৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৩১ পিএম

ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে সরাসরি লাল কের্ড দেখে শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির চোখে ভিনিসিয়ুসের শাস্তি সঠিক হয়নি। তবে বিপরীত মত বার্সেলোনা ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেজের। তার মতে, শাস্তির পরিমাণটা কমই হয়ে গেছে রিয়াল তারকার।
লা লিগার ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপার স্তোল দিমিত্রিয়েভস্কিকে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন ভিনিসিয়ুস। একই ধরনের কাণ্ডে কয়েক বছর আগে লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল বার্সেলোনা ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেজকে। তবে সেবার তিনি নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন ৪ ম্যাচের। তাই বার্সা ডিফেন্ডারের কাছে ভিনিসিয়ুসের শাস্তিটা অন্যায্য মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন
    
| স্টেডিয়াম সংস্কার করতে মেসির ‘লকার’ নিলামে তুলল বার্সা | 
     
 | 
        
স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে অ্যাথলেটিক বলবাওকে হারানোর পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় তাই হতাশাই প্রকাশ করেছেন তিনি।
“আমার কাছে এটা ঠিকঠাক মনে হয়নি। কয়েক বছর আগে এর থেকেও ছোটো ঘটনায় আমাকে চার ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কি আর করার। কিছু জিনিস আমাদের হাতে থাকে না।”
বিতর্ক ছড়ানো এই লাল কার্ড নিয়ে ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচ শেষে আপত্তি করেছিলেন আনচেলত্তি। বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা আসলে সেটা বাড়াবাড়িই হবে। তবে রিয়াল কোচের কথা খুব একটা কানে নেয়নি রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে।
আরও পড়ুন
    
| এক রাতে দুই সুখবর বার্সেলোনার | 
     
 | 
        
যা সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই মনে করছেন আনচেলত্তি। সেই সাথে ভিনিসিয়ুসের সমালোচনার আগে তার দিক বিবেচনার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। 
“ভিনিসিয়ুস হওয়াটা মোটেও সহজ কাজ না। আমি এখনো মনে করি তার দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা সঠিক হয়নি। তাকে আমাদের সাথে পাওয়া খুবই দারুণ। মানুষ যা ইচ্ছে বলতে পারে। আমরা শুধু উস্কানির অংশটুকুই দেখি কিন্তু তাকে যে পরিমাণ অপমান সহ্য করতে তা খুব একটা কেউই দেখে না।”
রিয়াল সমর্থকরা অবশ্য স্বস্তি পাওয়ার কথা। কারণ, ভিনিসিয়ুসের নিষেধাজ্ঞাটা কেবল লিগ ম্যাচের ক্ষেত্রেই রেখেছে আরএফইএফ। তাতে বৃহস্পতিবার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে মায়ার্কোর সাথে খেলতে বাধা নেই ব্রাজিলিয়ান তারকার। তবে লা লিগায় লাস পালমাস ও রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে না ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ভিনিকে।
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ১:৩৭ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ১:১৪ এম

আবারও নারী ফুটবল দলের অনুশীলন ক্যাম্প হচ্ছে চট্টগ্রামে। মঙ্গলবার সকালে ফুটবলার, কোচিং স্টাফ, অফিসিয়ালসহ ৪০ জন নিয়ে চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে পৌঁছেছেন কোচ পিটার বাটলার।
মেয়েদের চট্টগ্রামের ক্যাম্প নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মেয়েদের চট্টগ্রামে যাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে জানতে পেরেছেন অনেকে।
থাইল্যান্ডে দুটি প্রীতি ম্যাচের আগেও চট্টগ্রামে মেয়েদের অনুশীলন ক্যাম্প হয়েছিল। এই ক্যাম্পকে ‘এক্সক্লুসিভ’ বলে সে সময় অভিহিত করেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। সেখানে থাকা, খাওয়া ও ট্রেনিং ব্যবস্থা উন্নতমানের বলেই এমনটা দাবি করেন তিনি।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’ ঘোষণা করেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। মেয়েদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রস্তুতির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। তারই অংশ হিসেবে আরেকবার চট্রগ্রামে গেলেন আফঈদা-সাগরিকারা।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২৯ জন ফুটবলার ও কোচিং স্টাফরা যান চট্টগ্রামে। মোট ৪৩ জন নিয়ে ক্যাম্প চলে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। সেখান থেকে ১৭ অক্টোবর ঢাকায় ফেরে দল। পরের দিন থেকে বাফুফের ক্যাম্পে যোগ দেন ভুটানের লিগ খেলা ঋতুপর্ণা চাকামা, মারিয়া মান্দা ও তহুরা খাতুনসহ ৯ ফুটবলার।
অক্টোবরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ সিনিয়র নারী ফুটবল দল দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলে। ২৫ তারিখের ম্যাচে ৩-০ এবং ২৮ অক্টোবরের ম্যাচে ৫-১ ব্যবধানে হেরেছিল বাটলারের দল।
এ মাসেই ঢাকায় তিন জাতির আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ওই টুর্নামেন্ট খেলতে আসছে আজারবাইজান ও মালয়েশিয়া।
মূলত আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া এএফসি নারী এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি নিতেই জোর চেষ্টা বাফুফের। যে কারণে ঢাকার বাইরে নিবিড় অনুশীলনের ব্যবস্থা, থাইল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ও এই মাসে তিনজাতি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।

কাতারে পর্দা উঠেছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের। নতুন কাঠানোর ৪৮ দলের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ দল। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে গতকাল গ্রুপ ‘ডি’ এর ম্যাচে বেলজিয়ামকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনার যুবা দল।
প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে আর্জেন্টিনার প্রথম গোল করেন রামিরো তুলিয়ান। তবে বেলজিয়াম বিরতির আগ মুহূর্তে সমতা ফেরে। বেলজিয়ামের রাইট ব্যাক আর্থার দে কিম্প গোল করে ব্যবধান ১-১ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে স্ট্যান নায়ার্টের গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। তবে হাল ছাড়েনি আলবিসেলেস্তারা। ৬৯ মিনিটে ফাকুন্দো জাইনিকোস্কি দলকে সমতায় ফেরান। দুই মিনিট পর ফেলিপ এসকিভেলের নৈপুণ্যে জয়সূচক গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন
    
| ‘মেসি আমার চেয়ে ভালো? এটা আমি মানি না’ | 
     
 | 
        
নিজেদের গ্রুপে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের পরের পর্বে যাওয়ার পথ সহজ করল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ ‘ডি’ থেকে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ তিউনিসিয়া ও ফিজি। বৃহস্পতিবার তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে ডিয়েগো প্লাসেন্তের দল।
ইন্দোনেশিয়া ২০২৩ সালের আসর থেকে এবার দ্বিগুন বেশি দল খেলছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে। প্রতিযোগিতায় এবার অংশ নিচ্ছে ৯টি এশিয়ান দেশ, ১০টি আফ্রিকান দেশ, ৮টি উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশ, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সাতটি দেশ, ৩টি ওশিয়ান দেশ এবং ১১টি ইউরোপীয় দেশ।
প্রতি গ্রুপে চার দল করে মোট গ্রুপ ১২টি। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা আট দল রাউন্ড অফ ৩২-এ উঠবে। এরপর নক-আউট পদ্ধতিতে হবে টুর্নামেন্ট। এই পর্বে কোনো ম্যাচের ফল নির্ধারিত সময়ে সমতায় শেষ হলে সরাসরি পেনাল্টি শুটআউটে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।
গ্রুপপর্বে সব ম্যাচ খেলা হবে কাতারের আল রাইয়ান-এর আধুনিক ‘এস্পায়ার জোন’ কমপ্লেক্সের আটটি মাঠে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
এখন পর্যন্ত অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়নি আর্জেন্টিনা। এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দল নাইজেরিয়া। আফ্রিকার দেশটি পাঁচবার অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। দ্বিতীয় সেরা দল ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চারবার। ঘানা ও মেক্সিকো দুবার করে। আর একবার এই ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া), সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।

ব্রাজিলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় ছয় মাস হলো। তবে এখন পর্যন্ত দলের সেরা তারকা নেইমারকে পাননি কার্লো আনচেলোত্তি। চোট নাম বড় শত্রুর কাছে বিপর্যস্ত হওয়া সান্তোসের ‘রাজপুত্র’ সম্প্রতি মাঠে ফিরেছেন। তবে নেইমারকে ছাড়াই দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল।
আগামী ১৫ ও ১৮ নভেম্বর দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেলসাওদের প্রথমে ম্যাচে প্রতিপক্ষ উত্তর আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামের ম্যাচটির দুই দিন পর ফ্রান্সের ডেকাথলন স্টেডিয়ামে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এই দুই প্রীতি ম্যাচের জন্য ব্রাজিল জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেছেন বাহিয়ার লুসিয়ানো জুবা এবং পালমেইরাসের তরুণ ফরোয়ার্ড ভিত হোকে। তাদের সুযোগ রয়েছে জাতীয় দলে নিজেদের প্রমাণের। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও আছেন দলে।
আরও পড়ুন
    
| সেনেগাল ও তিউনিসিয়া বিপক্ষে ব্রাজিল দলে চমক দুই তরুণ উদীয়মান | 
     
 | 
        
চোট থেকে সেরে ৪৮ দিন পর সান্তোসের হয়ে মাঠে ফেরা নেইমারের এবারও জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ হলো না। ৩৩ বছর বয়সী তারকাকে নিয়ে আনচেলোত্তি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি নেইমারের সঙ্গে এখনো কথা বলিনি। আমরা অপেক্ষা করব, কখন সে পুরোপুরি সেরে উঠবে এবং আবার খেলতে পারবে।’
এল ক্লাসিকোয় রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় ব্রাজিলিয়া উইঙ্গারকে। পরে এ নিয়ে এক বিবৃতিতে ক্ষমাও চান স্প্যানিশ ক্লাবটির তারকা ফুটবলার।
এ প্রসঙ্গে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে সবকিছু মিটমাট হয়েছে বলে জানান আনচেলোত্তি, ‘ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, যেমনটা অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গেও আছে। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি, বলেছি সে ভুল করেছে, আর সে সেটা বুঝেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে। আমি মনে করি বিষয়টি মিটে গেছে। সে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, দলকে অনেক সাহায্য করতে পারে।’
আনচেলত্তি আরও যোগ করেন, ‘তার কোনো সমস্যা নেই — না এখানে, না ক্লাবে, না তার কোচ (জাবি আলোনসো) এর সঙ্গে। ব্যক্তিগত জীবন তার নিজের বিষয়। আমি তার বাবা নই, ভাইও নই — আমি শুধু তার কোচ।’
সবশেষ জাপানের বিপক্ষে দু’দফা এগিয়ে যাওয়ার পর ৩-২ গোলের হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। বছরের শেষ দুটি ম্যাচে নিজেদের আগের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে মুখিয়ে আছে তারা।
আরও পড়ুন
    
| ‘মেসি আমার চেয়ে ভালো? এটা আমি মানি না’ | 
     
 | 
        
তবে হারের পরও তরুণদের বাজিয়ে দেখায় সফল হয়েছেন বলছেন আনচেলোত্তি, ‘শেষ দুই ম্যাচে আমরা দল নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। আমার মনে হয় সেই পরীক্ষাগুলো সফল হয়েছে, কারণ আমরা কিছু নতুন খেলোয়াড়কে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।’
বছরের শেষ দুটি ম্যাচের পর ২০২৬ সালের মার্চে আরো দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারে ব্রাজিল। সেলেসাওদের সমন্বয়ক রদ্রিগো কায়েতানো জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারে ব্রাজিল, যেখানে প্রতিপক্ষ হবে ইউরোপের দুটি দল, যাদের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

ইতিহাসের সেরা ফুটবলার কে ? ফুটবলপ্রেমীদের এই তর্ক চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। একটা সময় দুই কিংবদন্তি পেলে-ম্যারাডোনাকে নিয়ে দু’ভাগ হয়ে যেত ফুটবলবিশ্ব। আর এই শতকে সে জায়গা নিয়েছেন লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সমর্থকরা নিজ নিজ প্রিয় ফুটবলারকে সেরার আসনে বসালেও সেই কিংবদন্তিরা নিজেদের কোথায় দেখেন ?
‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ বা সর্বকালের সেরা হিসেবে অনেক আগ থেকেই নিজেকে রেখেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যখনই সেরার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন, নিজেকে এক নম্বরে রাখতে কোনো কার্পণ্য করেননি ‘সিআর সেভেন’। এবার আরও একবার একই প্রশ্নের একই উত্তরই দিলেন আল নাসরের তারকা।
বিখ্যাত সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গ্যানকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রোনালদো। যেটার পুরো অংশ প্রচারিত হবে আজ। গতকাল এর একটি ছোট অংশ প্রকাশ হয়েছে। যেখানে ফুটবল বিশ্বে গত দেড় দশকের সবচেয়ে আলোচিত ওই বিতর্ক নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
‘অনেকে বলে, মেসি আপনার চেয়ে ভালো, আপনি কী মনে করেন?’- এই প্রশ্নের উত্তরে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বলেন, ‘মেসি আমার চেয়ে ভালো? এই মতের সঙ্গে আমি একমত নই। এখানে আমি বিনয়ী হতে চাই না।’
বিভিন্ন সময় ফুটবলের অনেক রথী-মহারথীরা সেরার প্রশ্নে মেসি কিংবা রোনালদোকে বেছে নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারের প্রিভিউ অংশে রোনালদোকে তাঁর সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ ওয়েইন রুনি–র মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। ইংল্যান্ডের এই কিংবদন্তি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘ওরা দুজন দুই রকম খেলোয়াড়। কিন্তু আমার মতে মেসি অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সে সর্বকালের সেরা, তাই আমাকে মেসিকেই বলতে হবে। তবে রোনালদো একটু দুর্ভাগ্যবান, কারণ অন্য যেকোনো সময় খেললে মেসির পাওয়া সব পুরস্কারগুলো হয়তো ও-ই জিতত। তবে দুজনই ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের মধ্যে অন্যতম।’
ব্যাক্তিগত কিংবা দলীয় অর্জনে দু’জনই ক্যারিয়ারে সমানতালে লড়েছেন। তবে মেসির ২০২২ বিশ্বকাপে জয়ের পর অনেকের মতে সেরার দৌড়ে রোনালদো থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। এরপরও অবশ্য সেরার তর্ক চলবে যতদিন ফুটবল আছে আর ফুটবলপ্রেমীরা আছে।

১৫ ও ১৮ নভেম্বর দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেলসাওরা প্রথমে ম্যাচে প্রতিপক্ষ উত্তর আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামের ম্যাচটির দুই দিন পর ফ্রান্সের ডেকাথলন স্টেডিয়ামে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার ম্যাচের জন্য আজ ব্রাজিল দল ঘোষণা করেছেন কার্লো আনচেলোত্তি। দলে মূল আকর্ষণ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের নতুন দুই সংযোজন— বাহিয়ার লুসিয়ানো জুবা এবং পালমেইরাসের তরুণ ফরোয়ার্ড ভিত হোকে। তাদের সুযোগ রয়েছে জাতীয় দলে নিজেদের প্রমাণের।
আনচেলোত্তির দলে রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাম— রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরো। আর রক্ষণভাগে রিয়াল মাদ্রিদের এদের মিলিতাও ও পিএসজির মার্কিনিওস।
দল:
গোলকিপার:
বেন্তো মাতেউস (আল নাসর), এডারসন (ফেনারব্যাচ), হুগো সুজা (করিন্থিয়ান্স)।
ডিফেন্স:
অ্যালেক্স সান্দ্রো (ফ্লামেঙ্গো), কাইও হেনরিক (মোনাকো), দানিলো (ফ্লামেঙ্গো), এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো (ক্রুজেইরো), গাব্রিয়েল মাগালাইয়েস আর্সেনাল), লুসিয়ানো জুবা (বাহিয়া), মার্কিনিওস (পিএসজি), পাউলো হেনরিকে (ভাস্কো), ওয়েসলি (রোমা)।
মিডফিল্ড:
আন্দ্রে সান্তোস (চেলসি), ব্রুনো গিমারাইস (নিউক্যাসল), কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), ফাবিনিয়ো (আল ইত্তিহাদ), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হ্যাম), এস্তেভাও (চেলসি)।
ফরোয়ার্ড:
জোয়াও পেদ্রো (চেলসি), লুইজ এনরিকে (জেনিত), মাতেউস কুনিয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম), রদ্রিগো (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিত হোকে (পালমেইরাস)।