
আর্লিং হলান্ড গোল করেছেন। একটি নয়, দুইটি। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের জোড়া গোলের রাতে ম্যানচেস্টার সিটি পেয়ে গেল দারুণ এক জয়। ২০২৫–২৬ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডের বুটের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার রাতে এফসি বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারাতে বড় ভূমিকা ছিল হলান্ডের।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা সিটি পরের অর্ধে আরও একটি গোল করে। বোর্নমাউথের একমাত্র গোল শোধ করেন জার্মান মিডফিল্ডার টেইলর অ্যাডামস।
এ জয়ে লিগের পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে পেপ গার্দিওলার দল। আসরে ১০ ম্যাচে ৬ জয়ের বিপরীতে ৩ হার এবং ১ ড্র সিটিজেনদের। দলটির পয়েন্ট ১৯। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল থেকে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। বোর্নমাউথ দুই থেকে নেমে গেছে চারে, ১৮ পয়েন্ট তাদের। তিনে লিভারপুল, যাদের পয়েন্ট সমান ১৮।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে নিজেদের প্রথম গোল আদায় করে ম্যানসিটি। মিডফিল্ডার রায়ান শেরকির হেড থেকে পাওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নেন আর্লিং হলান্ড। তীব্র গতিতে ঢুকে পড়েন ডি বক্সে এবং বাঁ-পায়ের জাদু দেখিয়ে করেন গোল।
১৯ মিনিটে ফের আক্রমণে যায় ম্যানসিটি। জারমে ডোকুর চেষ্টা বৃথা যায়। ততক্ষণে ডিফেন্স লাইন শক্তিশালী করে তোলে বোর্নমাউথের ডিফেন্সাররা।
অতিথিরা ঘুরে দাঁড়াতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৫ মিনিটে কর্নার থেকে আসা শট হাত দিয়ে রুখে দেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। বল পড়ে টেইলর অ্যাডামসের কাছে, যিনি সহজেই গোল করে বোর্নমাউথকে সমতায় ফেরান।
২৯ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার শট হাতে লেগে যায় ডি বক্সে থাকা আলেক্স হিমেনেজের হাতে। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন, যা থেকে প্রিমিয়ার লিগে নিজের ১৩তম গোল আদায় করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
৪৯ মিনিটে ডি বক্সের আগে ফাউলের শিকার হন ফিল ফোডেন। স্পটকিক নেন হলান্ড। ডোর্জে পেট্রোভিচ বলটি রুখে দেন। প্রথমার্ধ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে ম্যানসিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে বড় অঘটন থেকে বেঁচে যায় ম্যানসিটি। এই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন দোন্নারুম্মা, যিনি দুর্দান্ত গতির শট রুখে দেন। তবে ৫৯ মিনিটে স্কোর ৩-১ করে ফেলে সিটিজেনরা। বোর্নমাউথের দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে আলতো করে নিকো গঞ্জালেজের দিকে বল বাড়ান ফিল ফোডেন। এরপর ইংলিশ ডিফেন্ডার বক্সে ঢুকে বাঁ-পায়ের জোরালো শটের মাধ্যমে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে গোল শোধের চেষ্টা করে অতিথিরা। তা সম্ভব হয়নি। তবে একটি বিষয়ে তারা এগিয়ে ছিল—বল পজিশন ধরে রাখা। প্রায় ৫২ শতাংশ বল বোর্নমাউথের দখলে ছিল।
No posts available.
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২৯ পিএম
৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ এম

ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের বিশ্বজয়ের উচ্ছ্বাসে মিশেছে এক আবেগঘন গল্প। নাভি মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে হরমনপ্রীত কৌরের ভারত। কিন্তু এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে ছিল এক পরিবারের নীরব বেদনা!
দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অমনজোত কৌরের দাদি ভগতী দেবী বিশ্বকাপ চলাকালীন হার্ট অ্যাটাকে করেন। কিন্তু এই দুঃসংবাদ যেন অমনজোতের খেলায় না পড়ে, তাই পরিবার বিষয়টি এই অলরাউন্ডারের কাছ থেকে গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
অমনজোতের বাবা ভূপিন্দর সিং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমার মা ভগতী দেবী ছোটবেলা থেকেই অমনজোতের সবচেয়ে বড় সমর্থক। আমি যখন আমার কাঠের দোকানে কাজ করতাম, তখন মা বসে থাকতেন মাঠে বা পার্কে, যেখানে মেয়েটা ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলত। গত মাসে মা হার্ট অ্যাটাক করেন, কিন্তু আমরা অমনজোতকে কিছু জানাইনি। হাসপাতালেই দিন কাটিয়েছি। এখন ভারতের বিশ্বকাপ জয় যেন আমাদের সব কষ্টের ওষুধ।’
বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা ভলভার্টকে (১০১) আউট করতে যে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচটি ধরেছিলেন অমনজোত, সেটিই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় ভারতের পক্ষে। পরে ম্যাচ শেষে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ওই ক্যাচটা জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত ছিল। দ্বিতীয় সুযোগটা কাজে লাগাতে পেরে খুশি। আমরা ইতিহাস গড়েছি—এটা কেবল শুরু, ভারতীয় নারী ক্রিকেট আরও অনেক দূর যাবে।’
হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে এই জয় শুধু এক ট্রফির গল্প নয়, এক পরিবারের নিঃশব্দ ত্যাগ, মায়ের প্রার্থনা আর মেয়ের অদম্য ছুটে চলার গল্পও।

অনেকের জীবনে ফুটবলই ধ্যান-জ্ঞান। প্রিয় দলের জয়-পরাজয় নিয়ে একটু বেশিই আবেগী অনেক ফুটবল সমর্থক। তবে অতি আবেগ যে বিপদও ডেকে আনতে পারে।
সবশেষ এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদের এক সমর্থকের সঙ্গে ঘটেছে মর্মান্তিক ঘটনা। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় প্রিয় দল রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখতে এসেছিলেন্ ইগল ব্রডকিন। তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ও পায়। তবে সেই জয় আর দেখা হয়নি তার।
ম্যাচের ৫২ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় ব্রডকিনের। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি ৫০ বছর বয়সী ওই সমর্থককে।
শুরুতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় স্টেডিয়ামের মেডিক্যাল টিম। এরপর তাকে দ্রুত ভর্তি করানো হয় লা পাজ হাসপাতালে। তবে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানেন তিনি।
বাবার মৃত্যুর বিষয়ে ব্রডকিনের ছেলে বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের পাড় ভক্ত ছিলেন আমার বাবা। পুরো পরিবারের মাঝে ক্লাবের ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। একসঙ্গে সব সময় আমরা খেলা দেখতাম।
প্রিয় সমর্থকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা আসন্ন ৫ নভেম্বরের চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে এক মিনিটের নীরবতা পালন করার পরিকল্পনা করেছেন।

ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিলেন। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে সেরে রোমার জয়েও অবদান রাখছিলেন, হয়েছিলেন রোমার অক্টোবরের সেরা খেলোয়াড়ও। তবে বিধাতার বোধহয় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সুখ সহ্য হলো না। আবারও চোটে পড়েছেন পাউলো দিবালা।
সিরি‘আ’তে গতকাল এসি মিলানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে রোমা। ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন এসি মিলানের সার্বিয়ান ডিফেন্ডার স্ট্রেহিনযা পাভলোভিচ। রোমাকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন দিবালা। তবে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন ৩১ বছর বয়সী তারকা।
স্পট কিক থেকে গোল করতে না পারার চেয়ে চোটই বরং বেশি পীড়া দেওয়ার কথা দিবালাকে। পেনাল্টি নেওয়ার সময়ই যে ইনজুরিতে পড়েন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচ শেসে পেনাল্টি মিসের বিষয় নয় বরং দিবালার চোট নিয়েই হতাশা রোমার কোচ জিয়ান পিয়েরো গ্যাসপেরিনি।
‘ডিএজেডএন’কে তিনি বলেন, ‘পেনাল্টি? সবচেয়ে খারাপ খবর হলো দিবালার আঘাত। এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, তবে তিনি বিরতির পর অবশ্যই ফিরবেন। এটা দুঃখজনক, কারণ দিবালা ধারাবাহিক বেশ কিছু দুর্দান্ত ম্যাচ খেলছিলেন। এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো তাঁর চোট।’
গত কয়েক ম্যাচেই দারুণ ছন্দে ছিলেন দিবালা। চোট সেরে অক্টোবরের শুরুর দিকে মাঠে ফিরে দুই গোলের সঙ্গে একটি অ্যাসিস্টও করেন তিনি। আগামী কয়েক দিনে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চোটের ধরণ নিয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি তাঁর ক্লাব রোমা। এর আগে গত মার্চে পেশির চোটে তিন মাসেরও বেশি সময় মাঠের বাইরে ছিলেন দিবালা।

‘জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত।’ লিভারপুল ছাড়ার পর এমনটাই বলেছিলেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছিল এখানেই। অল রেডদের একাডেমি থেকে বেড়ে উঠে ক্লাবের হয়ে পেয়েছেন অনেক সাফল্যও। চিরচেনা সেই ক্লাব ছেড়ে চলতি মৌসুমে আর্নল্ড যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। এবার সেই সাবেক হয়ে যাওয়ার ক্লাবেরই মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ইংলিশ ফুল-ব্যাক।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দু’টায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। আর এই ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন আর্নল্ড। দুই দশকের সম্পর্কে ছেদ টানার পর যে তিনি ফিরছেন অ্যান ফিল্ডে। দীর্ঘ সময় যে ক্লাবটির জার্সিকে ভালোবেসে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন মাঠে, এখন সেই লিভারপুলের বিপক্ষেই ঝাপিয়ে পড়তে হবে আর্নল্ডকে।
প্রাক্তন ক্লাবের মাঠে নামা কঠিনই হবে বলছেন আর্নল্ড। অ্যামাজনের অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাইম ভিডিওকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ঘরে’ ফেরা নিয়ে কথা বলেন রিয়াল মাদ্রিদের রাইট- ব্যাক।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ড্রয়ের সময়ই অনুমান করতে পেরেছিলেন সাবেক ক্লাবের মুখোমুখি হবে হবে আর্নল্ডকে, ‘যখন ড্র হয়েছিল, সবাই জানতো এটা হতে পারে। এটা যেন নিয়তি ছিল। তারা শীর্ষ দল, তাই আমি জানতাম যে এক সময় আমি সেখানে ফিরে যাব বা মাদ্রিদে লিভারপুলের বিপক্ষে খেলব, যদিও এটি কিছুটা তাড়াতাড়ি হয়েছে, এবং এটা নিয়ে আমার মিশ্র অনুভূতি আছে।’
আরও পড়ুন
| ‘হলান্ড এখন মেসি-রোনালদোর পর্যায়ের ফুটবলার’ |
|
লিভারপুল ছাড়লেও ইংলিশ ক্লাবটির জন্য ভালোবাসা এতটুকু কমেনি আর্নল্ডের। আগামীকাল রিয়ালের হয়ে অল রেডদের বিপক্ষে গোল করলে উদযপান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার, ‘যদি আমি গোল করি, উদযাপন করব না। আমি সবসময় ক্লাবকে ভালোবাসব। আমি সর্বদা লিভারপুলের ভক্ত থাকব। আমি সর্বদা সেই সুযোগ এবং আমাদের অর্জিত জিনিসগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ থাকব, যা চিরকাল আমার সাথে থাকবে। তাই যা কিছু ঘটুক, আমার লিভারপুলের প্রতি অনুভূতি কোনো পরিবর্তন হবে না। সেখানে এমন স্মৃতি আছে যা আমার জীবনের জন্য চিরস্থায়ী থাকবে, এবং তা কখনো বদলাবে না।’
লিভারপুল ছাড়ার পর ক্লাবটির সমর্থকদের রোষাণলেও পড়েন আর্নল্ড। ফ্রি এজেন্ট হয়েই রিয়ালে যোগ দেন তিনি। তবে অ্যান ফিল্ডে দর্শকরা তাঁর সঙ্গে যেমন আচারণই করুক, কোনো অভিযোগ থাকবে না বলছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার, ‘আমি মনে করি, যেভাবেই আমাকে গ্রহন করা হবে, এটি দর্শকদের সিদ্ধান্ত।’
সম্প্রতি চোট থেকে সেরে ওঠার পর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বেঞ্চে ছিলেন আর্নল্ড। পুরোপুরি ফিট থাকলে লিভারপুলের বিপেক্ষে শুরুর একাদশে দেখা যেতে পারে তাকে। অন্যথায় ফেদে ভালভের্দে খেলতে পারেন তাঁর পজিশনে। তাতে বদলি হিসেবে নামতে পারেন আর্নল্ড।
২০০৪ সালে মাত্র ৬ বছর বয়সে লিভারপুল একাডেমিতে যোগ দেন আর্নল্ড। এরপর অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ দল হয়ে মূল দলে আসেন ২০১৬ সালে। তখন থেকেই লিভারপুলের রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসা তিনি।
লিভারপুল মূল দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫৪ ম্যাচ খেলেছেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। গোল করেছেন ২৩টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৯২টি। ক্লাবটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপসহ জিতেছেন আটটি ট্রফি।

গোল, গোল আর গোল। মাঠে আর্লিং হলান্ডের কাজ একটাই। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ছিন্নভিন্ন করে জাল কাঁপানো। ‘গোলমেশিন’ কিংবা ‘দানব’ খ্যাতি তো অনেক আগেই কুড়িয়েছেন। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার মতে নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড নাকি লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।
সবশেষ গতকাল বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যান সিটির ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেন হলান্ড। ম্যাচের প্রথম দুটি গোলই আসে এই তারকার ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে।
দলের সেরা তারকার এমন দুর্দান্ত ছন্দ গার্দিওলারকে যেন মেসি-রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করতেই বাধ্য করল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ বলছেন, হলান্ডের গোল করার দক্ষতা তাকে মেসি-রোনালদোর ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের মতো নির্ভরযোগ্য ও নিখুঁত করে তুলেছে।
আরও পড়ুন
| গোলে ফিরলেন ইয়ামাল, সহজ জয় বার্সার |
|
ফুটবলের দুই কিংবদন্তির সঙ্গে হলান্ডের তুলনা করে গার্দিওলার বলেছেন, “আমরা অবশ্যই আবারও দারুণ খেলেছি, আর আর্লিং ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। এটা কিছুটা এমন, মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে খেললে হয়—তাদের প্রভাব এতটাই বড়।’
হল্যান্ড কি আসলেই সেই স্তরে পৌঁছেছেন কিনা এমন প্রশ্নে গার্দিওলা তাঁর গোলের সংখ্যার দিকেই তাকাতে বলেন, ‘তিনি কি সেই স্তরে পৌঁছেছেন? ওর সংখ্যাগুলো (গোলের) দেখুন না! অবশ্যই, তিনি ক্রিশ্চিয়ানো ও মেসির সমান সংখ্যার স্তরে আছেন।’
তবে ব্যবধানটা শুধু মেসি-রোনালদোর লম্বা সময়ের ধারবাহিকতাটাই বলছেন গার্দিওলার, ‘ফারাক হলো, ক্রিশ্চিয়ানো ও মেসি এটা ১৫ বছর ধরে করছেন। মেসি এখনো এমএলএসে (মেজর লিগ সকার) খেলছেন, সেখানে প্রতিদিন দুই-তিনটি গোল করেন। ক্রিশ্চিয়ানোও সৌদি লিগে একইভাবে গোল করেন। কিন্তু হাল্যান্ডও এখন সেই স্তরেই পৌঁছেছেন, এবং তাকে ছাড়া আমাদের জয় পাওয়া কঠিন হত।’
শিষ্যের প্রশংসা করে গার্দিওলার আরও বলেন, হাল্যান্ডের গোল করার দৃঢ়তা এবং শেখার ইচ্ছাই তার মূল বৈশিষ্ট্য। আক্রমণে হলান্ডের আগ্রসী চরিত্র এবং শট নেওয়ার ধরণের তারিফ করেন সিটি কোচ, ‘সে কিভাবে শট নেয়, দেখেছেন কি? শট নেওয়ার পর ঘাসের উপরই যেন ঝুঁকে পড়ছেন, মনে হয় সে বলছে ‘আমি গোল করবই।’
আরও পড়ুন
| হলান্ডের জোড়া গোলে সিটির বাজিমাত |
|
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন হলান্ড। আর চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর মোট গোল ১৮টি।
ইংলিশ ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর লিগে ১০৭ ম্যাচে হলান্ড করেছেন ৯৮ গোল। আর দুই গোল করলেই লিগের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে গোলের সেঞ্চুরি করবেন ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তিনি ভেঙে দেবেন ১২৪ ম্যাচে লিগে শততম গোল করা অ্যালান শিয়ারের রেকর্ড।