ক্রিকেটের ক্যান্সার বলা যায় ম্যাচ ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিংকে। সেটি এখন এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, স্থানীয় টুর্নামেন্টে ফিক্সিং করতেও ১ কোটি টাকার প্রস্তাব দিতে পিছপা হয় না জুয়াড়িরা।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ (ইউপি) টি-টোয়েন্টি লিগে। কাশি রুদ্র দলের ম্যানেজার অর্জুন চৌহানকে ইন্সটাগ্রামে ১ কোটি রুপির প্রস্তাব দিয়েছেন একজন জুয়ারি। বিপরীতে তার দাবি ছিল, ম্যাচে তার চাহিদা অনুযায়ী খেলতে হবে ক্রিকেটারদের।
এই বিষয়ে দেরি না করে থানায় অভিযোগ করেন অর্জুন। পরে মামলা দায়ের করে সুশান্ত গলফ সিটি থানা পুলিশ। অভিযোগে অর্জুন বলেন, প্রস্তাবে রাজি হলে ডলারের মাধ্যমে পুরো অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে তাকে।
আরও পড়ুন
ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব, শেষ বলে জিতল দল |
![]() |
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ইন্সটাগ্রামে '@vipss_nakrani' নামের একটি আইডি থেকে ১ কোটি রুপির বিনিময়ে একজন ক্রিকেটারকে চাহিদামতো পারফর্ম করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এতে রাজি হলে ৫০ লাখ রুপি কমিশনের লোভও দেখান ওই ব্যক্তি।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ভয়েস কল ও বার্তার মাধ্যমে ওই জুয়াড়ি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিতে যোগাযোগ করেন। তা কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া প্রস্তাব দেওয়া ওই ব্যক্তি বারবার জোর দিয়ে বলেন যে, ম্যাচের ফলাফল যদি তার ইচ্ছেমতো হয়, তাহলে ম্যাচের পরেই খেলোয়াড়দের মার্কিন ডলারে অর্থ পরিশোধ করে দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে অর্জুনের সঙ্গে জুয়াড়ির কথোপকথনের স্ক্রিনশট, বার্তা ও ভয়েস সংগ্রহ করে এজাহারের সঙ্গে জমা দিয়েছে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। তারা যাচাই-বাছাইয়ের পর এমন সিদ্ধান্তে এসেছে যে, ম্যাচ ফিক্সিং ও অবৈধ বাজির জন্য এটি একটি পরিকল্পিত অপরাধমূলক চক্রান্ত।
গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছে ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগের খেলা। এর পর্দা নামবে শনিবার। টুর্নামেন্টে খেলছেন ভারত জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ভুবনেশ্বর কুমার, রিংকু সিংরা।
No posts available.
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:১৫ পিএম
অক্টোবরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) ২০২৫-২৭ চক্রের প্রথম সিরিজ খেলবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফর করবে প্রোটিয়ারা।
টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এ মাঠে তিন বছরেরও বেশি সময় পর আবার টেস্ট ফিরছে। এ বছরের শুরুর দিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভেন্যুটি নতুন করে সংস্কার করা হয়, তারপরই এটিই হবে প্রথম টেস্ট আয়োজন।
আরও পড়ুন
ড্র-ই ম্যাচের ন্যায্য ফল, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
১২ অক্টোবর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। জুনে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অভিযান লাল বলে। পাকিস্তানের জন্যও এটি নতুন চক্রের প্রথম সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যেখানে সম্প্রতি সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে। তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে এ মাঠেই। ২০০৮ সালের পর এবারই প্রথম ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিরছে। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সিরিজে দুটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সীমান্ত উত্তেজনার কারণে সূচি বদলে গিয়েছিল, ফলে ভেন্যুটি খালি পড়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা এই সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৮ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে। এরপর লাহোরে হবে বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ ফয়সালাবাদে- ৪, ৬ ও ৮ নভেম্বর।
আরও পড়ুন
লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় জিম্বাবুয়ের |
![]() |
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী সুমাইর আহমেদ বলেন,
‘আমরা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭ অভিযাত্রার প্রথম সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছি। বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে শুরু হওয়া নতুন চক্র আমাদের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের জন্য উচ্চমানের ক্রিকেট উপহার দেবে।’
পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সূচি:
অক্টোবর ১২-১৬ – প্রথম টেস্ট, লাহোর
অক্টোবর ২০-২৪ – দ্বিতীয় টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডি
অক্টোবর ২৮ – প্রথম টি-টোয়েন্টি, রাওয়ালপিন্ডি
অক্টোবর ৩১ – দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, লাহোর
নভেম্বর ১ – তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, লাহোর
নভেম্বর ৪ – প্রথম ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৬ – দ্বিতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৮ – তৃতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেসেখেলে জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা পরের ম্যাচেই দেখল বড় হার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে লঙ্কানরা। সফরকারীদের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সংস্করণে জিম্বাবুয়ের এটি দ্বিতীয় জয়।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৮০ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা করা কঠিনই। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেলেও ৩৪ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। শেষ ম্যাচ এখন অলিখিত ফাইনাল। এই বছর আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদও পেল জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
নেপালের সঙ্গে ড্র করল বাংলাদেশ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ছোট লক্ষ্যকে কঠিন বানিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। তারপর ব্রায়ান বেনেট-রায়ান বার্লের ২৬ রানের জুটি ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেয়। ১৯ রান করে বেনেট ফিরলেও ২২ বলে ২০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বার্ল। ছয়ে তাসিঙ্গা মুসেকিউয়া খেলেন ১৪ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লঙ্কান পেসার দুশমান্ত চামিরা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং ধসে ১৭.৪ ওভারে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানের পর এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোনিম্ন স্কোর। বল হাতে ছড়ি ঘুরান সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভান্স। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। আর ২.৪ ওভারে ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
রাজার ঘূর্ণির কবলে সর্বনিম্ন রানের নতুন রেকর্ড শ্রীলঙ্কার |
![]() |
ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।
শুরুটা করেন ব্লেসিং মুজাবারানি। তারপর আক্রমণে যোগ দেন সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভানস। জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রাজার স্পিন বিষে নীল হতে হলো সফরকারী ব্যাটারদের।
হারারাতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ধসে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এই সংস্করণে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ল লঙ্কারা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রান তাদের সর্বোনিম্ন স্কোর। এবার অবশ্য ৩ রান বেশি করে নিজেদের সর্বনিম্ন রেকর্ড অক্ষত রাখলো চরিত আসালাঙ্কার দল। মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকট।
আরও পড়ুন
আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য লড়ে যাবেন জোকোভিচ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বত্বিতে নেই জিম্বাবুয়েও। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ রান তুলতে ২ উইকেট খুইয়েছে তারা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না শ্রেয়াস আইয়ারের। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে ভালো পারফর্ম করেও এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাননি। এবার তাঁর জায়গা হলো ভারতের 'এ' দলে। আইয়ারকে অধিনায়ক করে অষ্ট্রেলিয়ার 'এ' দলের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। লখনৌতে দুই দল খেলবে চার দিনের দুটি ম্যাচ।
৩০ বছর বয়সী আইয়ার জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৪ টেস্ট খেলে করেছেন ৮১১ রান। আইয়ারের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার এই সিরিজ একটি সুযোগও বলা যায়। ২০২৪-২০২৫ রঞ্জি ট্রফিতে ৫ ম্যাচে ৪৮০ রান করেন আইয়ার। তাঁর নেতৃত্বে ২০২৫ আইপিএলে রানার্সআপ হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৬০৩ রান।
আরও পড়ুন
এশিয়ান কাপে খেলার আশা শেষ বাংলাদেশের |
![]() |
এদিকে প্রসিধ কৃষ্ণা, সাই সুদর্শন ও অভিমন্যু ইশ্বরন খেলেছিলেন অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে। তাঁদেরকেও 'এ' দলে রাখা হয়েছে। এন জগদীশানকে শেষ টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডে ডাকা হয়েছিল, তিনিও রয়েছেন এই স্কোয়াডে। নীতিশ কুমার রেড্ডি ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট খেলেছিলেন। তারপর চোটের কারণে তিনি মাঠের বাইরে চলে যান, তিনিও ফিরছেন চোট কাটিয়ে।
প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। অষ্ট্রেলিয়া 'এ' দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচের দলে যোগ দেবেন কেএল রাহুল ও মোহাম্মদ সিরাজ। যদিও বিসিসিআই উল্লেখ করেনি তাঁরা কোন দুই খেলোয়াড়ের পরিবর্তে খেলবেন।
ভারত ‘এ’ দল: শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), অভিমন্যু ইশ্বরন, এন জগদীশান (উইকেটকিপার), সাই সুদর্শন, ধ্রুব জুরেল (সহ-অধিনায়ক), দেবদূত পাডিকাল, হর্ষ দুবে, আয়ুশ বাদোনি, নীতিশ কুমার রেড্ডি, তানুশ কোটিয়ান, প্রসিধ কৃষ্ণা, গুরনূর ব্রার, খলিল আহমেদ, ইয়াশ ঠাকুর, মানব সুথার।
দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্ত হবেন: কেএল রাহুল ও মোহাম্মদ সিরাজ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ডের সংবিধান ও নিয়মাবলীর অধীনে নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিশন।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনকে করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বাকি দুই নির্বাচন কমিশনের সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মো. সিবগাত উল্লাহ। নাম ঘোষণা না হলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কমিশনের তৃতীয় সদস্য।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হবেন কে |
![]() |
পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তারিখ অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা ও ৫ম অধ্যায় অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নিয়মাবলি প্রণয়ন, তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ এবং সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।
বিসিবির সংবিধান অনুযায়ী, ঢাকা ভিত্তিক ক্লাবগুলো (ক্যাটাগরি-১) থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন ৭৬ জন ক্লাব কাউন্সিলরের মাধ্যমে।
ক্যাটাগরি-২, যেখানে আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি থাকে, সেখান থেকে আট বিভাগ ও ৬৪ জেলার কাউন্সিলরের ভোটে ১০টি পদ পূরণ হয়।
ক্যাটাগরি-৩ এ ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটায় একজন পরিচালক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত হন দুই পরিচালক। এভাবে ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। তারপর বোর্ড পরিচালকেরা মিলেই সভাপতি নির্বাচন করেন।