অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে পারত ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে। তবে নাটকীয়ভাবে সেটা আর জেতা হয়নি শেষ পর্যন্ত। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নপূরণ হয়েছে প্রথমবারের মত ফিফা দ্য বেষ্ট হওয়ার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের সেরা এই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের দোলা খেলে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল তারকা হৃদয়ে। নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেরা বলার এই অনুভূতি প্রকাশে তাই আবেগীই হয়ে গেলেন ভিনিসিয়ুস।
গত মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ভিনিসিয়ুস। পার করেন ব্যক্তিগতভাবে সেরা মৌসুম। তবে কোপা আমেরিকা ভালো না কাটায় ফেভারিট থেকেও শেষ সময়ে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রির কাছে হেরে যান সেরার লড়াইয়ে। ফিফার দ্য বেস্টে সেই রদ্রিকে পেছনে ফেলেই বর্ষসেরা হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন
‘ফিফা দ্য বেস্টই সবার সেরা, কারণ এখানে নিরপেক্ষতা থাকে’ |
![]() |
অবশেষে কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি পেয়ে তাই খুশির সীমা নেই আর ভিনিসিয়ুসের। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে বিশাল এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। “আজ আমি সেই ছেলেটির কাছে লিখছি, যে কিনা তার অনেক আইডলকে এই ট্রফি জিততে দেখেছে... এবার তার সময় এসেছে। অথবা বলার সময় হয়েছে যে, আমার সময় এসে গেছে। হ্যাঁ, আমি এখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এবং আমি এটার জন্য কঠোর লড়াই করেছি।”
ভিনিসিয়ুসের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে তার প্রতিভা তো বটেই, বড় অবদান রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদও। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাকে রেকর্ড ফি দিয়ে কেনার পর বছরের পর তাকে সময় দিয়েছে খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য। ভুলের পর ভুল করলেও তার ওপর আস্থা হারায়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্ট বাদে দ্য বেষ্ট জিতে মঞ্চেও রিয়ালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ভিনিসিয়ুস। “আমি (রিয়াল সভাপতি), ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, (রিয়ালের লাতিন অঞ্চলের স্কাউট) জোসে অ্যাঞ্জেল সানচেজ এবং (কোচ) কার্লো আনচেলত্তিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার বয়স যখন মাত্র ১৬ বছর, তখন থেকে তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আরও অনেকদিন খেলা চালিয়ে যেতে চাই, এটাই বিশ্বের সেরা ক্লাব।”
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসই জিতলেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ খেতাব |
![]() |
ছোট এই ক্যারিয়ারে ভিনিসিয়ুসকে যেতে হয়েছে মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা উথান-পতনের মধ্য দিয়ে। গত কয়েক বছরে যেখানে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে স্পেনের মাঠগুলোতে তার নিয়মিতই বর্ণবাদের শিকার হওয়ার ঘটনা। মাঠের বাইরেও তাই ভিন্ন এক লড়াইয়ে শামিল রয়েছেন সময়ের সেরা অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
সেই কারণেই হয়ত আবেগ যেন দ্য বেষ্ট জেতায় আবেগ যেন একটু বেশি ছুয়ে গেল ভিনিসিয়ুসকে। “তারা আমাকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে, আমাকে ছোট করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা এই জবাবের জন্য প্রস্তুত নয়। কিসের জন্য আমাকে লড়তে হবে বা আমার কেমন আচরণ করা উচিত, সেটা কারও আমাকে বলে দিতে হবে না। আমি এই খেতাব নিজের জন্য, আমার পরিবারের জন্য জিতেছি। সাথে এই পথচলায় যারা আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছে তাদের জন্যও : ফ্ল্যামেঙ্গো, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল জাতীয় দল ও বছরের পর বছর ধরে একসাথে খেলা আমার শত শত সতীর্থ, যারা প্রতিদিন আমাকে সঙ্গ দেয়, আমার প্রশংসা করে।”
No posts available.
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:২০ পিএম
প্রথমবারের মতো এএফসি ফুটসাল এশিয়ান কাপ ২০২৬-এর বাছাই পর্বে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বপ্নযাত্রায় জায়গা করে নিয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) দুই সাবেক শিক্ষার্থী-ইনতিশার মোস্তফা চৌধুরী ও ফয়েজ আহমেদ পিয়াস। দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন ইনতিশার।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) তত্ত্বাবধানে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬৩০ জনের বেশি খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে ১৪ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। মিডফিল্ডার ইনতিশার আইইউবির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের এবং ফরোয়ার্ড পিয়াস ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। আইইউবির অ্যাকাউন্টিং বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী মেহরাব হোসেন অপি বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত পৌঁছালেও মূল দলে সুযোগ পাননি।
আরও পড়ুন
পর্তুগাল কোচের বার্তা, ‘যত দিন ইচ্ছা, খেলে যাবে রোনালদো’ |
![]() |
ইনতিশার, পিয়াস ও অপি-তিনজনই আইইউবির অধীনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন এবং সাফল্য অর্জন করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ কর্পোরেট প্রিমিয়ার লিগ, ফুটসাল প্রিমিয়ার লিগ, ফিফকো কর্পোরেট প্রিমিয়ার লিগ, এনএসইউ স্পোর্টস কার্নিভাল, উইংস ইউনিভার্সিটি ফুটসাল ও আইইউটি ওআইসি ফুটবল টুর্নামেন্ট। ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার সিটি কর্পোরেট কাপে রানার্স আপ হয়েছিলেন ইনতিশার ও পিয়াস। এছাড়া, তিনজনই বাংলাদেশ ফুটসাল প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন।
অর্জন নিয়ে ইনতিশার বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্পোরেট পর্যায়ে বছরের পর বছর ধরে খেলা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের ফল এই সাফল্য।”
পিয়াস বলেন,
“আইইউবি ফুটবল ক্লাবের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ এবং সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা – সব মিলিয়ে আইইউবির সহযোগিতা আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ অনেকটা পথ সহজ করেছে।”
আরও পড়ুন
৩১ বছরেই অবসরে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা |
![]() |
আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ম. তামিম বলেন,
“জাতীয় ফুটসাল দলে সুযোগ পাওয়ায় ইনতিশার ও পিয়াসকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই অর্জন তাদের পরিশ্রম ও খেলাটির প্রতি ভালোবাসার ফসল। একটি বিশ্ববিদ্যালয় মানে শুধু তো পড়াশোনা নয়, বরং শেখা, খেলা এবং প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার একটা সুযোগ। আইইউবিতে আমরা চেষ্টা করি যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্লাসরুমের বাইরেও নিজের প্রতিভা বিকাশের সব রকমের সুযোগ পায়।”
উল্লেখ্য, এএফসি ফুটসাল বাছাইয়ের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে মালয়েশিয়ায়, ১৬ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর। গ্রুপ ‘জি’-তে বাংলাদেশের সঙ্গী ইরান, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বয়স এরই মধ্যে পেরিয়েছে চল্লিশের ঘর। তবে ফিটনেস ও পারফরম্যান্সে নেই এর কোনো ছাপ। এখনও জাতীয় দল ও ক্লাবে সমান দাপটে খেলে চলেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তারকা এই স্ট্রাইকার কবে অবসর নেবেন সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনেই।
তবে রোনালদোর খেলা চালিয়ে যাওয়া বিষয়ে আশাবাদী তার সাবেক সতীর্থ ও পর্তুগাল দলের সহকারী কোচ রিকার্ডো কারভালহো। তার পরিষ্কার বার্তা, রোনালদো যতদিন চান ততদিন পর্তুগালের হয়ে খেলবেন।
পর্তুগিজ টেলিভিশন চ্যানেল আ বোলা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন কারভালহো।
আরও পড়ুন
৩১ বছরেই অবসরে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা |
![]() |
"আমার মনে হয়, যতদিন সে (রোনালদো) চাইবে ততদিন (ফুটবল খেলতে) থাকবে। সত্যি বলতে, এত বছর ধরে সে অনেক কৃতিত্ব অর্জন করেছে... এবং এখনও সে ভালো করছে, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।"
রোনালদোর নেতৃত্বে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দারুণ শুরু করেছে পর্তুগাল। আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অভিযান শুরু করেছে পর্তুগাল। সেই ম্যাচে রোনালদো নিজেও করেছেন জোড়া গোল।
রোনালদোর নেতৃত্বে তাই খুশি পর্তুগালের সহকারী কোচ।
"আমি জানি না, সে কতদিন খেলতে পারবে বা এই বিষয়ে তার কোনো সীমা আছে কি না, কিন্তু আমরা সবাই খুশি যে সে আমাদের অধিনায়ক এবং দলকে যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সত্যিই প্রশংসনীয়।"
৪০ বছর বয়সেও রোনালদোকে এখনও এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রাখা উচিত কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। তবে এ নিয়ে কারভালহোর কোনো সন্দেহ নেই।
"আমাদের দলে ভালো নেতারা রয়েছে। ক্রিস্তিয়ানো জানে, সময়ের সঙ্গে হয়তো একদিন পেরে উঠবে না। তবে সে এখনও ভালো অনুভব করছে। দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ সে। আমার মনে হয়, সে এখন ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করছে।"
আরও পড়ুন
আমোরিমের ওপর আরও আস্থা রাখতে চায় ইউনাইটেড |
![]() |
সবকিছু ঠিক থাকলে ৪০ বছর বয়সী রোনালদোকে ২০২৬ বিশ্বকাপে আবারও নেতৃত্ব দিতে দেখা যেতে পারে। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদো এরই মধ্যে ২২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে পর্তুগালের হয়ে ১৪১ গোল করেছেন।
সম্প্রতি সৌদি প্রো লিগের দল আল-নাসরের সঙ্গে দুই বছরের নতুন চুক্তি করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ মাঠে নামলে এটি তার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ হবে।
ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ও বার্সেলোনার সাবেক তারকা ডিফেন্ডার সামুয়েল উমতিতি ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ৩১ বছর বয়সী এই সেন্টার-ব্যাক নিজেই অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।
উমতিতি সবশেষ ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের ক্লাব লিলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। তবে গত দুই মৌসুমে চোটের কারণে মাত্র ১৩ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি। হাঁটুর কার্টিলেজ ক্ষতির কারণে ক্যারিয়ারের শেষভাগটা কাটাতে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
অবসর প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উমতিতি লিখেছেন, ‘উত্থান-পতনে ভরা এক ক্যারিয়ারের পর বিদায় বলার সময় এসেছে। আমি সর্বোচ্চটা দিয়েছি আবেগ দিয়ে, কোনো আক্ষেপ নেই।’
আরও পড়ুন
আমোরিমের ওপর আরও আস্থা রাখতে চায় ইউনাইটেড |
![]() |
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন বাঁ-পায়ের ডিফেন্ডার উমতিতি। বেলজিয়ামের বিপক্ষে সেমিফাইনালে একমাত্র গোলটি করেছিলেন তিনি, যা ফাইনালের পথ খুলে দেয় দিদিয়ের দেশমের দলের সামনে। টুর্নামেন্টে ছয় ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৩১ ম্যাচ।
ক্লাব ফুটবলে ২০১৬ সালে লিওঁ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন উমতিতি। কাতালান ক্লাবের হয়ে সাত মৌসুমে ১৩৩ ম্যাচ খেলেছেন, জিতেছেন দুই লা লিগাসহ সাতটি শিরোপা। তবে ২০১৭-১৮ মৌসুমেই শুরু হয় হাঁটুর সমস্যা। অস্ত্রোপচার না করে খেলে যান তিনি, সেই বছরই লা লিগা জেতার পর ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন। পরে এক সাক্ষাৎকারে উমতিতি বলেছিলেন, ‘আমি দাঁতে দাঁত চেপে খেলেছি, যতটুকু সম্ভব নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
বিশ্বকাপের পর আর কোনো মৌসুমে ১৮ ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি উমতিতি। চিকিৎসা, প্লাজমা থেরাপি নিয়েও চোটের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান। সীমিত খেলার সুযোগ আর ক্লাবের আর্থিক সমস্যার কারণে ২০২২-২৩ মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব লেচেতে ধারে পাঠায় বার্সেলোনা। ২০২৩ সালে পারস্পরিক সম্মতিতে চুক্তি বাতিল করে বার্সেলোনা, তখনো উমতিতির তিন বছরের চুক্তি বাকি ছিল কাতালানদের সঙ্গে।
তারপর ফ্রান্সের হয়ে মাত্র ছয় ম্যাচ খেলতে পারেন উমতিতি। গত বছর কোচ দিদিয়ের দেশম তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি, তার জন্য উমতিতিকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। এরপর তার ক্যারিয়ার কঠিন সময়ের মধ্যে গেছে, কিন্তু জাতীয় দলে তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।’
আরও পড়ুন
'আমি বেঁচে আছি', মৃত্যুর গুজবের জবাবে আবিদাল |
![]() |
লিওঁর একাডেমি থেকে উঠে আসা উমতিতি ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ১৭০ ম্যাচ খেলেন। সেখান থেকেই বার্সেলোনায় যোগ দেন ২২ বছর বয়সে। ফ্রান্সের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ২০১৬ ইউরোয় কোয়ার্টার ফাইনালে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে।
৩১ বছর বয়সেই বাধ্য হয়ে বিদায় নিতে হলো সামুয়েল উমতিতিকে, তবে বিশ্বকাপ জয় আর বার্সেলোনার সোনালি সময়ে অবদান রেখে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন ফুটবল ইতিহাসে।
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ডার্বি হারের পরও রুবেন আমোরিমের ওপর আস্থা রাখছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বোর্ড। ইএসপিএনকে ইউনাইটেডের একটি সূত্র জানিয়েছে, আপাতত পর্তুগিজ এই কোচকে আরও কিছুটা সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
গত রোববার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সিটিজেনদের কাছে ৩-০ গোলে হেরে মৌসুমের সবচেয়ে বাজে শুরুর মুখ দেখেছে ইউনাইটেড। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে ৪ ম্যাচ খেলে দুটি হার, এক জয় ও এক ড্র করেছে তারা। ৩৩ বছরে লিগে এমন হতাশাজনক শুরু আর হয়নি তাদের। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে ৪০ বছর বয়সী আমোরিমের ওপর।
গত নভেম্বরে এরিক টেন হাগের জায়গায় দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমোরিমের অধীনে ইউনাইটেড ৩১ ম্যাচে ৮টিতে জিততে পেরেছে। তবে বোর্ড এখনও ভরসা হারায়নি তাঁর ওপর থেকে। আগামী শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচেও তাঁকে ডাগআউটে দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
‘আর্সেনাল চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার অন্যতম ফেবারিট’ |
![]() |
এনজো মারেসকার চেলসির পর আন্তর্জাতিক বিরতির আগে ব্রেন্টফোর্ড ও সান্ডারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইউনাইটেড। যদিও আমোরিমের ওপর বোর্ডের সমর্থন কতদিন থাকবে, সে ব্যাপারে এখনই স্পষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
সূত্র জানাচ্ছে, বোর্ড স্বীকার করছে ফলাফল উন্নত করা জরুরি, তবে আগের মৌসুমের তুলনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলেও তাদের বিশ্বাস। পরিসংখ্যানে ইউনাইটেডের অগ্রগতি স্পষ্ট—প্রত্যাশিত গোল, মোট শট, প্রতিপক্ষের বক্সে বল স্পর্শ—বেশ কয়েকটি সূচকেই শীর্ষে ছিল তারা।
ডার্বি হারের দিনও সিটির বিপক্ষে বল দখলে এগিয়ে ছিল ইউনাইটেড। শটের সংখ্যাও প্রায় সমান ছিল দুই দলের। এতে বোর্ডের কিছু কর্মকর্তার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে, মৌসুমের শুরুতে কয়েকটি ম্যাচ খুব অল্প ব্যবধানেই হারতে হয়েছে দলকে।
তবুও বাস্তবতা হলো, প্রথম চার ম্যাচে মাত্র চার পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ১৪ নম্বরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আগামী কয়েক সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নির্ধারণ করে দেবে, আমোরিমের প্রতি বোর্ডের আস্থা কতটা দীর্ঘ হবে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালকে অন্যতম ফেভারিট মনে করছেন আথলেটিক ক্লাবের ম্যানেজার এরনেস্তো ভালভার্দে। আজ রাতে সান মামেস স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
গত মৌসুমে সেমিফাইনালে পিএসজির কাছে হেরে বিদায় নেয় আর্সেনাল। তবে এবার তাদের নিয়ে ভিন্ন রকম বিশ্বাস ভালভার্দের। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আথলেটিক কোচ বলেন, ‘আর্সেনাল এখন পুরোপুরি মনোযোগী। টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল দিক দিয়ে তারা অসাধারণ, আর্তেতা খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের মানসিকতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাই আমার কাছে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার অন্যতম ফেভারিট।’
২০০৫ সালের পর আর কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে পারেনি আর্সেনাল। কখনো ইউরোপসেরা হওয়ার স্বাদও পায়নি তারা। তবুও ভালভার্দে সতর্ক হয়ে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে উচ্চমানের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে আমরা সব সময় ভালোবাসি। তবে আমাদের সাবধানে খেলতে হবে এবং সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। কারণ আর্সেনাল কোনো ভুল ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন
নতুন ফরম্যাটে অভিযানে নামছে নতুন রিয়াল |
![]() |
দশ বছরের অপেক্ষার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরেছে আথলেটিক। গত মৌসুমে লা লিগায় চতুর্থ হয়ে তারা জায়গা করে নেয় ইউরোপের সেরার মঞ্চে। এর আগে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে থেমে যায় তাদের যাত্রা, যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভেঙে যায়।
নতুন মৌসুমে টানা তিন জয়ে দুর্দান্ত শুরু করলেও গত শনিবার লিগে আলাভেসের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় আথলেটিক। এবার ইউরোপীয় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া তারা।
ম্যাচের আগে দলকে উজ্জীবিত করেছেন ইনিয়াকি উইলিয়ামস। ভাই নিকো উইলিয়ামস চোটের কারণে না খেললেও তিনি আশাবাদী, ‘আমরা বছরের পর বছর লড়াই করেছি এই জায়গায় পৌঁছাতে। এখন স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। আর্সেনালের মতো দারুণ প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছি, যারা কোনো দয়া করে না। তাই সুযোগগুলো কাজে লাগাতেই হবে। ভয় নেই আমাদের, যতদূর সম্ভব যেতে চাই। কঠিন জানি, কিন্তু আড়ালে থেকে লড়াই করতেই আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’