১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:১২ এম
ফিফা ও ব্যালন ডি'অর খেতাব আলাদাভাবে দেওয়ার পর থেকেই কোনটি সেরা, তা নিয়ে চলছে বিতর্ক। আয়োজক থেকে শুরু করে ভোটাভুটি পদ্ধতি ভিন্ন হওয়ায় এর বিজয়ীও তাই হয়ে যায় আলাদা। এই বছর যেমন ছেলেদের ব্যালন ডি'অর রদ্রি জিতলেও দ্য বেস্ট হয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর দাবি, সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য খেতাবটাই জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল তারকা।
ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর খেতাবের ক্ষেত্রে প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়েছে এটির প্রশ্নবিদ্ধ ভোটিং পদ্ধতি। এবারই যেমন, একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফেভারিট থাকলেও নাটকীয়ভাবে রদ্রির কাছে হেরে বসেন ভিনিসিয়ুস। তবে ফিফার বর্ষসেরার লড়াইয়ে ঠিকই সেরা হয়েছে ভিনি। ফিফার দ্য বেস্ট হওয়াটা অনেক দিক থেকেই কঠিন বলেই এখানে জেতার জন্য ফুটবলারদের মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও রাখতে হয়ে ইতিবাচক ছাপ।
আরও পড়ুন
সময় হয়েছে বলার, আমিই বিশ্বসেরা : ভিনিসিয়ুস |
![]() |
আর এই কারণেই মঙ্গলবার রাতে ভিনিসিয়ুসের হাতে ফিফা দ্য বেস্ট খেতাব তুলে দিয়ে ইনফান্তিনো দাবি করলেন, এটাই শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ান্ত মূল্যায়ন। “এটাই সেরাদের সেরা। আমরা জানতে চাই ফুটবলের মাঠে কারা জিতেছে এবং সেখান থেকে কারা অফিসিয়ালভাবে সেরা, তা খুঁজে বের করতে চাই।”
ফিফার এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে মাঠের পারফরম্যান্সসের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মাঠের বাইরের নানা কার্যকলাপকেও বিবেচনায় রাখা হয় সেরার নির্বাচনে। চূড়ান্ত পুরস্কার প্রদানের জন্য ফিফার বিচারকেরা সংক্ষিপ্ত মনোনয়ন পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা তৈরি করেন। এরপর ফিফার অধীনে থাকা দেশগুলোর জাতীয় দলের অধিনায়ক, কোচ ও সাংবাদিকরা তাদের ভোট দেন। এছাড়া ভক্তরাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পান ফিফার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। একজন ভোটারক তিনজন করে সেরা খেলোয়াড় বাছাই করেন। এসব ভোটাভুটির পয়েন্টের ভিত্তিতে করে নির্ধারণ করা হয় বিজয়ীর নাম।
আরও পড়ুন
‘ফিফা দ্য বেস্টই সবার সেরা, কারণ এখানে নিরপেক্ষতা থাকে’ |
![]() |
ফিফা সভাপতি তাই এগিয়ে রাখলেন তাদের পুরস্কারকেই। “সবদিক থেকেই এটাই সেরা। কারণ, এখানে আমাদের ভোটের অনেক বিভাগ রয়েছে। আপনি যদি বিশ্বের সেরা কে, তা জানতে চান, তাহলে এটা কেবল ফিফার বিচারেই হওয়া উচিত। কারণ এখানে সবাই ভোট দেয়, এটা স্বচ্ছ, এটা নিরপেক্ষ।”
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয় ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠান। তবে মাঝে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে একীভূত করে। ২০১৬ সাল থেকে আবার দুটি অনুষ্ঠান হচ্ছে আলাদাভাবেই।
এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রদ্রি ফিফার দ্য বেস্টে হয়েছেন রানার্সআপ। আর ফিফার দ্য বেষ্ট জেতা ভিনিসিয়ুস হয়েছিলেন ব্যালন ডি’অরের রানার্সআপ।
১১ জুলাই ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
চলতি মৌসুমে পিএসজির দুর্দান্ত পথচলায় সবাই কমবেশি অবদান রাখলেও উসমান দেম্বেলেই আছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। ক্যারিয়ার সেরা মৌসুমে দলের ট্রেবল জয়ের পর ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনায় সবচেয়ে উজ্জ্বল যে তিনিই। আর এই কারণেই সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা গ্যারেথ বেল মনে করেন, ব্যালন ডি’অর দেম্বেলেরই পাওয়া উচিত এবার।
বার্সেলোনায় মাঝে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা দেম্বেলে ২০২৪-২৫ মৌসুমে যেন উড়ছেন। পিএসজির লিগ ওয়ান, লিগ কাপ, কোপা দ্য ফ্রাঁস ও বহু প্রতীক্ষিত প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতায় সামনে থেকে রেখেছেন অবদান। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার ক্ষেত্রেও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ৫৩ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট।
আরও পড়ুন
অবিশ্বাস্য গরমে খেলে ‘মাথা ঘুরছিল’ এনজোর |
![]() |
ইএসপিএনের এক অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে তাই দেম্বেলেকেই এগিয়ে রেখেছেন বেল।
“আমি মনে করি সেই লড়াইয়ে এগিয়ে আছে। এখানে আরেকটা ব্যাপার হলো, তার দল কী জিতেছে, সেটাও কিন্তু দেখতে হবে। লোকেরা অনেক সময় শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়েই মেতে থাকে, কিন্তু আপনি যফি ট্রফিও জিততে পারেন… বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ঘরোয়া ট্রেবল, সাথে তারা যদি ক্লাব বিশ্বকাপও জেতে, তাহলে আমি তো দেম্বেলে ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।”
শুধু বেলই নন, অনেকেই এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়ে দেম্বেলের ধারেকাছেও কাউকে দেখছেন না। লুইস এনরিকের কোচিংয়ে বদলে যাওয়া এই ফরাসি ফরোয়ার্ড নিজেকে এই মৌসুমে মেলে ধরছেন নতুন করে। পিএসজির এই দলের কান্ডারিও বলা যায় তাকে। আক্রমণভাগে তার উপস্থিতি প্রতিপক্ষকে ফেলে দিচ্ছে বাড়তি চিন্তায়।
আরও পড়ুন
‘তারকা নয়, দলগত পারফরম্যান্সই পিএসজির শক্তি’ |
![]() |
সব মিলিয়ে বেলের কাছে তাই দেম্বেলেই ফেভারিট।
“সে শুধু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যই দেখায়নি, দলকে শিরোপাও এনে দিয়েছে। তাই আমার মতে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে অন্যদের চেয়ে সে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছে।”
তীব্র গরমের মধ্যে খেলা চলার কারণে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবার চেলসির মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার আবহাওয়াকে ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন। আর্জেন্টাইন তারকা এও বলেছেন, গরমে তার মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার দশা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপের ভেন্যুতে মাত্রাতিরিক্ত গরম নিয়ে অনেক খেলোয়াড় ও কোচই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিছু ম্যাচ চলাকালীন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায়। তেমনই এক ভেন্যু মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলার সময় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই ম্যাচে এক পর্যায়ে মাঠেই শুয়ে পড়তে বাধ্য হন এনজো।
আরও পড়ুন
‘তারকা নয়, দলগত পারফরম্যান্সই পিএসজির শক্তি’ |
![]() |
পিএসজির বিপক্ষে ফাইনালের আগে প্রতিকূল আবহাওয়াতে খেলা নিয়ে চিন্তার কথা বলেন এনজো।
“সত্যি কথা বলতে কী, এখানে গরমটা অবিশ্বাস্য। খেলতে গিয়ে একটা সময়ে আমার মাথা ঘুরে যাচ্ছিল। আমি মাঠেই শুয়ে পড়ি, কারণ অনেক ক্লান্ত লাগছিল। এই তাপমাত্রায় খেলা খুবই বিপজ্জনক। আর এটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, দর্শকদের জন্যও। এমন হলে খেলাটার গতি থাকে না, মজা চলে যায়, খেলা ধীরগতির হয়ে যায়।”
সম্প্রতি গ্লোবাল খেলোয়াড় ইউনিয়ন ফিফপ্রো জানিয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচের সময় তাদের স্কেলে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল, যা ফুটবল ম্যাচের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। অন্যদিকে ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গারও স্বীকার করেছেন, অতিরিক্ত গরম খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সকেও প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
উল্লেখ্য, ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে এই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে জুন-জুলাই মাসে, যখন তিন দেশেই গ্রীষ্মের তীব্র গরম থাকবে। সেই চিন্তা থেকে ফিফা চিন্তা করছে আটলান্টা, ডালাস, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টনের মতো ছাদযুক্ত স্টেডিয়ামে কিছু ম্যাচ আয়োজনের কথা।
আর এনজোর মতে, বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যু বদল না হলে খেলোয়াড়দের শারীরিক ঝুঁকি অনেক বাড়বে।
“আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, কিন্তু আমাদেরও শরীর আছে। গরমের মধ্যে দৌড়ানো, ছোটাছুটি করা, খেলাটাকে উপভোগ করা… যাই বলুন, সবই কঠিন হয়ে যায়। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে তাই বিষয়টা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।”
তারকার হাট বসিয়েও মৌসুমের পর মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। সেই পিএসজিই কিনা গত মৌসুম থেকে সাদামাটা একটি দল নিয়েও হয়ে গেছে ইউরোপ সেরা, হাতছানি এখন ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়া ‘কোয়াড্রপল’ জেতার। কোচ লুইস এনরিকে মনে করেন, দল হিসেবে খেলাটাই তাদের মূল শক্তির জায়গা।
২০২৪-২৫ মৌসুমে ট্রেবল জেতা পিএসজি নিজেদেফ ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মাত্র এক মাস বাদে এখন চলে গেছে আরেকটি শিরোপার মঞ্চে। এবারই প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা দলটি ফাইনালে চেলসিকে হারাতে পারলে চার বছরের জন্য হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্লাবও। অথচ এমন পারফরম্যান্স করা একটি দল কিনা মেসি-নেইমার-এমবাপেদের নিয়েও পারেনি ঘরোয়া লিগের বাইরে তেমন কিছু করতে।
আরও পড়ুন
গোলবন্যায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু বাংলাদেশের |
![]() |
চেলসির বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি কোচ জানালেন, তারকা নির্ভর না থাকাটাই তাদের এগিয়ে রেখেছে।
“আমি নিজেও কোনো তারকা নই। আমি শুধু আমার কাজটাকেই ভালোবাসি, বিশেষ করে যখন কঠিন সময় আসে। জয়ী হলে সেটা তো অবশ্যই ভালো লাগে, কারণ আমরা যখন জিতে যাই, আমাদের সমর্থকদের মুখে সেটা হাসি ফোটায়। তবে সমালোচনার সময়গুলোতে আমি নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে পেরেছি।”
আধুনিক কোচদের মধ্যে অন্যতম সেরা এনরিকে পিএসজির আগে ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়েও স্বাদ পান ট্রেবল জয়ের। তবে সেই দলে ছিলেন মেসি-নেইমাররা। সেই তুলনায় এই পিএসজি দলে তারকা বলতে আছেন দেম্বেলে-হাকিমিরা।
এই মৌসুমকে তাই বার্সেলোনা অধ্যায়ের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন এনরিকে।
“হয়তো এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম হতে যাচ্ছে। তবে এখনো একটা ফাইনাল বাকি আছে। সেটা জেতার পরই বলা যাবে যে আমরা ঠিক কতটা সফল।”
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
তারকা খেলোয়াদের বিদায়ের পর এনরিকে পিএসজি দল গড়েছেন একঝাঁক উদ্যমী ও দলের প্রতি নিবেদিত ফুটবলারদের নিয়ে। সাফল্যের কারণ হিসেবে সেটাকেই সামনে আনলেন তিনি।
“আমরা এমন একটা দল হতে চাই, যেখানে ১১ জন নয়, ১৩ বা ১৫ জন তারকা থাকতে পারে। কিন্তু সেই তারকারা খেলবে দলের জন্য। দল হিসেবেই আমাদের জ্বলে উঠতে হবে।”
টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য মাইলফলক ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের অপরাজিত ইনিংস, যা আজও এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ স্কোর। সম্প্রতি সেই রেকর্ডের ভেঙে দেওয়ার খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার। তবে শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় সেই চেষ্টা থেকে বিরত থাকেন তিনি, যা জন্ম দেয় বিস্ময়ের। ক্যারিবিয়ান গ্রেট লারাও মুল্ডারকে বলেছেন, রেকর্ডটা তার নিজের করে নেওয়া উচিত ছিল।
গত সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগে মুল্ডারের স্কোর ছিল ৩৬৭। তিন দিন বাকি থাকায় ম্যাচে হার-জিতের প্রশ্নও ছিল না। তবে অনায়াসেই লারাকে পেছনে ফেলার বদলে ইনিংস ঘোষণা করে দেন ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মুল্ডার। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
আরও পড়ুন
টি স্পোর্টসের পর্দায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ |
![]() |
সম্প্রতি সুপার স্পোর্ট–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুল্ডার জানান, সেই ইনিংসটি নিয়ে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি লারার সাথেও সঙ্গে কথা হয়েছে তার।
“তিনি (লারা) আমাকে বলেছেন, রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই হয়। তাই আমি যেন আগামীতে নিজের লেগ্যাসি গড়ার জন্য চেষ্টা করি। আবার আমার সামনে এমন সুযোগ এলে যেন আর পিছিয়ে না যাই।”
২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লারা খেলেছিলেন সেই অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংস। এর আগে তার করা ৩৭৫ রানের রেকর্ড ভেঙেছিলেন সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন (৩৮০ রান)। এর এক বছর না যেতেই লারা আবারে রেকর্ড নিজের করে নেন। এবার ৩৬৭ রানে থেমে গিয়ে মুল্ডার বলেছিলেন, লারার প্রতি সম্মান থেকেই রেকর্ড ভাঙার চেষ্টায় যাননি তিনি।
আরও পড়ুন
জয় দিয়েই আসর শুরু চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের |
![]() |
স্বয়ং লারা রেকর্ড ভাঙ্গার কথা বললেও মুল্ডার এখনও নিজের অবস্থানে অনড়।
“তার (লারা) দৃষ্টিভঙ্গি অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক। তবে আমি এখনও মনে করি, আমার সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল। আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার খেলাটার প্রতি সম্মান দেখানো।”
ম্যাচের শুরুতেই দেখা মিলল প্রথম গোলের। সেই শুরু, এরপর থেকে পুরো ম্যাচেই একচেটিয়া আধিপত্য দেখালেন বাংলাদেশের মেয়েরা। হ্যাটট্রিক করে আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিলেন সাগরিকা, সাথে যোগ দিলেন অন্যরাও। তাতে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জয়ে দুর্দান্ত সূচনা করলো বাংলাদেশ।
শুক্রবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ৯-১ গোলের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেছেন মুনকি আক্তার, আর একটি করে গোল করেছেন স্বপ্না রানী, শিখা জাহান, রুপা আক্তার ও শান্তি মার্দি।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে এদিন মাঠ ছিল কর্দমাক্ত ও ভারী। তবে এর মধ্যেও গোলের পর গোল করতে মোটেও কষ্ট হয়নি লাল-সবুজ শিবিরের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফ্রি-কিক থেকে দৃষ্টিনন্দন গোলে শুরু করেন স্বপ্না রাণী।এর খানিক বাদে ফের গোল। এবার নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি।
আরও পড়ুন
রিয়ালে সফল হবেন আলোনসো, মনে করেন বেল |
![]() |
প্রথমার্ধ জুড়ে আধিপত্য বজায় রেখে একের পর এক আক্রমণ করে যায় বাংলাদেশ। ফলও মিলে যায় তাতে আবার। ৩৭তম মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন সাগরিকা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে বাংলাদেশের একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
তবে ম্যাচে এর প্রভাব একেবারেই পড়েনি। বিরতির পর আক্রমণের ধার বেড়ে যাওয় আরঅ। এই অর্ধের শুরুতেই সাগরিকার পাস থেকে বল পেয়ে মুনকি বল জালে পাঠান। ৫০তম মিনিটে শিখা স্কোরলাইন ৫-০ করে ফেলেন। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুটি দৃষ্টিনন্দন গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা। এরপর তাকে তুলে নেন কোচ।
শেষদিকে পিটার বাটলার আরও কয়েকজনকে তুলে নিয়ে বাজিয়ে দেখেন অন্যদের। তাতেও কমেনি আক্রমণের ধার। সেই ধারায় যোগ হয় আরও দুটি গোল। শ্রীলঙ্কা একমাত্র গোলটি আসে ম্যাচের অন্তিম সময়ে।
আরও পড়ুন
গতিসীমা অতিক্রমেই দুর্ঘটনার শিকার জতা, ধারণা পুলিশের |
![]() |
প্রথম ম্যাচেই এমন দাপুটে জয় এই টুর্নামেন্টের গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী রোববার স্বাগতিকরা খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে