অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে পারত ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে। তবে নাটকীয়ভাবে সেটা আর জেতা হয়নি শেষ পর্যন্ত। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নপূরণ হয়েছে প্রথমবারের মত ফিফা দ্য বেষ্ট হওয়ার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের সেরা এই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের দোলা খেলে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল তারকা হৃদয়ে। নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরা বলার এই অনুভূতি প্রকাশে তাই আবেগীই হয়ে গেলেন ভিনিসিয়ুস।
গত মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ভিনিসিয়ুস। পার করেন ব্যক্তিগতভাবে সেরা মৌসুম। তবে কোপা আমেরিকা ভালো না কাটায় ফেভারিট থেকেও শেষ সময়ে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রির কাছে হেরে যান সেরার লড়াইয়ে। ফিফার দ্য বেস্টে সেই রদ্রিকে পেছনে ফেলেই বর্ষসেরা হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন
‘ফিফা দ্য বেস্টই সবার সেরা, কারণ এখানে নিরপেক্ষতা থাকে’ |
![]() |
অবশেষে কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি পেয়ে তাই খুশির সীমা নেই আর ভিনিসিয়ুসের। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে বিশাল এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। “আজ আমি সেই ছেলেটির কাছে লিখছি, যে কিনা তার অনেক আইডলকে এই ট্রফি জিততে দেখেছে... এবার তার সময় এসেছে। অথবা বলার সময় হয়েছে যে, আমার সময় এসে গেছে। হ্যাঁ, আমি এখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এবং আমি এটার জন্য কঠোর লড়াই করেছি।”
ভিনিসিয়ুসের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে তার প্রতিভা তো বটেই, বড় অবদান রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদও। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাকে রেকর্ড ফি দিয়ে কেনার পর বছরের পর তাকে সময় দিয়েছে খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য। ভুলের পর ভুল করলেও তার ওপর আস্থা হারায়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্ট বাদে দ্য বেষ্ট জিতে মঞ্চেও রিয়ালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ভিনিসিয়ুস। “আমি (রিয়াল সভাপতি), ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, (রিয়ালের লাতিন অঞ্চলের স্কাউট) জোসে অ্যাঞ্জেল সানচেজ এবং (কোচ) কার্লো আনচেলত্তিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার বয়স যখন মাত্র ১৬ বছর, তখন থেকে তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আরও অনেকদিন খেলা চালিয়ে যেতে চাই, এটাই বিশ্বের সেরা ক্লাব।”
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসই জিতলেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ খেতাব |
![]() |
ছোট এই ক্যারিয়ারে ভিনিসিয়ুসকে যেতে হয়েছে মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা উথান-পতনের মধ্য দিয়ে। গত কয়েক বছরে যেখানে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে স্পেনের মাঠগুলোতে তার নিয়মিতই বর্ণবাদের শিকার হওয়ার ঘটনা। মাঠের বাইরেও তাই ভিন্ন এক লড়াইয়ে শামিল রয়েছেন সময়ের সেরা অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
সেই কারণেই হয়ত আবেগ যেন দ্য বেষ্ট জেতায় আবেগ যেন একটু বেশি ছুয়ে গেল ভিনিসিয়ুসকে। “তারা আমাকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে, আমাকে ছোট করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা এই জবাবের জন্য প্রস্তুত নয়। কিসের জন্য আমাকে লড়তে হবে বা আমার কেমন আচরণ করা উচিত, সেটা কারও আমাকে বলে দিতে হবে না। আমি এই খেতাব নিজের জন্য, আমার পরিবারের জন্য জিতেছি। সাথে এই পথচলায় যারা আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছে তাদের জন্যও : ফ্ল্যামেঙ্গো, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল জাতীয় দল ও বছরের পর বছর ধরে একসাথে খেলা আমার শত শত সতীর্থ, যারা প্রতিদিন আমাকে সঙ্গ দেয়, আমার প্রশংসা করে।”
২৪ মে ২০২৫, ১:০০ পিএম
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে যখন নাপোলিতে নাম লেখান, তখন সমর্থকদের মাঝেও তাকে নিয়ে ছিল না তেমন প্রত্যাশা। তবে ক্লাবটির রোমাঞ্চকর সেরি আ জয়ে অবদান রেখে রীতিমত হিরো বনে গেছেন স্কট ম্যাকটমিনে। ভক্তরা তাকে আপন করে নিয়েছেন তাদের হৃদয়ে। এই ভালবাসায় আপ্লুত স্কটিশ এই মিডফিল্ডার। নিজে মৌসুম সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেও কৃতিত্ব ভাগাভাগি করেছেন স্কোয়াডের সবার সাথেই।
শুক্রবার রাতে সেরি আ-এর জন্য ছিল অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার মঞ্চ। শেষ রাউন্ডে এসেও যে শিরোপার জন্য সমানে সমান লড়ে যাচ্ছিল নাপোলি ও ইন্তার মিলান। তবে কাগলিয়ারির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে আর্জেন্টিনা গ্রেট দিয়েগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব। আর ৩৪টি লিগ ম্যাচে ১২টি গোল ও ৬টি অ্যাসিস্ট করে নাপোলির চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বড় অবদান রেখেছেন ম্যাকটমিনে।
ম্যাচের পর সাবেক ইউনাইটেড মিডফিল্ডার জানালেন, দল হিসেবেই তাদের মিলেছে এমন সাফল্য।
“এই দলের প্রতিটি খেলোয়াড় যেসব ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য। ভক্তদের এটা পাওনা ছিল, কারণ শুরু থেকেই তারা আমাদের পাশে ছিল। এই ক্লাবে এসে এসব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়া আমার জন্য একটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার।"
পুরো মৌসুমের পর ফাইনালেও আলো ছড়ান ম্যাকটমিনে, একটি গোল করেন দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকের মাধ্যমে। মূলত তার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কারণেই গত জানুয়ারিতে খভিচা খভারাতসখেলিয়া পিএসজিতে পাড়ি জমানোর পরও সেভাবে এর প্রভাব পড়েনি নাপোলির খেলায়।
এমন একটি মৌসুমের পর নাপোলির সমর্থকদের কাছে বেড়েছে তার কদর। তাকে তারা এখন ডাকছেন ‘ম্যাকফ্রাতম’ নামে, যা তার নাম ও ‘ফ্রাতম’ এর নাপোলিয়ান ভাষায় ‘আমার ভাই’ এর সংমিশ্রণ।
সমর্থকের এই ভালোবাসা ছুঁয়ে যাচ্ছে ম্যাকটমিনেকেও।
“আমার ইতালিয়ান ভাষা মোটামুটি ঠিকই আছে। কিছুটা বুঝতে পারি, কিন্তু বলাটা সহজ নয়। যারা ইংরেজি ভালো বলতে পারে না, তাদের সাথে কথা বলাটা কিছুটা সহজ। আমি এখানে অনেক ভালোবাসা অনুভব করি।”
লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটানোর স্বীকৃতি হিসেবে সদ্যই জিতেছেন ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর ‘মৌসুম সেরা ফুটবলার’ পুরস্কার। তবে মোহামেদ সালাহর নজর আরও বড় খেতাবের দিকে। মিশর তারকা মনে করেন, এই বছর ব্যালন ডি’অর জেতার ভালো সম্ভাবনাই আছে তার।
২০২৪-২৫ মৌসুমে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় পার করেছেন সালাহ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩টি গোলের পাশাপাশি করেছেন ২৩টি অ্যাসিস্টও। আর প্রিমিয়ার লিগে ২৮ গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে আছেন সবার চেয়ে এগিয়ে। লিভারপুলের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড রেখেছেন বড় ভূমিকা।
আরও পড়ুন
মৌসুম সেরা ফুটবলারের খেতাব জিতলেন সালাহ |
![]() |
এসবের কারণে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষিত হতে যাওয়া ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হিসেবে নিজের সুযোগ দেখছেন সালাহ, নিজেই জানিয়েছেন স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
“আমার তো মনে হয় না এমন একটা মৌসুম আমার আগে কেটেছে। বড় শিরোপা জিতলাম, সাথে ছিল ব্যক্তিগত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। তাই আমি বলব এটাই এই ক্লাবে থাকাকালীন সময়ে আমার এটা (ব্যালন ডি’অর) হেতার সেরা সুযোগ। কারণ, আমার জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য একটা মৌসুম, সাথে ছিল ট্রফি জেতা। তাই আমার মনে হয় এটা আমার জন্য ভালো সুযোগ বয়ে এনেছে।”
৩২ বছর বয়সী সালাহ গত এপ্রিলে অ্যানফিল্ডে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে তিনি এখন পর্যন্ত কখনই ব্যালন ডি’অর বা ফিফার দ্য বেষ্ট-এর একটিও জেতেননি। এবার অন্যতম ফেভারিট হলেও তাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দিতার মুখোমুখি হতে হবে বার্সেলোনার লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার সাথে।
কারণ এই দুজনও পার করেছেন নিজ নিজ ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম। যেহেতু গত মৌসুমের পারফরম্যান্স ব্যালন ডি’অর বিজয়ী নির্বাচনে রাখবে মূল ভূমিকা, তাই সালাহকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাবেন তারা। কেননা বার্সেলোনা এবার লা লিগা সহ জিতেছে আরও দুই ঘরোয়া শিরোপা।
আরও পড়ুন
মুগ্ধতা আর সম্মানে মদ্রিচকে স্মরণ জিদান-রোনালদো-এমবাপের |
![]() |
সালাহর স্বপ্নপূরণের পথে বাঁধা হতে পারেন উসমান দেম্বেলেও। ফরাসি এই ডিফেন্ডার পিএসজির হয়ে দারুণ এক মৌসুম কাটাচ্ছেন (৩২ গোল, ৭ অ্যাসিস্ট)। এরই মধ্যে জিতেছেন লিগ ওয়ান। তার ক্লাব যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে ফরাসি এই উইঙ্গারের সম্ভাবনাও বেশ বেড়ে যাবে।
মৌসুম শেষেই রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়বেন কার্লো আনচেলত্তি, নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার এসেছে ক্লাবের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বিদায় বেলায় আবেগ ধরে এসেছে অভিজ্ঞ এই কোচকে। বরাবরই রিয়ালের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা প্রকাশ করা আনচেলত্তি বললেন, স্প্যানিশ ক্লাবটির সাথে তার সম্পর্ক অটুট থাকবে আজীবন।
আগামী শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়েদারের লা লিগা ম্যাচ দিয়েই শেষ হবে আনচেলত্তির রিয়াল অধ্যায়। দ্বিতীয় মেয়াদে মাদ্রিদের দলটির দায়িত্ব নিয়ে জিতেছেন দুটি করে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ আরও কিছু শিরোপা। তবে এই মৌসুমে শিরোপাহীন থাকায় চুক্তির এক বছর বাকি থাকতেই তাকে ছেড়ে দিচ্ছে রিয়াল। আর আনচেলত্তির পরবর্তী ঠিকানা হতে যাচ্ছে ব্রাজিল জাতীয় দল।
তার আগে শুক্রবার বিশাল এক বিবৃতিতে রিয়ালের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন আনচেলত্তি।
“আজ আমরা আবার আলাদা পথ ধরতে যাচ্ছি। আজ আবার আমি হৃদয়ে ধারণ করছি প্রতিটি মুহূর্ত, যা রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে এই অসাধারণ দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমি পেয়েছি। এটা ছিলো অবিস্মরণীয় একটা সময়, আবেগময় এক অসাধারণ পথচলা। সময়টা ছিল শিরোপা, অর্জন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা হল… ক্লাবের ব্যাজকে প্রতিনিধিত্ব করার গর্বে পরিপূর্ণ। আমরা একসাথে যা যা অর্জন করেছি, তা মাদ্রিদিস্তাদের স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন থাকবে। আর এটা শুধু জয়ের কথাই নাই, জয়গুলো যেভাবে ধরা দিয়েছিল সেইসব মুহূর্তও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সেই জাদুকরী রাতগুলো ইতোমধ্যেই ফুটবল ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে গেছে।”
২০১৩ সালে প্রথমবার রিয়ালের কোচ হন আনচেলত্তি। তার হাত ধরেই রিয়াল জেতে ক্লাবটির দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, যা ‘লা দেসিমা’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে তার অর্জনের খাতা। তার ওপর দুই দফায় আস্থা রাখার জন্য রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেল আনচেলত্তির কণ্ঠে।
“ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, ক্লাব, আমার খেলোয়াড়, আমার স্টাফদের। আর সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা জানাই এই ক্লাবের দুর্দান্ত সমর্থকদের, যারা আমাকে তাদের খুব আপনজনের মতো অনুভব করতে দিয়েছেন। এখন শুরু হচ্ছে আমার নতুন অভিযান, তবে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আমার বন্ধন চিরস্থায়ী। আবার দেখা হবে, মাদ্রিদিস্তারা!”
লিভারপুলের হয়ে অবিস্মরণীয় একটি মৌসুম কাটানোর দারুণ স্বীকৃতি পেলেন মোহামেদ সালাহ। ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর ‘মৌসুম সেরা ফুটবলার’ পুরস্কার জিতেছেন মিশরীয় তারকা।
বৃহস্পতিবার তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মেয়েদের মধ্যে সেরা হয়েছেন আর্সেনালের স্ট্রাইকার অ্যালেসিয়া রুসো।
চলতি মৌসুমে লিভারপুলের জার্সিতে ব্যক্তিগতভাবে নিজের অন্যতম সেরা সময় পার করেছেন সালাহ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩টি গোল করার পাশাপাশি নামের পাশে রয়েছে ২৩টি অ্যাসিস্টও। লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড।
এই খেতাব জিতে সালাহ জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা।
“আমার জন্য এই পুরস্কার জেতাটা অনেক বড় ব্যাপার। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য অনুভূতি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন সম্মান পাওয়া বিশেষ কিছুই। তাছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের মাঝে এত বড় ব্যবধান থাকার কারণে এটা আরও অসাধারণ লাগছে।”
এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইংল্যান্ডের শত শত ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটে ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর মৌসুম সেরা খেলোয়াড় হলেন সালাহ। এর আগে তিনি এই খেতাব জিতেছিলেন ২০১৭-১৮ ও ২০২১-২২ মৌসুমে।
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগেও খ্যাতি পেয়েছিলেন, তবে সেটা কোনোভাবেই ছিল না কিংবদন্তি সমতুল্য। স্প্যানিশ ক্লাবে শুরুটাও ছিল মলিন। তবে লুকা মদ্রিচ যখন রিয়াল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন, তখন তিনি কেবল ক্লাবেরই নন, হয়ে গেছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদেরই একজন। ক্রোয়াট তারকা যে এমন সম্মানের প্রাপ্য, সেটা ফুটে উঠেছে তার সাবেক কোচ জিনেদিন জিদান ও দুই সতীর্থ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপের স্তুতিতে।
২০১২ সালে জোসে মরিনিয়োর ইচ্ছায় যখন টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে আসেন মদ্রিচ, তখন মিডফিল্ডে ছিলেন সেরা ছন্দের মেসুত ওজিল, কাকা, জাবি আলোনসো, সামি খেদিরারা। তবে সময়ের সাথে সাথে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার পাশাপাশি রিয়ালের মাঝমাঠের কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন তিনি। বলা যায়, গত এক যুগে রিয়ালের মিডফিল্ড ইঞ্জিন ছিলেন মদ্রিচই। এই মৌসুম শেষে ক্লাবটি ছাড়ার আগে তাই নামের পাশে রয়েছে সফল এক ক্যারিয়ার।
কোচ হিসেবে মদ্রিচকে খুব কাছ থেকে জিদান নিজেও ইতিহাসের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন। একবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারকে তিনি জানিয়েছেন বিশেষ প্রশংসাই।
“আমি যখন কোচ হিসেবে কাজ শুরু করলাম, তখন দেখলাম নম্বর ১০ খুব একটা আকর্ষণীয় নয়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এই জার্সির একটা ভার আছে। তাই আমি ড্রেসিংরুমে সবার কাছে জানতে চাইলাম, ১০ নম্বর জার্সি সেই পেতে পারে, যাকে তোমাদের কাছে মনে হয় যে সে ভুল করতে পারে না, কঠিন মুহূর্তে তোমরা যাকে পাস দিতে চাও। কথা শেষ করার পর দেখলাম সবাই মদ্রিচের দিকে তাকিয়ে আছে। ধন্যবাদ আর শুভকামনা লুকিতা!”
মদ্রিচের রিয়ালের আগমনের একদম প্রথম দিন থেকেই তাকে দেখেছেন রোনালদো। একসাথে দুজনে জিতেছে অসংখ্য শিরোপা। পর্তুগাল তারকার অনেক গোলে সরাসরি অবদান ছিল মদ্রিচের। সাবেক সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আল নাসর ফরোয়ার্ডও।
“সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ, লুকিতা। এই ক্লাবের হয়ে তোমার সাথে খেলা, দুর্দান্ত সব মুহূর্ত ভাগাভাগি করাটা আমার জন্য সম্মানজনক ছিল। আগামী দিনের জন্য তোমার প্রতি শুভকামনা রইল।”
জিদান ও রোনালদোর তুলনায় মদ্রিচের সাথে এক ক্লাবে কম সময়ই পার করেছেন এমবাপে। গত মৌসুমে তিনি যখন রিয়ালে নাম লেখান, তখন আলোচনায় ছিল জার্সি নম্বর ১০, যা তার পছন্দের। তবে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে অনেক আগে থেকেই যে এটি মদ্রিচের দখলে। তাই এমবাপে খেলছেন ৯ নম্বর জার্সিতে। তবে এসব ছাপিয়ে স্রেফ এক মৌসুমেই তিনিও মুগ্ধ হয়েছেন কাছ থেকে প্রতিভাবান এই মিডফিল্ডারকে দেখে।
মদ্রিদকে নিয়ে তাই বড় এক পোস্টই করেছেন ফরাসি তারকা।
“এই মৌসুমে তোমার সাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়া ছিল আমার জন্য সত্যিকারের এক সৌভাগ্যের ব্যাপার। ‘গ্রেটনেস’ কাকে বলে, সেটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। মদ্রিচ কেবল সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজনই নন, তিনি অসাধারণ মানসিকতার একজন মানুষও। তিনি বিশ্বের সেরা ক্লাবে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইতিহাস রচনা করেছেন এবং সম্ভাব্য সবকিছু অর্জন করেছেন। তবে তিনি আরও একটি মূল্যবান জিনিস অর্জন করেছেন, তা হল পুরো বিশ্বের সম্মান ও প্রশংসা। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ কিংবদন্তি।”
রিয়ালের জার্সিতে ৫৯০টি ম্যাচ খেলেছেন মদ্রিচ। জিতেছেন মোট ২৮টি শিরোপা, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৪টি লা লিগা। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের রেকর্ড তারই। আগামী শনিবার রিয়ালের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলবেন মাঝমাঠের এই শিল্পী।
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৬ দিন আগে