তর্কাতিতভাবে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের সঙ্গে কে না খেলবে চাইবে? লিওনেল মেসিকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়া তো অনেক ফুটবলারের জন্য স্বপ্নের মতোই। এই যেমন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর কথাই ধরুন। মেসির সঙ্গে মাঠের অভিজ্ঞতার অংশীদার হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার হয়ে দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মাস্তানতুয়োনো। ভেনেুজুয়েলা ও পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ইএসপিএনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন মাস্তানতুয়োনো। আর্জেন্টিনা জাতীয় দল, বিশ্বকাপ, রিয়াল মাদ্রিদ ও আলবিসেলেস্তাদের মধ্যমণি মেসিকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে অভিষেক হওয়া মাস্তানতুয়োনো এখন জাতীয় দলে নিয়মিত হয়ে উঠছেন। অনেক বছরই আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা মেসি। আর আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর সর্তীর্থ হতে পারা সংক্ষিপ্ত ফুটবল ক্যারিয়ারের সেরা অভিজ্ঞতা বলছেন রিয়ালের ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার, ‘মেসির যুগে ফুটবল দেখা প্রত্যেকের জন্যই এক ধরণের সৌভাগ্য ছিল, আর আজ তার সতীর্থ হওয়া আমার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা।’
আরও পড়ুন
নাইজেরিয়াকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা |
![]() |
মাঠে মেসির বিচক্ষণতা আর দূরদর্শিতা কার না জানা। মাঠে ইন্টার মায়ামির মহাতারকাকে সেরা একজন কোচের মতো দেখেন মাস্তানতুয়োনো, ‘লিও মেসি হলেন মাঠে থাকা সেরা কোচের মতো। তিনি এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি মাঠে ঠিক কী করতে চান তা জানেন। আমি চেষ্টা করি তাকে এবং আমার সতীর্থদের তা আরও ভালোভাবে করতে সাহায্য করার ।’
জাদুকরী পারফরম্যান্স ছাড়াও মেসির বিনয়ী আচারণ সবসময়ই মুগ্ধ করে মাস্তানতুয়োনোকে, ‘আমি তাকে আমার জীবনজুড়েই শ্রদ্ধা এসেছি। আর এখনো সতীর্থ ও একজন মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করি। বিশেষত সবকিছু জেতার পরও তিনি খুবই নম্র আর বিনয়ী। ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হলেও তার নম্রতা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, সেটা কখনো পুনরাবৃত্তি হবে না।’
মিডফিল্ডার হলেও মাঠে বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা যায় মাস্তানতুয়োনোকে। রিয়ালে জাবি আলোনসো তাকে অধিকাংশ সময়ই আক্রমণভাগের ডান প্রান্তে খেলান। আর্জেন্টিনাতেও কোচের চাওয়া অনুযায়ী যেকোনো জায়গায় খেলতে রাজী তিনি, ‘কোচ যেখানে খেলতে চাইবেন, আমি সেই পজিশনেই খেলব এবং যেখানে খেললে দলের সবচেয়ে উপকার হবে সেখানেই খেলব। যদি আমাকে সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেলতে হয়, আমি সেন্টার ব্যাক হিসেবেই খেলব, যতক্ষণ আর্জেন্টিনার জন্য ভালো হয়, আমার কোনো সমস্যা নেই।’
No posts available.
১০ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩১ এম
৪৮ দলের বিশ্বকাপে ২০তম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করল আলজেরিয়া। সোমালিয়ার বিপক্ষে গতকাল ৩-০ গোলের জয়ে আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপের টিকিট কাটলো রিয়াদ মাহরেজের দল।
দীর্ঘ এক যুগের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আলজেরিয়া। ২০১৪ আসরের পর প্রথমবার বিশ্বসেরার মঞ্চে ফিরল তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া চতুর্থ আফ্রিকান দেশ আলজেরিয়া।
মরক্কো, তিউনিসিয়া ও মোহামেদ সালাহের মিশরের পর এবার আফ্রিকার প্রতিনিধি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলবে ভ্লাদিমির পেটকোভিচের দল। আফ্রিকা থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে নয়টি দল।
আরও পড়ুন
শমিত বললেন, ‘এটাই ফুটবল’ |
![]() |
আলজেরিয়ার এটি পঞ্চম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। এখন পর্যন্ত একবারই গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছে তারা। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় দেশটি।
আলজেরিয়ার মিলুদ হাদেফি অলিম্পিক কমপ্লেক্সে দেশটির সমর্থকরা উপভোগ করেছেন দলের তারকা উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক এই ফুটবলার ম্যাচে একটি গোলের সঙ্গে দু’টি অ্যাসিস্টও করেন।
সোমালিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেন মোহামেদ আমৌরা। ৬ মিনিটে ও ৫৮ মিনিটে তাঁর দু’টি গোল এসেছে ৩৪ বছর বয়সী মাহরেজের সহায়তায়। মাঝে ১৯ মিনিটে নিজেই এক দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান তিনি।
গ্রুপ ‘জি’ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করল আলজেরিয়া। ৯ ম্যাচে ৭ জয়, এক ড্র ও এক হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মাহরেজের দল। চার পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে উগান্ডা। আর মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে সোমালিয়া। বাছাইপর্বের শেষ রাউন্ডে আলজেরিয়ার ম্যাচ উগান্ডার বিপক্ষে।
এমন হার বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের হৃদয়ে ভালোভাবেই দাগ কেটে রাখল। প্রথমে জয়ের স্বপ্ন দেখা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা শেষ দিকে অন্তত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ হাসি হাসে অতিথি দলই। আর একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গোল হজমের তীব্র হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকং, চায়নার বিপক্ষে এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ের উত্থান-পতনের ম্যাচে হাভিয়ার কাবরেরার বাংলাদেশ হেরেছে ৩-৪ গোলে। শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর আবার পিছিয়ে পড়ে শেষ দিকে আবার সমতায় ফেরে জামাল ভূঁইয়া-হামজা চৌধররীরা। নাটকীয়তার ষোলোকলা পূর্ণ করে নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ সেকেন্ডে স্বাগতিকদের হতাশার সমুদ্রে ভাসিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতে সফরকারীরা।
এমন হারের পর মাঠে বাংলাদেশের ফুটবলারদের চেহারের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। হামজারা যেন নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের সব সমর্থকদের মতো হামজাও বললেন, হংকং, চায়নার বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের।
লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার বলেন, ‘এটা এমন একটা ম্যাচ ছিল, আসলে বুঝতে পারছি না অন্তত এক পয়েন্টও কিভাবে পেলাম না।’
অবশ্য হারলেও দলের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন হামজা, ‘ভাঙা রেকর্ডার মনে হলেও আমরা কিন্তু ভালোই উন্নতি করছি, আমি মনে করি আমরা অনেক ভালোই খেলেছি।’
এই হারে এফএফসি এশিয়ন কাপ খেলার স্বপ্ন কার্যত শেষ বাংলাদেশের। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে কাবরেরার দল। আর তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে হংকং, চায়না।
অবশ্য হতাশাজনক এই হার ভুলে দ্রুতই বাংলাদেশকে আবার মাঠে নামতে হবে। টিমটিম হয়ে জ্বলতে থাকা এশিয়া কাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাছাইপর্বের বাকি সব ম্যাচে জয়ের সঙ্গে গ্রুপে অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হতে পারে লাল-সবুজের বাহিনীদের।
আগামী মঙ্গলবার হংকং, চায়নার মাঠে এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। হারের যন্ত্রণা একপাশে রেখে সেই ম্যাচ সহ বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ে চোখ রাখছেন হামজা, ‘ পাঁচদিন (চারদিন) পরই আমাদের আরেকটি ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের এখন পরের তিনটা ম্যাচ জিততে হবে। এটা (হার) আসলে ফুটবলেরই অংশ।’
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হামজা বলেন, ‘সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমাদের কঠোর পরিশ্রম তো দেখছেন। কোচ-ফুটবলারদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কখনো কখনো ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’
এভাবেও হারতে হয়! বাংলাদেশ ফুটবল দল দেখিয়ে দিল কিভাবে নিশ্চিত ড্রয়ের ম্যাচও হাতছাড়া হতে পারে। ভুলে ভরা এক দিনে ধুলিসাৎ হলো এশিয়ান কাপের স্বপ্ন। জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার হংকং, চায়নার বিপক্ষে ৩-৪ ব্যবধানে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
এদিন জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পান শমিত সোম। ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে সমতার গোল এনে দেন তিনি। মোরছালিনের কর্নারে ডিফেন্ডারের হেডে বল ভেসে যায় দূরের পোস্টে, সেখান থেকেই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন শমিত। সমতার উল্লাসে তখন মুখর পুরো গ্যালারি।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। কিক-অফের পরপরই আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় হংকং। রেফারির শেষ বাঁশির মুহূর্তেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের পর টি স্পোর্টসকে শমিত সোম বলেন,
“হতাশ কিনা জানি না, তবে গোলটা করতে পেরে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। বাংলাদেশের হয়ে গোল করতে পারা অনেক সম্মানের। আমি খুশি হতাম যদি আমার গোল না হতো, কিন্তু আমরা জিততাম। তবে দেশের জন্য গোল করতে পেরে গর্বিত। এই অনুভূতি আমি জীবনে কোনোদিন ভুলব না।”
শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়েও জয় হাতছাড়া—বাংলাদেশ কোথায় তাল হারাল? শমিতের ব্যাখ্যা,
“পজিটিভ দিক হলো আগে কখনো চিন্তা করা যেত না ১-৩ পিছিয়ে থেকেও আমরা ফিরে আসব। আমাদের দলে অনেক ক্যারেক্টার আছে, অনেক প্যাশন আছে। আমরা হতাশ হব না। এটা একটা ফাউন্ডেশন—এখান থেকে আমরা শিখব।”
ডিফেন্সে দুর্বলতা নিয়েও খোলাখুলি মত দেন শমিত,
“সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও একইভাবে গোল খেয়েছিলাম। এসব থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ইজি গোল হজম করলে ম্যাচ জেতা যায় না। আমাদের আরও শৃঙ্খল হতে হবে, বিশেষ করে ব্যাকলাইনে। সবার দায়িত্ব আছে। এটা ফুটবল—আপস অ্যান্ড ডাউনস থাকবেই। গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা শিখে এগোব।”
শেষে বাংলাদেশি সমর্থকদের উদ্দেশে কানাডা প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই তারকা বলেন,
“আমরা সবাই হতাশ, কারণ ফ্যানদের জেতার আনন্দ দিতে পারিনি। এবার পারিনি, তবে সামনেরবার আমরা জিতব ইনশাআল্লাহ।”
বেদনার রাতটা দীর্ঘায়িত হতে দেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়াম যখন হতাশায় নিমজ্জিত; হংকং, চায়নার বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হামজা চৌধুরী ও জামাল ভুঁইয়ারা, তখনই আরব আমিরাতে জয়োল্লাস করেছে বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৭ দল। অর্পিতা বিশ্বাসরা দেশকে এনে দিয়েছেন শোক ভোলানো উপলক্ষ্য।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে কোচ সাইফুল বারী টিটুর দল। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে হয় অন্য গোল।
বাংলাদেশের হয়ে কে গোল করেছেন সেটি জানা যায়নি। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় সাংবাদিকদের নিউজ করার একমাত্র অবলম্বন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর বাফুফের বিজ্ঞপ্তিতে ৩-০ গোলে জয়ের কথা থাকলেও কত মিনিটে বা কে গোল করেছেন তা উল্লেখ নেই।
একদিন আগে সিরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন আলপি আক্তার। দলের সঙ্গে থাকা মিডিয়া অফিসার সে তথ্য জানান ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর। ওই ম্যাচের পর মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েও জানা যায়নি গোলস্কোরারের নাম।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৭ দল আগামীকাল পৌঁছাবে জর্ডান। এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে লাল সবুজের কিশোরীরা। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করেছে আলপি, সুরভী আকন্দ প্রীতিরা। এবার মূল প্রতিযোগিতায় দারুণ কিছুর প্রত্যাশায় দেশের ফুটবলপ্রেমিরা।
আবারও শেষ মুহূর্তের গোলে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। শেষ হুইসেলের কয়েক সেকেন্ড আগে মূল্যবান এক পয়েন্ট খোয়ায় হাভিয়ের কাবরেরার দল। এশিয়ান কাপে লাল সবুজ দলের খেলার স্বপ্ন এখন মৃতুপ্রায়। ‘সি’ গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে জামাল ভূঁইয়ার দল। শীর্ষস্থান আরও মজবুত হংকং, চায়নার।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার হংকং, চায়নার বিপক্ষে ৩-৪ গোলে হারে বাংলাদেশ। অথচ ম্যাচের লাগাম ছিল স্বাগকিতদেরই হাতে। ম্যাচঘড়ির ১৩ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন হামজা চৌধুরী। এরপর একটা সময় ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে দল।
জিমিয়ে পড়া দলের ছন্দ ফেরান বদলি হিসেবে নামা অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, শমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলাম। পরপর দুই গোল শোধ ৩-৩ সমতায় আনেন শেখ মোরছালিন ও শমিত সোম। কিন্তু রেফারির শেষ বাঁশির কয়েক সেকেন্ড আগে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে বাংলাদেশের।
এ ম্যাচে শুরুর একাদশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও আগের মতো আজও সমালোচনা গায়ে মাখেননি কোচ কাবরেরা। উল্টো জামাল ও শমিতদের নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন, তার যৌক্তিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শমিতকে নিয়ে কাবরেরা বলেন,
'সে দুই মাস ধরে ইনজুরিতে ছিল। দেশেও আসছে শেষ মুহূর্তে।'
শমিত পুরো ম্যাচ খেলার যোগ্য ছিলেন না বলে ইঙ্গিত দেন কোচ। যদিও দেশে আসার আগের দিন কানাডা প্রিমিয়ার লিগে নিজ দলের শুরুর একাদশে ছিলেন শমিত।
মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের শুরুর একাদশে জায়ান আহমেদের না থাকাও ছিল আশ্চর্যের। তার মধ্যে ডিফেন্ডারদের ছিল চোখে পড়ার মতো ভুল। সব মিলিয়ে কোনো কিছুই পক্ষে ছিল না কাবরেরার। ম্যাচ হারার দায় নিজের কাঁধে নেবেন কি না জানতে চাইলে বলেন,
'দায় আমার যেমন আছে দলেরও আছে।'
হংকং, চায়নার বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ খেলতে কাল দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ।