
নিজেদের কাজটা আগেই সেরে ফেলেছিল সিলেট। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশালকে হারিয়েই শিরোপার সুবাস পাচ্ছিল দলটি। খানিক বাদে অন্য ম্যাচের ফলাফল পক্ষে আসাক এক ম্যাচ হাতে রেখেই জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট।
জয়ের মঞ্চটা আগেরদিনই তৈরি হয়ে গিয়েছিল সিলেটের। বরিশালকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪২ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর তাদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১০৫ রানের। মঙ্গলবার সেই রান তাড়ায় নেমে শিরোপা রোমাঞ্চের কারণেই কিনা, এই লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে এক পর্যায়ে চাপেও পড়ে গিয়েছিল দলটি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধরা দিয়েছে ৫ উইকেটের জয়, যা পরে নিশ্চিত করেছে শিরোপাও।
আরও পড়ুন
| সিলেট স্টেডিয়ামে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন |
|
নিজেদের ম্যাচ জেতার পরও শিরোপা উৎসবের জন্য সিলেটকে কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়েছে রংপুর ও ঢাকা মহানগরের ম্যাচের জন্য। ওই ম্যাচে রংপুরের জয়ই কেবল আটকে দিতে পারত সিলেটের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তবে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে রংপুরের জয়ের আশা মিলিয়ে যায় ঢাকা ১৭৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পরই। ওই ম্যাচের ড্র হওয়াটাই নিশ্চিত করে দেয় সিলেটের শিরোপা।
ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন, এমন আবহের চাপে মাত্র সাত রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। বিপদ বাড়িয়ে দলীয় ২৭ রানে বিদায় নেন ওপেনার পিনাক ঘোষও। তবে টার্গেট ছোট থাকায় বিপদ বাড়েনি আর। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদের ৭৭ রানের জুটি নিশ্চিত করে ফেলে জয়। শেষের দিকে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও তাই ম্যাচে এর প্রভাব আর পড়েনি। নাসুম ৪৪ রান করে আউট হলেও অমিত অপরাজিত থেকে যান ৩৮ রানে।
আরও পড়ুন
| সিলেট টেস্টে খালেদের 'মানকাড' আউট করার চেষ্টা |
|
ছয় রাউন্ডে তৃতীয় তিন জয়ে ৩৭ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট।
No posts available.

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলগত ফলে হোয়াইটওয়াশ হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এর পুরস্কার তিনি পেলেন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটারদের তালিকায় ২০ ধাপ এগোলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার।
ছেলেদের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ যথারীতি বুধবার প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। তামিম ছাড়াও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে শেখ মেহেদি হাসান, তানজিম হাসান সাকিবদের। বাকিদের হয়েছে অবনতি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ বলে ৬১ ও শেষটিতে ৬২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। এর সৌজন্যে ৬৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৫ ছুঁইছুঁই ওপেনার।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা রেটিং ও র্যাঙ্কিং।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের আরও কারও অবশ্য সুখবর নেই। ৯ ধাপ পিছিয়ে ২৯ নম্বরে নেমে গেছেন সাইফ হাসান। ৪৪ নম্বরে অনড় লিটন কুমার দাস। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ৪ ধাপ, জাকের আলি অনিক ২ ধাপ পিছিয়েছেন।
ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। সেরা দশে নেই কোনো পরিবর্তন।
বোলারদের তালিকায় ৬ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ১৭ নম্বরে উঠেছেন শেখ মেহেদি হাসান। ৩ ধাপ এগিয়ে ৩৪ নম্বরে উঠেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ১ ধাপ পিছিয়ে ১২ নম্বরে, রিশাদ হোসেন ২ ধাপ পিছিয়ে ২৬ নম্বরে, নাসুম আহমেদ ১ ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে, তাসকিন আহমেদ ৫ ধাপ পিছিয়ে ৪৫ নম্বরে ও শরিফুল ইসলাম ৫ ধাপ পিছিয়ে ৫০ নম্বরে নেমে গেছেন।
বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে যথারীতি বরুণ চক্রর্বতী।

আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আবু ধাবি টি-টেন লিগের নবম আসর। বল মাঠে গড়ানোর শেষ দিকে আগে স্কোয়াড গোছানোয় ব্যস্ত দলগুলো।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে দিল্লি বুলস। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাদের অফিসিয়াল সামাজিক মাধ্যমে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ‘তরুণ পেসার উবায়েদ শাহ এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদ এবার দলের অংশ হচ্ছেন।’
উবায়েদ শাহ এবারই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ১৯ বছর বয়সী এই পেসার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) মুলতান সুলতানসের হয়ে ১১ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন। দারুণ প্রতিভা আর পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখানোর পুরষ্কার পেলেন উবায়েদ শাহ।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬৬টি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ১২৯ স্ট্রাইক রেটে চার ফিফটিতে = ৯৯৮ রান করেছেন ৩৫ বছর বয়সী ডান হাতি ব্যাটার। এর আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ইফতিখারের।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত খেলোয়াড় ড্রাফটে দিল্লি বুলস দলে নিয়েছিল পেসার পাকিস্তানের সালমান ইর্শাদ ও মীর হামজাকে। একই ড্রাফটে ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স দলে নেয় আলি রেজা ও রহস্যময় স্পিনার উসমান তারিককে। আলি রেজা গত আসরে পেশাওয়ার জালমির হয়ে ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন। আর বাঁহাতি পেসার মীর হামজা ছয় মৌসুমে করাচি কিংস ও পেশাওয়ার জালমির হয়ে ২৯ ম্যাচে ৩৩ উইকেট শিকার করেছেন।
পাকিস্তানের আরেক বাঁহাতি পেসার আকিফ জাভেদও প্রস্তুত হচ্ছেন তাঁর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য। স্পিনার উসমান তারিকও এবার তাঁর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ–এ ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ১০ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন উসমান। এছাড়া, আজমান টাইটান্সের হয়ে খেলবেন পাকিস্তানের জামান খান, আসিফ আলি ও আকিফ জাভেদ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছিলেন না হারিস রউফ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তাকে পাবে না পাকিস্তান। কারণ আইসিসির দেওয়া দুই ম্যাচের শাস্তি ভোগ করছেন পাকিস্তানের এই গতিতারকা।
গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে গ্যালারির দিকে লক্ষ্য করে ৬-০ ভঙ্গি করেন হারিস। অর্থাৎ দুই দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে অপারেশন সিঁদুর চলাকালে ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান, সেটিই যেন বোঝান তিনি।
আইসিসির শুনানিতে অবশ্য এটি অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানি পেসার। পরে ফাইনাল ম্যাচেও আগ্রাসী উদযাপন করেন তিনি। সব কিছু বিবেচনায় এনে সব মিলিয়ে মোট ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পান ৩২ ছুঁইছুঁই পেসার। তাই তাকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
এশিয়া কাপ চলাকালেই অবশ্য ছড়িয়ে পড়েছিল এই শাস্তির গুঞ্জন। প্রায় দেড় মাস পর মঙ্গলবার রাতে এই শাস্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি।
হারিস রউফ ছাড়াও এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের ভিন্ন তিন ম্যাচ ঘিরে শাস্তি পেয়েছেন আরও তিন ক্রিকেটার। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
সুপার ফোরের ম্যাচে নিয়ম বহির্ভূত উদযাপন করায় আনুষ্ঠানিক সতর্কতার সঙ্গে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে। ভারতের তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহও আগ্রাসী উদযাপনের জন্য পেয়েছেন ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট।

এক বছর পেরোতেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের দায়িত্ব উপভোগ করছেন না সালাহউদ্দীন। এরই মধ্যে বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে সালাহউদ্দীন বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ক্রিকবাজকে নিশ্চিত করেছেন চাকরি ছাড়ার খবর, “হ্যাঁ! আমি পদত্যাগ করছি।”
গত বছরের নভেম্বরে দেশের বরেণ্য কোচ সালাহউদ্দীন জাতীয় দলে যুক্ত করে বিসিবি। সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু এর অনেক আগেই শেষ হতে চলেছে সেটি।
ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সালাহউদ্দীন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসবে আয়ারল্যান্ড। সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরু ১১ নভেম্বর। এরপর ঢাকায় ১৯ তারিখ থেকে হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চট্টগ্রাম চলে যাবে দুই দল। ম্যাচগুলো হবে ২৭ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর।

ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলে নিলেন মার্নাস লাবুশেন। সবশেষ সাত ম্যাচে পাঁচ সেঞ্চুরি করে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে ডাক পেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ। ওই ম্যাচের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। যেখানে জায়গা হয়নি স্যাম কন্সটাসের। প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন জ্যাক ওয়েদারাল্ড।
বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন লাবুশেন। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে রানের বন্যা বইয়ে দেন। প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট মিলিয়ে সবশেষ সাত ম্যাচের ৮ ইনিংসে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার৷
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ক্যামেরন গ্রিন ও বাউ ওয়েবস্টারকে দলে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ ৪ টেস্টে দুজনই খেলেছেন একাদশে। অ্যাশেজেও অস্ট্রেলিয়া সেই পথে হাঁটবে কিনা, সেটি দেখার।
নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের চোটে প্রথম টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ। পেস বিভাগে জশ হেজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে আছেন শন অ্যাবট ও ব্রেন্ডন ডগেট।
প্রথম টেস্টের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড
স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), ব্রেন্ডন ডগেট, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লায়ন, মিচেল স্টার্ক, জ্যাক ওয়েদারাল্ড, বাউ ওয়েবস্টার।