২১ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। টানা দুই সেঞ্চুরির পর অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি চোটে ছিটকে গেছেন। বিশ্বকাপে নিজেদের পরের ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন না তিনি।
গত শনিবার অনুশীলনে কাঁধের মাংসপেশীর চোটে পড়েন হিলি। দলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিলির অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রা। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন হিলি। চার ম্যাচে ২৯৪ রান করে দলটির সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। ভারতের বিপক্ষে ১০৭ বলে ১৪২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। সেটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম এবং ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সেই ইনিংসেই নারী ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
তারপর বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন হিলি।
No posts available.
২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬:০৫ পিএম
২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫:২১ পিএম
২১ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৫৪ পিএম
২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ সপ্তাহে জমে উঠেছে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই। ইতোমধ্যে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেছে তিন হেভিওয়েট দল—অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি একটি স্পটের জন্য লড়াই করছে চারটি দল—ভারত, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। সোমবার শ্রীলঙ্কার কাছে সাত রানে হেরে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কোন দেশের কী অবস্থা।
চাপে স্বাগতিক ভারত
স্বাগতিক হিসেবে অতিরিক্ত অ্যাডভান্টেজ পাওয়ার কথা থাকলেও ভারতের সেমিফাইনালের পথ হয়ে উঠেছে কণ্টকাকীর্ণ। জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হেরেছে হারমানপ্রীত কৌরের দল। পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও তিন হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে ভারত। নেট রান রেট +০.৫২৬।
আগামী বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেই নির্ধারিত হয়ে যাবে ভারতের ভাগ্য। কিউই মেয়েদের হারাতে পারলে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতের সেমিফাইনাল। তবে হারলে পড়তে হবে জটিল সমীকরণে—তখন তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য ম্যাচের ফলাফলের দিকে।
নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালের দৌড়ে বাঁধা বৃষ্টি
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কপাল যেন কিছুটা খারাপই বলা যায়। পাঁচ ম্যাচের দুটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক সোফি ডিভাইন।
পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের নেট রান রেট -০.২৪৫। সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে ভারতের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে জিততেই হবে কিউইদের। এই ম্যাচে হারলে বিদায় প্রায় নিশ্চিত।
পরবর্তী দুটি ম্যাচ জিতলে সরাসরি সেমিফাইনালে উঠে যাবে নিউজিল্যান্ড। তাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিকে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল বলা যায়। তবে যদি ভারতের বিপক্ষে জেতে কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায়, তাহলে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের ফলাফলের দিকে।
শ্রীলঙ্কার শেষ চেষ্টা
ছয় ম্যাচে এক জয় নিয়ে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৪, তবে নেট রান রেট -১.০৩৫। শুক্রবার পাকিস্তানকে হারাতে হবে লঙ্কানদের। তবে শুধু জিতলেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে যাতে ভারত পরবর্তী দুই ম্যাচেই হেরে যায়।
সঙ্গে নজর রাখতে হবে নিউজিল্যান্ডের দিকেও। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকতে পারে শ্রীলঙ্কা। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় ছাড়া বিকল্প নেই।
অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় পাকিস্তান
এখনও টুর্নামেন্টে কোনও জয় পায়নি পাকিস্তান। তবে কাগজ-কলমে এখনও টিকে আছেন ফাহিমা সানারা। পাঁচ ম্যাচে পাকিস্তানের পয়েন্ট মাত্র ২, নেট রান রেট -১.৮৮৭।
সেমিফাইনালে যেতে হলে আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে এবং শুক্রবার শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে বড় ব্যবধানে। সঙ্গেই প্রার্থনা করতে হবে যেন ভারত এবং নিউজিল্যান্ড উভয়ই তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে হেরে যায়। তবে বাস্তবতা হলো—অলৌকিক কিছু না ঘটলে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়া অনেক কঠিন।
উত্তেজনা বাকি তিন দিনে
বৃহস্পতিবার ভারত-নিউজিল্যান্ড এবং রোববার ভারত-বাংলাদেশ—এই দুটি ম্যাচেই নির্ধারিত হবে শেষ চারের ভাগ্য। সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারবে কি ভারত? নাকি চমক দেখিয়ে শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের কেউ পৌঁছে যাবে শেষ চারে—তা জানা যাবে এই সপ্তাহেই। সব মিলিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শেষ সপ্তাহের ক্রিকেট হয়ে উঠেছে রুদ্ধশ্বাস ও নাটকীয়তায় ভরা।
পরপর দুই ম্যাচে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে শেষ দিকে এগিয়ে দিলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ২৬ রানের পর এবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি খেললেন ১৪ বলে ৩৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। যার সৌজন্যে গড়লেন দ্রুততম ইনিংসের রেকর্ড।
৩টি করে চার-ছক্কার ইনিংসে ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন রিশাদ। বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ১০ বল খেলা ইনিংসে এটিই সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড।
এত দিন রেকর্ডটি ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ১৬ বলে ২৭৫ স্ট্রাইক রেটে ২৭৫ রান করেছিলেন মাশরাফি। আর ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিবও ১৬ বলে ২৭৫ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৪৪ রান।
মাশরাফির ইনিংসে ছিল ৫ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা। আর সাকিব ৪৪ রান করেছিলেন ৬ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মেরে।
৪৬তম ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহান আউট হলে ক্রিজে যান রিশাদ। পরের ওভারে রস্টোন চেজের বলে নিজের প্রথম বাউন্ডারি মারেন তিনি। পরে ৪৯তম ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে ১ চারের পর মেরে দেন ২টি ছক্কা।
আর শেষ ওভারে আকিল হোসেনের প্রথম বলেই ছক্কার পর চতুর্থ বল গড়িয়ে পাঠান সীমানার ওপারে। সব মিলিয়ে ৩টি করে চার-ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।
মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে মাত্র ২৪ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন রিশাদ। যেখানে মিরাজের অবদান ১০ বলে মাত্র ১১ রান।
ওয়ানডে ক্রিকেটের দীর্ঘ ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ ইনিংসের পুরোটা স্পিনার দিয়ে বোলিং করাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্পিন স্বর্গে পুরো ৫০ ওভারই তারা স্পিনার ব্যবহার করেছে।
১৯৭১ সাল থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে আর কোনো দল কখনও ৫০ ওভার স্পিনার দিয়ে বোলিং করায়নি।
এত দিন ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্পিন বোলিংয়ের রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার। ত্রিনিদাদে ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, কলম্বোতে ১৯৯৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ও ডাম্বুলায় ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৪ ওভার স্পিন বোলার দিয়ে করিয়েছিল লঙ্কানরা।
এছাড়া গুদাকেশ মোতি, আকিল হোসেন, খ্যারি পিয়েরে, রস্টোন চেজ ও আলিক আথানেজ- অর্থাৎ ৫ স্পিনার নিয়ে আরও কিছু রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের মাঠে সর্বোচ্চ স্পিন
বাংলাদেশের মাঠে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্পিন বোলিং করার রেকর্ডও গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ও ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪০ ওভার স্পিনার দিয়ে করিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেই রেকর্ড ভেঙে এবার পুরো ৫০ ওভারই স্পিনার ব্যবহার করেছে ক্যারিবিয়ানরা। যা আর কারও পক্ষে ভাঙা সম্ভব হবে না। বড় জোর রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবে কোনো দল।
আথানেজের রেকর্ড
ক্যারিয়ারের প্রথম ১৪ ম্যাচে সব মিলিয়ে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করেছিলেন আলিক আথানেজ। এবার ১৫তম ম্যাচে এসে পূর্ণ ১০ ওভার করলেন এই অফ স্পিনার। যেখানে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১৪ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে পুরো ১০ ওভার বল করে এর চেয়ে কম রান খরচের রেকর্ড আছে শুধু আথানেজের পূর্বসূরি ইয়ান ব্র্যাডশর। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।
এছাড়া বাংলাদেশের মাঠে এর চেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড শুধু সাকিব আল হাসানের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেই ১০ ওভারে ১১ রান দিয়েছিলেন সাবেক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। এছাড়া আরও দুই ম্যাচে ১৩ রান করে দেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড
বিশ্ব রেকর্ডের ইনিংসে স্বাভাবিকভাবেই ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্পিনার ব্যবহারের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৪ ওভার স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চলতি ম্যাচে সেই রেকর্ড ভেঙে পুরো ৫০ ওভার স্পিনার দিয়ে করাল তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার প্রথম পাওয়ারপ প্লের পুরো ১০ ওভার স্পিনার ব্যবহার করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষেই পাওয়ার প্লেতে ৭ ওভারে স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছিল তারা।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও কোনো ওয়ানডেতে এই প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারেই বোলিং করলেন স্পিনাররা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে জিতেও ট্রফি অধরা রইল ভারতের। কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এশিয়া কাপের 'ট্রফি বিতর্ক' এখনো চলমান। এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসসি) প্রধান মহসিন নাকভিকে ই-মেইল পাঠিয়ে ট্রফি ভারতের হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়া মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, নাকভির কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে তোলা হবে। সাইকিয়া বলেন, 'আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। নকভির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে আইসিসিকে বিষয়টি জানাব।'
আরও পড়ুন
টানা দুই সেঞ্চুরির পর ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক |
![]() |
এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতীয় দল নাকভির হাত থেকে ট্রফি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ক্ষুব্ধ হয়ে নাকভি পুরো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল করেন এবং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ট্রফিটি সরিয়ে নিতে। বর্তমানে ট্রফিটি এএসসির দুবাই অফিসে রয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বরের এএসসি বৈঠকে নাকভির আচরণের নিন্দা জানায় বিসিসিআই। বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা বলেন, 'এশিয়া কাপ ট্রফি ভারতের প্রাপ্য। এটি অবিলম্বে বিজয়ী দলের হাতে তুলে দিতে হবে।'
বিসিসিআই সচিব সাইকিয়া নাকভির আচরণকে 'অপেশাদার ও খেলাধুলার চেতনার পরিপন্থী' বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'আমরা সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেব না। কিন্তু তাই বলে তিনি সেটি নিয়ে চলে যাবেন—এটি একেবারেই অনুচিত ও অখেলোয়াড়সুলভ।'
এর আগে নাকভি এএসসির সদস্য দেশগুলোর কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেও ভারতের কাছে ট্রফি পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানান। বরং তিনি বলেন, ভারতের অধিনায়ককে দুবাইয়ে এসে ট্রফি নিতে হবে। বিসিসিআই এই শর্তকে 'অযৌক্তিক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
মূল ম্যাচের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৫ রান। বোলিংয়ে সাইফ হাসান। প্রথম দুই বলে রান নিতে ব্যর্থ আকিল হোসেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিনি স্ট্রাইক দিলেন সেট ব্যাটার শাই হোপকে। তবে হোপও ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না।
সমীকরণ দাঁড়াল ২ বলে ৩ রান। বড় শট মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন আকিল। শেষ বলে উড়িয়ে মারলেন শেষ ব্যাটার খ্যারি পিয়েরে। স্কয়ার লেগের দিকে গিয়ে ক্যাচ নিতে পারলেন না নুরুল হাসান সোহান। এরই মধ্যে ২ রান নিয়ে নিলেন হোপ ও পিয়েরে।
ফলে টাই হয়ে যায় ম্যাচ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এই প্রথম টাই হলো বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ।
সুপার ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব নেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন শাই হোপ। পরের বলে মোস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন শেরফান রাদারফোর্ডকে। ক্রিজে আসেন ব্র্যান্ডন কিং। পরের তিন বলে ৫ রান নিয়ে নেন হোপ ও কিং।
শেষ বলে মোস্তাফিজের কাটার হোপের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় ফাইন লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে। ফলে ১০ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সফরকারীদের হয়ে বোলিংয়ে আসেন আকিল হোসেন। ব্যাটিংয়ে নামেন সাইফ ও সৌম্য সরকার। প্রথম বলই আকিল করেন ওয়াইড। পরেরটি 'নো' বল করেন তিনি। সৌম্য নিয়ে নেন ২ রান। পরে ফ্রি হিটে আসে ১ রান। স্ট্রাইক পান সাইফ।
সাইফ প্রথম বল খেলেন ডট। পরের বলে ১ রান নিয়ে সৌম্যকে ব্যাটিং দেন তিনি। ৩ বলে ৫ রানের সমীকরণে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ আউট হন সৌম্য। পরে ব্যাটিংয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। লেগ বাই থেকে ১ রান নেন তিনি।
শেষ বলে বাকি থাকে ৪ রান। ওয়াইড করে বসেন আকিল। পরের বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি সাইফ। তাই সুপার ওভারে ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২১৩/৭ (সাইফ ৬, সৌম্য ৪৫, হৃদয় ১২, শান্ত ১৫, মাহিদুল ১৭, মিরাজ ৩২, নাসুম ১৪, সোহান ২৩, রিশাদ ৩৯; আকিল ১০-১-৪১-২, চেজ ১০-২-৪৪-০, পিয়েরে ১০-০-৪৩-০, মোতি ১০-০-৬৫-৩, আথানেজ ১০-৩-১৪-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২১৩/৯ (আথানেজ ২৮, কিং ০, কার্টি ৩৫, অগাস্ত ১৭, হোপ ৫৩*, রাদারফোর্ড ৭, মোতি ১৫, চেজ ৫, গ্রিভস ২৬, আকিল ১৬, পিয়েরে ২*; নাসুম ১০-০-৩৮-২, মিরাজ ১০-১-৩৮-০, মোস্তাফিজ ৮-০-৪০-০, তানভির ১০-০-৪২-২, রিশাদ ১০-০-৪২-৩, সাইফ ২-০-৯-১)