ক্রিকেট

ইফতেখার-সোহানের দৃঢ়তায় রংপুরের ১৫৩

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:২৯ পিএম

news-details

ওপেনাররা আরও একবার পারলেন না রংপুর রাইডার্সকে ভালো সূচনা এনে দিতে। অল্পে বিদায় নিলেন দুজনই। খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ রান করলেন বটে, তবে রান তোলার গতি তাতে কমে গেল কিছুটা। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান খেললেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস, যা তার দলকে এনে দিল লড়াকু পুঁজি।


মিরপুরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা রংপুর ২০ ওভারে করেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।


তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে রংপুর রাইডার্সকে দারুণ সূচনা এনে দেন স্টিভেন টেলর। আল-আমিন হোসেনের করা দ্বিতীয় ওভারটি ছিল ব্যয়বহুল। দুটি বাউন্ডারি আসে টেলরের ব্যাট থেকে। তবে ওপেনিং জুটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। অ্যালেক্স হেলসকে ৬ রানে সাজঘরে ফেরান তানজিম। 


আরও পড়ুন

নাহিদের গতির ঝড় বিপর্যস্ত সিলেট, রংপুরের দুইয়ে দুই নাহিদের গতির ঝড় বিপর্যস্ত সিলেট, রংপুরের দুইয়ে দুই


আল-আমিন এরপর জোড়া আঘাতে চাপে ফেলে দেন রংপুরকে। সাইফ হাসানের পর তার শিকার হন টেলরও। ৫ ওভার দলতির রান ৩ উইকেটে মাত্র ২৮। আগের ম্যাচে দুটি দারুণ ইনিংস খেলা ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ বিপদের সময়ে দলের হাল ধরেন। 


সুযোগ বুঝে কিছু বড় শট মারেন দুজনই। তবে তবে রানের গতিও কমে যায় বেশ কিছুটা। সিলেতের বোলাররাও করেন আঁটসাঁট বোলিং। চাপ সরাতে বড় শট খেলতে গিয়ে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে খুশদিল আউট হয়ে যান ২১ রানে। 


একপ্রান্তে সেট ইফতেখার ১০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করায় রানের চাকা সচল করার জন্য দরকার ছিল আগ্রাসী ব্যাটিং। ক্রিজে নেমেই সেই কাজটা করে দেন সোহান। রংপুর অধিনায়ক চড়াও হন রিস টপলির ওপর। ইংলিশ পেসারের এক ওভারে দুটি চারের পাশাপাশি মারেন একটি ছক্কাও। 


তানজিমের করা ১৮তম ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা আসে সোহানের ব্যাট থেকে। তার ক্যামিও ইনিংসের শেষটা হয় টপলির বলে। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বল চলে যায় লং-অনে থাকা আরিফুল হকের হাতে, যিনি ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। মাত্র ২৪ বলে ৪১ রান করেন সোহান। 


আরও পড়ুন

বিফলে গেল শামিম ঝড়, উড়ন্ত সূচনা খুলনার বিফলে গেল শামিম ঝড়, উড়ন্ত সূচনা খুলনার


এরপর শেষের দিকে নামা শেখ মাহেদি হাসান খেলেন ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস, যা রংপুরকে ১৫০ পার করতে সাহায্য করে। ইফতেখার অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৪৭ রানে। তানজিম ২ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রানে।

bottom-logo

ক্রিকেট

বিফলেই গেল থিসারার সেঞ্চুরি, খুলনার দ্বিতীয় জয়

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:১৯ এম

news-details

একশ রানের মধ্যেই চলে গিয়েছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকে খুলনা টাইগার্সের দেড়শর বেশি স্কোরের পেছনে বড় অবদান রাখেন টেল এন্ডাররা, বিশেষ করে আবু হায়দার রনি। ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য কাজটা কঠিন করে এরপর বল হাতেও আলো ছড়ালেন অভিজ্ঞ এই পেসার। সাথে মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেল দলটি। অধিনায়ক থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তাই কেবলই বাড়াল আক্ষেপ। আর টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল খুলনা। 


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম ম্যাচে ২০ রানে জিতেছে খুলনা। মিরাজের দল আগে ব্যাটিং করে তুলেছিল ৮ উইকেটে ১৭৩ রান। রান তাড়ায় ঢাকা ২০ ওভারে করতে পারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান। 

খুলনার ওপেনিং জুটি দলকে দেখিয়েছিল বড় আশাই। নাইম শেখ আর উইলিয়ান বোইসিস্টো মিলে পাওয়ার প্লেতে দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থায়। নাইম শুরু থেকেই ছিলেন বেশ আগ্রাসী। সাত বাউন্ডারিতে সাজানো তার সম্ভাবনাময় ইনিংসের ইতি টানেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। ১৭ বলে নাইম করেন ৩০ রান।


এরপরই ধস নামে খুলনার ইনিংসে। তিনে প্রমোশন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আফিফ হোসেন। মাত্র দুই বল টিকতে পারেন ক্রিজে। দুই বিদেশী ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের পাশাপাশি অধিনায়ক মিরাজও ফেরেম এক ডিজিটে। ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খুলনার সামনে ১৩০ রান করাটাই তখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।


তবে ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জিয়াউর রহমান। গড়েন ৪৩ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ জুটি। অঙ্কন খেলেন ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস। সেরা সময় মনে করিয়ে দেওয়া অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জিয়াউর দুই চার ও এক ছক্কায় করেন ২২ রান। 


আর ক্যামিও ইনিংসে ঢাকাকে চমকে দেন আবু হায়দার। তিন ছক্কায় মাত্র ৮ বলে অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। চতুরাঙ্গা ২ উইকেট নেন ২২ রান দিয়ে।


আসরের শুরু থেকেই ব্যাটারদের ফর্ম ভোগাচ্ছে ঢাকাকে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। দলের বড় ভরসার নাম লিটন দাস আরও একবার দলকে হতাশ করে সাকঘরে ফেরেন স্রেফ ২ রানেই। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা।


দুই প্রান্ত থেকে মিরাজ ও আবু হায়দারের সাড়াশি আক্রমণে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে যায় দলটি। রানের জন্য সংগ্রাম করার পাশাপাশি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪১!


সেখান থেকে তাই জয়ের আশা ছেড়ে দিয়ে অধিনায়ক থিসারা পেরেরা চেষ্টা করেন হারের ব্যবধান কমিয়ে নেট রান-রেটের বড় ক্ষতি না করার। অন্তত সেই কাজে তিনি ভালোই সফলতা পান। চতুরাঙ্গাকে একপ্রান্তে দর্শক বানিয়ে বেশ কয়েকটি বড় শট মেরে হাসি ফোটান ঢাকা সমর্থকদের মুখে। জিয়াউরকে চার মেরে ৩৯ বলে পেয়ে যান ফিফটির দেখাও। 


এরপর আরও আগ্রাসন দেখান এই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। আবু হায়দারের এক ওভারে মারেন দুই ছক্কা ও এক চার। এরপর প্রতি ওভারেই বড় শট নিয়মিতই মেরে শেষ ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারির মাধ্যমে দেখা পান শতকের। বিপিএলে এটি থিসারার প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মাত্র ৬০ বলে, ১০৩ রানে। 


চার ওভারে এক মেডেন সহ মাত্র ৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মিরাজ। আর আবু হায়দার দুটি।


bottom-logo

ক্রিকেট

‘ফর্মের সাথে অধিনায়কত্বের সম্পর্ক নেই, লিটন বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে’

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:৫৫ পিএম

news-details

জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে লিটন এখন পর্যন্ত কয়েকবার দায়িত্ব সামলেছেন অস্থায়ীভাবে। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তার নেতৃত্বেই ক্যারিবিয়ানদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তবে পুরো সিরিজেই রানের মধ্যে ছিলেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এটা কী তার স্থায়ী অধিনায়ক হওয়াটা কঠিন করে তুলতে পারে? বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ অবশ্য তা মানতে নারাজ।


অধিনায়ক হিসেবে লিটন বরাবরই ভালো করেন। নাজমুল হোসেন শান্ত চোটে সফর মিস করায় পান টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব। ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই বাংলাদেশ দল রাতারাতি বদলে যায় তার অধিনায়কত্বে। প্রথমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ ওভারের সিরিজে হারায় ৩-০ ব্যবধানে। তবে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাট হাতে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন তিনি।


শান্ত আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ত্ব না করতে চাওয়া নতুন কাউকে বেছে নিতে হবে বিসিবি। লিটনকে বিবেচনার ক্ষেত্রে ফারুক তার ফর্মে না থাকার বিষয়টি মেলাতে চান না বলেই জানিয়েছেন শুক্রবার।

“আমি সবসময় মনে করি ক্রিকেটিং ব্রেন, মেধা, অধিনায়কত্ব করার সাথে ফর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। একজন ব্যাটারের ফর্ম ভালো যাবে না, এটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আপনি যদি বিরাট কোহলিও রান করতে পারছে না। রোহিত শর্মার মত ব্যাটসম্যান রান করতে পারছে না।”

অধিনায়ক নিজেই ফর্মে না থাকলে প্রায়ই সেটা প্রভাব ফেলে তার ব্যাটিং বা বোলিংয়ে। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব না দিতে পারায় আত্মবিশ্বাস হয়ে যায় নড়বড়ে। আর লিটন ২০২৪ সালের পুরোটা জুড়েই সাদা বলের ক্রিকেটে ভীষণভাবে রানখরায় ভুগেছেন। এসব পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তিনি যেভাবে নেতা হিসেবে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, তা ছিল চোখে পড়ার মত।


ফারুকের কাছে ফর্মহীনতা ছাপিয়ে এটাই তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

“আমি মনে করেছিলাম এবং বোর্ডের অন্যদের সাথে আলোচনাও করেছি যে, অনেক সময় একটা খেলোয়াড়কে দুইভাবে সাহায্য করা যায়। যেহেতু সে ওয়ানডে রান করছিল না, অধিনায়কত্ব ছিল তার বাড়তি দায়িত্ব, তাই মনে হচ্ছিল সে অধিনায়কত্ব পেয়ে ফর্মে ফিরে আসতে পারে। তবে ফর্ম না পেলেও সে খুব ভালো নেতৃত্ব দিয়েছে। এটা খুব ভালো একটা গুণ। ব্যক্তিগত ফর্ম যদি একজন খেলোয়াড়কে প্রভাবিত না করে, এটা একজন অধিনায়কের খুব ভালো দিক। আমি আশা করি ও ফর্মে ফিরবে খুব শীঘ্রই। আমরা যখন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা করব, অবশ্যই সে সেখানে এগিয়ে থাকবে।”

বাংলাদেশ দলের পরবর্তী সিরিজ ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ত্ব ছাড়লেও নাজমুল হোসেন শান্ত বাকি দুই ফরম্যাটে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ক্রিকেট

সাকিবের ইস্যুতে সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় বিসিবি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৫৬ পিএম

news-details

গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি জাতীয় দলের হয়ে বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবেন কিনা, এটা নিয়ে এখনও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। মাঠের বাইরের জটিলতায় মিস করছেন চলমান বিপিএলও। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আরও একবার, সাকিবের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই তাদের।


গত আগস্টে বাংলাদেশে সরকার পতনের পর দ্রুতই বদলে যায় সাকিবের জাতীয় দলে খেলার সমীকরণ। দেশের মাটিতে টেস্ট অবসর নিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত সেটা আর সম্ভব হয়নি। বিসিবি তাকে দলে রাখলেও শেষ সময়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সাকিবকে দেশে আসতে না করা হয়। 


ফিট থাকলেও এরপর খেলেননি ক্যারিবিয়ান সফরে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কী সাবেক অধিনায়ককে দলে রাখা হবে? মিরপুরে শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় এই ব্যাপারে ফারুক স্পষ্ট করেন তাদের অবস্থান।  

“একটা ব্যাপার হল সাকিবের এখনও অবসর হয়নি। চেষ্টা করা বলতে কী, ও যদি অবসর নিয়ে ফেলত তাহলে বলতাম যে এখন আর নেই। ওর যেসব ইস্যু আছে, সেটা নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সাথে মাঝে মাঝে কথা হয় যে এটা নিয়ে কী করা যায়। ওর যে ইস্যুটা, এটা আমাদের কল নয়। এটা আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এটা যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা আসে, ওর যেসব সমস্যা আছে, সেটা যদি ঠিক করা যায়, তাহলে কিছু হতে পারে। এরপর আছে ফিটনেস, মানসিক অবস্থা, ফর্ম - এসব দেখে নির্বাচকরা সিদ্ধান নেবে।”

আগের সরকারের পতনের পর ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি সিরিজ খেলেছিলেন সাকিব। সেই কারণেই তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের টেস্ট দলে রেখেছিল বিসিবি। তবে সাকিবের দেশে আশাকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষের সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তার বিবেচনায় মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে বলা হয় সাকিবকে। 


ফারুক তাই এবারও বল ঠেলে দিয়েছেন সরকারের কোর্টে। 

“সাকিবের ব্যাপারটা, আসলে আমি এটা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় বলেছিলাম। আমাদের যে ক্রীড়া উপদেষ্টা আছেন, তিনি বলেছিলেন সাকিবের ব্যাপারটা সে আসবে, খেলবে এটা সরকার দেখবে। তারপর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে শেষ মুহূর্তে সেটা আর সম্ভব হয়নি।”

তবে এক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে। ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকছে না সাকিবের সেখানে। ফারুক দ্রুতই তাই সিদ্ধান্ত নিতে চান এই ব্যাপারে। “আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশের বাইরে, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমরা বিপিএলের মাঝেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসব।”


নির্বাচকদের সাকিবকে নেওয়ার চাওয়া আছে কিনা, এমন প্রশ্নে সপাটে ব্যাট চালিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

“চাহিদা থাকলেই তো হয় না, কারণ এটা একটা জাতীয় ইস্যু।”


bottom-logo

ক্রিকেট

উসমানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে চিটাগংয়ের দাপুটে জয়

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৬:০৫ পিএম

news-details

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চিটাগং কিংসের ইনিংস একপ্রান্ত আগলে একাই টানলেন উসমান খান। মারমুখী ব্যাটিংয়ের দুরন্ত এক প্রদর্শনীতে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। সাথে অন্য ব্যাটারদের অবদানে দলটি চড়ল রান পাহাড়ে। উসমান হারিস বাদে দুর্বার রাজশাহীর কেউই পারলেন না লড়াই করতে। আলিস-আরাফাতদের স্পিন ঘূর্ণিতে পথ হারিয়ে বড় হারই বরণ করতে হল দলটিকে। 


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের সপ্তম ম্যাচে ১০৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে চিটাগং। দলটির করা ৫ উইকেটে ২১৯ রানের জবাবে স্রেফ ১১৪ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছে রাজশাহী। 


আগেরদিন বিপিএলের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক হওয়া তাসকিন আহমেদের শুরুটা এদিনও হয় স্বপ্নময়। দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন পারভেজ হোসেন ইমনকে। রাজশাহীর হাসি মিলিয়ে যেতে এরপর আর বেশি সময় লাগেনি। গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন উসমান। 


হাসান মুরাদের এক ওভারে তিন চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান নেওয়ার পর মোহর শেখের এক ওভারেও তিনটি চার মারেন উসমান। শুরুটা ধীরগতিতে করা গ্রাহাম এরপর হাত খোলেন। অভিজ্ঞ শফিউল ইসলামের এক ওভারে চারটি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কায় আদায় করেন ২২ রান। ছয় ওভারেই বোর্ডে জমা হয় ৭২ রান। 


মাত্র ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন উসমান। এরপর রানের গতিতে আরও বাড়িয়ে দেন পাকিস্তান ব্যাটার। ক্রমেই ছন্দ খুঁজে পাওয়া গ্রাহাম অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে সোহাগ গাজির বলে আউট হন। তার আগে ৫ চার ও দুই ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। 

চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন পরিস্থিতির চাহিদা মিটিয়ে খেলেন কয়েকটি বড় শট। তবে দর্শকদের বিনোদনের খোরাক যোগানো এক ইনিংস খেলা উসমান কেড়ে নেন সব স্পটলাইট। মাত্র ৪৮ বলেই পূর্ণ হয়ে যায় সেঞ্চুরি। বিপিএলে ১৪তম ইনিংসে এটি তার দ্বিতীয় শতক। 


রাজশাহীর বোলিং লাইনআপকে এলোমেলো করার পর উসমান ১৯তম ওভারে যখন আউট হন, তখন তার নামের পাশে ১২৩ রান। মাত্র ৬২ বলের ইনিংস ছিল ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কার মার। শেষের দিকে হায়দার আলির ১৯ রানের ক্যামিওতে আসরের সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে যায় চিটাগং। 


এমন একটা রান তাড়ায় শুরুটা যেমন প্রয়োজন, সেটা পায়নি রাজশাহী। প্রথম ওভারেই হারাতে হয় সাব্বির হোসেনের উইকেট। একপ্রান্তে এরপর হারিস ইতিবাচক ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও তাল মেলাতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। ফলে রান বের করার চাপে শেষ পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতেই আউট হয়ে যান হারিস। মোহাম্মস ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মাত্র ১৫ বলে করেন ৩২ রান। 


ক্রিজে গিয়েই কয়েকটি বড় শট খেলে ভালো কিছুর আভাস দেন ইয়াসির আলি ও আকবর আলি। তবে দুজনের কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। এরপর রহস্য স্পিনার আলিস আল ইসলামের দারুণ এক স্পেল দিশেহারা করে ফেলে রাজশাহীকে। মাত্র ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির ঝুলিতেও যায় তিন উইকেট, তিনি গুনেন ২৩ রান।

bottom-logo

ক্রিকেট

আরেকটি বিপিএল সেঞ্চুরিতে তামিম-জনসনদের পাশে উসমান

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:২৩ পিএম

news-details

প্রায় প্রতিটি দেশেরই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সেরাদের তালিকায় দেখা যায় দেশি খেলোয়াড়দের আধিপত্য। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সেঞ্চুরিয়ানদের তালিকায় বরাবরই দাপট দেখাচ্ছেন বিদেশী খেলোয়াড়রা। উসমান খানই যেমন, চিটাগং কিংসের এই পাকিস্তানি ব্যাটার এই বিপিএলে শতক দিয়ে চলে এসেছেন টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটারদের তালিকায়। 


দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে শুক্রবারের প্রথম ম্যাচে উসমান ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড়ই তোলেন। ১৯তম ওভারে যখন আউট হন, তখন নামের পাশে ১২৩ রান। মাত্র ৬২ বলের ইনিংস সাজান ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা দিয়ে। বিপিএলে এটি ১৪ ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।


ফলে বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় যৌথভাবে এখন জায়গা করে নিয়েছেন উসমানও। তিনি ছাড়া দুটি করে শতক করেছেন তিন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার জনসন চার্লস (৩৩ ইনিংস), এভিন লুইস (৩৯ ইনিংস), আন্দ্রে ফ্লেচার (৪০ ইনিংস) ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল (১০৫ ইনিংস)।


সবার ওপরেও আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই একজন। সাবেক এই বিধ্বংসী এই ব্যাটার কয়েক আসর আগেও ছিলেন বিপিএলের নিয়মিত মুখ। সব মিলিয়ে খেলা মাত্র ৫২ ইনিংসেই তিনি সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি। অর্থাৎ, গড়ে প্রায় ১০টি ম্যাচে একবার করে বিপিএলে তিন অঙ্কের ঘরে পা রেখেছেন গেইল। 


উসমান যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে বিপিএলে আগামীতে নিয়মিত খেলতে পারলে হয়ত গেইলকে সরিয়ে তিনিই হয়ে যাবেন এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক। 

bottom-logo