অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে পারত ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে। তবে নাটকীয়ভাবে সেটা আর জেতা হয়নি শেষ পর্যন্ত। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নপূরণ হয়েছে প্রথমবারের মত ফিফা দ্য বেষ্ট হওয়ার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের সেরা এই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের দোলা খেলে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল তারকা হৃদয়ে। নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরা বলার এই অনুভূতি প্রকাশে তাই আবেগীই হয়ে গেলেন ভিনিসিয়ুস।
গত মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ভিনিসিয়ুস। পার করেন ব্যক্তিগতভাবে সেরা মৌসুম। তবে কোপা আমেরিকা ভালো না কাটায় ফেভারিট থেকেও শেষ সময়ে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রির কাছে হেরে যান সেরার লড়াইয়ে। ফিফার দ্য বেস্টে সেই রদ্রিকে পেছনে ফেলেই বর্ষসেরা হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন
‘ফিফা দ্য বেস্টই সবার সেরা, কারণ এখানে নিরপেক্ষতা থাকে’ |
![]() |
অবশেষে কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি পেয়ে তাই খুশির সীমা নেই আর ভিনিসিয়ুসের। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে বিশাল এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। “আজ আমি সেই ছেলেটির কাছে লিখছি, যে কিনা তার অনেক আইডলকে এই ট্রফি জিততে দেখেছে... এবার তার সময় এসেছে। অথবা বলার সময় হয়েছে যে, আমার সময় এসে গেছে। হ্যাঁ, আমি এখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এবং আমি এটার জন্য কঠোর লড়াই করেছি।”
ভিনিসিয়ুসের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে তার প্রতিভা তো বটেই, বড় অবদান রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদও। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাকে রেকর্ড ফি দিয়ে কেনার পর বছরের পর তাকে সময় দিয়েছে খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য। ভুলের পর ভুল করলেও তার ওপর আস্থা হারায়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্ট বাদে দ্য বেষ্ট জিতে মঞ্চেও রিয়ালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ভিনিসিয়ুস। “আমি (রিয়াল সভাপতি), ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, (রিয়ালের লাতিন অঞ্চলের স্কাউট) জোসে অ্যাঞ্জেল সানচেজ এবং (কোচ) কার্লো আনচেলত্তিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার বয়স যখন মাত্র ১৬ বছর, তখন থেকে তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আরও অনেকদিন খেলা চালিয়ে যেতে চাই, এটাই বিশ্বের সেরা ক্লাব।”
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসই জিতলেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ খেতাব |
![]() |
ছোট এই ক্যারিয়ারে ভিনিসিয়ুসকে যেতে হয়েছে মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা উথান-পতনের মধ্য দিয়ে। গত কয়েক বছরে যেখানে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে স্পেনের মাঠগুলোতে তার নিয়মিতই বর্ণবাদের শিকার হওয়ার ঘটনা। মাঠের বাইরেও তাই ভিন্ন এক লড়াইয়ে শামিল রয়েছেন সময়ের সেরা অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
সেই কারণেই হয়ত আবেগ যেন দ্য বেষ্ট জেতায় আবেগ যেন একটু বেশি ছুয়ে গেল ভিনিসিয়ুসকে। “তারা আমাকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে, আমাকে ছোট করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা এই জবাবের জন্য প্রস্তুত নয়। কিসের জন্য আমাকে লড়তে হবে বা আমার কেমন আচরণ করা উচিত, সেটা কারও আমাকে বলে দিতে হবে না। আমি এই খেতাব নিজের জন্য, আমার পরিবারের জন্য জিতেছি। সাথে এই পথচলায় যারা আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছে তাদের জন্যও : ফ্ল্যামেঙ্গো, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল জাতীয় দল ও বছরের পর বছর ধরে একসাথে খেলা আমার শত শত সতীর্থ, যারা প্রতিদিন আমাকে সঙ্গ দেয়, আমার প্রশংসা করে।”
১১ জুলাই ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
তারকার হাট বসিয়েও মৌসুমের পর মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। সেই পিএসজিই কিনা গত মৌসুম থেকে সাদামাটা একটি দল নিয়েও হয়ে গেছে ইউরোপ সেরা, হাতছানি এখন ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়া ‘কোয়াড্রপল’ জেতার। কোচ লুইস এনরিকে মনে করেন, দল হিসেবে খেলাটাই তাদের মূল শক্তির জায়গা।
২০২৪-২৫ মৌসুমে ট্রেবল জেতা পিএসজি নিজেদেফ ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মাত্র এক মাস বাদে এখন চলে গেছে আরেকটি শিরোপার মঞ্চে। এবারই প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা দলটি ফাইনালে চেলসিকে হারাতে পারলে চার বছরের জন্য হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্লাবও। অথচ এমন পারফরম্যান্স করা একটি দল কিনা মেসি-নেইমার-এমবাপেদের নিয়েও পারেনি ঘরোয়া লিগের বাইরে তেমন কিছু করতে।
আরও পড়ুন
গোলবন্যায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু বাংলাদেশের |
![]() |
চেলসির বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি কোচ জানালেন, তারকা নির্ভর না থাকাটাই তাদের এগিয়ে রেখেছে।
“আমি নিজেও কোনো তারকা নই। আমি শুধু আমার কাজটাকেই ভালোবাসি, বিশেষ করে যখন কঠিন সময় আসে। জয়ী হলে সেটা তো অবশ্যই ভালো লাগে, কারণ আমরা যখন জিতে যাই, আমাদের সমর্থকদের মুখে সেটা হাসি ফোটায়। তবে সমালোচনার সময়গুলোতে আমি নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে পেরেছি।”
আধুনিক কোচদের মধ্যে অন্যতম সেরা এনরিকে পিএসজির আগে ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়েও স্বাদ পান ট্রেবল জয়ের। তবে সেই দলে ছিলেন মেসি-নেইমাররা। সেই তুলনায় এই পিএসজি দলে তারকা বলতে আছেন দেম্বেলে-হাকিমিরা।
এই মৌসুমকে তাই বার্সেলোনা অধ্যায়ের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন এনরিকে।
“হয়তো এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম হতে যাচ্ছে। তবে এখনো একটা ফাইনাল বাকি আছে। সেটা জেতার পরই বলা যাবে যে আমরা ঠিক কতটা সফল।”
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
তারকা খেলোয়াদের বিদায়ের পর এনরিকে পিএসজি দল গড়েছেন একঝাঁক উদ্যমী ও দলের প্রতি নিবেদিত ফুটবলারদের নিয়ে। সাফল্যের কারণ হিসেবে সেটাকেই সামনে আনলেন তিনি।
“আমরা এমন একটা দল হতে চাই, যেখানে ১১ জন নয়, ১৩ বা ১৫ জন তারকা থাকতে পারে। কিন্তু সেই তারকারা খেলবে দলের জন্য। দল হিসেবেই আমাদের জ্বলে উঠতে হবে।”
টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য মাইলফলক ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের অপরাজিত ইনিংস, যা আজও এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ স্কোর। সম্প্রতি সেই রেকর্ডের ভেঙে দেওয়ার খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার। তবে শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় সেই চেষ্টা থেকে বিরত থাকেন তিনি, যা জন্ম দেয় বিস্ময়ের। ক্যারিবিয়ান গ্রেট লারাও মুল্ডারকে বলেছেন, রেকর্ডটা তার নিজের করে নেওয়া উচিত ছিল।
গত সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগে মুল্ডারের স্কোর ছিল ৩৬৭। তিন দিন বাকি থাকায় ম্যাচে হার-জিতের প্রশ্নও ছিল না। তবে অনায়াসেই লারাকে পেছনে ফেলার বদলে ইনিংস ঘোষণা করে দেন ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মুল্ডার। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
আরও পড়ুন
টি স্পোর্টসের পর্দায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ |
![]() |
সম্প্রতি সুপার স্পোর্ট–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুল্ডার জানান, সেই ইনিংসটি নিয়ে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি লারার সাথেও সঙ্গে কথা হয়েছে তার।
“তিনি (লারা) আমাকে বলেছেন, রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই হয়। তাই আমি যেন আগামীতে নিজের লেগ্যাসি গড়ার জন্য চেষ্টা করি। আবার আমার সামনে এমন সুযোগ এলে যেন আর পিছিয়ে না যাই।”
২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লারা খেলেছিলেন সেই অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংস। এর আগে তার করা ৩৭৫ রানের রেকর্ড ভেঙেছিলেন সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন (৩৮০ রান)। এর এক বছর না যেতেই লারা আবারে রেকর্ড নিজের করে নেন। এবার ৩৬৭ রানে থেমে গিয়ে মুল্ডার বলেছিলেন, লারার প্রতি সম্মান থেকেই রেকর্ড ভাঙার চেষ্টায় যাননি তিনি।
আরও পড়ুন
জয় দিয়েই আসর শুরু চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের |
![]() |
স্বয়ং লারা রেকর্ড ভাঙ্গার কথা বললেও মুল্ডার এখনও নিজের অবস্থানে অনড়।
“তার (লারা) দৃষ্টিভঙ্গি অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক। তবে আমি এখনও মনে করি, আমার সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল। আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার খেলাটার প্রতি সম্মান দেখানো।”
ম্যাচের শুরুতেই দেখা মিলল প্রথম গোলের। সেই শুরু, এরপর থেকে পুরো ম্যাচেই একচেটিয়া আধিপত্য দেখালেন বাংলাদেশের মেয়েরা। হ্যাটট্রিক করে আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিলেন সাগরিকা, সাথে যোগ দিলেন অন্যরাও। তাতে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জয়ে দুর্দান্ত সূচনা করলো বাংলাদেশ।
শুক্রবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ৯-১ গোলের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেছেন মুনকি আক্তার, আর একটি করে গোল করেছেন স্বপ্না রানী, শিখা জাহান, রুপা আক্তার ও শান্তি মার্দি।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে এদিন মাঠ ছিল কর্দমাক্ত ও ভারী। তবে এর মধ্যেও গোলের পর গোল করতে মোটেও কষ্ট হয়নি লাল-সবুজ শিবিরের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফ্রি-কিক থেকে দৃষ্টিনন্দন গোলে শুরু করেন স্বপ্না রাণী।এর খানিক বাদে ফের গোল। এবার নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি।
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
প্রথমার্ধ জুড়ে আধিপত্য বজায় রেখে একের পর এক আক্রমণ করে যায় বাংলাদেশ। ফলও মিলে যায় তাতে আবার। ৩৭তম মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন সাগরিকা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে বাংলাদেশের একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
তবে ম্যাচে এর প্রভাব একেবারেই পড়েনি। বিরতির পর আক্রমণের ধার বেড়ে যাওয় আরঅ। এই অর্ধের শুরুতেই সাগরিকার পাস থেকে বল পেয়ে মুনকি বল জালে পাঠান। ৫০তম মিনিটে শিখা স্কোরলাইন ৫-০ করে ফেলেন। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুটি দৃষ্টিনন্দন গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা। এরপর তাকে তুলে নেন কোচ।
শেষদিকে পিটার বাটলার আরও কয়েকজনকে তুলে নিয়ে বাজিয়ে দেখেন অন্যদের। তাতেও কমেনি আক্রমণের ধার। সেই ধারায় যোগ হয় আরও দুটি গোল। শ্রীলঙ্কা একমাত্র গোলটি আসে ম্যাচের অন্তিম সময়ে।
আরও পড়ুন
গতিসীমা অতিক্রমেই দুর্ঘটনার শিকার জতা, ধারণা পুলিশের |
![]() |
প্রথম ম্যাচেই এমন দাপুটে জয় এই টুর্নামেন্টের গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী রোববার স্বাগতিকরা খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
সাধারণত নতুন কোচরা ক্লাবগুলোকে নতুন মৌসুমের আগে প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় পান। তবে ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে এক সপ্তাহেরও কম সময় পেয়েছেন জাবি আলোনসো, যেখানে তার দল থেমেছে সেমিফাইনালে। তবে রিয়ালের সাবেক ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল মনে করেন, আলোনসো রিয়ালে বড়সড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন এবং দরকার হলে সেজন্য তিনি বড় তারকাদের বাদ দিতেও পিছপা হবেন না।
জার্মান ক্লাব লেভারকুসেনের দুর্দান্ত সময় কাটিয়ে কোচ হিসেবে শুরুর দিনগুলোতেই আলোচনায় এসেছেন আলোনসো। সেই ধারায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের পর তার হাতে দলের দায়িত্ব দিয়েছে রিয়াল, যেখানে তিনি স্থলাভিষিক্ত হন কার্লো আনচেলত্তি। ক্লাব বিশ্বকাপে এই স্প্যানিশের অধীনে সেরা ফুটবল না খেলা ক্লাবটি সেমিফাইনালে পিএসজির কাছে স্রেফ উড়ে যায়। তারকা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়েই।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে ক্লপের সমালোচনা উড়িয়ে দিল ফিফা |
![]() |
তবে সম্প্রতি ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেল বলেছেন, আসছে মৌসুমে রিয়াল ভালো করবে।
“জাবির প্রতি খেলোয়াড়দের অনেক সম্মান থাকবে। আর খেলোয়াড়রা তার জন্য লড়বে বলেই আমার বিশ্বাস। আমি একটা বড় পরিবর্তন আশা করছি। তিনি যেভাবে দলকে খেলাতে চান, খেলোয়াড়দের ঠিক সেভাবেই খেলাতে বাধ্য করবেন। আর কেউ যদি সেটা না পারে, তাহলে তাকে বাদ দিতেও জাবি পিছু হটবেন না।”
রিয়াল এরই মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের আগে দুইটি উল্লেখযোগ্য চুক্তি সম্পন্ন করে, যেখানে রয়েছেন লিভারপুল থেকে রাইট-ব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড এবং বোর্নমাউথ থেকে সেন্টার-ব্যাক ডিন হুইজসেন। দুজনই খেলেন ক্লাব বিশ্বকাপে। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানো যোগ দেবেন নতুন মৌসুম শুরুর আগে। এছাড়া আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসা বাকি রয়েছে লেফট-ব্যাক আলভারো ক্যারারাসের যোগদানের।
আর তাই কোচ আলোনসোকে নিয়ে বেল শোনান তার আশার কথা।
“লেভারকুসেনে তিনি যেভাবে দল গড়েছিলেন, সেটার দিকে তাকালে বলা যায় যে, রিয়ালে তিনি আরও ভালো কিছু করতে পারবেন। কারণ, এখানে তিনি আরও ভালো ভালো খেলোয়াড় পাচ্ছেন, সম্ভবত তিনি আরও বড় ট্রান্সফার বাজেটও পাবেন।”
ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের সাথে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে শুরু করা রিয়াল পরে কিছুটা ছন্দ ফিরে পায়। তবে শেষ চারে পিএসজির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। হেরে যায় ৪-০ গোলে, যা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে আলোনসোর কোচিংকে। সাথে ড্রেসিরুমে সমস্যা চলছে, এমন খবরও বাতাসে ভাসছে।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প |
![]() |
আর এখানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন গত মৌসুমে রিয়ালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এমবাপে, যাকে নিয়েও বেশ ইতিবাচক রিয়াল গ্রেট বেল।
“সে কিন্তু এখনো গোল করছে, ভালো কিছুই করছে। কিন্তু দল কিছু জিততে পারেনি, আর এটাই সবাই জানে যে, রিয়াল মাদ্রিদে সব কিছু জেতার প্রত্যাশাই থাকে। এটা তার জন্য কঠিন ব্যাপার। কারণ সে মাঠে ভালো পারফর্ম করছে, কিন্তু সেই ‘ম্যাজিকাল মোমেন্ট’টা হয়তো ধরা দিচ্ছে না। এখন কাজটা জাবির, যা হল তাকে দিয়ে সবচেয়ে সেরাটা বের করে আনার।”
মাঠে ও মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় এরই মধ্যে তুমুল সমালোচনার মধ্যে আছে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মত হওয়া ৩২ দলের এই টুর্নামেন্ট নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। তবে এটি উড়িয়ে দিয়েছেন ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার। সাবেক আর্সেনাল কোচের মতে, ক্লাব বিশ্বকাপ একটি দারুণ টুর্নামেন্ট।
ব্যস্ত ক্লাব মৌসুমের পরই এবার দলগুলোকে নেমে পড়তে হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে। নতুন মৌসুমের আগে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের দিকটি পড়েছে প্রশ্নের মুখে। সাথে টুর্নামেন্টের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র গরমের মধ্যে খেলা, ঝড়ের কারণে খেলা বন্ধ হওয়া বা দর্শক খরার মত বিষয়গুলো হচ্ছে বেশ আলোচিত। এর প্রেক্ষিতে ক্লপ এক সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাব বিশ্বকাপকে ‘সবচেয়ে বাজে ধারণা’ বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন
জয় দিয়েই আসর শুরু চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের |
![]() |
এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি ওয়েঙ্গার নিউ ইয়র্কে এক টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের ব্রিফিংয়ে ক্লপের মন্তব্যের জবাব দেন।
“সবারই নিজস্ব মতামত থাকার অধিকার আছে, তবে আমি ইয়ুর্গেন ক্লপের সাথে একমত নই। এমন একটা ক্লাব বিশ্বকাপের প্রয়োজন ছিল। আপনি যদি অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর মধ্যে আজকেই একটা জরিপ চালান, আমি নিশ্চিত তারা সবাই আবারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে চাইবে। আর ক্লপের জন্য সবচেয়ে ভালো উত্তর।”
ফিফার বিশ্লেষকেরা ক্লাব বিশ্বকাপের খেলা চলাকালীন তাপমাত্রা ও পারফরম্যান্স নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেখানে দেখা গেছে, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা খেলোয়াড়দের স্প্রিন্ট এবং হাই-ইন্টেনসিটি দৌড়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। খেলোয়াড় ও কোচদের অনেকেই এমন গরমের খেলার নেতিবাচক কথা বলেছেন।
ওয়েঙ্গার অবশ্য ইতিবাচক দিকই দেখছেন।
“কিছু ম্যাচে গরম একটা সমস্যা ছিল। কুলিং ব্রেক, মাঠ ভেজানো – এসব ব্যবস্থা এজন্যই নেওয়া হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।”
২০২৬ বিশ্বকাপের আগে ক্লাব বিশ্বকাপকে একটি প্রস্তুতিমূলক আসর হিসেবেও কাজ করেছে বলে মনে করেন ওয়েঙ্গার। তবে গ্রীষ্মের তীব্র গরমের কারণে কিছু চ্যালেঞ্জ যে এসেছে, সেটাও স্বীকার করছেন তিনি।
“প্রশ্নটা হলো যে, দর্শকরা কী চায়? আমরা অনুমান করেছিলাম, গরমের কারণে দর্শক কম হবে, তবে বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন ছিল।”
আরও পড়ুন
গতিসীমা অতিক্রমেই দুর্ঘটনার শিকার জতা, ধারণা পুলিশের |
![]() |
ওয়েঙ্গার আরও বলেন, ভবিষ্যতে আটলান্টা, ডালাস, লস অ্যাঞ্জেলেস ও হিউস্টনের মতো ছাদ দিয়ে ঢেকে দেওয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ফিফা, যাতে টিভি সম্প্রচারের সময়সূচি বজায় রাখা যায় এবং খেলোয়াড়দের জন্য সহনশীল আবহাওয়াও নিশ্চিত করা যায়।
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে