগ্রাসী একজন ক্রিকেটার, যিনি ব্যাটসম্যানশিপের চূড়ান্ত স্তরে থাকার পাশাপাশি মাঠে প্রতিপক্ষকে একচুল ছাড় দিতে নারাজ। অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে ভারতকে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে কীভাবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হয়। আর এই বিষয়গুলো অনেক সময়ই আড়াল হয়ে যায় হাজার হাজার রান বা সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির স্তুতিগাথায়।


কোহলির অধিনায়কত্বে ভারত প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে ২০১৮-১৯ মৌসুমে। তার সময়েই ভারত একটা লম্বা সময় ধরে থাকে টেস্টের র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে।


লাল বলের ক্রিকেটে কোহলির অবসরের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শচীন বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের পরের প্রজন্মকে এই ফরম্যাটের প্রতি আগ্রহী করে তোলায় তার উত্তরসূরি রেখেছেন বিশাল এক অবদান। খুব একটা ভুল বলেননি তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে যে নিবেদন, আগ্রাসন দেখাতেন কোহলি, তা পুরো বিশ্ব ক্রিকেটেই ছিল উপভোগ্য এক বিষয়।


আর সেই কাজটা করতে গিয়ে অধিনায়ক হিসেবে বড় একটা পরিবর্তন আনেন ভারতীয় ক্রিকেট সংস্কৃতিতে। ফিটনেস ও পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব এসেছে তার হাত ধরেই। কীভাবে টেস্টের প্রতিটি বলেই সমান একাগ্রতা নিয়ে লড়তে হয়, খাদের কিনারায় থেকেও আশার প্রদীপ জ্বালাতে হয়, সেটা সামনে থেকে দেখিয়েছেন ম্যাচের পর ম্যাচ ধরে।


সবসময়ই স্পিনে শক্তিশালী হওয়ায় ভারতের জন্য দেশের মাটিতে জেতাটা সহজ হলেও বিদেশের মাটিতে টেস্টে বড় সাফল্য পাওয়া ছিল ভীষণ অনিয়মিত ঘটনা। সেটা বুঝতে পেরে কোহলি সবার আগে জোর দেন গতিময়, আগ্রাসী পেসারদের দলে নেওয়ার। সেটার ফলও ভারত পায় হাতেনাতে। ‘সেনা’ দেশগুলোতে তার অধিনায়কত্বেই দলটি পায় নিজেদের ইতিহাসের সেরা সব সাফল্য। এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর সময় কোহলি যখন দেখছেন দলে পেসারদের আধিপত্য এমনকি ঘরের মাটিতেও, তখন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারেন তিনি।


এক নজরে কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ার : 

১২৩টি টেস্ট

৯ হাজার ২৮৩ রান

গড় : ৪৬.৮৫

শতক : ৩০

ডাবল সেঞ্চুরি : ৭ (ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ)

ফিফটি ৩১

সর্বোচ্চ : ২৫৪*

অধিনায়ক হিসেবে ৬৮ ম্যাচে, ৪০টি জয় - ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।


তবে টেস্টের কোহলিকে স্রেফ রান-সেঞ্চুরি দিয়ে মাপতে গেলে ভুলই করবেন আপনি। যে সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জোয়ারে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে পাঁচদিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ, সেই সময়েই কোহলি এই ফরম্যাটকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব। ব্যাটিংয়ে প্রতিটি রানের জন্য তার লড়াই, ফিল্ডিংয়ে প্রতিটি বলেই আগ্রাসন দেখানো, উইকেট পতনে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠা, এই জিনিসগুলোর কারণেই তিনি সবার চেয়ে আলাদা হয়ে থাকবেন। এভাবেই এই যুগে এসেও ভারতের তরুণ প্রজন্ম কোহলিকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়, হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট খেলার, রেকর্ড গড়ার, ইতিহাসের অংশ হওয়ার।


আরও পড়ুন

রোহিতের পর টেস্ট অবসরের পথে কোহলিও? রোহিতের পর টেস্ট অবসরের পথে কোহলিও?


এই প্রসঙ্গে স্টিভেন স্মিথ একবার বলেছিলেন, 

“সে শুধু একজন গ্রেট খেলোয়াড়ই নয়, একজন দুর্দান্ত প্রতিপক্ষও। খেলার মাঠে বিরাট শুধুমাত্র নিজের প্রাণশক্তিই নিয়ে আসে না, পুরো দলের মাঝেও সেটা ছড়িয়ে দেয়।”


খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দর্শকদের কাছেও কোহলি ছিলেন এমন একজন, যিনি টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তৈরি করতে পেরেছিলেন অন্যরকম এক আবেদন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তেমনই একজন যেমনটা বলেছেন, 

“আমরা শুধু তাকে খেলতেই দেখতাম না, আমরা তার করা প্রতিটি রান, প্রতিটি চিৎকার, শূন্যে মারা প্রতিটি ঘুষিকেও অনুভব করতাম। সে কেবল ক্রিকেট খেলতই না, সে এটিকে কেন্দ্র করেই চলত।”


একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! কোহলি সেটা করতে পেরেছেন, কারণ টেস্ট ক্রিকেটকে তিনি সত্যিকারের ভালোবাসাই দিয়ে গেছেন শেষ দিন পর্যন্ত। এই কারণেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের বিদায়ী টেস্ট সিরিজে তিনি সংগ্রাম করে একটা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, ছন্দে না থেকেও ছিলেন সিরিজের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এতোটাই ছিল টেস্ট ক্রিকেটার কোহলির প্রভাব।


হার না মানা মানসিকতার কারণেই কোহলি ২০২০ সালের পর থেকে এই ফরম্যাটে সেরা ছন্দে না থেকেও লড়াই চালিয়ে যেতে পেরেছেন। আসলে ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের সময়টা বাদ দিলে কোহলির টেস্ট গড়টা থাকতে পারত আরও ইর্ষনীয়। এই মাপের একজন ব্যাটার কেন আর কীভাবে এত লম্বা সময় অফ ফর্মে আটকে থাকলেন, সেটা বড় এক রহস্যই থেকে যাবে। তবে ওয়ানডে গ্রেট কোহলিকে এরপরও আপনাকের টেস্টের সেরাদের কাতারের বিবেচনা করতেই হবে। 


সেটা কেন, তা নিয়ে চলতে পারে নানা তর্ক। তবে ২০১৪ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চতুর্থ ইনিংস রান তাড়ায় যে ইনিংসটি খেলেছিলেন, সেটা ক্রিকেটের প্রিয় একজন ছাত্র সহজে ভুলতে পারবেন না। একটা হেরে যাওয়া ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি কীভাবে দাগ কেটে যেতে পারে, সেটা অনুভব করতে হলে আপনাকে সেই ম্যাচটি দেখতে হবে বারবার।


প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর ৩৬৪ রানের টার্গেটে নেমে ড্রয়ের আশা বাদ দিয়ে ব্যাট চালান জয়ের লক্ষ্যে, প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যা ছিল অবিশ্বাস্য এক চেষ্টাই। এই দফায়ও সেঞ্চুরি করে ছুটছিলেন জয়ের লক্ষ্যেই। তবে নাথান লায়নের বলে ক্যাচ দিয়ে তার ফেরার পরই পথ হারিয়ে ভারত ম্যাচও হেরে যায়। আউট হওয়ার পর চোখেমুখে যে অবিশ্বাস আর হতাশা ছিল কোহলির, ঠিক সেই কারণেই তিনি টেস্ট গ্রেট হয়ে উঠেছেন। জয়ের জন্য শেষ বিন্দু নিংড়ে দেওয়া কোহলি তাই লাল বলের ক্রিকেটের একজন বড় বিজ্ঞাপন হয়েই প্রাণবন্ত থাকবেন ইতিহাসের পাতায়।

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

বাংলাদেশকে নিয়ে সেমি-ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫২ পিএম

news-details

শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার জিততে প্রয়োজন ৮ রান। বাকি আছে ২ উইকেট। পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে দিলেন চামিকা হিনাটিগালা। পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল আফগানিস্তান আর বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেমি-ফাইনালে উঠে গেল শ্রীলঙ্কা।


দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে সোমবার আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে 'বি' গ্রুপের দুই সেমি-ফাইনালিস্ট দল। বাংলাদেশের পাশাপাশি সেরা চারে উঠেছে লঙ্কানরাও। 


গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে দুটি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচই হেরে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে আফগানিস্তান ও নেপালের। তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে নির্ধারিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল।


সোমবারের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৩৫ রানে অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। সাতজন ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও একজনের বেশি ফিফটি করতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওসমান সাদাত।


শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন সেথমিকা সেনেবিরত্নে ও দুলনিথ সিগেরা। এছাড়া হিনাটিগালা ও রাসিথ নিমসারা পান ২টি করে উইকেট।


পরে রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন বিরান সামুদিথা। আর শেষ দিকে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন হিনাটিগালা। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।


একই মাঠে বুধবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

bottom-logo

ক্রিকেট

বিগ ব্যাশে আফ্রিদির ভুলে যাওয়ার মতো অভিষেক

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:১৬ পিএম

news-details

ব্রিসবেন হিটকে নতুন উচ্চতায় তোলার বার্তা নিয়ে বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ শুরুর কথা বলেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে তিনি দেখলেন ঠিক এর বিপরীত। অস্ট্রেলিয়ার লিগে ভুলে যাওয়ার মতোই এক অভিষেক হয়েছে পাকিস্তানি পেসারের।


জিলংয়ে সোমবার মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ব্রিসবেনের হয়ে বিগ ব্যাশে পথচলা শুরু করেন আফ্রিদি। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তাকে পুরো ৪ ওভার বোলিং করাতে পারেনি ব্রিসবেন। কারণ একাধিক 'বিমার' (কোমর-উচ্চতার নো বল) করায় তৃতীয় ওভারেই আফ্রিদির বোলিং নিষিদ্ধ করে দেন আম্পায়াররা।


যেটুকু বোলিং করেছেন, তাতেও বেশ খরুচে ছিলেন আফ্রিদি। ২.৪ ওভারে ৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা খেয়ে ৪৩ রান দিয়েছেন তিনি। বিপরীতে পাননি কোনো উইকেট। ১৬টি বৈধ ডেলিভারি করার পথে ২ ওয়াইড ও ৩টি নো বল করেছেন আফ্রিদি।


এদিন দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আক্রমণে আনা হয় আফ্রিদিকে। একটি ওয়াইড বলসহ মোট ৯ রান দেন তিনি। পরে ১৩তম ওভারে আবার আক্রমণে এসে দুই চার ও এক ছক্কা হজম করে ১৯ রান দেন ২৫ বছর বয়সী পেসার। 


১৮তম ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন আফ্রিদি। প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন তিনি। তৃতীয় ডেলিভারি আফ্রিদি করেন কোমর উচ্চতার নো বল। ফ্রি হিটে কোনো বাউন্ডারি দেননি। তবে পরের বল আবার করেন নো বল। 


এবারও ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেনি মেলবোর্নের ব্যাটাররা। পরের ডেলিভারি আবার কোমর উচ্চতার নো বল করলে আম্পায়াররা থামিয়ে দেন আফ্রিদিকে। যে কারণে ওভারের দুই বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় তার স্পেল। 


ওই ওভারে ৪ বলেই ১৫ রান দিয়ে ফেলেন আফ্রিদি। সব মিলিয়ে ১৬টি বৈধ ডেলিভারিতে ৪৩ রান দিয়ে শেষ হয় আফ্রিদির অভিষেক।

bottom-logo

ক্রিকেট

তাসকিন আমার গতির রেকর্ড ভেঙে দিক: শোয়েব আখতার

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৩০ পিএম

news-details

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের পেস বিভাগের নেতা তাসকিন আহমেদ। গতির ঝড় ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলেছেন তিনি। এবার তার কাছে আরও বড় চাওয়া জানিয়ে রাখলেন শোয়েব আখতার।


আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের ১২তম মৌসুম। এবারের টুর্নামেন্টে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শোয়েব। রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার হয় চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠান।


এর আগে সংবাদ সম্মেলনে শোয়েব আখতার বলেন, এবারের বিপিএলে তাসকিনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারিটি দেখতে চান তিনি।


২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিমি. প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ডেলিভারি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন শোয়েব আখতার। সেই রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ণ। এবার বিপিএলে তাসকিনের কাছে সেই রেকর্ড ভাঙার আবদার করে রাখেন পাকিস্তানের গতি তারকা।


“আমি চাই তাসকিন আমার গতির রেকর্ড ভেঙে দিক।”


এবার দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন শোয়েব আখতার। বিপিএল শুরু হলে আবারও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এই দফায় বাংলাদেশে এসে নিজের ভালো লাগার কথা বললেন শোয়েব।


“আমি এই দেশকে অনেক ভালোবাসি। অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। তবে এখানে আসা হচ্ছিল না। বাংলাদেশের ব্যাপারে আমার ভালোবাসা সবাই জানে। আর বাংলাদেশও আমাকে কতটা ভালোবাসে সেটিও আমি জীবনভর দেখেছি। তাই অনেক ধন্যবাদ। এখানে এসে আমি সত্যিই খুশি।”
bottom-logo

ক্রিকেট

জাওয়াদের আরেকটি ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের টানা জয়

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৫২ পিএম

news-details

আফগানিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয়ের পর নেপালের সঙ্গে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে মোহাম্মদ সবুজ, সাদ ইসলামদের চমৎকার বোলিংয়ের পর জাওয়াদ আবরারের ঝড়ো ফিফটিতে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। 


দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে রোববার আগে ব্যাট করতে নামা নেপালকে মাত্র ১৩০ রানে অল আউট করে দেয় বাংলাদেশ। পরে জাওয়াদের ঝড়ে ১৫১ বল বাকি থাকতে জিতে যায় তারা।


যুব এশিয়া কাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের মিশনে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। অন্যথায় সুযোগ থাকবে পরের ম্যাচ খেলে শেষ চার নিশ্চিত করার।


নেপালের বিপক্ষে রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। মাত্র ২৯ রানে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান রিফাত বেগ (৫) ও আজিজুল হাকিম তামিম (১)।


তবে বিপদ আর বাড়তে দেননি জাওয়াদ ও কালাম সিদ্দিকি এলিন। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি। ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন কালাম।


আরও পড়ুন

বদলে যেতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের সূচি বদলে যেতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের সূচি


শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ বলে ৭০ রান করেন আগের ম্যাচে ৯৬ রান করা জাওয়াদ। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।


এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি। 


বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সবুজ। এছাড়া সাদ, শাহরিয়ার আহমেদ ও তামিম নেন ২টি করে উইকেট।


বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। 

bottom-logo

ক্রিকেট

ভারত সফরের আগে বড় দুঃসংবাদ নিউ জিল্যান্ডের

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:১০ পিএম

news-details

ভাগ্যটাই খারাপ ব্লেয়ার টিকনারের। খুব বাজে সময়ে চোটে পড়েছেন নিউ জিল্যান্ডের এই পেসার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত বল করছিলেন। আর হতভাগা চোট এসে জোটে ফিল্ডিংয়ের সময়। 


টিকনারের কাঁধের সেই চোট তাকে উইন্জিদের বিপক্ষে চলমান সিরিজ থেকে তো ছিটকে দিয়েছেই সঙ্গে আগামী জানুয়ারিতে ভারত সফরেও ডানহাতি পেসারকে পাচ্ছে না কিউরা। আগামী ১১ জানুরয়ারি ওয়ানডে দিয়ে শুরু হতে নিউ জিল্যান্ডের ভারত সফর। সফরে পাঁচটি ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তাঁরা।  


ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে সীমানার কাছে একটি ক্যাচ ধরার চেষ্টা করার সময় টিকনার কাঁধে চোট পান। চোটে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে স্টেডিয়ামও ছাড়তে হয়েছে তাকে। টেস্টের পর তাঁর পুর্নবাসনের জন্য অন্তত ছয় থেকে বারো সপ্তাহ লাগবে বলে নিশ্চিত হয়। 


দ্রুত পুর্নবাসনে বিষয়ে আশাবাদী টিকনার। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ২১ জানুয়ারির ফিরতে পারেন তিনি। তবে কোনো ধরনের  ঝুঁকি নিতে চান না এই পেসার, ‘আমি ইতিমধ্যেই জিমে ফিরে গিয়েছি, পুনর্বাসন করছি। মনে হচ্ছে ভালো ক্রিকেট খেলছি, তাই মাঠে ফিরতে চাই, তবে অবশ্যই নিরাপদ থাকতে হবে। আরও অনেক ক্রিকেট আসছে সামনে।’


আরও পড়ুন

হলো না তাইজুলের, আইসিসির মাসসেরা প্রোটিয়া স্পিনার হলো না তাইজুলের, আইসিসির মাসসেরা প্রোটিয়া স্পিনার


দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন টিকনার। নিউজিল্যান্ডের ৯ উইকেটের জয়ে দারুণ অবদান রাখেন। আগের টেস্টে স্বরণীয় ড্র করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় টেস্টে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড।


ওই মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে টিকনার বলেন, ‘আমার কাছে চারটি উইকেট ছিল ছয়টির মধ্যে, আরও কিছু আশা করছিলাম, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সব ঘটে গেল। আমি ঠিক যেভাবে সব সময় ডাইভ করতাম, সেভাবে ডাইভ করলাম, কেবল মাটিতে একটু ভিন্নভাবে পড়লাম। কাঁধ বের হয়ে গেল, তবে বড় কিছু ক্ষতি হয়নি। এটা ভালো অভিজ্ঞতা ছিল না, তবে ভাগ্যক্রমে খুব ক্ষতি হয়নি।’


নিউ জিল্যান্ডের দলটা এখন ছোটখাটো একটি হাসপাতাল বললেও ভুল হবে না। টিকনারের অনুপস্থিতি নিউজিল্যান্ডের ক্রমবর্ধমান চোটের সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। পেশির চোটে আগেই ছিটকে পড়েন ম্যাট হ্যানরি। 


এছাড়া নাথান স্মিথ, উইল ও’রুর্ক ও কাইল জামিসনও মাঠের বাইরে। এ তালিকায় আছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মিচ স্যান্টনারও। চোট জর্জরিত দলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের জন্য ডাকা হয়েছে এজাজ প্যাটেলকে। আর হ্যামস্ট্রিং চোট থেকে সেরে মাউন্ট মাঙ্গুনাই টেস্টে ফিরলেন টম ব্লান্ডেল। আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে নিউ জিল্যান্ড।

bottom-logo