২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:৫৮ পিএম

ফরম্যাটের কারণেই একটা দল প্রথম ম্যাচ হারলেই চলে যায় বাদ পড়ার কাছাকাছি অবস্থায়। ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ড ম্যাচ তাই বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকে থাকার লড়াইয়ে। স্বস্তির খবর, সব ঠিক থাকলে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন মাহমুদউল্লাহ। আর এই কারণেই কিউইদের বিপক্ষে একাদশ সাজানোটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জন্য।
এই ধরনের সমস্যা দলের জন্য মধুরই। কাকে রেখে কাকে বাদ দেবেন, এই অনিশ্চয়তা একটা দলের শক্তিমত্তারই পরিচয় দেয়। তবে মাহমুদউল্লাহ যদি ফিরতে পারেন পরের ম্যাচে, তাহলে ব্যাটিং অর্ডার বা দলের ফরমেশনেই যে আনতে হবে বড় বদল। হয় একজন ব্যাটার বাদ দিতে হবে, আর নাহয় একজন বোলার কম নিয়ে খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর এই বিভাগে কাউকে বাদ দেওয়াটা হয়েছে আরেক মাথাব্যথার বিষয়।
আরও পড়ুন
| বোলিং অ্যাকশন শুধরে ডিপিএল খেলবেন সাকিব, আশায় রূপগঞ্জ |
|
সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমকে এই টুর্নামেন্টেও ওপেনিং জুটি হিসেবে ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। একজন ২১ করলেও ভারত ম্যাচে আরেকজন ডাক মেরেছেন। তবে স্রেফ এক ম্যাচ বাদেই তাদের মধ্যে একজনকে যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সেটা খুব ভালো একটা বার্তা দেবে না। কারণ, সেক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহকে একাদশে এনে মেহেদি হাসান মিরাজকে পাঠানো হবে ওপেনে।
সেক্ষেত্রে পারভেজ হোসেন ইমন নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন, তাকে যে দলে রাখাই হয়েছে ব্যাকআপ হিসেবে। তবে মিরাজ অলরাউন্ডার এবং ওপেনে ভালো রেকর্ড থাকায় বিবেচনায় তিনিই এগিয়ে থাকবেন নিশ্চিতভাবেই।
চোটের কারণে মাহমুদউল্লাহ আগের ম্যাচ না খেললে বাদ পড়তে পারতেন তাওহীদ হৃদয় বা জাকের আলি অনিক। তবে দুজন যথাক্রমে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করায় তাদের বাইরে রাখার সুযোগ নেই বললেই চলে। ফলে মিরাজ যদি ওপেন না করেন, তাহলে তাকে ব্যাট করতে হবে নিচের দিকে। আর সেটা করতে হলে বাদ দিতে হবে একজন বোলারকে, যা পাঁচ বোলার কম্বিনেশন সাজাতে আরও সমস্যায় ফেলে দেবে দলকে।
অনেকটা সময় ধরেই ওয়ানডে রানের মধ্যে নেই মুশফিকুর রহিম। ভারত ম্যাচে পেয়েছেন গোল্ডেন ডাকের তেতো অভিজ্ঞতা। তবে কিপিংয়ের দায়িত্বটা তিনি সামলাচ্ছেন, পাশাপাশি দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটারও। ফর্মে না থাকলেও তাই তাকে সরিয়ে মাহমুদউল্লাহকে খেলানো।
আরও পড়ুন
| ডিপিএলে খেলবেন সাকিব? |
|
এছাড়া আরেকটি উপায় আছে বাংলাদেশের সামনে। তা হলে চার স্পেশালিষ্ট বোলারের একজনকে বসিয়ে দেওয়া। তাতে মিরাজ নেমে যাবেন আটে। আর পঞ্চম বোলারের কাজটা ভাগাভাগি করতে হবে সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহকে। তবে দুই অনিয়মিত বোলার দিয়ে ১০ ওভার করানোটা বুমেরাং হতে পারে, বিশেষ করে ফর্মে থাকা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের বিপক্ষে।
সার্বিক বিবেচনায় মাহমুদউল্লাহ ফিট হলে তাকে একাদশে ফেরানোর কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। আর সেটা করতে গেলে সম্ভাব্য সেরা সমাধান ওপেনিং পজিশনে পরিবর্তন আনা। নাজমুল হোসেন শান্তর দল কি সেদিকেই হাঁটবে? উত্তর জানতে আগামী সোমবার দুপুর ৩টায় চোখ রাখুন টি স্পোর্টসের পর্দায়।
No posts available.
৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২১ পিএম
৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

তৃতীয় তিন শেষেই ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের ফল অনেকটা অনুমেয় হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের রান পাহাড়ে পিষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় ব্যবধানে হার চোখ রাঙাচ্ছিল। আজ টপ অর্ডারের ব্যাটাররা দ্রুত ফিরতেই বড় হারের শঙ্কা আরও জেঁকে বসে। তবে ক্যারিবীয়দের আশার প্রতীক হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন শাই হোপ। হোপ-জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাটে শেষ দিন সফরকারীরা কতটা লড়াই করতে পারে সেটাই হবে দেখার।
ক্রাইস্টচার্চে আজ চতুর্থ দিনে ৪ উইকেটে ৪১৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড আরও চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে ৫৩১ রানের অনেকটা অসম্ভব লক্ষ্য পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চার উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছে সফরকারীরা। ১১৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন শাই হোপ। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ৫৫ রান করা গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে তাদের ১৪০ রানের জুটি আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অসাধ্য সাধন করতে হলে আগামীকাল পঞ্চম ও শেষ দিনে ছয় উইকেট নিয়ে তাদের করতে হবে ৩১৯ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রান সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়ানোর কাজ আগেরদিনই সেরে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বড় লিডের পর দ্বিতীয় ইনিংসে টম ল্যাথামের ১৪৫ ও রাচিন রাবীন্দ্রের ১৭৬ রানের ইনিংসে রান উৎসব করে কিউইরা।
আজ ২১ রান নিয়ে উইল ইয়ং ও ৬ রান নেয় মাইকেল ব্রেসওয়েল মাঠে নামেন। তবে তাদের বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি ক্যাবিবীয় বোলাররা। দুই রান যোগ করে জায়ডিন সিলসের বলে ক্যাচ তুলেন ইয়ং। আর ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ব্রেসওয়েল করেন ৪৪ বলে ২৪ রান। এরপর আরো কিছু রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। জ্যাকব ডাফিকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন কেমার রোচ। ৮৬ টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২বারের মতো পাঁচ উইকেট নিলেন ডানহাতি এই পেসার।
৫৩১ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই টপ অর্ডারের ব্যাটারদের হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ২৪ রানে প্রথম আঘাত করেন আগের ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া ডাফি। ক্যারিবীয় ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে ব্রেসওয়েলের ক্যাচ বানান এই পেসার। নিজের পরের ওভারেই আরেক ওপেনার শিবনারায়ণ চন্দরপলকেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি।
এরপর আলিক আথানজেকে নিয়ে বিপদ সামালন দেন হোপ। তাদের ৩০ রানের জুটি শেষ হয় ২২ বলে ৫ রান করা আথানজে আউট হলে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান যখন ৭২, অধিনায়ন রোস্টন চেজও ফিরেন ৪ রান করে।
দিনের বাকি অংশ কেবল শাপ হোপ-জাস্টিন গ্রিভসের প্রতিরোধের গল্প। পঞ্চম উইকেটে গ্রিভসকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়া হোপ তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ শতক। আর ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটারকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া গ্রিভস ১২তম টেস্টে দ্বিতীয় ফিফটি করলেন।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকে এমন খুনে মেজাজের ব্যাটার কি কেউ দেখেছে। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সবধরনের রেকর্ড যেন নিজের করে নিতে এসেছেন ভারতীয় আগ্রসী ব্যাটার অভিষেক শর্মা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই তাঁর কাজ একটাই। বোলারদের তুলোধুনো করে একের পর এক বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলা।
ভারতীয় দল এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত। আর অভিষেক শর্মা ব্যস্ত হায়দরাবাদে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে। এই প্রতিযোগিতায় পাঞ্জাবের হয়ে খেলছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সবশেষ তিন ম্যাচে মারকুটে এই ব্যাটারের রান আর স্ট্রাইকরেট দেখলে চোখ কপালে উঠবে।
গতকাল পুদুচেরির বিপক্ষে অভিষেক শর্মা করেন ৯ বলে ৩৪। ৪ চার ও ৩ ছয়ে খেলা তাঁর এই ইনিংসের স্ট্রাইকরেট ৩৭৭.৭৭। আগের ম্যাচে বারোডার বিপক্ষে করেছেন বরাবর ৫০। এই ইনিংস খেলতে ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার খেলেছেন ১৯টি ডেলিভারি। আর এরও আগে গত ৩০ নভেম্বরের ম্যাচটিতে তো রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছেন অভিষেক।
বেঙ্গলের বিপক্ষে ওই ম্যাচে মাত্র ১২ বলে ফিফটি করেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে নামা বাঁহাতি ওপেনার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি। আর ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। এরপর আরও ২০ বলে খেলে ২ চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মেরে ৩২ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন অভিষেক। এই সেঞ্চুরিতে রোহিত শর্মার পাশে বসেন অভিষেক।
সব মিলিয়ে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে সবশেষ তিন ম্যাচে তাঁর রান ২৩২, স্ট্রাইকরেট ২৯০।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক এরই মধ্যে রেকর্ডের ফোয়ারা বইয়ে দিয়েছেন অভিষেক। জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ২৯ ম্যাচেই ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। ১৮৯.৫১ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করা এই ‘পাগলাটে’ ব্যাটার এরমধ্যে সেঞ্চুরিই করেছেন দুইটি, ফিফটির সংখ্যা ৬।

ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়া’-র আঘাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কা। প্রাণঘাতী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৭৪ জন। নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় চার শতাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে ‘রিবিল্ডিং শ্রীলঙ্কা’ তহবিল’ গঠন করেছে দেশটির সরকার। তহবিলে ৩০০ মিলিয়ন রুপি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।
আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড। বিবৃতিতে এসএলসি জানায়, জাতীয় দলের প্রতীকী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা দেশের প্রতি নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই এই সহায়তা করছে। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস, এই অর্থ সরকারের জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ জনসেবা পুনরুদ্ধারে বড় ভূমিকা রাখবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনযাত্রা পুনর্গঠনের কাজে সরকারের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতেই এ উদ্যোগ।
এর আগে পাকিস্তান সফরের সব অর্থ বন্যদুর্গতদের সহাতায় দেওয়ার ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা।
সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে দেশটির প্রধান কোচ সানৎ জয়সুরিয়া বলেন
‘দেশে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আমরা সবাই মর্মাহত। পাকিস্তান সফরের ম্যাচ ফি এবং সব আয় বন্যার্তদের জন্য দিচ্ছি। কঠিন সময়ে আমাদের একে অপরের পাশে দাঁড়াতেই হবে।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পান সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ারের দায়িত্বে বহাল থাকবেন বলে জানিয়েছ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন ফাহিম।
আজ ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তিনি জানিয়ছেন, আশরাফুল তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। অর্থাৎ ২০২৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে সাবেক অধিনায়ককে। কুড়ি কুড়ির আসরে লিটন দাসদের পারফরম্যান্স সুবিধার হলে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দেখা যেতে পারে তাঁকে।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেছেন,
“আশরাফুল আমাদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন। কোচ হিসেবে তার প্রাথমিক দিনগুলো চলছে, কিন্তু আমি অনেকদিন ধরেই তাকে কথা বলতে শুনছি। তিনি টেলিভিশনে কথা বলেন, এইটা-ওটা নিয়ে যুক্তি দেন, কথা বলেন এবং আমি তার সঙ্গেও কথা বলি। আমি মনে করি, তিনি একজন অত্যন্ত সম্ভাবনাময় কোচ।”
নাজমূল আবেদীন বলেছেন,
‘‘ব্যাটিং বুঝা এবং কোচিং করানো আলাদা বিষয়। কোচিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো তাঁর মধ্যে আছে। তার এ কাজে প্রকৃত আগ্রহ রয়েছে। তিনি এখানে কেবল ক্যারিয়ার গড়তে বা নিরাপদ করতে এসেছেন না। তিনি এটা উপভোগ করছেন এবং খুব দ্রুত শিখছেন। তিনি ভালোই করছেন।’’
সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনকে নিয়েও কথা বলেছেন নাজমূল আবেদীন। তিনি জানিয়েছেন লিটন দাসদের এই কোচ পদত্যাগ পত্র জমা দিলেও তা গৃহীত হয়নি। বিসিবির পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেছেন,
‘‘সালাহউদ্দীন তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়নি।’’
তিনি আরও বলেছেন,
‘‘আমাদের নীতি এখন এই হবে যে, বিদেশি কোচ হোক বা স্থানীয় কোচ—আমরা তাদের বিভিন্ন ভূমিকায় ব্যবহার করব। কখনও জাতীয় দলের সাথে, কখনও ‘এ’ দলের সাথে। আবার কখনও হাই পারফরমেন্সের সাথে। আর সেটা আমাদের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করবে।’’
৬ ডিসেম্বর থেকে শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি দলের শর্ট ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে হেড কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে দেখা যেতে পারে আশরাফুল ও সালাহউদ্দীনকে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে জিতে লিটন দাসের দল।
ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও বিপিএলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করে কুড়ি কুড়ির আসরে অংশ নেবে বাংলাদেশ। অধিনায়কেরও প্রত্যাশা আশানুরূপ ফল নিয়ে ঘরে ফিরবে লাল সবুজ দল। আজ রাজধানী উত্তরার স্কলাস্টিকা স্কুলের স্পোর্টস ডেতে উপস্থিত হয়ে লিটন জানালেন সে কথাই।
তিনি বলেন,
‘যেখানেই খেলতে যাই না কেন, লক্ষ্য সবসময় বড় থাকে। আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে হবে। চেষ্টা থাকবে প্রতিটি ম্যাচ জিততে। কতটা সফল হব জানি না, তবে চেষ্টায় কোনো কমতি থাকবে না।’
চলতি মাসের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন লিটন,
‘বিপিএলও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ভালো পারফর্ম করতে পারলে বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে।’
বর্তমান বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলই কি বিশ্বকাপে যাবে এমন প্রশ্নে লিটন বলেন,
‘অভিজ্ঞতার গুরুত্ব বেশি হলেও দরজা সবার জন্যই খোলা। যারা অনেকদিন ধরে এই ফরম্যাটে খেলছে তাদের প্রাধান্যটাই বেশি। তবে যদি বিপিএলে কেউ অসাধারণ পারফর্ম করে এবং কোচ–নির্বাচকরা মনে করেন তাকে প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই জায়গা খোলা আছে।’