
রাত পোহালেই বক্সিং ডে টেস্ট। অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেলবোর্নে নামার আগে চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১২ সদস্যের স্কোয়াডে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার না রেখে পেসনির্ভর দল গড়েছে স্বাগতিকরা। পিচের কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
দলে ফিরেছেন স্টিভ স্মিথ। অসুস্থতার কারণে আগের টেস্টে খেলতে না পারা এই ব্যাটার এবার নেতৃত্বও দিচ্ছেন দলকে। ফিরেছেন ঝাই রিচার্ডসনও—২০২১ সালের পর এই প্রথম টেস্ট দলে জায়গা পেলেন তিনি। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে প্রথম দুই টেস্টে খেলা ব্রেন্ডন ডগেট এবং গোলাপি বলের টেস্টে অংশ নেওয়া মাইকেল নেসারকেও।
গত টেস্টে স্মিথের জায়গায় সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো উসমান খাজা দলে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন। তবে জায়গা হয়নি জশ ইংলিসের। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পিঠের সমস্যার কারণে আবারও ছিটকে গেছেন, আর পেসার জশ হ্যাজলউড পুরো সিরিজ থেকেই বাইরে।
এদিকে অফ-স্পিনার নাথান লায়ন অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়েছেন। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে টড মারফিকে, যদিও শেষ পর্যন্ত একাদশে কোনো স্পিনার না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্টিভ স্মিথ বলেন,
“পিচে ভালো পরিমাণ ঘাস আছে। আমার ধারণা, উইকেটটি যথেষ্ট সহায়তা দেবে। আবহাওয়াও ঠান্ডা ও মেঘলা থাকতে পারে। এসব মিলিয়ে পেসারদের জন্য কন্ডিশন খুবই সহায়ক হবে। এমন পরিস্থিতিতে সিম বোলারদের সামলানো ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে।”
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইতোমধ্যে ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে অ্যাশেজ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ১২ সদস্যের দল:
ট্রাভিস হেড, জেক ওয়েদারল্ড, মার্নাস ল্যাবুশেন, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), উসমান খাজা, অ্যালেক্স কেরি (উইকেটকিপার), ক্যামেরন গ্রিন, মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড, ব্রেন্ডন ডগেট, মাইকেল নেসার ও ঝাই রিচার্ডসন।
No posts available.

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্স অধিনায়ক। তাই ব্যাট করতে নেমেছে সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অন্তত ১৮০ রান করার আশার কথা বলেছেন সিলেট অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আর কন্ডিশন বুঝে সিলেটকে অল্পে আটকে রাখতে চান শান্ত।
উদ্বোধনী দিনে টসের আগে রাখা হয় ছোট্ট আনুষ্ঠানিকতা। কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীত শেষে আতশবাজি ফুটিয়ে ও বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সিলেট টাইটান্স একাদশ:
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, সাইম আইয়ুব, ইথান ব্রুকস, পারভেজ হোসেন ইমন, হযরতউল্লাহ জাজাই, মোহাম্মদ আমির, নাসুম আহমেদ, রনি তালুকদার, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও রুয়েল মিয়া।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি চৌধুরি, আব্দুল গাফফার সাকলাইন, এসএম মেহেরব হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ নাওয়াজ, বিনুরা ফার্নান্দো, সাহিবজাদা ফারহান, সন্দীপ লামিচানে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৪৫ পিএম

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জায়ান্ট স্ক্রিন জানান দিল, রেকর্ড সংখ্যাক উপস্থিতির কথা। ৯৪ হাজার ১৯৯ জন দর্শক আজ ধুমধারাক্কা এক ‘ক্রিকেট শো’ দেখেই ঘরে ফিরলেন। আর এই শো’তে প্রধান চরিত্রের ভূমিকায় ছিলেন পেসাররা।
মেলবোর্নের সবুজ উইকেটে ব্যাটারদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলাররা তুলে নিলেন ২০টি উইকেট। মেলবোর্নে টেস্টের প্রথম দিনে অন্তত ২০ উইকেট পড়ার চতুর্থতম ঘটনা এটি। এই ভেন্যুতে টেস্টের শুরুর দিন সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট পড়েছে ১৯০১-০২ মৌসুমে। তারপর ১২৩ বছরে অ্যাশেজে এই মাঠে টেস্টের প্রথম দিনে এবারই সর্বোচ্চ উইকেট পড়ল।
অ্যাশেজের প্রথম তিন টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ইংল্যান্ড আজও হতাশাকে সঙ্গী করেই দিন শেষ করেছে। ২০ উইকেট পতনের দিনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৪৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এক ওভারে বিনা উইকেটে চার রান করেছে প্যাট কামিন্সের দল।
আরও পড়ুন
| শিরোপার দাবিদার রংপুর রাইডার্স |
|
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ইংল্যান্ড লাঞ্চের আগে অস্ট্রেলিয়ার চারটি উইকেট বেশ খুশিই ছিল। তবে মধাহ্ন বিরতির পর অস্ট্রেলিয়ার অমন ব্যাটিং ধসের দৃশ্য দেখে নিজেদের ব্যাটিংয়ে নিয়েও কী মনে ভয় ঢুকে গিয়েছিল বেন স্টোকসদের?
১৫২ রানে অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করার আনন্দ একদমই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ইংল্যান্ডের। ইংলিশ পেসারদের পর উইকেট উৎসবে যোগ দেন অসি পেসাররা। শুরু থেকেই কাঁপতে কাঁপতে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৯.৫ ওভারে ১১০ রানে। তাতে অস্ট্রেলিয়া পায় ৪২ রানের মহামূল্যবান লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে হেডের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামেন স্কট বোল্যান্ড।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস দেড়শো পার করে মাইকেল নেসারের নৈপুণ্যে। আটে নামা এই ব্যাটারের ৭ চারে ৪৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংসই বোধহয় ব্যবধান গড়ে দিল দুই দলের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়ার বাকি ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন ট্র্যাভিস হেড (১২), জ্যাক ওয়েদারাল্ড (১০), উসমান খাজা (২৯), অ্যালেক্স ক্যারি (২০) ও ক্যামেরন গ্রিন (১৭)।
অসিদের ব্যাটিং লাইন-আপ লণ্ডভণ্ড করে ১১.২ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন জস টাং। দুটি গাস অ্যাটকিনসনের, একটি করে ব্রাইডন কার্স ও স্টোকসের।
আরও পড়ুন
| এবার কি পারবে ‘ডার্ক হর্স’ সিলেট |
|
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের মতো। মিচেল স্টার্ক-মাইকেল নেসেরের সামনে চোখে সরঁষে ফুল দেখে সফরকারীদের টপ অর্ডার। স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই নেই তাদের চার ব্যাটার।
তারপর উপায় না দেখে স্বভাবসুলভ প্রতি-আক্রমণের পথ বেছে নেন হ্যারি ব্রুক। বোল্যান্ডের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৩৪ বলে করেন ৪১। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক স্টোকসের সঙ্গে তাঁর ৪০ রানের জুটিই ইনিংসে সর্বোচ্চ। স্টোকসের ১৬ রানের পর শেষদিকে অ্যাটকিনসনের ২৮ রান ছাড়া বলার মতো আর কিছুই ছিল না ইংল্যান্ডের ইনিংসে।
চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা নেসের নেন চার উইকেট। তিন উইকেট বোল্যান্ডের, দুটি স্টার্কের আ একটি উইকেট শিকার গ্রিনের।

মাঠে নামার আগেই শিরোপার দাবিদার বলে আভাস দিচ্ছে রংপুর রাইডার্স। দলের ভারসাম্য আর গভীরতায়—২০২৬ বিপিএলের সেরা গোছানো দল বললেও বাড়াবাড়ি হবে না। মিকি আর্থারের মতো বিশ্বের সেরা কোচ আছেন সেখানে। ২০২৫ বিপিএলেও তিনি ছিলেন, সঙ্গে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের দারুণ রসায়ন। গতবার যেখানে শেষ করেছেন, এবার সেখান থেকে শুরু করবেন তাঁরা।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সেরা পেসার কার্টার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খেলবেন রংপুরে। পাওয়ার-প্লে, মাঝের ওভার কিংবা ডেথ ওভারে—সব জায়গায় দারুণ কার্যকর এই বাঁহাতি পেসার। বিশ্বের সেরা ডেথ ওভার মাস্টারদের একজন তিনি। কুড়ি ওভারে ৩০৮ ম্যাচ খেলা মোস্তাফিজকে হাতছানি দিচ্ছে সাকিবের পর চারশ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখানোর। তাঁর সঙ্গে থাকবে ফাহিম আশরাফ ও কাইল মেয়ার্সের অভিজ্ঞতার ঝলক। গতির ঝড় তুলবেন নাহিদ রানা।
রংপুরের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা একঝাঁক বিশ্বসেরা টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অনেক বোলিং অপশন। খুশদিল শাহ, ইফতেখার আহমেদ ও ফাহিম আশরাফের ওপর ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব থাকবে। টপ অর্ডারে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস, খাজা নাফে, এমিলো-গে আছেন পাওয়ার-প্লেতে উড়ন্ত শুরু এনে দিতে।
মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ ডেভিড মালান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সোহান ও কাইল মেয়ার্সে পেশি-শক্তি দেখাবেন। স্পিন বিভাগে দারুণ বৈচিত্র্য—পাকিস্তানের উদীয়মান রিস্ট স্পিনার সুফিয়ান মুকিম, মিস্ট্রি স্পিনার আলিস আল ইসলাম, বাঁহাতি রকিবুল হাসান, নাঈম হাসান ও লেগ স্পিনার মেহেদী হাসান সোহাগ আছেন। তবে স্পটলাইট থাকবে লিটন-মোস্তাফিজের ওপরই। যেহেতু তাঁরা দুজন পুরো টুর্নামেন্ট খেলবেন তাঁরাই হতে পারেন এক্স-ফ্যাক্টর।
দলে টি-টোয়েন্টি মঞ্চে লড়াকুদের সমাবেশ—বিপিএলের সবচেয়ে পেশাদার ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্সই তো এবার শিরোপা স্বপ্ন এবার দেখতেই পারে। সবশেষ ২০১৭ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবার ট্রফি
কোচ: মিকি আর্থার।
দল: মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, কাইল মেয়ার্স, খাজা নাফে, ডেভিড মালান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতেখার আহমেদ, সুফিয়ান মকিম, এমিলো গে, মোহাম্মদ আখলাক, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, মৃ্ত্যুঞ্জয় চৌধুরী, আলিস আল ইসলাম, নাঈম হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইফতেখার আহমেদ, আব্দুল হালিম, মেহেদী হাসান সোহাগ।
নজর থাকবে: মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন কুমার দাস।

নতুন স্বত্বধিকারীর অধীনে নতুন নাম সিলেট টাইটানস। দেশের স্বনামধন্য কোচ সোহেল ইসলাম ও বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দক্ষতার ওপর নির্ভর করছে দলটি কতদূর যাবে। এই দলে দারুণ কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত জায়গা হয় না মিরাজের। তবে বিপিএলে ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’—এই তত্ত্ব বেশ ভালোভাবে করে দেখাতে জানেন তিনি। সবশেষ বিপিএলে খুলনা টাইগার্স তাঁর নেতৃত্বে কোয়ালিফায়ার খেলেছিল, ফাইনালের কাছাকাছি গিয়েও শেষ বলে হেরে যায় চিটাগং কিংসের কাছে। ব্যাট হাতে ৩৫৫ ও বল হাতে ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার হাতে তুলেছেন এই অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টিরর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাইম আইয়ুব রয়েছেন সিলেটের টপ অর্ডারে। তাঁর সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি বাঁধতে পারেন পারভেজ হোসাইন ইমন। আছেন রনি তালুকদার, জাকির হাসান, অ্যারন জোনস, আফিফ হোসেন ও মঈন আলির মতো ব্যাটাররা আছেন। তবে জাতীয় দলের ডিউটির কারণে সাইমকে বিপিএলে পুরো সময় পাবে না সিলেট। এই দলে স্পটলাইট থাকবে আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ওপর। যিনি বলে-ব্যাটে প্রয়োজন মতো কার্যকর হতে পারেন।
প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের কাঁপুনি ধরানোর মতো সিলেটের পেস বোলিং আক্রমণ। ৩৪৮ টি-টোয়েন্টি খেলা মোহাম্মদ আমির আছেন দলে। যাঁর নামের পাশে ৪০৯টি উইকটে রয়েছে। এবারে বিপিএলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার বলাই যায়। তাঁর সঙ্গে ছন্দে থাকা পকিস্তানের আরেক পেসার সালমান ইরশান আছেন। ডেথ ওভারে এই দুই ক্রিকেটার রানের লাগাম টানতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে দুই সিলেটী ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রুয়েল মিয়া ও শহীদুল ইসলাম আছেন তোপ দাগতে।
আরও পড়ুন
| বিপিএলের লড়াই দেখবেন কোথায় |
|
স্পিনের জাদু দেখাতে মিরাজ, নাসুম আহমেদ, সাইম, মঈনরা আছেন। খণ্ডকালীন জোনস, ইথান ব্রুকস ও ওমরজাই রাখতে পা পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ডানহাতি-বাঁহাতির দারুণ সমন্বয়। সব মিলিয়ে বিপিএলের ‘ডার্ক হর্স’ হতে পারে সিলেট।
নিজেদের হোম ভেন্যুতে প্রথম পর্বের ৫টি ম্যাচ খেলবে সিলেট, এই পর্বের ৫০ শতাংশ ম্যাচই বলা চলে। দলে একঝাঁক স্থানীয় ক্রিকেটার রয়েছেন, সব মিলিয়ে সর্থকদের সমর্থন—সব কিছু মিলিয়ে কন্ডিশনটা তাদের পক্ষে।
কোচ: সোহেল ইসলাম।
দল: মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ আমির, মঈন আলি, পারভেজ হোসাইন ইমন, খালেদ আহমেদ, আফিফ হোসেন, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, রুয়েল মিয়া, আরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসাইন, মুমিনুল হক, শহীদুল ইসলাম, রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ, তৌফিক খান তুষার, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, অ্যারন জোনস, সালমান ইরশাদ, ইথান ব্রুকস।
নজর থাকবে: সাইম আইয়ুব, আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। উদ্বোধনী দিনে হবে দুটি ম্যাচ। দুপুর ৩টায় রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম রয়্যালস।
বিপিএলের দ্বাদশ আসরে শিরোপার লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে ছয়টি দল- রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, নোয়াখালী এক্সপ্রেস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স, সিলেট টাইটান্স এবং চট্টগ্রাম রয়্যালস। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশ থেকে বিপিএল সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস টিভি। এছাড়া নাগরিক টিভি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ট্যাপম্যাডে দেখা যাবে ম্যাচগুলো।
আরও পড়ুন
| বক্সিং ডে কী, ক্রীড়াঙ্গনে যেভাবে জনপ্রিয় হলো দিনটি |
|
বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অনেকগুলো দেশ থেকেই দেখা যাবে বিপিএল।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের দর্শকরা এ স্পোর্টস এইচডি তে সরাসরি বিপিএল দেখতে পারবেন। এছাড়া এআরওয়াই জ্যাপ, মাইকো, তামাশা ও ট্যাপম্যাড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে বিপিএলের ম্যাচগুলো।
শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কার দর্শকরা ডায়ালগ ও পিইও টিভির মাধ্যমে বিপিএলের সব ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।
ভারত: ভারতের দর্শকরা ফ্যানকোডের মাধ্যমে বিপিএলের সব ম্যাচ অনলাইনে দেখতে পারবেন।
নেপাল: নেপালের দর্শকরা বিপিএল দেখতে পারবেন ডিশ হোমের মাধ্যমে।
আফগানিস্তান: আফগানিস্তানের দর্শকরা সোলহ টিভিতে বিপিএলের ম্যাচগুলো দেখতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো: উত্তর আমেরিকার দর্শকদের জন্য উইলো টিভি বিপিএল সম্প্রচার করবে। পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উইলো টিভি ও ডিআরএম -এর মাধ্যমে সব ম্যাচ দেখা যাবে।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চল (২৭টি দেশ): ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ২৭টি দেশের দর্শকরা রাশ স্পোর্টসের মাধ্যমে সরাসরি বিপিএল দেখতে পারবেন।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা: মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দর্শকরা টি-স্পোর্টসের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে বিপিএলের সব ম্যাচগুলো উপভোগ করতে পারবেন।