
অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে পারত ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে। তবে নাটকীয়ভাবে সেটা আর জেতা হয়নি শেষ পর্যন্ত। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নপূরণ হয়েছে প্রথমবারের মত ফিফা দ্য বেষ্ট হওয়ার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের সেরা এই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের দোলা খেলে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল তারকা হৃদয়ে। নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরা বলার এই অনুভূতি প্রকাশে তাই আবেগীই হয়ে গেলেন ভিনিসিয়ুস।
গত মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ভিনিসিয়ুস। পার করেন ব্যক্তিগতভাবে সেরা মৌসুম। তবে কোপা আমেরিকা ভালো না কাটায় ফেভারিট থেকেও শেষ সময়ে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রির কাছে হেরে যান সেরার লড়াইয়ে। ফিফার দ্য বেস্টে সেই রদ্রিকে পেছনে ফেলেই বর্ষসেরা হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন
| ‘ফিফা দ্য বেস্টই সবার সেরা, কারণ এখানে নিরপেক্ষতা থাকে’ |
|
অবশেষে কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি পেয়ে তাই খুশির সীমা নেই আর ভিনিসিয়ুসের। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে বিশাল এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। “আজ আমি সেই ছেলেটির কাছে লিখছি, যে কিনা তার অনেক আইডলকে এই ট্রফি জিততে দেখেছে... এবার তার সময় এসেছে। অথবা বলার সময় হয়েছে যে, আমার সময় এসে গেছে। হ্যাঁ, আমি এখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এবং আমি এটার জন্য কঠোর লড়াই করেছি।”
ভিনিসিয়ুসের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে তার প্রতিভা তো বটেই, বড় অবদান রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদও। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাকে রেকর্ড ফি দিয়ে কেনার পর বছরের পর তাকে সময় দিয়েছে খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য। ভুলের পর ভুল করলেও তার ওপর আস্থা হারায়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্ট বাদে দ্য বেষ্ট জিতে মঞ্চেও রিয়ালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ভিনিসিয়ুস। “আমি (রিয়াল সভাপতি), ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, (রিয়ালের লাতিন অঞ্চলের স্কাউট) জোসে অ্যাঞ্জেল সানচেজ এবং (কোচ) কার্লো আনচেলত্তিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার বয়স যখন মাত্র ১৬ বছর, তখন থেকে তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আরও অনেকদিন খেলা চালিয়ে যেতে চাই, এটাই বিশ্বের সেরা ক্লাব।”
আরও পড়ুন
| ভিনিসিয়ুসই জিতলেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ খেতাব |
|
ছোট এই ক্যারিয়ারে ভিনিসিয়ুসকে যেতে হয়েছে মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা উথান-পতনের মধ্য দিয়ে। গত কয়েক বছরে যেখানে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে স্পেনের মাঠগুলোতে তার নিয়মিতই বর্ণবাদের শিকার হওয়ার ঘটনা। মাঠের বাইরেও তাই ভিন্ন এক লড়াইয়ে শামিল রয়েছেন সময়ের সেরা অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
সেই কারণেই হয়ত আবেগ যেন দ্য বেষ্ট জেতায় আবেগ যেন একটু বেশি ছুয়ে গেল ভিনিসিয়ুসকে। “তারা আমাকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে, আমাকে ছোট করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা এই জবাবের জন্য প্রস্তুত নয়। কিসের জন্য আমাকে লড়তে হবে বা আমার কেমন আচরণ করা উচিত, সেটা কারও আমাকে বলে দিতে হবে না। আমি এই খেতাব নিজের জন্য, আমার পরিবারের জন্য জিতেছি। সাথে এই পথচলায় যারা আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছে তাদের জন্যও : ফ্ল্যামেঙ্গো, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল জাতীয় দল ও বছরের পর বছর ধরে একসাথে খেলা আমার শত শত সতীর্থ, যারা প্রতিদিন আমাকে সঙ্গ দেয়, আমার প্রশংসা করে।”
No posts available.
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২০ পিএম
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসির শৃঙ্খলা ও নীতি কমিটি।
গত ১৮ নভেম্বর পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ মোরছালিনের একমাত্র গোলে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও উন্মাদনার কমতি ছিল না। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সময়মতো খেলা মাঠে গড়াতে পারেননি রেফারি। একই কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই অপরাধ দুবার করায় বাংলাদেশের জরিমানার অঙ্ক বেশি ধরা হয়েছে।
এর আগে গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়ায় দেড় হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
এএফসির শৃঙ্খলা নীতিমালার ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে দুই ফেডারেশনের। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ আগামী বছরের ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে।

গত গ্রীষ্মে ব্রুনো ফার্নান্দেজের জন্য বড় অঙ্কের টোপ ফেলেছিল সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়কের জন্য সপ্তাহে প্রায় ৭ লাখ পাউন্ড পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিয়েছিল ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি সে চুক্তি। মূল ম্যান ইউনাইটেড ছাড়ার ইচ্ছা দেখাননি তিনি ব্রুনো।
২০২৪ সালের আগস্টে ক্লাবের সাথে নতুন চুক্তি করেন ব্রুনো। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকবেন, যা আরও এক বছর (২০২৮ পর্যন্ত) বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন ব্রুনো। মাঠের ভেতরে ইউনাইটেডের নানা সংকট থাকলেও, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হয়ে ওঠেন তিনি।
আজ পর্তুগিজ টেলিভিশন চ্যানেল ক্যানাল ১১-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রুনো জানান, ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি ইউনাইটেড ছাড়তে চাননি। যদিও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল, তবু নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে ১৬ ম্যাচে ৫টি গোল ও ৭ গোল করতে সহায়তা (অ্যাসিস্ট) করেছেন ব্রনো। ক্লাবের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্দিনান্ডের সঙ্গে এক আলাপেও নিজের আনুগত্যের কথা স্পষ্ট করেন।
‘রিও ফার্দিনান্ড প্রেজেন্টস’ পডকাস্টে ব্রনো বলেন,
‘আগে ফুটবলে আনুগত্য মানে ছিল রোমায় তোত্তি, ইউনাইটেডে গিগস, মিলানে মালদিনি। আমি যখন এখানে আসি, ক্লাবটাকে ভালোবেসেই এসেছি। সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতেই আমার আনুগত্য ছিল। আমি দুবার ক্লাব ছাড়তে পারতাম, কিন্তু সেটা করিনি।’
ব্রুনো আরও বলেন,
‘ক্লাব বলেছিল, আমাদের তোমাকে দরকার। আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে। তোমরা আমাকে কিছু দিয়েছ। আমি তোমাদের কিছু দেব।’
প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা চেলসির থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রোববার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাঠে নামবে রেড ডেভিলসরা।

২০২৪ সালের নভেম্বরে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেন পেপ গার্দিওলা। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড ভিত্তিক ক্লাবের সঙ্গে থাকার কথা স্পেনীয় কোচের।
খবরের শিরোনাম - নতুন মৌসুমের আগে ম্যানসিটি ছাড়ছেন গার্দিওলা। তাঁর বদলে চেলসির কোচ এনজো মারেস্কারের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে ক্লাব সিটি। যদিও এ বিষয়ে গার্দিওলা জানিয়েছেন, ঘটনার আদোপ্রান্ত কিছুই জানা নেই তাঁর। এই মুর্হূতে প্রিমিয়ার লিগ এবং শিরোপা পুনরুদ্ধারকেই লক্ষ্য বানিয়েছেন তিনি।
আগামীকাল প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হ্যামের মুখোমুখি হবে ম্যানসিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ম্যাচের আগের দিন সিটি ছাড়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন ৫৪ বছর বয়সী কোচ।
তিনি বলেন,
“আজ অথবা কাল, এমনও হতে পারে ৭৫ কিংবা ৭৬ বছর বয়সে আমি ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়বো। অথচ তিন-চার বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাকে এ বিষয়ে (দায়িত্ব ছাড়া) প্রশ্ন করা হয়, যখন আমার চুক্তির মেয়াদ থাকে অনেকদিনের।”
হিসাব বলছে, ম্যানচেস্টারের সিটির সঙ্গে এখনও প্রায় ১৮ মাসের চুক্তি রয়েছে গার্দিওলার। এ সময়টা যথেষ্ট বলা যায়। তবে ইংলিশ সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, নতুন মৌসুম থেকে স্পেনীয় কোচকে আর সিটিতে পাওয়া যাবে না।
গার্দিওলা বলেন,
“চুক্তি শেষ হতে এখনও ১৮ মাস বাকি। তাই আমি নিশ্চিন্ত। আমি বলতে চাই, এই মুহূর্তে আমি দল নিয়ে এবং দলের উন্নতি নিয়েই ভাবছি। ক্লাবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক গভীর। আর প্রতি সিজনে এমন প্রশ্নই আসে। আমি ঠিক আছি। আমরা যা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেটা নেবো, আর যা ঘটতে চলেছে, তা ঘটবে।”
তিনি আরও বলেন,
“সমস্যা হলো এখানে কোনো আলোচনা নেই। বিষয়টি এখানেই শেষ, কোনো আলোচনা হচ্ছে না। আমি বলেছিলাম, আমার দ্বিতীয় সিজনের পর আমি চিরকাল এখানে থাকব না। আমরা কেউই এই পৃথিবীতে চিরকাল থাকব না। তবে এখানে কোনো আলোচনা হচ্ছে না। তাহলে কী হবে? অবশ্যই, ক্লাবকে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে—খেলোয়াড়দের জন্য, সিইওদের জন্য। শুধু মালিকদের জন্য নয়, যদি তাঁরা ক্লাব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত না নেন।"
সংবাদ সম্মেলনের শেষ সময়ে যখন গার্দিওলাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পরবর্তী মৌসুমে তিনি সিটিতে থাকবেন কি না, মুর্হূতেই মেজাজ হারান তিনি।
গার্দিওলা বলেন,
“আমি এই প্রশ্নের উত্তর দুই ধাপ আগে দিয়েছি! কে জানে, আমার যদি ১০ বছরের চুক্তি থাকে বা ছয় মাসের চুক্তি, ফুটবল অনেক কিছু পরিবর্তন করে। তাই এখন আমি ওয়েস্ট হ্যামের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এরপর কিছু দিন আমার বাবার সঙ্গে কাটাবো।’’
প্রিমিয়ার লিগে এই মুহূর্তে ম্যানসিটি দ্বিতীয় স্থানে আছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বাজে সময় কাটানো সিটিজেনরা এভাবে দাপটের সঙ্গে রেসে টিকে আছে। ১৬ ম্যাচে তাদের ৩৪ পয়েন্ট, যা শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট কম। উভয় দলই ১১টি করে ম্যাচ জিতেছে। সিটির ৪টি হারের বিপরীতে আর্সেনালের হার ২টি।

কথায় আছে রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য। ক্যারিয়ারজুড়ে অসংখ্য গোল ও রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সেই রেকর্ডগুলোর কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বর্তমান প্রজন্মের দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপে ও আর্লিং হলান্ডের দাপটে।
২০১২ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এক বর্ষপঞ্জিতে ৫৮ গোল করেছিলেন রোনালদো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এমবাপের গোলসংখ্যাও দাঁড়িয়েছে ৫৮ তে। ফলে ২০১৩ সালে রোনালদোর করা ৫৯ গোলের রেকর্ড থেকে মাত্র এক গোল দূরে আছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
শনিবার সেভিয়ার বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচ খেলবে রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেই ম্যাচে সবার নজর থাকবে এমবাপের দিকে। শৈশবের আদর্শ রোনালদোর রেকর্ডে সমতা আনেন, নাকি ছাড়িয়ে যান- সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
প্রিমিয়ার লিগে গোলসংখ্যায় রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছেন আর্লিং হলান্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১০৩ গোল করেছিলেন রোনালদো। পর্তুগিজ তারকাকে ছাড়িয়ে যেতে ম্যানচেস্টার সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের প্রয়োজন আর দুটি গোল।
ইতিমধ্যেই প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম ৫০ ও ১০০ গোল করার কীর্তি গড়েছেন হালান্ড। চলতি বছরে আরো দুটি ম্যাচ খেলবে ম্যান সিটি।
আগামীকাল ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে আর ২৭ ডিসেম্বর বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে। ফলে চলতি বছরেই রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন হালান্ড।

টানা চার ম্যাচে জয়হীন। শেষ তিন ম্যাচে পরাজয়ের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর আজ জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল দলটি। কিন্তু এরপর ব্রাদার্সের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। একই দিনে অঘটনের শিকার হয়েছে ঢাকা আবাহনী।
বাংলাদেশ ফুটবল লিগের (বিএফএল) খেলায় আজ পিডিব্লউডির বিপক্ষে ২-২ গালে ড্র করেছে আবাহনী। কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দশম মিনিটে পিডব্লিউডি এগিয়ে যায় মিনহাজুল স্বাধীনের গোলে। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ধুঁকতে থাকা আবাহনীকে সমতায় ফেরান আল আমিন।
৭৪ মিনিটে পিডব্লিউর ডিফেন্ডার আল আমিন বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো বিপদ ডেকে আনেন; বল ঠেলে দেন মোরছালিনের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে ডান কোনা দিয়ে জাল কাঁপান মোরছালিন। আবাহনী এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।
লিড ধরে রেখে মাঠ ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল আবাহনী, জয়টা তাদের জন্য ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রক্ষণের ভুলে মাশুল দিতে হলো আকাশি-নীলদের। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আবাহনীর ডিফেন্ডারের উড়িয়ে মারা শট ভলিতে পরিণত করেন আবু সাইদ। পিডব্লিউডিও মাঠ ছাড়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে। ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে আছে তারা। চারে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।
লিগে দিনের অপর ম্যাচে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। মুন্সিগঞ্জের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচের অনেকটা সময় জুড়েই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে ব্রাদার্স। গোলের খাতায় ব্রাদার্সের এগিয়ে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। সানিশ শ্রেষ্ঠার পাস থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস রুদওয়েরে। এরপরই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ।
বিরতির পর পুরান ঢাকার ক্লাবটি আবারও পিছিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে অঞ্জন বিস্তার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিদিয়ের ব্রোসু। এমন ধাক্কার পরও মনোবল হারায়নি রহমতগঞ্জ। হারাতে দেননি অধিনায়ক সলোমন কিং। ৭ মিনিটের ব্যবধানে বদলে ফেলেন পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। প্রথমে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে সেটি গোলে রূপ দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে লং থ্রো থেকে আসা বল তিন হেডে আশ্রয় নেয় ব্রাদার্সের জালে। শেষ হেডটি ছিল সলোমনের।
সমতায় ফিরে এসে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে সময় নেয় আর দুই মিনিট। এবার ডানপ্রান্ত দিয়ে সলোমনের দেওয়া পাসে এগিয়ে যাওয়া গোলটি করেন ক্লেমেন্ত আদু। রহমতগঞ্জের জয় আর ঠেকানোর কোনো সুযোগই পায়নি। অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সলোমন। কিন্তু যোগ করা সময়ে তাঁর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমেছে ব্রাদার্স। ৬ খেলায় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পাঁচবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।