২০ আগস্ট ২০২৫, ৬:৪০ এম
হামজা চৌধুরী, ফাহমিদুল ইসলাম, শমিত সোমদের পর আরেক প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে এখন আলোচনা দেশের ফুটবল অঙ্গনে। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে থাকতেই শুরু হয় তাকে নিয়ে আলোচনা। সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেই কিউবা মিচেল নাম লেখান বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে।
জায়ান্ট ক্লাবটির জার্সিতে অভিষেক এবং কাতার থেকে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রিলিমিনারি ম্যাচ জিতে এই মিডফিল্ডার এখন বাংলাদেশে। কিউবা মিচেল এখন পুরোপুরি বাংলাদেশের। দেশে এসে টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা কিছু নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন কিউবা।
টি-স্পোর্টস: এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন, কেমন লাগছে এখানে?
কিউবা: ভালোই লাগছে। ভিন্ন অভিজ্ঞতা, ইংল্যান্ড থেকে অনেকটাই আলাদা। তবে আমি চেষ্টা করছি এখানকার সংস্কৃতি উপভোগ করতে। এখন পর্যন্ত বেশ ভালোই লাগছে।
টি-স্পোর্টস: আবহাওয়া কেমন লাগছে? খুব গরম আর আর্দ্র, তাই না? অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিংও নিশ্চয়ই…
কিউবা: না, আসলে ইংল্যান্ডে গ্রীষ্মে যে রকম গরম পড়ে, প্রায় একই রকম। মানিয়ে নিতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। তাছাড়া আমি তো কাতারে দলের সঙ্গে গিয়েছিলাম, সেখানে আরও বেশি গরম ছিল। ওটা আমাকে এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
টি-স্পোর্টস: কাতার সফর শেষে এখন চারদিন হলো বাংলাদেশে আছেন। কোনো বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ নিয়েছেন?
কিউবা: হ্যাঁ খেয়েছি। ক্লাব (বসুন্ধরা কিংস) থেকে আমাকে অনেক রকম রান্না খাওয়ানো হয়েছে- মাছ, মুরগি। বেশ উপভোগ করেছি। আমার মা বাসায় প্রায়ই বাংলাদেশি খাবার রান্না করেন, তাই এটা আমার জন্য নতুন কিছু না। তবে এখানকার খাবারগুলো বেশ আলাদা করে ভালো লেগেছে আমার।
টি-স্পোর্টস: এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সেরা অভিজ্ঞতা কী?
কিউবা: প্রথম অনুশীলনের দিনটা। একাডেমির খেলোয়াড়রা অনুশীলন করছিল, ছবি তুলতে এসেছিল। এটা আমাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে গেছে। কারণ আমি নিজেও একসময় একাডেমির খেলোয়াড় ছিলাম। তাদের মধ্যে একজন আমাকে তার আদর্শ ও রোল মডেল হিসেবে দেখে বলেছিল, তো এটা ভালো লেগেছে।
টি-স্পোর্টস: জ্যামাইকার বদলে বাংলাদেশ কেন বেছে নিলেন? বাবার দিক থেকে তো আপনার জ্যামাইকার যোগসূত্র আছে।
কিউবা: আসলে যখন হামজা (চৌধুরি) বাংলাদেশ দলে যোগ দিল, তখন অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করে। আমিও ছিলাম তাদের মতো একজন। তারপর যখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ভক্তদের কাছ থেকেও অসংখ্য বার্তা পাই, তখন ওদের ভালোবাসাটা আমাকে আলাদা করে ছুঁয়ে যায়। মনে হলো, ওদের কিছু একটা ফেরত দেওয়া উচিত। জাতীয় দলে খেলে এবং পারফর্ম করেই সেটা করতে পারব ভেবেছিলাম।
টি-স্পোর্টস: এই সিদ্ধান্তের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সবখানে নিজের নাম দেখে আপনার কেমন লেগেছিল?
কিউবা: পাগলাটে! একদম মাথা খারাপ করে দেওয়ার মতো ছিলো। এটা সত্যিই ভীষণ উচ্ছ্বাসের। এর আগে কখনও আমার এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। প্রথমবার এমন হলো।
টি-স্পোর্টস: আপনি বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অনেকে বলেছে, আপনি আপনার লেভেল কমিয়ে ফেলছেন। তখন কী ভেবেছিলেন?
কিউবা: সান্ডারল্যান্ড ছাড়ার পর সময়টা কঠিন ছিল। ফ্রি এজেন্ট হয়ে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। ইংল্যান্ডের কয়েকটা ক্লাবে গিয়েছিলাম, কিন্তু কোথাও ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। বসুন্ধরা কিংস যখন আমাকে তাদের পরিকল্পনার কথা বলল, একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে তারা আমাকে কীভাবে ব্যবহার করবে, সেটা আমাকে ভীষণভাবে টেনেছিল। এটাই ছিল সিদ্ধান্তের মূল কারণ।
হ্যাঁ, অনেকেই ইতিবাচকভাবে নেয়নি (কিংসের সঙ্গে চুক্তি)। কিন্তু মানুষের সবকিছু তো সামনে আসে না। অনেক কিছু আছে যেগুলো মিডিয়ায় আসে না। আমার মনে হয় এটি তাদের বোঝা উচিত। স্পষ্টতই তারা আমার প্রতি যে সমর্থন এবং আবেগ দেখিয়েছেন তা ইতিবাচক ছিল, এমনকি এই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়টাতেও। আমি মনে করি একজন খেলোয়াড় হিসেবে এটি আমাকে উন্নতি করতে সাহায্য করবে, যদি তারা আমার পাশে থাকে।
টি-স্পোর্টস: ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসার যাত্রাটা কেমন লাগছে?
কিউবা: ভাষার একটা সমস্যা আছে, কারণ মা বাসায় খুব একটা বাংলায় কথা বলতেন না। কয়েকজন সতীর্থ ছাড়া অনেকে ইংরেজি বলে না। তবে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছি। সংস্কৃতিও আলাদা, তবে আমি গ্রহণ করার চেষ্টা করছি।
টি-স্পোর্টস: বসুন্ধরা কিংসকে পেশাদার ক্লাব হিসেবে কেমন মনে হয়েছে?
কিউবা: দারুণ। আমি ভেবেছিলাম এখানে হয়তো সুযোগ-সুবিধা কম থাকবে, কিন্তু একেবারেই তা নয়। অনুশীলনের মাঠ, নিজস্ব স্পোর্টস কমপ্লেক্স- সবকিছু আন্তর্জাতিক মানের।
টি-স্পোর্টস: প্রথম জয়ে কেমন অনুভূতি হয়েছিল?
কিউবা: অসাধারণ! অভিষেক ম্যাচ, জয়, আর সমর্থকদের আনন্দ- সব মিলিয়ে এটা ছিল জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি।
টি-স্পোর্টস: বসুন্ধরা কিংস তো এখন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলছে। আপনি কি ‘ম্যাজিক ম্যান’ হতে পারবেন?
কিউবা: আশা করি তাই হবো। আসলে এশিয়ান টুর্নামেন্টগুলোতেও খেলার সুযোগ পাবো ভেবে এই দলে যোগ দিয়েছি। দলকে এগিয়ে নিতে চাই, জেতাতে চাই।
টি-স্পোর্টস: আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী?
কিউবা: এ মৌসুমে লিগ জেতা আর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে যতদূর সম্ভব এগোনোই মূল লক্ষ্য।
টি-স্পোর্টস: ক’দিন আগে কিংসে আপনার সতীর্থ রাকিব হোসেন বলেছেন কিউবা অনেক ভালো খেলোয়াড় এবং ভালো মানুষ। সতীর্থের কাছ থেকে এমন প্রশংসা পেয়ে কেমন লাগছে?
কিউবা: এটা আমাকে ভালো একটা অনুভূতি দিচ্ছে। অবশ্যই এমনটাই আমি। আমি চাই সবাই এটা জানুক। ফুটবলে আমি যেখানেই যাই, যত নাম বা খ্যাতিই আসুক না কেন, সবসময় স্বাভাবিক আর ভালো মানুষ হিসেবেই থাকতে চাই। তাই হ্যাঁ, ওর (রাকিব) ক্ষেত্রেও একই কথা বলব, আসলে পুরো টিমের খেলোয়াড়দের নিয়েই তাই মনে হয়। তো, এটা আসলেই দারুণ একটা ব্যাপার ছিল। জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
টি-স্পোর্টস: আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
কিউবা: কোনো নির্দিষ্ট ক্লাবের কথা বলতে পারছি না। তবে আমি উন্নতি করতে চাই, থেমে থাকতে চাই না। জাতীয় দল হোক বা ক্লাব- যতটা উচ্চ পর্যায়ে খেলা যায়, খেলতে চাই।
টি-স্পোর্টস: জাতীয় দল নিয়ে স্বপ্ন কী?
কিউবা: বিশ্বকাপে খেলা। কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। আমাদের দলটা গড়ে উঠছে, একসঙ্গে থাকলে সব সম্ভব।
টি-স্পোর্টস: ভক্তদের জন্য কোনো বার্তা দেবেন?
কিউবা: আপনাদের সমর্থন আর ভালোবাসা বিশেষ কিছু। আমি চাই এটা যেন সবসময় থাকে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ইসরায়েলের মুখোমুখি হওয়ার আগে মহৎ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশন (এনএফএফ)। ইসরায়েলকে স্বাগত জানানো ম্যাচের টিকেট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য অনুদান হিসেবে দেবে তারা।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনএফএফ সভাপতি লিসে ক্লাভেনেস জানিয়েছেন এই খবর।
ঘরের মাঠে উল্লেভাল স্টেডিয়ামে আগামী ১১ অক্টোবর ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে নরওয়ে। আগামী ২৫ আগস্ট শুরু হবে ওই ম্যাচের টিকেট বিক্রি। মাঠের ধারণক্ষমতা ২৬ হাজার হলেও, নিরাপত্তাজনিত কারণে বিক্রি করা হবে ২৩ হাজার টিকেট।
আরও পড়ুন
সুয়ারেজের জোড়া পেনাল্টিতে সেমি-ফাইনালে মেসিবিহীন মায়ামি |
![]() |
আর টিকেট বিক্রি শুরুর আগেই মানবিক জায়গা থেকে ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান।
“দীর্ঘদিন ধরে গাজার সাধারণ মানুষের ওপর যে একতরফা ভয়াবহ আক্রমণ চলছে এবং তাতে মানবিক বিপর্যয় দেখে আমরা কিংবা আমাদের সংগঠন চুপ করে থাকতে পারে না। ইসরায়েল ফিফা ও উয়েফার প্রতিযোগিতার অংশ, সেটিকে আমাদের মেনে চলতে হবে।”
“তবে আমরা চাই এই ম্যাচ থেকে অর্জিত আয় এমন একটি মানবিক সংস্থায় দান করতে, যারা প্রতিদিন গাজায় জীবন বাঁচাচ্ছে এবং সরাসরি জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে।”
নরওয়ের এমন সিদ্ধান্তের জবাব দিতে দেরি করেনি ইসরায়েল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দা টেলিগ্রাফে প্রকাশিত বিবৃতিতে তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার কথা মনে করিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন
সুয়ারেজের জোড়া পেনাল্টিতে সেমি-ফাইনালে মেসিবিহীন মায়ামি |
![]() |
বিবৃতিতে নরওয়ের উদ্দেশ্য করে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আপনারা নিশ্চিত করুন (টিকেট বিক্রির লাভের) অর্থ যেন কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে না পড়ে কিংবা তিমি শিকারে ব্যয় না হয়।” তিমি শিকারের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার শিকার নরওয়ে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে 'আই' গ্রুপে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে নরওয়ে। তিন ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ইসরায়েল। গত মার্চে ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে ৪-২ গোলে জিতেছিল নরওয়ে।
রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখে ডাগআউট ছাড়লেন হাভিয়ের মাসচেরানো। ম্যাচের বাকি সময়ের জন্য তিনি বসে গেলেন ডাগআউটের ঠিক ওপরের গ্যালারিতে। সেখানে গিয়েও থেমে রইলেন না। মোবাইল ফোনে সহকারী কোচকে দিতে শুরু করলেন নির্দেশনা। যা উশকে দিল নতুন বিতর্ক।
লিগস কাপে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে টিগ্রেসকে ২-১ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি। পেনাল্টি থেকে গোল দুইটি করেন লুইস সুয়ারেজ। পেশির পুরোনো চোটে ম্যাচটি খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে সতীর্থ ফুটবলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়ে যান মায়ামির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জর্দি আলবার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে দলের প্রধান কোচ মাসচেরানোর লাল কার্ড।
সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় মায়ামি। বিরতির ঠিক আগে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মাসচেরানো। তার অভিযোগ ছিল, অতিরিক্ত ৪ মিনিট যোগ করা হলেও রেফারি খেলিয়েছেন ৬ মিনিট।
পরে বিরতি শেষে দ্বিতীয়ার্ধে ডাগআউটে ফেরার আগে মাসচেরানো জানতে পারেন, তাকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। তাই ম্যাচের বাকি অংশে আর দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। তাই সহকারী কোচ হাভিয়ের মোরালেসকে দায়িত্ব দিয়ে গ্যালারিতে বসে যান মাসচেরানো।
টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ চলাকালে কোনো কোচ লাল কার্ড দেখলে তিনি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারবেন। কিন্তু দলকে কোনো নির্দেশনা দিতে পারবেন না। সেটি মানেননি মাসচেরানো। শুরুতে গ্যালারিতে বসেই চিৎকার করে নানান পরামর্শ দিতে থাকেন তিনি।
সেটি রেফারির নজরে এলে সতর্ক করে দেওয়া হয় মাসচেরানোকে। তখন আবার নতুন পথ বের করেন আর্জেইন্টাইন এই কোচ। নিজের মোবাইল ফোন থেকে সহকারী কোচ মোরালেসকে ফোন করে পরামর্শ দিতে শুরু করেন ৪১ বছর বয়সী কোচ।
এই ঘটনা দেখে তাজ্জব বনে যান অ্যাপল টিভির ধারাভাষ্যকার টেইলর টোয়েলম্যান।
“আপনি আমাকে বলুন, এর আগে কখনও এমন কিছু দেখেছেন! এমন করলে ডাগআউটে বসে দায়িত্ব পালন করার সঙ্গে আর পার্থক্য রইল কই?”
লাল কার্ড দেখায় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও আসতে পারেননি মাসচেরানো। তার বদলে মোরালেস উল্টো রেফারির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন।
“দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার সময় আমরা জানতে পারি, তাকে (মাসচেরানো) কার্ড দেখানো হয়েছে। রেফারি ৪ মিনিট যোগ করেছিলেন। কিন্তু ৬ মিনিট বা এর আশপাশে খেলেছি। মানুষ হিসেবে আপনি এই বিষয়ে কথা বলবেনই।”
“পরে রেফারি আমাদের বললেন, মাসচেরানোকে লাল কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং এটিই চূড়ান্ত। আমাদের কাছে এর চেয়ে বেশি তথ্য ছিল না। আমরা শুধু বাড়তি সময়ের ব্যাপারেই অভিযোগ করছিলাম।”
গ্যালারিতে বসে মোবাইল ফোনে মাসচেরানোর পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মোরালেস বলেন, “সত্যি বলতে ওই সময়ে একসঙ্গে অনেক কিছু হয়েছে।”
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে লিগস কাপের এক মুখপাত্র বলেছেন, মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। আর মাসচেরানোকে এমন এক জায়গায় বসানো হয়েছিল, যেটা টুর্নামেন্টের নিয়ম-নীতির মধ্যেই পড়ে।
এই নিয়মের বিচারে অবশ্য মোবাইল ফোনে পরামর্শ দিয়ে কোনো ভুল করেননি মাসচেরানো। তবে বিভিন্ন খবরে জানা গেছে, মাসচেরানোর এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে লিগস কাপের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
আপাতত লাল কার্ড দেখায়, ওরলান্ডো সিটির বিপক্ষে লিগস কাপের সেমি-ফাইনাল ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না মাসচেরানো। আর ডিসিপ্লিনারি কমিটি কোনো ভুল খুঁজে পেলে আরও বাড়তে পারে মায়ামির কোচের শাস্তি।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একই ভুল দুবার করলেন টিগ্রেসের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। উপহার হিসেবে পাওয়া দুই পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করলেন না লুইস সুয়ারেজ। স্বস্তির জয়ে লিগস কাপের সেমি-ফাইনালে উঠে গেল ইন্টার মায়ামি।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হওয়া কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচে টিগ্রেসকে ২-১ গোলে হারায় মায়ামি। পেনাল্টি থেকে দলের দুটি গোলই করেন সুয়ারেজ। টিগ্রেসের পক্ষে একটি শোধ দেন অ্যাঞ্জেল কোররেয়া।
পেশির পুরোনো চোটের কারণে এই ম্যাচের স্কোয়াডেই রাখা হয়নি মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিকে। তাকে ছাড়া ‘ওপেন প্লে’ থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেননি মায়ামির বাকি ফুটবলাররা।
ম্যাচে প্রায় সমানে-সমান লড়াই করে টিগ্রেস। বল দখলের দিক থেকে বরং এগিয়েই ছিল অতিথিরা। তবে গোলের জন্য ১৪টি শট করে এবং এর মধ্যে ৪টি লক্ষ্যে রেখে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে মায়ামি।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে সুয়ারেজের নিখুঁত পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় ২০২৩ সালের লিগস কাপের চ্যাম্পিয়নরা। ডি বক্সের মধ্যে হাভিয়ের আকুইনো হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টিটি পায় মায়ামি।
আরও পড়ুন
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে দেশের বাইরেই খেলবে কিংস |
![]() |
কিছুক্ষণ পর মায়ামির জন্য দুঃসংবাদ হয়ে আসে জর্দি আলবার চোট। ফলে বাকি সময় আর খেলতে পারেননি স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার।
প্রথমার্ধের বিরতির কিছুক্ষণ আগে আরও ধাক্কা খায় মায়ামি। দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা গ্যালারিতে বসে থাকতে হয় তাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৬৭ মিনিটে গোল শোধ করে টিগ্রেস। চমৎকার শটে মায়ামির জাল কাঁপান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
তবে বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারেনি টিগ্রেস। আরেকবার ডি-বক্সে হ্যান্ডবল করে মায়ামিকে পেনাল্টি উপহার দেয় তারা। ৮১ মিনিটে পাওয়া দ্বিতীয় পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন সুয়ারেজ।
সেমি-ফাইনালে ওরলান্ডো সিটির মুখোমুখি হবে মায়ামি।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে আবেদনের প্রেক্ষিতে পশ্চিমাঞ্চলের আয়োজক স্বত্ব পেয়েছে কিরগিস্তান, ভুটান ও কুয়েত। তাই গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো হবে আয়োজক দেশগুলোর বাছাই করা নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুতে।
আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে গ্রুপ পর্বের খেলা। এর আগে ২৮ আগস্ট হবে ড্র। সেখানেই জানা যাবে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচের জন্য কোন দেশে যেতে হবে বসুন্ধরা কিংসের।
গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে চার নম্বর পটে থাকবে বাংলাদেশের জায়ান্ট ক্লাবটি। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে দেশের একমাত্র প্রতিনিধিও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন
বসুন্ধরা কিংসের সুযোগ-সুবিধা আন্তর্জাতিক মানের: কিউবা মিচেল |
![]() |
গত ১২ আগস্ট হয় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রিলিমিনারি পর্বের খেলা। কাতারের মাঠে সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে ওঠে ঘরোয়া ফুটবলে সবশেষ ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন কিংস।
একই দিনে ঘরের মাঠ জাতীয় স্টেডিয়ামে কিরগিস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় ঢাকা আবাহনী। পশ্চিমাঞ্চল থেকে এদিন আরও কোয়ালিফাই করে কিরগিস্তানের ক্লাব এফসি আবদিসা আতা, কুয়েতের ক্লাব আল আরাবি ও ভুটানের পারো এফসি।
এর আগে সরাসরি সাতটি ক্লাব জায়গা করে নেয় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে। ক্লাবগুলো হলো- রেগার-তাদাজ তুরসুনজোদা, আল সাঈব, আলতিন আসির, আল শাবাব, আল আনসার, সাফা এসসি ও আল কুয়েত।
মৌসুমের শুরুতেই আক্রমণভাগের শক্তি কমল আর্সেনালের। জার্মান ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ হাঁটুর চোটে পড়েছেন, যা তাকে বেশ কিছুটা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে দিতে পারে বলেই খবর। আর ইএসপিএনের দাবি, দীর্ঘ সময়ের জন্যই অনুপস্থিত থাকতে হবে তাকে।
চোটের সাথে হাভার্টজের লড়াই নতুন নয়৷ এই বছরই মাঠে ফিরেছেন হ্যামস্ট্রিং চোট কাটিয়ে। তার এবারের চোট কতটা গুরুতর, তা এখনো নিশ্চিত নয়। বুধবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের অনুশীলনে অংশ নেননি তিনি, যা আভাস দেয় তার দীর্ঘমেয়াদী চোটের। ক্লাব সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, হাভার্টজের হাঁটুর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পরই চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন
নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশ্রুতি ভাঙার’ অভিযোগ ইসাকের |
![]() |
২৬ বছর বয়সী হাভার্টজ যদি শেষ পর্যন্ত লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যান, তাহলে সেটা আর্সেনালের জন্য বড় ধাক্কাই হতে পারে। কারণ, গাব্রিয়েল হেসুসকেও পাচ্ছে না তারা, যিনি জানুয়ারিতে হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর থেকেই বাইরে আছেন।
সাথে হাভার্টজের চোটের ফলে এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ৬৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে যোগ দেওয়া ভিক্টর গিওকেরেসই আর্সেনালের একমাত্র স্বীকৃত সেন্টার ফরোয়ার্ড। যদিও লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড ও গাব্রিয়েল মার্তিনেলির এই পজিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে অনুশীলন ক্যাম্পে হাভার্টজ হ্যামস্ট্রিংয়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে কঠোর পুনর্বাসনের মাধ্যমে ফিরে আসেন। সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে এই সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে তিনি শেষ ৩০ মিনিট মাঠে ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে
১৩ ঘণ্টা আগে
১৩ ঘণ্টা আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে