১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:১৬ পিএম
ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন রাজশাহী বিভাগের হয়ে খেললেও, সামনের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দেখা যাবে সিলেট দলে। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বগুড়াতেই খেলবে সিলেট। কিন্তু নিজের ঘরের মাঠে মুশফিকের গায়ে থাকবে অন্য দলের জার্সি।
জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলবেন ঢাকা মেট্রোর হয়ে। এনসিএলের জন্য ৮ দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোষণা করেছেন আয়োজকরা। সেখানেও জানানো হয়নি বরিশাল দলের অধিনায়কের নাম।
এর আগে গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় টুর্নামেন্টের ৭ দলের অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে এনসিএল আয়োজকরা। তখনও বলা হয়নি বরিশাল অধিনায়কের নাম। চার দিন পরও অধিনায়ক ছাড়াই ঘোষণা করা হলো বরিশালের স্কোয়াড।
রাজশাহী ও বগুড়ায় আগামী রোববার মাঠে গড়াবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে স্থানীয় ক্রিকেটের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের বড় সুযোগ এই টুর্নামেন্ট।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির এই আসর দিয়ে প্রায় পাঁচ বছর পর স্বীকৃত ক্রিকেটে ফিরছেন অভিষেক দাস অরণ্য। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ওই বছরই পড়েন চোটে। এরপর নানান প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবার ফিরলেন ক্রিকেটে। খুলনার জার্সিতে দেখা যাবে তাকে।
তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার মিশেলে গড়া হয়েছে সব দলের স্কোয়াড। মূল স্কোয়াডে ১৫ জনের বাইরেও স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ৪ থেকে ৮ জন ক্রিকেটার। জাতীয় দলের সবারও জায়গা হয়েছে মূলত স্ট্যান্ডবাই তালিকাতেই।
লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদরা এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবেন কিনা, সেটি মূলত নির্ভর করছে এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সের ওপর। এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১৬ সেপ্টেম্বর।
শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, হংকংয়ের গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ যদি সুপার ফোরে উঠতে পারে, তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন্তত ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে তাদের। এরপর আবার আমিরাতের মাঠেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা লিটনদের।
তাই এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠলে আর দেশে ফিরবেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। একেবারে সিরিজ খেলে তবেই আগামী মাসের মাঝামাঝিতে ফিরবেন তারা। তবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলে তখন দেশে ফিরে এনসিএলের কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ার কথা তাদের।
রাজশাহীতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে সকালের ম্যাচে স্বাগতিক দলের সঙ্গে খেলবে গতবারের রানার্স-আপ ঢাকা মেট্রো। খেলা শুরু সকাল সাড়ে ৯টায়। বগুড়ার মাঠে একই দিন দুপুর দেড়টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের প্রতিপক্ষ সিলেট।
টুর্নামেন্টের প্রথম ৬ দিনের খেলা হবে রাজশাহী ও বগুড়ায়। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সিলেট পর্ব। সেখানেই হবে আসরের বাকি সব ম্যাচ।
৮ দল ও ৩২ ম্যাচের টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। পয়েন্ট টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বরে থাকা দলকে নিয়ে এলিমিনেটর ম্যাচ হবে ৩০ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২টায়। একই দিন শীর্ষ দুই দল প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে বিকেল ৫টায়।
পরে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দল ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পরাজিত দলের মধ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি হবে ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায়।
প্রায় তিন সপ্তাহের টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ৩ অক্টোবর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বিকেল ৫টায়।
রংপুর স্কোয়াড:
অনিক সরকার সেতু, মিম মোসাদ্দেক, তানবীর হায়দার, আকবর আলি (অধিনায়ক), আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাসির হোসেন, নাঈম ইসলাম, জাহিদ জাভেদ, মুশফিক হাসান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আব্দুল গাফফার সাকলাইন, আবু হাশিম, এনামুল হক আনাম, আলাউদ্দিন বাবু, রাফিউজ্জামান রাফি
স্ট্যান্ডবাই: লিওন ইসলাম, আরিফ রেজা, ইকবাল হোসেন, নজরুল ইসলাম মুন্না, রবিউল হক, লিটন কুমার দাস, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম
ঢাকা মেট্রো স্কোয়াড:
মোহাম্মদ নাঈম শেখ (অধিনায়ক), মাহফিজুল ইসলাম রবিন, আনিসুল ইসলাম ইমন, সাদমান ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শামসুর রহমান শুভ, গাজী তাহজিবুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, রকিবুল হাসান, আরিফ আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, আবু হায়দার রনি, মারুফ মৃধা, শহিদুল ইসলাম
স্ট্যান্ডবাই: আরাফাত সানি জুনিয়র, আল আমিন জুনিয়র, আইচ মোল্লা, সালাউদ্দিন সৌরভ, নুহায়েল সান্দিদ, তাসকিন আহমেদ
খুলনা স্কোয়াড:
সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, ইমরানুজ্জামান, মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, টিপু সুলতান, মেহেদী হাসান মিরাজ, জিয়াউর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, শেখ পারভেজ জীবন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, অভিষেক দাস অরণ্য, জায়েদ উল্লাহ, আব্দুল হালিম, ইয়াসিন মুন্তাসির
স্ট্যান্ডবাই: শাহরিয়ার সাকিব, মাসুম খান টুটুল, অমিত মজুমদার, রবিউল ইসলাম রবি, তানভীর হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদি হাসান।
চট্টগ্রাম স্কোয়াড:
সাদিকুর রহমান, মাহমুদুল হাসান জয়, সৈকত আলী, মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন দিপু, ইয়াসির আলি চৌধুরী (অধিনায়ক), ইরফান শুক্কুর, নাঈম হাসান, হাসান মুরাদ, আশরাফুল হাসান রোহান, হাসান মাহমুদ, আহমেদ শরিফ, মেহেদী হাসান রানা, ফাহাদ হোসেন, রুবেল।
স্ট্যান্ডবাই: জিল্লুর রহমান বিজয়, ইফরান হোসেন, শামীম মিয়া, মেহেদী হাসান, কফিল উদ্দিন।
রাজশাহী স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), হাবিবুর রহমান সোহান, সাব্বির হোসেন, সাব্বির রহমান, মেহরব হোসেন আহিন, প্রিতম কুমার, শাকির হোসেন শুভ্র, মো. গোলাম কিবরিয়া শাকিল, ওয়াসি সিদ্দিকী, তাইজুল ইসলাম, নিহাদুজ্জামান, মোহর শেখ অন্তর, আসাদুজ্জামান পায়েল, শফিকুল ইসলাম, নাহিদ রানা
স্ট্যান্ডবাই: রহিম আহমেদ, সুজন হাওলাদার, নাঈম ইসলাম, মিজানুর রহমান, সানজামুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়।
ঢাকা স্কোয়াড:
রনি তালুকদার, জিসান আলম, আব্দুল মজিদ, আরিফুল ইসলাম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (অধিনায়ক), শুভাগত হোম, তাইবুর পারভেজ, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, রায়ান রাফসান রহমান, সুমন খান, রিপন মন্ডল, এনামুল হক, নাজমুল ইসলাম অপু, সালাউদ্দিন শাকিল
স্ট্যান্ডবাই: ফয়সাল আহমেদ রায়হান, আশিকুর রহমান শিবলি, মেহেদি হাসান সোহাগ, নিলয় মাহমুদ, তৌফিক আহমেদ, সাইফ হাসান
সিলেট স্কোয়াড:
জাকির হাসান (অধিনায়ক), মিজানুর রহমান সায়েম, অমিত হাসান, মুশফিকুর রহিম, আসাদুল্লাহ আল গালিব, তৌহিদুল ইসলাম ফেরদৌস, মুবিন আহমেদ দিশান, রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ, নাবিল সামাদ, নাঈম হোসেন সাকিব, আবু জায়েদ রাহি, শাহানুর রহমান, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ
স্ট্যান্ডবাই: তৌফিক খান তুষার, মাজহারুল ইসলাম মাজেদ, আশরাফুল হাসান রিহাদ, ওয়াসিফ আকবর, মহিউদ্দিন তারেক, তানজিম হাসান সাকিব, জাকের আলি অনিক, নাসুম আহমেদ
বরিশাল স্কোয়াড:
ইফতেখার হোসেন ইফতি, রাফসান আল মাহমুদ, জাহিদুজ্জামান সাগর, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, সালমান হোসেন ইমন, মইন খান, শামসুল ইসলাম অনিক, সোহাগ গাজী, শেখ অন্ত, তানভির ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত মিশু, জেহাদুল হক জেহাদ, রুয়েল মিয়া, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, মেহেদি হাসান
স্ট্যান্ডবাই: সাইফুল ইসলাম মোহিন, ইসলামুল আহসান আবির, মোহাম্মদ মানিক, হাফিজুর রহমান
No posts available.
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৪৩ পিএম
জয় দিয়ে এশিয়া কাপের শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। অবশ্য হংকংয়ের মতো খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। লিটন দাসের দলের পরের পরীক্ষা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ম্যাচে জয় পেলেই গ্রুপ ‘বি’ থেকে সুপার ফোর অনেকটাই নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
এশিয়া কাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমিরাতে যায় টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশ। তবে প্রতিযোগিতার বাকি দলগুলোকে টপকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কঠিন পথই পাড়ি দিতে হবে লিটনদের। সে পর্যন্ত যেতে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতার জন্যই মাঠে নামব’ |
![]() |
আগামীকাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কা বাধা পেরোনো। সেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। দলের পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন এই তরুণ পেসার।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সামর্থ্য কিংবা সম্ভাবনা নিয়ে রবিচন্দন অশ্বিনের করা খোঁচা দেওয়া মন্তব্য নিয়েও সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক ভারতীয় এই ক্রিকেটার বলেন,
‘আমরা তো বাংলাদেশ নিয়ে একটুও কথা বলি না। কারণ ওদের নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। এরা আসলে কীভাবে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে?’
আরও পড়ুন
র্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বর বোলারকে বিশ্বসেরা বলছেন পাকিস্তান কোচ |
![]() |
অশ্বিনের এমন মন্তব্যের জবাবে পাল্টা তোপ দাগলেন সাকিব,
‘আপনি কারও মুখ আটকে রাখতে পারবেন না। আমার মুখ আছে, আমি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারব। বিশেষ করে যারা চুক্তির মধ্যে নেই। কে কী বলল না বলল, এগুলোয় আসলে কিছু আসে–যায় না।’
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ‘বড় সমস্যা’ |
![]() |
নিজেদের সেরাটা দিয়ে লক্ষ্য ধরে এগোনোর কথা বলেন সাকিব,
‘আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। এখানে একটা লক্ষ্য নিয়ে এসেছি। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব। এখন কেউ আমাদের বড় দল বলল, ছোট দল বলল, ওটা আসলে দেখার কোনো সময়ই নেই।’
সমর্থকদের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে আবেগের কমতি নেই। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আবেগকে প্রশ্রয় দেওয়ার বিপক্ষে সাকিব,
‘দেখুন, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা যখন মাঠে নামি, তখন প্রক্রিয়াটা মেনে চলার চেষ্টা করি। সমর্থকদের পাগলামি থাকবে, তারা আবেগপ্রবণ হবে। কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি যদি আবেগপ্রবণ হই, তাহলে তো হবে না।’
হংকংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে নিজেদের এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল দুবাইয়ে লিটন দাসরা মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সম্প্রতি লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছেন তাঁরা। বিশ ওভারের ম্যাচে কোনো দলকেই অবশ্য হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে বাংলাদেশ দলে পেসার তানজিম হাসান সাকিব জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, তাঁরা মাঠে নামবেন জয়ের জন্যই। দুবাইয়ে আজ মাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তানজিম সাকিব বলেন,
‘দ্বৈরথ আসলে থাকবেই। একটা টুর্নামেন্টে আপনি যে দলের বিপক্ষেই খেলেন না কেন জেতাটা মূখ্য বিষয়। এটা হোক শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, হোক ভারত-পাকিস্তান। সুতরাং আমরা মাঠে জেতার জন্যই মাঠে নামব। । দ্বৈরথ—আমার কাছে এগুলো কোনো কিছু মুখ্য বিষয় না। ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন
র্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বর বোলারকে বিশ্বসেরা বলছেন পাকিস্তান কোচ |
![]() |
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটীয় সম্পর্কের ইতিহাস রোমাঞ্চে ভরা। গত এক দশকে এই দুই দলের ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। তবে মাঠে নামার আগে এসব অতীত পরিসংখ্যান বা আবেগ নয়, জয়ের লক্ষ্যেই চোখ রাখতে চান তানজিম সাকিব,
‘আমাদের অ্যাপ্রোচ একবারে সোজাসাপ্টা, আমরা জেতার জন্যই মাঠে যাব। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা সিরিজ জিতেছি, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে।’
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ‘বড় সমস্যা’ |
![]() |
এশিয়া কাপের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে এসেছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষের খুঁটিনাটি জানে বলেই সঠিক পরিকল্পনার আশ্বাস দিলেন সাকিব। এ তরুণ এই পেসার বলেন,
‘আমরা তো পূর্ণাঙ্গ একটা সিরিজ খেলেছি—টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ছিল। আমরা তাদের সব খেলোয়াড়কেই ভালো জানি। আমরা ঠিকঠাক পরিকল্পনা করব। অবশ্যই, তাদের বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে এবং আমরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করব। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলব, ইনশাআল্লাহ।’
এশিয়া কাপের শুরুটা ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। গতকাল তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে হংকংকে। কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে রাত সাড়ে ৮টায়।
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামছে পাকিস্তান। কোচ মাইক হেসনের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন হলো বেশি ভারত ম্যাচ প্রসঙ্গে! টুর্নামেন্টে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার কথা বললেন পাকিস্তান কোচ। তবে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন বোলিং আক্রমণ নিয়ে।
হেসনের মতে, পাকিস্তানের বোলিংয়ে দারুন বৈচিত্র্য। পেসারদের সঙ্গে আছে পাঁচ স্পিনার। অফ স্পিন, বাঁহাতি স্পিন, রিস্ট স্পিন-সবই আছে তাঁর দলে। হেসনই বললেন,
‘আমাদের দলে পাঁচজন স্পিনার আছে, যা আমাদের জন্য একটা বড় সুবিধা।’
সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তান ও আরিব আমিরাতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ফাইনালে আফগানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ। তারপর টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় ১৩ ধাপ টপকে ৩০ নম্বরে উঠেন তিনি।
হেসন মনে করেন, ৩০ নম্বরে থাকা নওয়াজ এখন বিশ্বসেরা স্পিনার। পাকিস্তান কোচ বলেন,
‘আমাদের কাছে মোহাম্মদ নওয়াজ আছেন, যিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা স্পিনার। দলে ফেরার পর থেকে গত ছয় মাস ধরে তিনি এভাবেই র্যাঙ্কিংয়ে আছেন। এ ছাড়া আমাদের কাছে আবরার আহমেদ এবং সুফিয়ান মুকিম আছেন, যারা দারুণ করছে। সাইম আইয়ুব এখন বিশ্বের শীর্ষ দশ অলরাউন্ডারের মধ্যে চলে এসেছে, আর সেটি এসেছে তার বল হাতে উন্নতির কারণেই।'
আগামী পরশু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত হেসন,
‘আমরা জানি ভারত দারুণ আত্মবিশ্বাসী এবং সেটাই স্বাভাবিক, কারণ তারা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। তবে আমরা প্রতিদিন নিজেদের উন্নতির দিকে নজর দিচ্ছি। খুব বেশি আগে কিছু ভাবছি না, কিন্তু আমরা সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন। এটিকে কোনো বিশাল দায়িত্ব বলব না, বরং বলব একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ, আর আমরা সেটির অপেক্ষায় আছি।'
পাকিস্তান ক্রিকটে সবচেয়ে বড় সমস্যা ‘চেয়ার খেলা’ বললে ভুল হবে না। কদিন পর পর বোর্ড প্রধান, কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচকের পরিবর্তন। কয়েক বছর ধরে দলটির খেলায় এসবের বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, সেটি তাদের পারফরম্যান্সই বলে।
আজ থেকে এশিয়া কাপ অভিযানে নামছে পাকিস্তান। তবে দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তায় কোচ মাইক হেসন। আমিরাতের কন্ডিশনে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো অভিজ্ঞরা কার্যকর হতে পারতেন, তবে লম্বা সময় ধরে টি-টোয়েন্টি দলেই তাদের রাখছে না পিসিবি।
হেসনের কথায়, এশিয়া কাপে বড় সমস্যা হলো তাদের ‘ব্যাটিং’। ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যাটিংয়ে। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান কোচ বলেন,
‘এটি এখনো গঠনের পথে একটি ব্যাটিং লাইনআপ। দলের মধ্যে এমন অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা একদিন ভালো খেললে ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে, তবে তারা এখনো নিয়মিতভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারছে না।’
সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তান ও আরিব আমিরাতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও জেতে সিরিজ। এর মধ্যে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশের সফরে। তারপরও শেষ ১৩ টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১০টিতে জয়ের আত্মবিশ্বাস সালমান আলি আঘাদের। বেশিরভাগ ম্যাচেই খেলেছে নতুন ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে, ছিলেন না অভিজ্ঞ বাবর-রিজওয়ান।
হেসনের মতে, তাঁর ব্যাটাররা এখনো নিজেদের তৈরি করছে এবং একে অপরের সঙ্গে কীভাবে রসায়ন গড়ে তুলতে হয়, সেটা শিখছে। দলগতভাবে ব্যাটিং অর্ডার কেমন করছে সেটি গুরুত্ব দিচ্ছেন হেসন,
‘আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে সামগ্রিকভাবে কেমন করছি সেটাই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ এমন অনেক ম্যাচ আছে যেখানে ১৫০ রানই যথেষ্ট, আবার এমন দিনও আছে যখন ১৯০ রান করেও হারতে হয়। তাই আমাদের ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ঠিক করতে হবে ম্যাচ জিততে হলে কী লাগবে, এবং সেটা পার হওয়া সম্ভব কি না।’
চার-ছক্কার চেয়েও ম্যাচ জয়ে অত্যাবশ্যক ‘স্মার্ট ক্রিকেট’। আধুনিক ক্রিকেট বলতে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বুঝিয়েছেন ‘বুঝে-শুনে পথচলা’। একই সঙ্গে রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট , প্রতিপক্ষের পালস বিশ্লেষণ, আদোপ্রান্ত যাচাই-বাছাই ও বাউন্ডারি লাইনের পরিমাপ নখদর্পণে রাখা- ছোটখাট বিষয়গুলো কাজ সহজ করে দেয়, পৌঁছে দেয় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। পরিকল্পনা যেমন কাজের অংশ, অ্যাথলেটিক্সে স্মার্ট এপ্রোচ ঠিক ততটাই। এশিয়া কাপ মিশন কিংবা তারও আগে থেকেই লিটন দাসের সরব বার্তা - ‘টু বি স্মার্ট ক্রিকেট’। অধিনায়কের তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা সতীর্থদের কেউ আমলে নিয়েছেন, কেউবা এড়িয়ে গেছেন। যা এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে কিছুটা হলেও দৃশ্যমান।
লিটন দাসের ছিল স্মার্ট ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতি। তার দলকেও বিশেষ দুটি পরামর্শ দিয়ে রেখেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশ অধিনায়ক ও তার সতীর্থরা নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা রাখতে পেরেছেন এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন কীনা তা-ই আলোচ্য। সরল দৃষ্টিতে হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়ে এশিয়া কাপে শুভসূচনা হয়েছে বাংলাদেশের। এই ম্যাচে পারফরম্যান্স করেছেন লিটন ও তাওহীদ হৃদয়। বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। এরপর...
ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের শুরুতে দেশের দুই ওপেনারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যেতে পারে। গত কয়েকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো হংকংয়ের বিপক্ষে ওপেনিং ভরসা রাখা হয় তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের ওপর। ভরসা না করেও যে উপায় নেই। কারণ দেশীয় ক্রিকেটের হেলে পড়া ওপেনিং সিংহাসন টিকিয়ে রেখেছেন এই দুই তরুণ ব্যাটার। তাছাড়া দুই ব্যাটার প্রায় প্রতি ম্যাচে প্রতিযোগিতা করে হাঁকিয়েছেন চার-ছক্কা। উদ্বোধনে তাদের ওপরই আস্থা নির্বাচকদের।
আরও পড়ুন
তানজিদ শোনালেন আশার বানী |
![]() |
হংকং ম্যাচে তানজিদ-পারভেজ ছিলেন ফ্রন্টলাইনার সোলজার। বৃহস্পতিবার শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে নামার আগে চলতি বছরে চলতি বছরে ৪৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুই ব্যাটার। অথচ গতকাল এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে কেবল ৪৬। দুজনের মাঝে ভয়হীন ও ছক্কা মারার যে প্রতিযোগিতা, তা এশিয়া কাপ মঞ্চে দেখা যায়নি। ভালো শুরুর পরও লাল-সবুজ দলকে প্রথমে বিপদে ফেলেন ইমন। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত অর্ধশতক হাঁকানো ইমন এদিন করতে পারেন ১৯ রান (১৪ বল)।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নিজের ২৩তম ছক্কাটি মারার ২ বল পরেই আরেকটি ছক্কা মারার চেষ্টা করেন পারভেজ। হিতে বিপরীত হয়ে ছাড়েন মাঠ। অর্থাৎ হংকংয়ের লড়াকু পুঁজির বিপরীতে অল্পতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। তারই সঙ্গী তানজিদ থেমেছেন আরও অল্পতে। দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেছেন ঠিকই, সেটাকে পারেনি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করতে। ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিজের সবশেষ ম্যাচে চোখজুড়ানো ইনিংস খেলেছিলেন তানজিদ। চায়ের শহরে তার অপরাজিত ৫৪ রানের ওপর ভর করে স্বাগতিকরা সহজ জয় পায়। অথচ হংকংয়ের বিপক্ষে ২৪ বর্ষী ব্যাটারের না ছিল ধার-ভার। ১৮ বলে করতে পেরেছেন কেবল ১৪। ছিল না ছক্কা। সান্ত্বনা কেবল ১ বাউন্ডারি।
দুই ওপেনারের পতনে দায়িত্ব বর্তায় টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ওপর। অবশ্য বহুদিন ধরে দুর্বল এই জায়গায় বাহবা পাওয়ার মতো কাজ করে দেখিয়েছে ব্যাটাররা। এই সেক্টরের মূল ব্যাটন ছিল লিটনের হাতে। এশিয়া কাপ শুরুর আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রকাশিত প্রোমো ভিডিওতে বাংলাদেশ দলপতি যেভাবে বলেছেন, “মাঠে আমাদের আগ্রাসন”, ঠিক তারই প্রতিচ্ছবি ছিল আশার বাইশ গজে।
দলপতি লিটন এমনিতেই চাপে ছিলেন। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলেন ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী। সেখান থেকে ফেরার একটা তাড়না ছিল। বের হয়েছেন সুনিপুণ দক্ষতায়। হাত খুলে খেলেছেন সবশেষ নেদারল্যান্ডস সিরিজে। ফিফটির দেখা পাওয়া ছাড়াও সিরিজসেরা হয়েছেন। স্মার্ট ক্রিকেট খেলে হংকংয়ের বিপক্ষেও বাজিমাত করেছেন। ক্রিজে যতক্ষণই ছিলেন ব্যাটিং সৌন্দর্য বিলিয়েছেন। স্টেডিয়ামে আশা হাজার খানেক দর্শকরাও তার মনোমুগ্ধকর ব্যাটিং উপভোগ করেছেন। এশিয়ার কাপের দোরগোড়ায় নিজের প্রথম ম্যাচে ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন। গড়েছেন ছক্কার রেকর্ড। দেশের ছক্কার রাজা এখন তিনিই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ১১১তম কুড়ি কুড়ি ম্যাচ অংশ নেওয়া লিটন হংকংয়ের বিপক্ষে নেমেছিলেন নামের পাশে ৭৭ ছক্কা নিয়ে। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা মাহমুদউল্লাহর ছক্কাও ৭৭টি। যৌথ নামের রেকর্ডটাকে গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের একার করে নিয়েছেন লিটন। আর সেটা মাহমুদউল্লাহর চেয়ে ২১ ইনিংস কম খেলেই। মোদ্দাকথা আশার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
আট জাতির টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয়ে লিটনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। অনেক সমালোচনা মাড়িয়ে একাদশে টিকে যাওয়া এই হার্ডহিটার ব্যাটারের কাছ থেকে দেখা মেলেনি পাওয়ার হিটিং। ব্যাটিংয়ে ছিল না ঝাঁজ। ক্রিকেটীয় ভাষায় ‘আগলি ইনিংস’ যেটাকে বলে সে কাজটিই করেছেন ডানহাতি ব্যাটার। শেষ দিকে তামিম সাজঘর মুখো হলেও হৃদয় ৩৬ বলে ৩৫ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছেন। লিটনের স্ট্রাইকরেট ১৫১.২৮ থাকলেও হৃদয়ের স্ট্রাইকরেট ছিল ১০০-এর চেয়ে কম। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্নাবানে জর্জরিত হতে হয়েছে তাকে। আধুনিক ক্রিকেট, পাওয়ার হিটিং, রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটে দুর্বলতা নিয়ে হৃদয়ের উত্তর ছিল, দলের প্রয়োজনটাই আগে।
লিটন-হৃদয়ের বদৌলতে পরীক্ষার হটসিটে বসতে হয়নি জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারী ও রিশাদ হোসেনদের। তবে বোলিং সেক্টর নিয়ে একটু হতাশা থেকেই গেল। বোলাররা সুযোগের সুবিচার কতখানি করতে পেরেছেন সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ, ভারতের বিপক্ষে শতকের নিচে গুটিয়ে যাওয়া হংকং ১৪৩ রানের লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। যা টাইগার শিবিরে অস্বস্তি জন্ম দিয়েছে। ফলে ইচ্ছা সত্ত্বেও ম্যাচপরবর্তী তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেননি লিটন।
আরও পড়ুন
রানরেট নিয়ে বিচলিত নন হৃদয় |
![]() |
এদিন ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান করা হংকং শেষ পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে জমা করে ১৪৩ রান। যা বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জে ফেলে। কারণ, আবু ধাবির এই মাঠে এর আগে কখনও জয়ের স্বাদ পায়নি টাইগাররা। ‘জুজু’ নিয়েই খেলতে নামে তারা। তারমধ্যে চিরচেনা পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ ছিলেন মেহেদী হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টার বরাবরের মতো ডেথ ওভারে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চেপে রেখেছেন। তবে ছিলেন উইকেটশূন্য। তাসকিন আহমেদ কোটার সবগুলো ওভার হাত ঘুরিয়ে দুই উইকেট তুলেছেন। তবে সাড়ে নয় ইকোনমি রেটে রান দিয়েছেন।
টাইগার বোলারদের মধ্যে সফল তানজিম হাসান ও রিশাদ। তানজিম একদম অচেনা কন্ডিশনে খেলতে নেমেছিলেন। এর আগে শেখ আবু জায়েদের মাঠে বিচরণ হয়নি তার। তারপরও উইকেট বুঝে-পড়ে পেয়েছেন সাফল্যের দেখা। চার ওভারে ২ উইকেট তুলেছেন। দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম রান (২১) খরচ করেছেন তিনি। লেগ স্পিনার রিশাদও প্রতিপক্ষকে খুব একটা সুবিধা করতে দেননি। রান খরচ করেছেন একটু বেশিই।
এশিয়া কাপের দোরগোড়া পেরোনো বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের মুখোমুখির আগে নিশ্চয়ই আপন কাঠগড়ায় নিজেদের দাঁড় করাবেন ক্রিকেটাররা। ভুল-শুদ্ধির এই মিশনে এক্সর্টা রান কমিয়ে আনা, ভালো ফিল্ডিং এবং পাওয়ার হিটিংয়ে পূর্ণ মনোযোগ-তবেই তিনবার এশিয়া কাপের শিরোপার মঞ্চে ওঠার কষ্ট চারবারে গিয়ে মোচন বাংলাদেশের।