১৩ মে ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
আইপিএলের সাময়িক বিরতি ও পরিবর্তিত সূচির কারণে বিদেশী খেলোয়াড়দের সময় মত পাওয়া নিয়ে সব দলই আছে চ্যালেঞ্জিং সময়েরর মধ্যে। তবে কিছুটা নির্ভার থাকতে পারে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। কারণ, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল সামনে থাকলেও আইপিএলের বাকি অংশ খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন দলটির দুই অজি তারকা প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেড, এমনটাই দাবি ইএসপিএনক্রিনইফোর।
পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে গত ৯ মে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে অধিকাংশ বিদেশী ক্রিকেটাররাই আইপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ভারত ছেড়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যান।
আরও পড়ুন
কোহলি : টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন! |
![]() |
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতি দেওয়ায় আগামী ১৭ মে থেকে আইপিএল পুনরায় শুরু হবে। ফলে সব দল নেমে পড়েছে দল গুছিয়ে নেওয়ার কাজে। তবে হায়দ্রাবাদের দুই ক্রিকেটার কামিন্স ও হেড ১১ জুন লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দলে থাকায় তাদের খেলা নিয়ে ছিল শঙ্কা।
তাছাড়া হায়দ্রাবাদ এরই মধ্যে প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ায় তারা ফাইনালের প্রস্তুতি রেখে আইপিএলে ফিরবেন কিনা, সেটাও ছিল দেখার বিষয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দুজনই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানিয়েছেন যে, তারা বাকি অংশ খেলতে ভারতে ফিরে যাবেন। কামিন্সের ম্যানেজার নীল ম্যাক্সওয়েল মঙ্গলবার বলেছেন,
“ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক হিসেবে প্যাটের একটি দায়িত্ব আছে। সে ফিরে আসার কথা ভাবছে।”
২০২৪ সালে রানার্সআপ হওয়া হায়দ্রাবাদ এবার ১১ ম্যাচে মাত্র তিনটি জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অষ্টম স্থানে রয়েছে। দলটির ম্যাচ বাকি আছে আর তিনটি, যা শেষ হবে আগামী ২৫ মে।
No posts available.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম
এশিয়া কাপে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। ঠিক উল্টো চিত্র ভারতের। এক ম্যাচ আগেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেছে সূর্যকুমার যাদবেল দল। আজ দুই দলের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই নিয়ম রক্ষার।
গুরুত্বহীন হয়ে পড়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহ পেয়েছে ভারত। অভিষেক শর্মার ফিফটির সঙ্গে তিলব বর্মার ৪৯ ও সঞ্জু স্যামসনের ৩৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেছে তারা। এবারের এশিয়া কাপে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা দলের এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ১৫ রানে শুবমান গিলকে ফেরান মাহেশ থিকশানা। এরপর লঙ্কান বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন দারুণ ছন্দে থাকা অভিষেক শর্মা। অন্যপ্রান্তে ছন্দের খোঁজে থাকা অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এই ম্যাচেও নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে এক উইকেটে ৭১ রান তুলে ভারত। এর মধ্যে ওপেনার অভিষেকের ব্যাট থেকেই আসে ৫১ রান। সপ্তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এলবিড্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার। এক চারে ১৩ বলে ১২ রান করেন তিনি।
দলীয় ৯২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। উড়তে থাকা অভিষেক শর্মার উইকেট তুলে নেন চরিত আসালাঙ্কা। ৮ চার, ২ ছয়ে ৬১ রান করা ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার এ নিয়ে টানা তিন ফিফটি করলেন।
১০ ওভারে ১০০ স্পর্শ করে ভারত। চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৬৬ রানের দারুণ জুটি গড়েন সঞ্জু স্যামসন-তিলক ভার্মা। ২৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা স্যামসন ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। ছয়ে নামা হার্দিক পান্ডিয়া ফেরেন ২ রান করেই। ভারতের সংগ্রহ এরপর দুইশো পার করেন তিলক বর্মা। ৩৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতের সংগ্রহ দুইশো ওপারে নিয়ে যান ১৫ বলে ২১ করা আকশার প্যাটেল।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নুয়ান থুশারা। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন এই পেসার।
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের পর সূর্যকুমার যাদব ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। তার এই মন্তব্যের কারণে ভারতীয় অধিনায়ককে আইসিসি তিরস্কার ও সতর্ক করা করেছে। আজ দুবাইয়ে শুনানিটি পরিচালনা করেন রিচি রিচার্ডসন ও স্যালি হিগিনস।
সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সাহিবজাদা ফারহান ও হারিস রউফ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করেন। তাদের অহেতুক কর্মকাণ্ডের জন্য আইসিসি শুনানির মুখোমুখি করেছে। শুনানিতে উভয়কে প্লেয়ার কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ও সতর্ক করা হয়।
আইসিসি বিশেষ করে রউফকে জরিমানা ও তীব্রভাবে তিরস্কার করেছে। তার জরিমানার সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ম্যাচ ফি’র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সুপার ফোর ম্যাচে রউফ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট নেওয়ার পর ‘৬-০’ আঙুল দেখান এবং ফাইটার জেট ধ্বংসের ভঙ্গি করেন। এগুলোকে উসকানিমূলক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে দেখা হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ফারহান ও হারিসের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে প্রতিক্রিয়ায় ফারহান জানান, এটি ছিল কেবল তার ব্যক্তিগত উদ্যাপন, অন্যরা কীভাবে নেবে সে ব্যাপারে তিনি বিচলিত নন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিসিবির নির্বাচন কমিশনের স্বাক্ষরিত খসড়া ভোটার তালিকায় ক্যাটাগরি-২ তে ঢাকার ৭৬টি ক্লাবের মধ্যে বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের ভোটারদের নাম ছিল না। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের রিপোর্টে ১৫টি ক্লাবকে ভোটার তালিকার বাইরে রাখা হয়েছিল।এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে কাউন্সিলর ফরম পূরণ করে বিসিবিতে প্রেরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্যাটাগরি-১ এ ৬টি জেলার ভোটারও ছিল শুণ্য। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে দিনব্যাপী শুনানীতে আপত্তি উন্থাপন করা ১৫টি ক্লাব ফিরে পেয়েছে ভোটাধিকার। নিধারিত সময়ের মধ্যে (২৩ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলারশিপ জমা দেয়নি বলে খসড়ায় নরসিংদী, সিলেট, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ এর ঘর ফাঁকা ছিল। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নরসিংদি ছাড়া উঠেছে বাকি পাঁচ জেলায় নাম!
বৃহস্পতিবার খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ পড়া ১৫টি ক্লাবের পক্ষে ঢাল হয়ে শুনানীতে দিয়েছিলেন তামিম বক্তব্য। সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন-
‘আমি ওনাদের স্পষ্টভাবে একটা জিনিস বলেছি যে দেখেন, এখানে ১৫টা ক্লাবের চেয়ে বড় বিষয় হলো আপনারা যে সিদ্ধান্তটা নিতে যাচ্ছেন না কেনো, আপনার ৩০০ ক্রিকেটারের কথা মাথায় রাখতে হবে। এই ১৫টা ক্লাব বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিত ক্রিকেট খেলে, খেলোয়াড়দের পেমেন্ট করে। ওই টাকা দিয়েই কিন্তু তাদের একটা বছরের ৭০-৮০% আয় হয়। তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারও জড়িত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। আপনাদের যদি কোনো আপত্তি থাকত, তাহলে আপনারা কাউন্সিলর ফর্মটা দিলেন কেন?’
তার এই বক্তব্য যৌক্তিক মনে করেছেন নির্বাচন কমিশন। দিয়েছে খসড়া ভোটার তালিকায় শুন্য থাকা ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম ওঠায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন বিসিবির বর্তমান পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না ওঠা ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমীর এই কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় উঠেছে। বিসিবির সাবেক পরিচালক এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াও এ যাত্রায় পেয়েছেন কাউন্সিলরশিপ। বাদ পড়া ১৫ ক্লাবের একটি নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স থেকে ভোটার হয়েছেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পর রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমীর পক্ষে কাউন্সিলর ফরম জমা দিয়ে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠা ফারুক আহমেদের ভোটাধিকার নিয়ে লিখিতভাবে আপত্তি উন্থাপন করেছিলেন ঢাকার ১২টি ক্লাব। তবে তাদের এই আপত্তি গৃহিত হয়নি। বিলম্বের সুনিদ্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করায় প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আছে ফারুক আহমেদের নাম। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ১৯২ জন ভোটারের নাম চূড়ান্ত করেছে বিসিবি।
এদিকে গঠণতন্ত্র মেনে বিসিবি প্রেরিত কাউন্সিলর ফরম পূরণ করে ক্যাটাগরি জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষর নিয়ে তা বিসিবিতে জমা দিয়েও লাভ হয়নি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলাও বিভাগ থেকে জমা পড়া ৫৩টি কাউন্সিলর ফরমের অধিকাংশ বাতিল করেছে বিসিবি। জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবও ক্রীড়া সচিবকে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দিয়েছেন চিঠি। সেই চিঠির আলোকে নতুন করে কাউন্সিলর মনোনীত করে তাদের পূরণকৃত ফরম বিসিবিতে প্রেরণ করেছেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ। ক্যাটাগরি-১ এ কাউন্সিলর মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির এমন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রীট পিটিশন করেছেন এই ক্যাটাগরির ৪ সংক্ষুব্ধ কাউন্সিলর। গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রীট ডিভিশনে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যকরিতার উপর ১৫দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারী করে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে বিসিবিকে। হাইকোর্টের এই আদেশ বহাল থাকেনি। ওই আদেশের অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে বিসিবি সভাপতির নির্দেশিত চিঠি অনুযায়ী জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহ থেকে দ্বিতীয় দফায় যাদেরকে কাউন্সিলল মনোনীত করা হয়েছে, ক্যাটাগরি-১ এ তাদের নাম বিসিবির খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিসিবির সভাপতির চিঠিতে বাদ পড়া জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিরা এখন সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের শুনানীর দিকে তাকিয়ে।
বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ অক্টোবর। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র বিতরণ ও রোববার ( (২৮ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনক্ষণ নির্ধারিত করা আছে।
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ফিফটি উদযাপনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। গত সপ্তাহে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে তাঁর ফিফটি উদযাপন নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করে ভারত। আজ আইসিসির শুনানিতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন, আইসিসির শুনানিতে পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা অতীত উদাহরণ টেনে বলেছেন, ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলিও এর আগে একই রকম বন্দুকের মতো অঙ্গভঙ্গি করে উদ্যাপন করেছেন। আরও যোগ করেন, একজন পাঠান হিসেবে এই ধরনের অঙ্গভঙ্গি তাদের অঞ্চলের সংস্কৃতির প্রকাশ, যা আনন্দের মুহূর্তে-এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানেও সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সাহিবজাদার ও হারিস রউফের ‘উস্কানিমূলক অঙ্গভঙ্গি’ নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করার পর ফারহান শুনানিতে হাজির হন। ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর এই অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি, যা পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেয়।
রউফও সমালোচনার মুখে পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট নেওয়ার পর তিনি ‘৬-০’ আঙুল দেখান এবং ফাইটার জেট ভূপাতিত করার ভঙ্গি করেন। এগুলোকে উস্কানিমূলক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ব্যাখ্যা করা হয়।
দুজন পাকিস্তানি খেলোয়াড়—ফারহান ও হারিস—আইসিসির কাছ থেকে জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। জরিমানার পরিমাণ ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, তবে স্থগিতাদেশ বা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই।
ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সেই ম্যাচে ফারহান ও হারিসের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে প্রতিক্রিয়ায় ফারহান জানান, এটি ছিল কেবল তার ব্যক্তিগত উদ্যাপন, অন্যরা কীভাবে নেবে সে ব্যাপারে তিনি বিচলিত নন।
এই ঘটনাগুলো আবারও সামনে এনেছে ক্রীড়াবিদদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে এমন অঙ্গভঙ্গি এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা। গতকাল বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে নিশ্চিত করেছে।
স্থগিত হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আজ আবার শুরু হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৭১ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা।
এদিন টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দৌরগোড়াতেই হোঁচট খায় ঢাকা। সে ধাক্কা সামাল দেন আরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন। দু’জনের দুই ফিফটিতে ১৭১ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। জবাবটা একদমই ভালো হয়নি রংপুরের। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে নাসির হোসেন-অনিক সরকাররা ছিলেন খোলসবন্দি। হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ১০০ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ছিল রান। ঢাকার শুরুটা খারাপ হলেও সমস্যা বুঝতে দেননি আরিফুল ইসলাম। ধাক্কা সামলে তিনিই দলকে টেনে তুলেন। ১০০ মিনিটের কাছাকাছি ক্রিজে থেকে ৪৫ বলে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৫৯ রান। বাউন্ডারি ছিল ৬টি, ছক্কা একটি।
ঢাকাকে দ্বিতীয় ফিফটি উপহার দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার বেশ আগ্রাসী ছিলেন আজ। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে ৩২ বলে করেন ৬৪ রান। চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন সমানতালে। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
আরিফুল দলকে টেনে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। সেটাকে পুঁজি করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করান মোসাদ্দেক।
রান তাড়ায় নেমে রংপুরের বেশিরভাগ ব্যাটার ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। নাইম ইসলাম কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত টিকেও ছিলেন। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে কেবল দলের পতন দেখে গেলেন তিনি। ওয়ানডাউনে নেমে অপরাজিত ছিলেন। দলের সর্বোচ্চ রানও তার। ৩৭ বলে এক চারে স্কোরকার্ডে জমা করেন ২৬ রান। শেষ দিকে আবু হাসিম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মোসাদ্দেক তাকে ফেরান ২৫ রানে।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি রিপন মন্ডল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে মোসাদ্দেক তোলেন এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা বিভাগ: ২০ ওভারে ১৭১/৩ (মোসাদ্দেক ৬৪*, আরিফুল ৫৯*; মুকিদুল ১/৬)।
রংপুর বিভাগ: ১৭.১ ওভারে ১০০/৯ (নাঈম ২৬*, হাশিম ২৫,; তাইবুর ৩/২২, রিপন ২/১১)।
ফল: ঢাকা বিভাগ ৭১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন।