২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩:০৬ পিএম
আন্তর্জাতিক বিরতির পর নতুন করে শুরুর বদলে হারতে হয়েছে আরেকটি ম্যাচে। প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন হারে নভেম্বরেই শিরোপার লড়াই থেকে বেশ পিছিয়ে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। আগামী সপ্তাহে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের কাছেও যদি পরাজিত হতে হয়, পয়েন্টের ব্যবধান বেড়ে যাবে আরও। দেয়ালে পিঠ যে থেকে গেছে দলের, সেটা অনুধাবন করতে পারছেন পেপ গার্দিওলাও। সিটি কোচের তাই অকপট স্বীকারোক্তি, আর্নে স্লটের দলের কাছে হারলে শেষ হয়ে যাবে তাদের শিরোপা ধরে রাখার আশা।
শনিবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আরেকটি ছন্দহীন পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে যায় সিটি। সব প্রতিযোগিতায মিলিয়ে এটি দলটি টানা পঞ্চম হার। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম টানা চার বা বেশি ম্যাচ হেরেছে সিটি। আর কোচিং ক্যারিয়ারে গার্দিওলা এমন হারের চক্রে ঘুরপাক খাওয়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন প্রথমবার। এমন অবস্থায় এক ম্যাচ কম খেলে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা লিভারপুলের কাছে হারলে কাজটা ভীষণ কঠিন হয়ে যেতে পারে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
আরও পড়ুন
সিটির টানা ৪ হারের কারণেই চুক্তি নবায়ন করেছেন গার্দিওলা |
![]() |
রোববারে ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনকে হারালে লিভারপুল আট পয়েন্ট এগিয়ে যাবে। আর মুখোমুখি লড়াইয়ে সিটিকে হারাতে পারলে ব্যবধান দাঁড়াবে ১১ পয়েন্টের। হতাশ গার্দিওলা তাই সব বাস্তবতা মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি রাখছেন।
“হ্যাঁ, এটা (লিভারপুলের কাছে হারলে শিরোপা লড়াই শেষ) সত্যি। আমরা শিরোপা জেতা বা হারানোর কথা ভাবছি না, মৌসুমের শেষে কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে ভাবার মতো পরিস্থিতিতে আমরা নেই। আমরা যদি শেষ পর্যন্ত না জিততে পারি, তার মানে আমরা এটা জেতার যোগ্য নই। আমরা অতীতে জিতেছি, কারণ আমাদের তা প্রাপ্য ছিল।”
অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সিটির প্রতিপক্ষ ফেইনুর্ডের। জয়ের ধারায় ফেরার পাশাপাশি বড় ম্যাচের আগে এই লড়াইয়ে ভালো খেলাটাও তাই গুরুত্বপূর্ণ সিটির জন্য।
আরও পড়ুন
পারলো না আর্সেনাল, চারে চার ম্যানচেস্টার সিটির |
![]() |
আর তাই আপাতত এই ম্যাচ নিয়েই বেশি চিন্তিত গার্দিওলা।
“আমাদের এখন যা করতে হবে তা হল, ফেইনুর্ডকে হারানো। এটাই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে এবং এরপর ধাপে ধাপে খেলোয়াড়রা আরও ভালো করবে।”
টানা পাঁচ ম্যাচে হারের এই চক্রে সিটি স্রেফ আক্রমণে নয়, রক্ষণেও বেশ ভুগছে। এই ম্যাচগুলোতে হজম করেছে ১৪ গোল। বিষয়টি অবাক করছে গার্দিওলাকেও।
“এটা স্পষ্ট যে, রক্ষণে আমরা এখন কিছুটা ভঙ্গুর। আমি কখনোই প্রিমিয়ার লিগে পরপর তিনটি ম্যাচ হারার কথা চিন্তাও করিনি। তবে আমরা এখন বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারি না। জীবনের মত ফুটবলেও মাঝে মাঝে এমন অনেক কিছুই ঘটে যায়।”
১ জুন ২০২৫, ৪:২৪ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্তার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির জয় নিশ্চিতের আগে থেকেই ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়েছিল সহিংসতা। প্রথমবারের মত এই শিরোপা জয়ে আনন্দ উদযাপন এক পর্যায়ে দেশটিতে সীমা ছাড়িয়ে গেছে। উদযাপনের এই আবহে দেশজুড়ে অস্থিরতা দেখা দিলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে দুজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
আর নাশকতার দায়ে ৫৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ইন্তারকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হয়েছে পিএসজি। সেটা উদযাপন করতে গিয়ে প্যারিস সহ পুরো ফ্রান্সেই আতশবাজি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থির হয়ে যায়। ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন দাঙ্গায় ২০০টিরও বেশি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিহাস গড়ার : এনরিকে |
![]() |
দক্ষিণ ফ্রান্সের দেক্স শহরে ছুরিকাঘাতে ১৭ বছর বয়সী একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর গ্রেনোবলে মধ্যরাতের পর উদযাপনের সময় একটি পরিবারের চারজন সদস্য গুরুতর আহত হন। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মিউনিখের অ্যালিয়ান্জ অ্যারেনায় ফাইনাল শেষ হতেই রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলসহ বিভিন্ন শহরে উল্লাস করতে জনতা রাস্তায় নেমে আসে। উদযাপনের শুরুতে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করা হলেও দ্রুতই তা রূপ নেয় বিশৃঙ্খলায়। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
পিএসজির ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে ম্যাচের পর ভক্তদের প্রতি জানান আকুতি।
“আমাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় অবশ্যই প্যারিসের জন্য একটা বিশেষ মুহূর্ত। তবে আমি বলতে চাই, আমরা উদযাপন করি, তবে প্যারিসকে যেন ধ্বংস না করি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার মাঝে ফেলে রাখা অসংখ্য বাইকে আগুন জ্বলছে, আবার আতশবাজি ছোঁড়া হচ্ছে ভীড়ের মাঝখানেই। এছাড়া প্যারিসের রিং রোডের সামনে পুলিশের সঙ্গে ভক্তদের সংঘর্ষের ঘটনাও ভিডিওতে ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন
হারলেও ইন্তারের নিবেদন নিয়ে গর্বিত ইনজাগি |
![]() |
ফ্রান্স সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্যারিস জুড়ে প্রায় ৫ হাজার ৪০০ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে। দেশটির প্রশাসন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং উদযাপনের নামে সব ধরণের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।
তারকার হাট বসিয়েও বছরের পর বছর যার দেখা পায়নি, দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই পিএসজিকে সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন লুইস এনরিকে। একটা তারকাহীন, তরুণ দল নিয়েই তিনি চমক দেখিয়ে করেছেন বাজিমাত। এর রহস্য কী? পিএসজি কোচ জানালেন, ইতিহাস গড়ার বাসনাই তাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
ইন্তার মিলানের সাথে ফাইনালের আগেও অবশ্য ইতিহাস গড়ার কথা বলেছিলেন এনরিকে। কারণ, তিনি আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেলেও পিএসজির জন্য তা এতদিন ছিল অধরাই। তবে যাদুর পরশে প্যারিসের ক্লাবটিকে বদলে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সাথে রেকর্ড গড়েছেন ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল জয়ের মধ্য দিয়েও।
আরও পড়ুন
আবেগময় ম্যাচে মেয়ের হয়েও শিরোপা জিতলেন এনরিকে |
![]() |
ফাইনালে ৫-০ গোলে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত এনরিকে মনে করেন, চাপের মুহূর্তে ভেঙে না পড়াই তার দলের মূল শক্তির জায়গা।
“আমি মনে করি মৌসুমের শুরু থেকেই ইতিহাস গড়াই ছিল আমাদের লক্ষ্য। তখন থেকেই আমি খেলোয়াড় আর সমর্থকদের সাথে একটা গভীর সম্পর্ক অনুভব করেছিলাম। এটা ছিল খুব মজবুত একটা সম্পর্ক, যা পুরো মৌসুমজুড়েই ছিল আমাদের চলার পথের শক্তি। আমরা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত এবং চাপকে সবচেয়ে ভালোভাবে সামলাতে পেরেছি বলেই ধরা দিয়েছে এই সাফল্য।”
ফাইনালে ইতিহাস গড়েছেন এনরিকেও। পেপ গার্দিওলার পর মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জেতার কীর্তি এখন তার। এর আগে তিনি ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে। আর এবার দায়িত্ব নিয়েই উঠলেন নতুন উচ্চতায়।
তারকা ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির কাছে এনরিকে তাদের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারিগর।
“আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা সবাই মিলে একটা দারুণ পরিবার তৈরি করেছি। লুইস এনরিকে পিএসজিতে সবকিছু রাতারাতি বদলে দিয়েছেন। তিনি আসার পর থেকে আমাদের ফুটবল দেখার দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে গেছে। তিনি একজন বিশ্বস্ত মানুষ, এই সাফল্য তারই সবচেয়ে বেশি প্রাপ্য।”
বার্সেলোনাকে যে দলটি সেমিফাইনালে হারের দুয়ার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হারিয়ে দিতে পারে, ফাইনালে তাদের কাছ থেকে তো প্রত্যাশা বেশিই থাকবে। তবে বিস্ময়করভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মৌসুমে নিজেদের সবচেয়ে বাজে ফুটবল খেলে পিএসজির কাছে স্রেফ উড়ে গেছে ইন্তার। হতাশ কোচ সিমোনে ইনজাগি বললেন, হারলেও খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব হচ্ছে তার।
২০২৩ সালেও ফাইনালে খেলেছিল। সেবার মাত্র ১-০ গোলে হেরেছিল ইন্তার, সাথে উপহার দিয়েছিল দারুণ লড়াই। তবে এবারের ফাইনালে পিএসজির সামনে পাত্তাই পায়নি ইতালিয়ান ক্লাবটি। ২০ মিনিটে ২ গোল হজমের পর শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৫-০ গোলে। ভাগ্য খারাপ হলে ব্যবধান আরও বড় হতেও পারত।
আরও পড়ুন
পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর ফ্রান্সে সহিংসতা, নিহত ২ |
![]() |
ম্যাচের পর ইনজাগির কণ্ঠে ফুটে উঠল সেরা না খেলার আক্ষেপ।
“যোগ্য দল হিসেবেই পিএসজি এই ম্যাচ এবং ট্রফি জিতেছে। আমরা হতাশ, তবে এই পর্যন্ত আসার পথটাও দুর্দান্ত ছিল। আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। প্যারিস বারবার বলের দখল নিয়েছিল। আমরা কোনো ট্রফি জিতিনি, কিন্তু এই দলের কোচ হতে পেরে আমি গর্বিত।”
ইন্তার এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮টি ম্যাচ খেলেছে ইন্তার। সেরি আয় শেষ দিন পর্যন্ত লড়তে হয়েছে সেরা চারে থাকার জন্য। অন্যদিকে পিএসজি অনেক আগেই লিগ ওয়ান জিতে যাওয়ায় নিজেদের শেষের দিকে ম্যাচে খেলোয়াড়দের বাড়তি বিশ্রাম দিতে পেরেছিল।
ইনিজাগি মনে করেন, খেলোয়াড়দের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না তার দলের।
“আমরা এখানে আসার জন্য যা যা করার দরকার ছিল, তার সবটাই ঢেলে দিয়েছি। আমরা দুঃখিত, হতাশ। তবে খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। আমাদের এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে।”
পিএসজির দায়িত্ব নিয়ে শুনিয়েছিলেন শহর হিসেবে প্যারিসের প্রতি ভালোবাসা আর আবেগের কথা। যেখানে লুইস এনরিক স্মরণ করেন তার প্রয়াত কন্যা এক্সানার কথা, যিনি মাত্র ৯ বছর বয়সে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। মেয়ের জন্য তাই পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে চেয়েছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ। শেষ পর্যন্ত প্রথম মৌসুমেই সেটা অর্জন করেছেন এনরিকে, যা তার পাশাপাশি পুরো মিউনিখের অ্যালিয়ান্জ অ্যারেনায় তৈরি করে অন্যরকম আক আবহ।
ঘটনাটির প্রেক্ষাপট জানতে ফিরে যেতে হবে ২০১৫ সালে। সেবার বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় এনরিকে তার মেয়ে এক্সানাকে নিয়ে মাঠে উদযাপন করেছিলেন। সেখানে এক পর্যায়ে এক্সানা মাঠে বার্সেলোনা পতাকা গেঁথে দেন, যা পরে হয়ে ওঠে ফুটবলের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত।
আরও পড়ুন
আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিহাস গড়ার : এনরিকে |
![]() |
কারণ, এর চার বছর পর ২০১৯ সালে ৯ বছর বয়সে এক্সানা হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কন্যার মৃত্যুর শোকে এনরিকে ছেড়ে দেন স্পেন জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে আসেন।
বিরতি কাটিয়ে আবার কোচিংয়ে ফেরা এনরিকে এই মৌসুমে নেন পিএসজির দায়িত্ব। ইন্তার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে বলেন,
“আমার কাছে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বার্লিনে তার (এক্সানা) অসাধারণ একটা ছবি আছে, যেখানে সে বার্সেলোনা পতাকা গেঁথে দিচ্ছে। আমি আশা করি পিএসজির হয়েও আমি সেই কাজটা করতে পারব। শারীরিকভাবে সে মাঠে না থাকলেও মিশে থাকবে আমার আত্মায়।”
কথা রাখেন এনরিকে। ফাইনালে ইন্তারকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে পিএসজি। ম্যাচের পর এনরিকে তার প্রয়াত মেয়ের স্মরণে একটি বিশেষ টি-শার্ট পরেন, যেখানে ২০১৫ সালের এক্সানার সেই বার্সেলোনার পতাকা গেঁথে দেওয়ার ছবি ছিল।
পিএসজির সমর্থকরাও ধারণ করেন এক্সানাকে। স্টেডিয়ামের একটা অংশে তারা তুলে ধরে এনরিকে ও এক্সানার ২০১৫ সালের ফাইনালের সে ছবিটির বিশাল এক পোস্টার, যা সামাজিক যোগাযোগধ্যমে প্রশংসা কুড়াচ্ছে বেশ।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলছে অক্লান্ত প্রচেষ্টা। সেই ডেভিড বেকহ্যাম থেকে শুরু করে লিওনেল মেসি, কে না খেলেছেন পিএসজির জার্সিতে! তারকার হাট বসেছিল কোচদের ক্ষেত্রেও। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর জয় করা হচ্ছিল না দলটির। অবশেষে তারুণ্য নির্ভর একটি দল নিয়ে বাজিমাত করলেন লুইস এনরিকে, প্যারিসের ক্লাবটিকে দিলেন পরম অধরা এক শিরোপা জয়ের স্বাদ।
রোববার রাতের একচেটিয়া ফাইনালে ইন্তার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে পিএসজি। ম্যাচে দুটি গোল করে একটি গোল করিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফ্রান্স উইঙ্গার ডেজিরে দুয়ে।
আরও পড়ুন
আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিহাস গড়ার : এনরিকে |
![]() |
ইতিহাসের অংশ হতে পেরে ম্যাচ শেষে বাধভাঙ্গা উল্লাস ফুটে উঠল তার কণ্ঠে।
“বলে বোঝাতে পারব না কেমন লাগছে। আমাদের কাছে এটাই সব। সমর্থকরাই আমাদের এই শিরোপা জেতার মূল প্রেরণা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করাটা ছিল আমাদের একটা স্বপ্ন। এটা আমারও স্বপ্ন, সত্যি বলতে পুরো দলের সবারই স্বপ্ন ছিল এটা জেতা। এটা এক অবিশ্বাস্য অনুভূতি। এই ফলাফল কোনো যাদুবল আসেনি। আমাদের দলটা দুর্দান্ত, আর এইভাবে জয় পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার।”
ইন্তারকে ফাইনালে স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেয়েছে পিএসজি। ক্লাবের এই ঐতিহাসিক অর্জনে পথ ধরে ইতিহাস গড়েছেন কোচ এনরিকেও। পেপ গার্দিওলার পর ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জেতার কীর্তি এখন তার।
দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই এই সাফল্যে এনরিকে দেখছেন নতুন সম্ভাবনা।
“এই শিরোপা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার একটা ফল। এটা তো কেবল শুরু। তরুণদের নিয়ে গড়া এই দলটি ক্লাবে একটা নতুন যুগের সূচনা করেছে। আসি আশাবাদী, পিএসজির সামনে অপেক্ষা করছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।”
১২ ঘণ্টা আগে
১২ ঘণ্টা আগে
১৮ ঘণ্টা আগে
১৯ ঘণ্টা আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে