৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৪৩ পিএম
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে আর্জেন্টিনার মাটিতে নিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবেন লিওনেল মেসি। এই ম্যাচকে সামনে রেখে ২১ বছর আগের একটি স্মৃতি মনে করে আলোচনায় এসেছেন তার সাবেক সতীর্থ পাবলো আলভারাদো।
মেসির কাছে বকেয়া থাকা ৫০ ডলার (প্রায় ৬ হাজার টাকা) ফেরত দিতে চান আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের সাবেক ফুটবলার।
ঘটনাটি ২০০৪ সালের জুন মাসের। হুগো টোকাল্লির কোচিংয়ে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল প্যারাগুয়েকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল। এই ম্যাচেই আর্জেন্টিনা জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামেন মেসি। একটি গোলও করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
জাতীয় দলে যোগ দিয়ে ছিটকে গেলেন বার্সা ডিফেন্ডার |
![]() |
এরপর প্রীতি ম্যাচ খেলতে উরুগুয়েতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল। তখন বয়সভিত্তিক দলের ফুটবলারদের বিদেশ সফরের জন্য ভাতা হিসেবে ৫০ ডলার করে দিতো আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
ওই সফরের ভাতার অর্থই মূলত মেসিকে দেননি আলভারাদো। প্রায় ২১ বছর পর এবার সেই ঋণের কথাই মনে করালেন মেসির এই সাবেক সতীর্থ।
“তখন দেশের হয়ে বিদেশে সফর করলে ৫০ ডলার ভাতা দেওয়া হতো। আমাকে একটি ১০০ ডলারের নোট দেওয়া হয়েছিল, যা মেসির সঙ্গে ভাগ করে নিতে বলেছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, লিও আমি এটা রাখছি। যেহেতু তোমার কাছে ৫০ ডলার ভাংতি নেই। মেসি বলল, কোনো সমস্যা নেই। খুচরা না থাকায় আমি পুরো নোটটাই রেখে দিয়েছিলাম।”
আলভারাদো জানান, সেই টাকা আর ফেরত দিতে না পারায় এখনও তার মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে।
আরও পড়ুন
ম্যাচ সেরা শ্রাবণকে প্রশংসায় ভাসালেন ভিয়েতনাম কোচ |
![]() |
“ও (মেসি) কোনোদিন সেই টাকা ফেরত চায়নি। কিন্তু আমি এখনও মনে রেখেছি, একটু অপরাধবোধও হয়। আমার কাছে এখনও সেই নোটটা আছে। যদি ওর কাছে এখন খুচরা থাকে, আমি ওকে ফেরত দিয়ে দিতে পারি।”
বর্তমানে সিক্লোনের রিজার্ভ দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলভারাদো।
No posts available.
বিদায় শব্দটার সঙ্গে কষ্ট কিংবা আবেগের সর্ম্পক বেশ গভীর। আর সেই বিচ্ছেদ যদি হয় এমন কিছুর সাথে, যেখানে হাসি-কান্না, ব্যর্থতা কিংবা উল্লাসের মতো হাজারও গল্প লেখা হয়েছে, তাহলে তো আর কথাই নেই।
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্তালেও এমনই এক বিদায়ী বাঁশির সুর শুনতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। চেনা আঙিনায় নিজের শেষ ম্যাচটি খেলার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হতে ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ খেলবেন, আর আবেগের জোয়ারে পুরো দেশ ভেসে যাবে সেটাই যে স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন
মেসির ২১ বছর আগের পাওনা ৬ হাজার টাকা ফেরত দিতে চান সাবেক সতীর্থ |
![]() |
এই আবেগ ছুঁয়ে গেছে মেসির একসময়ের সতীর্থ থেকে বর্তমানে আর্জেন্টিনার দলের কোচ লিওনেল স্কালোনিকেও। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এসেছে নানান প্রসঙ্গ। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারে বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে স্কালোনির।
খেলোয়াড়ি জীবনের সঙ্গী মেসিকে ছোটবেলা থেকেই চেনেন স্কালোনি। তাই একসঙ্গে পথচলার স্মৃতি মনে করতে গিয়েই তার চোখ ভিজে ওঠে। এক পর্যায়ে উপস্থিত এক সাংবাদিকও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
পরিবেশটা হালকা করতে স্কালোনি মৃদু হাসিতে বলেন, ‘আপনি কাঁদছেন? আমার তো এমন ইচ্ছে ছিল না।’ জবাবে সেই সাংবাদিক বললেন, ‘আপনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দটা দিয়েছেন।’
এই কথা শুনে আর আবেগ সামলাতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ। চোখের কোণে জল চলে আসে। তবে পরক্ষণেই হালকা রসিকতা করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোধহয় এখানেই থামা উচিত।’
আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও স্কালোনির হৃদয়ে মেসি যে কতটা জায়গা জুড়ে আছে সেটাই বুঝালেন আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ।
“আমি তার সঙ্গে খেলেছি, কেবল বলটা তার কাছে পাস দেওয়াটাই ছিল এক বিশেষ অনুভূতি। বিশ্বকাপে তার পাশে থাকা, আর তাকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখাও এক অদ্ভুত আবেগের মুহূর্ত। সময় যত গড়াবে, আমরা সবাই আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব সেটার মানে।”
“আগামীকাল হবে এক অনন্য ও আবেগঘন দিন। আমি নিশ্চিত, এটা তার আর্জেন্টিনায় শেষ ম্যাচ নয়। আমরা নিশ্চিত করব, যদি সে চায় তবে আবারও এখানে খেলুক। কারণ সে এর যোগ্য।”
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার হয়ে স্পেন্স বললেন, ‘অনেক প্রার্থনা করি’ |
![]() |
মেসির আরও অনেক ভক্ত-সমর্থকের মতো স্কালোনিও বিশ্বাস করেন মেসির কোনো বিকল্প কখনো ছিল না, এমনকি ভবিষ্যতেও রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর কোনো উত্তরসূরি দেখা যাবে না।
“আর্জেন্টিনা কিংবা বিশ্ব ফুটবলে মেসির উত্তরসূরি? না, তেমন কেউ হতে পারে না। হবেও না। হয়তো কিছু মহান খেলোয়াড় আসবেন, যারা একটি যুগে ছাপ রাখবেন। কিন্তু তিনি যে কাজগুলো এত দীর্ঘ সময় ধরে করে গেছেন, আমি মনে করি তা আর পুনরাবৃত্তি হবে না।”
“ফুটবলে অনেক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে, তবু আমি প্রায় নিশ্চিত করে বলতে পারি ওর মতো কিছু আবার দেখা অসম্ভব। আমার বিশ্বাস, তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।”
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৩১ পিএম
প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে চমকে যাওয়া জেড স্পেন্সের সামনে আরও বড় অর্জনের হাতছানি। ইংল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হতে পারে ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য স্পেন্সকে দলে ডেকেছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ টমাস টুখেল। টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফুলব্যাকের আশা, প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন তিনি।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের পর পুরোপুরি বদলে গেছে স্পেন্সের ক্যারিয়ার। এর আগ পর্যন্ত ২০২৪-২৫ মৌসুমে মাত্র ৬৪ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। আর এরপর থেকে টটেনহ্যামের ২২ ম্যাচের ১৯টিতেই পুরো সময় মাঠে ছিলেন তিনি।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথমবার জাতীয় দলের দরজাও খুলে গেছে স্পেন্সের জন্য। যদিও ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কখনও তাদের দলে ফুটবলারদের ধর্মের তথ্য সংগ্রহে রাখে না। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেন্সই হবেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে নামা প্রথম মুসলিম ফুটবলার।
এই সাফল্যের পর আনন্দে আত্মহারা স্পেন্স। একইসঙ্গে তিনি জানালেন, নিয়মিতই প্রার্থনা করেন ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
“এটি একটি আশীর্বাদ। এটি অসাধারণ। আমি জানার পর খুবই অবাক হয়েছি যে, আমিই প্রথম! দারুণ ব্যাপার। আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।”
“আল্লাহ্-ই সর্বশক্তিমান। আমি অনেক প্রার্থনা করি। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে, সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ্ আমার সঙ্গে আছেন। এই বিশ্বাসই আমার সবচেয়ে বড় বিষয়।”
প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে কোনো চাপ অনুভব করছেন না স্পেন্স। অন্যদের অনুপ্রাণিত করার আনন্দই বেশি তার।
“আমি আসলে নির্দিষ্ট কিছুর জন্য চাপ অনুভব করি না। মুখে হাসি নিয়ে ফুটবল খেলতে চাই। আনন্দে থাকতে চাই। বাকি সব কিছু নিজ থেকেই হয়ে যাবে।”
“আমি যদি করতে পারি, তুমিও করতে পারবে। শুধু মুসলিম বাচ্চারাই নয়, যে কোনো বিশ্বাসের শিশুদের বলছি, যে কোনো কিছু মন স্থির করো। তাহলেই তুমি করতে পারবে।”
অথচ গত মৌসুমের শুরুতেও টটেনহ্যামের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না স্পেন্স। ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বের জন্য তাকে স্কোয়াডেও রাখেননি কোচ। পরে নক আউট পর্ব থেকে দলে ফিরে শেষ ষোলোর দুই লেগে পুরো ম্যাচই খেলেন তিনি।
পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ফাইনালে বদলি হিসেবে নামেন স্পেন্স। সেই ছন্দ ধরে রেখে জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় এরই মধ্যে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলা ফুলব্যাক।
স্পেন্সের আশা, নতুন এই যাত্রাও ভালো কাটবে তার।
“ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারা অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার হবে। কোনো সন্দেহ নেই। কোচ আমাকে স্বস্তিতে রেখেছে। ফুটবলাররা সবাই আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আমি অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছি। তাই কিছুটা জানি।”
“তবে সিনিয়র পর্যায়ে জাতীয় দলে কখনও খেলিনি। এই দলের ফুটবলাররা আমাকে সাদরে স্বাগত জানিয়েছে, তাদের একজন করে নিয়েছে।”
গত মৌসুমের শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন আলেজান্দ্রো বালদে। এবার নতনু মৌসুমের শুরুতে ফের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটেই পড়লেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ এই লেফট-ব্যাক।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে স্পেন দলের হয়ে ডাক পেলেও আর মাঠে নামা হবে না বালদের।
জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনের সময় বালদে হ্যামস্টিংয়ের ইনজুরিতে পড়েন বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
শ্রাবণের দৃঢ়তার পরও পারল না অনূর্ধ্ব-২৩ দল |
![]() |
“ডিফেন্ডার আলেজান্দ্রো বালদে আজকের (বুধবার) অনুশীলনে বাম পায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে হালকা চোট পেয়েছেন। তাঁর মাঠে ফেরা নির্ভর করবে চোটের অগ্রগতির ওপর।”
তবে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমের মতে, অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে বালদেকে। তাতে লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়া, হেতাফে ও রিয়াল ওভিয়েদোর বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে না তাকে।
এ ছাড়া আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে নিউ ক্যাসলের বিপক্ষেও ২১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে ছাড়াই পরিকল্পনা সাজাতে হবে হ্যান্সি ফ্লিককে।
বালদের অনুপস্থিতিতে আগের মৌসুমে জেরার্ড মার্টিনকে দিয়ে কাজ চালিয়েছিলেন বার্সা কোচ ফ্লিক। এবারও দলের নিয়মিত লেফট-ব্যাকের ইনজুরির কারণে ২৩ বছর বয়সী এই সাবেক লা মাসিয়ানের ওপরই আস্থা রাখতে পারেন ফ্লিক।
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
দল হেরেছে, জাল কেঁপেছে দুবার। তারপরও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন পরাজিত দলেরই গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ। এতো টুকুই কি প্রমাণ করে না শ্রাবণের বীরত্ব ছিল এদিন কতখানি? খেলা শেষে তাই তিনি বাহবা পেয়েছেন প্রতিপক্ষ দলের কোচের কাছ থেকেও।
বুধবার ভিয়েতনামের বিপক্ষে হার দিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রায় পুরোটা সময় ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্বাগতিকরা। জয়ের ব্যবধানটা হয়তো আরো বড় হত। সেটা হয়নি বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার শ্রাবণের কল্যাণেই।
আরও পড়ুন
তিন ম্যাচে দুই ভাইয়ের ৪ সেঞ্চুরি |
![]() |
এই ম্যাচে একাধিক সেভ করেছেন শ্রাবণ। খেলার ৮৩ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ভিয়েতনাম। আগের মিনিটে ভিয়েতনামের মিডফিল্ডার লে ভিক্টরের শটে যে সেভটা শ্রাবণ করেছিলেন সেটা নিশ্চয়ই লাল সবুজের সমর্থকদের চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন।
বিষয়টি এড়ায়নি ভিয়েতনামের কোচ কিম সং সিকের চোখও।
“দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম, তবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের গোলরক্ষক দারুণ খেলেছে। তারপরও ২-০ গোলের জয়কে আমি ইতিবাচক সূচনা হিসেবেই দেখছি।”
হারলেও এই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিচ্ছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে বেশকিছু সুযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশ এমনটাই বলেছেন সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। তার কণ্ঠেও প্রশংসা ঝরেছে শ্রাবণকে নিয়ে।
“সে আজকে অসাধারণ খেলেছে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে। নিশ্চিত ৫-৬ টি গোল সেভ করেছে। পরবর্তী ম্যাচে এটা আমাদের দলের জন্য প্রেরণা হবে।”
আরও পড়ুন
হৃদয় বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, ওকে নিয়ে চিন্তিত নই: লিটন |
![]() |
পরের ম্যাচে প্রেরণা হিসেবে বাংলাদেশ খুঁজে নিচ্ছে আরও অনেক কিছু থেকে। ১৮ ঘণ্টার ভ্রমণ ক্লান্তি থাকায় এই ম্যাচে খেলানো হয়নি ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামকে। তাকে পরের ম্যাচে পাবেন আশা করেন সহকারী কোচ।
বাংলাদেশ আপাতত তাকাতে চায় আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের বিপক্ষে ম্যাচের দিকে। বুধবার 'সি' গ্রুপের অপর খেলায় সিঙ্গাপুরকে ২-১ ব্যবধানে হারায় ইয়েমেন।
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:২২ পিএম
পর্দা নামল মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের। বুধবার শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো মীরকাদিম পৌরসভা।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা জমে উঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করে উভয় দল। কিন্তু ডেডলক ভাঙতে পারেনি কেউই। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় অমীমাংসিত ভাবে।
শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ ব্যবধানে জিতে উল্লাসে মাতে মীরকাদিম পৌরসভা।
আরও পড়ুন
ওপেনারকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা শেষে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফুটবলের প্রতি মুন্সীগঞ্জের মানুষের আগ্রহের প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসক।
আগামীতে আরও বড় আকারে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন ফাতেমা তুল জান্নাত। শুধু ফুটবল নয় সারা বছর খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে যুবসমাজকে বিপথগামী হওয়ার হাত থেকে রক্ষায় কাজ করবে জেলা প্রশাসন বলে জানান তিনি।