৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৪৪ পিএম
জাভি হার্নান্দেজ দায়িত্ব ছাড়ার পর বার্সেলোনা তখন হন্যে হয়ে একজন যোগ্য কোচ খুঁজছিল। ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবটির পথপ্রদর্শক হতে হওয়ার মতো কে আছেন এমন? শেষ পর্যন্ত এক জার্মান ফুটবল ‘দার্শনিকের’ শরণাপন্ন হয় কাতালান ক্লাবটি। বার্সায় যোগ দেওয়ার প্রথম মৌসুমে রীতিমতো বাজিমাতই করেন হ্যান্সি ফ্লিক। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটিকে ঘরোয়া ট্রেবল এনে দেওয়ার পাশাপাশি ইউরোপীয় সেরার মঞ্চে ফেরান আধিপত্য।
গত মৌসুমে ফ্লিকের টনিকে হাই লাইন ডিফেন্স, হাই প্রেসিংয়ের সঙ্গে দ্রুত আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেছে বার্সেলোনা। এই কাজগুলো বার্সা করতো দলগতভাবে। ব্যাক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় সাফল্যই ছিল ফ্লিকের মূলমন্ত্র। দারুণ ফলও পেয়েছে হাতেনাতে। তবে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমেই বার্সাকে কেমন যেন খাপছাড়া দেখছেন ফ্লিক।
এরইমধ্যে ২০২৫-২৬ মৌসুমের তিন ম্যাচ খেলেছে বার্সেলোনা। লা লিগার এই তিন ম্যাচের মধ্যে প্রথম দুটিতে জয় পেলেও শেষ ম্যাচটি হতশ্রী পারফরম্যান্সে ড্র করেছে লামিন ইয়ামাল-রাফিনহারা। রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ড্র করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। প্রতিপক্ষের মাঠে গোলকিপার হোয়ান গার্সিয়া দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে খালি হাতেই ফিরতে হতো লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
আরও পড়ুন
আর্জেন্টিনায় মেসির শেষ ম্যাচের একাদশ ও অনিশ্চয়তা |
![]() |
আগের মৌসুমের সেই দুর্ধর্ষ বার্সেলোনাকে তবে কি এই মৌসুমে দেখা যাবে না? ক্লাবটির কোচ ফ্লিকের ভয়টা সেখানেই। এই প্রসঙ্গে ফ্লিক বলেন, ‘গত মৌসুমে আমরা দল হয়ে খেলেছি, দল হয়ে কাজ করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, দলে যেন কোনোভাবেই অহংকার না আসে। কারণ অহংকার পুরো দলের সাফল্যের পথে বড় বাধা।’ভায়েকানোর বিপক্ষে ড্রয়ের পর ড্রেসিংরুমে নাকি অন্তত ২০ মিনিট শিষ্যদের কড়া ভাষায় শাসন করেন ফ্লিক।
অবশ্য সদ্য ১৮তে পা রাখা ইয়ামাল কোচ ফ্লিকের মতো ভাবছেন না। বার্সা উইঙ্গার বলেন, ‘প্রত্যেকেরই নিজেস্ব মতামত আছে। ড্রয়ের পর স্বাভাবিকভাবে নিজেদের ওপরই রেগে যাই আমরা। কিন্তু আমি মনে করি না, এটা অহংকারের জন্য হয়েছে। আমরা তিনটা কঠিন মাঠ থেকে নয় পয়েন্টের মধ্যে ৭ পেয়েছি, যা অনেকেই খুব একটা লক্ষ করে না।’
ইয়ামাল আরও বলেন, ‘আমরা এখনো নিজেদের মাঠে খেলিনি, সব ম্যাচই বাইরে খেলেছি। আমি মনে করি না, এটা অহংকারের ব্যাপার, বরং এটা ছিল আমাদের দিন না। আমরা ম্যাচটা যেভাবে শেষ করেছি, সেভাবে শুরু করতে পারিনি।’
দ্রুতই দল চেনা ছন্দে ফিরবে বলে বিশ্বাস ইয়ামালের, ‘হ্যাঁ, আমরা অনেক ভুল করেছি, কিন্তু এমনটা হতেই পারে। আমাদের দ্রুত নিজের সেরা ফর্ম খুঁজে বের করতে হবে এবং পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ আত্মবিশ্বাসী ইয়ামালরা আগের মৌসুমের দুর্দান্ত ছন্দে ফিরতে পারবে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নিজেদের মাঠে ইয়ামালদের প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া।
No posts available.
বিভিন্ন সময় বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসেন লুইস সুয়ারেজ। বিশেষ করে উরুগুয়ান ফরোয়ার্ড একাধিকবার ‘কামড় কাণ্ডের’ জন্য তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েন। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনিকে কামড়ে দেওয়ার ঘটনা তো অনেকদিন মনে থাকবে ফুটবল ভক্তদের।
এবার অবশ্য কামড় নয়, থুথু নিক্ষেপের কারণে সংবাদের শিরোনাম হলেন সুয়ারেজ। সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে লিগস কাপের ফাইনালে ৩-০ গোলে হারের পর ক্লাবটির এক কর্মকর্তার গায়ে থুতু নিক্ষেপ করেন ইন্টার মায়ামি স্ট্রাইকার। গত বুধবারের অপ্রত্যাশিত ওই ঘটনায় এক বিবৃতিতে নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেলেন লাউতারো |
![]() |
ফাইনাল হারের পর হতাশ হয়ে এমন অনাকাঙ্খিত কাণ্ড ঘটান সুয়ারেজ। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন,
‘আমি একটা ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। এটা সেই ভাবমূর্তি নয়, যা আমার পরিবারের সামনে দেখাতে চাই। যারা আমার ভুলের কারণে কষ্ট পেয়েছেন তাদের এটি মোটেও প্রাপ্য নয়। যা ঘটেছে তার জন্য দুঃখিত। সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ও স্বীকার করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’
মৌসুমের বাকি সময় ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়ার কথা বলেন সুয়ারেজ,
‘আমরা জানি এখনও মৌসুমের অনেক ম্যাচ বাকি। আমরা একসঙ্গে চেষ্টা করব ক্লাব ও তার ভক্তদের প্রাপ্য সাফল্য অর্জন করতে।’
আরও পড়ুন
‘নেপাল শক্তিশালী, আমরাও জিততে এসেছি’ |
![]() |
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে নিন্দা জানায় সুয়ারেজের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। এমএলএসের ক্লাবটি লেখে,
‘ইন্টার মিয়ামি লিগস কাপ ফাইনালের সমাপ্তির পর ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনাগুলোর নিন্দা জানায়। এই ধরনের কাজ আমাদের খেলার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না, এবং আমরা মাঠের ভেতরে ও বাইরে উভয় জায়গায় সর্বোচ্চ ক্রীড়া নৈতিকতা বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা লিগস কাপ এবং এমএলএস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি যাতে পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবিলা করা যায়।’
সিয়াটলের বিপক্ষে সেই ম্যাচ শেষে সুয়ারেজ ছাড়াও মায়ামিতে লিওনেল মেসির আরেক সতীর্থ সার্জিও বুসকেটসও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শেষ বাঁশি বাজার পর সিয়াটলের এক খেলোয়াড়কে ঘুষি মারতে দেখা যায় বার্সেলোনার সাবেক এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে।
নেপাল সফরে না থেকেও আছেন হামজা চৌধুরী। ঢাকার পর আজ নেপালে সংবাদ সম্মেলনেও ওঠে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ তারকার প্রসঙ্গ। তেমনি ঘুরে-ফিরে সামনে আসছে নেপালের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় ৩-১ ব্যবধানে হারের ব্যাপারটি।
দশরথ স্টেডিয়ামে কাল আবারও নেপালের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের। অতিথিদের সুযোগ আগে হারের প্রতিশোধ নেওয়ারও। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এই নেপাল আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাদের সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা এবং জয় নিয়ে ফিরতে চান এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৭৬ নম্বরে নেপাল। এ বছরের মার্চে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে ১৭ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরকে। তাদের মাঠে গিয়ে হারানো মোটেও সহজ কাজ নয় বলে মনে করেন জামাল। তাঁর মতে নেপাল ধীরে ধীরে অনেক উন্নতি করেছে খেলায়,
‘আমার মনে হয় নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ওদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝা যায়। সিঙ্গাপুরে গিয়ে খেলাটা সহজ নয়। তাই গত কয়েক মাসে নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। আর এখানে (কাঠমান্ডু) খেলতে আসাটাও প্রতিপক্ষের জন্য সব সময় কঠিন। তবে সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে নেপাল দল ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে গতবারের ১০ জন |
![]() |
নেপাল উন্নতি করেছে যেমনটা বললেন, আবার নিজেদের উন্নতিও মাঠে প্রমাণ দিতে চান জামাল। তাঁর কণ্ঠে ম্যাচ জয়ের প্রত্যয়,
‘আমাদের প্রত্যাশা একই, আমরা এখানে জিততে এসেছি। আপনি যেকোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সবাই একই উত্তর দেবে। আমরা জিততে এসেছি। একই সঙ্গে চাই ভালো পারফরম্যান্স করতে এবং নিজেদের ও দর্শকদের দেখাতে চাই, আমরা কতটা উন্নতি করছি।’
এই ম্যাচ দুটি জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। আগামী মাসে হংকংযের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে হাভিয়ের কাবরেরা দল। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে নেপাল ম্যাচকে।
আগামীকাল বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-নেপালের প্রথম প্রীতি ম্যাচটি। সরাসরি দেখাবে চ্যানেল টি-স্পোর্টস। পরের ম্যাচ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, একই মাঠে।
লম্বা সময় পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে মাঠে নামলেন, তাও দ্বিতীয়ার্ধে হুলিয়ান আলভারেজের বদলি হিসেবে। তবে জালের দেখা পেতে বেশি দেরি হয়নি। ৭২ মিনিটে নেমে তিন মিনিট পরই লক্ষ্যভেদ করেন লাউতারো। মেসির ফ্রি কিক থেকে লেফট ইউং থেকে ক্রস করেন নিকো গঞ্জালেস। ডাইভিং হেডারে দুর্দান্ত গোল ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ডের।
নজরকাড়া গোলটির সৌজন্যে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছেন লাউতারো। আর ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। জাতীয় দলের হয়ে লাউতারোর গোলসংখ্যা এখন ৩৩। ম্যারাডোনার গোল ছিল ৩২টি। লাউতারো অবশ্য ১৩ ম্যাচ কম খেলেছেন ম্যারাডোনার চেয়ে।
আরও পড়ুন
মায়ের দেশকে বিশ্বকাপে তুলতে অবসর ভাঙলেন টেলর |
![]() |
আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় লাউতারো এখন পঞ্চম। তাঁর ওপরে আছেন শুধু লিওনেল মেসি (১১৪), গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (৫৫), সার্জিও আগুয়েরো (৪১) ও হার্নান ক্রেসপো (৩৫)। নয় মাসের বেশি সময় পর সাদা-আকাশি জার্সি গায়ে মাঠে নামেন লউতারো। চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ছিলেন বেঞ্চে। তার আগে উরুগুয়ে-ব্রাজিল ম্যাচে পেশির চোটে দলে ছিলেন না।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আজ ৩-০ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। লাউতারো ছাড়াও ম্যাচে জোড়া গোল করেন মেসি। জাতীয় দলের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারদের তালিকায় মেসি আছেন ২ নম্বরে। ১৯৪ ম্যাচে ১১৪ গোল তাঁর। ২২১ ম্যাচে পর্তুগাল কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল ১৩৮টি।
বিশ্বকাপ খেলার স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছিল প্যারাগুয়ে। সবশেষ ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর টানা তিন বিশ্বসেরার মঞ্চে দর্শক হয়েছিল তারা। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ১৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরল প্যারাগুয়ে। ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে থেকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে গুস্তাভো আলফারোর দল।
৪৮ দলের ২০২৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে ছয়টি দেশ। সবার আগে নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। তারপর বাছাইপর্বের বাধা উতরে যায় ব্রাজিল ও ইকুয়েডর। আজ প্যারাগুয়ে, কলম্বিয়া ও উরুগুয়েও বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
২০২২ বিশ্বকাপে খেলতে না পারা কলম্বিয়া আজ ৩-০ গোলে হারায় বলিভিয়াকে। ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের পাঁচ নম্বরে তারা। সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করেছে কলম্বিয়া।
বলিভিয়ার বিপক্ষে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেজ। করেছেন একটি গোলও। ম্যাচ শেষে এই তারকা মিডফিল্ডারের উচ্ছ্বসিত কণ্ঠ,
‘এই জার্সিটা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় আমি শতভাগ দিয়েছি আর তেমনটাই দেব।’
দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ৩-০ গোলে পেরুকে উড়িয়ে দিয়েছে। ড্র করলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হতো মার্সেলো বিয়েলসার দলের। তবে মন্টেভিডিওতে দারুণ এক জয়ে ১৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে উরুগুয়ে। বাঁচা-মরার ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপের দৌড় থেকেই ছিটকে গেল পেরু। বিশ্বকাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে শেষ দুটি ম্যাচ জিততেই হতো তাদের।
নিজ দেশের মাঠে নেমেছিলেন শেষবারের মতো নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা নিজের বিদায়ী মুহূর্তও স্মরণীয় করে রাখলেন। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন ৩-০ ব্যবধানের জয়।
মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে ভেনেজুয়েলার রক্ষণও বারবার হাঁসফাঁস করেছে। ৩৮ মিনিটে প্রায় লাখো দর্শককে উচ্ছ্বাসে জাগিয়ে তোলেন মেসি। হুলিয়ান আলভারেজের নিখুঁত পাস থেকে বাঁ পায়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দারুণ এক চিপে।
দ্বিতীয়ার্ধেও মেসি। তৈরি করেছেন একাধিক সুযোগ। ৭৯ মিনিটে আলমাদারের পাস থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বল জালে পাঠান। এই গোলের সঙ্গে ছিল হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। ৮৮ মিনিটে বল জালে পাঠালেও অফসাইডে থাকার কারণে গোলটি বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা মাঠ ছাড়ে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে।
পারফরম্যান্স যেন কিছুতেই বলছে না, মেসির বয়সটা ৩৮! ৯০ মিনিটে নিয়েছেন ৭টি শট, করেছেন ৩টি সফল ড্রিবল, বল স্পর্শ করেছেন ১০৭ বার এবং দিয়েছেন ৬৮টি পাস। এর মধ্যে ৮টির মধ্যে ৭টি লং বল সফলভাবে সতীর্থের কাছে পৌঁছেছে। তৈরি করেছেন ৫টি গোলের সম্ভাবনা জাগানো পাস, তৈরি করেছেন একটি বড় সুযোগ।
৯.০ রেটিং নিয়ে তাই ম্যাচসেরাও হয়েছেন মেসি। এভাবে শেষ করাতে পারাটা মেসির কাছে স্বপ্নের মতো,
'এভাবে শেষ করতে পারাটাই ছিল আমার স্বপ্ন। বহু বছর কেটে গেল, আমরা প্রতিটি ম্যাচ উপভোগ করেছি। আমি ভীষণ খুশি।'
কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনা, ২০২৬ বিশ্বকাপ কি খেলবে মেসি? সে জবাব আজ আবারও দিলেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা,
‘যেমনটা আগেও বলেছি, আরেকটা বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সামনে চলে এসেছি বলে খেলতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত ও অনুপ্রাণিত বোধ করছি। ম্যাচ ধরে ধরেই এগোতে চাই।'