২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:৫৭ এম
ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা রিয়াল মাদ্রিদের সাদা জার্সিতেই কাটিয়েছেন সার্জিও রামোস। লম্বা সময় ধরে দলটির অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডটাও ছিল তার হাতেই। নানা বাস্তবতায় তিন বছর আগে ক্লাব ছাড়েন এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। পাড়ি জমান পিএসজিতে। সেখান থেকে আবারও ফিরেছেন স্পেনে। তবে সেটা তার শৈশবের ক্লাব সেভিয়াতে। আর সেই ক্লাবের জার্সিতেই বার্নাব্যুতে মাঠে নামবেন রামোস। রিয়ালের ঘরের ছেলে রামোস এদিন হয়ে যাবে তাদেরই প্রতিপক্ষ।
এমন দৃশ্য হয়তো রিয়াল সমর্থকদের জন্য বেশ কষ্টেরই বলা চলে। রিয়ালের ডিফেন্স সামলানো রামোস এদিন থাকবেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগোদের রুখে দেওয়ার দায়িত্বে। তবে ক্লাবের কিংবদন্তিকে সমর্থকরা উষ্ণ অভ্যর্থনা দিবেন বলেই বিশ্বাস করেন দলটির কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: সমর্থককে রামোসের ধমক, ‘চুপ করো আর সম্মান দেখাও’
“রামোস আগামীকাল ফিরে আসবে এবং বার্নাব্যু তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। সে(রামোস) এটার প্রাপ্য কারণ ও একজন ক্লাব কিংবদন্তি। সেই সাথে সে একজন অসাধারণ অধিনায়ক এবং দারুণ ব্যক্তিত্বের উদাহরণ। আমি মালদিনি ও টেরির মতো অধিনায়কদের সঙ্গেও কাজ করেছি। এই ফুটবলাররা স্কোয়াডের মধ্যে একটি দুর্দান্ত পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করে।”
রিয়ালের হয়ে লম্বা ক্যারিয়ারে রামোস ম্যাচ খেলেছেন ৬৭১টি। ডিফেন্ডার হয়েও গোল করেছেন ১০১ টা। প্রায় দেড় দশকের ক্যারিয়ারে লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে শিরোপা জিতেছেন ২২টি।
সেভিয়াতে ফেরার পর অবশ্য খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই তার ক্লাব। ২৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মোটে ২৪। গত মৌসুমে ইউরোপা লিগ জেতা সেভিয়া এবার ঘোরাফেরা করছে রেলিগেশন জোনে। বর্তমানে তারা আছে ১৫ নম্বরে।
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৫৮ পিএম
আরেকবার গোল করতে না পারার আক্ষেপ সঙ্গী বাংলাদেশ। আরেকবার ঘরের মাঠে হার বাংলাদেশের। মালদ্বীপের সাথে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বুধবার ০-১ গোলে হেরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
২০২১ সালের ১৩ নভেম্বরে ১৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে কলম্বোতে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। তবে আরেকবার সেই ১৩ নভেম্বরে মালদ্বীপকে ঘরের মাঠে পেয়ে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
গেলো বছরের অক্টোবরে এই কিংস অ্যারেনায় মালদ্বীপকে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ২-১ গোলে। এবার আর পারেনি স্বাগতিকরা। আক্ষেপ ঐ গোল না পাওয়াই।
আরও পড়ুন
হাফ ডজন অ্যাটাকের বাংলাদেশের হাফ-টাইমে মালদ্বীপের গোল |
প্রথমার্ধের দারুণ ফুটবল খেলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। উল্টো ১৮ মিনিটে ফাঁকায় হেড গোলে বাংলাদেশ দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন এই ফরোয়ার্ড। গোলকিপার মিতুলের তাকিয়ে থাকা ছাড়া যে গোলে করার ছিলনা কিছুই।
এরপরে বার কয়েক চেষ্টা চালিয়ে গোলবারের খোঁজই মেলেনি স্বাগতিকদের।
৬৩ মিনিটে রাকিব বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশকে। অথচ যার গোল করার উচিত ছিল। আলি ফাসিরের গোল না হওয়ার পুরো কৃতিত্ব রাকিবের।
৬৪ মিনিটে হাভিয়ের কাবরের আনেন তিন পরিবর্তন। যদিও তিন পরিবর্তন কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি।
৬৯ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের হেড জাল খুঁজে পায়নি। ৭৮ মিনিটে মোরসালিনও খুঁজলেন জাল তবে গল্পটা ঐ একই।
৮৬ মিনিটে মালদ্বীপ গোলকিপারের দারুণ সেইভে রক্ষা পায় সফরকারীরা। মোরসালিনের গোল না পাওয়ার পুরো কৃতিত্ব মালদ্বীপ গোলকিপার হুসেন শরিফের।
আরও পড়ুন
জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে বসুন্ধরায় মেমোরিয়াল কাপ |
৯০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ সামনের বাধার নাম ঐ শরিফ। রাকিবের এগিয়ে যাওয়া বলে মালদ্বীপ গোলকিপার ঠেকালেন দারুণভাবে। যোগ করা সময়েও রাকিবের গোল পাওয়া হয়নি।
পরের ম্যাচটা ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় একই মাঠে নামবে দুদল। যেখানে বাংলাদেশের মেটাতে হবে গোল ক্ষুধা।
ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে আতিথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুন ফুটবল খেললেও কাজের কাজ গোলটা পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে ঠিকই প্রথমার্ধে গোল আদায় করে নেয় সফরকারীরা।
কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আজ প্রথম একাদশে রেখেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মিডফিল্ডার কাজেম শাহ কিরমানিকে। আনিসুর রহমান জিকো থাকলেও কোচের আস্থা মিতুল মারমায়। সাথে একাদশে অভিষিক্ত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী শাকিল আহাদ।
আরও পড়ুন
যেভাবে পাবেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচের টিকিট |
প্রথম পাঁচ মিনিটে অ্যাটাকিং বাংলাদেশের দেখাই মিলেছে। শেখ মোরসালিনের হেড ততক্ষণে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার দর্শকদের দিচ্ছিল আশার বাতাস। গেলো এক বছরের গোল আক্ষেপের বাংলাদেশ কী তবে এবার পাবে গোল?
১৩ মিনিটে ছোট কর্ণারে এগিয়ে যাওয়ার পথেই ছিল মালদ্বীপ। মিতুলের হাত ফসকে গেলেও গোলটা জালে জড়ায়নি বাংলাদেশ ডিফেন্ডারদের কল্যাণে।
পরের মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে নিজের পঞ্চম গোলটা করা হয়নি রাকিব হোসেনের। হেডে গোল মিসের আক্ষেপের রাকিবকে দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, গোলটা করা উচিত ছিল!
ম্যাচের ডেডলক ভাঙা গোল আলি ফাসিরের। ১৮ মিনিটে ফাঁকায় হেড গোলে বাংলাদেশ দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন এই ফরোয়ার্ড। গোলকিপার মিতুলের তাকিয়ে থাকা ছাড়া যে গোলে করার ছিলনা কিছুই।
আরও পড়ুন
জয়ের লক্ষ্য রেখেই মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, বললেন কাবরেরা |
ঠিক পরের মিনিটে গোল শোধের সুযোগ পেলেও কাজের কাজ গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
২৯ মিনিটে ম্যাচে সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। হাফভলি বলে ফাহিমের চেষ্টা ছিক দেখার মতো। তবে এমন দারুণ শটেও আক্ষেপ বলের জাল খুঁজে না পাওয়া।
৩৪ মিনিটে আবারও সুযোগ বাংলাদেশের। রাকিবের বল দারুণভাবে ব্লক করেছেন মালদ্বীপ ডিফেন্ডার ইরুফান।
আরও পড়ুন
১ বছর ফুটবলের বাইরে থাকা মালদ্বীপকে আনছে বাংলাদেশ |
প্রথমার্ধের ঠিক আগে সোহেল রানার দারুণ সুযোগ ঠেকিয়ে দেন মালদ্বীপ গোলকিপার। প্রথমার্ধে দারুণ খেলা বাংলাদেশ কী পারবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে?
১৫ ঘণ্টা আগে
১৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে