
পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে চোট নেইমারের নিত্যসঙ্গি। দারুণ প্রতিভা নিয়ে ফুটবল জগতে প্রবেশ করেও চোট নামক শত্রুর কাছে বারবার পরাস্ত হতে হয়েছে তাকে। তবে লড়াকু মানসিকতার নেইমার প্রতিবারই চোটের সঙ্গে লড়ে ফিরেছেন ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’। এবার ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলারের ‘লাস্ট ডান্স’ বা চূড়ান্ত লড়াই। সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচিয়ে এবার ব্রাজিলের হেক্সা স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে মুখিয়ে আছেন নেইমার।
বিশ্বকাপের আগে নেইমারের একমাত্র বাধা সেই চোটই। ২০২৬ বিশ্বকাপে সেলেসাও স্কোয়াডে জায়গা করে নিতে হলে সান্তোসের রাজপুত্রকে শতভাগ ফিট হওয়া নিশ্চিত করতেই হবে। বাঁ পায়ের হাঁটুর চোট নিয়ে সান্তোসের সবশেষ তিন ম্যাচ খেলেছেন। শৈশবের ক্লাবে এই তিন ম্যাচে পাঁচ গোলে অবদান রেখেছেন।
তবে এবার সময় হয়েছে শরীরের দিকে মনোযোগ দেওয়ার। দ্রুতই ছুরি-কাঁচির নিচে যাবেন নেইমার। আর এজন্য তিনি শরণাপন্ন হয়েছেন ব্রাজিলের সুপরিচিত এক ‘অলৌকিক চিকিৎসকের’ কাছে। শিগগিরই বাম হাঁটুর জন্য আংশিক আর্থ্রোস্কোপিক মেনিসেকটমি করবেন। ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা প্রখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ফিজিওথেরাপিস্ট এদুয়ার্দো সান্তোসের সঙ্গে পরামর্শ করবেন, যাকে ‘ডক্টর মিরাকল’ বলা হয়। তিনি রোগীদের রেকর্ড সময়ের মধ্যে সেরে তোলার জন্য এবং প্রায়ই অপ্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য বিখ্যাত।
বেলো হরিজন্টে’এর পিউসি (পোপুলার ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি)-থেকে স্নাতক করে স্পোর্টস মেডিসিনে মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন এদুয়ার্দো সান্তোস। এই চিকিৎসক বহু বছর চীনা সুপার লিগের ক্লাব সাংহাই এসআইপিজি-এর মেডিকেল বিভাগ পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও নেদারল্যান্ডসের ভিটেসে এবং রাশিয়ার জেনিটে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন
| মায়ামিতে ইতিহাস গড়ে আবার বর্ষসেরা মেসি |
|
ব্রাজিলের অনেক তারকা ফুটবলারের চিকিৎসার রেকর্ড আছে এদুয়ার্দোর। এরমধ্যে রয়েছেন হাল্ক, ওস্কার, ফিলিপ কুতিনহো এবং সম্প্রতি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাতেউস কুনহা ও ভ্যান্ডারসন। বর্তমানে এই চিকিৎসক ইংল্যান্ডে ফুলহামের তারকা রদ্রিগো মুনিজের পুর্নবাসনের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করছেন।
ব্রাজিলিয়ান চিকিৎসকের ‘অলৌকিক’ নামের পেছনে আছে অনেক উদাহারণ। এরমধ্যে একটি ২০১৫ সালে সাবেক ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজকে দ্রুত সারিয়ে তুলে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। চোটের কারণে অন্তত ৮-১০ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকার কথা ছিল তাঁর। তবে অনেকটা অলৌকিকভাবেই মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তাকে পরের ম্যাচে খেলাতে সক্ষম হন এদুয়ার্দো।
বিশ্বকাপের আগে নেইমার পুরোপুরি ফিট হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ। এরপরও অবশ্য ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি সম্প্রতি সব সেলেসাও তারকাদের সতর্ক করেছেন। ৯০ শতাংশ ফিট হলেও নাকি কোনো খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখা হবে না, সে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র হোক, কিংবা নেইমার।
No posts available.
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৪৭ পিএম
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৩৮ পিএম
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৪৪ এম

মেয়েদের ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ে এ বছরের আগস্টে বড় লাফ দিয়েছিল বাংলাদেশ। এগিয়েছিল ২৪ ধাপ। চার মাসের ব্যবধানে এবার অবনতির মুখ দেখল পিটার বাটলারের দল। আজ বৃহস্পতিবার ফিফার সর্বশেষ হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে ৮ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১০৪ থেকে আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের অবস্থান এখন ১১২।
এবারের ফিফা হালনাগাদের আগে অবনমন এক প্রকার অনুমিতই ছিল। অক্টোবর ও নভেম্বরে দুটি ফিফা উইন্ডো মিলিয়ে ৪ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। চারটিতেই পেয়েছে পরাজয়ের স্বাদ। অক্টোবরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ৩-০ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড় ব্যবধানে (৫-১) হারে লাল সবুজের মেয়েরা।
নভেম্বরে ঘরের মাঠে আজারবাইজান ও মালয়েশিয়াকে নিয়ে ত্রি-দেশীয় সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ ব্যবধানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে আজারবাইজানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারে স্বাগতিক মেয়েরা। টানা ৪ ম্যাচ হেরে খোয়াতে হয়েছে ১২ রেটিং পয়েন্ট।
আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চীন, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তান। তিন দলের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এক ধাপ এগিয়ে ৯-এ আছে। তিন ধাপ এগিয়ে উজবেকিস্তানের অবস্থান ৪৯। এক ধাপ পিছিয়ে ১৭ নম্বরে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল চীন।

জার্মান এই প্রতিপক্ষকে নিয়ে আগেই সতর্ক ছিল বার্সেলোনা। এর আগেও আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ক্যাম্প ন্যূতে আতিথেয়তা দিয়ে বিপদে পড়েছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। ২০২২ সালের এপ্রিলে নিজেদের মাঠে ইউরোপা লিগের ম্যাচের সেই ঘটনা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় বার্সাকে। সাড়ে তিন বছর পর আবার সেই জার্মান ক্লাবটির সমর্থকরা বার্সার ঘরে এসে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
গত পরশু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে বার্সার ২-১ গোলে জয় পায় বার্সা। এই ম্যাচে সফরকারী দলের সমর্থকরা স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যূতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হোম ও অ্যাওয়ে সমর্থকদের আলাদা করা সীমানা ভাঙচুর, সারিবদ্ধ আসন খুলে নেওয়া ছাড়াও ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের জন্য বরাদ্দ টয়লেট ধংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্টের প্রতিবেদন জানিয়েছে, বার্সা তাদের স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে হওয়া ব্যাপক ক্ষতির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ইউয়েফার কাছে জমা দিয়েছে। কাতালান ক্লাবটি আশা করছে, ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
দর্শক সারিতে জার্মান সমর্থকদের জন্য নির্ধারিত সেকশনটি খতিয়ে দেখে বার্সা কর্মকর্তারা যে দৃশ্য দেখতে পান, তা ছিল সত্যিই শোচনীয়। আসন ভাঙচুর করা ছাড়াও অনেক স্থায়ী ফিটিং ভেঙে লণ্ডভণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া পুরো জায়গাজুড়ে লেগে আছে ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের স্টিকার।
ভাঙচুর চালানো ছাড়াও উপরের সারিতে বসা ফ্রাঙ্কফুর্টের সমর্থকরা নিচের স্তরে বসে থাকা বার্সা সদস্য–সমর্থকদের দিকে ছুড়ে মারতেও দেখা যায়। তাতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থক—সবাই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
ভাঙা পার্টিশন থেকে শুরু করে ধ্বংস হওয়া টয়লেট - সব কিছু নথিভুক্ত করে বার্সেলোনা একটি সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করে সরাসরি ইউয়েফার কাছে পাঠিয়েছে। ক্লাবটির প্রত্যাশা, ইউয়েফা এ ঘটনায় কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে। তাদের মতে, ঘটনাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থকদের বিরুদ্ধে অন্তত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। শৃঙ্খলা বর্হিভূত কাজ করে এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে অতীতে পড়তে হয়েছিল বার্সা সমর্থকদেরও।
এই ঘটনার পর আবারও সামনে এসেছে টিকিট পুনর্বিক্রির সমস্যা। অভ্যন্তরীণ তদন্তে বার্সা প্রায় ৫০০টি সন্দেহজনক টিকিট বিক্রির লেনদেন খুঁজে পেয়েছে। ক্লাবের ধারণা, প্রায় ১,০০০ ফ্রাঙ্কফুর্ট সমর্থক কোনো অফিসিয়াল টিকিট ছাড়াই বার্সেলোনায় এসেছিল। ইউয়েফা এখন পুরো প্রতিবেদন হাতে পেয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।
কদিন আগেই সংস্কার শেষে ক্যাম্প ন্যূতে ফিরে বার্সেলোনা। নিজেদের দূর্গে বার্সেলোনার পরের ম্যাচ আগামী শনিবার। ঘরের মাঠে লা লিগার ম্যাচে লামিনে ইয়ামালরা মুখোমুখি হবে ওসাসুনার।

বাংলাদেশ ফুটবল লিগের (বিএফএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত মৌসুমে লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয় বসুন্ধরা কিংসের। তবে স্বাধীনতা কাপ, চ্যালেঞ্জ কাপ ও ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে বসুন্ধরা কিংস। কয়েক মৌসুম ধরেই বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান ম্যাচের রোমাঞ্চ, উত্তেজনা পেয়েছে অন্য মাত্রা। এবার পাঁচদিনের ব্যবধানে ঢাকায় দুবার একে অপরের মুখোমুখি হবে দুই দল।
লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে আগামীকাল শুক্রবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান। ২০২৫-২৬ মৌসুমে এই প্রথম দুই দল একে অপরকে মোকাবিলা করবে। এর আগে ৫ খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে মারিও গোমেজের দল। নবাগত পিডব্লিউডির বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রয়ে লিগ শুরুর পর টানা চার ম্যাচ জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের ঝুলিতে ১৩ পয়েন্ট।
সমান খেলায় মিশ্র অভিজ্ঞতা হয়েছে মোহামেডানের। ফর্টিস এফসির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে অভিযান শুরু হয় সাদা-কালোদের। এরপরের চার ম্যাচের একটিতে ড্র, একটিতে হার এবং দুটিতে জয়ের সুবাদে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে আলফাজ আহমেদের দল। বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ৬। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার সাদা-কালোরা মাঠে নামবে ব্যবধান কমাতে। আর পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা চাইবে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করতে। ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে।
আরও পড়ুন
| নেইমার চুপ, জল্পনা বাড়ছে |
|
এরপর আগামী মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপে মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হবে দুই দল। ‘বি’ গ্রুপে একই সঙ্গে পড়েছে ঢাকার দুই জায়ান্ট ক্লাব। ঘরোয়া ফুটবলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদার এই প্রতিযোগিতায় কিছুটা এগিয়ে মোহামেডান। দুই খেলায় একটিতে ড্র এবং অন্যটিতে জয়ের সুবাদে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে সাদা-কালো ব্রিগেড। ফর্টিসের সঙ্গে একমাত্র খেলায় ১-১ গোলে ড্রয়ে এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে রাকিব হোসেন, তপু বর্মণরা।
ফেডারেশন কাপে দুই দলের এই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল কুমিল্লার ভাসা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। তবে ভেন্যু বদলে সেটি এখন হবে পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে। গতকাল বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) লিগ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই ম্যাচটি ফ্লাডলাইটের আলোয় হবে না। খেলাটি মাঠে গড়াবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় সংস্কার কাজ। এরপর চলতি বছরের ৪ জুন বাংলাদেশ-ভুটান প্রীতি ম্যাচ দিয়ে এই মাঠে ফেরে খেলা। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেও ঘরোয়া ফুটবলের খেলা এখনো সেখানে হয়নি। বিশেষ পরিস্থিতিতে বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডানের ম্যাচ দিয়ে জাতীয় স্টেডিয়াম ফিরছে ঘরোয়া ফুটবল।

লিওনেল মেসি-ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর যুগ এখন প্রায় শেষের দিকে। ফুটবলবিশ্বে এখন রাজত্ব করছেন কিলিয়ান এমবাপে-আর্লিং হলান্ডরা। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড হলান্ডকে তো অনেকে বর্তমানে সেরাও মনে করেন। ‘গোলমেশিন’ নাম পাওয়া এই স্ট্রাইকার প্রতিনিয়তই মাঠে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ত্রাস সৃষ্টি করেন। অথচ এই হলান্ডই কিনা ফুটবলার নয়, হতে পারতেন একজন পেশাদার গলফার!
হলান্ডকে তাঁর বাবা কয়েকটি খেলায় বাজিয়ে দেখেছিলেন। এমনকি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড নামক খেলাতেও ভবিষ্যত গড়তে পারতেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই বাকি পাঁচ-দশ জন কিশোরের চেয়ে দীর্ঘদেহী হওয়ায় লং জাম্পেও বেশ এগিয়ে ছিলেন। এমনকি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে নরওয়েজিয়ান এই তারকা তার বয়সের দীর্ঘতম স্ট্যান্ডিং লং জাম্পে বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছিলেন, অবিশ্বাস্য ১.৬৩ মিটার লাফ দিয়ে।
হালান্ডের পিতা আলফ-ইঞ্জে একবার ম্যানচেস্টার সিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে বলেছিলেন, ‘নরওয়ের হ্যান্ডবল ম্যানেজার চাইতেন সে হ্যান্ডবল খেলুক। আমি মনে করতাম পাশের বাড়িতে টেনিস আর হ্যান্ডবল খেলা বেশ ভালো।’
আরও পড়ুন
| রিয়ালে ড্রেসিংরুমের অস্থিরতার গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন বেলিংহাম |
|
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বহুমুখিতা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের একেবারে ভিন্ন দিকগুলো বিকাশের সুযোগ দেয়, এবং আপনি যা কিছু করেন, তাতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
ছোটবেলাতেই অ্যাথলেটিকসে দারুণ দক্ষতায় মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন হলান্ড। কিন্তু এক জায়গায় বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে তাকে। তবে, গলফ খেলতে বেগ পোহাতে হচ্ছিল ছোট্ট হলান্ডকে। আর এই তাঁর বাবা চেয়েছিলেন নাকি ক্রীড়ার এই বিভাগেই ছেলের ক্যারিয়ার হোক। হলান্ডের বাবার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল না ছেলেকে পেশাদার গলফে দেখা।
সম্প্রতি ‘দ্যা রেস্ট ইজ ফুটবল’ নামক পডকাস্টে গ্যারি লিনেকার ও অ্যালান শিয়ারের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের ছোটবেলা নিয়ে কথা বলেন হালান্ড। হালান্ড বলেন, ‘আপনি বুঝতে পারছেন, এটি আসলেই মজার—কারণ তার (হলান্ডের বাবা) সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল আমি পেশাদার গলফার হই। সেটাই তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।’
এরপর হলান্ড যোগ করেন, ‘তাই যখন আমি ১০ বছর বয়সী ছিলাম, সে আমাকে গলফ শুরুর জন্য বাধ্য করেছিল। আমি ১০ থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে গলফ খেলতাম।’
খেলার কোচ হিসেবে বাবা নাকি বেশ কড়া ছিলেন। পডকাস্টে হলান্ড বলেছেন , ‘আপনি আমাকে কখনো গ্লাভস পরে খেলতে দেখবেন না। কারণ আমার বাবা মারতেন যদি আমি তা করতাম।’
আরও পড়ুন
| দাপট দেখিয়েও সিটির কাছে হেরে খাদের কিনারায় রিয়াল |
|
হলান্ড এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তাঁর বাবা নিশ্চয়ই এখন ফুটবলার ছেলের ক্যারিয়ার দেখে আফসোস করবেন না। ম্যান সিটির এই ফুটবলার মাঠে নামলেই গোলের পর গোল করে মুড়ি-মুড়কির মতো রেকর্ড ভাঙছেন।
এই মাসের শুরুতে ২৫ বছর বয়সী তারকা প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম সময়ে গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙেছেন। এছাড়া ইংলিশ লিগটির ইতিহাসে ১০, ২৫ এবং ৫০ গোলের দ্রুততম রেকর্ডও তাঁর। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫ ম্যাচে ২৩ গোলের সঙ্গে সাতটি অ্যাসিস্ট করেছেন হলান্ড।

সংবাদমাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যম গুঞ্জনের ডাল-পালা ছড়িয়ে পড়েছে বহুদূর। রিয়াল মাদ্রিদের ড্রেসিংরুমে নাকি চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির কোচ জাবি আলোনসোর কোচিংয়ে নাখোশ খেলোয়াড়দের একটি অংশ, এমনটাই বলছে অনেকে।
সবশেষ গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হার নিশ্চিতভাবেই চাপ আরও বেড়েছে রিয়ালের। শেষ পর্যন্ত সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটির ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি নিয়ে নিরবতা ভাঙলেন জুড বেলিংহাম। অনেক গুঞ্জনের মধ্যে একটির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন এই ইংলিশ তারকা মিডফিল্ডারই। কোচ জাবির সঙ্গে নাকি বনিবনা হচ্ছে না তাঁর।
ম্যান সিটির বিপক্ষে ১-২ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচ শেষে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক আর ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন বেলিংহাম। সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে ২২ বছর বয়সী ফুটবলার বলছেন, ড্রেসিং রুমের সবাই আলোনসোর পাশেই রয়েছে—এবং তিনি মনে করেন, দলের ঘুরে দাড়ানোর দায়িত্ব খেলোয়াড়দেরই।
আরও পড়ুন
| দাপট দেখিয়েও সিটির কাছে হেরে খাদের কিনারায় রিয়াল |
|
বেলিংহাম বলেন, ‘কোচ সত্যিই চমৎকার। ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক, আর দলের বেশিরভাগ ছেলেদেরও তাই। টানা কয়েকটা ড্রয়ের পর আমরা নিজেদের ভিতরে খুব ভালোভাবে আলোচনা করেছি। ভেবেছিলাম খারাপ সময় পেছনে ফেলেছি, কিন্তু শেষ কয়েকটা ম্যাচে আবার সমস্যায় পড়েছি। কেউ হাল ছাড়ছে না, কেউ অভিযোগ করছে না। আমরা ভুল স্বীকার করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’
বাইরের কথায় কান না দিয়ে ড্রেসিংরুমে নিজেদের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছেন বলে জানান বেলিংহাম, ‘ড্রেসিং রুমের ভেতরে আমরা নিজেরাই সমাধান খুঁজছি, বাইরের কথাবার্তা আমাদের কোনো কাজে আসে না। ম্যাচ ব্যবস্থাপনায় কোথাও ভুল করছি; যখন কিছুটা চাপ সামলাতে হয়, তখনই মনে হয় আমরা গোল খেয়ে বসি—আর এতে আমাদের পরিকল্পনা বদলে যায়, যেভাবে খেলতে চাই সে পথে থাকতে পারি না।
সিটির বিপক্ষের হারলেই চাকরি হারাবেন জাবি, এমন গুঞ্জন উড়ছিল বাতাসে। তবে এসব যে শুধু গুঞ্জনই সেটাও নিশ্চিত করেন বেলিংহাম, ‘আমরা জাবির পাশে আছি। অনেক কথাই বলা হচ্ছে, যার বেশিরভাগই মিথ্যা।’
রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী পরীক্ষা আগামী রোববার। লা লিগায় দিপোর্তিভো আলাভেসের মুখোমুখি হবে তারা। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে এই ম্যাচেও ইতিবাচক ফল না পেলে হয়তো গুঞ্জনই বাস্তবে রূপ নেবে।