সামগ্রিক বাস্তবতায় আল হিলাল অধ্যায় প্রায় শেষ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ফলে জোরাল হচ্ছে নেইমারের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে, সেই বিষয়টি। শুরু থেকেই তাতে আলোচনায় রয়েছে মেসি-সুয়ারেজের ইন্টার মায়ামির নাম। তবে বাতাসে ভাসছে গুঞ্জন, ব্রাজিল তারকাকে দলে টানার লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুই ক্লাবও।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, মায়ামি সহ অন্য দুটি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) আগ্রহী দলের সাথে প্রাথমিক আলোচনা করছেন নেইমার। এর মধ্যে একটি ক্লাব হল শিকাগো ফায়ার।
তবে ইএসপিএন এটাও দাবি করেছে যে, বর্তমানে নেইমারের জন্য বিড করা দলগুলোর মধ্যে মায়ামি নেই। দলটির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো সম্প্রতি বলেছেন যে, এমএলএসের বিধিনিষেধ মেনে সাবেক বার্সেলোনা তারকার মায়ামিতে যোগ দেওয়া ‘অসম্ভব’ হবে।
আরও পড়ুন
‘নেইমারের জন্যই ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততে হবে’ |
![]() |
তবে ব্রাজিল ইএসপিএন-এর সূত্রগুলো নেইমারের এমএলএস-এ চলে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও বেশ আশাবাদী। সেই সূত্রগুলো আরও যোগ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালে দুই প্রিয় বন্ধু লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের সাথে খেলার জন্য মায়ামিতে যোগ দেওয়ার আশা এখনও ছেড়ে দেননি নেইমার।
৩২ বছর বয়সী নেইমার ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বার্ষিক ৯৭.৬ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিকে পিএসজি থেকে আল হিলালে নাম লেখান। তবে সৌদি আরবের ক্লাবটিতে যোগদানের পরপরই বাম হাঁটুতে এসিএলে চোটের শিকার হয়ে এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে।
সেটা কাটিয়ে নেইমার গত অক্টোবরে মাঠে ফিরেছিলেন, তবে কয়েকটি ম্যাচ খেলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়ে ফের ছিটকে গেছেন। এখনও আছেন মাঠের বাইরেই। নেইমারের অবদান ছাড়াই আল হিলাল গত মৌসুমে সৌদি প্রো লিগ জিতেছে। ফলে ক্লাবটি তাকে আর ধরে রাখার পক্ষে নয়।
আরও পড়ুন
নেইমারকে দলে পেতে আশাবাদী সুয়ারেজ, নিরাশায় মায়মি কোচ |
![]() |
সাবেক বার্সেলোনা তারকার চুক্তিত মেয়াদ শেষ জুন পর্যন্ত। ফলে, তিনি ক্লাব বদলের লক্ষ্যে অন্য দলের সাথে আলোচনা শুরু করতে পারবেন। মাঝে নেইমারের তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও, বর্তমানে তার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
১১ জুন ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
১০ জুন ২০২৫, ৫:১০ পিএম
অনেক প্রত্যাশা নিয়ে নিয়েছেন দায়িত্ব। ব্রাজিলের কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচটা অবশ্য খুব ভালো হয়নি কার্লো আনচেলত্তির। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে পেয়েছেন জয়ের দেখা। তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস মনে করছেন, আনচেলত্তি অধীনে আরও ভালো সময় আসছে তাদের।
বুধবার লাতিন আমেরিকার বাছাইয়ের প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পায় ব্রাজিল, একমাত্র গোলটি করেন ভিনিসিয়ুস। এই জয়ে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা। কনমেবল অঞ্চলের ছয়টি দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন
লড়াকু ফুটবল খেলেও সিঙ্গাপুরের কাছে হেরেই গেল বাংলাদেশ |
![]() |
ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়ুস শোনান নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টির কথা।
“আজকের ফলাফল নিয়ে আমরা খুব খুশি। নিজেদের মাঠে সমর্থকদের সামনে জয় পাওয়াটা খুব দরকারি ছিল। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা, সেটা পূরণ হলো।”
নতুন কোচ আনচেলত্তির অধীনে প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের সাথে গোলশূন্য ড্র করেছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচে দলের খেলা নিয়ে অনেকে প্রকাশ করেছিলেন নানা শঙ্কা। তবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জয় তুলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ভিনিসিয়ুসের মতে, সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচের সময়ে উন্নতি হবে আরও।
“এখন কোচ আনচেলত্তির বেশি সময় পাবেন দল নিয়ে কাজ করার জন্য। তিনি দেখবেন যে আমাদের কোথায় উন্নতির সুযোগ আছে। আজকের ম্যাচটা আমাদের সেরা ম্যাচের একটি ছিল না, কিন্তু কোয়ালিফায়ারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জয় পাওয়া আর বিশ্বকাপের জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া।”
এই জয়ে ১৬ ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৫। দুইটি ম্যাচ হাতে রেখে আনচেলত্তির দল মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ব্রাজিলই একমাত্র দল, যারা কখনই ব্যর্থ হয়নি বিশ্বকাপে খেলতে।
বিরতির আগে ও পরে দুই গোল হজম করে কাজটা ভীষণ কঠিন হয়ে গেল। তবে রাকিব হোসেনের গোলে জাগল আশা। পুরো দলই যেন এরপর ফিরে পেল লড়াইয়ের বাড়তি তাগিদ। শেষ ৩০ মিনিটে নিজেদের সম্ভাব্য সেরা ফুটবল খেলল লাল-সবুজ শিবির। সুযোগও আসল, তবে গোলের দেখা আর মিলল না। তাতে উজ্জীবত পারফরম্যান্স দেখিয়েও সিঙ্গাপুরের সাথে পেরে উঠল না বাংলাদেশ।
জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশ হেরে গেছে ২-১ গোলে। ‘সি’ গ্রুপে থাকা হামজা-শামিতদের দুই ম্যাচে পয়েন্ট ১। ‘সি’ গ্রুপে দিনের অন্য ম্যাচে হংকংয়ের (৪ পয়েন্ট) কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ভারত (১ পয়েন্ট)।
এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে প্রথমবার হারল বাংলাদেশ। এর আগের হারটি ছিল ২০১৫ সালে ঢাকাতেই, তবে সেটা ছিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। সেবারও ব্যবধান ছিল ২-১। দশ বছর পর ফের একই স্কোরলাইনে হারতে হল বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ‘টার্নিং পয়েন্টের’ সন্ধানে বাংলাদেশ |
![]() |
চলতি মাসে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন এনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দল সাজান কাবরেরা। নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে বেঞ্চে রেখে একাদশে সুযোগ দেন কানাডিয়ান লিগে খেলা মিডফিল্ডার শোমিত সোমকে, যিনি এই ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষিক্ত হন। এছাড়া সোহেল রানার বদলে মাঠে নামেন মোহাম্মদ হৃদয়, আর লেফট-ব্যাক পজিশনে তাজ উদ্দিনের পরিবর্তে জায়গা পান শাকিল আহাদ তপু।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে সফরকারী সিঙ্গাপুর। নবম মিনিটে হ্যারিস স্টুয়ার্টের লং থ্রো থেকে ডিফেন্ডারদের ভুলে সুযোগ তৈরি করে দলটি। জটলার মধ্যে বল চলে যায় সন উই-ইয়াংয়ের কাছে, তবে তার শট পোস্টে বাইরে দিয়ে চলে যায়।
১৫তম মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ আসে তপুর বাম দিকের ক্রস থেকে। তবে রাকিব হোসেনের দুর্বল শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে সহজেই গোলকিপারের হাতে চলে যায়। এরপর ইখসান ফান্দির হেড যায় পোস্টের অল্পের জন্য চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। ঠায় দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক মিতুল মারমার।
২৮তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান। যদিও চিকিৎসা শেষে খানিক বাদেই তিনি আবার মাঠে ফিরলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে স্বাগতিক শিবিরে। ৩০তম মিনিটে ফান্দির শট দুর্দান্ত দক্ষতায় রক্ষা করে ত্রাতা হন মিতুল। ঝাপিয়ে আটকান ফান্দির প্রচেষ্টা।
এরপর বাংলাদেশের আক্রমণে কিছুটা ছন্দ আসে। শোমিতের ডিফেন্স চেরা পাসে দারুণ গতিতে দৌড় দেন রাকিব, তবে বলের নাগাল আর পাননি। ৩৫তম মিনিটে হামজার নেওয়া ফ্রি-কিক অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। পাঁচ মিনিটে বাদে সেরা সুযোগটা পায় বাংলাদেশ। বাম দিক দিয়ে উঠে আসা ফাহামিদুল খান কিছুটা দেরি করে ফেলায় শেষ পর্যন্ত দুটি ডিফেন্ডারের চাপে জোড়াল শট নিতে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন
ম্যাচের কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই উৎসবের আমেজে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর লড়াই |
![]() |
ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে জাতীয় স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে লিড নেয় সিঙ্গাপুর। হ্যারিসের শট বাংলাদেশের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে উঁচুতে গেলে গোলরক্ষক মিতুল এগিয়ে গিয়ে ফিস্ট করলেও পারেননি বিপদমুক্ত করতে। বল চলে যায় হ্যারিস স্টুয়ার্টের কাছে। তার ক্রস থেকে সাইড ভলিতে গোল করেন উই-ইয়াং। হামজার আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও বল গোললাইন পার করে ফেলে।
পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর আগে ফের খায় ধাক্কা। ৫৮তম মিনিটে সিঙ্গাপুর ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে। হামি শাহিনের জোড়াল শট মিতুল ফিস্ট করলেও বল চলে যায় ফান্দির কাছে। তার শট মোহাম্মদ হৃদয়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে চলে যায় জালে।
এরপরই ফাহমিদুলকে তুলে নামানো হয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। ম্যাচে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হামজা ৬৭তম মিনিটে আবারো দেখান ঝলক। তার থ্রু পাস ধরে রাকিব শট নেন, সেটা সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে গতি হারালেও শেষ পর্যন্ত গোললাইন পেরিয়ে যায়।
গোল করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ, প্রাণ ফিরে আসে গ্যালারিতেও। ৭৭তম মিনিটে হামজার ফ্রি কিক কর্নার সিঙ্গাপুরের প্রতিরোধে আটকে যায়।
৭৯তম মিনিটে ইমনের শট সহজেই সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের কাছে গিয়ে যায়। এরপর ৮২তম মিনিটের পর থেকে বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে চাপ বাড়ায়। তবে চারটি কর্নার পেলেও গোলের জন্য তা যথেষ্ট আর হয়নি।
ইনজুরি টাইমে রাকিবের ক্রস থেকে সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডারের হেড চলে যায় ফাহিমের কাছে। তবে তার ভলি ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে চলে যায়। এরপর হামজার শটও বাইরে দিয়ে যায়। আর শেষ সময়ে মোরসালিনের ক্রস থেকে তারিকের হেড গোলরক্ষকের হাতে লেগে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। লড়াই করেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ফুটবলের অভিধানে পূর্ণতার মানে একটাই, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। ঘরের মাঠ, চেনা গ্যালারি, নিজেদের দর্শক – সব মিলিয়ে হামজা-ফাহমিদুলদের সামনে একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করার, যা দেশের ফুটবলকে নিয়ে যাবে নতুন এক উচ্চতায়।
বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপের চার দল বাংলাদেশ, ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর – সবারই পয়েন্ট সমান (১)। এই অবস্থায় যে কেউই গ্রুপ সেরা হতে পারে। এই গ্রুপে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ (১৮৩তম) অনেকটাই পিছিয়ে। ভারতের অবস্থান সবচেয়ে ওপরে। এরপর আছে যথাক্রমে হংকং (১৫৩তম) ও সিঙ্গাপুর (১৬১তম)। তবে র্যাঙ্কিংই তো সব নয়, মাঠের পারফরম্যান্সে বদলে গেছে চিত্র, বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ, যে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হামজা চৌধুরী। তার সাথে এই ম্যাচে যুক্ত হয়েছেন ইতালির সেরি ‘ডি’তে খেলা ফরোয়ার্ড ফাহমিদুল ইসলাম ও কানাডা লিগের মিডফিল্ডার শোমিত সোম।
আরও পড়ুন
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট |
![]() |
সব মিলিয়ে মাঝমাঠ নিয়ে তাই মধুর এক বিড়ম্বনায় পড়ে গেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বাস্তবতা অনুধাবন করে তাই বলেই দিয়েছেন, ১০ মিনিট খেলার সুযোগ পেলেও তাতেও ছাপ রাখার চেষ্টা করবেন।
হামজা, শোমিতদেরর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের মিডফিল্ড এতটাই শক্তিশালী যে, কাবরেরা ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী মিডফিল্ড আমাদের।” কিছুদিন আগে প্রীতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভুটান কোচ তো বাংলাদেশকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দলের।
আর অধিনায়ক জামাল ম্যাচটিকে বলছেন দেশের ফুটবলের সম্ভাবনার মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত, একরকম ‘টার্নিং পয়েন্ট’। কারণ, এই ম্যাচ জিতলে সেটা কেবল গ্রুপেই বাংলাদেশকে এগিয়ে দেবে না। সাথে দেশের ফুটবলের নবজাগরণে পালে দিবে জোর হাওয়া।
আরও পড়ুন
অভিমানে পোল্যান্ড জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন লেভানদভস্কি |
![]() |
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কখনোই হারেনি সিঙ্গাপুরের কাছে। তবে ২০১৫ সালে এই ঢাকাতেই প্রীতি ম্যাচে ২-১ গোলে দলটির কাছে হেরেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দশ বছর পর দুই দলের আবার একই ভেন্যুতে ফের দেখা, যা হতে পারে বাংলাদেশ দলের জন্য টার্নিং পয়েন্ট।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচকে ঘিরে দেশব্যাপী উন্মাদনা চলছে সপ্তাহখানেক ধরেই। ঈদের ছুটির মাঝেও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল ম্যাচের দিনেও। লডাই শুরুর ৫-৬ ঘন্টা আগে থেকেই যে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে উৎসবমুখর এক আবহের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘড়ির কাটায় দুপুরের ১টা বাজাত আগেই গুলিস্তান মোড় থেকে শুরু করে স্টেডিয়াম চত্বর পর্যন্ত জমে ওঠে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। জাতীয় পতাকা, হামজা-জামালদের জার্সি আর নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড-ব্যানারে সেজে সমর্থকরা ভিড় জমান চারপাশে।
তাদের মমধ্যে একটা একটা অংশই এসেছেন আগেভাগে স্টেডিয়মে প্রবেশের জন্য। বাফুফে থেকে ছাড়া হয়েছিল যে ১৮ হাজার ৩০০টি টিকিট, তা বেশ আগেই হয়েছে সোল্ডআউট। বেলা দুইটায় গেট খোলার কথা থাকলেও তা হয় কিছুটা দেরিতে। তবে তারও বেশ আগে থেকেই স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকা জুড়ে জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন
লড়াকু ফুটবল খেলেও সিঙ্গাপুরের কাছে হেরেই গেল বাংলাদেশ |
![]() |
নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সন্ধ্যা ৫টার পর আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, বাফুফে সংবাদ বিবৃতিতে তা জানিয়েছে আগেই। ফলে বাংলাদেশের ম্যাচ নির্বিঘ্নে যাতে দেখা যায়, তা নিশ্চিত করতে দুপুর গড়াতেই গেটের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় দর্শকদের।
এসবের মাঝেই চোখে পড়েছে দুর্দান্ত সব দৃশ্য, যা জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে এক নতুন জাগরণের ডাকই। কেউ ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন খেলা দেখতে। শুধু হামজা চৌধুরীর জার্সিই নয়, এক তরুণ হাজির হয়েছেন অবিকল তার মত হেয়ার কাট দিয়েই। বাদ্য-বাজনা বাজিয়েও যোগ দেন কেউ কেউ।
টিকিট না পাওয়া যারা মাঠে উপস্থিত থাকতে পারছেন না, তাদের অবশ্য খুব হতাশ হওয়ার কারণ নেই। টি স্পোর্টস ও বাফুফের উদ্যোগে দেশের আটটি স্থানে জায়ান্ট সরাসরি দেখানো হবে ম্যাচটি। সেগুলো হল : ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলা পরিষদ চত্বর, রাজশাহীর নানকিং বাজার, সিলেটের রিকাবি বাজার পয়েন্ট, খুলনার শিববাড়ি মোড় ও বরিশালের বেল’স পার্ক।
এক নজরে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর লড়াই :
তারিখ: ১০ জুন, ২০২৫
সময়: সন্ধ্যা ৭টা
স্থান: জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
প্রতিযোগিতা: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব (তৃতীয় রাউন্ড), গ্রুপ ‘সি’
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে চলে আসলেও এখনও দলের সবচেয়ে বড় তারকা তিনিই। আর্জেন্টিনা দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি অবশ্য চোটের কারণে গেল এক বছরে মিস করেছেন কিছু ম্যাচ। তবে তাতেও খুব একটা প্রভাব পড়ছে না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি অবশ্য জানিয়েছেন, মেসি না থাকলেও এখন তাদের খেলায় তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না।
৩৭ বছর বয়সী মেসি গত মার্চে চোটের কারণে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ে (১-০ গোলে জয়) এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে (৪-১ গোলে জয়) অনুপস্থিত ছিলেন। অধিনায়ককে ছাড়াই সেই আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনা ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে। এরপর চলতি মাসে দলে ফিরেছেন মেসি। গত সপ্তাহে বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে নামেন বদলি হিসেবে।
আরও পড়ুন
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ‘টার্নিং পয়েন্টের’ সন্ধানে বাংলাদেশ |
![]() |
আগামী বুধবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্কালোনি বলেছেন, কোনো কারণে মেসির না থাকাটাও এখন আর তাদের জন্য বড় চিন্তার কারণ নয়।
“এখন আমাদের দলটা এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে, যেখানে লিও (মেসি) থাকুক বা না থাকুক, আমরা একই ছন্দে খেলতে পারি। (মেসি না থাকলে) আগে আমাদের কিছু খেলোয়াড় বদল করে দল সাজাতে হতো। তবে এখন আর সেটার প্রয়োজন পড়ে না, এটাই ভালো দিক।”
২০০৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ১৯২ ম্যাচ। করেছেন ১১২ গোল, যা দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ইন্টার মায়ামি তারকার জাতীয় দলের হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপ, দুটি কোপা আমেরিকা এবং ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছেন।
স্কালোনি মনে করেন, মেসিকে ছাড়াও ভালো খেলার কৌশল রপ্ত করে ফেলেছেন তারা।
“এখন আমাদের দলের কাঠামো এতটাই ভারসাম্যপূর্ণ যে, মেসি না থাকলেও আমরা একই কৌশল ও ছন্দ বজায় রেখে খেলতে পারি।”
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মেসির সম্ভাবনা আছে শুরুর একাদশে থাকার। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এই কলম্বিয়ার কাছেই আর্জেন্টিনা হেরেছিল ২-১ গোলে। ফলে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেললেও এই ম্যাচটি মেসিদের জন্য গুরুত্ব বহন করছে।
আরও পড়ুন
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট |
![]() |
ভালো ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী স্কালোনি।
“তাদের দুর্দান্ত একটা দল আছে। প্রতিভাবান খেলোয়াড় দিয়ে ভরপুর তাদের দল এবং তাদের নির্দিষ্ট একটা খেলার ধারা রয়েছে, যা আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারে। আমরা তাদের বিশ্লেষণ করেছি। বিশেষ করে ঘরের মাঠে হওয়ায় এটা দারুণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে।”
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে