১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪:২২ পিএম

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা অবসরে গেলেও ভারত দলে এখনও চলমান তীব্র প্রতিযোগিতা। প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি এতই যে, ফর্মে থেকেও অনেকেই শেষ পর্যন্ত ছিটকে গেলেন আসছে এশিয়া কাপের দল থেকে। নির্বাচক অজিত আগারকার জানালেন, ইয়াশাশভি জয়সওয়াল ও শ্রেয়াস আইয়ারের বাদ পড়ার কারণ ফর্ম নয়, বরং কাকে রেখে কাকে বাদ দেবেন সেই মধুর সমস্যা।
২০ ওভারের বিশ্বকাপে গত বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একে একে অবসর নিয়েছেন ভারতের তিন তারকা বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর তরুণ একটি দল নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। পাইপলাইনে প্রচুর খেলোয়াড় থাকায় তাদের হারানোর ধাক্কা অনুভব করতে হচ্ছে না দলটিকে। উল্টো ১৫ জনের স্কোয়াডে ফর্মে থেকেও অনেকেরই মিলছে না সুযোগ। সবশেষ মঙ্গলবার ভারতের এশিয়া কাপের ঘোষিত স্কোয়াডে ঠিক সেই চিত্রই দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
| এশিয়া কাপে ভারতের সহ-অধিনায়ক গিল, নেই পান্ত |
|
এই বছরের আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও জায়গা হয়নি ওপেনার জয়সওয়াল ও অভিজ্ঞ ব্যাটার শ্রেয়াসের। আগারকার সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরলেন তাদের কাজের কঠিন বাস্তবতা, যেখানে প্রথমে আসে জয়সওয়ালের কথা। “এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। অভিষেক শর্মা গত এক বছরে যেসব পারফরম্যান্স করেছে, আর সাথে সে বোলিং অপশনও হতে পারে… তাই একজনের বাদ পড়াটা অনিবার্যই ছিল।”
আর শ্রেয়াসের দলে না থাকা নিয়ে আগারকার প্রকাশ করলেন অসহায়ত্ব। “সত্যি বলতে তার তো কোনো কমতি নেই। আপনিই বলুন, কাকে সরিয়ে তাকে দলে জায়গা করে দেব? এই মুহূর্তে তাকে সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”
ভারত দলে আরেকটি বড় আলোচনার বিষয় জাসপ্রিত বুমরাহ। তারকা এই পেসার সাম্প্রতিক সময়ে চোটের সাথে বেশ লড়াই করছেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজে চোট কাটিয়ে ফেরেন। বিশ্রাম দিয়ে খেলেছেন পুরো সিরিজেই। পিঠের চোটের কারণে ঝুঁকি না নিয়ে গত দুই-তিন বছর ধরে বুমরাহকে বেঁছে বেঁছে বড় ইভেন্ট বা সিরিজেই কেবল খেলাচ্ছে ভারত।
তবে আগারকার জানালেন, ডানহাতি এই পেসারকে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করে দলে রাখছেন না তারা। “তাকে নিয়ে আমাদের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ইংল্যান্ড সিরিজের পর সে ভালো একটা বিরতি পেয়েছে। ফিজিও ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আমরা চাই সে বড় ম্যাচগুলোতে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকুক। যেমন বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো সিরিজে। সে গত ২-৩ বছরে কয়েকবার চোটে পড়েছে, তাই গুরুত্ব বিবেচনা করে তাকে নিয়ে আমরা খুবই সতর্ক থাকব।"

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি–টেয়েন্টি সিরিজে দেখা যাবে না মেহেদী হাসান মিরাজকে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কারণে এই সিরিজ থেকে বাংলাদেশ দলের এই স্পিন অলরাউন্ডার ছুটি নিয়েছেন।
ডাচদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের দল এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ঘোষিত ২৫ জনের প্রাথমিক দল থেকেই নেদারল্যান্ডস সিরিজের দল দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেই প্রাথমিক দলে থাকলেও ডাচদের বিপক্ষে খেলছেন না মিরাজ।
আরও পড়ুন
| ক্রিকেট রক্ষায় বিসিবির নতুন শিক্ষা কার্যক্রম |
|
জানা গেছে, দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন মিরাজ। সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে বিসিবির কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। যে কারণে ৩০ আগস্ট সিলেটে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে অনুপস্থিত থাকবেন তিনি। তবে ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হওয়া এশিয়া কাপের আগে তাঁকে পাওয়া যাবে।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজটি খেলছে বাংলাদেশ। সিলেটে সিরিজের আগে প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটাররা স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করেছেন। মিরাজ বাদে বাকি ক্রিকেটাররা এরই মধ্যে সিলেটে পৌঁছেছেন। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৩০ আগস্ট এবং ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর হবে ম্যাচ তিন টি-টোয়েন্টি।

বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়—সব জায়গায় ক্রিকেটের উন্নতিতে কাজ করছেন। তবে একজন ক্রিকেটারকে সুশৃঙ্খলা হওয়াও খুব জরুরী। এবার সেদিকে নজর দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
আজ হোটেল সোনারগাঁওয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ নামে একটি সেশন করেছেন বুলবুল। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কথা। তার মধ্যে ছিল ক্রিকেট রক্ষায় শৃঙ্খলাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারটি।
খেলোয়াড়েরা ছাড়াও সেশনে ছিলেন বোর্ড পরিচালক আকরাম খান, ইফতিখার রহমান মিঠু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ, বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের (আকু) পরামর্শক হিসেবে সদ্য যোগ দেওয়া অ্যালেক্স মার্শাল। ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন লিটন দাস, খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়রা। বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে আজই প্রথম বসেছেন বুলবুল।
আরও পড়ুন
| অস্ট্রেলিয়ায় সোহানদের দ্বিতীয় জয় |
|
সেশনের পর সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি বুলবুল বলেন,
‘আমাদের ছেলেরা-মেয়েরা যারা ক্রিকেট খেলে, সেই খেলাটাকে রক্ষা করার জন্য আমরা অ্যালেক্স মার্শালকে নিয়ে শতভাগ শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করব। সেটা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় বিসিবি নীতিমালা গ্রহণ তৈরি করেছে। নে প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন,
‘চার্টারে ক্রিকেট ইনটিগ্রিটি এডুকেশন রাখা হয়েছে। সারাদেশে যারা ক্রিকেট খেলে এবং খেলার সঙ্গে যারা যুক্ত থাকেন, তাদের এডুকেশনের জন্য এটা করা হয়েছে। তারা তখন জানতে পারবেন বাংলাদেশের আইন, ইসলামিক আইন, ধর্মীয় আইন ও মূল্যবোধ সম্পর্কে।’
বুলবুলের মতে, এন্টি ডোপিং ও সেইফ গাইডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বললেন,
‘আমাদের চার্টারে রয়েছে ইনটিগ্রিটি অব দিস গেম। ইনটিগ্রিটি মানে কীভাবে আমরা খেলাটিকে রক্ষা করব, কীভাবে এন্টি ডোপিং করা হবে। ডোপিং এখন একটা বড় ব্যাপার। জাতীয় দল শুধু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বা আইসিসি ইভেন্টেই নয়, এশিয়ান গেমসে খেলছে, ভবিষ্যতে হয়তো অলিম্পিকেও খেলবে। সেজন্য এন্টি ডোপিং ও সেইফ গাইডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাজ্য পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ও আইসিসি দুর্নীতি দমন সংস্থার সাবেক প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল বিসিবির দুর্নীতি রোধে কর্মরত আকুর কর্তাদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন। প্রাথমিকভাবে মার্শালের সঙ্গে এক বছরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

হারের পরের ম্যাচে আবার জয়, টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল চলছে এভাবেই। নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে দুই হারের বিপরীতে পেয়েছে দারুণ দুই জয়। ডারউইনে আজ ২২ রানে হারিয়েছে তারা নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইককে।
মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক। নাঈম শেখ, জিসান আলম, নুরুল হাসান সোহানদের কার্যকর কয়েকটি ইনিংসে কল্যাণে আগে ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তোলে বাংলাদেশ। ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তুলতে সক্ষম হয় নর্দার্ন টেরিটরি।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২১ বলে ৫৫ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাঈমও জিসান। ৬ চারে ১১ বলে ২৫ রান করে আউট হন নাঈম। জিসানের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩০ রান।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর কেউ সেই একই ছন্দে রান করতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসান ১০ বলে ৩ রান করে আউট হন। চার নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন আফিফ। ৪টি চারের মারে ৪১ রান করতে ৪০ বল খেলে ফেলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
| মহারাজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া |
|
অধিনায়ক সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৫ রান। শেষ দিকে রানের গতি বাড়িয়ে ১৩ বলে ২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। নর্দার্ন টেরিটরির হয়ে টম মেনজিস নেন দুটি উইকেট।
১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারায় নর্দার্ন টেরিটরি। ৮২ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন কনর করোল (৪৩) ও জর্ডান সিল্ক (৪৮)। তাঁরা আউট হলে জয়ের জন্য আর লড়াই চালিয়ে যেতে পারেনি নর্দার্ন। দুটি করে উইকেট নেন তোফায়েল আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও রকিবুল হাসান।
দারুণ দুটি ক্যাচ ও ৩৫ রান করে ম্যাচসেরা পুরস্কার হাতে তুলেছেন সোহান। চার ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাত নম্বরে বাংলাদেশ।

ছোট টেস্ট ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে ব্যাট হাতে খেলে ফেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইনিংস। বল হাতেও বিউ ওয়েবস্টার বেশ কার্যকর একজন খেলোয়াড়। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে তাই এখন তিনি হয়ে গেছেন নিয়মিত। তবে অ্যাশেজ সিরিজে দলে নিজের জায়গা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখছেন এই অলরাউন্ডার। তিনি মনে করেন, দলে জায়গা ধরে রাখতে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে তাকে।
৩১ বছর বয়সী ওয়েবস্টার এখন পর্যন্ত ৭টি টেস্টে খেলে ফিফটি করেছেন চারটি। শুরুটা হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে চাপের মুখে এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস দিয়ে। এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন, সেটাও ভীষণ চাপের মুখে খেলে। ধারা বজায় রেখে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে বার্বাডোস ও গ্রেনাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও করেন ফিফটি। ছয় নম্বরে নেমে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ওয়েবস্টার বল হাতে ৮টি উইকেটও নিয়েছেন এখন পর্যন্ত। এছাড়া স্লিপ ফিল্ডার হিসেবেও তিনি দারুণ।
সম্প্রতি হোবার্টে সাংবাদিকদের সাথে এক আলাপচারিতায় ওয়েবস্টার অ্যাশেজে দলে তার নিয়মিত খেলা নিয়ে জানিয়েছেন শঙ্কার কথা।
“আপনি যখন শীর্ষ পর্যায়ে খেলবেন, তখন দলে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়। আমাদের দেশে এত এত ভালো ক্রিকেটার রয়েছে… বিশেষ করে ক্যামেরন গ্রিনের মতো একজন। সে এখন ওপরে ব্যাট করছে, তবে এখন আবার বোলিং শুরু করবে। এটা অবশ্যই আমার পজিশন, মানে ৬ নম্বরে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে চাপে ফেলে দেবে। তবে আমি সেটা স্বাগত জানাই।”
আরও পড়ুন
| আফিফের ধীর ইনিংসের পর বাংলাদেশের ১৭২ |
|
অস্ট্রেলিয়ার এই দলে ওয়েবস্টার মূলত খেলছেন দলের পঞ্চম বোলার এবং ছয় নম্বরে ব্যাটার হিসেবে। ক্যারিয়ারের শুরুতে এই পজিশনে খেলেছেন আরেক দীর্ঘদেহী অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিন। তবে গত বছর থেকে তাকে খেলানো হচ্ছে তিন নম্বরে। সাথে চোটের কারণে গত কয়েকটি টেস্টে তিনি খেলছেন স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবে, তিন নম্বর পজিশনে। তবে অ্যাশেজ সিরিজে গ্রিন যদি আবার ছয়ে নেমে যান, তাহলে ফর্মে থেকেও ওয়েবস্টারকে দলের বাইরে থাকতে হতে পারে।
ওয়েবস্টার আশাবাদী, সব ম্যাচ না হলেও কিছু ম্যাচে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ মিলবে তার।
“আমি ক্যারিয়ারে অনেকবার এমন অবস্থার মধ্যে পড়েছি, যেখানে আমার সামনে নিজেকে প্রমাণ করতে বা দলে টিকে থাকতে রান করা ছাড়া উপায় ছিল না। তাই আমার জন্য এটা নতুন কিছু নয়। আশা করি প্রথম অ্যাশেজ টেস্টের একাদশে থাকব। এই গ্রীষ্মটা কিন্তু অনেক লম্বা হবে। আমি নিশ্চিত, পাঁচটা টেস্টের মধ্যে দলে কিছু পরিবর্তন আসবেই। আমি কেবল আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব প্রতিটা ম্যাচেই দলে থাকার।”

টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর ওয়ানডেতে শুরুটা ভালো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। কেয়ার্নসের কাজালিস স্টেডিয়ামে আজ প্রথম ওয়ানেডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৯৮ রানে হারিয়েছে তারা। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টেম্বা বাভুমার দল।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এইডেন মার্করাম, বাভুমা ও ব্রিটস্কির ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কেশভ মহারাজের ঘূর্ণি জাদুতে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং অর্ডার। ওয়ানডেতে মহারাজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ১৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
| শেফালিকে ছাড়াই ভারতের বিশ্বকাপ দল |
|
১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে প্রথমবার ওয়ানডেতে ৫ উইকটে নিয়েছেন মহারাজ। একটি ওভার ছিল মেডেন।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ৭.১ ওভারে ওপেনিং জুটিতে তোলে ৬০ রান। অভিষেক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার প্রেনেলান সাব্রায়েন। তারপর মহারাজের বিধ্বংসী স্পেল। দুই ওপেনারের পর অস্ট্রেলিয়ার টানা পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। পাঁচটি উইকেটই নিয়েছেন মহারাজ।
অধিনায়ক মার্শ লড়ে গেছেন ৩৭ ওভার পর্যন্ত। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৮৮ রান। শেষ দিকে বেন ডারশুইস ৩৩ ও নাথান এলিসের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। তবে দলের জন্য ইনিংসগুলো যথেষ্টে ছিল না।
তার আগে মার্করামের (৮২), টেম্বা বাবুমার (৬৫) এবং ম্যাথু ব্রিটস্কের (৫৭) রানের সৌজন্যে করে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান স্কোরে জমা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ট্রাভিস হেড।

১৪ ঘণ্টা আগে

১৪ ঘণ্টা আগে

২০ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে

২ দিন আগে

২ দিন আগে

২ দিন আগে

৩ দিন আগে

৩ দিন আগে

৩ দিন আগে

৩ দিন আগে

৩ দিন আগে

৩ দিন আগে

৪ দিন আগে

৫ দিন আগে