ওপেনাররা আরও একবার পারলেন না রংপুর রাইডার্সকে ভালো সূচনা এনে দিতে। অল্পে বিদায় নিলেন দুজনই। খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ রান করলেন বটে, তবে রান তোলার গতি তাতে কমে গেল কিছুটা। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান খেললেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস, যা তার দলকে এনে দিল লড়াকু পুঁজি।
মিরপুরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা রংপুর ২০ ওভারে করেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।
তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে রংপুর রাইডার্সকে দারুণ সূচনা এনে দেন স্টিভেন টেলর। আল-আমিন হোসেনের করা দ্বিতীয় ওভারটি ছিল ব্যয়বহুল। দুটি বাউন্ডারি আসে টেলরের ব্যাট থেকে। তবে ওপেনিং জুটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। অ্যালেক্স হেলসকে ৬ রানে সাজঘরে ফেরান তানজিম।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতির ঝড় বিপর্যস্ত সিলেট, রংপুরের দুইয়ে দুই |
![]() |
আল-আমিন এরপর জোড়া আঘাতে চাপে ফেলে দেন রংপুরকে। সাইফ হাসানের পর তার শিকার হন টেলরও। ৫ ওভার দলতির রান ৩ উইকেটে মাত্র ২৮। আগের ম্যাচে দুটি দারুণ ইনিংস খেলা ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ বিপদের সময়ে দলের হাল ধরেন।
সুযোগ বুঝে কিছু বড় শট মারেন দুজনই। তবে তবে রানের গতিও কমে যায় বেশ কিছুটা। সিলেতের বোলাররাও করেন আঁটসাঁট বোলিং। চাপ সরাতে বড় শট খেলতে গিয়ে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে খুশদিল আউট হয়ে যান ২১ রানে।
একপ্রান্তে সেট ইফতেখার ১০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করায় রানের চাকা সচল করার জন্য দরকার ছিল আগ্রাসী ব্যাটিং। ক্রিজে নেমেই সেই কাজটা করে দেন সোহান। রংপুর অধিনায়ক চড়াও হন রিস টপলির ওপর। ইংলিশ পেসারের এক ওভারে দুটি চারের পাশাপাশি মারেন একটি ছক্কাও।
তানজিমের করা ১৮তম ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা আসে সোহানের ব্যাট থেকে। তার ক্যামিও ইনিংসের শেষটা হয় টপলির বলে। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বল চলে যায় লং-অনে থাকা আরিফুল হকের হাতে, যিনি ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। মাত্র ২৪ বলে ৪১ রান করেন সোহান।
আরও পড়ুন
বিফলে গেল শামিম ঝড়, উড়ন্ত সূচনা খুলনার |
![]() |
এরপর শেষের দিকে নামা শেখ মাহেদি হাসান খেলেন ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস, যা রংপুরকে ১৫০ পার করতে সাহায্য করে। ইফতেখার অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৪৭ রানে। তানজিম ২ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রানে।
১৯ জুলাই ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
১৯ জুলাই ২০২৫, ৫:০৮ পিএম
১৯ জুলাই ২০২৫, ৯:৩৮ এম
আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান সবে ২ ধাপ। পাকিস্তান নিচে নামতে নামতে এখন ৮ নম্বরে, বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ১০। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের (২-১) উৎসব করে বাংলাদেশ দল এখন অনেকটাই চাঙ্গা। আইসিসির এফটিপির বাইরে পাকিস্তানের সঙ্গে বোনাস একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে পেরে বিসিবিও মহাখুশি। গত মে মাসে লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ০-৩ এ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের বদলার মঞ্চ এখন প্রস্তুত মিরপুরে।
হেড টু হেড রেকর্ড অবশ্য অনেকখানি এগিয়ে রাখবে পাকিস্তানকে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে ২২টি মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩টি জয়ের বিপরীতে হারের সংখ্যা ১৯টি! ৬টি টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে একটি শুধু জিততে পেরেছে বাংলাদেশ-তাও আবার ১০ বছর আগে। ভেন্যুটি যখন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, তখনও কিন্তু অতীতে হোম অ্যাডভানটেজ নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। এই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৫টিতে হেরেছে বাংলাদেশ।
তবে শ্রীলঙ্কা সফরে ইতিহাস রচনায় এখন সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে অফুরন্ত প্রাণশক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কায় ইতিহাস রচনা করা দলটিকে অপরিবর্তিত রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। সিরিজ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাহসী উচ্চারণই করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস-‘যে কোনো দলকে হারানোর মতো মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা সেই চেষ্টাই করব। তবে আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তার মানে এই না যে, হোম কন্ডিশন বলে আমরাই ভালো ক্রিকেট খেলব। আগেও বলেছি, পাকিস্তান ভালো দল। তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিপিএল খেলে থাকে। তারাও এই কন্ডিশনটা সম্পর্কে ভাল জানে। আমরা চেষ্টা করব, ভালো ক্রিকেটটা খেলার। পাকিস্তান সফরে দুর্ভাগ্যবশত জিততে পারিনি। কিছু ভুল করেছি, তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর ভালোভাবে কামব্যাক করেছি। অবশ্যই আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। যেহেতু শ্রীলঙ্কায় একটা ভালো সিরিজ গেছে পুরো দলের, চেষ্টা করব সেই আত্মবিশ্বাস যেন ধরে রাখতে পারি মিরপুরেও। ’
পাকিস্তানের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে বড় দুই তারকা বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৯.৮৩ গড়ে বাবর আজমের রান ৪২২৩, সেখানে ১০৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ানের রান ৪৭.৪১ গড়ে ৩৪১৪। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই জুটির ৭৩ ম্যাচে ৩৩০০ রান সর্বোচ্চ! অথচ, পাকিস্তানের এই দুই সেনসেশন গত বছর ডিসেম্বরের পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্য!
বাবর আজমের হাত থেকে ক্যাপ্টেনসির ব্যাটনটা চলে গেছে আগা সালমানের কাছে। তার নেতৃত্বে গত মে মাসে হোম সিরিজে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে ৩-০তে হোয়াইট ওয়াশ করেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি উন্মোচন।
বাবর-রিজওয়ানদের বাদ দিয়ে, ইনজুরিতে পড়া অলরাউন্ডার সাদাব খানকে বিশ্রামে রেখে- এবার বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান দল, এক অর্থে ব্যাক আপ বয়েজ টিম। যে দলে দুই পেসার আহমেদ দানিয়েল এবং সালমান মীর্জার নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা।
তারপরও তারুণ্য নির্ভর এই দলটিকে নিয়েই বাংলাদেশ সফরে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা-‘ আমরা এখন যেভাবে খেলতে চাই, আমাদের ওই ধরনের খেলোয়াড় আছে। তাঁরা খুবই ভালো আর রোমাঞ্চকর। দুই নতুন খেলোয়াড় দুজনেই ফাস্ট বোলার, এবং আমি তাদের দেখে খুবই রোমাঞ্চিত।’
পাকিস্তান স্কোয়াডে ১৬ ক্রিকেটারের মধ্যে ৯ জনের আছে বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা। ফখর জামান, মোহাম্মদ হারিস, সাইম আইয়ুব, ফাহিম আশরাফ, হোসেন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, আব্বাস আফ্রিদি ও আবরার আহমেদের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান পাকিস্তান অধিনায়ক। পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডরমট এর আগে ছিলেন বাংলাদেশ দলে, একই দায়িত্বে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকা ম্যাকডরমটকে পেয়েও বাংলাদেশ দলের বর্তমান ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন বলে মনে করছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে অলরাউন্ডারদের ছড়াছড়ি। এখানেও মনস্তাত্বিকভাবে এগিয়ে থাকতে চায় পাকিস্তান। জুলাই মাসে বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এর আগে হয়েছে দুবার-২০১৫ এবং ২০২১ সালে। আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছেন – তাই সতর্ক পাকিস্তান অধিনায়ক-‘আমরা আমাদের খেলার ধরন বদলেছি। কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখব কন্ডিশন কেমন আর আমরা কীভাবে খেলতে চাই। যদি কন্ডিশন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার মতো হয়, তাহলে আমরা খেলব। যদি কন্ডিশন তেমন না হয়, তাহলে আমরা ওই অনুযায়ীই খেলব।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের আর একটি টি-টোয়েন্টি ট্রফি, না ১০ বছর পর বাংলাদেশের ট্রফি পুনরুদ্ধার। তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। তবে মিরপুরে ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই ফ্লাড লাইটের আলোয় নির্ধারিত ম্যাচ তিনটির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস কিন্তু বলছে তা।
সদ্য শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ দলকে মোটেও হালকাভাবে নিতে চান না পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। কারণ হিসেবে তিনি এই ফরম্যাটটিকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও লক্ষ্য তিনটি ম্যাচই জেতা, কিন্তু সিরিজ জিততে পারলেও খুশি মনে বাংলাদেশ ছাড়তে চান নতুন পাকিস্তান অধিনায়ক!
আরও পড়ুন
বদলা’র হুংকার লিটনের, আগ্রাসী ক্রিকেটে মনোযোগ পাকিস্তানের |
![]() |
দু’দেশের ২২ মোকাবেলায় পাকিস্তানের জয় ১৯টি, বাংলাদেশের মাত্র তিনটি। এরমাঝে দু’টিই আবার এই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, একটি এশিয়ান গেমসে চীনের হাংজুতে। গত ৯/১০ বছরে যে ১৩টি ম্যাচ খেলেছে দু’দেশ সেখানে ১২টিই জিতেছে পাকিস্তান, আর তাইতো সফররতরা নিরঙ্কুশ ফেবারিট কিনা সেই প্রশ্নে একটু হতচকিতই ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক-
“আমরা এখন বিদেশ সফরে রয়েছি, বাংলাদেশের জন্য হোম কন্ডিশন। আমরাজানি যেকোন কন্ডিশনেই বাংলাদেশ ভাল দল, বিশেষ করে ঘরের মাঠে তো আরও ভাল দল। সুতরাং বড়সড় চ্যালেঞ্জ আছে আমাদের সামনে! আমরা আসলেই খুব উদগ্রীব ম্যাচ খেলার জন্য, চ্যালেঞ্জটা জেতার চেষ্টা করবো। গত ৯/১০ বছরের পরিসংখ্যান যতই পাকিস্তানের পক্ষে থাক, এটা ভিন্ন একটা সিরিজ। প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি বল ধরে খেলবো”
পাকিস্তান অধিনায়ক একইসাথে চিন্তিত ও রোমাঞ্চিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিপ্লব নিয়ে। তাঁর ভাষায় খুব বেশি পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও প্রযুক্তির ছোঁয়া আবিষ্ট করে ফেলছে এই ফরম্যাটকে। পরিস্থিতির সাথে মানিয়েও নিচ্ছেন তিনি ও তাঁর দল-
“আমার মনে হচ্ছে প্রতি ৬ মাসে বদলে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এর সাথে মানিয়ে ভাল খেলতে হবে। আমার দলে নতুন দু’জন ফাস্ট বোলার আছে, আমি ওদের নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী”
পাকিস্তানের এই দলটিতে বেশ কজন ক্রিকেটার আছেন যাদের সবশেষ বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, মিরপুরের কন্ডিশন সম্পর্কে ভাল ধারনাও আছে। সালমান মনে করছেন এটা তাঁর দলকে বিশাল এক সুবিধা দেবে-
“আমাদের বেশ কজন খেলোয়াড় এখানে বিপিএল খেলে গেছে। তাঁর তাদের অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যে শেয়ার করেছে বাকিদের সাথে, সেই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনাও সাজিয়েছি”
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দেশ, যেখানে পাকিস্তানের জয় ৫টি ম্যাচে, বাংলাদেশের ২টি।
গ্লোবাল সুপার লিগ ফাইনালের মঞ্চ। প্রস্তুত স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। প্রস্তুত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। প্রস্তুত প্রভিডেন্সের দর্শক। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত গায়ানার। যেই পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল তারা তা এক্কেবারে ঠিকঠাক এক্সিকিউট করেছে দল।
জনসন চার্লস ও এভিন লুইসে শুরু। ম্যাচের ৪র্থ ওভারে দলের রান যখন ২১ খালেদের বলে বাউন্ডারি লাইনে সাইফ হাসানের দুর্দান্ত এক ক্যাচ। মাত্র ৫ রানে ফিরে যান লুইস। প্রথম ইনিংসে রংপুরের গল্প এটুকুই। এরপর পুরোটা আলো কেড়েছে চার্লস ও গুরবাজ জুটি। ৭০ বলে ১২১ রানের এই পার্টনারশিপ এবারের আসরে জিএসএলের সর্বোচ্চ।
চার্লস কিছুটা দেখেশুনে খেললেও রহমানুল্লাহ গুরবাজ কারো ধার ধারেননি। বেদম পিটিয়েছেন রংপুরের বোলারদের। ১৬ তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ১৭০ এর ওপর স্ট্রাইকরেটে করেন ৬৬ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬ টি চার ও ৪ টি ছক্কা। তাবরাইজ শামসির বলে গুরবাজ আউট হবার আগে অবশ্য ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৭ করে রিটায়ার্ড আউট হন জনসন চার্লস।
আরও পড়ুন
জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস |
![]() |
এই জুটি ফিরলেও গায়ানার ততক্ষণে যা করার করা হয়ে গেছে। শেষদিকে শেরফানে রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ডের ক্যামিও দুই ইনিংসে জিএসএল ইতিহাসের সবোর্চ্চ রান বোর্ডে তোলে ইমরান তাহিরের দল। ১ টি করে উইকেট নেন খালেদ, ইফতিখার ও শামসি। রংপুরের সামনে ১৯৭ এর পাহাড়সম টার্গেট তখন।
রংপুর খেই হারিয়েছে প্রথম ইনিংসেই। ইনিংসের ২য় বলেই জাদরানকে ফেরানোর আবেদন। তবে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু প্রায় দুশোর লক্ষ্য চাপে ফেলেছিল দলকে মানসিকভাবেই। তিন টপঅর্ডার ফিরে যান সেই চাপেই। ৫ ওভারে ৩০ রানের আগেই আউট হন ইব্রাহিম জাদরান, সৌম্য সরকার ও কাইল মায়ার্স। প্রথম ১০ ওভারে দলের রান তখন ৬৫। রিকোয়ার্ড রানরেট উঠে যায় ১৩’র ওপর।
রক্ষণাত্মকভাবে খেলছিলেন মিডল অর্ডারের সাইফ হাসান ও ইফতিখার আহমেদও। রংপুরের যখন সব হারানো শেষ মনে হচ্ছিল তখনই হঠাৎ জ্বলে ওঠে সাইফের ব্যাট। তাঁর ৩ চার ও ৩ ছক্কা আশা জাগিয়েছিল। পরে সেই উৎসবে যোগ দেন ইফতিখারও।
তবে ১৩ তম ওভারে জমে ওঠে নাটক। বাউন্ডারিতে ইফতিখারের ক্যাচ ধরা নিয়ে তেঁতে ওঠেন ইমরান তাহিররা। তবে বার বার রিপ্লে দেখে বহাল থাকে নট আউটের ডিসিশন। কিন্তু পরের বলেই কপাল পোড়ে রংপুরের। ইফতিখারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের শিকার হন দারুণ খেলতে থাকা সাইফ। ভাঙে দুজনের ৪৪ বলে ৭৩ রানের জুটি।
আরও পড়ুন
ওপেনার হিসেবেই ফেরার লড়াইয়ে নাঈম |
![]() |
ব্যাকফুটে থাকা রংপুর ম্যাচে ফিরল। গড়ল দারুন এক জুটি। কিন্তু ওই ভুল বোঝাবুঝির রানআউটেই এক নিমিষে সব শেষ। ভুলের মাসুল অবশ্য দিতে পারননি ইফতিখার। তিন তিন বার বেঁচে যাওয়া এই ব্যাটার শেষমেশ কাটা পড়েন প্রিটোরিয়াসের ফাঁদে। ফেরেন ২৯ বলে ৪৬ করে।
শেষদিকে মাহিদুল অঙ্কনের ১৭ বলে ৩০ এর ক্যামিও কিছুটা আশা জাগালেও কমিয়েছিল কেবল হারের ব্যবধান। অবশেষে ৩২ রানে ম্যাচ জিতে ২য় আসরে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতল হোস্ট গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। টানা ২য় বারের শিরোপাটা জেতা হলো না। দুর্দান্ত সিজন কাটানো রংপুর শেষ করল রানার্সআপ হয়েই।
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) ফাইনালে পাওয়া চোটে মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। ফলে মিস করবেন জিম্বাবুয়েতে চলমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং এরপর টেস্ট সিরিজও।
গত ১৩ জুলাই ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হয়ে ফাইনাল খেলার সময় কুঁচকির চোট পান ফিলিপস। এরপরও রাখা হয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে। জিম্বাবুয়েতে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর তাঁর অবস্থা মূল্যায়ন করে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এরপর এক বিবৃতিতে তারা জানায়, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ফিলিপসের অন্তত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আর তাই দেশে ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন
রংপুরকে হারিয়ে জিএসএলের ২য় আসরে চ্যাম্পিয়ন গায়ানা ওয়ারিয়র্স |
![]() |
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ফিলিপসের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডে যুক্ত হওয়া টিম রবিনসন দলের সঙ্গেই থাকবেন ত্রিদেশীয় সিরিজের বাকি অংশে। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে ফিলিপসের বিকল্প কে হবেন, তা পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফিলিপস ছাড়াও বেন সিয়ার্স (সাইড ইনজুরি) ও ফিন অ্যালেন (পায়ের চোট) এই দুই সিরিজে থাকছেন দলের বাইরে। তবে কিউইদের জন্য স্বস্তির খবর হলো, দীর্ঘদিনের হাঁটুর চোট কাটিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার আজাজ প্যাটেল। তিনি সম্প্রতি গায়ানায় চলমান গ্লোবাল সুপার লিগে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড ২১ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
স্পেশালিষ্ট হিসেবেই তার মূল পরিচিতি। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নাঈম শেখকে ব্যাট করতে হয় চার নম্বরে, যেখানে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা তার নাই বললেই চলে। একেবারে খারাপ না করলেও খুব যে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন, সেটা বলা যায় না। ফলে বাদ পড়েন দল থেকেই। সেই অভিজ্ঞতা পেছনে ফেলে পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে অনুশীলনে নেমেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। জানালেন, দলে ফেরার ছক কষছেন ওপেনার হিসেবে ফেরার লক্ষ্যে নিয়েই।
প্রায় তিন বছর পর সদ্য শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে ফেরেন নাঈম। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে ডাক পান ওয়ানডে দলেও, তবে মেলেনি সুযোগ। ২০ ওভারের সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা হলেও খেলতে হয় চারে নেমে। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেও পারেননি আহামরি কিছু করতে। পুরো ইনিংসেই খেলেন মোটে একশ স্ট্রাইক রেটে।
আরও পড়ুন
রংপুরকে হারিয়ে জিএসএলের ২য় আসরে চ্যাম্পিয়ন গায়ানা ওয়ারিয়র্স |
![]() |
পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে শুক্রবার মিরপুরে একাই অনুশীলন করেন নাঈম। এরপর সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় জানান ভিন্ন পজিশনে খেলার বিভ্রাটের কথা।
“হুট করেই চার নম্বরে নামলে কীভাবে খেলতে হয় বা মিডল অর্ডার ব্যাটাররা কোন চ্যালেঞ্জ বেশি মোকাবিলা করে, ওই জিনিসটা স্বাভাবিকভাবেই আমার জানা নেই। বাইরে থেকে অনেক সময় সহজ মনে হয়। এখন খেলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। পুরোপুরি ভিন্ন একটা পজিশন।”
আর এই ভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং যে একেবারেই উপভোগ করতে পারেননি, সেটা নাঈমের ইনিংসেই প্রমাণ মিলেছে। নেমেছিলেন চারে, ইনিংসের শুরুতেই। আর ব্যাট করেন শেষ পর্যন্ত। ২৯ বল খেলে অপরাজিত থাকেন মাত্র ৩২ রানে! বড় শট খেলার সহজাত দক্ষতা থাকলেও সেদিন বেশ আড়ষ্টতা ছিল তার ব্যাটিংয়ে। ওই ম্যাচে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ পরের দুই ম্যাচে জয় পায় নাঈমকে বাইরে রেখেই।
আরও পড়ুন
দেশে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল |
![]() |
শুক্রবারের অনুশীলনে তিন থ্রোয়ার নিয়ে অনুশীলন করা নাঈম অনুশীলন করেছেন ওপেনার ব্যাটার হিসেবেই। কারণটাও জানালেন পরে।
“এখন পর্যন্ত যত দিন খেলেছি, ওপেনার হিসেবেই ব্যাটিং করেছি। তো ওই মানসিকতা নিয়েই (অনুশীলন) করলাম। কিন্তু মাথায় এটাও থাকে যে, এমন তো না যে, সেট হওয়ার পর মাঝের ওভারে খেলিনি।”
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে